Tag: বঙ্গবন্ধুর খুনি

  • বঙ্গবন্ধুর খুনিসহ ৫২ জনের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল

    বঙ্গবন্ধুর খুনিসহ ৫২ জনের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি রিসালদার (বরখাস্ত হওয়া) মোসলেহ উদ্দিন খানসহ ৫২ জনের মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করা হয়েছে। তাদের সনদ বাতিল করে গত ৫ জানুয়ারি গেজেট জারি করা হয়েছে।

    এর আগে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৭০তম সভার সুপারিশ অনুযায়ী গেজেট বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

    ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সেনা সদস্যদের হাতে নির্মমভাবে সপরিবারে খুন হন। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু হত্যায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত চার খুনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিয়ে আছেন। মোসলেহ উদ্দিন তাদের অন্যতম। তিনি বঙ্গবন্ধুকে হত্যায় সরাসরি অংশ নেন। মোসলেহ উদ্দিন ভারতে আটক হয়েছেন- কয়েক মাস আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এমন সংবাদ প্রকাশিত হয়। তবে এখনো এর সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

    গত ১৯ নভেম্বর জামুকার সভায় মোসলেহ উদ্দিনের মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিলের সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া আরও ৫১ জনের মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদ বাতিল করা হয়।

    মোসলেহ উদ্দিনের গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর শিবপুরের দত্তেরগাঁও গ্রামে। তার বাবার নাম আবদুল হক খান। মোসলেহ উদ্দিনের সেনা গেজেট নম্বর ৬৪৩।

    সনদ বাতিল হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন– নরসিংদী সদরের আবুল ফজল (গেজেট-৩৭৫২, সনদ-ম-১৮৫১৫), মো. জয়নাল (গেজেট-৩৭৫৯, সনদ-ম-১৮৫১৪), কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের মৃত গোলাম মোস্তফা (গেজেট-১৮৩২), গাজীপুরের কালীগঞ্জের আবদুল কাদের (সেনা গেজেট-১৭৭১৭, সনদ-৭৪৮৫৫), মো. আলতাফ হোসেন (গেজেট-১৫২৮), কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের মো. ওয়াহিদুর রহমান (গেজেট-৫৯৫৬) ও মরহুম মো. আবদুল মালেক (গেজেট-৬৮৯৬), কক্সবাজার উখিয়ার রুহুল আমিন (গেজেট-২৪৪), ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ডা. এ গাফফার মিয়া যুদ্ধাহত (লাল মুক্তিবার্তা নং-১০৮০৬০০৫৪), বগুড়ার সারিয়াকান্দির মো. সামাদ আলী (গেজেট-২৯৮২, সনদ-১৯৯৯৮৫), নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার চাঁদ মোহাম্মদ (গেজেট-৬৭২), মো. ওসমান আলী (গেজেট-৭২৭), মো. জাকির হোসেন (গেজেট-৭২৮), আ. কাদের মোল্লা (গেজেট-৬৮২), আ. রহমান (গেজেট-৭০১), আ. জব্বার (গেজেট-৭০৩), সরদার মো. বয়েত রেজা (গেজেট-৭১৩, সনদ-৭২৬৪৪), মো. শামসুল হক (গেজেট-৬৪১), মৃত সিরাজুল ইসলাম (গেজেট-৬৮৩), মো. আ. গফুর খান (গেজেট-৬৮৪), মো. শফি উদ্দিন (গেজেট-৭১২), মো. নাজিম উদ্দিন (গেজেট-৬৭৫), মো. আ. রব (গেজেট-৫৬৪), মো. জামাত আলী (গেজেট-৬৫৯), মো. আ. সামাদ (গেজেট-৬৮৫), মো. আফজাল হোসেন (গেজেট-৬৮৮), মো. আ. আউয়াল (গেজেট-৫৪৮), মো. রফিকুল ইসলাম (গেজেট-৬৮৬), মৃত আনছার আলী (গেজেট-৬৯৩), মৃত নুরুল ইসলাম (গেজেট-৬৯৬), পাবনার ঈশ্বরদীর মো. তরিকুল ইসলাম (গেজেট-১০৪৬), পাবনা সদরের মো. নাসির উদ্দিন (গেজেট-৩২৫)।

    এছাড়া টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের মো. আব্দুল বাছেদ করিম (গেজেট-৬০৬) ও সখিপুরের মো. আ. বছির মিয়া (গেজেট-৪১৩৬), নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মৃত ইলিয়াস মিয়া (গেজেট-১৫৩৯), তোফাজ্জল হোসেন (গেজেট-৮৯২), নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মো. শহীদুল্লাহ সরদার (গেজেট-২৭৯), মৃত আলী আকবর (গেজেট-৪৭৫), মনিরুল ইসলাম (গেজেট-৪৭৩), রহমত উল্লাহ (লাল মুক্তিবার্তা নং-০১৪০২০১৬৯), আবদুল মাজেদ (গেজেট-৩৫৫), বরিশালের উজিরপুরের মো. বেলায়েত আলী বিশ্বাস (গেজেট-৪৬৯০), মো. আবদুল হাকিম মোল্লা (গেজেট-৫০৩১), এছাহাক মুন্সি (গেজেট-৫০২৩), আবদুল মাজেদ আলী হাওলাদার (গেজেট-৪৯৭৪), মৃত মো. আ. রহিম (গেজেট-৫৩৫২), হারুন অর রশিদ (গেজেট-৫১৬১) এবং আ. রহমান সরদার (গেজেট-৫৪১০), কিশোরগঞ্জের মৃত মো. মুখলেছুর রহমান (গেজেট-১৪২৪), মো. নাসিরুল ইসলাম খান (গেজেট-৩৫৭৯) ও মো. আজিজুল হকের (গেজেট ৩৩০৩) সনদ বাতিল করা হয়েছে।

  • বঙ্গবন্ধুর চার খুনির মুক্তিযোদ্ধা খেতাব স্থগিত

    বঙ্গবন্ধুর চার খুনির মুক্তিযোদ্ধা খেতাব স্থগিত

    বঙ্গবন্ধুর পলাতক চার খুনির মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পাওয়া বীরত্বের খেতাব স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।

    মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেয়।

    যাদের খেতাব স্থগিত করা হয়েছে তারা হলেন- শরীফুল হক ডালিম, মোসলেম উদ্দিন, রাশেদ চৌধুরী ও এবিএমএইচ নূর চৌধুরী। সেই সঙ্গে তাদের খেতাব বাতিলে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি হয়েছে।

    জাতির পিতাকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ওই চারজনের খেতাব বাতিল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাশ এই রিট আবেদন করেন।

    রিট আবেদনে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট ও গেজেটে দেখা গেছে, বঙ্গবন্ধুর পলাতক ছয় খুনির অন্যতম নূর চৌধুরীর নামের সঙ্গে ‘বীর বিক্রম’, শরিফুল হক ডালিমের নামের সঙ্গে ‘বীর উত্তম’, রাশেদ চৌধুরীর নামের সঙ্গে ‘বীর প্রতীক’ ও মোসলেহ উদ্দিন খানের নামের সঙ্গে ‘বীর প্রতীক’ উপাধি রয়েছে।

    ওই তালিকা সর্বশেষ হালনাগাদ করা হয়েছে ২০১৫ সালের ১১ অগাস্ট। অথচ ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর ওই চারজনসহ মোট ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন ঢাকার দায়রা জজ আদালত। ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর আপিল বিভাগ সেই মামলার চূড়ান্ত রায় দেন।

  • বঙ্গবন্ধুর খুনিসহ ৫২ জনের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল হচ্ছে

    বঙ্গবন্ধুর খুনিসহ ৫২ জনের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল হচ্ছে

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি মোসলেহ উদ্দিন খানের মুক্তিযোদ্ধার গেজেট ও সনদ বাতিল হচ্ছে। সপরিবারে শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যায় সরাসরি অংশ নেয় রিসালদার (বরখাস্ত) মোসলেহ উদ্দিন। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই খুনির সেনা গেজেট নং-৬৪৩ এবং বিজেও-১৮০২।

    পাশাপাশি আরও ৫১ জন অমুক্তিযোদ্ধার সনদ ও গেজেট বাতিলের সুপারিশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

    ১৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত জামুকার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। এ বিষয়ে শিগগিরই প্রজ্ঞাপন জারি করবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

    জানা গেছে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের মিশনে অংশ নেয়াদের মধ্যে মোসলেহ উদ্দিন অন্যতম। গুলির শব্দ শুনে বঙ্গবন্ধু যখন বিষয়টি জানার জন্য নিচে নামছিলেন, সেই সময় সিঁড়িতে বঙ্গবন্ধুকে নিজ হাতে গুলি করে হত্যা করে এই মোসলেহ উদ্দিন। ঠাণ্ডামাথার এ খুনি জেলহত্যা মামলারও আসামি। এরপর অন্য খুনিদের সঙ্গে সেও বঙ্গভবনে দায়িত্ব পালন করে। সেই খুনি মোসলেহ উদ্দিন খানের গেজেট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিল সরকার।

    এছাড়া আরও ৫১ জনের মুক্তিযোদ্ধার গেজেট ও সনদ বাতিল করা হচ্ছে। এদের মধ্যে দু’জনের লালমুক্তি বার্তায় নাম আছে। বাকিদের বেশির ভাগই বিএনপি-জামায়াত আমলে গেজেট হওয়া মুক্তিযোদ্ধা।

    এরা হলেন- নরসিংদী সদরের আবুল ফজল (গেজেট-৩৭৫২, সনদ-ম-১৮৫১৫), মো. জয়নাল (গেজেট-৩৭৫৯, সনদ-ম-১৮৫১৪), কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের মৃত গোলাম মোস্তফা (গেজেট-১৮৩২), মৃত মো. মুখলেছুর রহমান (গেজেট-১৪২৪), নাসিরুল ইসলাম খান (গেজেট-৩৫৭৯) ও কিশোরগঞ্জ সদরের মো. আজিজুল হক (ননী) (গেজেট-৩৩০৩), গাজীপুরের কালীগঞ্জের আবদুল কাদের (সেনা গেজেট-১৭৭১৭, সনদ-৭৪৮৫৫), মো. আলতাফ হোসেন (গেজেট-১৫২৮), কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের মো. ওয়াহিদুর রহমান (গেজেট-৫৯৫৬) ও মরহুম মো. আবদুল মালেক (গেজেট-৬৮৯৬), কক্সবাজার উখিয়ার রুহুল আমিন (গেজেট-২৪৪), ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ডা. এ গাফফার মিয়া যুদ্ধাহত (লাল মুক্তিবার্তা নং-১০৮০৬০০৫৪), বগুড়ার সারিয়াকান্দির মো. সামাদ আলী (গেজেট-২৯৮২, সনদ-১৯৯৯৮৫), নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার চাঁদ মোহাম্মদ (গেজেট-৬৭২), মো. ওসমান আলী (গেজেট-৭২৭), মো. জাকির হোসেন (গেজেট-৭২৮), আ. কাদের মোল্লা (গেজেট-৬৮২), আ. রহমান (গেজেট-৭০১), আ. জব্বার (গেজেট-৭০৩), সরদার মো. বয়েত রেজা (গেজেট-৭১৩, সনদ-৭২৬৪৪), মো. শামসুল হক (গেজেট-৬৪১), মৃত সিরাজুল ইসলাম (গেজেট-৬৮৩), মো. আ. গফুর খান (গেজেট-৬৮৪), মো. শফি উদ্দিন (গেজেট-৭১২), মো. নাজিম উদ্দিন (গেজেট-৬৭৫), মো. আ. রব (গেজেট-৫৬৪), মো. জামাত আলী (গেজেট-৬৫৯), মো. আ. সামাদ (গেজেট-৬৮৫), মো. আফজাল হোসেন (গেজেট-৬৮৮), মো. আ. আউয়াল (গেজেট-৫৪৮), মো. রফিকুল ইসলাম (গেজেট-৬৮৬), মৃত আনছার আলী (গেজেট-৬৯৩), মৃত নুরুল ইসলাম (গেজেট-৬৯৬), পাবনা সদরের মো. নাসির উদ্দিন (গেজেট-৩২৫), পাবনার ঈশ্বরদীর মো. তরিকুল ইসলাম (গেজেট-১০৪৬), টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের মো. আবদুল বাছেদ করিম (গেজেট-৬০৬) ও সখিপুরের মো. আ. বছির মিয়া (গেজেট-৪১৩৬), নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মৃত ইলিয়াস মিয়া (গেজেট-১৫৩৯), তোফাজ্জল হোসেন (গেজেট-৮৯২), নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মো. শহীদুল্লাহ সরদার (গেজেট-২৭৯), মৃত আলী আকবর (গেজেট-৪৭৫), মনিরুল ইসলাম (গেজেট-৪৭৩), রহমত উল্লাহ (লাল মুক্তিবার্তা নং-০১৪০২০১৬৯), আবদুল মাজেদ (গেজেট-৩৫৫), বরিশালের উজিরপুরের মো. বেলায়েত আলী বিশ্বাস (গেজেট-৪৬৯০), মো. আবদুল হাকিম মোল্লা (গেজেট-৫০৩১), এছাহাক মুন্সি (গেজেট-৫০২৩), আবদুল মাজেদ আলী হাওলাদার (গেজেট-৪৯৭৪), মৃত মো. আ. রহিম (গেজেট-৫৩৫২), হারুন অর রশিদ (গেজেট-৫১৬১) এবং আ. রহমান সরদার (গেজেট-৫৪১০)।

  • বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের ফাঁসি কার্যকর

    বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের ফাঁসি কার্যকর

    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যায় আত্মস্বীকৃত খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।

    কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে শনিবার রাত ১২টা ১ মিনিটে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

    ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের একাধিক কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তারা জানান, ফাঁসি কার্যকরের সময় শান্ত ছিলেন আবদুল মাজেদ। প্রায় পাঁচ মিনিট ঝুলিয়ে রাখার পর তার লাশ ফাঁসির মঞ্চ থেকে নিচে নামিয়ে আনা হয়।

    ফাঁসি কার্যকরের সময় কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা, ঢাকার জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান, ঢাকার সিভিল সার্জন আবু হোসেন মো. মাইনুল আহসানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    এর আগে আসামির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাত দশটার দিকে কারাগারে যান সিভিল সার্জনের একজন প্রতিনিধি। পরে কেরানীগঞ্জ কারা মসজিদের ইমাম আব্দুল মাজেদকে তওবা পড়ান। এসময় চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে তওবা পড়েন মাজেদ।

    জল্লাদ শাহজাহানের নেতৃত্বে ১০ জন জল্লাদের একটি দল ফাঁসি কার্যকর করতে উপস্থিত ছিলেন সেখানে।

    মাজেদের মরদেহ নিতে পরিবারের পাঁচজন সদস্য জেলগেটে উপস্থিতি হয়েছেন। সাদা রঙের একটি প্রাইভেটকারে তারা আসেন। তাদের গাড়ি ঘিরে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

    সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে বঙ্গবন্ধুর খুনির লাশ ভোলায় নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। সেখানেই পারিবারিক করবস্থানে তাকে দাফনের কথা। তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ঘোষণা দিয়েছে ভোলায় বঙ্গবন্ধুর খুনিকে দাফন করতে দেয়া হবে না।

    ৪৫ বছর পর গ্রেপ্তার, অতঃপর ফাঁসির রশিতে

    দেড় যুগের বেশি সময় ভারতে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর এই আত্মস্বীকৃত খুনিকে গত মঙ্গলবার মিরপুর সাড়ে ১১ থেকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) একটি দল। গত মাসে দেশে ফিরে মাজেদ স্ত্রীর ক্যান্টনমেন্ট আবাসিক এলাকার এক নম্বর রোডের ১০/এ বাড়িতে বসবাস করছিলেন।

    পরদিন বুধবার দুপুরে আদালতের নির্দেশে কারা কর্তৃপক্ষ আসামিকে ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ হেলাল চৌধুরীর আদালতে হাজির করেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটররা আসামি গ্রেপ্তার দেখানোসহ আসামির বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আসামি আব্দুল মাজেদকে গ্রেপ্তারসহ মৃত্যু পরোয়ানার আবেদন মঞ্জুর করেন।

    একই দিন সন্ধ্যায় কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করেন আব্দুল মাজেদ। আবেদন খারিজের পর নিয়ম অনুযায়ী তার ফাঁসির কার্যকরে আর কোনো বাধা নেই।

    ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। ৩৪ বছর পর ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর বর্বরোচিত এই হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু হয়। খুব ধীরে দীর্ঘ বারো বছরে নিম্ন আদালত থেকে শুরু করে আইনের প্রতিটি ধাপ স্বচ্ছতার সঙ্গে অতিক্রম করে সর্বোচ্চ আদালতের মাধ্যমে স্বঘোষিত খুনিদের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হয়।

    মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ আসামির মধ্যে কারাবন্দি পাঁচ আসামির ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি দিবাগত রাতে ফাঁসি কার্যকর হয়। তারা হলেন- সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মুহিউদ্দিন আহমেদ, বজলুল হুদা ও এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য ছয় আসামি পলাতক ছিলেন। এর মধ্যে আবদুল মাজেদকে অবশেষে ধরা ফাঁসিতে ঝুলানো হলো।

    পলাতক বাকি পাঁচজনের মধ্যে লে. কর্নেল (অব.) খন্দকার আব্দুর রশিদ (বরখাস্ত) লিবিয়া ও বেলজিয়ামে অবস্থান করছেন। বেশিরভাগ সময় লিবিয়াতে থেকেই ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। লে. কর্নেল (অব.) শরীফুল হক ডালিম (বরখাস্ত) পাকিস্তানে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। লে. কর্নেল (অব.) এ এম রাশেদ চৌধুরী (বরখাস্ত) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে, লে. কর্নেল (অব.) এন এইচ এমবি নূর চৌধুরী (বরখাস্ত) কানাডায় রয়েছেন। আর রিসালদার মোসলেম উদ্দিন ভারতের কারাগারে আটক বলে অনেকে ধারণা করছেন।

  • মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ

    মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

    এখন আর তার ফাঁসির রায় কার্যকরে কোনো বাধা থাকলো না। রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে।

    সূত্র জানায়, বুধবার রাতে আবদুল মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদনটি রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে পৌঁছায়। পরে রাষ্ট্রপতি আবেদনটি খারিজ করে দেন।

    এর আগে ‍বুধবার সন্ধ্যায় কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন আবদুল মাজেদ। তার আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয় হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে যায়।

    বুধবার দুপুরে ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ হেলাল চৌধুরী তার মৃত্যুপরোয়ানা জারি করেন।

    আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী গতকাল বেলা সোয়া একটায় কারা কর্তৃপক্ষ আসামিকে আদালতে হাজির করে। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটররা আসামি গ্রেপ্তার দেখানোসহ আসামির বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আসামি আব্দুল মাজেদকে গ্রেপ্তারসহ মৃত্যু পরোয়ানার আবেদন মঞ্জুর করেন।

    রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর মোসাররফ হোসেন কাজল জানান, মৃত্যু পরোয়ানা কারাগারে যাওয়ার পর কারা কর্তৃপক্ষ ২১ থেকে ২৮ দিনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এর মধ্যে আসামিকে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিষয়ে অবহিত করা হবে, পাশাপাশি জেলা প্রশাসককে অবহিত করবে।

    আবদুল মাজেদকে গত সোমবার রাতে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার না দেখানো পর্যন্ত জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে আটক রাখার আবেদন করেন কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. জহুরুল হক।

    আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) এ এম জুলফিকার হায়াত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

    জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর আলোচিত এই খুনি ২৩ বছর ধরে কলকাতায় অবস্থান করছিলেন। তিনি গত ১৬ মার্চ ঢাকায় ফিরেছেন।

    আবদুল মাজেদ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আরও কয়েকজন খুনির সঙ্গে ব্যাংকক হয়ে লিবিয়া চলে যান। এরপর তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান তাকে সেনেগালের দূতাবাসে বদলি করেন। ১৯৮০ সালে দেশে ফিরে আসার পর মাজেদকে বিআইডব্লিউটিসিতে চাকরি দেন জিয়া। সে সময় উপসচিব পদমর্যাদায় তিনি চাকরি করেন। আর সেনাবাহিনী থেকে অবসরে যান। পরে তিনি সচিব পদে পদোন্নতি পান। পরে যুব উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ে পরিচালক পদে যোগদান করেন।

    ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার শুরু করে। সে সময় আত্মগোপনে চলে যান মাজেদ।

    মাজেদ গ্রেপ্তার হওয়ার পর এখন বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ খুনি পলাতক রয়েছেন। তারা হলেন খন্দকার আবদুর রশীদ, শরিফুল হক ডালিম, মোসলেম উদ্দিন, এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী, এ এম রাশেদ চৌধুরী। তারা সবাই সাবেক সেনা কর্মকর্তা।

  • বঙ্গবন্ধুর খুনি আবদুল মাজেদের মৃত্যু পরোয়ানা জারি

    বঙ্গবন্ধুর খুনি আবদুল মাজেদের মৃত্যু পরোয়ানা জারি

    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদকে গ্রেফতার দেখিয়ে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

    বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি এবং বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদকে গত সোমবার দিবাগত গভীর রাতে রাজধানীর গাবতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    আসামি মাজেদকে গ্রেফতারের বিষয়ে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক জহুরুল হকের আদালতে দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার রাজধানীর গাবতলী বাসস্ট্যান্ডের সামনে থেকে রাত ৩টা ৪৫ মিনিটে রিকশায় করে সন্দেহজনকভাবে যাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি (মাজেদ)। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

    তার কথাবার্তা অসংলগ্ন মনে হয়। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে তিনি স্বীকার করেন, তার নাম মাজেদ। তিনি বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খুনি।

  • বঙ্গবন্ধুর খুনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল মাজেদ ঢাকায় গ্রেপ্তার

    বঙ্গবন্ধুর খুনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল মাজেদ ঢাকায় গ্রেপ্তার

    বঙ্গবন্ধুর খুনি ক্যাপ্টেন মাজেদকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আজ মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক ছয় খুনির মধ্যে ক্যাপ্টেন (অবঃ) আব্দুল মাজেদ অন্যতম ছিলেন।

    খুনি ক্যাপ্টেন মাজেদ বিদেশে পলাতক ছিলেন। আজ সোমবার (৬ এপ্রিল) গতকাল রাত সাড়ে তিনটায় মিরপুর সাড়ে ১১ নাম্বার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    উল্লেখ্য, পলাতক ছয় খুনি হলো আব্দুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, এম রাশেদ চৌধুরী, এসএইচএমবি নূর চৌধুরী, আব্দুল মাজেদ ও রিসালদার মোসলেম উদ্দিন। এদের মধ্যে কানাডায় নূর চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ে রাশেদ চৌধুরী। মোসলেম উদ্দিন জার্মানিতে ও শরিফুল হক ডালিম স্পেনে আছে। তবে খন্দকার আবদুর রশিদ ও আবদুল মাজেদ কোন দেশে অবস্থান করছেন তার সঠিক তথ্য পুলিশের কাছে ছিল না।