Tag: বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য

  • বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুর রাষ্ট্রের বিরুদ্ধাচারণ : সরকারি কর্মকর্তা ফোরাম

    বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুর রাষ্ট্রের বিরুদ্ধাচারণ : সরকারি কর্মকর্তা ফোরাম

    সরকারি কর্মকর্তা ফোরাম নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুর রাষ্ট্রের বিরুদ্ধাচারণ। যেকোন মূল্যে এদেশে বঙ্গবন্ধুর সম্মান অক্ষুন্ন রাখা হবে।

    ‘জাতির পিতার সম্মান রাখবো মোরা অম্লান’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ঢাকায় আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে সরকারী কর্মকর্তারা এ কথা বলেন।

    ঢাকাসহ সারাদেশে আজ সমাবেশ করে এই প্রতিজ্ঞা করেছেন সব বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তারা। সমাবেশে নন ক্যাডার কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

    কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সরকারি কর্মকর্তা ফোরাম প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।

    ঢাকায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস বলেন, ‘এখানে দাঁড়িয়ে প্রতিজ্ঞা করছি যে, আমাদের জীবদ্দশায় জাতির পিতার অসম্মান হতে দেব না, এটাই হলো আজকের অঙ্গীকার। ২৯টি ক্যাডার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের মাঝে অনেক সময় অনেক বিষয় নিয়ে মতানৈক্য বা মতবিরোধ হয় কিন্তু আজকে বঙ্গবন্ধুর প্রশ্নে প্রতিবাদ সমাবেশে সবাই ঐক্যবদ্ধ। এটা হলো জাতির পিতার শক্তি।’

    এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও বাংলাদেশ এ্যাডমিনিষ্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন সমাবেশে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তিকালেও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাংবিধানিকভাবে জাতির পিতা। বঙ্গবন্ধু আমাদের প্রাণের স্পন্দন। বঙ্গবন্ধুর নামের সাথে মিশে আছে আবেগ-অনুভূতি ও স্পন্দন। জাতীয় ঐক্যের প্রতীক বঙ্গবন্ধু। তিনি স্বাধীনতার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

    তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতা বিরোধীদের এই এগিয়ে যাওয়া সহ্য হচ্ছে না।

    প্রতিবাদ সভায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুর রাষ্ট্রের বিরুদ্ধাচারণ উল্লেখ করে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘রাষ্ট্র, দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের হামলা অবশ্যই এ দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হবে।’

    আইজিপি বলেন, সম্প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে যে ন্যাক্কারজনক হামলা হয়েছে, রাতের অন্ধকারে যারা ভাংচুর করেছে, তাদের প্রতি তীব্র ঘৃণা ও নিন্দা প্রকাশের ভাষা নেই। দেশ যখন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন দেখেছি বার বার দেশটাকে পেছনের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়েছে।

    তিনি বলেন, ‘আজকে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধ, তাঁর নেতৃত্বে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’

    বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু দেশের সংবিধানের অংশ। বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানচিত্র দিয়েছেন, পতাকা দিয়েছেন, বাংলা ভাষার স্বীকৃতি দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের উপর হামলা মানে সংবিধান, রাষ্ট্র ও দেশের জনগণের উপর হামলা।’

    খাদ্য সচিব নাজমানারা খানুম, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা, বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার এসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. আ. ম. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খন্দকার, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকসহ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ২৯টি ক্যাডারের প্রতিনিধিরা প্রতিবাদ সভায় বক্তৃতা করেন।

    এছাড়া অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার (সচিব) ও বিসিএস তথ্য-বেতার কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মেজবাহ উদ্দিন।

  • বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদে সীতাকুণ্ডে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা

    বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদে সীতাকুণ্ডে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : “জাতির পিতার সম্মান রাখবো মোরা অম্লান”এই স্লোগানকে সামনে রেখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদে সীতাকুণ্ড উপজেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় উপজেলা চত্বরে মানববন্ধনের আয়োজন করে।

    মানববন্ধন শেষে উপজেলা হল রুমে এক প্রতিবাদ সভার অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায়, সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: আশরাফুল করিম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: রাশেদুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো: নুরুদ্দিন রাশেদ, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: শামীম আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: রফিকুল ইসলাম, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লিটন চৌধুরীসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

    প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুর ও মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতাকারীদের রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে আখ্যায়িত। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে ও স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তি উদযাপনের প্রাক্কালে স্বাধীনতাবিরোধী উগ্রবাদী অপশক্তির সংস্কৃতি বিরোধী ও রাষ্ট্রবিরোধী এহেন কর্মকাণ্ডের প্রতি তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়।

    সভায় সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতি যেকোন অবমাননাকর কর্মকাণ্ড প্রতিহত আহবান জানানো হয়। একই সঙ্গে ভাস্কর্য শিল্প ও সাংস্কৃতিক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থানকারী মৌলবাদীদের আস্ফালন বন্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহবান জানানো হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/দুলু

  • বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদে বাপ্পীর নেতৃত্বে কুমিরা ইউনিয়ন আ’লীগের বিক্ষোভ মিছিল

    বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদে বাপ্পীর নেতৃত্বে কুমিরা ইউনিয়ন আ’লীগের বিক্ষোভ মিছিল

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ায় নির্মাণাধীন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুর ও অবমাননার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে সীতাকুণ্ড উপজেলা কুমিরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ।

    বুধবার (৯ ডিসেম্বর) বিকালে কুমিরাস্থ পিএইচপি গেইট থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে ঢাকা মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় বাজারে এসে শেষ হয়।

    মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অথিতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কুমিরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক ও আওয়ামীলীগ নেতা জিয়াউল আবেদীন বাপ্পি।

    বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগ নেতা জসিম সওদাগর, মাহবুব, বিল্লাল, ইউছুপ আজমী, যুবলীগ নেতা ইমন, সাহাবুদ্দিন, মো: ওয়াসিম,
    ছাত্রলীগ নেতা আইনুল, নয়ন, ফয়সাল, আরিফ প্রমুখ।

    বক্তারা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গার দুঃসাহস যারা দেখিয়েছে তাদের হাত ভেঙ্গে দিতে হবে। মৌলবাদী গোষ্ঠীর এদেশে থাকার কোন অধিকার নেই।

    ২৪ ঘণ্টা/দুলু

  • ‘ভাস্কর্য ও দেশ বিরোধী সাম্প্রদায়িক,ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে’

    ‘ভাস্কর্য ও দেশ বিরোধী সাম্প্রদায়িক,ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে’

    মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত অপশক্তি এবং তাদের দোসর, ধর্মান্ধ-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী দেশকে পাকিস্তান বানানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত। বারবার দেশের স্বাধীন অস্তিত্বকে আঘাত করেছে, মুক্তিযুদ্ধে চেতনাকে আঘাত করেছে। ধর্ম ব্যবসায়ী, মৌলবাদী এই অপশক্তি ভাস্কর্য-মূর্তি বিরোধী উস্কানিমূলক বক্তব্য ছড়িয়ে দেশকি অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা করছে। ৭৫’এ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর থেকে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি নানা রাজনৈতিক পৃষ্টপোষকতায়, আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে দিন দিন বিকাশ লাভ করেছে। এখনই এই অপশক্তিকে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।

    ভাস্কর্য বিরোধী ও দেশ বিরোধী সাম্প্রদায়িক, ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে। তাই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শুভশক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে।

    বুধবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে বিক্ষুব্ধ সাংবাদিক সমাজ ও গণমাধ্যমকর্মী, চট্টগ্রাম’র ব্যাণ্যারে আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে এই আহবান জানানো হয়।

    ‘ধর্মান্ধ, উগ্র সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী অপশক্তি প্রতিহত করো’ এই শ্লোগানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে এই মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে’র যুগ্ম মহাসচিব কাজী মহসীন’র সভাপতিত্বে এবং সাংবাদিক প্রীতম দাশ’র সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন-সিইউজে’র সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমেদ, সিইউজে’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, সাংবাদিক মো. ফারুক, হামিদ উল্লাহ, সরোয়ার আমিন বাবু প্রমুখ।

    সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন ওমরগনি এমইএস কলেজের জিএস আরশাদুল আলম বাচ্চু, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক হাবিবুর রহমান তারেক, গণজাগরণ মঞ্চে চট্টগ্রামের সংগঠক সুনীল ধর, বোধন আবৃত্তি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রনব চৌধুরী, মহসীন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মাইমুন উদ্দিন মামুন, খেলাঘর সংগঠক রুবেল দাশ প্রিন্স, দারুল উলুম আলেয়া মাদ্রাসার ছাত্রসংসদের ভিপি রফিকুল ইসলাম, চাঁন্দগাও থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নূর নবী শাহেদ প্রমুখ।

    সমাবেশে বক্তারা বলেন, কুষ্টিয়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য যারা ভাঙচুর করেছে তারা বাংলাদেশের অস্থিত্বে আঘাত করেছে। ভাঙচুরের ঘটনায় স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-হেফাজতে ইসলাম ও ধর্মান্ধ-মৌলবাদী গোষ্ঠী জড়িত। অবিলম্বে তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি নিশ্চিত করতে হবে।

    সাম্প্রদায়িক এই অপশক্তি বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতি পাল্টানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। সরকার-উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ও রাষ্ট্রের চার মূলনীতির বিরুদ্ধাচরণ করে দেয়া তাদের বক্তব্য দেশদ্রোহিতার সামিল। হেফাজতে ইসলাম, জামায়াতে ইসলামসহ এসব ধর্মান্ধ, উগ্র সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী অপশক্তির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, যারা স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে আবার একাত্তরের হাতিয়ার নিয়ে রুখে দাঁড়াতে হবে।

  • বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর: দুই ছাত্র ৫ দিন ও শিক্ষক ৪ দিনের রিমান্ডে

    বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর: দুই ছাত্র ৫ দিন ও শিক্ষক ৪ দিনের রিমান্ডে

    কুষ্টিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেফতার দুই ছাত্রের পাঁচ দিন ও দুই শিক্ষকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

    মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে কুষ্টিয়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত শুনানি শেষে তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক নিশিকান্ত দাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করেছি। দুই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর ১০ দিন এবং দুই শিক্ষকের সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়।

    আদালত শুনানি শেষে দুই ছাত্রের পাঁচ দিন ও দুই শিক্ষকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

    এর আগে সোমবার চার আসামিকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ।
    আদালত আজ শুনানির দিন ধার্য করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
    এদিকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সোমবার মানববন্ধন, সভা-সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এদিকে কুষ্টিয়ায় ভাঙচুরে ক্ষতিগ্রস্ত ভাস্কর্যের সংস্কারকাজ শুরু হয়েছে।

    গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কুষ্টিয়ার জুগিয়া এলাকার মাদ্রাসা ইবনে মাসউদের (রা.) হেফজ বিভাগের ছাত্র ও মিরপুর উপজেলার শিংপুর গ্রামের সমশের মৃধার ছেলে আবু বক্কর ওরফে মিঠুন (১৯) এবং দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর গ্রামের শামসুল আলমের ছেলে সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ (২০), একই মাদ্রাসার শিক্ষক ও মিরপুর উপজেলার ধুবইল গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আল আমিন (২৭) এবং পাবনার দিয়াড় বামুন্দি গ্রামের আজিজুল মণ্ডলের ছেলে ইউসুফ আলী (২৭)।

    শুক্রবার গভীর রাতে দুই ছাত্র বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুজেট দেখে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।

    এদিকে ভেঙে ফেলা ভাস্কর্যের সংস্কারকাজ আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার আশ্বাস দিয়েছে কুষ্টিয়া পৌরসভা।

    সোমবার সকাল থেকে ভাস্কর্যটি সংস্কারকাজ শুরু করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। স্বনামধন্য ভাস্কর মাহবুব জামাল শামীম পাঁচ রাস্তার মোড়ে ভাস্কর্য নির্মাণকাজ করছেন।

    তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটির বেশ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ডান হাতসহ মুখমণ্ডলের অংশটি পরিবর্তন করতে হবে। পাশাপাশি নকশার কোনো পরিবর্তন যাতে না হয় সে বিষয়টিও মাথায় রাখা হচ্ছে। আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

  • বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়: মামুনুল হক

    বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়: মামুনুল হক

    কুষ্টিয়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের নিন্দা জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মামুনুল হক।

    তিনি বলেন, রাতের অন্ধকারে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার মাধ্যমে একটি অনভিপ্রেত পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত, দুঃখজনক ও অত্যন্ত নিন্দনীয়। ভাস্কর্য ভাঙার সঙ্গে কেউ কেউ আমার নাম জড়াবার চেষ্টা করছেন।

    কিন্তু অত্যন্ত দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলছি, আমার কোনও বক্তব্যের মাধ্যমে অথবা আমার কোনও কথায় এভাবে আইন হাতে তুলে নেয়ার কোনও কথা কস্মিনকালেও বলিনি। দেশের আইন শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধাশীল কোনও ব্যক্তি এমনটা কখনও করতে পারে না।

    সোমবার সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক পেজে ‘ভাস্কর্য নিয়ে বিরোধ, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাসহ উদ্ভূত সার্বিক পরিস্থিতির’ ওপর বক্তব্য দেয়ার সময় এসব কথা বলেন মামুনুল হক।

    লাইভে হেফাজত নেতা মামুনুল হক বলেন, আমার বক্তব্য স্পষ্ট, ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে ভাস্কর্য রাখা নাজায়েজ ও হারাম-সেটা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে আমি জানিয়ে দিয়েছি। এবং আমরা আমাদের বক্তব্যে একথা স্পষ্ট করে দিয়েছি, যদি আল্লাহ কখনও আমাদের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সক্ষমতা দান করেন তাহলে শরীয়ার আলোকে সকল কার্যক্রম ঢেলে সাজাবো ইনশাআল্লাহ।

    মামুনুল অভিযোগ করেন, সারাদেশের যত্রতত্র বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের প্রবণতা শুরু হয়েছে। আমরা ভাস্কর্য নির্মাণের বিষয়ে দ্বিমত করি। কোরআন সুন্নাহর আলোকে তা নাজায়েজ। মরহুম ব্যক্তিদের সম্মান ও মর্যাদার দৃষ্টিকোণ থেকে মনে করি যত্রতত্র ভাস্কর্য নির্মাণ এই ব্যক্তিদের সম্মানহানি হবে।

    যত্রতত্র এই ধরনের ভাস্কর্য করলে মানুষের মল-মূত্র ত্যাগ হবে, সেখানে মাথার উপর বিভিন্ন পাখি মলত্যাগ করবে, নানা ধরণের অসামাজিক কাজের আখড়া জমে যেতে পারে। যত্রতত্র বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য করলে সম্মান বৃদ্ধি হবে না, সম্মানহানির পরিবেশ তৈরি হবে।

    প্রসঙ্গত সোমবার দুপুরে ঢাকার একটি আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ করে মামুনুল হক, জুনায়েদ বাবুনগরী ও ফয়জুল করিমের বিরুদ্ধে মামলা করে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের আমিনুল ইসলাম বুলবুল।

    ফেসবুক লাইভের (https://fb.watch/2e5m9kFoBq/) বক্তব্যে মামুনুল হক উল্লেখ করেন, ২০১৩ সালে গণজাগরণ মঞ্চের মাধ্যমে ইসলামবিরোধী পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিলো। হঠাৎ গজিয়ে উঠা ভুঁইফোড় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চও এইরকম পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।

  • বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদে কুমিরা আ’লীগের বিক্ষোভ সমাবেশ

    বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদে কুমিরা আ’লীগের বিক্ষোভ সমাবেশ

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ায় নির্মাণাধীন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুর ও অবমাননার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে সীতাকুণ্ড উপজেলা কুমিরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ।

    আজ সোমবার(৭ ডিসেম্বর) বিকালে ছোট কুমিরাস্থ মছজিদ্দা এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে ঢাকা মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে বাজারে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    কুমিরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন (সওঃ) এর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অথিতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মোরশেদ হোসেন চৌধুরী।

    এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য মোঃ হারুন, মোঃ আলাউদ্দিন, আওয়ামীলীগ নেতা গাজী সেকান্দর, যুবলীগ সভপতি জিয়াউদ্দিন রাজু, ছাত্রনেতা সামী,নজরুল ইসলাম ঝিনুকসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মী।

    এসময় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু মানে একটি দেশ, একটি মানচিত্র, যার কারণে আমরা একটি দেশ পেয়েছি, একটি পতাকা পেয়েছি তার অবমাননা বাংলার জনগন কখনো সহ্য করবে না। যারা জাতির পিতার ভাস্কর্য ভেঙ্গেছে তাদেরকে কোন ছাড় নেই। অভিলম্বে মামুনুলহকগণকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দিতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানায়।

    ২৪ ঘণ্টা/দুলু

  • বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদে সীতাকুণ্ডে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ সমাবেশ

    বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদে সীতাকুণ্ডে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ সমাবেশ

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ায় নির্মাণাধীন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুর ও অবমাননার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে সীতাকুণ্ড উপজেলা ছাত্রলীগ।

    সোমবার বেলা ১১টায় সীতাকুণ্ড উত্তর বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে পৌরসদর প্রদক্ষিণ করে সীতাকুণ্ড বাজারে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শিহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক এস এম রিয়াদ জিলানীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান জীবন, কুমিরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান মিল্কি, মুরাদপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক জাহেদ পারভেজ বাপ্পিসহ উপজেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।

    সীতাকুণ্ড উপজেলা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ বলেন মৌলবাদী অপশক্তিকে প্রতিহত করতে সীতাকুণ্ড উপজেলা ছাত্রলীগ প্রস্তুত। আমরা রাজপথে ছিলাম রাজপথে আছি রাজপথে থেকে এই সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে সব সময় দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলব। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান বক্তরা।

    ২৪ ঘণ্টা/দুলু

  • ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্য : মামুনুল-বাবুনগরী-করীমের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা

    ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্য : মামুনুল-বাবুনগরী-করীমের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা

    ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্যের অভিযোগে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মোহাম্মদ জোনায়েদ ওরফে জুনায়েদ বাবুনগরী ও সৈয়দ ফয়জুল করীমের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়েছে।

    সোমবার মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বাদি হয়ে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে এ মামলা করেন। আদালত বাদির জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ডিআইজিকে আগামী ৭ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।

    মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়,আসামি মামুনুল হক গত ১৩ নভেম্বর রাজধানীর তোপখানা রোডের বিএমএ ভবনের মিলনায়তনে বক্তৃতায় বলেন, ‘যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন করে তারা বঙ্গবন্ধুর সুসন্তান হতে পারে না। এই মূর্তি স্থাপন বন্ধ করুন। যদি আমাদের আবেদন মানা না হয়, আবারও তৌহিদী জনতা নিয়ে শাপলা চত্বর কায়েম হবে।’

    একইদিন আসামি সৈয়দ ফয়জুল করীম ধোলাইখালের নিকটে গেন্ডারিয়া নামক স্থানে তার নসিহত শুনতে আসা সাধারণ মুসলমানদের হাত উঁচু করে শপথ পড়িয়ে বলেন, ‘আন্দোলন করব, সংগ্রাম করব, জেহাদ করব। রক্ত দিতে চাই না, দেয়া শুরু করলে বন্ধ করব না। রাশিয়ার লেলিনের বাহাত্তর ফুট মূর্তি যদি ক্রেন দিয়ে তুলে সাগরে নিক্ষেপ করতে পারে, তাহলে আমি মনে করি শেখ সাহেবের এই মূর্তি আজ হোক, কাল হোক খুলে বুড়িগঙ্গায় নিক্ষেপ করবে।’

    মোহাম্মদ জোনায়েদ ওরফে জুনায়েদ বাবুনগরী হাটহাজারীতে বলেন, ‘মদিনা সনদে যদি দেশ চলে তাহলে কোনো ভাস্কর্য থাকতে পারে না।’

    তিনি সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘ভাস্কর্য নির্মাণ পরিকল্পনা থেকে সরে না দাঁড়ালে আরেকটি শাপলা চত্বরের ঘটনা ঘটবে এবং ওই ভাস্কর্য ছুড়ে ফেলা হবে।’

    মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করে মামলার বাদি দাবি করেছেন, আসামিরা এরূপ ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্য দিয়ে ইসলাম ধর্মকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা ও সুযোগ-সুবিধা লাভের হীন উদ্দেশ্যে বিদেশি শক্তির সাথে হাত মিলিয়ে ধর্মের লেবাসে সাধারণ মুসলমানদের উসকানি দিয়ে, ক্ষেপিয়া তুলে রাষ্ট্র ও সমাজের মধ্যে ঘৃণা ও শত্রুভাব সৃষ্টি করেছে। যার ফলশ্রুতিতে আসামিদের নির্দেশে মধুদার ভাস্কর্য ও কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর নির্মিত ভাস্কর্যসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভাস্কর্য ভাঙা হচ্ছে। এইরূপ প্রচারণা ও উসকানি রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।

    অপর দিকে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠা ও নির্বাহী সভাপতি এডভোকেট আবদুল মালেক একই আদালতে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন। আদালত বাদির জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনর (পিবিআই) ডিআইজিকে আগামী ৭ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।

    এ মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ‘আসামি মামুনুল হক গত ১৩ নভেম্বর রাজধানীর তোপখানা রোডের বিএমএ মিলনায়তনের এক আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার হুমকি দেন।

    এ সময় তিনি বলেন, “লাশের পর লাশ পড়বে, তবুও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য গড়তে দেয়া হবে না।” আর এই বক্তব্যের ফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাবমূর্তি ও সম্মান ক্ষুণ্য হয়েছে।

  • কর্ণফুলীতে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুরের প্রতিবাদে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল

    কর্ণফুলীতে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুরের প্রতিবাদে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল

    নিজস্ব প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাংচুরের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম কর্ণফুলী উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কর্ণফুলী শাখা।

    রবিবার (০৬ ডিসেম্বর) সকালে আখতারুজ্জামান চত্বরের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় পরে বিক্ষোভ মিছিল উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল সমাপ্তি হয়।

    কর্ণফুলী ছাত্রলীগের আহবায়ক সাজ্জাদ হোসেন সাজিদ এর সভাপতিত্বে যুগ্ম আহবায়ক এম সাইফুদ্দিন এর সঞ্চানলায়

    বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মহসিন,সাঈদ হোসেন রিমন, সাইদুল ইসলাম টুটুল, এ এ আজাদ সোহেল, ইফতেকার রনি,গিয়াস উদ্দিন,কামাল উদ্দিন,আবদুল আল নোমান, কফিল উদ্দিন আহবায়ক কমিটির সদস্য হাসান,রুবেল, মঈনুদ্দিন মাহমুদ, মেজবাহ শুভ,নয়ন, লিটন,নাঈম,ছোটন, আলাউদ্দিন মাঝি, তানবীর আমিন শুভ,সন্জয় চৌধুরী,আহমেদ,ফয়সাল,তৌহিদ,বাপ্পি,আবু সুফিয়ান সাকিব ,এমদাদ রুবেল,ছাত্রলীগ নেতা এস এম মহিউদ্দিন, আকরাম, সাইফ,রাসেল, জাবেদ,ইকবাল,মুন্না,আসাফ,ইমন,আমজাত,মামুন,সজীব ,বাবু,কাজল,সাইফ,আলী,সাদ্দাম,আরমান ,আকবর,সাকিব,মাহিন জয় দাস সহ প্রমূখ

    এইসময় কর্ণফুলী উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক সাজ্জাদ হোসেন সাজিদ বলেন পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এদের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।এই গুটিকয়েক উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে প্রতিহত করতে হবে।যারা জাতির পিতার ভাস্কর্য ভেঙ্গেছে তাদের কোনোভাবেই ছাড় নয়।

    এইসময় কুষ্টিয়ায় যারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছে তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান বক্তরা।

    ২৪ ঘণ্টা/মহিউদ্দিন

  • বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে চবিতে মানববন্ধন

    বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে চবিতে মানববন্ধন

    চবি প্রতিনিধিঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) পরিবারের উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    রোববার (৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

    মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। এসময় উপাচার্য বলেন, দেশ যখন সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিণত হচ্ছে, ঠিক তখনই একটি কুচক্রীমহল তাদের হীন স্বার্থে জাতির পিতার ভাস্কর্য ভাঙার মতো ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে লিপ্ত হয়েছে। এই ঘৃণিত কাজের সাথে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

    এর আগে সকাল বেলাও ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকেরা বঙ্গবন্ধু চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক লায়লা খালেদা আঁখি, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক আবদুল ওয়াহেদ চৌধুরী পিলু, সহকারী প্রক্টর কাজিম নুর সোহাদ, আহসানুল কবির পলাশ, রামেন্দু পারিয়াল, সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক আরিফুল ইসলাম খান, আইন বিভাগের শিক্ষক হাসান মুহাম্মদ রোমেনসহ প্রমুখ।

    ২৪ ঘণ্টা/মেহেদী হাসান

  • বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে চবি ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল

    বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে চবি ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল

    চবি প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।

    শনিবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে জিরো পয়েন্টে এসে প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

    প্রতিবাদ সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক উপ-বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল হাসান দিনার বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্যে হামলা দেশের মানচিত্রে হামলার শামিল। এ দুঃসাহস যারা দেখিয়েছে, তাদের অতি দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।

    তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো চবি ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়নি। আমরা অতি দ্রুত ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের জোর দাবি জানাচ্ছি।

    এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা নিয়াজ আবেদিন পাঠান, রাজু মুন্সি, অনুপম রুদ্র, দ্বীন ইসলাম, মারুফসহ শতাধিক ছাত্রলীগ কর্মী।

    ২৪ ঘণ্টা/মেহদি