Tag: ফ্রান্স

  • চট্টগ্রাম বন্দরে ফ্রান্স নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ

    চট্টগ্রাম বন্দরে ফ্রান্স নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ

    শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে পৌঁছেছে ফ্রান্স নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ এফএস সার্কাফ। রোববার (২ জুলাই) বন্দর জেটিতে পৌঁছালে চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের চিফ স্টাফ অফিসার ক্যাপ্টেন ফয়েজ জাহাজটিকে স্বাগত জানান।

    এসময় নৌবাহিনীর সুসজ্জিত বাদকদল ঐতিহ্যবাহী রীতিতে ব্যান্ড পরিবেশন করে। জাহাজটিকে স্বাগত জানাতে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতসহ নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও নাবিকরা উপস্থিত ছিলেন।

    এর আগে জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছালে বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ ‘স্বাধীনতা’ এটিকে অভ্যর্থনা জানায়।

    নৌবাহিনী জানায়, জাহাজটিতে মোট ১৭০ জন কর্মকর্তা ও নাবিক রয়েছেন। ১২৫ মিটার দৈর্ঘ্যের ফ্রান্সের এই জাহাজটির অধিনায়কের দায়িত্বে রয়েছেন ক্যাপ্টেন জেরোম ডুবইস। বাংলাদেশে অবস্থানকালে জাহাজটির অধিনায়ক কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চল, কমান্ডার বিএন ফ্লিট এবং চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

    সফরকারী জাহাজের কর্মকর্তা ও নাবিকরা বাংলাদেশ নেভাল অ্যাকাডেমি, বানৌজা পতেঙ্গা, নৌবাহিনীর সমর কৌশল বিষয়ক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ‘স্কুল অব মেরিটাইম ওয়ারফেয়ার অ্যান্ড ট্যাকটিস ও চট্টগ্রাম ওয়্যার সিমেট্রিসহ দর্শনীয় স্থানসমূহ পরিদর্শন করবেন। এছাড়া ফ্রান্স ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যদের মধ্যে একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

    ফ্রান্স নৌবাহিনীর এ জাহাজের সফরের ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে ফ্রান্সের বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। শুভেচ্ছা সফর শেষে আগামী ৬ জুলাই জাহাজটির বাংলাদেশ ত্যাগ করার কথা রয়েছে।

  • কিশোরের মৃত্যুতে উত্তাল ফ্রান্স: সহিংস বিক্ষোভ-লুটপাট, গ্রেপ্তার চার শতাধিক

    কিশোরের মৃত্যুতে উত্তাল ফ্রান্স: সহিংস বিক্ষোভ-লুটপাট, গ্রেপ্তার চার শতাধিক

    পুলিশের গুলিতে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরের মৃত্যুতে উত্তাল রয়েছে ফ্রান্স। তিন দিন ধরে চলছে সহিংস বিক্ষোভ। বৃহস্পতিবারও বিক্ষোভ দেশটির অনেক শহরে বিক্ষোভ হয়। এসময় বিভিন্ন জায়গায় সহিংসতা ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটে। দাঙ্গা ও লুটপাটে জড়িত থাকার অভিযোগ এ পর্যন্ত ৪২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৪০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অনেক জায়গায় জারি করা হয়েছে কারফিউ। খবর বিবিসি, আল-জাজিরা।

    গত মঙ্গলবার প্যারিসের নান্টেরে শহরে গাড়ি চালানো অবস্থায় নাহেল এম নামে নাইজেরিয়ান ও আলজেরিয়ান বংশোদ্ভূত ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে গুলি করে পুলিশ। এতে কিশোরের মৃত্যুর পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি বিধ্বস্ত হয়।

    তার হত্যাকাণ্ডে দেশজুড়ে সহিংসতার জন্ম দিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন বিক্ষোভকারারী। সহিংসতার সময় নান্টেরে শহরে একটি বিল্ডিংয়ের নিচতলায় ভয়াবহ ধরনের আগুন লাগে। এই বিল্ডিংয়ে এক ব্যাংক ছিল। বিক্ষোভের সময় দোকান ও গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তিন দিন ধরে চলছে বিক্ষোভ-সহিংসতা।

    অস্থিরতার তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার বিকালে হাজার হাজার মানুষ নাহেলের জন্য একটি শ্রদ্ধা মিছিলে উপস্থিত হয়েছিল। কয়েক ঘণ্টা পর সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়। লিলি এবং মার্সেইতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বেশিরভাগ বিক্ষোভ-সহিংসতা রাজধানী প্যারিসকে কেন্দ্র করে। ২৪২টি সহিংসতার ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে।

    বিবিসি জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে দাঙ্গাকারীরা সেন্ট্রাল প্যারিসের রু ডি রিভোলি বরাবর দোকানে ঢুকে পড়ে। চলে ভাঙচুর-লুটপাট। হাই-অ্যান্ড রাস্তাটি লুভর এবং জার্ডিন দেস টুইলেরির পাশে। এসব ঘটনার অনেক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।

    ভিডিওতে দেখা যায়, দাঙ্গাকারীরা বিখ্যাত ফ্যাশন ব্র্যান্ড জারা কাপড়ের দোকানে ঢুকছে এবং পণ্যদ্রব্য নিয়ে দোকান থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। এই রাতে লুটপাটের আরও কিছু ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে। এর একটিতে দেখা যায়, প্যারিসের ওয়েস্টফিল্ড ফোরাম ডেস হ্যালেসের নাইকির শোরুমের বাইরে এক ঝাঁক লোক চেঁচামেচি করছে এবং স্টোরের সামনের জানালা ভাঙছে।

    ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয় বলছে, সারা দেশে অন্তত ৪২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের অধিকাংশের বয়স ১৪ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।

    স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, দাঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন জাতীয় পুলিশের কমান্ড সেন্টারে রয়েছেন। রাতভর কেন্দ্রীয় কমান্ডে ছিলেন তিনি।

    পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার রাতে ফ্রান্স জুড়ে ৪০ হাজার পুলিশ অফিসার মোতায়েন করার আদেশ দেন। মঙ্গলবার এবং বুধবার রাতে বেশ কয়েকটি ফরাসি শহরে দাঙ্গায় গাড়ি এবং ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরে, অস্থিরতা মোকাবিলায় ফ্রান্স জুড়ে তাদের মোতায়েন করা হয়েছে।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড জানিয়েছেন, শুধুমাত্র বুধবার রাতের সংঘর্ষে ১৭০ জন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন এবং ১৮০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালেও কর্মকর্তারা আহত হয়েছেন।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও এবং ছবিগুলিও দেখা যায় সহিংসতার সময় বেশ কয়েকটি জায়গায় আবর্জনার স্তূপ জ্বলছে।

    এ অবস্থায় প্যারিস এবং বিস্তৃত অঞ্চলে বাস এবং ট্রাম পরিষেবাগুলি বন্ধ হয়ে গেছে। কিছু শহরতলীতে রাতের সময় কারফিউ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। লিল এবং ট্যুর শহরেও পরিবহন পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে।

    ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এলিসাবেথ বোর্ন কিশোরের মৃত্যুর পরে সবার আবেগের বহিঃপ্রকাশকে সম্মান জানিয়েছেন। তবে তিনি দাঙ্গার নিন্দা করেছেন। বলেন, ‘কোনো কিছুই এই সহিংসতাকে সমর্থন করে না।’

    নাহেলের মা বলেছেন, তিনি হত্যার জন্য সাধারণভাবে পুলিশ বা সিস্টেমকে দায়ী করেননি। কেবল সেই অফিসার যিনি প্রাণঘাতী গুলি চালিয়েছিলেন তাকে দায়ী করছেন।

    নাহেলকে হত্যার জন্য অভিযুক্ত অফিসার বলেছেন, তিনি গুলি চালিয়েছিলেন কারণ তিনি অনুভব করেছিলেন যে তার জীবন ঝুঁকিপূর্ণ। তার আইনজীবী ফরাসি রেডিও স্টেশন আরটিএলকে জানিয়েছেন, তার মক্কেল তার আগ্নেয়াস্ত্রটি কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিয়েছেন।

    এদিকে নাহেলের মৃত্যুর জন্য ওই ফরাসি পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে এবং তাকে হেফাজতে রাখা হয়েছে।

  • ৩৬ বছর পর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা

    ৩৬ বছর পর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা

    মন্টিয়েল পেনাল্টি থেকে যখন গোলটি দিলেন বুয়েন্স আয়ার্সে তখন বিকেল। সেই বিকেলের সূর্য আর্জেন্টিনায় ডুবলেও উঠেছে সারা বিশ্বে, বিশ্ব ফুটবলে। আর্জেন্টিনা আবারও বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন। ৩৬ বছর পর চ্যাম্পিয়ন হলো আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপের মুকুট পড়লো আর্জেন্টিনা। মেসি পেলেন তার সেই অধরা ট্রফিটি।

    প্রথমার্ধের ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেও এমবাপের দুই মিনিটের ম্যাজিকে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ২-২ এ সমতায় থেকে নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ করে ফ্রান্স৷ অতিরিক্ত সময়েও চলে নাটক। এবার মেসির গোলে আর্জেন্টিনা এগিয়ে গেলেও এমবাপে গোল করলে ৩-৩ সমতায় থেকে টাইব্রেকারে যায় ম্যাচ। সেখানেই জয় লাভ করে ফ্রান্স।

    শুরুটা আর্জেন্টিনা করেছিল দুর্দান্ত। ম্যাচের ৪ মিনিটে ডি পল এবং আলভারেজের দারুণ বোঝাপড়ায় ডি পলের বাড়ানো বলে আলভারেজ শট নিলেও রেফারি অফসাইডের সিদ্ধান্ত দেন। ৬ মিনিটে ম্যাক এলিস্টারের দূরপাল্লার শট সোজা তালুবন্দি করেন ফ্রেঞ্চ গোলরক্ষক লরিস। এর ঠিক ২ মিনিট পর আবারও আক্রমণ করে আর্জেন্টিনা।

    এবার ডি পল ডি বক্সের বাইরে থেকে জোড়ালো শট নিলে ফ্রেঞ্চ ডিফেন্ডার ভারানের পায়ে লেগে বল বাইরে চলে গেলে কর্নার পায় আর্জেন্টিনা। অবশ্য সেই কর্নার কাজে লাগাতে পারেননি আলবিসেলেস্তারা। ১৬ মিনিটে আবারও গোলের সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। এবার ডি পলের ডান পাশ থেকে বাড়ানো ক্রসে ডি মারিয়ার ডান পায়ের শট চলে যায় গোলবারের অনেক উপর দিয়ে।

    ম্যাচের ২১ মিনিটের মাথায় ডি মারিয়াকে ডি বক্সের ভেতর ফাউল করে বসেন ডেম্বেলে। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। স্পট কিক থেকে গোল করে দলকে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দিলেন মেসি। বিশ্বকাপে এটি তার ৬ষ্ঠ গোল।

    পুরো মাঝমাঠেই যেন ফ্রান্সকে আটকে রাখে আর্জেন্টিনা। বল দখলে আর্জেন্টিনার ধারে কাছেও ছিল না বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ৩৭ মিনিটে আর্জেন্টিনার দুর্দান্ত কাউন্টার এটাকে খেই হারিয়ে ফেলে ফ্রান্স। মাঝমাঠ থেকে মেসির পাস থেকে আলভারেজ বল পেলে সেটি বাড়ান ম্যাকএলিস্টারের উদ্দেশ্যে, দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে তিনি বল দেন ডি মারিয়াকে। তিনি আর মিস করলেন না।

    কোপা আমেরিকার ফাইনাল, ফিনালিসিমার পর আরও একটি ফাইনালে গোল করলেন এই জুভেন্টাস তারকা। দুই গোলে পিছিয়ে থেকে প্রথমার্ধেই জিরু ও ডেম্বেলেকে পাল্টে ফেলেন ফ্রান্স কোচ। তবুও তাদের ভাগ্যের চাকা ফেরেনি। শেষ পর্যন্ত ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।

    ম্যাচের ৫১ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু ডি বলের ডিবক্সের ভেতর থেকে নেওয়া দুর্দান্ত ভলি সোজা লরিসের হাতে গিয়ে পড়ে। ৬০ মিনিটে আবারো সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। বাম পাশ থেকে আলভারেজের নেওয়া শট দারুণভাবে সেভ করেন লরিস।

    ম্যাচ যখন শেষের দিকে যাচ্ছে ঠিক সে সময়েই যেন জ্বলে ওঠেন এমবাপে। মাত্র ৯৭ সেকেন্ডের ব্যবধানে আর্জেন্টিনার স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে দেন এই পিএসজি তারকা। ৭৮ মিনিটে কুলো মুয়ানিকে ডি বক্সের ভেতর ফাউল করে বসেন ওতামেন্দি। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান।

    স্পট কিক থেকে বিশ্বকাপে নিজের ৬ষ্ঠ গোলটি করেন এমবাপে। এই গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও গোল করে এমবাপে। ৮১ মিনিটে এমবাপের দুর্দান্ত ভলিতে গোল করে দলকে ২-২ এ সমতায় ফেরান এই পিএসজি তারকা। দুই গোল দিয়ে যেন আরো উজ্জীবিত হয়ে খেলতে থাকে ফ্রান্স।

    ৯৬ মিনিটে কামাভিঙ্গার শট দারুণভাবে সেভ করেন এমি মার্টিনেজ। এর ঠিক এক মিনিট পর ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে মেসির দূর পাল্লার বুলেট গতির শট হুগো লরিস ঝাপিয়ে পড়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন। এর কিছুক্ষণ পর রেফারি বাঁশি বাজালে ২-২ সমতায় থেকেই শেষ হয় নির্ধারিত সময়ের খেলা।

    অতিরিক্ত সময়ের ম্যাচের ১০৮ মিনিটের মাথায় দুর্দান্ত এক কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল করে দলকে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে দেন মেসি। এটি বিশ্বকাপে তার ৭ম গোল। মেসির এই গোলের রেশ না কাটতে কাটতে এমবাপের আবার গোল। বিশ্বকাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিক করে দলকে ৩-৩ সমতায় এনে টাইব্রেকারে নিয়ে যান এই তারকা।

    ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে আবারও দলকে রক্ষা করলেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। এবার তিনি বিশ্বকাপ এনে দিলেন। স্পট কিক থেকে ফ্রান্সের কোম্যানের পেনাল্টি রুখে দেন মার্টিনেজ এবং চুয়ামেনি মারেন গোলবারের বাইরে দিয়ে। অন্যদিকে চারটি স্পট কিক থেকে চারটিতেই গোল করে ফ্রান্সকে ৪-২ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতলো আর্জেন্টিনা।

  • আর্জেন্টিনা ফ্রান্স ফাইনাল আজ

    আর্জেন্টিনা ফ্রান্স ফাইনাল আজ

    আরবের লোককথায় সম্রাট শাহরিয়ারকে গল্প শোনানোর জন্য তাঁর স্ত্রী শেহেরজাদির ১ হাজার ১ রাত লেগেছিল। রহস্য ও ধাঁধার সঙ্গে আরব্য রজনির গল্প শেষ হয়েছিল ভালোবাসার প্রাপ্তি আর স্বীকৃতিতে। সারাবিশ্বের ফুটবলপ্রেমীদের বিশ্বকাপের গল্প শোনাতে ফিফা অবশ্য ২৮ দিনের বেশি সময় নেয়নি। রহস্য আর ধাঁধা এই বিশ্বকাপের আরব্য উপন্যাসেও কম ছিল না। ফাইনাল ঘিরে দোহার হৃদয়ে যেভাবে মেসিম্যানিয়া চলছে, তা দেখেই কৌতূহল- তবে কি মরুর এই বিশ্বকাপের শেষটাও আবেগের বিস্ম্ফোরণ আর ভালোবাসার স্বীকৃতিতে শেষ হবে? ৩৫ বছর পর আর্জেন্টিনার হাতে বিশ্বকাপ উঠবে, নাকি টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফ্রান্সের কাছেই থেকে যাবে ফুটবলের কোহিনূর? পশ্চিমা মিডিয়ায় এই ফাইনালের নাম হয়ে গেছে মেসি বনাম এমবাপ্পে। মেসির শ্রেষ্ঠত্বের তর্কমুক্ত পূর্ণতা মিলবে যদি আজ ট্রফি জিততে পারেন তিনি। অন্যদিকে, পেলের সঙ্গে তুলনাটা চলে আসবে আজ এমবাপ্পের হাতে ট্রফি উঠলে। দুই তারকার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ের অমোঘ মধ্যাকর্ষণে তেতে আছে কাতারের মরুতট। আর তা দেখার জন্য তন্ময় হয়ে অপেক্ষায় আছে গোটা ফুটবলবিশ্ব।

    তারা যেমন মেসির বাঁ পায়ের জাদু দেখতে চায়, তেমনি এমবাপ্পের চিতার গতিও দেখতে চায়। হাফ লাইন থেকে চঞ্চল গ্রিজম্যান তাদের যেমন মুভ করে, তেমনি এমিলিয়ানো মার্টিনেজের ঈগলের মতো ছোঁ মারার দৃশ্যও আকর্ষণ করে। আক্রমণের শৈলীতে, রক্ষণের কারুতে, মাঝমাঠের বল দখলে- দু’পাশেই এত সমান সমান ভার যে সামান্য বাতাসেই ঝুঁকে যে কোনো দিক পাল্লা। তাই সত্যিকার অর্থেই দারুণ একটি ফাইনাল উপভোগ করতে যাচ্ছে সবাই। গতকাল মিডিয়া সেন্টারের ক্লিন্সম্যান আর আর্সেন ওয়েঙ্গার একটি অনুষ্ঠান করে এভাবেই আর্জেন্টিনা আর ফ্রান্স ম্যাচের স্বাদ বোঝাচ্ছিলেন। কিন্তু দু’জনেই অন্তত একটি ব্যাপারে একমত, আবেগে ফ্রান্সের চেয়ে আর্জেন্টিনা বেশি এগিয়ে। দোহায় এ মুহূর্তে প্রায় ৪০ হাজার আর্জেন্টাইন পাসপোর্টে অ্যারাইভাল সিল লাগিয়ে শহরে ঘুরছে। তাদের সঙ্গে এশিয়ান, আফ্রিকানদের অনেকে মেসির ১০ নম্বর জার্সি জড়িয়ে মেট্রোয় এমনভাবে স্প্যানিশ সুর তুলছে, তাদেরও আলাদা করা যাচ্ছে না। দেশ-বিদেশের এত মেসিভক্তের আনাগোনা চোখ এড়ায়নি ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশমেরও। ‘দর্শক কিন্তু ম্যাচ জেতায় না, মাঠের ১১ জনকে ম্যাচ জেতাতে হয়। আমরা চ্যাম্পিয়ন, চ্যাম্পিয়নের মতোই খেলব কাল।’ গতকাল সাংবাদিকদের সামনে এসে এভাবেই শান্ত স্বরে হুমকিটা দিয়ে যান ফরাসি কোচ। তবে দলের পাঁচ খেলোয়াড় জ্বরে ভুগছেন, পশ্চিমা মিডিয়া যাকে ‘ক্যামেল ফ্লু’ বলছে। ফাইনালে র‌্যাবিওটসহ ওই পাঁচজনকে পাওয়ার আশা প্রায় ছেড়েই দিতে হচ্ছে ফ্রান্সকে। অবশ্য বিশ্বকাপের আগে বেনজেমাসহ এমন পাঁচ খেলোয়াড় ছাড়াই কাতার এসেছে তারা। দলে এমবাপ্পে, জিরুদ আর গ্রিজম্যান থাকলে বাকি জায়গাগুলো নিয়ে খুব বেশি ভাবার নেই বোধ হয় দেশমের। অস্ট্রেলিয়ার কাছে প্রথমে গোল খেয়ে শুরু হয় এবারের ফ্রান্সের বিশ্বকাপযাত্রা। তার পর থেকে শুধুই গোলমুখে আক্রমণ ফরাসিদের। মাঝে রিজার্ভ বেঞ্চ নিয়ে পরীক্ষা চালাতে গিয়ে অবশ্য তিউনিসিয়ার কাছে হারতে হয় তাদের। তবে মরক্কোর সঙ্গে সেমিফাইনালের ম্যাচে ফ্রান্সের ডিফেন্সের দুর্বলতা কিছুটা ধরা পড়েছে। গতকাল তা নিয়ে কথাও শুনতে হয় ফ্রান্সের অধিনায়ক হুগো লরিসকে। ভারানে আর হার্নান্দেজকে দিয়ে দু’দিকে ঠিক সামলাতে পারেনি সেদিন ফ্রান্স। তা ছাড়া নকআউটে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সকে টাইব্রেকারের মুখোমুখি হতে হয়নি। সেদিক থেকে আর্জেন্টিনার গোলরক্ষকের কিন্তু আত্মবিশ্বাস বেশি থাকবে।

    এমনিতে দু’দলের মোট ১২ বারের দেখায় আর্জেন্টিনার জয় ৬টিতে, ফ্রান্সের ৩টিতে। তা ছাড়া সম্প্রতি উয়েফা নেশন্স লিগেও ফ্রান্স গ্রুপ পর্বে ওপরের দিকে থাকতে পারেনি। কিন্তু মঞ্চ যখন বিশ্বকাপের আর দলটি যখন ফ্রান্স, সঙ্গে দেশম আর এমবাপ্পের জুটি- তখন ‘মেসি আবেগে’র বাইরে বেরিয়ে ভাবতে হবে আর্জেন্টাইন সমর্থকদেরও। যদিও এবারের বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে হারার পর সত্যিকারের ধাক্কাটা খেয়েছিল আর্জেন্টিনা। তার পর মেক্সিকোর বিপক্ষে মেসির ৬৪ মিনিটের ওই গোলটিই আর্জেন্টিনাকে যেন পুনর্জন্ম দেয়। একে একে মেক্সিকো, পোল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডস আর ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে এখন লাতিনের এই দেশ। শেষবার ২০০২ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপ জিতেছিল। তার পর কিন্তু লাতিনের কোনো দেশ বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। হয়তো সে কারণেই ব্রাজিলের সাবেক অধিনায়ক কাফুও চান, কাপটা উঠুক মেসির হাতেই। ২০১৪ সালে মেসি নৈপুণ্যে ফাইনাল খেলেছিল আর্জেন্টিনা। এবার আর মেসি একা নন, তাঁর ব্রিগেডে আছেন আলভারেজ, এনজো ফার্নান্দেজরা। অপেক্ষা কেবল রূপকথার সফল সমাপ্তির।

  • মরক্কোর স্বপ্ন ভেঙে টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে ফ্রান্স

    মরক্কোর স্বপ্ন ভেঙে টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে ফ্রান্স

    উড়ছেন এমবাপে, উড়ছে ফ্রান্স। আবারও বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলো বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। সেমিফাইনালে দারুণ জমজমাট লড়াই শেষে আফ্রিকার সিংহ মরক্কোকে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলো ফ্রান্স।

    ২০১৮ বিশ্বকাপ যেখান থেকে শুরু করেছিল সেখান থেকেই যেন এই বিশ্বকাপ শুরু করেন এমবাপেরা। দুর্দান্ত খেলেই আবারও বিশ্বকাপের ফাইনালে জায়গা করে নিলো ফ্রান্স। অথচ পুরো ম্যাচেই দাপট দেখিয়ে খেলেছে মরক্কো।

    ফেবারিটের তকমা লাগিয়ে বিশ্বকাপে আসা ফ্রান্স শুরুটাও করে স্বপ্নের মতো। থিও হার্নান্দেজের বা পায়ের দারুণ শটে ম্যাচের ৫ মিনিটের মাথায় ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো প্রতিপক্ষ ফুটবলারের কাছ থেকে গোল হজম করলো মরক্কো।

    এক গোল খেলেও দারুণভাবে খেলতে থাকে মরক্কো। ১১ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে উনাহির দূরপাল্লার শট বা পাশে ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন ফ্রেঞ্চ গোলরক্ষক হুগো লরিস।

    ১৮ মিনিটে আবারও গোলের সুযোগ পায় মরক্কো। বৌফালের পাস থেকে ডি বক্সে বল পেলেও বা পায়ের দুর্বল শটে গোল করতে ব্যর্থ হন জিয়েচ।

    এর ঠিক এক মিনিট পর সুযোগ পেয়েছিল ফ্রান্সও। ডি বক্সের ভেতর গোলরক্ষককে একা পেয়ে বা পায়ে শট নেন জিরুড। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে বারে লেগে বল চলে যায় বাইরে।

    ৩৬ মিনিটে দারুণ এক কাউন্টার অ্যাটাকে মরক্কোর রক্ষণভাগে ভয় ধরিয়ে দেন এমবাপে ও জিরুড। এমবাপের পেসের কাছে পরাস্ত হন মরক্কোর ডিফেন্ডার।

    ফলে এমবাপের দুর্বল শট ক্লিয়ার করেন মরক্কোর ডিফেন্ডার। কিন্তু ফোফানার পাস থেকে দারুণভাবে একা বল পেয়ে গোলবারের বাইরে শট নেন জিরুড।

    ৪১ মিনিটে গ্রিজম্যানের কর্নার থেকে ভারানের ডান পায়ের শট আবারও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বাইরে চলে যায়। ম্যাচের ৪৭ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ পায় মরক্কো। কিন্তু এল ইয়ামিকের ওভার হেড কিক গোলবারে লেগে প্রতিহত হয়, ফলে গোলবঞ্চিত হয় মরক্কো।

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আরও আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে মরক্কো। ৫৫ মিনিটে ফ্রেঞ্চ রক্ষণভাগে ভয় ধরিয়ে দেন মরক্কোর ফুটবলাররা। বৌফাল, এল নাসিরের দুই প্রচেষ্টা রুখে দেন ভারান ও থিও হার্নান্দেজ।

    পুরো ম্যাচে দারুণভাবে বল দখলে নিয়ে খেলতে থাকে মরক্কো। কিন্তু আক্রমণভাগে গিয়েই যেন খেই হারিয়ে ফেলছিল তাদের ফুটবলাররা।

    মরক্কোর ভুলের খেসারত দিতে হয় ৮০ মিনিটে। দারুণ এক কাউন্টার অ্যাটাক থেকে এমবাপের একক নৈপুণ্যে ডিবক্সের ভেতর শট নিলে সেট প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে যায় কোলো মুয়ানির কাছে৷ এমন সুযোগ আর তিনি মিস করেননি। বদলি হিসেবে নামার দুই মিনিটের ভেতরেই ফ্রান্সের জার্সি গায়ে নিজের প্রথম গোলটি করেন তিনি।

    দুই গোলে পিছিয়ে থেকে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি মরক্কো। ৯২ মিনিটে ডিবক্সের বাইরে থেকে মরক্কোর উনাহির শট চলে যায় গোলবারের ওপর দিয়ে। শেষদিকে আরও কয়েকবার ফ্রান্স আক্রমণভাগে বল নিয়ে ঢুকলেও ফিনিশিংটাই করতে পারেনি ফ্রান্স। ফলে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হলো আফ্রিকান প্রতিনিধি মরক্কোকে।

  • হ্যারি কেইনের পেনাল্টি মিসে ইংল্যান্ডের বিদায়, সেমিতে ফ্রান্স

    হ্যারি কেইনের পেনাল্টি মিসে ইংল্যান্ডের বিদায়, সেমিতে ফ্রান্স

    ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠলো ফেভারিট ফ্রান্স। ফরাসিদের হয়ে গোল দুটি করেন চুয়ামেনি ও অলিভিয়ার জিরুদ। ইংল্যান্ডের হয়ে পেনাল্টিতে একটি গোল করলেও আরেকটি পেনাল্টি মিস করেন হ্যারি কেইন। পেনাল্টি শট নিতে গিয়ে আকাশে বল উড়িয়ে দেন তিনি, তাতেই কপাল পুড়ে ইংল্যান্ডের। বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যায় ইংলিশরা।

    এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই দুই দলই উপভোগ্য ফুটবল খেলতে থাকে। ম্যাচের ১২ মিনিটে প্রথম গোলের সুযোগ পায় ফ্রান্স। ডান পাশ থেকে ডেম্বেলের ক্রসে জিরুদের হেড সোজা চলে যায় ইংলিশ গোলরক্ষক পিকফোর্ডের হাতে।

    ম্যাচের ১৭ মিনিটে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। কাউন্টার অ্যাটাকে ফরাসিরা। এমবাপ্পে রাইসকে কাটিয়ে ডানদিকে সুইচ করেন এবং গ্রিজম্যানকে পাস বাড়ান। বলটি গ্রিজম্যান দেন চুয়ামেনিকে। ২৫ গজ দূর থেকে ডান পায়ের বুলেট গতির শটে গোল করতে ভুল করেননি তিনি।

    এক গোলে পিছিয়ে পড়ে মরিয়া হয়ে ওঠে ইংল্যান্ড। ২৭ মিনিটে ম্যাচে উত্তেজনা ছড়ায় হ্যারি কেইনের পেনাল্টি আপিল। ভিএআর এর মাধ্যমে দেখা যায় ফাউলটি ডি বক্সের বাইরে হয়েছিল। ৩০ মিনিটে আবারও হ্যারি কেইনের দূরপাল্লার বুলেট গতির শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন লরিস।

    ম্যাচের ৩৮ মিনিটে প্রথমবারের মতো গোলের সুযোগ পান এমবাপ্পে। মিডফিল্ডে ফ্রান্সের একটি শর্ট ফ্রি-কিক এবং গ্রিজম্যান বক্সের বাইরে ডেম্বেলেকে লক্ষ্য করে বল বাড়ান। তিনি হার্নান্দেজকে বল দেন। বলটি পেয়ে শট নেন এমবাপ্পে শট নিলেও সেটি বেরিয়ে যায় বারের ওপর দিয়ে। ১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় ফ্রান্স।

    বিরতির পর ৫৪ মিনিটে পেনাল্টি পায় ইংল্যান্ড। সাকা ডান ফ্ল্যাঙ্ক থেকে ড্রিবল করে বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়লে চুয়ামেনি তাকে ফাউল করেন। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি হ্যারি কেইন। এর মাধ্যমে ইংল্যান্ডের সর্বকালের সর্বাধিক গোলস্কোরার হলেন হ্যারি কেইন। ১-১ গোলে সমতা।

    ৭৭ মিনিটে জিরুদের শট দুরন্ত সেভ করেন পিকফোর্ড। কোনও মতে রক্ষা পায় ইংল্যান্ড।

    ৭৮ মিনিটে আবারও ফ্রান্সের লিড। গ্রিজম্যানের ক্রস প্রতিপক্ষ ডিফেন্সে ধাক্কা খেয়ে তার কাছেই ফেরে। আবারও গ্রিজম্যানের ক্রস থেকে হেডে গোল জিরুদ।

    ৮২ মিনিটেই সমতায় ফিরতে পারতো ইংল্যান্ড। মাউন্টকে ডি-বক্সের ভিতর ফাউল করে বসেন থিও হার্নান্দেজ। প্রথমে রেফারি দেননি পেনাল্টি। পরে ইংল্যান্ডের দাবিতে ভারের সাহায্য নেন। ভার চেক করে পেনাল্টি দেন ইংল্যান্ডকে। হ্যারি কেইন পেনাল্টি শট নিতে এসেছিলেন। কিন্তু নার্ভ ধরে রাখতে পারেননি। শটটি গোলবারের অনেক ওপর দিয়ে মারেন। ওই পেনাল্টি মিসে ম্যাচ ইংল্যান্ডের হাত থেকে বের হয়ে যায়।

    শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয় নিয়েই সেমিফাইনালে ফ্রান্স। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ একের পর এক মিরাকল ঘটানো মরক্কো।

  • এমবাপ্পের নৈপুণ্যে পোল্যান্ডকে উড়িয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্স

    এমবাপ্পের নৈপুণ্যে পোল্যান্ডকে উড়িয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্স

    চলতি কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে প্রথম দল হিসেবে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। তবে তিউনিশিয়ার বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে ১-০ গোলে হেরে যাওয়ায় পোল্যান্ডের বিপক্ষেও অঘটনের শঙ্কায় ছিল তারা। তবে সব শঙ্কা কাটিয়ে দিয়েছেন ফরাসি স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পে। তার জোড়া গোলের সঙ্গে অলিভার জেরার্ডের রেকর্ড গড়া গোলে ৩-১ ব্যবধানে পোল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেল দিদিয়ের দেশমের দল।

    রোববার (৪ ডিসেম্বর) দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে শেষ ষোলোর ম্যাচটি শুরু থেকে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে জমে উঠেছিল। তবে শক্তিতে স্পষ্টভাবে এগিয়ে থাকা ফ্রান্স বারবার গোলমুখে শট নিয়েও জালের দেখা পাচ্ছিল না। তবে প্রথমার্ধের বিরতির ঠিক এক মিনিটে আগেই এগিয়ে যায় ফ্রান্স।

    ৪৪তম মিনিটে জেরার্ডের গোলে এগিয়ে যায় গত রাশিয়া বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা। ফলে ফ্রান্সের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন এসি মিলানের এ স্ট্রাইকার। ৫২টি গোল করে স্বদেশি থিয়েরি অরিকে ছাড়িয়ে এককভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতা হলেন জেরার্ড।

  • তিউনিসিয়ার কাছে হেরেও শীর্ষে থেকে নকআউটে ফ্রান্স

    তিউনিসিয়ার কাছে হেরেও শীর্ষে থেকে নকআউটে ফ্রান্স

    অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বড় জয়ে আসর শুরু করেছিল ফ্রান্স। ডেনমার্ককে কর্তৃত্ব করে হারিয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পেরা। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় তিউনিসিয়ার বিপক্ষে একাদশই বদলে ফেলেছিলেন ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশম। তবে তার বেঞ্চের খেলোয়াড়রা পরীক্ষায় ফেল করেছেন। তিউনিসদের কাছে ফ্রান্সও ম্যাচ হেরেছে ১-০ গোলে।

    ফ্রান্স কোচ দলটির ফ্রন্ট থ্রি এমবাপ্পে, জিরু এবং ডেম্বেলেকে বেঞ্চে রেখে শুরু করেন। মিডফিল্ডে গ্রিজম্যান ও র‌্যাবিওট ছিলেন না। বিশ্রামে ছিলেন গোলরক্ষক হুগো লরিস, ডিফেন্ডার থিও হার্নান্দেজও। প্রথমার্ধে বলের দখল পায়ে রাখলেও কিংসে কোম্যান, মুয়ামিরা তেমন আক্রমণ তুলতে পারেনি। বরং তিউনিসিয়া বেশি সাবলীল ছিল।

    ওই সুযোগ নিয়েই দ্বিতীয়ার্ধের ৫৮ মিনিটে লিড দেয় তিউনিসরা। লাইডউনির পাস ধরে গোল করে ওহাবি খাজরি। ওই গোল খাওয়ার পরই মূল খেলোয়াড়দের নামাতে শুরু করেন ফ্রান্স কোচ। জয় না হোক সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ার চ্যালেঞ্জ চলে আসে তার দলের সামনে। গোল খাওয়ার চার মিনিটের মধ্যে এমবাপ্পে, গ্রিজম্যান ও র‌্যাবিওটকে মাঠে নামান খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জেতা দেশম।

    তারা আক্রমণ তুলতে শুরু করে। শেষ ২৫ মিনিটে ছয়টি আক্রমণ করে ফ্রান্স, জালে যাওয়ার মতো তিনটি শটও ছিল। এর মধ্যে ম্যাচের শেষ বাঁশির একেবারের আগে জালে বল পাঠিয়ে উদযাপন শুরু করেন অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদে খেলা গ্রিজু। কিন্তু ভিএআর চেক করে ওই গোল বাতিল করে দেন রেফারি। হারের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়লেও ফ্রান্স গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই শেষ ষোলোয় পা রেখেছে।

  • এমবাপ্পের দুর্দান্ত ডাবলে শেষ ষোলোয় ফ্রান্স

    এমবাপ্পের দুর্দান্ত ডাবলে শেষ ষোলোয় ফ্রান্স

    চ্যাম্পিয়নের মতো খেলেই ‘চ্যাম্পিয়নদের অভিশাপ’ কাটাল ফ্রান্স। ২০১০ আসরের চ্যাম্পিয়ন স্পেন পরের আসরে গ্রুপ পর্বে বিদায় নিয়েছিল। রাশিয়ায় গ্রুপ পর্ব পেরোতে পারেনি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানি। ফ্রান্স ওই অঘটনের কোন সুযোগই দিল না। নিজেদের শুরুর দুই ম্যাচেই দাপুটে জয় নাম তুলল শেষ ষোলোয়।

    প্রথম ম্যাচে জিরু-এমবাপ্পের মাথায় ভর করে অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ গোলে হারিয়েছিল দিদিয়ের দেশমের ফ্রান্স। শনিবার রাতে আসরের ‘ডাক হর্স’ খ্যাতি পাওয়া ডেনমার্ককে ২-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছে লেস ব্লুজরা। দুই গোলই করেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।

    ম্যাচের প্রথমার্ধে গোল করতে পারেনি ফ্রান্স। তবে আক্রমণাত্মক খেলায় ত্রস্ত করে রেখেছিল ডেনিসদের। গোল মুখে প্রথমার্ধে সাতটি আক্রমণ তুলেছিল। চারটি পরিষ্কার শট ছিল লক্ষ্যে। কিন্তু ডেনিস গোলরক্ষক কাসপার স্মাইকেল দুর্দান্ত দক্ষতায় তা ফিরিয়ে দেন।

    দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের ধারা ধরে রাখে দেশমের দল। ফলও পেয়ে যায়। ম্যাচের ৬১ মিনিটে ফ্রান্সম্যান এমবাপ্পে গোল করেন। লেফট ব্যাক থিও হার্নান্দেজের ক্রস ধরে বল জালিয়ে পাঠিয়ে দেন রাশিয়া বিশ্বকাপে সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার পাওয়া এমবাপ্পে।

    কিন্তু প্রথমার্ধে রক্ষণ সামলাতেই ব্যস্ত থাকা ডেনমার্ক মুহূর্তেই ফ্রান্সের ওই গোল শোধ করে দেয়। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে গোল করেন বার্সায় খেলা ডেনিস ডিফেন্ডার আন্দ্রে ক্রিস্টেনসেন। আবার জমে ওঠে ম্যাচ। শেষ পর্যন্ত গোলে সাতটি শট নেওয়ার পরে ম্যাচের ৮৬ মিনিটে জয় সূচক গোলটি করেন এমবাপ্পে। বদলি নামা কিংসলি কোম্যান একেবারের গোলের মুখে ক্রস দেন। দ্রুতগতির এমবাপ্পে শরীর ঠেকিয়ে বল জালে পাঠিয়ে স্টেডিয়াম উল্লাসে ভাসান।

  • বড় জয়ে বিশ্বকাপ শুরু ফ্রান্সের

    বড় জয়ে বিশ্বকাপ শুরু ফ্রান্সের

    মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে অনুষ্ঠেয় ফুটবল বিশ্বকাপে প্রথম অঘটন হয়েছে সৌদি আরবের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার নিরুংকুশ পরাজয়। ফলে ফ্রান্সের বিপক্ষে ম্যাচের শুরুতেই অস্ট্রেলিয়ার গোলে আরেকটি অঘটনের আভাস দিচ্ছিল। কিন্তু বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স বলে কথা! এক গোলে পিছিয়ে থাকা দলটি পর পর চারটি গোল দিয়ে বসলো সকারুদের জালে। তাতেই শুরুতে পিছিয়ে পড়েও বড় জয়ে উড়ন্ত সূচনা করলো দিদিয়ের দেশমের দল।

    বুধবার (২৩ নভেম্বর) দোহার আল জানুব স্টেডিয়ামে শুরুতেই এগিয়ে যায় এশিয়ার দল অস্ট্রেলিয়া। নবম মিনিটে ল্যাকির পাস থেকে বল পেয়ে জালে লক্ষ্যভেদ করেন গডউইন। এতে ফরাসিদের স্তব্ধ করে উল্লাসে ভাসে অস্ট্রেলিয়া শিবির। তবে সেই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি গ্রাহাম জেমস আর্নলডের অস্ট্রেলিয়া।

    ২৭ তম মিনিটে র‍্যাবিওট প্রথম গোল করে ফ্রান্সকে সমতা এনে দেন। কর্নার কিকের পাসে হার্নান্দেজ বল পেয়ে ক্রস করেন আবার ডি বক্সে। সেখানে থাকা র‍্যাবিওট দারুণ এক হেডে দলকে সমতায় ফেরান। তার ঠিক পাঁচ মিনিট পরেই লিড নেয় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। কিলিয়ান এমবাপ্পের কাছ থেকে বল পেয়ে ডি বক্সে কাট ব্যাক করেন র‍্যাবিওট। সে বল পায়ের আলতো টোকায় ফাঁকা পোস্টে গোল দিতে ভুল করেননি জেরার্ড।

    সমতায় ফিরতে মরিয়া অস্ট্রেলিয়াও সুযোগ পায় প্রথমার্ধের শেষ দিকে। ইরভাইনের শটে ফ্রান্সের ডি-বক্সে বল পান গডউইন। তবে তার কোনাকুনি হেড গিয়ে লাগে গোলবারে। ফলে আক্ষেপে পুড়তে হয় সকারুদের। তবে এমবাপ্পে গোল মিস না করলে ব্যবধান আরও বাড়তে পারত ফ্রান্সের। ফলে ২-১ গোলের ব্যবধানে থেকেই বিরতিতে যায় দেশমের শিষ্যরা।

    বিরতি থেকে ফিরে ফ্রান্স আরও অপ্রতিরোধ্য গতিতে জ্বলে ওঠে। যার ফলে দ্রুত আরও লিড বাড়ায় তারা। প্রথমার্ধের ভুল এবার করেননি এমবাপ্পে। ৬৮ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণে ডান দিক থেকে উসমান দেম্বেলে ডি বক্সের মাঝামাঝি জায়গায় বল পাঠান। সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়ার দুই ডিফেন্ডারের মাঝে লাফিয়ে হেড করে বল জালে জড়ান পিএসজি এই তারকা ফরোয়ার্ড।

    তার তিন মিনিট পরে আবারও গোলের দেখা পায় ফ্রান্স। এমাবাপ্পের সহায়তায় এবার নিজের দ্বিতীয় গোল করেন জেরার্ড। বাঁ প্রান্ত থেকে এমবাপ্পের ক্রস থেকে হেডে দারুণভাবে বল জালে জড়ান তিনি। এই গোলের মাধ্যমে ফরাসি জার্সিতে তেরি হেনরির সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ৫১ গোলের মালিক বনে যান এই তারকা।

    শেষদিকে আরও কয়েকবার সুযোগ পেলেও কাঙ্ক্ষিত গোল না হলে ৪-১ ব্যবধানের বড় জয় নিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করল ইউরোপের দলটি। ফ্রান্সের হয়ে জোড়া গোল করেন জেরার্ড। এছাড়া ১টি করে গোল করেন এমবাপ্পে ও রাবিওট। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন গুডউইন।

  • বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে দিল ডেনমার্ক

    বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে দিল ডেনমার্ক

    করিম বেনজেমার দুর্দান্ত গোলও জেতাতে পারল না ফ্রান্সকে। পিছিয়ে পড়েও শেষ দিকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে উয়েফা নেশন্স লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে দিয়েছে ডেনমার্ক।

    শুক্রবার প্যারিসের স্তাদে ফ্রান্সে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় পেয়েছে ডেনিশরা। সফরকারীদের হয়ে দুটি গোলই করেন আন্দ্রেয়াস কর্নিলিউস।

    ম্যাচজুড়ে দাপট দেখিয়েছে ফ্রান্স। বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণেও এগিয়ে ছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে করিম বেনজেমারা। গোলের উদ্দেশ্যে নেওয়া মোট ১৯ শটের ৬টি লক্ষ্য ছিল ফরাসিদের। অন্যদিকে, ডেনমার্কের ৮ শটের পাঁচটিই ছিল লক্ষ্য।

    প্যারিসের ন্যাশনাল স্টেডিয়াম, দুদিন আগে যেখান থেকে এমবাপ্পের সামনে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে নিয়ে গিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। এবার সেই একই মঞ্চে ডেনমার্কের সামনে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে কিলিয়ান। যদিও দিন শেষে তা ছিল বড্ড মলিন। ম্যাচের প্রথম গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল অতিথিরা। যদিও ফরোয়ার্ডের ভুলে জালে যায়নি বল। বেঁচে যায় ফ্রান্স।

    পাল্টা আক্রমণের সুযোগ আসে ফরাসিদের সামনেও। কিন্তু ক্লাবের বেনজামার সঙ্গে জাতীয় দলের বেনজামার যে আকাশ পাতাল পার্থক্য। বলটাকে প্রতিপক্ষের গায়ে মেরে হতাশ করেন সমর্থকদের। পরে আবার গোলও করেছিলেন তিনি, যদিও তা বাতিল হয়ে যায় অফসাইডে।

    এর পরই ম্যাচের সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির সামনে পড়তে হয় দিদিয়ের দেশমকে। আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন কিলিয়ান এমবাপ্পে। গোলশূন্য অবস্থাতেই শেষ হয় প্রথমার্ধ।

    বিরতি থেকে ফিরে আর গোলের জন্য কষ্ট করতে হয়নি স্বাগতিকদের। ৫১ মিনিটেই দলকে এগিয়ে দেন কারিম বেনজামা। এনকুকুর সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়া এবং ফুটবলীয় স্কিলের অসাধারণ এক প্রদর্শনী দেখে ফরাসি সমর্থকরা।

    গোল খেয়ে যে দমে যায় ডেনমার্ক, তা কিন্তু নয়। বরং দ্বিগুণ গতিতে হামলে পড়ে চ্যাম্পিয়ন শিবিরে। ৬৮ মিনিটে যার ফলও পেয়ে যায় তারা। অফসাইড ট্র্যাপ করতে গিয়ে ভুল করে বসেন ফরাসি ডিফেন্ডাররা। সুযোগ বুঝে স্কোর করেন কর্নিলিউস।

    সমতায় থাকা ম্যাচটা জমে উঠে ৮০ মিনিটের পর থেকেই। দুই গোলরক্ষকের ওপর দিয়ে রীতিমতো ঝড় বইয়ে দেন ফরোয়ার্ডরা। কিন্তু স্মাইকেল আর লরিস ছিলেন অপ্রতিরোধ্য।

    যদিও, ৮৮ মিনিটে ব্যর্থ হন হুগো লরিস। কর্নিলিউসের কোনাকুনি শটে স্তব্ধ হয়ে যায় স্তাদে দি ফ্রান্স। ২-১ এর স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ডেনিশরা। এমবাপ্পের ইনজুরির সঙ্গে হারের হতাশাও ভর করে ফরাসি শিবিরে।

  • ‘অকাস’ নিয়ে টানাপোড়েন, বৈঠক বাতিল করেছে যুক্তরাজ্য-ফ্রান্স

    ‘অকাস’ নিয়ে টানাপোড়েন, বৈঠক বাতিল করেছে যুক্তরাজ্য-ফ্রান্স

    ত্রিদেশিয় পারমাণবিক সাবমেরিন চুক্তি ‘অকাস’ নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যেই এবারে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে মন্ত্রী পর্যায়ের একটি বৈঠক বাতিল করেছে ফ্রান্স

    চলতি সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের মধ্যে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

    আজ সোমবার যুক্তরাজ্যের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

    বৈঠকে অংশ নেওয়ার কথা ছিল ফ্রান্সে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের সাবেক রাষ্ট্রদূত লর্ড রিকেটসের। তিনি জানান, ফ্রান্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফ্লোরেন্স পার্লি ও যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেসের মধ্যে দুই দিনের বৈঠকটি আপাতত হচ্ছে না।

    এরআগে ত্রিদেশিয় নিরাপত্তা চুক্তি ‘অকাস’ এ অংশ নিতে গিয়ে ফ্রান্সের সাথে বিলিয়ন ডলারের সাবমেরিন চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দেয় অস্ট্রেলিয়া। আর এই বিষয়টিকে মিথ্যাচার বলে মন্তব্য করেছিল ফ্রান্স।

    এরপর ফ্রান্সের এই অভিযোগকে প্রত্যাখ্যান করে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিস বলেন, ফ্রান্সের আগেই সতর্ক থাকা উচিৎ ছিল। তিনি বলেন, ফ্রান্সের হতাশা তিনি বুঝতে পেরেছেন, তবে অস্ট্রেলিয়া অনেক আগে থেকেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে এসেছে।

    ফ্রান্সের দাবি, নতুন চুক্তি ‘অকাস’ মিত্রদের মধ্যে গুরুতর সংকট সৃষ্টি করেছে। নতুন চুক্তিতে স্বাক্ষরের জন্য অস্ট্রেলিয়া ২০১৬ সালের ৩৭ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি বাতিল করেছে এবং তা ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে জানিয়েছে। এই বিষয়টিকেই ভালো চোখে দেখছে না দেশটি।

    এদিকে আবারও এবিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছেন ফরাসি সরকারের মুখপাত্র গ্যাব্রিয়েল আত্তাল।

    এন-কে