Tag: বইমেলা

  • সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই হবে বইমেলা: উপদেষ্টা ফারুকী

    সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই হবে বইমেলা: উপদেষ্টা ফারুকী

    অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই হবে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

    বুধবার (১৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান উপদেষ্টা।

    অমর একুশে বইমেলা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পরিবর্তে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে করতে হবে-সম্প্রতি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে বাংলা একাডেমির কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

    এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপদেষ্টা বলেন, ‘এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) অনেকগুলো পত্রিকায় রিপোর্ট হয়েছে। রিপোর্ট হওয়ার আগে থেকে আমরা এটা নিয়ে কাজ করছিলাম। গণপূর্ত উপদেষ্টার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমাদের সচিব সাহেব গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে কথা বলেছেন। এটার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় জড়িত রয়েছে, সেই মন্ত্রণালয় সচিবের সঙ্গেও কথা বলেছেন।’

    তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের এটুকু বলতে পারি যে আমরা একটা পজিটিভ আউটকামের দিকে যাচ্ছি। আশা করা যায় বইমেলা যেখানে হতো সেখানেই হবে এবং সুন্দর আয়োজনে হবে। কোন ঝামেলা হবে না। এরই মধ্যে তিন মন্ত্রণালয় এটা নিয়ে কাজ করছে। তিন মন্ত্রণালয়ের সভা হয়েছে, সামনে আরও হবে।’

    বইমেলা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই হবে, এটা কি আমরা বলতে পারি- জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘আশা করা যায়।’

  • দেশকে আরও এগিয়ে নিতে হলে হাতে অস্ত্র নয়, বই রাখবো: সচিব খলিল

    দেশকে আরও এগিয়ে নিতে হলে হাতে অস্ত্র নয়, বই রাখবো: সচিব খলিল

    সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ বলেছেন, আমরা যে কোন জায়গায় গেলে হাতে অস্ত্র নয়, একটা বই রাখবো, তাহলে আমাদের দেশ আরও অনেকদূর এগিয়ে যাবে। বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র মানবিক কাজ করছে। এ বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র ঘিরে যারা পাঠাভ্যাস গড়ে তুলবে তারা আলোকিত মানুষ হবে। আজ ১৪ অক্টোবর শনিবার বিকেল ৪টায় নগরীর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজে মাঠে আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী বিভাগীয় বইমেলার শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের ব্যবস্থাপনায়, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহযোগিতায় এ বই মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শুরুতে বেলুন উড়িয়ে সপ্তাহব্যাপী চট্টগ্রাম বিভাগীয় বইমেলার শুভ উদ্বোধন করেন তিনি।

    তিনি বলেন, ২০০৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় সফরকালীন সময়ে দেখি বাস-ট্রেনে সবার হাতে বই। তখন মনে হতো কোরিয়ার মতো বই পড়ার অভ্যাস আমার বাংলাদেশে কবে হবে। আমার মনে হয় সেদিন আর বেশি দেরী নেই। বাংলাদেশে এমন অনেক উদারণ রয়েছে। বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে দায়িত্বে রয়েছেন অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাঈদ। তিনিও একজন আলোািকত মানুষ। বই পড়ে যারা জ্ঞান অর্জন করতে চাই তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একদিন মানবিক মানুষ হয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে আসবে। চট্টগ্রামের বই মেলাটি একটি অন্যতম বড় মেলায় পরিণত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    সচিব খলিল আহমদ আরও বলেন, বিগত ২০০২-২০০৪ সাল পর্যন্ত সময়ে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ইউএনও থাকাকালীন সময়ে একুশে বই মেলা দেখতে ঢাকায় যেতাম, আর তখন দুঃখ করতাম-চট্টগ্রামে কেন বই মেলা হয়না। এখন হচ্ছে, বইমেলার জন্য চট্টগ্রামবাসীকে বাইরে যেতে হবে না। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতিকে আলোকিত করতে সকল বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে বই মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। বই মনস্ক জাতি গঠন করতে পারলে দেশ থেকে সন্ত্রাস ও মাদকসহ সকল ধরণের অপকর্ম দূর হবে।

    অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ শামীম আলমের সভাপতিত্বে সিনিয়র সহকারী কমিশনার নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী ও রাজীব হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় বইমেলার শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নুরুল হুদা, সিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার এমএ মাসুদ, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর, চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ আবদুল মালেক প্রকাশ মালেক মুস্তাকিম, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির পরিচালক নেসার উদ্দিন আয়ুব ও সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন শাহ আলম নিপু। লেখক, প্রকাশক, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থী, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

    সভাপতির বক্তব্যে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে বইপড়ার আগ্রহ সৃষ্টি করা, গবেষকদের সহায়তা ও উৎসাহ প্রদানের মাধ্যমে বইমনস্ক জাতি গঠনের লক্ষ্যে প্রথম বারের মতো বিভাগীয় পর্যায়ে বই মেলার আয়োজন। বইমেলা প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। মেলায় ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের খ্যাতনামা প্রকাশনী সংস্থা ৭৫টি স্টলের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেছে। বাংলা একাডেমিসহ সরকারি প্রকাশনী সংস্থার ১০টি, জাতীয় পর্যায়ের ৪৭টি প্রকাশনী সংস্থা ও চট্টগ্রামের সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ ১৭টি প্রকাশনা সংস্থার স্টল রয়েছে।মেলায় প্রতিদিন স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে রচনা, বিতর্ক, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতাসহ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও শিশু একাডেমির অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ২০ অক্টোবর শুক্রবার বিকেল ৪টায় পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বইমেলার সমাপ্তি ঘটবে।

    অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দরা তাদের বক্তব্যে বলেন, উন্নত জাতি গঠনে বই পড়ার কোন বিকল্প নেই। প্রতিটি মানুষই এক একটি বই। মানুষ বেচেঁ থাকবেনা, কিন্তুু বই থাকবে। উন্নত জাতি গঠনে তরুণ প্রজন্ম ও যুব সমাজকে বইমুখী করতে হবে। তাহলে সন্তানেরা মাদকসহ অন্যান্য অপকর্ম থেকে সরে আসবে। বই শুধু জ্ঞান বিকাশের হাতিয়ার নয়, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডকে আরও বেগবান করে। জ্ঞানকে ধরে রাখতে হলে পড়তে, বলতে, লিখতে ও জানতে হবে।

    বক্তারা আরও বলেন, জন্ম থেকে আমৃত্যু পর্যন্ত জ্ঞানার্জনের শেষ নেই। জাতিকে শিক্ষিত করতে হলে বেশী বেশী করে বই পড়তে হবে। এজন্য জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তরুণ ও যুব সমাজেকে মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে। নতুন প্রজন্মকে বই পড়ার মাধ্যমে মানবিক জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে আমরা একদিন উন্নত জাতি হিসেবে বিশ্বে মাথা উচুঁ করে দাড়াঁতে পারবো।

  • সপ্তাহব্যাপী চট্টগ্রাম বিভাগীয় বইমেলা ১৪-২০ অক্টোবর

    সপ্তাহব্যাপী চট্টগ্রাম বিভাগীয় বইমেলা ১৪-২০ অক্টোবর

    নগরীর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সপ্তাহব্যাপী বিভাগীয় বইমেলা-২০২৩। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে বইপড়ার আগ্রহ সৃষ্টি করা, গবেষকদের সহায়তা ও উৎসাহ প্রদানের মাধ্যমে বইমনস্ক জাতি গঠনের লক্ষ্যে আগামী ১৪ থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত বিভাগীয় পর্যায়ে এই বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে।

    সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের ব্যবস্থাপনায়, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহযোগিতায় অনুষ্ঠিতব্য বইমেলা প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে।

    মেলায় ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের খ্যাতনামা প্রকাশনী সংস্থা ৭৫ টি স্টলের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করবে। বাংলা একাডেমিসহ সরকারি প্রকাশনী সংস্থার ১০টি, জাতীয় পর্যায়ের ৪৭টি প্রকাশনী সংস্থা ও চট্টগ্রামের সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ ১৭টি প্রকাশনা সংস্থার স্টল থাকবে।

    ১৪ অক্টোবর শনিবার বিকেল ৪টায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বইমেলার শুভ উদ্বোধন করবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নুরুল হুদা, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার), চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি আরিফ হোসেন ছোটন ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ।

    সপ্তাহব্যাপী বিভাগীয় বইমেলা উপলক্ষে আজ ১২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রেস কনফারেন্সে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ শামীম আলম এসব তথ্য তুলে ধরেন।

    বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (সাধারণ শাখা) মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী, সিনিয়র সহকারী কমিশনার (হিসাব ও নেজারত) নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী, সিনিয়র সহকারী কমিশনার (সংস্থাপন) এসএম হাসান, সিনিয়র সহকারী কমিশনার (আইসিটি শাখা) তাহমিনা আক্তার ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার (উন্নয়ন শাখা) মোহাম্মদ মঈনুল হোসেন চৌধুরী।

    অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার বলেন, সপ্তাহব্যাপী বিভাগীয় বইমেলা আয়োজনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। মেলায় প্রতিদিন স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে রচনা, বিতর্ক, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতাসহ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও শিশু একাডেমির অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২০ অক্টোবর শুক্রবার বিকেল ৪টায় পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বইমেলার সমাপ্তি ঘটবে। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এমপি। এতে সভাপতিত্ব করবেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম। বিশেষ অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ নুরেআলম মিনা, বিপিএম (বার), পিপিএম ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরোয়ার কামাল।

    বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকলের অংশগ্রহণে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বই মেলা-২০২৩ সফলভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

  • চেতনার পুনর্জাগরণে একুশে বইমেলার আয়োজন: মেয়র

    চেতনার পুনর্জাগরণে একুশে বইমেলার আয়োজন: মেয়র

    মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পুনর্জাগরণের জন্য একুশে বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম। বুধবার এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম মাঠে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধনকালে মেয়র এ মন্তব্য করেন।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, একাত্তরে যে চেতনার ভিত্তিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে পুরো জাতি এক হয়ে লড়েছিল সে চেতনার ধারা আজ দুর্বল হয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধুর অকাল প্রয়াণের পর স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি ক্ষমতা দখল করে জনগণ বিশেষ করে শিশুদের মগজধোলাই করে তাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। বইমেলার মাধ্যমে মিথ্যার প্রাসাদ ভেঙ্গে জনগণের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পুনর্জাগরিত করতে এই বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে। বইমেলার প্রতিটি বই হয়ে উঠুক মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের অস্ত্র, লড়ুক স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

    “ভাষা আন্দেলনের তাৎপর্য থেকে শুরু করে স্বাধীনতাযুদ্ধের পরিকল্পনা সমস্তটাকেই জনগণের কাছে পৌঁছাতে সহযোগিতা করেছে বই। এজন্য চট্টগ্রামবাসীর হাতে-হাতে বই তুলে দিতে এই বইমেলার আয়োজন। ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানাচ্ছি যারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডে বাংলা ব্যবহার করছেননা তারা সাইনবোর্ডে বাংলা ব্যবহার করুন। চট্টগ্রামবাসীকে আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা মেলায় আসুন, নতুন প্রজন্মের হাতে মোবাইল নয়, বরং বই তুলে দিন।”

    প্রধান বক্তা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, রাষ্ট্রের উন্নয়নে চাই শিক্ষার উন্নয়নে। আর, ভালো মানের বই ছাড়া ভালো শিক্ষা ব্যবস্থা গড়া সম্ভব নয়। এই বইমেলা চট্টগ্রামের হাজারো বইপ্রেমীর পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে, যা আমাদের একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লড়াইয়ে সাহস যোগাবে।

    সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বই বর্তমানের সাথে অতীত আর ভবিষ্যৎের মধ্যে ব্রীজের কাজ করে। ভাষার মাসের এই বইমেলার আয়োজন সংশ্লিষষ্ট সকলকে আমি ধন্যবাদ জানাই।

    আরো উপস্থিত ছিলেন-বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাহ্উদ্দিন মো. রেজা, বই মেলার আহ্বায়ক কাউন্সিলর নিছার উদ্দিন আহমেদ (মঞ্জু), কাউন্সিলর গাজী মোঃ শফিউল আজিম, হাসান মুরাদ বিপ্লব, নাজমুল হক ডিউক, আবদুস সালাম মাসুম, মোঃ শেখ জাফরুল হায়দার চৌধুরী, মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, সংরক্ষিত কাউন্সিলর তছলিমা বেগম নুরজাহান, রুমকি সেনগুপ্ত চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, রাজস্ব কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ, শিক্ষা কর্মকর্তা উজালা রানী চাকমা, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী (টিপু), নির্বাহী প্রকৌশলী মীর্জা ফজলুল কাদের, জনসংযোগ ও প্রটোকল কর্মকর্তা আজিজ আহমদ এবং সিবিএ সভাপতি ফরিদ আহমদ, সিনিয়র সহ সভাপতি জাহিদুল আলম চৌধুরীযুগ্মসাধারণ সম্পাদক বিপ্লব কুমার চৌধুরী প্রমুখ।

    এবারের মেলার অনুষ্ঠানমালায় রয়েছে নজরুল দিবস, মাতৃভাষা দিবস-২১ ফেব্রুয়ারি, লোক উৎসব, রবীন্দ্র উৎসব, তারুণ্য উৎসব, নারী উৎসব, বসন্ত উৎসব, মরমী উৎসব, আবৃত্তি উৎসব, নৃগোষ্ঠী উৎসব, লেখক সমাবেশ, যুব উৎসব, শিশু উৎসব, পেশাজীবী সমাবেশ, মুক্তিযুদ্ধ উৎসব, ছড়া উৎসব, কুইজ প্রতিযোগিতা, চাটগাঁ উৎসব, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী, বইমেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান।

    মেলা প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা ও ছুটির দিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। দেশের খ্যাতিমান কবি-সাহিত্যিক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ প্রতিদিনের বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় অংশ নেবেন।

  • চসিকের অমর একুশে বইমেলা শুরু হচ্ছে ২৩ মার্চ

    চসিকের অমর একুশে বইমেলা শুরু হচ্ছে ২৩ মার্চ

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত এবারের অমর একুশে বই মেলা নগরীর কাজীর দেউড়ি স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম চত্বরে শুরু হবে ২৩ মার্চ মঙ্গলবার।

    মেলায় মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী কোন প্রকাশনা সংস্থাকে স্টল বরাদ্দ দেয়া হবে না। বই মেলার আয়োজক কমিটি ঠিক করবে কারা আলোচক থাকবেন। প্রকৃত লেখক,কথাসাহিত্যিক,কবি, গবেষকদের পুরস্কৃত করবে বই মেলা কমিটি।

    আগামীকাল ৩ মার্চ (বুধবার) কর্পোরেশনের টাইগারপাস অফিসে সিটি মেয়রের নেতেৃত্বে বই মেলা কমিটি পুনঃগঠনে বসবে লেখক প্রকাশকগণ।

    আজ মঙ্গলবার বিকেলে কর্পোরেশনের আন্দরকিল্লাস্থ পুরনো নগর ভবনের কে বি আব্দুস সাত্তার মিলনায়তনে বই মেলা উপলক্ষে আয়োজিত মনবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো.রেজাউল করিম চৌধুরী এসব তথ্য জানান। সভায় সবার মতামতের ভিত্তিতে মেলার তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এই মেলা আয়োজক হিসেবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন শুধুমাত্র পৃষ্ঠপোষকতা দেবে। যাবতীয় সব কাজ করবে চট্টগ্রামের সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদ ও মেলা কমিটি। এবারের মেলায় অতীতের ভুল-ভ্রান্তি সংশোধন করে ঢাকার বাছাই করা প্রকাশকদের অংশগ্রহনের সুযোগ দেয়া হবে। যাতে মেলার গুণগত মান বৃদ্ধি পায়।

    সভায় মুক্তিযোদ্ধা, গবেষক ও প্রকাশক ডা. মাহফুজুর রহমান, প্রকাশক জামাল উদ্দীন, সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদের শাহ আলম নীপু, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমদ,কবি ওমর কায়সার উপন্যাসিক বিশ্বজিৎ চৌধুরী, কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, প্রধান শিক্ষ কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া বক্তব্য রাখেন।

    এতে সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার,সাংস্কৃতিক সংগঠক শুক লাল দাশ, আব্দুল হালিম দোভাষ, অঞ্চল চৌধুরী, অধ্যাপক গোফরান টিটু, নজরুল ইসলাম মোস্তাফিজ, সাইফুদ্দিন সাকী, সাইফুল আলম বাবু, প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার প্রমুখ মত প্রকাশ করেন।

    ছড়াকার মোদ্দাচ্ছের আলী, কবি সেলিনা শেলী, নাজিম উদ্দিন শ্যামল, শামসুল হক সহ লেখক প্রকাশকরা মেলায় যাতে কোনভাবেই মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কোন অপশক্তি স্টল বরাদ্দ না পায়, মেলায় যাতে প্রকৃত লেখকদের যাচাই বাছাই করে পুরস্কৃত করা হয়, স্টলের পরিমান কমিয়ে পরিধি বাড়িয়ে ঢাকার বাছাইকৃত নামী প্রকাশকদের সমাগম ঘটানা,আলোচনা অনুষ্ঠানের আলোচক নির্ধারণ ও সাস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে যাতে প্রকৃত সাংস্কৃতিক সংগঠন দিয়ে আয়োজন করা যায় তা নিশ্চিত করতে অনুরোধ করেন।

    অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান ২৬ মার্চের পূর্বে নগরীর সকল অফিস আদালত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাইন বোর্ডের নামফলক ইংরেজির পরিবর্তে বাংলায় চালু করতে মেয়রকে ব্যবস্থা নিতে বলেন।

    সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন কবি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহিতুল আলম  এবারের একুশে পদক প্রাপ্ত নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার, গত বছরের বাংলা একাডেমি পদক প্রাপ্ত রাশেদ রউফ, কাউন্সিলর শহিদুল আলম, নেছার আহমেদ মঞ্জু , নাজমুল হক ডিউক, পুলক খাস্তগীর, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু।

    সভাপতির বক্তব্যে মেয়র আরো বলেন, গতবারের বই মেলায় মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী প্রকাশনা সংস্থা ঢুকলো কিভাবে ! এবার যদি এরকম হয় তাহলে সাথে সাথে স্টল বন্ধ করে দেয়া হবে। তিনি বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করি। চেতনা আবেগের বিষয়, ধারণ করা যায়। চেতনা ইতিহাস নয় যে লিখা যাবে। অতীতে যা হয়েছে তা বলে আর লাভ নাই। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে এবারের বই মেলায় ভুল ত্রুটি সংশোধন করে এগুতো হবে। যাতে এই মেলার সৃজনশীলতা ফুটে উঠে । কোন মৌলবাদী গোষ্ঠীকে স্টল বরাদ্দ দিতে কেউ হুমকি ধমকি দিলে মুক্তি যুদ্ধের চেতনাকে দমানো যাবে না। যেভাবে ঢাকার অমর একুশে বই মেলায় প্রফেসর ড, হুমায়ুন আজাদকে হত্যা করেও মুক্তমত প্রকাশকে দমানো যায়নি।

  • বাংলা ভাষার সংগ্রামে-স্বীকৃতিতে সাংবাদিকদের বিশাল অবদান রয়েছে:অনুপম সেন

    বাংলা ভাষার সংগ্রামে-স্বীকৃতিতে সাংবাদিকদের বিশাল অবদান রয়েছে:অনুপম সেন

    আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমাজ বিজ্ঞানী ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডঃ অনুপম সেন বলেন, বাংলা ভাষার স্বীকৃতিতে- সংগ্রামে সাংবাদিকদের বিশাল অবদান রয়েছে। সংবাদ পত্র বা গণমাধ্যমের অবদান ভুলবার মত নয়।

    বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত চট্টগ্রামের অমর একুশে বইমেলা মঞ্চে প্রফেসর ডঃ অনুপম সেন
    ‘একুশ ও বাংলাদেশের গণমাধ্যম’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

    শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মেলার আলোচনা মঞ্চে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

    বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি পেশাজীবী নাগরিক সংগঠক রিয়াজ হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) সভাপতি মোহাম্মদ আলী, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমান, চিটাগাং টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক লতিফা আনসারী রুনা প্রমুখ ।

    স্বাগত বক্তব্য রাখেন বইমেলা কমিটির সচিব ও চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া।

    ড. অনুপম সেন বলেন, বাঙালিকে স্বাধীনতা দিয়েছিলেন, স্বাধীন রাষ্ট্র দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। এই স্বাধীনতা জাগর হয়েছিল ভাষা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। এই সংগ্রামের বঙ্গবন্ধু কারান্তরীণ হন।

    তিনি আরো বলেন, ৫২এর ভাষা সংগ্রামে চট্টগ্রামের কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরীর একূশের প্রথম কবিতা পাঠের জন্য চৌধুরী হারুনুর রশিদের জেল হয়েছিল। কোহিনূর প্রেসের প্রতি পাকিস্তান সরকারের অগ্নিরোষ হয়েছিল।

    ড. সেন আরো বলেন, ফরাসি বিপ্লবের লক্ষ্য ছিল সাম্য মৈত্রী ও স্বাধীনতা । বঙ্গবন্ধু বাঙালিকে সেই স্বাধীনতা দিয়েছিলেন বলেই সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি নির্বাচিত হন।

    সভাপতির বক্তব্যে পেশাজীবী নাগরিক সংগঠক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের সংগ্রামে গণমাধ্যমকর্মীদের অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, সাংবাদিকদের অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করা গেলেই জাতীয় উন্নয়নে সাংবাদিকদের ভূমিকা আরও অধিকতর হতে পারে। নতুবা শূণ্য উদরে উচ্চ চিন্তা টেকসই হবে না। মর্যাদাগত ক্ষেত্রে আঞ্চলিক বৈষম্য দূর করতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিও আকর্ষণ করেন তিনি।

    বইমেলার ১৯তম দিবসের এই আলোচনা থেকে বক্তারা চট্টগ্রামের সর্বজনীন বইমেলা আয়োজনের জন্য মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আগামীতেও এই মেলা অব্যাহত রাখতে চসিকের দায়িত্বশীলদের প্রতি আহ্বান জানান।