Tag: বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি

  • বঙ্গবন্ধু টি-২০’র চ্যাম্পিয়ন খুলনা

    বঙ্গবন্ধু টি-২০’র চ্যাম্পিয়ন খুলনা

    বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ ২০২০ এ গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে হারিয়ে আসরে শিরোপা জিতল জেমকন খুলনা। আগে ব্যাটিং করে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে ১৫৫ রান সংগ্রহ করে জেমকন খুলনা। জবাবে ১৫০ এ থামে চট্টগ্রাম। ৫ রানের জয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো খুলনা।

    শিরোপার জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে চার ও ছক্কা মেরে ভালো শুরু করেন চট্টগ্রামে লিটন দাস ও সৌম্য সরকার; তবে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। শুভাগত হোম রান তোলার গতিতে লাগাম টানার সাথে সাথে উইকেটও শিকার করেন। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই সৌম্যকে বোল্ড করেন তিনি। ওই ওভারেই ইমরুল কায়েস ক্যাচ ফেলাই জীবন পেয়েছিলেন সৌম্য।

    নিজের প্রথম ওভারে এসে আল আমিন হোসেন দুর্দান্ত পেসে নাকাল করেন মোহাম্মদ মিঠুনকে। চট্টগ্রামের অধিনায়ক ফেরেন ৭ রানে (৫ বল)। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিং করা লিটন রান আউট হন ২৩ রানে (২৩ বল)। ৫১ রানের মাথায় ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে চট্টগ্রাম।

    শামসুর রহমান শুভ ও সৈকত আলির ব্যাটে ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচ বের করে নেওয়ার পথে থাকে চট্টগ্রাম। সেই সময়েই মাত্র ৩ রানের এক দুর্দান্ত ওভার করে আল আমিন চট্টগ্রামকে চাপে ফেলে। ফলশ্রুতিতে পরে ওভারেই হাসান মাহমুদকে মেরে খেলতে গিয়ে লং অনে শুভাগতর তালুবন্দী হন শামসুর। ৩ চারে ২১ বলে ২৩ রান করেন তিনি।

    বেশ কিছু ক্যাচ হাতছাড়া করে খুলনার ফিল্ডাররা নিজেদের কঠিন ও সেই সাথে ম্যাচ জমিয়ে উঠতে সাহায্য করেন। শামসুর ফেরার পরে মোসাদ্দেক হোসেনের সাথে জুটি গড়েন সৈকত। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন মহাগুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে। ৪১ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন তিনি।

    জয়ের জন্য শেষ ওভারে চট্টগ্রামের দরকার ছিল ১৬ রান। প্রথম দুই বলে ৩ রান দেওয়ার পরে টানা দুই বলে মোসাদ্দেক ও সৈকতের উইকেট শিকার করে হ্যাটট্রিকের আশা জাগান শহিদুল ইসলাম। শেষ পর্যন্ত দলকে জিতিয়েই ওভার সম্পন্ন করেন এই পেসার। ৫ রানের জয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো জেমকন খুলনা।

    তার আগে টস হেরে ব্যাটিং করে খুলনা। শুরুতেই জহুরুল ইসলাম ও ইমরুল কায়েসের উইকেট হারায় দলটি। দুইটি উইকেটই শিকার করেন ডানহাতি স্পিনার নাহিদুল ইসলাম। ভালো খেলতে থাকা জাকির হাসান ২০ বলে ২৫ রান করে সহজ ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন।

    চতুর্থ উইকেটে ৪০ রানের জুটি গড়েন আরিফুল হক ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২৩ বলে ২১ রানের ধীরগতির ইনিংস খেলে আউট হন আরিফুল। শুভাগত হোম ১২ বলে ১৫ রান করে ফেরেন শরিফুল ইসলামের শিকার হয়ে।

    খুলনার পক্ষে একাই লড়াই করেছিলেন অধিনায়ক রিয়াদ। সপ্তম ওভারে নেমে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলেন তিনি। টুর্নামেন্টে নিজের সর্বোচ্চ ৭০ রান করেন খুলনার অধিনায়ক। তার ৪৮ বলের অপরাজিত ইনিংসটি সাজান ছিল ৬টি চার ও ২টি ছক্কায়।

    নির্ধারিত ২০ ওভারে খুলনা পেয়েছিল ১৫৫ রানের সংগ্রহ। চট্টগ্রামের পক্ষে নাহিদুল ও শরিফুল ২টি করে উইকেট শিকার করেন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    জেমকন খুলনা ১৫৫/৭ (২০ ওভার)
    রিয়াদ ৭০*, জাকির ২৫, আরিফুল ২১, শুভাগত ১৫, ইমরুল ৮, মাশরাফি ৫;
    নাহিদুল ২/১৯, শরিফুল ২/৩৩, মোসাদ্দেক ১/২০, মুস্তাফিজ ১/২৪।

    গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম ১৫০/৬ (২০ ওভার)
    সৈকত ৫৩, শামসুর ২৩, লিটন ২৩;
    শহিদুল ২/৩৩, শুভাগত ১/৮, আল আমিন ১/১৮।

    ফলাফল : ৫ রানের জয়ে চ্যাম্পিয়ন জেমকন খুলনা।

    ম্যাচসেরা: মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (জেমকন খুলনা)।

  • ঢাকাকে বিদায় করে দিয়ে ফাইনালে চট্টগ্রাম

    ঢাকাকে বিদায় করে দিয়ে ফাইনালে চট্টগ্রাম

    বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে বেক্সিমকো ঢাকাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। ১৮ ডিসেম্বরের ফাইনালে দলটির প্রতিপক্ষ জেমকন খুলনা।

    আসর জুড়ে বেশিরভাগ অধিনায়কই টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ঢাকার অধিনায়ক মুশফিক। এদিন বদলে যায় ঢাকার ওপেনিং জুটি। সাব্বির রহমানের সাথে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামেন মুক্তার আলী।

    তবে দলের এই পরীক্ষানিরীক্ষা সুফল বয়ে আনেনি। সাব্বির ১১ বলে ১১ ও মুক্তার ৭ বলে ৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন। নাঈম শেখ ১৭ বল মোকাবেলা করলেও ব্যাট হাতে সুবিধাও করতে পারেননি, রান করেন মাত্র ১২। ফের দায়িত্ব বর্তায় অধিনায়ক মুশফিক ও ইয়াসির আলির কাঁধে।

    ইয়াসির বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তোলার প্রচেষ্টা চালিয়ে গেলেও মুশফিক খেলছিলেন ধীরগতিতে। স্ট্রাইক রেট একশরও নিচে রেখে তাকে প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হয়। ৩১ বলে মাত্র ২৫ রান করে দুটি চার হাঁকানো মুশফিক। থিতু হতে পারেননি ইয়াসিরও। ২১ বলে ২৪ রান করে ধরেন মুশফিকের পথ। আল-আমিন জুনিয়র ১৮ বলে ২৫ রান করে সাজঘরে ফিরলে ব্যাকফুটে চলে যায় ঢাকা। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ঢাকা সংগ্রহ দাঁড়ায় ১১৬ রান। চট্টগ্রামের পক্ষে মুস্তাফিজুর রহমান তিনটি এবং শরিফুল ইসলাম দুটি উইকেট শিকার করেন।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ছন্দে থাকা দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকারের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় চট্টগ্রাম। সৌম্য সরকারের মারকুটে ব্যাটিং দলের রানের গতিও রেখেছে চাঙা। তবে সৌম্যকেই প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ধরতে হয় প্যাভিলিয়নের পথ। ৫টি চারে ২৩ বলে ২৭ রান করে তিনি আকবর আলীর রান আউটের শিকার হন।

    এরপর মোহাম্মদ মিঠুন রানের চাকা সচল রাখার দায়িত্ব নেন, আর সাবধানী ব্যাটিং চালিয়ে যান লিটন। ৪৯ বলে ৪০ রান করে অবশ্য আল-আমিন জুনিয়রের শিকার হতে হয় লিটনকে। মিঠুনও ৩৫ বলে ৩৪ রান করে বিদায় নেন। তবে সেটি দুই ব্যাটসম্যানের বিদায় জয়ের পথে বাধা হতে পারেনি। ম্যাচ শেষ ওভারে গড়ায়, যে ওভারে প্রয়োজন ছিল মাত্র ১ রান। শেষ ওভারের প্রথম বলেই ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় চট্টগ্রাম।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস : বেক্সিমকো ঢাকা

    বেক্সিমকো ঢাকা : ১১৬/১০ (২০ ওভার)
    মুশফিক ২৫, আল-আমিন ২৫, ইয়াসির ২৪, নাঈম ১২
    মুস্তাফিজ ৩২/৩, শরিফুল ১৭/২, নাহিদুল ১৫/১

    গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম : ১১৭/৩ (১৯.১ ওভার)
    লিটন ৪০, মিঠুন, সৌম্য ২৭, শামসুর ৯*
    আম-আমিন ৩/১, মুক্তার ২৮/১

    ফল : গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম ৭ উইকেটে জয়ী।

  • শ্বশুর অসুস্থ: ফাইনালের আগে যুক্তরাষ্ট্র ফিরে গেলেন সাকিব

    শ্বশুর অসুস্থ: ফাইনালের আগে যুক্তরাষ্ট্র ফিরে গেলেন সাকিব

    বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে জেমকন খুলনা। তবে ফাইনালে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে পাচ্ছে না দলটি। শ্বশুরের অসুস্থতার খবর জেনে জরুরি ভিত্তিতে আমেরিকায় যেতে হচ্ছে এই অলরাউন্ডারকে।

    খুলনার ম্যানেজার ও সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার নাফিস ইকবাল গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, সাকিবের শ্বশুর অসুস্থ হয়ে পড়ায় মঙ্গলবার রাতেই ঢাকা ছেড়ে যেতে হচ্ছে তাকে। হোটেল ছেড়ে গতকাল রাতেই তাকে চলে যেতে হয়েছে। ওর শ্বশুর অনেক দিন থেকে অসুস্থ ছিলেন। কালকে সাকিব জানতে পারে যে তিনি বেশ গুরুতর অসুস্থ এখন।

    যেহেতু পরিবার সবসময়ই সবকিছুর আগে এবং জেমকন খুলনা এটাকে সবসময় গুরুত্ব দেয় ও শ্রদ্ধা করে, আমাদের দিক থেকে তাই কোনো সমস্যা ছিল না, বলেন নাফিস।

    ‘জেমকন খুলনার পক্ষ থেকে আমরা সবাই তার পরিবারের জন্য দোয়া করছি। আশা করি সে নিরাপদে পৌঁছবে।

    সাকিবের স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশিরের পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে থাকে। এক বছরের নিষেধাজ্ঞার বড় একটি অংশ সাকিব কাটিয়েছেন সেখানেই। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে খেলার জন্য গত ৬ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরেন তিনি।

    প্রসঙ্গত গতকাল সোমবারই ফাইনাল নিশ্চিত করেছে খুলনা। শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম কোয়ালিফায়ারে জহুরুল ইসলামের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে খুলনার সংগ্রহ ২১০ রান।

    যেখানে সাকিব ব্যাট হাতে ১৫ বলে করেছেন ২৮ রান। এর পর কঠিন এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে মাশরাফির দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৯.৪ ওভারে ১৬৩ রানেই অলআউট হয়েছে চট্টগ্রাম। সেখানে বল হাতেও অবদান ছিল সাকিবের। ৩২ রানে নিয়েছেন একটি উইকেট।

  • জহুরুল-মাশরাফি নৈপুণ্যে ফাইনালে খুলনা

    জহুরুল-মাশরাফি নৈপুণ্যে ফাইনালে খুলনা

    বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে উঠেছে জেমকন খুলনা। প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে প্রতিপক্ষ গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে ৪৭ রানে হারিয়েছে মাশরাফি, সাকিব, রিয়াদের দল। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মত ৫ উইকেট শিকার করেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।

    সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২১০ রানের পাহাড় দাঁড় করে খুলনা। দলের পক্ষে ৮০ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলেন ওপেনার জহুরুল ইসলাম।

    ৫১ বলের মোকাবেলায় জহুরুল হাঁকান ৫টি চার ও ৪টি ছক্কা। তার বিদায়ের পর ঝড়ো ব্যাটিংয়ের ধারা অব্যাহত রাখেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সাকিব আল হাসান। রিয়াদ মাত্র ৯ বলেই করেন ৩০ রান, ২টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে। ২টি করে চার-ছক্কা হাঁকানো সাকিব ১৫ বলে ২৮ রান করেন। ১৫ রান আসে আরিফুল হকের ব্যাট থেকে।

    ১২ ছক্কার ইনিংসে একটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজাও। চট্টগ্রামের পক্ষে মুস্তাফিজুর রহমান শিকার করেন ২টি উইকেট।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম ওভারে দারুণ শুরুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন লিটন দাস। তবে এই ওভারে নিজের প্রথম বল মোকাবেলা করতে গিয়ে মাশরাফি বিন মুর্তজার শিকারে পরিণত হন গোল্ডেন ডাকের তিক্ত অভিজ্ঞতা পাওয়া সৌম্য সরকার। লিটনও নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৩ বলে ২৬ রান করে তিনিও মাশরাফির শিকারে পরিণত হন।

    মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে উইকেটে সেট হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। তবে ২৭ বলে ৩১ রান করে তিনিও মাশরাফির শিকার হন। এরপর লড়াই একাই চালিয়ে গেছেন চট্টগ্রামের অধিনায়ক। আসরে নিজের প্রথম অর্ধশতকের দেখা পাওয়ার একটু পর অবশ্য আউট হয়ে যান। ৩টি করে চার-ছক্কা হাঁকিয়ে ৩৫ বলে ৫৩ রান করেন মিঠুন। মাশরাফির বোলিং তোপে শেষদিকে আর কেউই জ্বলে উঠতে পারেননি। শামসুর রহমান ও মুস্তাফিজুর রহমানকেও সাজঘরে ফেরান ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’। ১৯.৪ ওভারে চট্টগ্রাম অলআউট হয় ১৬৩ রানে। মাশরাফির পাঁচ উইকেট শিকারের দিনে দুটি করে উইকেট শিকার করেন আরিফুল হক ও হাসান মাহমুদ। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন মাশরাফি।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস : গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম

    জেমকন খুলনা : ২১০/৭ (২০ ওভার)
    জুহুরুল ৮০, রিয়াদ ৩০, সাকিব ২৮, ইমরুল ২৫
    মুস্তাফিজ ৩১/২, মোসাদ্দেক ২৭/১

    গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম : ১৬৩/১০ (১৯.৪ ওভার)
    মিঠুন ৫৩, জয় ৩১, লিটন ২৪
    মাশরাফি ৩৫/৫, আরিফুল ২৬/২্, হাসান ৩৫/২

    ফল : জেমকন খুলনা ৪৭ রানে জয়ী।

  • বরিশালকে বিদায় করে কোয়ালিফায়ারে ঢাকা

    বরিশালকে বিদায় করে কোয়ালিফায়ারে ঢাকা

    শ্বাসরুদ্ধকর এক জয়ে কোয়ালিফায়ারে পৌঁছে গেল বেক্সিমকো ঢাকা। আগে ব্যাটিং করে ইয়াসির আলির অর্ধশতকে ১৫০ রানের সংগ্রহ পায় মুশফিকুর রহিমের দল। জবাবে রানে ১৪১ থামে বরিশাল। ৯ রানের জয়ে বরিশালকে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় করে দিল ঢাকা।

    ১৫১ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিলেন সাইফ হাসান। কিন্তু তার ৩টি চারের ইনিংস থেমে যায় ওই ১২ রানেই। শফিকুল ইসলামের বলে ড্রাইভ করতে ব্যর্থ হয়ে বোল্ড হয়ে যান সাইফ। তারপর তামিম ইকবাল ও পারভেজ হোসেন ইমন ধীরগতিতে খেলেন। ১১ বলে ২ রান করে ইমন বোল্ড হয় রবিউল ইসলাম রবির বলে।

    ২৮ বলে ২২ রান করে আউট হন তামিম। ওদিকে ত্বরত্বর করে বাড়তে থাকে বরিশালের প্রয়োজনীয় রানরেট। আফিফ হোসেন ধ্রুব দ্রুতগতিতে রান তুলে বরিশালের জয়ের আশা জিইয়ে রাখেন। শুরুতেই একবার তাকে আম্পায়ার আউট দিয়েছিল তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান আফিফ।

    ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ফিল্ডারদের ভুলে রান আউট থেকেও বেঁচে যান আফিফ। তবে ওই ওভারেই টানা দুই বলে তৌহিদ হৃদয় ও সোহরাওয়ার্দী শুভকে আউট করেন ম্যাচ ঢাকার পক্ষে হেলিয়ে দেন আল আমিন জুনিয়র। অপরপ্রান্তে ৩২ বলে অর্ধশতক তুলে নেন আফিফ।

    দলকে কঠিন সমীকরণের সামনে দাঁড় করিয়ে ৩৫ বলে ৫৫ রান করে বিদায় নেন আফিফ। তার ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ৪টি ছক্কা। আফিফের বিদায়ের সাথে সাথে বরিশালের বিদায় ঘণ্টাও বেজে যায়। তবে শেষে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিলেন মিরাজ। কিন্তু তা যথেষ্ট হয়নি। ৯ রানের হারে বরিশালকে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয়েছে।

    আল আমিন ৪ ওভারে ২২ রান খরচায় নেন ২টি উইকেট। রবি ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান খরচায় নেন ১টি উইকেট।

    তার আগে টস হেরে ব্যাটিং করে ঢাকা। বরিশালের পক্ষে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন তাসকিন আহমেদ। অধিনায়কের সিদ্ধান্তের প্রতিদান দিয়ে বরিশালের বোলাররা ভালো শুরু করেন। পাওয়ারপ্লের মধ্যেই ঢাকার ৩টি উইকেট তুলে নেন তারা। প্রথম ৬ ওভারে ঢাকা সংগ্রহ করে কেবল ২৪ রান। ঢাকা শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তারপরে তাসকিন আহমেদ। মোহাম্মদ নাঈম শেখ ৫ (১১), আল আমিন জুনিয়র ০ (২) ও সাব্বির রহমান ৮ (১৪) ফিরে যান। সাব্বিরকে বোল্ড করেন সোহরাওয়ার্দী শুভ।

    ইয়াসির আলি রাব্বিকে সাথে নিয়ে ঢাকার ব্যাটিং বিপর্যয় সামাল দেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। দ্বিতীয় উইকেটে তারা গড়েন ৪৮ রানের জুটি। মুশফিক ৩০ বলে ৪৩ রান করে বিদায় নেন।

    বোলার কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে সুবিধামতো শট না নিতে না পারার ফলে বোলারদের হাতেই তালুবন্দী হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

    চতুর্থ উইকেটে জুটি গড়েন ইয়াসির ও আকবর আলি। ইয়াসির এক প্রান্তে ধীরগতিতে ব্যাটিং করলেও আকবর নেমেই দ্রুত রান তুলতে থাকেন। তবে থিতু হতে পারেননি আকবর। ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৯ বলে ২৩ রানের ছোট্ট ঝড় তুলে মিরাজের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন এই তরুণ ব্যাটসম্যান।

    ঢাকার পক্ষে সর্বোচ্চ ইনিংস আছে ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যান ইয়াসিরের উইলো থেকে। ৪৩ বলে ৫৪ রান করে কামরুলের শিকার হন ইয়াসির। তার ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ২টি ছক্কা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ঢাকা পেয়েছে ১৫০ রানের সংগ্রহ।

    বরিশালের স্পিনার মিরাজ ৪ ওভারে ২৩ রান খরচায় নেন ২টি উইকেট। ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে তাসকিন নেন ১টি উইকেট। অপরদিকে খরুচে বোলার কামরুল ২টি উইকেট পেলেও খরচ করেন ৪০ রান।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    বেক্সিমকো ঢাকা ১৫০/৮ (২০ ওভার)
    ইয়াসির ৫৪, মুশফিক ৪৩, আকবর ২১;
    মিরাজ ২/২৩, কামরুল ২/৪০, তাসকিন ১/২১, শুভ ১/৩২।

    ফরচুন বরিশাল ১৪১/৯ (২০ ওভার)
    আফিফ ৫৫, তামিম ২২;
    আল আমিন ২/২২

    ফল: বেক্সিমকো ঢাকা ৯ রানে জয়ী।

  • নাঈমের সেঞ্চুরি সত্ত্বেও হেরে গেল ঢাকা, প্লে-অফে বরিশাল

    নাঈমের সেঞ্চুরি সত্ত্বেও হেরে গেল ঢাকা, প্লে-অফে বরিশাল

    বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে বেক্সিমকো ঢাকাকে ২ রানে হারিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে ফরচুন বরিশাল। বরিশালের জয়ে প্লে-অফের আগেই বাদ পড়ল মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। অন্যদিকে তৃতীয় স্থানে থেকেই লিগ পর্ব শেষ করল ঢাকা।

    ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করে বরিশাল। দলের পক্ষে অর্ধশতক হাঁকান সাইফ হাসান, আফিফ হোসেন ধ্রুব ও তৌহিদ হৃদয়।

    ৪৩ বলে ৫০ রান করা সাইফ গড়ে দিয়েছিলেন ইনিংসের ভিত। তামিম ইকবাল ১৯ ও পারভেজ হোসেন ইমন করেন ১৩ রান। তাদের সমর্থন কাজে লাগিয়ে শেষদিকে বিধ্বংসী রুপ নেন আফিফ ও হৃদয়। চতুর্থ উইকেটে দুজনে গড়েন ৯১ রানের অনবদ্য অবিচ্ছিন্ন পার্টনারশিপ, মাত্র ৩৮ বলে।

    ১ চার ও ৫ ছক্কায় আফিফ ২৫ বলে ৫০ এবং ২ চার ও ৪ ছক্কায় হৃদয় ২২ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন। হৃদয়ের ব্যাট থেকে আসে টুর্নামেন্টের দ্রুততম ফিফটি, আফিফের ফিফটি ছিল টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দ্রুততম।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে সোহরাওয়ার্দী শুভর বোলিং তোপে পড়ে ঢাকা। ৬২ রানের মধ্যেই ঢাকার তিন ব্যাটসম্যানকে শিকার করে নেন শুভ। এরপর প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ওপেনার নাঈম শেখ ও ইয়াসির আলী রাব্বি। নাঈমের বিধ্বংসী ব্যাটিং ঢাকাকে নিয়ে যায় জয়ের কাছে। ৬০ বলে শতক হাঁকান নাঈম, যিনি অর্ধশতক করেছিলেন ৪৩ বলে। নাঈম যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, ঢাকার জয়কে মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। তবে ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে নাঈমকে শিকার করেন সুমন খান। ৬৪ বলে ১০৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনার, হাঁকান ৮টি চার ও ৭টি ছক্কা। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। ঐ ওভারে রান আউট হন ইয়াসির (২৮ বলে ৪১)। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ঢাকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৯১ রান। বরিশাল পায় ২ রানের কষ্টার্জিত জয়।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস : বেক্সিমকো ঢাকা

    ফরচুন বরিশাল : ১৯৩/৩ (২০ ওভার)
    হৃদয় ৫১*, আফিফ ৫০*, সাইফ ৫০
    আল-আমিন ৫/১, রুবেল ২৮/১, মুক্তার ৪৮/১

    বেক্সিমকো ঢাকা : ১৯১/৫ (২০ ওভার)
    নাঈম ১০৫, ইয়াসির ৪১, সাব্বির ১৯
    শুভ ১৩/৩

    ফল : ফরচুন বরিশাল ২ রানে জয়ী।

  • রাজশাহীকে হারিয়ে শীর্ষে থেকেই লিগ পর্ব শেষ করল চট্টগ্রাম

    রাজশাহীকে হারিয়ে শীর্ষে থেকেই লিগ পর্ব শেষ করল চট্টগ্রাম

    বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে জয় দিয়ে গ্রুপ পর্ব শেষ করলো গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। নিজেদের শেষ ম্যাচে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীকে ৩৬ রানে হারিয়েছে দলটি।

    প্লে-অফে যাওয়ার দৌড়ে টিকে থাকতে হলে এই ম্যাচ জিততেই হতো মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীকে। তবে চট্টগ্রামের কাছে হারলেও প্লে-অফে যাওয়ার দৌড় থেকে এখনো ছিটকে যায়নি রাজশাহী। শনিবার মিরপুরে চট্টগ্রামের দেওয়া ১৭৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় রাজশাহী।

    দলীয় ১০ রানে নাহিদুল ইসলামের বলে ‘ডাউন দ্য উইকেটে’ মারতে এসে স্ট্যাম্পিং হন পুরো টুর্নামেন্টে রাজশাহীর হয়ে দুর্দান্ত খেলা আনিসুল ইসলাম। এই ম্যাচে রান পাননি আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা এবং রাজশাহীর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। মাত্র ১১ রান করে নাহিদুলের বলে আউট হন তিনি। দলের অধিনায়কের বিদায়ের পর দলীয় ১০ রান যোগ করতেই সাজঘরে ফিরেন রনি তালুকদার (১৬)।

    চট্টগ্রামকে তৃতীয় উইকেটও এনে দেন নাহিদুল। ৩৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে রাজশাহী। দ্রুত উইকেট তুলে নিয়ে ক্রিজে থাকা দুই ব্যাটসম্যান- ফজলে মাহমুদ এবং নুরুল হাসানকে চেপে ধরে চট্টগ্রামের বোলাররা। সেই সাথে কমে রাজশাহীর রান তোলার গতিও। দুই ব্যাটসম্যান মিলে গড়েন ৩৬ রানের জুটি।

    নুরুল-ফজলের জুটি ভাঙেন রাকিবুল। এই বাঁহাতি স্পিনারের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলেও উইকেটকিপার লিটনের পরামর্শে রিভিউ নেন মিঠুন। ফলে ২০ বলে ১৯ রান করেই সাজঘরে ফিরেন ফজলে। দ্রুত সাজঘরে ফিরে যান সাইফউদ্দিন। তার বিদায়ের পর রাজশাহীর পরাজয় ছিল কেবল সময়ের ব্যাপার। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রান জড়ো করে শান্তর দল। ৩ উইকেট শিকার করে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন নাহিদুল ইসলাম।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস : মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী

    গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম : ১৭৫/৪ (২০ ওভার)
    সৌম্য ৬৩, লিটন ৫৫, শামসুর ৩০*
    আনিসুল ২১/২, সাইফউদ্দিন ৩২/১

    মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী : ১৩৯/৮ (২০ ওভার)
    সোহান ২৮, মেহেদী ২৬, ফজলে ১৯
    নাহিদুল ১৯/৩, জিয়া ১৭/২

    ফল : গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম ৩৬ রানে জয়ী।

  • বরিশালকে হেসেখেলে হারাল চট্টগ্রাম

    বরিশালকে হেসেখেলে হারাল চট্টগ্রাম

    বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ১৮তম ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান নিশ্চিত করেছে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম পেয়েছে ৭ উইকেটের জয়।

    টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান জড়ো করে বরিশাল। অর্ধশতকের খুব কাছে গিয়েও হতাশ হয়ে ফিরতে হয় দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সাইফ হাসানকে। সাইফ ৩৩ বলে ৪৬ ও তামিম ৩৯ বলে ৪৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন।

    ১১তম ওভারে ৮৭ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙলে খেই হারায় বরিশাল। কাছাকাছি সময়ে সাজঘরে ফেরেন সাইফ ও তামিম। এরপর কেউই প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যাটিং করতে পারছিলেন না। শেষদিকে আফিফ হোসেন ধ্রুবর ১৬ বলে ২৮ রানের ঝড়ো ইনিংস দলকে এনে দেয় সম্মানজনক পুজি। চট্টগ্রামের পক্ষে দুটি করে উইকেট শিকার করেন সঞ্জিত সাহা, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও জিয়াউর রহমান।

    মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলামের মত এই ম্যাচে বিশ্রাম পেয়েছিল লিটন দাস। সৌম্য সরকার তাই ব্যাটিং সূচনা করতে নামেন সৈকত আলীকে সঙ্গে নিয়ে। বরিশালের বিপক্ষে আগের দেখায় ক্যামিও খেলা সৈকত সৌম্যকে নিয়ে দেখেশুনে খেলে যান। উদ্বোধনী জুটিতে দুজনে যোগ করেন ৭৯ রান।

    ৩৩ বলে ৩৯ রান করে সৈকত বিদায় নিলে সৌম্য সঙ্গ পান মাহমুদুল হাসান জয়ের। জয়ের সমর্থনে সৌম্য অর্ধশতকও পূর্ণ করেন। তবে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়তে পারেননি। ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৭ বলে ৬২ রানের সৌম্য ঝড় থামে দলীয় ১১৯ রানে, দল যখন জয় থেকে সামান্য দূরে। ব্যাট হাতে এদিনও ব্যর্থ হন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। ৩ রান করে সুমন খানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন সাজঘরে। তবে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন মাহমুদুল হাসান জয়। ২৭ বলের মোকাবেলায় ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। চট্টগ্রাম জয় পায় ৭ উইকেট ও ৮ বল হাতে রেখেই।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস : গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম

    ফরচুন বরিশাল : ১৪৯/৬ (২০ ওভার)
    সাইফ ৪৬, তামিম ৪৩, আফিফ ২৮*
    মোসাদ্দেক ১৬/২, সঞ্জিত ২২/২, জিয়াউর ২৫/২

    গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম : ১৫৩/৩ (১৮.৪ ওভার)
    সৌম্য ৬২, সৈকত ৩৯, জয় ৩১*
    সুমন ৩০/২, মিরাজ ৩২/১

    ফল : গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম ৭ উইকেটে জয়ী।

  • রবির দুর্দান্ত বোলিংয়ে শেষ চারে ঢাকা,ব্যাটে-বলে ব্যর্থ খুলনার সাকিব

    রবির দুর্দান্ত বোলিংয়ে শেষ চারে ঢাকা,ব্যাটে-বলে ব্যর্থ খুলনার সাকিব

    জেমকন খুলনার সাথে দ্বিতীয় দেখায় ব্যাট ও বল দুই বিভাগেই দাপট দেখিয়েছে বেক্সিমকো ঢাকা। ব্যাট হাতে সাব্বির-নাঈম-আকবরদের পরে বল হাতেও দলের ভরসার প্রমাণ দেন রবি-মুক্তাররা। দলগত এই নৈপূণ্যে ২০ রানের জয় পেয়েছে মুশফিকুর রহিমের দল। রবিউল ইসলাম রবি পেয়েছেন ৫টি উইকেট।

    টস হেরে আগে ব্যাটিং করে বেক্সিমকো ঢাকা নির্ধারিত ২০ ওভারে সংগ্রহ করে ১৭৯ রান। সাব্বির রহমানের সাথে ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে সাকিব আল হাসানের ওপরে চড়াও হয়ে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ২৬ রান সংগ্রহ করেন মোহাম্মদ নাঈম। ১৭ বলে ৩৬ রান করে শহিদুল ইসলামের শিকার হন তিনি। দলে যোগ দিয়েই একাদশে সুযোগ পেয়ে তা কাজে লাগান আল আমিন জুনিয়র। তিনি ২৫ বলে ৩৬ রান করেন।

    নাঈমের মতোই এক ওভারে চারটি ছক্কা হাঁকান আকবর আলিও। তার আক্রমণে বিধ্বস্ত হন নাজমুল ইসলাম অপু। এই বিশ্বকাপজয়ী ব্যাটসম্যান ১৪ বলে ৩১ রানের ক্যামিও দেখান। এরপরে আর কেউ বলার মতো রান করতে পারেননি। তবে একপ্রান্ত আগলে ছিলেন সাব্বির।

    ইনিংস উদ্বোধন করতে নামা সাব্বির করেন ৩৮ বলে ৫৬ রান। তার ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা। স্ট্রাইকরেট ১৪৭.৩৬!

    মাশরাফি ৪ ওভারে ২৬ রান খরচায় শিকার করেন একটি উইকেট। হাসান ২৩ রানে ১টি ও শহিদুল ৩১ রান খরচে নেন ২টি উইকেট। প্রথম ওভারে কেবল ৩ রান খরচ করার পরেও ৪ ওভার শেষে ৫১ রান খরচ করেন অপু। সাকিব ৩ ওভারে দেন ৩৬ রান।

    বড় লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি খুলনা। ঢাকার পক্ষে প্রথম দুইটি সাফল্যই এনে দেন রবিউল ইসলাম রবি। জাকির হাসানকে ১ রানে ও সাকিব আল হাসানকে ৮ রানে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান এই স্পিনার।

    মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ধীরগতিতে ২৩ রান (২৬ বল) করেন। মাশরাফি ১ ও আরিফুল ৭ রানে ফিরে যান। সম্ভাবনা দেখিয়েছিলেন শামীম হোসেন। তবে তিনিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ২ চার ও ২ ছক্কায় ৯ বলে ২৪ রান করে বিদায় নেন এই তরুণ।

    সতীর্থদের আসা-যাওয়া দেখতে দেখতে অর্ধশতক তুলে নেন জহুরুল ইসলাম। ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৬ বলে ৫৩ রান করেন তিনি। তবে তার একার এই লড়াই খুলনাকে জেতাতে সক্ষম হয়নি। খুলনা অলআউট হয়েছে ১৫৯ রানে। ফলে ঢাকা পেল ২০ রানের জয়।

    ঢাকার পক্ষে রুবেল ও মুক্তার আলি ২টি করে উইকেট শিকার করেন। রবি একাই শিকার করেন ৫টি উইকেট।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    বেক্সিমকো ঢাকা ১৭৯/৭ (২০ ওভার)
    সাব্বির ৫৬, আল আমিন ৩৬, আকবর ৩১;
    শহিদুল ২/৩১, হাসান ১/২৩, মাশরাফি ১/২৬, অপু ১/৫১;

    জেমকন খুলনা ১৫৯/১০ (১৯.৩ ওভার)
    জহুরুল ৫৩, শামীম ২৪, রিয়াদ ২৬,
    রবি ৫/২৭, রুবেল ২/৩০, মুক্তার ৪/৩৫;

    বেক্সিমকো ঢাকা ২০ রানে জয়ী।

  • রেকর্ডময় খেলায় রাজশাহীকে হারাল বরিশাল

    রেকর্ডময় খেলায় রাজশাহীকে হারাল বরিশাল

    রান বন্যা ও রেকর্ডময় এক ম্যাচ দেখলো বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। নাজমুল হোসেন শান্তর ঝড়ো সেঞ্চুরিতে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী আগে ব্যাটিং করে সংগ্রহ করে টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ ২২০ রান। পারভেজ হোসেন ইমনের সেঞ্চুরিতে ম্যাচটি ৮ উইকেটে নিজেদের করে নিয়েছে ফরচুন বরিশাল। এই ম্যাচে হ্যাটট্রিকও করেছেন কামরুল ইসলাম রাব্বি।

    বরিশালের বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে রাজশাহী। উত্তরবঙ্গের দলটির পক্ষে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন নাজমুল হাসান শান্ত ও আনিসুল ইসলাম ইমন। টুর্নামেন্টে পাওয়ারপ্লেতে সর্বোচ্চ ৬৪ রানের রেকর্ড গড়েন এই দুইজন। তবে সে রেকর্ড পরের ইনিংসেই ভেঙে দেয় বরিশাল।

    উদ্বোধনী জুটিতে ১৩১ রান তোলেন ইমন ও শান্ত। ৩৯ বলে ৬৯ রানের এক ঝড়ো ইনিংস খেলে বিদায় নেন ইমন। সুমন খানের শিকার হওয়ার আগে এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান হাঁকান ৭টি চার ও ৩টি ছক্কা। তার স্ট্রাইকরেট ছিল ১৭৬.৯২!

    রনি তালুকদার ১২ বলে ১৮ রান করে সুমনের এক উড়ন্ত ফিরতি ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন। পরের বলেই রান আউট হয়ে ফেরেন শেখ মেহেদী হাসান। তবে তাতে রাজশাহীর রান তোলায় মোটেও ভাটা পড়েনি। বরং সময়ের সাথে রান তোলার গতি বাড়িয়েছেন শান্ত।

    একপ্রান্ত আগলে রেখে সেঞ্চুরি তুলে নেন রাজশাহীর অধিনায়ক। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে এটিই প্রথম সেঞ্চুরি। ৫২ বলে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন শান্ত। চলতি বছরে ও টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারেই এটা তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। বছরের শুরুতে জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন তিনি।

    শান্তর ১০৯ রানের টর্নেডো ইনিংস শেষ হয় কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে তামিমের তালুবন্দী হয়ে। তার ৫৫ বলের ইনিংসে মোট ৪টি চার ও ১১টি ছক্কা ছিল।

    শেষ ওভারে নুরুল হাসান সোহান, শান্ত ও ফরহাদ রেজার টানা উইকেটে হ্যাটট্রিকের দেখা পান কামরুল ইসলাম রাব্বি। চতুর্থ বাংলাদেশি বোলার হিসাবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে হ্যাটট্রিকের রেকর্ড গড়লেন এই পেসার। এক বল পরের মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের উইকেটসহ শেষ ওভারে মোট ৪টি উইকেট পান তিনি।

    নির্ধারিত ২০ ওভারে রাজশাহী পায় ২২০ রানের সংগ্রহ। যা টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।

    বরিশালও উড়ন্ত শুরু পায় সাইফ হাসান ও তামিম ইকবালের ব্যাটে। পাওয়ারপ্লেতে আগের ইনিংসের রেকর্ড ভেঙে ৬৭ রান সংগ্রহ করে বরিশাল। উড়ন্ত সূচনা এনে দেওয়া সাইফ হাসান ২টি করে চার ও ছক্কায় ১৫ বলে ২৭ রান করে সাইফউদ্দিনের শিকারে পরিণত হন। তারপরে বরিশালকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন।

    ৩৪ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন বরিশালের অধিনায়ক তামিম। অপরপ্রান্তে ২৫ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন পারভেজ। অর্ধশতক পূর্ণ করার পরে ইমনের রান তোলার গতি আরও বৃদ্ধি পায়। তবে রান আউট হয়ে যান তামিম। ৩৭ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় ৫৩ রান করেন তিনি। ইমন ও তামিমের জুটি হয়েছিল ৫৩ বলে ১১৭ রানের।

    তামিম ফেরার পরে আফিফ হোসেন ধ্রুবকে সাথে নিয়ে বাকি কাজটা সম্পূর্ণ করেন পারভেজ। মাত্র ৪২ বলে সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি, যা বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দ্রুততম। পারভেজের ম্যাচজয়ী ইনিংসটিতে ছিল ৯টি চার ও ৭টি ছক্কা। আফিফ অপরাজিত থাকেন ১৬ বলে ২৬ রানে।

    ১১ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের বড় জয় পায় বরিশাল। এই হারে টানা ৫টি ম্যাচ হারলো রাজশাহী। অপরদিকে টানা তিন ম্যাচ হারের পরে জয় পেল বরিশাল।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী ২২০/৭ (২০ ওভার)
    শান্ত ১০৯, ইমন ৬৯;
    রাব্বি ৪/৪৩, সুমন ২/৪৩।

    ফরচুন বরিশাল ২২১/২ (১৮.১ ওভার)
    পারভেজ ১০০*, তামিম ৫৩,
    সাইফ ১/৪০।

    ফরচুন বরিশাল ৮ উইকেটে জয়ী।

  • বরিশালের বিপক্ষে খুলনার দাপুটে জয়

    বরিশালের বিপক্ষে খুলনার দাপুটে জয়

    দ্বিতীয়বারের দেখায়ও তামিম ইকবালের দলকে হারালেন সাকিব-রিয়াদরা। জাকির হোসেনের ব্যাটে ভর করে বড় সংগ্রহ করার পরে বল হাতে ভালো করেছে জেমকন খুলনার বোলাররাও। ফরচুন বরিশালকে তারা ১২৫ রানে অলআউট করে ৪৮ রানের জয় পেয়েছে।

    ১৭৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে পারভেজ হোসেন ইমনকে সাথে নিয়ে বরিশালকে ভালো শুরু এনে দেন তামিম ইকবাল। শুভাগত হোমের এক ওভারেই ম্যাচে ফিরে আসে খুলনা। শুভাগত ও শামীম হোসেনের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে খুলনা এগিয়ে যায়। এক ওভারেই শুভাগত শিকার করেন তামিম ও পারভেজকে। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হন পারভেজ ও ক্যাচ আউট হন তামিম।

    ১ ছক্কা ও ৪ চারে ২১ বলে ৩২ রান করেন বরিশালের অধিনায়ক তামিম। পারভেজের ব্যাট থেকে ১ ছক্কায় ১৯ রান। তারা দুইজনে ফেরার পরের ওভারেই রান আউটের শিকার হন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ম্যাচে ফেরার পরে খুলনার বোলাররাও বেশ ইকোনোমিকাল হয়ে ওঠেন।

    ইরফান শুক্কুর ও তৌহিদ হৃদয় জুটি গড়ে বরিশালকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। তাদের ৩১ রানের জুটি ভেঙে দেন সাকিব আল হাসান। তারপর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে নিয়ে এগোতে থাকেন হৃদয়। তবে ততক্ষণে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বরিশাল। আল আমিন হোসেনের বলে শামীমের এক অসাধারণ ক্যাচে সাজঘরের পথ ধরেন অঙ্কন।

    বরিশালের পক্ষে একাই লড়াই করতে থাকা হৃদয়কে ফেরান হাসান মাহমুদ। আরিফুল হকের হাতে এক সহজ ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। করেন ২৭ বলে ৩৩ রান। সেই ওভারে তাসকিনকেও শিকার করেন হাসান।

    শেষ ওভারে শহিদুল ইসলাম পান ২টি উইকেট এবং একটি রান আউট হয়। বরিশাল অলআউট হয়ে ১২৫ রানে। ফলে জেমকন খুলনা পেয়েছে ৪৮ রানের জয়। টুর্নামেন্টে এটি খুলনার তৃতীয় জয়।

    তার আগে বড় পরিবর্তন এনে খুলনা ইনিংস উদ্বোধনে পাঠায় জাকির হাসান ও জহুরুল ইসলাম অমিকে। শুরতেই তাদের চেপে ধরেন আবু জায়েদ রাহি ও তাসকিন আহমেদ। তাসকিনের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন জহুরুল। ফেরার আগে করেন ১০ বলে ২ রান।

    দ্বিতীয় উইকেটে হাত খুলে খেলতে থাকেন ইমরুল কায়েস ও জাকির। টুর্নামেন্টে প্রথম সুযোগ পেয়েই অর্ধশতক হাঁকান জাকির। ৩৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এই দুইজনের ব্যাটে দারুণ গতিতে এগিয়ে চলছিল খুলনা। সেই সময়ে ইমরুলকে শিকার করে ব্রেক থ্রু এনে দেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। পরের ওভারে জাকিরকে শিকার করেন তাসকিন।

    ৩৪ বলে ৩৭ রান করে তামিমের তালুবন্দী হন ইমরুল। তার ইনিংসে ছিল ২টি চার ও একটি ছক্কা। দৃষ্টিনন্দন সব শটে জাকির করেন ৪২ বলে ৬৩ রান। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ১০ চার দিয়ে।

    সাকিব ভালো শুরু করলেও তা ধরে রাখতে ব্যর্থ হন। তানভীর ইসলামের বলে সীমনার কাছে তৌহিদ হৃদয়ের তালুবন্দী হয়ে সাজঘরে ফেরেন সাকিব। তিনি ২ চারে করেন ১০ বলে ১২ রান।

    শেষ দিকে অধিনায়ক রিয়াদের ১৪ বলে ২৪ রানের ক্যামিওতে খুলনা সংগ্রহ করেছিল ১৭৩ রান। ১ বলে ৬ রানে আরিফুল হক ও ২ বলে ৫ রানে শুভাগত হোম অপরাজিত থাকেন।

    আজকেও দুর্দান্ত বোলিং করেন শুরু বরিশালের পেসার তাসকিন। কিন্তু শেষটা রাঙাতে পারেননি তিনি। ৪৩ রান খরচায় নেন ২টি উইকেট। শেষ ওভারে ২টিসহ মোট ৩টি উইকেট পান রাব্বি।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    জেমকন খুলনা ১৭৩/৬ (২০ ওভার)
    জাকির ৬৩, ইমরুল ৩৭, রিয়াদ ২৪, সাকিব ১২;
    রাব্বি ৩/৩৩, তাসকিন ২/৪৩, তানভীর ১/১৬।

    ফরচুন বরিশাল ১২৫/১০ (১৯.৫ ওভার)
    হৃদয় ৩৩, তামিম ৩২, পারভেজ ১৯, ইরফান ১৬;
    শহিদুল ২/১৭, শুভাগত ২/১৮, হাসান ২/১৮, সাকিব ২২/১।

  • শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে শেষ হাসি চট্টগ্রামের

    শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে শেষ হাসি চট্টগ্রামের

    পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দলের লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসলো গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের দেওয়া রানের ১৭৬ রানের জবাবে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী থামে ১৭৫ রানে। এক রানের জয়ে টুর্নামেন্টে অপরাজিত থাকলো চট্টগ্রাম।

    বড় লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে রাজশাহীর দারুণ শুরু এনে দেন আনিসুল ইসলাম ইমন ও নাজমুল হোসেন শান্ত। পাওয়ারপ্লেতে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ৫৬ রান এনে দেয় এই জুটি। এর আগের সর্বোচ্চ ৫৪ রান এই ম্যাচেই করে চট্টগ্রাম। শান্তকে আউট করে এই জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজুর রহমান। রাজশাহীর অধিনায়ক করেন ১৪ বলে ২৫ রান। তার ইনিংসে ছিল ২টি চার ও ২টি ছক্কা।

    ১২ ওভারে রাজশাহীর তিন অঙ্ক পূর্ণ হয়। মোহাম্মদ আশরাফুলের সাথে দ্বিতীয় উইকেটে ৪৪ রানে জুটি গড়েন ইমন। আশরাফুল করেন ১৯ বলে ২০ রান। আউট হওয়ার আগে একবার জীবন পান আশরাফুল এবং ওভার থ্রোয়ের কারণে সেই বলে ৬ রান পান তিনি। এক ওভার পরেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করতে থাকা ইমনকে বোল্ড করেন জিয়াউর রহমান। এই ২৩ বছর বয়সী অলরাউন্ডার করেন ৪৪ বলে ৫৮ রান। তার ইনিংস ছিল ৬টি চার ও ১টি ছক্কার মাধ্যমে গড়া।

    টানা দুই বলে ফিরে যান শেখ মেহেদী হাসান ও ফজলে মাহমুদ রাব্বি। উইকেট দুইটি নেন যথাক্রমে মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম। মেহেদী করেন ১৭ বলে ২৫ রান এবং রাব্বি করেন ৯ বলে ১১ রান। তারপরেও রাজশাহীকে ম্যাচে ধরে রাখেন নুরুল হাসান সোহান। রানের চাকা সচল রেখে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন সোহান ও ফরহাদ রেজা।

    শরিফুলের টানা দুই বলে ছক্কা ও চার হাঁকানোর পরের বলেই ক্যাচ আউট হয়ে যান ফরহাদ। জয়ের জন্য শেষ ওভারে রাজশাহীর প্রয়োজন ছিল ১৪ রান। তবে তারা সংগ্রহ করতে পারে ১২ রান। ফলে ১ রানে হার মানে রাজশাহী।

    তার আগে চট্টগ্রামের পক্ষে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন সৌম্য সরকার ও লিটন দাস। তাদের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৬২ রান। অষ্টম ওভারে এই জুটি ভাঙেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। আনিসুল ইসলাম ইমনের তালুবন্দী হয়ে ফিরে যান সৌম্য। ২ ছক্কা ও ৪ চারে ২৯ বলে ৩৪ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

    চট্টগ্রামের অধিনায়ক মিঠুন ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন। ১১ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ইমনের বলে বোল্ড হন মিঠুন। একপ্রান্তে অবিচল থেকে অর্ধশতক তুলে নেন লিটন দাস। টুর্নামেন্টে নিজের দ্বিতীয় অর্ধশতক স্পর্শ করেন ৩৫ বলে। মিঠুনের বিদায়ের পরে শামসুর রহমান শুভও ফিরে যান ১ রান করেই। ফরহাদ রেজার বলে বোল্ড হন তিনি।

    চতুর্থ উইকেটে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে নিয়ে জুটি গড়েন লিটন। জীবন পেয়ে সেটা কাজে লাগান মোসাদ্দেক। এই ব্যাটসম্যান রানের চাকা সচল রাখলে চট্টগ্রাম এগিয়ে চলে বড় সংগ্রহের দিকে। দুইজনে শেষ ৫ ওভারে তোলেন ৬১ রান।

    লিটন অপরাজিত থাকেন ৭৮ রানে। তিনি খেলেন ৫৩টি বল। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ১টি ছক্কা ও ৯টি চারে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট এটিই লিটনের সর্বোচ্চ ইনিংস। আগে সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ৭৫ রানের। মোসাদ্দেকের ব্যাট থেকে আসে ৪২ রান। তার ইনিংসে ছিল ২টি চার ও ২টি ছক্কা। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে চট্টগ্রাম সংগ্রহ করে ১৭৬ রান। রাজশাহীর পক্ষে ৩টি উইকেট শিকার করেন মুগ্ধ। একটি করে উইকেট পান ফরহাদ ও ইমন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম ১৭৬/৫ (২০ ওভার)
    লিটন ৭৮*, মোসাদ্দেক ৪২, সৌম্য ৩৪;
    মুগ্ধ ৩/৩০।

    মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী ১৭৫/৭ (২০ ওভার)
    ইমন ৫৮, শান্ত ২৪, আশরাফুল ২০;
    মুস্তাফিজ৩/৩৭, শরিফুল ২/৪১