Tag: বই উৎসব

  • বছরের প্রথম দিনে নতুন বই হাতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা

    বছরের প্রথম দিনে নতুন বই হাতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা

    বছরের প্রথম দিনে একযোগে সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুরু হয়েছে বই উৎসব। সোমবার (১ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ উৎসব শুরু হয়। প্রাথমিক ও ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রথম দিনেই সব বই হাতে পাচ্ছে। তবে আংশিক বই নিয়ে ফিরতে হচ্ছে অষ্টম-নবমের শিক্ষার্থীদের।

    এদিন সকাল সোয়া ১০টার দিকে রাজধানীর মিরপুরে ন্যাশনাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রাথমিক পর্যায়ের বই উৎসবের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান শুরু হয়। শুরুতেই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা একযোগে নতুন বই উঁচিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত।

    এদিকে, মাধ্যমিকের কোনো কেন্দ্রীয় আয়োজন না থাকলেও সারাদেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উৎসবমুখর পরিবেশে বই বিতরণ চলছে। বিকেল পর্যন্ত বই বিতরণের কার্যক্রম চলবে। সব শিক্ষার্থী বই হাতে ফিরবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

    জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জানিয়েছে, প্রাক-প্রাথমিক থেকে সপ্তম শ্রেণির শতভাগ বই উপজেলায় পৌঁছে দিয়েছেন তারা। উপজেলা শিক্ষা অফিস সমন্বয় করে বইগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চাহিদা মোতাবেক বিলি করছে। তবে অষ্টম-নবমের ২০-২৫ শতাংশ বই এখনো ছাপা হয়নি। সেগুলো চলতি মাসেই ছাপা শেষে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে।

    এনসিটিবির তথ্যমতে, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী সংখ্যা ধরা হয়েছে তিন কোটি ৮১ লাখ ২৭ হাজার ৬৩০ জন। তাদের জন্য বই ছাপা হয়েছে মোট ৩০ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার ৫১৭টি। প্রথম, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ছাপানো হয়েছে ৫ কোটি ৩৮ লাখ ৩ হাজার ৪২৩ কপি বই।

    দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির বই সংখ্যা ৩ কোটি ৩৬ লাখ ১ হাজার ২৭৪টি। প্রাক-প্রাথমিকের জন্য ৬১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৮ কপি বই ছাপা হয়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণিতে ছয় কোটি ৪৫ লাখ ৪৮ হাজার ৩০৮ কপি, সপ্তম শ্রেণির চার কোটি ৪৫ লাখ ৫৭ হাজার কপি, অষ্টম শ্রেণির জন্য পাঁচ কোটি ৩৪ লাখ ৮৪ হাজার ২৭১ কপি এবং নবম শ্রেণির জন্য পাঁচ কোটি ছয় লাখ ৮৪ হাজার ৫৭৩ কপি বই ছাপা হচ্ছে।

    অন্যদিকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর (পাঁচটি ভাষায় রচিত) শিশুদের জন্য এবার মোট দুই লাখ পাঁচ হাজার ৩১ কপি বই ছাপা হয়েছে। অন্য বইয়ের মধ্যে পাঁচ হাজার ৭৫২ কপি ‘ব্রেইল’ বই আছে। তাছাড়া শিক্ষকদের ৪০ লাখ ৯৬ হাজার ৬২৮টি ‘শিক্ষক সহায়িকা’ দেওয়া হচ্ছে।

    এদিকে, ৯টি শ্রেণির মধ্যে এবার ৭টি শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমে লেখা বই দেওয়া হচ্ছে। সেগুলো হলো- প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, নবম। এসব বইয়ের পাণ্ডুলিপি নতুন করে লেখা। শুধু চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আগের শিক্ষাক্রমের বই পাবে।

  • আজকের শিশুদের আন্তরিকভাবে গড়ে তুলতে পারলেই ২০৪১সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সম্ভব:মেয়র

    আজকের শিশুদের আন্তরিকভাবে গড়ে তুলতে পারলেই ২০৪১সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সম্ভব:মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, জানুয়ারি’র প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের মাধ্যমে বিশ্বে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার।

    তিনি বলেন, এই উদ্যোগ স্কুল থেকে ঝড়ে পড়ার হার কমিয়েছে এবং প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়িয়েছে। মেয়র বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের উদ্যোগকে শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি মাইল ফলক হিসাবে বর্ণনা করেন। কারণ এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করেছে।

    তিনি বলেন, এই উদ্যোগের মূল উদ্যেশ্য হচ্ছে ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা-দীক্ষায় ও জ্ঞান-বিজ্ঞানে স্বনির্ভর করা।

    মেয়র বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের ভালো ফলাফল করা এবং প্রতিভা বিকাশে স্কুলের শিক্ষকদের একা দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়, অভিভাবক মহলেরও দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি সন্তানদের নিয়মিত স্কুলে আসা-যাওয়া ও পড়ালেখার বিষয়টি খেয়াল রাখার জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান।

    আজ রবিবার সকালে সারাদেশে পাঠ্যপুস্তক উৎসবের অংশ হিসেবে সিটি কর্পোরেশনে মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত স্কুল সমূহের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

    শিক্ষা ষ্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর ড.নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জুর সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার। আরো বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, আবদুস ছালাম মাসুম, হাসান মুরাদ বিপ্লব, নাজমুল হক ডিউক, আবদুল মান্নান, সংরক্ষিত কাউন্সিলর রুমকি সেন গুপ্ত, সচিব খালেদ মাহমুদ, শিক্ষা কর্মকর্তা উজালা রাণী চাকমা, প্রধান শিক্ষক চম্পা মজুমদার।

    মেয়র আরো বলেন, আমাদের সময় শিক্ষার্থীরা পুরোনো বই পড়ে লেখা পড়া করেছে আর তোমরা বছরের প্রথম দিনেই নতুন বই পেয়েছ। এ ধরনের উদ্যোগ সত্যিই দুর্লভ ও কঠিন কাজ। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা ও সদিচ্ছার কারণে এ ধরনের একটি দূরুহ কাজ সম্ভব হয়েছে।

    তিনি বলেন, করোনা মহামারী এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সরকার জনগণের অর্থ সাশ্রয়ে জন্য অনেকদিন থেকে কঠোরতা আরোপ করলেও শিশুদের জন্য পাঠ্যপুস্তকের বই ছাপানো ক্ষেত্রে আপোষ করেননি। করোনাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা অব্যাহত রাখতে সরকারের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, করোনা সময় থেকে আমার ঘরে আমার স্কুল অর্থাৎ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ, কাজেই ঘরে বসে পড়াপশুনা। কেউ যাতে লেখা পড়ায় ফাঁকি দিতে না পারে সেই ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে।

    তিনি বলেন, শিশুদের আন্তরিকতার সঙ্গে গড়ে তুলতে পারলে বিশ্বের কোন শক্তি দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি ঠেকাতে পারবে না। ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে স্মাট বাংলাদেশ।

    উল্লেখ্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত স্কুলসমূহের চতুর্থ থেকে নবম শ্রেনী পর্যন্ত ৫৫টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনা মূল্যের এই বই বিতরণ করা হয়। শিক্ষার্থীরা পাঠ্যপুস্তক উৎসবে আনন্দচিত্তে বিভিন্ন রঙের ফেস্টুন, বেলুন ও স্কুল ড্রেস পড়ে অংশ নিয়েছে।

  • দেশ ২০৪১ সাল নাগাদ প্রযুক্তি ভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হবে : প্রধানমন্ত্রী

    দেশ ২০৪১ সাল নাগাদ প্রযুক্তি ভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হবে : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ দৃঢ়ভাবে বলেছেন, ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ যেখানে প্রতিটি মানুষের প্রযুক্তিগত জ্ঞান থাকবে এবং দেশ বিশ্ব পরিমন্ডলে পিছিয়ে থাকবে না।

    তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা এবং লার্নিং যেমন ই-শিক্ষা, ই-স্বাস্থ্য, ই-ব্যবসা, ই-ইকোনমি, ই-গভর্নেন্স হবে প্রযুক্তিগত জ্ঞান-ভিত্তিক।’

    প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) এক অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের বই তুলে দিয়ে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। আগামীকাল ১ জানুয়ারি সারাদেশে জাতীয় পাঠ্যপুস্তক উৎসব উদযাপিত হবে।

    তিনি বলেন, সমস্ত গ্রামসহ সারাদেশের প্রযুক্তিগত জ্ঞান থাকবে এবং সরকার এ জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছে।

    শেখ হাসিনা বলেন, ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। মানে প্রতিটি নাগরিক হবে প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন। প্রতিটি ছেলে মেয়ে কম্পিউটার টেকনোলজি এখন থেকে শিখছে এবং আরো এগিয়ে যাবে। আমাদের পুরো জনগোষ্ঠীই হবে প্রযুক্তি জ্ঞানে স্মার্ট। বিশ্ব থেকে কোন কিছুতেই পিছিয়ে থাকবেনা। নিশ্চয়ই আমরা পারবো।

    তিনি বলেন, আমাদের লেখাপড়া, শিক্ষা, এ্যাডুকেশন, ই-বিজনেস, ই-ইকোনমি, ই-গভার্নেন্স সবকিছুই প্রযুক্ত জ্ঞান সম্পন্ন হবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাই-১ উৎক্ষেপন করা হয়েছে এরপর হবে স্যাটেলাইট-২। সেটাও আমরা করবো। সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে এসব সময় দ্বীপাঞ্চল থেকে শুরু করে সমস্ত জায়গাতেই আমরা ব্রডব্যান্ড অনলাইনে কাজ করার প্রযুক্তি নিয়ে যাব। একবারে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন হবে। সে ব্যবস্থাটাও আমরা করে দিচ্ছি।
    তাঁর সরকার ২০২০ সালে জাতির পিতা জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের সময় উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে কাজেই বাংলাদেশকে এখন আর কেউ অবহেলার চোখে দেখতে পারেনা। বাংলাদেশ বিশে^ তার একটা স্থান করে নিয়েছে। আর ২০৪১ এর বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ, যেটা হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সরকার জনগণের অর্থ সাশ্রয়ের জন্য অনেক দিক থেকে কঠোরতা আরোপ করলেও শিশুদের জন্য পাঠ্যপুস্তকের বই ছাপানোর ক্ষেত্রে কোনো আপোস করেনি।

    সরকার প্রধান বলেন, এই করোনা, নানা ঝামেলা, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ- এখন তো সব জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। সারা বিশ্বব্যাপী কষ্ট, তার মধ্যেও কিন্তু আমরা শিশুদের কথা ভুলিনি। তাদের বই ছাপানোর খরচাটা- অন্য দিক থেকে আমরা সাশ্রয় করছি, বই ছাপানোর দিকে আমরা বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছি। পাশাপাশি কম্পিউটার শিক্ষা অর্থাৎ প্রযুক্তি শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছি। বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, আমাদের ছেলে-মেয়েরা কেন পিছিয়ে পড়ে থাকবে।

    করোনাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা অব্যহত রাখতে সরকারের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, করোনার সময় থেকে এ পর্যন্ত আমার ঘরে আমার স্কুল, অর্থাৎ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ কাজেই ঘরে বসে পড়াশোনা। কেউ যাতে পড়াশোনায় ফাঁকি দিতে না পারে সেই ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে। সংসদ টিভির মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে শিক্ষা কার্যাক্রম চালানো হয়েছে। আবার বিটিভির মাধ্যমেও চালানো হয়েছে। আমি মনে করি, সংসদ টিভি শিক্ষা মন্ত্রণালয় সব সময় ব্যবহার করতে পারে।
    শিক্ষার জন্য আলাদা টিভি চ্যানেল চালুর উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।

    তিনি উল্লেখ করেন, দেশের শিশুদের আন্তরিকতার সঙ্গে গড়ে তুলতে পারলে বিশ্বের কোনো শক্তি দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি ঠেকাতে পারবে না।

    আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের কথা তুলে ঢালাও সমালোচকদের চোখ থাকতেও দেশের উন্নয়ন তারা দেখতে পান না বলে উল্লেখ করেন তিনি।

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘যদিও এত কাজ করার পরেও কিছু লোকের মন ভরে না। তাতেও তারা বলবে আমরা নাকি কিছুই করি নাই। কিছুই করি নাই (যারা বলে) শ্রেনিটা চোখ থাকতেও দেখে না। দৃষ্টি থাকতেও তারা অন্ধ। তারা দেখবেই না।’

    তিনি বলেন, তাদের মাথার ভেতরে ‘নাই’ শব্দটা ঢুকে গেছে। আমরা ‘নাই’-তে থাকতে চাই না। আমরা পারি, বাংলাদেশের মানুষ পারে। আমরা সেটাই প্রমাণ করতে চাই। ‘নাই’ ‘নাই’ শুনবো না। আমরা করতে পারবো, এটা করতে হবে।

    শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।

    বর্তমান সরকার ২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ শুরু করে এবং এ পর্যন্ত মোট ৪৩৪ কোটি ৪৫ লাখ ৮০ হাজার ২১১টি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করেছে।

    জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) হিসাব অনুযায়ী সারাদেশে আগামীকাল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ৩৩ কোটি ৯১ লাখ ১২ হাজার ৩০০ পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৭৫ পরে যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা যে এ দেশের মানুষকে নিরক্ষরতামুক্ত করবে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এটা জাতির জন্য দুঃখজনক । ’৯৬ সালে আমরা আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করি। তখন আমরা উদ্যোগ নেই, আমরা আবার নতুন করে শিক্ষা কমিশন গঠন করি। স্বাক্ষরতার হার বাড়ানোর জন্য একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করি। বয়স্কদের শিক্ষার ব্যবস্থাও সেখানে সংযুক্ত ছিল।

    তিনি বলেন, জনগণকে যদি দারিদ্র্যমুক্ত করতে হয় তাহলে শিক্ষা হচ্ছে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। কাজেই সমগ্র জাতিকে আমরা শিক্ষিত করে গড়ে তুলবো সেই পদক্ষেপ নেই। আমরা নতুন শিক্ষা কমিশন গঠন করি। কিন্তু পরবর্তীতে আমরা সেটা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। কারণ আমাদের ৫ বছরের সময়সীমা শেষ হয়ে গিয়েছিল। ২০০১-এ বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর তারা দেশকে আবার অন্ধকারের দিকেই ঠেলে দেয়। এটা হলো বাস্তবতা।

    শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮-এর নির্বাচনে নৌকা মার্কায় মানুষ ভোট দেয়, আমরা আবার সরকার গঠন করি। তখন থেকে আমাদের আবার লক্ষ্য হয়, কীভাবে আমরা এ দেশের মানুষকে নিরক্ষরতামুক্ত করবো এবং ২০১০ সাল থেকে আমরা বিনামূল্যে বই বিতরণ শুরু করি।

    শিক্ষা সম্প্রসারণে আওয়ামী লীগ সরকারের নানাবিধ পদক্ষেপের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৫৪টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, কৃষি, ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিম্যাল সাইন্সেস, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, চিকিৎসা, ডিজিটাল, ইসলামি-আরবি, টেক্সটাইল, মেরিটাইম, এভিয়েশন ও এরোস্পেস, বেসরকারি ফ্যাশন ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর সরকার করে দিয়েছে। তাঁর সরকার চায় আকাশ গবেষণাটা করতেই হবে। তাঁর সরকার চায় আমরা যেমন চাঁদে যেতে পারি তেমনি যুদ্ধ জাহাজ এবং এরোপ্লেনও প্রস্তুত করবে দেশে। আর সেগুলো আমাদের ছেলে-মেয়েরা যাতে করতে পারে সেজন্য এই শিক্ষার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে।

    তিনি বলেন, প্রতিটি উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করেছি, তাছাড়া হাই-টেক সিটি, হাই-টেক পার্ক এবং সফটওয়্যার প্রযুক্তি পার্ক স্থাপন করেছি। তাছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষাকেও তাঁর সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে এবং ইতোমধ্যে দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স ডিগ্রী সমমর্যাদা প্রদান করা হয়েছে।

    মাদ্রাসা শিক্ষার পাশাপাশি ভোকেশনাল শিক্ষা, কম্পিউটার এবং কারিগরি শিক্ষা যেন শিক্ষার্থীরা পেতে পারে সেজন্য সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, সাধারণ শিক্ষা ধারার ৬৪০টি প্রতিষ্ঠানে ২০২০ শিক্ষাবর্ষ থেকে ভোকেশনাল কোর্স চালু করেছি, বর্তমানে ৬৪টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের আধুনিকায়নের পাশাপাশি ১০০টি উপজেলায় ১০০টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করছি, ৭০টিতে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে।

    তিনি বলেন, ৩২৯টি উপজেলায় ৩২৯টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ, ৪টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ২৩টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, ৪টি মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন চলমান, ২টি সার্ভে ইনস্টিটিউট নির্মাণাধীন রয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২ হাজার ১৩৮টি বেসরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ২০ হাজার ৬৪০ জন শিক্ষক/কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত করেছি, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন মানবসম্পদ সৃষ্টিই হচ্ছে আমাদের মূল লক্ষ্য।
    পাশাপাশি ৩শ’টি এলাকায় ৬টি করে মোট ১ হাজার ৮০০টি মাদ্রাসার ভবন নির্মাণ ও আসবাবপত্র ক্রয় চলমান, ৬৫৩টি মাদ্রাসার মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করছি, মাদ্রাসা শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি, ৮ হাজার ১৫৪টি বেসরকারি মাদ্রাসা এবং ১ লাখ ৬৩ হাজার ৬২ জন শিক্ষক/কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে।

    তিনি বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধকল্পে মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে জিটুপি পদ্ধতিতে উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। মায়ের নামে মায়ের মোবাইল ফোনে টাকাটা পাঠানো হচ্ছে।

    শেখ হাসিনা বলেন, ৪র্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি, দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচিসহ নানা উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

    তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং সামর্থবানদের নিজ নিজ এলাকার এই কমৃসূচি বাস্তবায়নে স্বপ্রণাদিত হয়ে এগিয়ে আসার আহবান জানান। দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচির ফলে ঝরে পড়া এখন অনেকাংশে কমে গিয়েছে এবং ৯৮ শতাংশ ছেলে-মেয়ে এখন স্কুলে যাচ্ছে এবং অভিভাবকদের মধ্যেও সচেতনতা এসেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

    এ বছর থেকে ৩ হাজার ২১৪টি স্কুলে প্রাক-প্রাথমিক কার্যক্রম ১ বছর থেকে বৃদ্ধি করে ২ বছর করা হয়েছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, এ সময় শিশু শিক্ষার্থীদের ওপর বাড়তি কোন বই চাপিয়ে দেওয়া হবে না, তারা খেলাধূলার মাধ্যমে আনন্দ নিয়ে শিখবে। এই ছোটবেলা থেকেই তাদের চিন্তা চেতনা যেন বিকষিত হতে পারে সেজন্যই এই ব্যবস্থা।

    তিনি বলেন, ২০১৭ সাল থেকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য ব্রেইলবইসহ চাকমা, মারমা, গারো, ত্রিপুরা ও সাদরি এই পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাতৃভাষায় পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে বিতরণ করছি। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য ব্রেইলবইসহ, শেখার জন্য সিডি এবং পেন ড্রাইভ সরবরাহেরও পরামর্শ দেন তিনি।

    ছেলে-মেয়েদের আন্তরিকতার সঙ্গে গাইড করলে তারা তত বেশি দক্ষ হয়ে উঠবে বলে অভিভাবকদের পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে যতবেশি এই ছেলে-মেয়েদের গাইড করবো, তারা ততবেশি দক্ষ হয়ে উঠবে।’

    তিনি শিক্ষার্থীদের এই শীতে নিজেদের সুস্থ রাখার এবং ঘর-বাড়ি সহ আশ পাশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধেরও পরামর্শ দেন।

  • বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী

    বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন। আগামীকাল ১ জানুয়ারি সারাদেশে ‘জাতীয় পাঠ্যপুস্তক উৎসব’ উদযাপিত হবে।

    তিনি শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) এক অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

    অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠ্যবই বিতরণের জন্য তিনি খুবই খুশি।

    জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) হিসাব অনুযায়ী, সারাদেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ৩৩ কোটি ৯১ লাখ ১২ হাজার ৩০০ পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    সরকার প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, ইবতেদায়ী ও এসএসসি স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য যথাযথ মান বজায় রেখে এসব পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ করেছে এবং নতুন বছরের প্রথম দিনে সব শিক্ষার্থী বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক পাবেন।

    প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক উৎসব কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এবং মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক উৎসব গাজীপুরের কাপাসিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।

    জানুয়ারির প্রথম দিনে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের মাধ্যমে বিশ্বে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ।

    বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে শিক্ষাবিদরা বলেন, এই উদ্যোগ স্কুল থেকে ঝরে পড়ার হার কমিয়েছে এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়িয়েছে।

    তারা বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের উদ্যোগকে শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি ‘মাইলফলক’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন কারণ এটি শিক্ষার্থীদের তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করেছে।

    বর্তমান সরকার ২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ শুরু করে এবং এ পর্যন্ত মোট ৪৩৪ কোটি ৪৫ লাখ ৮০ হাজার ২১১টি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করেছে।

    শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো: জাকির হোসেন।

  • নীলফামারীতে আনন্দঘন পরিবেশে বই উৎসব অনুষ্ঠিত

    নীলফামারীতে আনন্দঘন পরিবেশে বই উৎসব অনুষ্ঠিত

    শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ “শেখ হাসিনার প্রতিজ্ঞা মানসম্মত শিক্ষা” এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে সারা দেশের ন্যায় নীলফামারীতে বই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। নতুন বই পেয়ে শিশুদের কোলাহলে মুখরিত নীলফামারী।

    জেলা শহরের ছমির উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেনীর শিক্ষাথী তাজরি আকতার শিমু জানান, নতুন বইয়ের গন্ধ শুকতে বেশ ভালই লাগছে। ওই শিক্ষার্থী আরো জানান, বই পাওয়ার আনন্দে রাতে ভালমত ঘুম হয়নি। সকাল হতে না হতেই স্কুলে আসার জন্য প্রস্তত হই। মা বলেন, তুই এতো সকালে কই যাবি। আমি বললাম তুমি জাননা আজ আমাদের স্কুলে স্যাররা নতুন বই দিবেন।

    একই মাঠে অবস্থিত নীলফামারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেনীর শিক্ষার্থী অথৈই ও অন্তর জানান, এক সাথে সব বই পেয়ে ভাল লাগছে। ক্লাসের পড়া নিয়মিত স্যারদের দিতে পারবো। ফলাফলও ভালই হবে।

    বছরের শুরুতেই সরকারে দেয়া বিনামূল্যে নতুন পাঠ্যপুস্তক শিশুরা হাতে পেয়ে আনন্দে মেতে উঠে ছিল জেলার ছয় উজেলায় প্রাথমিকে ২ হাজার ৮৮২ বিদ্যালয় মোট ৪ লাখ ৭২ হাজার ৬৮৮ জন শিক্ষার্থী।

    ২০২০ সালের ১লা জানুয়ারী বুধবার সকাল হতে নতুন বছরের প্রথম দিন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠ্যপুস্তকের বই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরকারি প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ে একযোগে শিক্ষার্থীদের হাতে ক্লাশের পাঠ্য পুস্তক বিতরন করা হয়।

    এ সময়, সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে জেলা শহরের সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, সকাল ১০ টায় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সকাল সাড়ে ১১ টায় নীলফামারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ও ছমির উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে আনুষ্ঠানিককভাবে বই বিতরনের উদ্ধোধন করেন জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরি।

    জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, জেলায় মাধ্যমিক, ইবতেদায়ী ও দাখিল মাদ্রাসা এবং এসএসসি ভোকেশনালসহ ৪৩০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২ লাখ ৬০ হাজার ২৫৩ জন শিক্ষার্থীদের শতভাগ পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ পাওয়া গেছে এবং তা বছরের প্রথম দিন হতে বিতরন করা হচ্ছে।

    জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তাজুল ইসলাম মন্ডল জানায়, জেলায় ২ হাজার ৮৮২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য চাহিদা অনুযায়ী ১৯ লাখ ৭১ হাজার ৩৯৯ কপি পাঠ্য পুস্তক বরাদ্দ পেয়ে বছরের শুরুতেই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে।
    অপর দিকে, জেলার ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরীগঞ্জ, সৈয়দপুরসহ সদরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠ্য পুস্তক বিতরনের মাধ্যমে বই উৎসব পালন করা হয়।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক আজহারুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম মন্ডল, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা, এলিনা আকতার, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান শান্তনা চক্রবর্তী প্রমুখ।

  • উত্তর গুজরা উমা বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই উৎসব

    উত্তর গুজরা উমা বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই উৎসব

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। রাউজান প্রতিনিধি : রাউজানের উত্তর গুজরা উমা বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে’র ২০২০ইং সালের নতুন বই বিতরণ উৎসব ও টিফিন বক্স বিতরণ অনুষ্ঠান বিদ্যালয় এর শহিদ মিনার চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অপু কুমার দাশ, সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সহ সভাপতি জমির উদ্দিন বাবুল, সাংবাদিক মো. আলাউদ্দিন, এসএমসি সদস্য রুপন পালিত, পিটিএ সদস্য সুজিত চৌধুরী, বিদ্যালয় এর শুভাকাঙ্খী সুকুমার সেন, প্রাক্তন শিক্ষার্থী রিগান চক্রবর্তী প্রমুখ।

    অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন প্রধান শিক্ষক সনজিৎ নন্দী।