Tag: বঙ্গবন্ধু ট্যানেল

  • ঢাকার পর চট্টগ্রামও মেট্রোরেলের অন্তভুক্ত হবে-ওবায়দুল কাদের

    ঢাকার পর চট্টগ্রামও মেট্রোরেলের অন্তভুক্ত হবে-ওবায়দুল কাদের

    সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চট্টগ্রামও মেট্রোরেলের অন্তভুক্ত হবে। বন্দরনগরী চট্টগ্রামবাসীর জন্য এটি একটি সুখবর। রাজধানী ঢাকার পর এবার চট্টগ্রাম মহানগরীতে তিনটি মেট্রোরেল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। মেট্রোরেলের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শিগগরই শুরু হবে।

    আজ রবিবার (২৭ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের সড়ক ভবনে হাটহাজারী থেকে রাউজান সড়কের চারলেন প্রকল্পসহ সাতটি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। সড়ক ভবনের সম্মেলন কক্ষে ৫ টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন ও দুটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন ওবায়দুল কাদের।

    অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আরও বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চার লেনে উন্নীত করা হবে। মেট্রোরেলের ফিজিবিলিটি স্টাডির জন্য চট্টগ্রামে ইআরডিকে চিঠি দিয়েছি। তাদের দিয়ে ফিজিবিলিটি স্টাডি হবে। শিগরই এ ব্যাপারে প্রক্রিয়া শুরু হবে।

    এসময় ওবায়দুল কাদের নির্মাণাধীন কর্ণফুলি ট্যানেলের ৪৮ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানান। বলেন, অবকাঠামো উন্নয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই ট্যানেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করে গেছেন। তার সঙ্গে আমিও ছিলাম। এই টানেলের কাজ শেষ হলে পাল্টে যাবে চট্টগ্রাম।

    তিনি বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন- চট্টগ্রামের মেট্রোরেল বা এমআরটি লাইনের ফিজিবিলিটি স্টাডি শুরু করার জন্য। তার নির্দেশনা অনুযায়ী আমি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও মেট্রোরেলের সাথে যারা জড়িত, তাদের বলেছি অবিলম্বে ফিজিবিলিটি স্টাডি শুরু করতে হবে।

    উল্লেখ্য-প্রস্তাবিত মেট্রোরেল প্রকল্পে তিনটি এমআরটি লাইন করার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে কালুরঘাট থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এমআরটি লাইন-১ এর দৈর্ঘ্য হবে সাড়ে ২৬ কিলোমিটার (২০টি স্টেশন), সিটি গেট থেকে নিমতলা হয়ে শাহ আমানত সেতুর গোল চত্বর পর্যন্ত লাইন-২ এর দৈর্ঘ্য হবে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার (১২টি স্টেশন) এবং অক্সিজেন থেকে ফিরিঙ্গিবাজার ও পাঁচলাইশ থেকে একেখান পর্যন্ত লাইন-৩ এর দৈর্ঘ্য হবে সাড়ে ১৪ কিলোমিটার (স্টেশন ১৫টি)। প্রায় ১ হাজার ৫শ ৪৫ কোটি টাকা সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রস্তাবে।

    ৫২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে মন্ত্রী যে নতুন ৭টি প্রকল্প কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেছেন সে প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে ৪৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি জাতীয় মহাসড়ক (এন-১০৬) হাটহাজারী থেকে রাউজান পর্যন্ত ৪ লেনের প্রকল্প কাজ।

    ১ কোটি টাকা ব্যয়ে ফটিকছড়ি সড়ক উপ-বিভাগ অফিস কাম পরিদর্শন বাংলো নির্মাণ, শাহ আমানত সেতুর ইলেকট্রনিক্স টোল সিস্টেম ও ওজন স্কেলের কার্যক্রম।

    ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই আঞ্চলিক মহাসড়কের ৪৪তম কিলোমিটারে ৩১ দশমিক ৮২ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু প্রকল্প, সীতাকুণ্ডের বড় দারোগারহাট ওজন স্কেলের নবনির্মিত ৫ম লেনের কার্যক্রম।

    প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে মইজ্জারটেক-বিএফডিসি-মৎসবন্দর ফেরিঘাট সড়কে ২টি পিসি গার্ডার সেতুর পুনঃনির্মাণসহ এক কিলোমিটার থেকে ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সেতু মজবুতকরণ, সম্প্রসারণ ও নতুন সড়ক নির্মাণ কাজ প্রকল্প এবং প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে কাশিমপুর-রেলওয়ে স্টেশন-বাগিচারহাট সড়কের চেইনেজ: ০+০০০ থেকে ১০+০০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ফ্লেক্সিবল পেভমেন্ট ও রিজিড পেভমেন্ট দ্বারা মান উন্নতীকরণ প্রকল্প।

  • বঙ্গবন্ধু টানেল :  উন্নয়নের মহাসড়কে জোড়কদমে এগিয়ে যাবে দেশ

    বঙ্গবন্ধু টানেল : উন্নয়নের মহাসড়কে জোড়কদমে এগিয়ে যাবে দেশ

    বঙ্গবন্ধু টানেলের কাজ সম্পন্ন হলে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে জোড়কদমে এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. একাব্বর হোসেন এমপি।

    তিনি বলেন, ওয়ান সিটি এন্ড টু টাউন মডেলে দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, এশিয়ান হাইওয়ে সেটওয়ার্কে সংযুক্তিসহ ৭টি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ চারলেন বিশিষ্ঠ সড়ক বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

    টাঙ্গাইল ৭ আসনের সংসদ সদস্য মো.একাব্বর হোসেন এমপি আজ ১২ অক্টোবর শনিবার চট্টগ্রাম কর্ণফুলী নদীতে বাস্তবায়নাধীন সরকারের মেঘা প্রকল্প বঙ্গবন্ধু টানেল পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন।

    এসময় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য এডভোকেট মো.আবু জাহির এমপি, মো.ছলিম উদ্দিন তরফদার, চট্টগ্রাম সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার আহম্মেদ, বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রকল্প পরিচালক মো.হারুন অর রশিদ,উপ প্রকল্প পরিচালক ড.অনুপম সাহা, উপ পরিচালক মো. লুতফর রহমান, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মোসা. সুরাইয়া আক্তার সুইটি ও সহকারী পরিচালক মোসা. সালমা ফেরদৌস উপস্থিত ছিলেন।

    বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রকল্প পরিচালক মো.হারুন অর রশিদ বলেন, ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর চীন সরকারের সাথে বঙ্গবন্ধু টানেলর প্রকল্পের চুক্তি হয়। এরপর স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় দ্রুতগতিতে কাজ চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের ৩৮.৭২ শতাংশ আর্থিক অগ্রগতি এবং ৪৮ শতাংশ বাস্তব ভৌত অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২০২২ সালের মধ্যে কাজ শেষ হবে।

    সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য এডভোকেট মো.আবু জাহির এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডায়নামিক নেতৃত্বের জন্য বাংলাদেশে এই প্রথম নদীর তলদেশে যান চলাচলের ব্যবস্থা হয়েছে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মিত হলে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের উন্নয়ন দৃশ্যমান হবে। নদীর দুইপাড়ে গড়ে উঠবে শিল্পপ্রতিষ্ঠান, মানুষের কর্ম বৃদ্ধি পাবে ও জীবনযাত্রার মান বাড়বে।