২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। কামরুল দুলু,সীতাকুণ্ড || চট্টগ্রাম নগরীর সাগরিকা এলাকায় গত কয়েকদিন আগে এক গার্মেন্টস শ্রমিকের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
সনাক্তের পর আক্রান্ত ব্যক্তি যে বাড়িতে বাড়ায় থাকতো সেটি লকডাউন করে প্রশাসন। ওই ভাড়া বাড়িতে ফৌজদারহাটের আক্রান্ত ব্যক্তিকেও কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
কিন্তু তিনি কোয়ারেন্টিন না মেনে সবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে তার স্ত্রীকে নিয়ে সীতাকুণ্ড উপজেলার ফৌজদারহাটস্থ নিজের বাড়িতে চলে আসেন।
তার শরীরে কাশি, সর্দি ও জ্বর দেখা দিলে তিনি হাসপাতালে না গিয়ে বাড়ির পার্শ্বে এক পীরের হুজরা শরীফে যান দোয়া নিতে।
বিষয়টি স্থানীয়দের মধ্যে জানাজানি হলে উক্ত ব্যক্তিকে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) তে পাঠিয়ে দেন করোনা পরীক্ষার জন্য।
১২এপ্রিল রাত ১০টার দিকে তার করোনা পরীক্ষায় পজেটিভ আসে। এদিকে ওই ব্যক্তির করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় তাঁর গ্রামের বাড়ি এবং পীরের বাড়িসহ পাশের ৪৪টি পরিবারকে লকডাউন ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
রাতে সীতাকুণ্ড থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ওই ব্যক্তির গ্রামের বাড়ি যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন রায়। পরে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে তিনি লকডাউনের ঘোষণা দেন।
উল্লেখ যে, গত ৮ এপ্রিল ঢাকার নারায়নগঞ্জ থেকে ব্যাংকের এক সিকিউরিটি গার্ড সীতাকুণ্ডের একটি ভাড়া বাসায় আসলে তার শরীরে করোনা ভাইরাসের শনাক্ত হয়। তারা দুইজনেই চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আইসোলেশনে রয়েছেন।
এদিকে ৫ দিনের মাথায় দুইজনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর থেকে সীতাকুণ্ড উপজেলায় মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
২৪ ঘণ্টা/ আর এস পি