Tag: বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি

  • বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপে চট্টগ্রামের হ্যাট্টিক জয়

    বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপে চট্টগ্রামের হ্যাট্টিক জয়

    বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপে হ্যাট্টিক জয়ের স্বাদ নিলো গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। আজ টুর্নামেন্টের সপ্তম ও নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে চট্টগ্রাম ১০ রানে হারিয়েছে তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশালকে। নিজেদের তিন ম্যাচের সবক’টিতে জিতলো চট্টগ্রাম। ৩ ম্যাচে ১ জয় ও ২ হার বরিশালের।

    প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫১ রান করে চট্টগ্রাম। জবাবে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪১ রান করে বরিশাল।

    মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিং করতে নামে তামিমের বরিশাল। শুরুটা ভালো না হলেও ওপেনার লিটন দাস ও মিডল-অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যান শামসুর রহমান ও মোসাদ্দেক হোসেনের ছোট ইনিংসের কল্যাণে সম্মানজনক স্কোরের পথ পায় চট্টগ্রাম।

    ওপেনার সৌম্য সরকার ৫ ও অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ১৭ রান করে ফিরেন। তবে আরেক ওপেনার লিটন ৪টি চারে ২৫ বলে ৩৫ রান করেন।
    আর মিডল-অর্ডারে শামসুর ২৬ ও মোসাদ্দেক ২৮ রান করেন। তবে শেষদিকে সৈকত আলির ১১ বলে ঝড়ো ২৭ রানে লড়াকু স্কোর পায় চট্টগ্রাম। সৈকতের ইনিংসে ১টি চার ও ৩টি ছক্কা ছিলো। ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫১ রান করে চট্টগ্রাম। বরিশালের পেসার আবু জায়েদ ৪২ রানে ২ উইকেট নেন।

    ১৫২ রানের জয়ের টার্গেটে ভালো শুরুর চেষ্টা করেছিলেন বরিশালের দুই ওপেনার মেহেদি হাসান মিরাজ ও অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ১টি করে চার ও ছক্কায় মিরাজ ১৩ রানে থামলেও, আগের ম্যাচের মত নিজের ইনিংস বড় করছিলেন তামিম।
    তবে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩২ বলে ৩২ রান করেই থামেন আগের ম্যাচে অপরাজিত ৭৭ রান করা তামিম।

    দলীয় ৬৭ রানে তামিমের বিদায়ের পর মিডল-অর্ডারে দলের হাল ধরতে পারেননি বরিশালের ব্যাটসম্যানরা। পারভেজ হোসেন ইমন ১১, আফিফ হোসেন ২৪, তৌহিদ হৃদয় ১৭ ও ইরফান শুক্কুর ২ রান করেন।

    শেষদিকে সুমন খানের ৮ বলে অপরাজিত ১২ রানও বরিশালের হার এড়াতে পারেনি। শেষ ওভারে ১৯ রানের প্রয়োজনে ১টি ছক্কায় ৮ রান নিতে পারেন সুমন। ২০ ওভারে বরিশাল করে ৮ উইকেটে ১৪১ রান। চট্টগ্রামের শরিফুল ও মুস্তাফিজুর ৩টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন শরিফুল।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর :
    গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম : ১৫১/৭, ২০ ওভার (লিটন ৩৫, মোসাদ্দেক ২৮, আবু জায়েদ ২/৪২)।
    ফরচুন বরিশাল : ১৪১/৮, ২০ ওভার (তামিম ৩২, আফিফ ২৪, মুস্তাফিজ ৩/২৩)।
    ফল : গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম ১০ রানে জয়ী।
    ম্যাচ সেরা : শরিফুল ইসলাম (গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম)।

  • ঢাকাকে নিয়ে ছেলেখেলা করলো চট্টগ্রাম

    ঢাকাকে নিয়ে ছেলেখেলা করলো চট্টগ্রাম

    ব্যাট-বলের দুর্দান্ত পারফর্মে জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করল মোহাম্মদ মিঠুনের দল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামের বোলিং তান্ডবে আগে ব্যাটিং করে কেবল ৮৮ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল ঢাকা। জবাবে চট্টগ্রামকে জয়ের বন্দরে ভিড়িয়ে দেন সৌম্য-লিটন।

    স্বল্প লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে উড়ন্ত শুরু করেন সৌম্য সরকার ও লিটন দাস। দুইজনের ব্যাট থেকেই নিয়মিত বিরতিতে আসতে থাকে বাউন্ডারি। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে এই দুইজনে যোগ করেন ৫১ রান। রানের উদ্বোধনী ছুটতে থাকে দুর্দান্ত গতিতে। দলকে জয়ের বন্দরে রেখে নাসুম আহমেদের বলে বোল্ড হওয়ার আগে লিটন করেন ৩৩ বলে ৩৪ রান। তার ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও একটি ছক্কা।

    দলকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন সৌম্য। তার ব্যাট থেকে আসে ২৯ বলে ৪৪ রান। ইনিংসটি সাজানো ছিল চারটি চার ও দুইটি ছক্কায়। চার হাঁকিয়ে চট্টগ্রামের জয় নিশ্চিত করেন মুমিনুল হক। ৯ উইকেটের বিশাল জয় পেল চট্টগ্রাম।

    তার আগে ব্যাটিং করে মাত্র ৮৮ রানে অলআউট হয় বেক্সিমকো ঢাকা। টস জিতে চট্টগ্রামের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ঢাকাকে আগে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ২১ রানের মধ্যেই ঢাকার টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দেন শরিফুল ইসলাম ও নাহিদুল ইসলাম। সাব্বির রহমান ১০ বলে ০ রান করে বিদায় নেন। গোল্ডেন ডাকের শিকার হন মুশফিকুর রহিম।

    একপ্রান্তে ঢাকার পক্ষে দুর্দান্ত ব্যাটিং করছিলেন নাঈম শেখ। তার ব্যাটে ভালো পুঁজির স্বপ্ন দেখছিল ঢাকা। তবে মোসাদ্দেকের জোড়া আঘাতে ভেঙে যায় সেই স্বপ্ন। শরিফুল ও মুস্তাফিজুর রহমান নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ঢাকাকে ঠেলে দেন ব্যাকফুটে। সেই ধাক্কা সামলে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ঢাকা। ৮৮ রানেই অলআউট হয়েছিল তারা।

    চট্টগ্রামের পক্ষে দুইটি করে উইকেট শিকার করেছিলেন মোসাদ্দেক, শরিফুল, মুস্তাফিজ ও তাইজুল। মুস্তাফিজ ও শরিফুল একটি করে মেডেন ওভারও উপহার দেন। একটি করে উইকেট পান নাহিদুল ও সৌম্য সরকার।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর
    বেক্সিমকো ঢাকা ৮৮/১০ (১৬.২ ওভার)
    নাঈম ৪০, আকবর ১৫, মুক্তার ১২, নাসুম ৮, তানজিদ ২, দীপু ২;
    মোসাদ্দেক ২/৯, শরিফুল ২/১০, মুস্তাফিজ ২/১৩, তাইজুল ২/৩২, সৌম্য ১/২, নাহিদুল ১/১৩।

    গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম ৯০/১ (১০.৫ ওভার)
    সৌম্য ৪৪*, লিটন ৩৪, মুমিনুল ৮*;
    নাসুম ১/৫।

  • খুলনাকে হারিয়ে রাজশাহীর টানা দ্বিতীয় জয়

    খুলনাকে হারিয়ে রাজশাহীর টানা দ্বিতীয় জয়

    বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ টুর্নামেন্টে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লেন মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। দলের জয়ে ব্যাট হাতে বড় অবদান রাখেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

    টস জিতে আগে ব্যাটিং করে রাজশাহীকে ১৪৭ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় জেমকন খুলনা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করেন দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত এবং আনিসুল। আগের ম্যাচে দারুণ পারফর্ম করা আনিসুল এই ম্যাচে বড় স্কোর করতে পারেননি। মাত্র দুই রান করেই আল-আমিনের বলে আউট হন তিনি।

    দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে অবশ্য ঘুরে দাঁড়ায় রাজশাহী। দলের অধিনায়ক শান্তর দারুণ শুরুর পর আগ্রাসী ব্যাটিং করেন রনি তালুকদারও। এই দুই ব্যাটসম্যান মিলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তোলেন ৪৭ রান। ব্যক্তিগত ২৬ রান করা রনিকে সাজঘরে ফেরান রিশাদ। রনির বিদায়ের পরেই ফিফটি তুলে নেন শান্ত। তবে ইনিংস আরও লম্বা করতে পারেননি এই ব্যাটসম্যান।

    ৩৪ বলে ৫৫ রান করে রিশাদের এল্বিডব্লিউর শিকার হন তিনি। পরবর্তীতে দলের জয়ের কাজটা সহজ করেন দেন ফজলে মাহমুদ। আশরাফুল ক্রিজে থাকলেও কিছুটা ধীর গতিতে খেলেন তিনি। তবে অন্যপাশে বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন ফজলে। ফজলে-আশরাফুলের ৩৩ রানের জুটি ভাঙেন শহিদুল।

    ১৬ বলে ২৪ রান করা ফজলেকে বোল্ড আউট করেন শহিদুল। তবে শেষ পর্যন্ত আশরাফুলের অপরাজিত ২২ বলে ২৫ রান এবং নুরুল হাসানের ৭ বলে অপরাজিত ১১ রানে ভর করে ৬ উইকেট এবং ১৬ বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় রাজশাহী।

    এর আগে ব্যাটিং নিয়ে শুরুতেই উইকেট হারায় জেমকন খুলনা। শুরুতেই ইমরুলকে হারায় খুলনা। অবশ্য এনামুল হক বিজয় এবং সাকিব আল হাসান ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিলেও দ্বিতীয় ম্যাচেও ইনিংস বড় করতে পারেননি সাকিব। মুকিদুলের ওভারে দুই চার মেরে ওই ওভারে পুল করতে গিয়ে ফরহাদ রেজার হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরেন তিনি।

    এই ম্যাচে এনামুলও বড় কিছুর আশা জাগিয়েছিলেন। তবে ২৪ বলে ২৬ রানের ইনিংসটি থামে দলীয় ৪৫ রানে। মেহেদির দুর্দান্ত থ্রোতে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। এই ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন মাহমুদউল্লাহ এবং জহুরুল। তবে শেষদিকে শামিম হোসেনের ঝড়ো ৩৫ রানের ইনিংস এবং আরফুলের অপরাজিত ৪১ রানের উপর ভর করে ১৪৬ রান করে খুলনা।

    সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

    জেমকন খুলনা ১৪৬-৬ (ওভার ২০)

    আরিফুল ৪১*, শামিম ৩৫: মুগ্ধ ২-৪৪

    মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী ১৪৬-৪ (ওভার ১৭.২)

    শান্ত ৫৫, রনি ২৬, আশরাফুল ২৫*: আল-আমিন ১-১৩

    ফলাফলঃ ৬ উইকেটে জয়ী রাজশাহী।

  • শেষ ওভারে ৪ ছক্কা হাঁকিয়ে খুলনাকে জেতালেন আরিফুল

    শেষ ওভারে ৪ ছক্কা হাঁকিয়ে খুলনাকে জেতালেন আরিফুল

    বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে জেমকন খুলনাকে অবিশ্বাস্য জয় এনে দিয়েছেন আরিফুল হক। শেষ ওভারের প্রথম পাঁচ বলে চারটি ছক্কা হাঁকিয়ে প্রায় জিতে যাওয়া ম্যাচ ফরচুন বরিশালের মুঠো থেকে বের করে আনেন তিনি।

    মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় জেমকন খুলনা ও ফরচুন বরিশাল। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি তামিমের দল। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে বরিশালের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৫২ রান।

    দলের পক্ষে অর্ধশতক হাঁকান পারভেজ হোসেন ইমন (৪২ বলে ৫১)। এছাড়া তৌহিদ হৃদয় ২৫ বলে ২৭, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ১০ বলে ২১, তামিম ১৫ বলে ১৫ ও তাসকিন আহমেদ ৫ বলে অপরাজিত ১২ রানের ইনিংস খেলেন।

    খুলনার পক্ষে শহিদুল আলম চারটি উইকেট শিকার করেন তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার গড়ে। দুটি করে উইকেট শিকার করেন শফিউল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ। ৩ ওভার বল করে ১৮ রানের খরচায় একটি উইকেট শিকার করেন ১৩ মাস পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরা সাকিব আল হাসান।

    অবশ্য বোলিংয়ের খুলনার সাফল্য মিলিয়ে যায় ব্যাটিংয়ের সময়। তাসকিন-সুমন খানদের বোলিং তোপে রিয়াদ-সাকিবরা প্রত্যাশা অনুযায়ী রান তুলতে ব্যর্থ হন। প্রথম ওভারেই তাসকিন শিকার করেন এনামুল হক বিজয় ও ইমরুল কায়েসকে। সাকিব (১৩ বলে ১৫) ও রিয়াদ (১৬ বলে ১৭) প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।

    সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা করেছেন জহুরুল ইসলাম অমি ও শামিম হোসেন পাটোয়ারি। জহুরুল ২৬ বলে ৩১ ও শামিম ১৮ বলে ২৬ রান করে বিদায় নেন। আরিফুল হকের ধীরগতির ইনিংস বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছিল। তবে নিজের শক্তিটুকু বুঝি শেষ ওভারের জন্য জমা রেখেছিলেন হার্ড হিটার হিসেবে পরিচিত এই ব্যাটসম্যান।

    শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২২ রান। তামিম বল তুলে দেন মেহেদী হাসান মিরাজকে। মিরাজের প্রথম, দ্বিতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম বলে চারটি ছক্কা হাঁকিয়ে আরিফুল অবিশ্বাস্যভাবে দলকে জয় এনে দেন ১ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখেই। বরিশালের পক্ষে তাসকিন ও সুমন দুজনই শিকার করেন দুটি করে উইকেট। হারের তেতো স্বাদ পাওয়া মিরাজ ৩.৫ ওভারে বিলি করেছেন ৩৬ রান।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস : জেমকন খুলনা

    ফরচুন বরিশাল : ১৫২/৯ (২০ ওভার)
    ইমন ৫১, হৃদয় ২৭, অঙ্কন ২১, তামিম ১৫
    শহিদুল ১৭/৪, শফিউল ২৭/২

    জেমকন খুলনা : ১৫৫/৫ (১৯.৫ ওভার)
    আরিফুল ৪৮*, জহুরুল ৩১ শামিম ২৬
    সুমন ২১/২, তাসকিন ৩৩/২

    ফল :জেমকন খুলনা ৪ উইকেটে জয়ী।

  • বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি: মেহেদির অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দুর্দান্ত জয়ে শুরু রাজশাহীর

    বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি: মেহেদির অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দুর্দান্ত জয়ে শুরু রাজশাহীর

    মেহেদি হাসানের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দুর্দান্ত জয় দিয়ে বঙ্গবন্ধু টি২০ কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শুরু করলো মিনিষ্টার গ্রুপ রাজশাহী। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে ঢাকাকে ২ রানে হারিয়েছে রাজশাহী।

    তীব্র প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট হাতে ৩২ বলে ৫০ রান ও শেষ ওভারে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দারুন বোলিং করে করে ঢাকার বিপক্ষে রাজশাহীর জয়ে বড় রাখেন মেহেদি হাসান।

    টস জিতে প্রথমে বোলিংএর সিদ্ধান্ত নেন ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তাই প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৯ রান করে রাজশাহী। ৩২ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলেছেন রাজশাহীর মেহেদি হাসান। জবাবে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৭ রান করে ঢাকা।

    মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট হাতে নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলো রাজশাহীর দুই ওপেনার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও আনিসুল ইসলাম ইমন। ২৩ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন তারা।
    ২টি ছক্কায় ১৬ বলে ১৭ রান করে ঢাকার স্পিনার নাসুম আহমেদের বলে আউট হন শান্ত। এরপর তিন ব্যাটসম্যান- রনি তালুকদার, মোহাম্মদ আশরাফুল ও ফজলে মাহমুদ দ্রুতই ফিরেন। রনি ৬, আশরাফুল ৫ রান করে ঢাকার পেসার মুক্তার আলীর শিকার হন। রানের খাতা না খুলেই রান আউট হন ফজলে। এর মাঝে ২৩ বলে ৩৫ রান করে থামেন ওপেনার ইমন। তার ইনিংসে ৫টি চার ও ১টি ছক্কা ছিলো।

    দলীয় ৬৫ রানে রাজশাহীর পঞ্চম উইকেট পতনের দলের হাল ধরেন উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান ও মেহেদি। ঢাকার বোলারদের উপর আক্রমনাত্মক ব্যাট চালান তারা। ষষ্ঠ উইকেটে ৪৯ বলে ৮৯ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন নুরুল ও মেহেদি।
    ২০ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৯ রান করে ঢাকার মুক্তারের তৃতীয় শিকার হন নুরুল। তবে ৩১ বলে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন মেহেদি। হাফ-সেঞ্চুরিতে পা দিয়েই থামতে হয় তাকে। মেহেদির ইনিংসে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কা ছিলো। শেষদিকে ফরহাদ রেজার ৬ বলে অপরাজিত ১১ রানে লড়াকু পুঁজিতে পৌছায় রাজশাহী। ঢাকার মুক্তার ৪ ওভারে ২২ রানে ৩ উইকেট নেন।

    ১৭০ রানের লক্ষ্যে ভালো শুরু হয়নি ঢাকার। ৫৫ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা। তবে তাদের রান তোলার গতি ছিলো ওভারপ্রতি ৮এর কাছে।
    দুই ওপেনার তানজীদ হাসান-ইয়াসির আলি যথাক্রমে ১৮ ও ৯ রান করেন। তিন নম্বরে নামা মোহাম্মদ নাইম ২৬ রানে ফিরেন।

    ৪১ বলে ৩ উইকেট পতনের পর দলকে খেলায় ফেরান অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও সর্বশেষ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক আকবর আলী। ৫৩ বলে ৭১ রানের জুটি গড়েন তারা। এরমধ্যে ২৯ বলে ৩৪ রান অবদান ছিলো আকবরের। তার ইনিংসে ৪টি চার ও ১টি ছক্কা ছিলো।

    আকবরকে শিকার করে রাজশাহীকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন পেসার ফরহাদ। আকবরের ফিরে যাবার কিছুক্ষণ পর আউট হন মুশফিকও। এমন অবস্থায় ম্যাচ নিয়ে চিন্তায় পড়ে যায় ঢাকা। ম্যাচ জিততে শেষ ৩ ওভারে ৬ উইকেট হাতে নিয়ে ৩৬ রানের প্রয়োজন পড়ে তাদের। ১৯তম ওভারে ফরহাদকে তিনটি ছক্কা মারেন মুক্তার আলী। তাতে ম্যাচ জয়ের সুযোগ তৈরি হয়ে যায় ঢাকার সামনে। শেষ ওভারে ৯ রানের দরকার পড়ে তাদের।

    শেষ ওভারের প্রথম তিন বলে কোন রান দেননি রাজশাহীর মেহেদি। চতুর্থ বলে বাউন্ডারি তুলে নেন মুক্তার। পরের ডেলিভারিটি নো-বল করেন মেহেদি। তাতে শেষ ২ বলে ৪ রানের সমীকরন দাড়ায় ঢাকার সামনে।

    পঞ্চম বল ডট ও শেষ বলে ১ রানের বেশি নিতে পারেননি মুক্তার। ফলে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৭ রান পর্যন্ত যেতে সক্ষম হয় ঢাকা। দলের সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন মুশফিক। তার ৩৪ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কা ছিলো। রাজশাহীর মেহেদি ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। ব্যাট হাতে ৫০ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন মেহেদি। তাই ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর :
    মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী : ১৬৯/৯, ২০ ওভার (মেহেদি ৫০, নুরুল ৩৯, মুক্তার ৩/২২)।
    বেক্সিমকো ঢাকা : ১৬৭/৫, ২০ ওভার (মুশফিক ৪১, আকবর ৩৪, মেহেদি ১/২২)।
    ফল : মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী ২ রানে জয়ী।
    ম্যাচ সেরা : মেহেদি হাসান (মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী)।