Tag: বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী

  • দেশের শান্তিতে যারা খুশি নয়, পার্বত্যাঞ্চলের শান্তিতেও তারা খুশি নয় : তথ্যমন্ত্রী

    দেশের শান্তিতে যারা খুশি নয়, পার্বত্যাঞ্চলের শান্তিতেও তারা খুশি নয় : তথ্যমন্ত্রী

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পুরো দেশের শান্তি বিনষ্ট করার জন্য যেমন ষড়যন্ত্র হয়, এখনো পার্বত্য চট্টগ্রাম ও এই এলাকার শান্তি নিয়ে ষড়যন্ত্র হয়। দেশের উন্নয়ন ও শান্তিতে যারা খুশি নয়, পার্বত্যাঞ্চলের উন্নয়ন, স্থিতি এবং শান্তিতেও তারা খুশি নয়। সেই কারণে তারা নানা ষড়যন্ত্র করেন এবং সেটির বহিঃপ্রকাশ আমরা মাঝেমধ্যে দেখতে পাই। এব্যাপারে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

    তিনি বলেন, এখানে পূর্ববর্তী সরকার বিশেষ করে যখন বিএনপি ও এরশাদ ক্ষমতায় ছিল প্রকৃতপক্ষে তখন শান্তিচুক্তি করা ও বাস্তবায়নের জন্য হাতও দেয়া হয়নি। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা শান্তিচুক্তি করেছেন, এবং সেটি বাস্তবায়ন করে চলেছেন। বহু শরণার্থী যারা এখানে অশান্তির কারণে দেশত্যাগী হয়েছিল তাদেরকে ফিরিয়ে এনেছেন। যারা ভিন্নপথে গিয়েছিল তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন। এটি বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে সম্ভবপর হয়েছে।

    সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ভ্যালিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুর ডি সিএইচটি মাউন্টেন বাইক’ প্রতিযোগীতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব সফিকুল আহম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি, শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, মহিলা এমপি বাসন্তি চাকমা, ব্রিগেড কমান্ডার ফয়েজুর রহমান, দিঘীনালা উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম প্রমুখ।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে পুরো পার্বত্য চট্টগ্রাম বদলে গেছে, বাংলাদেশের অন্য এলাকার চেয়ে পার্বত্যাঞ্চলে উন্নয়নের ছোঁয়া প্রকৃতপক্ষে অনেক বেশি। কারণ এখানে সরকার অধিক মনযোগী। এর ফলে তিন পার্বত্য জেলার চিত্র বদলে গেছে। এখানে মানুষের যে উন্নয়ন হয়েছে এটি সম্ভবপর হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার কারণে। পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিচুক্তি করা ও তার বাস্তবায়নের মাধ্যমে এখানে শান্তি স্থাপন করা হয়েছে।

    তিনি বলেন, পার্বত্যাঞ্চলসহ পুরো চট্টগ্রামে ট্যুরিজমের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এই সাইক্লিং ট্যুরের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের নাম এবং এখানকার ট্যুরিজমের যে সম্ভাবনা রয়েছে সেটা সমগ্র বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে। পৃথিবীর অনেক দেশ ট্যুরিজমকে কাজে লাগিয়ে তাদের উন্নয়ন ঘটিয়েছে। আমাদের দেশে ট্যুরিজমের যে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে তা যদি আমরা কাজে লাগাতে পারি তাহলে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারি। সেজন্য প্রয়োজন অবকাঠামোগত উন্নয়ন। সেটি আমাদের সরকার অনেক করেছেন। শান্তি স্থিতিও প্রয়োজন, সমস্ত কিছু মিলে এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারলে দেশ এগিয়ে যাবে।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সাজেকে অপরিকল্পিত ভাবে যেভাবে বিভিন্ন স্থাপনা তৈরী হচ্ছে, যেভাবে পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে, এটি সঠিক নয়। এটাকে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মধ্যে আনার জন্য আমরা ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি, কিছুদিনের মধ্যে এটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করারলক্ষ্যে একটি কমিটি বা এজাতিয় কিছু একটা করে দিয়ে সেটির মাধ্যমে এটার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হবে।

    করোনা ভাইরাসের মধ্যেও যখন সমস্তকিছু স্তব্দ, তখন মুজিব শতবর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে মাউন্টেন বাইকিংয়ের আয়োজনের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অপরূপ শোভায় শোভিত সাজেক ভ্যালি, পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশ অপরূপ শোভায় শোভিত। এখানে সাইক্লিং করার যে তৃপ্তি, যারা সাইক্লিং করেন তারা ছাড়া অন্যকেউ বলতে পারবেনা। আমি ছাত্রজীবনে নিজেও সাইকেল চালিয়ে ইউনিভার্সিটি যাওয়া আসা করতাম। সেকারণে আমি নিজেও সাইক্লিংয়ের ভক্ত, ঢাকা শহরে নানা দাবীতে ও পরিবেশ সংরক্ষণসহ বিভিন্ন সাইকেল র‌্যালীতে আমি নিয়মিত অংশগ্রহণ করি।

    তিনি বলেন, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮’শ ফুট উপরের সাজেক থেকে রওনা দিয়ে পুরো উচুনিচু ৩’শ কিলোমিটার পাহাড় পাড়ি দিয়ে তারা থানচি পৌছুবেন, এটি চাট্টিখানি কথা নয়, মাউন্টেন সাইক্লিং এটি যে কেউ পারেনা। আমি আনন্দিত হয়েছি এই প্রতিযোগীতায় প্রায় ৭’শ জন আবেদন করেছিল তৎমধ্যে ফাইনালি নেয়া হয়েছে ৫৫ জনকে।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে বাংলাদেশের তরুনদের যদি আমরা গড়ে তুলতে চাই, তাহলে ক্রীড়া প্রতিযোগীতাসহ সাইক্লিংয়ের কোন বিকল্প নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আসক্তি ও মাদকের হিংস্র থাবা থেকে তরুনদের বের করে আনার জন্য ব্যাপক আকারে ক্রীড়া প্রতিযোগীতা, সাইক্লিং ট্যুরসহ সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড আয়োজন করার কোন বিকল্প নাই।

  • বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে রাউজানে ১০০ টি ফলজ চারা রোপন কর্মসূচির উদ্বোধন

    বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে রাউজানে ১০০ টি ফলজ চারা রোপন কর্মসূচির উদ্বোধন

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিটি উপজেলায় ১০০টি করে ফলজ চারা রোপন কর্মসূচি উপলক্ষে রাউজান উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুনায়েদ কবির সোহাগ।

    এ সময় রাউজান পৌরসভার প্যানেল মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ , রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ নুরে আলম দীন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাব্বির আহম্মেদ, উপজেলা সহকারি কৃষি কর্মকর্তা (উন্নয়ন শাখা) সঞ্জিব কুমার সুশীলসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/নেজাম

  • সংসদের বিশেষ অধিবেশন ২২ ও ২৩ মার্চ

    সংসদের বিশেষ অধিবেশন ২২ ও ২৩ মার্চ

    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপন উপলক্ষে একাদশ জাতীয় সংসদের বিশেষ (সপ্তম) অধিবেশন আগামী ২২ মার্চ শুরু হয়ে ২৩ মার্চ শেষ হবে।

    আজ সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কার্য উপদেষ্টা কমিটির সপ্তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

    কমিটির সভাপতি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভায় সভাপতিত্ব করেন। কমিটির সদস্য সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভায় অংশগ্রহণ করেন।

    কমিটির সদস্য রওশন এরশাদ, আমির হোসেন আমু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, আনিসুল হক, গোলাম মোহাম্মদ কাদের, এবং নূর-ই-আলম চৌধুরী সভায় অংশগ্রহণ করেন।

    সভায় আরো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, ২২ মার্চ সকাল ১১টায় অধিবেশন শুরু হবে। আর ২৩ মার্চ সকাল ১০টায় সংসদ অধিবেন বসবে।

    ২২ মার্চ অধিবেশন শুরুর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় সংসদ সদস্যবৃন্দ ধানমন্ডি, ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

    অধিবেশনের শুরুতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ভাষণ দিবেন।

    সভায় জানানো হয় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন নিয়ে প্রস্তাব (সাধারণ) বিধি-১৪৭ এর আওতায় একটি প্রস্তাব সংসদে আনা হবে। সংসদ সদস্যরা এ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিবেন। পরের দিন ২৩ মার্চ প্রস্তাবটি সংসদে গৃহিত হবে।

    জাতীয় সংসদের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান সভার কার্যপত্র উপস্থাপন করেন। এ সময় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

  • বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী মিরসরাই প্রেসক্লাবের তিনমাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা

    বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী মিরসরাই প্রেসক্লাবের তিনমাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা

    আশরাফ উদ্দিন, মিরসরাই::: স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে তিনমাসব্যাপী নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে চট্টগ্রামের মিরসরাই প্রেসক্লাব।

    এ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ক্লাব সভাকক্ষে একটি প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উদযাপন উপ-পরিষদের আহবায়ক সাইফুল হক সিরাজী।

    সদস্য সচিব মো. ইউসুপের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভা থেকে স্থানীয় সাংবাদিকদের এ সংগঠন আগামী ১৭ মার্চ থেকে ২৮ মে পর্যন্ত তিনমাসব্যাপী বেশ কয়েকটি কর্মসূচি বাস্তবায়নের ঘোষণা দেয়।

    ওইদিন ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক নুরুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন মিঠু জানান, বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী বাঙ্গালীর জন্য এ শতাব্দীর ঐতিহাসিক একটি মুহুর্ত। এ উপলক্ষ্যে মিরসরাই প্রেসক্লাব বেশ কয়েকটি কর্মসূচি বাস্তবায়নের সিন্ধান্ত নিয়েছে। এগুলো ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে।

    উদযাপন পরিষদের আহবায়ক সাইফুল হক সিরাজী জানান, প্রথমে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা ‘ভাবনায় বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক লোগো উন্মোচন করবো। এরপর দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত মিরসরাইয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘ভাবনায় বঙ্গন্ধু’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন থাকবে। রচনা প্রতিযোগিতায় ক বিভাগে অষ্টম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি (শব্দ সংখ্যা ৩০০-৫০০), খ বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান (শব্দ সংখ্যা ৭০০-১০০০) এবং গ বিভাগে-স্নাতক (পাস ও সম্মান) ও ¯স্নাতোকক্তোর (শব্দ সংখ্যা ১০০০-১৫০০) শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করতে পারবে।

    আগামী ১৭ মার্চ সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হবে ‘কবিতায় বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক কবিতা পাঠের আসর। আগামী ১৭ এপ্রিল বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায় মিরসরাইয়ের যেক’জন ছাত্রনেতা ও আওয়ামী লীগ নেতা সরাসরি বঙ্গবন্ধুর সাথে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছেন তাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে গোলটেবিল বৈঠক। আগামী ২৮ মে দিনব্যাপী থাকবে সমাপনী আয়োজন। এতে সকালের অধিবেশনে থাকবে ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা। দুপুরে মেজবান। বিকালে পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভা। সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর জীবনের ওপর তৈরি গীতি আলেখ্য।

    রচনা প্রতিযোগিতায় প্রত্যেক বিভাগে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও বিশেষ বিবেচনায় উত্তীর্ণদের প্রদান করা হবে লক্ষাধিক টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড, সনদ, ক্রেস্ট ও শিক্ষাবৃত্তি। প্রথম পুরস্কার ১৫ হাজার, দ্বিতীয় পুরস্কার ১০ হাজার, তৃতীয় পুরস্কার ৮ হাজার এবং বিশেষ বিবেচনা ৫ হাজার টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড প্রদান করা হবে।

    এদিকে এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মিরসরাইয়ের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান, সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, পেশাজীবি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও বিভিন্ন পর্যায়ের সংগঠকদের সমন্বয় করা হবে।

  • বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ১৭ মার্চ সকল ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে

    বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ১৭ মার্চ সকল ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ১৭ মার্চ দেশের সকল ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।

    সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জারিকৃত এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপনে একথা বলা হয়েছে।

    আজ এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে চলতি বছরের ১৭ মার্চ সারাদেশে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।

  • আমিরাতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন

    আমিরাতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন

    ওবায়দুল হক মানিক, আমিরাত থেকে : সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাস আল খাইমায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ কনসুলেট জেনারেল দুবাই ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট-২০২০’ নামক দুটি টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করা হয়েছে।

    গত শুক্রবার ২৪ জানুয়ারি অসংখ্য প্রবাসিদের উপস্থিতিতে লাল সবুজের বেলুন উড়িয়ে এর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ কনসুলেট জেনারেল দুবাই ও উত্তর আমিরাতের কনসাল জেনারেল ইকবাল হোসেন খান। এ সময় স্থানীয় উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কমিউনিটির বিশিষ্টজন এবং কন্সুলেটের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর কামরুল হাসান, শ্রম কাউন্সেলর ফাতেমা জাহান, প্রথম সচিব (পাসপোর্ট ও ভিসা) নূরে মাহবুবা জয়া, ভাইস কন্সাল মোজাফফর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

    বাংলাদেশ কনসুলেট জেনারেল, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটি এবং বাংলাদেশ কমিনিউটি আমিরাতের যৌথ উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু’র জন্মশতবর্ষ উদযাপনকে স্মরণীয় করে রাখতে এই আয়োজন বলে জানানো হয়েছে।

    কনস্যুলেট এবং কমিউনিটি আয়োজিত টুর্ণামেন্টে আমিরাতের ১৬টি শহর, উপশহর হতে ১৬ টি টিম অংশ নিয়েছে। প্রতি শুক্রবার আমিরাতের নানা প্রদেশে খেলা অনুষ্ঠিত হবে। খেলার ফাইনাল হবে মার্চে। খেলায় বিজয়ি দলকে ১০৭ গ্রামের স্বর্ণকাপ উপহার দেওয়া হবে। বঙ্গবন্ধুর ১০০ তম জন্মবার্ষিকী এবং আমিরাতের ৭টি প্রদেশ এই মিলিয়ে ১০৭ গ্রাম স্বর্ণ দিয়ে কাপ থাকবে বলে জানিয়েছেন কনসাল জেনারেল ইকবাল হোসেন খান।

  • সামরিক স্বৈরশাসকরাই ইতিহাসের কালো অধ্যায়ের খলনায়ক:প্রফেসর ড. ইফতেখার

    সামরিক স্বৈরশাসকরাই ইতিহাসের কালো অধ্যায়ের খলনায়ক:প্রফেসর ড. ইফতেখার

    আন্তর্জাতিক সমাজবিজ্ঞানী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, বিশ্ব ইতিহাসে ২৪ জানুয়ারি মানবতা বিরোধী বর্বরতম একটি কালো দিন। আমরা জালিওয়ানবাগ হত্যাকান্ড সহ অনেক নৃশংস বর্বরতার কথা জানি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা সদত্ত স্বাধীন বাংলাদেশকে কলঙ্কের তিলক পরিয়ে দেয়। আরো লজ্জা ও কলঙ্কের বিষয় কুখ্যাত সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের রক্ষায় কালো আইন ইনডেসনিটি অধ্যাদেশ জারী করে বিশ্বশ্রেষ্ঠ খলনায়ক হিসেবে ঘৃণিত ও নিন্দিত হয়েছেন।

    তিনি আজ বিকেলে চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রাম গণহত্যায় নিহত শহীদ স্মরণে ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, ৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যকান্ডের খালেদা জিয়ার শাসনামলে এদেশে উগ্রমৌলবাদ ও জঙ্গীবাদের উত্থান ঘটে।

    একাত্তরের ঘৃণিত চিহ্নিত স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতক দালালদের মনত্রী বানানো হয়। গণতান্ত্রিক সংবিধানকে কাঁটা ছেড়া করে অসাম্প্রদায়িক ও ধর্ম নিরপেক্ষতা জলঞ্জলি দিয়ে বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়। তবে আশার কথা বিএনপি-জামাত জোট যখন ক্ষমতাসীন ছিল তখন নারকীয় গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করা হয়েছিল। শেখ হাসিনা ক্ষমতাসীন হয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর করার পর চট্টগ্রাম গণহত্যার বিচার ও দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করেছেন।

    মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নঈম উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি সামরিক স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখনই শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত গণহত্যা চালায়। এই হত্যাকান্ড বর্বরতম ও জঘন্য। এই অপকর্ম অমানবিক।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন ২৪ জানুয়ারির চট্টগ্রাম গণহত্যার সময় আমি মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। সেদিন সিএমপি কমিশনার রকিবুল হুদার নির্দেশে শেখ হাসিনার ট্রাক বহরে গুলিবর্ষণের বিভীষিকা ও নির্বিচারে গণহত্যার একটি কলঙ্কিত কালো দিন।

    প্রদীপ প্রজ্জলন অনুষ্ঠানে বক্তারা আরো বলেন, মামলার বিচারিক রায়ে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত ৫ পুলিশ সদস্যের মধ্যে অন্যতম সিএমপি’র তৎকালীন উপ পরিদর্শক গোপাল চন্দ্র মন্ডল (জে.সি.মন্ডল) বিদেশে পলাতক। যে দেশে তিনি রয়েছেন সে দেশের সাথে কূটনৈতিক প্রক্রিয়অর মাধ্যমে তাকে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করা হোক। চট্টগ্রাম গণহত্যায় নিহতদের মধ্যে অনেকের পরিবার বিপন্ন অবস্থায় রয়েছেন। সরকারকে সে সমস্ত পরিবারের পুর্নবাসন করার দাবি জানান। চট্টগ্রাম গণহত্যা মামলার বাদী এডভোকেট শহীদুল হুদা ১৯৯২ সালে মামলাটি দায়ের করেছিলেন। তিনি বেঁচে নেই। তাঁর সাহসী ভূমিকার জন্য তাঁকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেওয়ারও আহ্বান জানান।

    বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন পরিষদের কো চেয়ারম্যান চসিক কাউন্সিলর আলহাজ্ব এইচ এম সোহেলের সভাপতিত্বে প্রধান সমন্বয়ক সাংস্কৃতিক সংগঠক মোহাম্মদ খোরশেদ আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ২৪শে জানুয়ারি চট্টগ্রাম গণহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শফর আলী, নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মাহমুদুল হক, সরাইপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আলহাজ্ব নুরুল আমিন, চসিক কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক সায়রা বানু রশ্মি, নগর যুবলীগের সদস্য সুমন দেবনাথ, ওয়াহিদুল আলম শিমুল, আকবর শাহ থানা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ইয়াছির আরাফাত, আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল হক সওদাগর, মুজিবুর রহমান, সাইদুর রহমান পুতুল, নারী নেত্রী ঝুমা আলমগীর, সাংস্কৃতিক সংগঠক রুপম মুৎসুদ্দী টিটু, কবি সজল দাশ, নগর ছাত্রলীগের সদস্য নাছির উদ্দিন কুতুবী, শ্রমিক নেতা শাহ আলম ভূইয়া প্রমুখ।

    ২৪ জানুয়ারি গণহত্যা দিবসের নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

  • ব্রাজিলের সাবেক তারকা গোলরক্ষক সিজার ঢাকায়

    ব্রাজিলের সাবেক তারকা গোলরক্ষক সিজার ঢাকায়

    বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উৎযাপনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এর আমন্ত্রণে প্রথম অতিথি হিসেবে ঢাকায় প্রথমবারেরমতো পা রাখলেন ব্রাজিলেরর সাবেক তারকা গোলরক্ষকে জুলিও সিজার।

    আজ (২২ জানুয়ারি) বাংলাদেশে সময় বিকেল ৫ টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌছান তিনি।

    প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এসে নিজের অনুভুতি প্রকাশ করে গণমাধ্যমে জুলিও সিজার বলেন, “এই প্রথম বাংলাদেশে এলাম। এখানকার ফুটবল সম্পর্কে আমি বেশি কিছু জানি না। তবে এখানে এসেছি…এখানকার ফুটবল সম্পর্কে কিছু জানার চেষ্টা করব। এখানে আসতে পেরে আমি আসলেই খুশি। ফিফা, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে ধন্যবাদ আমাদের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য।”

    নিজের দেশের ফুটবল সম্পর্কে তিনি বলেন, “ব্রাজিল ফুটবলের অন্যতম পরাশক্তি। আমাদের অনেক আইডল আছে, যেমন, রোনালদিনিয়ো, নেইমার, কাকা….বিশ্বের অনেক মানুষ যে আমাদের সমর্থন করবে এটা স্বাভাবিক।”

    উল্লেখ্য, আগামীকাল সাড়ে ১১টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পরিদর্শন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন সিজার। এরপর দুপুরে বাফুফে ভবনে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্যদের সঙ্গে এবং বাফুফের নির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে ফটোসেশন করবেন। বিকেল সাড়ে ৩ টায় আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন। বিকেলে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-বুরুন্ডির সেমি-ফাইনালও দেখবেন বলে বাফুফে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।

  • দুবাইয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা শুরু

    দুবাইয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা শুরু

    ওবায়দুল হক মানিক, আরব আমিরাতঃ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বাংলাদেশ কসন্যুলেটের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের ক্ষণগণনার উদ্বোধন এবং বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর্যের সাথে পালন করা হয়েছে।

    এ উপলক্ষে গত ১০ জানুয়ারি কনস্যুলেট ভবনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    কনস্যুলেটের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও অন্যান্য অতিথি এতে অংশ নেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কনস্যুলেট ও কনস্যুলেটের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ এবং আগত অতিথিরা। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন কাউন্সিলর ফাতেমা জাহান ও কমার্শিয়াল কাউন্সিলর কামরুল হাসান।

    অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্বে কনস্যুলেট জেনারেল ইকবাল হোসাই খান হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

    তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীর ক্ষণগণনার বর্ণাঢ্য উদ্বোধনের সাথে মিল রেখে দুবাইয়ে কনস্যুলেটেও ক্ষণগণনার প্রতীকী উদ্বোধন করা হল।

    পরে কনস্যুলেটের প্রথম সচিব প্রবাস লামারাং এর উপস্থাপনায় এক আলোচনা সভায় অংশ নেন দুবাইয়ে বাংলাদেশ বিমানের ম্যানেজার দিলিপ কুমার চৌধুরী, প্রকৌশলী আবু জাফর, অধ্যাপক আব্দুস সবুর, মোঃ আয়উব আলী বাবুল, কাজী মোহাম্মদ আলী।

    এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের উপর ভিত্তি করে নির্মিত একটি প্রামাণ্য ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রথম সচিব পার্সপোর্ট নুর-এ-মাহাবুবা জয়া ও প্রথম সচিব শ্রম ফকির মনোয়ার হোসেন, কাউন্সিলর মোঃ মোজাফ্ফর হোসেন সহ কনস্যুলেটের কর্মকর্তা কর্মচরী, রাজনৈতিক, সামাজিক সহ বিভিন্ন কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ।

  • বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সিআরবি গোল চত্বরে স্থাপন হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল

    বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সিআরবি গোল চত্বরে স্থাপন হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রামের বিনোদনের অন্যতম স্পট সিআরবি গোল চত্বর মোড়ে আকর্ষনীয় ডিজাইনের একটি বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন করা হবে।

    সোমবার ১৩ জানয়ারি দুপুরে ম্যুরাল স্থাপনের জন্য জায়গা পরিদর্শণে গিয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এ ঘোষণা দেন। বলেন, আকর্ষনীয় ম্যুরাল স্থাপনে যাবতীয় অর্থায়ন করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

    তিনি বলেন, নগরীর অন্যতম নৈস্বর্গিক সৌন্দর্য্যরে এ সিআরবিকে দেশি বিদেশি পর্যটকদের কাছে আরো আকর্ষনীয় করে তুলতে চাই। সিআরবিকে সিঙ্গাপুরের মতো একটি সুন্দর পর্যটন এলাকায রূপান্তর করতে চাই।

    তাছাড়া এ সিআরবিতে আগত তরুণ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরার প্রয়াসেও থাকবে বিভিন্ন স্থাপনা। মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান চট্টগ্রাম বাসীকে স্মরণ করিয়ে দিতে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আকর্ষনীয় একটি বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল স্থাপন করা হবে সিআরবির গোল চত্বরে।

    ম্যুরাল স্থাপনের জায়গা পরিদর্শণকালে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর সাথে ছিলেন, রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) নাসির উদ্দিন আহমেদ, প্রধান প্রকৌশলী সবুক্তগীন, প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা ইশরাত রেজাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

  • বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে চট্টগ্রামে স্থাপিত ৪টি ক্ষণগণনা যন্ত্র চালু হবে কাল

    বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে চট্টগ্রামে স্থাপিত ৪টি ক্ষণগণনা যন্ত্র চালু হবে কাল

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা কর্মসূচি শুরু হচ্ছে কাল। 

    আগামীকাল ১০ জানুয়ারি শুক্রবার সাড়ম্বরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয়ভাবে ক্ষণগণনার উদ্বোধন করবেন। এ অনুষ্ঠানটি চট্টগ্রামবাসীদের সরাসরি প্রদর্শনের ব্যবস্থা করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

    যৌথ আয়োজনে শুক্রবার বেলা ৩ টায় নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম মাঠে কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানটি প্রদর্শণীর সাথে সাথে চট্টগ্রামে স্থাপিত ৪টি ক্ষণগণনা যন্ত্র চালু করা হবে।

    জানা যায়, চসিকের উদ্যোগে নগরে স্থাপিত চারটি ক্ষণগণনা ঘড়ির মধ্যে আন্দরকিল্লাহ পুরাতন নগর ভবনের সামনে ‘এ’ ক্যাটাগরি একটি, সার্কিট হাউজের সামনে, আদালত ভবণ এবং শাহ আমানত সেতু এলাকায় ‘বি’ ক্যাটাগরির তিনটি কাউন্ট ডাউন ক্লক স্থাপন করা হয়েছে।

    এছাড়া ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসকে স্মরণীয় করার লক্ষে চসিক পরিচালিত ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি এন্ড ম্যাডস এ ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টশন ক্লাস ঐদিন সকাল ১০ টায় ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে।

    এতে সংশ্লিষ্ট সকল শিক্ষার্থীদেরকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।

  • চুয়েটে মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে তিনদিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু

    চুয়েটে মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে তিনদিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তিনদিনব্যাপী “ইতিহাস কথা কয়” শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।

    বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বছরব্যাপী কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মকে জানান দেওয়ার লক্ষ্যে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে চুয়েট কর্তৃপক্ষ। প্রদর্শনীটি ৮ থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত চলবে।

    ৮ জানুয়ারি (বুধবার), বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত টিএসসি প্রাঙ্গণে সকাল ১১ টা থেকে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।চুয়েটে প্রদর্শনী দুর্লভ ও ঐতিহাসিক ৬৪০ ছবি

    এ সময় বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, হল প্রভোস্ট, মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে গঠিত স্টিয়ারিং কমিটি ও বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যবৃন্দসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীগণ উপস্থিত ছিলেন।

    নবনির্মিত টিএসসি মিলনায়তনে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৌরবময় অবদান সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মের মাঝে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে মুজিব বর্ষ পালন করা হচ্ছে।

    বঙ্গবন্ধু তাঁর রাজনৈতিক জীবনে যে পরিমাণ জেল-জুলুম-অত্যাচার সহ্য করেছেন সেসব সম্পর্কে বর্তমান প্রজন্মের জানা দরকার। চুয়েট প্রশাসনও বছরব্যাপী মুজিব বর্ষ উদযাপনের নানা উদ্যোগ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ‘ইতিহাস কথা কয়’ শিরোনামে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।

    আশা করছি চুয়েটের ছাত্র-ছাত্রীসহ চুয়েট পরিবারের সকলে এসব ঐতিহাসিক ছবি ও প্রমাণ্যচিত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে।”

    প্রদর্শনীতে প্রাচীন বাংলা, ভারত উপমহাদেশে বৃটিশ শাসন, ভারতবাসীর প্রতিবাদ, আন্দোলন সংগ্রাম (১৭৫৭-১৯৪৭), দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান শাসনামল, পশ্চিম পাকিস্তানিদের পূর্ব বাংলার মানুষের উপর অত্যাচার, নির্যাতন, জুলুম, স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালির প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ (১৯৪৭-১৯৭১), ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ, রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু (১৯৭২-১৯৭৫) এবং ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকা- প্রভৃতি বিষয়ের দুর্লভ ও ঐতিহাসিক প্রায় ৬৪০টি ছবি স্থান পেয়েছে।

    এছাড়া প্রদর্শনীর প্রথমদিন ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র এবং সমাপনী দিনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচিত্র ‘গেরিলা’ প্রদর্শিত হবে। চুয়েট সাংবাদিক সমিতি, চুয়েট ফটোগ্রাফিক সোসাইটি এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, চুয়েট শাখার সহযোগিতায় এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘দেশ’ একটি সম্মিলিত উচ্চারণ-এর উদ্যোগে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হচ্ছে।

    প্রদর্শনী প্রতিদিন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। উল্লেখ্য, ‘দেশ’ একটি সম্মিলিত উচ্চারণ সংগঠনের উদ্যোগে চুয়েটের প্রদর্শনীটি ৪৮০তম প্রদর্শনী।