Tag: বঙ্গবন্ধু বিপিএল

  • ক্রিকইনফোর দৃষ্টিতে বিপিএলের সেরা একাদশ

    ক্রিকইনফোর দৃষ্টিতে বিপিএলের সেরা একাদশ

    পারফরম্যান্স বিবেচনায় বঙ্গবন্ধু বিপিএলের সপ্তম আসরের সেরা একাদশ প্রকাশ করেছে জনপ্রিয় ক্রিকেট বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএনক্রিকইনফো। ক্রিকেট গণমাধ্যমটির বাছাইকৃত একাদশের নেতৃত্বে রয়েছেন আন্দ্রে রাসেল।

    রাসেলের নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রাজশাহী রয়্যালস, যা প্রথমবারের মত রাজশাহী অঞ্চলের প্রতিনিধিত্বকারী কোনো দলের বিপিএল শিরোপা। ফাইনালের ম্যান অব দ্যা ম্যাচ রাসেল পেয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কারও। ক্রিকইনফো তাই রাসেলকেই দিয়েছে নেতৃত্বের বাহুবন্ধনী।

    দেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে এই একাদশে রয়েছেন নাইম শেখ, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান, মেহেদী হাসান রানা ও মুস্তাফিজুর রহমান।

    বিপিএলে একাদশে ৪ জন করে বিদেশি রাখার নিয়ম থাকলেও সার্বিক পারফরম্যান্সে ক্রিকইনফোর একাদশে জায়গা পেয়েছেন ৫ জন বিদেশি ক্রিকেটার। রাসেল ছাড়াও বাকিরা হলেন- রাইলি রুশো, ডেভিড মালান, মোহাম্মদ আমির ও মুজিব উর রহমান।

    একাদশে লিটন ও নাইমকে দেওয়া হয়েছে ওপেনারের ভূমিকা। মুশফিক রয়েছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে। স্কোয়াডে স্পিনার হিসেবে আছেন ঢাকার হয়ে খেলা মেহেদী হাসান ও আফগান তরুণ মুজিব।

    একনজরে দেখে নেওয়া যাক, ইএসপিএনক্রিকইনফোর বাছাই করা বঙ্গবন্ধু বিপিএলের সেরা একাদশে কোন দলের কোন কোন ক্রিকেটার রয়েছেন-

    নাইম শেখ- রংপুর রেঞ্জার্স
    লিটন দাস- রাজশাহী রয়্যালস
    রাইলি রুশো- খুলনা টাইগার্স
    মুশফিকুর রহিম- খুলনা টাইগার্স (উইকেটরক্ষক)
    ডেভিড মালান- কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স
    আন্দ্রে রাসেল- রাজশাহী রয়্যালস (অধিনায়ক)
    মেহেদী হাসান- ঢাকা প্লাটুন
    মোহাম্মদ আমির- খুলনা টাইগার্স
    মুজিব উর রহমান- কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স
    মেহেদী হাসান রানা- চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স
    মুস্তাফিজুর রহমান- রংপুর রেঞ্জার্স

  • মুশফিক-মিরাজ ঝড়ে কুমিল্লাকে বিদায় করে প্লে-অফে খুলনা

    মুশফিক-মিরাজ ঝড়ে কুমিল্লাকে বিদায় করে প্লে-অফে খুলনা

    বিপিএলের চলতি আসরে নিজেদের বাঁচা-মরার লড়াইয়ে আজ খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে মাঠে নেমছিল কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। এই ম্যাচ হেরে এবারের বিপিএল পর্ব শেষ হলো কুমিল্লার। তবে ৯২ রানে ম্যাচ জিতে প্লে-অফ নিশ্চিত করলেও মাত্র ২ রানের আক্ষেপে পুড়তে হলো টাইগার্স দলপতি মুশফিকুর রহিমকে।

    এদিন শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে শুরুতে ব্যাট করত নামে খুলনা। দলের হয়ে ইনিংস শুরু করত এসে একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। ইরফান হোসেনের বলে আউট হয়েছেন ১ রান করে। এরপর নিজ ব্যাটে ঝড় তুললেও তা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেননি রাইলি রুশো। ১১ বলে ৩টি ছয়ের মারে করেন ২৪ রান।

    এরপরের গল্পটা কেবলি মুশফিক আর মেহেদী হাসান মিরাজের। তৃতীয় উইকেট জুটিতে কুমিল্লার বোলারদের নাস্তানুবাদ করে ছাড়েন দুজন। চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে মিরপুরের ভরা গ্যালারীকে আনন্দে ভাসান এ দুই ক্রিকেটার। শুরুতে মাত্র ৩৩ বলে নিজের অর্ধশতক তুলে নেন মিরাজ। খানিক পর একই পথে হাঁটেন মুশফিকও। ফিফটি পূরণ করতে মুশফিকের লাগে ৩৮ বল।

    তবে বিপত্তি বাঁধে ইনিংসের ১৯তম ওভারে। ৭৪ রানে থাকা মিরাজকে ফিরতে হয় পেশিতে টান পেয়ে। মিরাজের সুযোগ না থাকলেও মস্ত বড় সুযোগ পেয়েছিলেন মুশফিক। তবে আজও সেঞ্চুরির স্বাদ পাওয়া হয়নি তার।

    শেষপর্যন্ত মাত্র ৫৭ বলে ৯৮ রানে অপরাজি থেকে মাঠ ছাড়েন মুশফিক। ততক্ষণে রান পাহাড়ে চেপে বসেছে খুলনা টাইগার্স। ২০ ওভার শেষে স্কোর বোর্ডে জমা করে ২১৮ রান।

    হারলেই বিদায় নিশ্চিত। এমন সমীকরণ নিয়ে ব্যাট করতে নেমেও সুবিধা করতে পারেনি কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। ইনিংসের শুরুর ওভারে কোন রান না করে ফেরেন সাব্বির রহমান। পরে পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে ৪১ রান তুলতে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। যার দুইটা শিকার করেন শহিদুল ইসলাম, একটা মোহাম্মদ আমিরের।

    এরপর কুমিল্লার হাল ধরার চেষ্টা করেন উপুল থারাঙ্গা ও সৌম্য সররকার। তবে চতুর্থ উইকেটে ২৮ রানের বেশি যোগ কর‍তে পারেননি দুজন। যেখানে আউট হওয়ার আগে থারাঙ্গার ব্যাট থেকে আসে ৩২ রান। খানিক পর আমিরের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সৌম্য ফেরেন ১০ রান করে।

    পরে ইয়াসির আলী ২০ ও ফারদীন ২২ রান ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যান সুবিধা করতে না পারলে মাত্র ১২৬ রানে থামে কুমিল্লার ওয়ারিয়র্সের ইনিংস। ফলে ৯২ রানের জয়ে চতুর্থ ও শেষ দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করে খুলনা টাইগার্স। এই ম্যাচ হারের ফলে ১২ ম্যাচে ৫ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএল শেষ করলো কুমিল্লা।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    খুলনা টাইগার্স: ২১৮/২ (২০ ওভার)
    মুশফিক ৯৮*, মিরাজ ৭৪, রুশো ২৪; মুজিব ১/১৮, ইরফান ১/৩৮

    কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স: ১২৬/৯ (২০ ওভার)
    থারাঙ্গা ৩২, ইয়াসির ২০, ফারদীন ২২; শহিদুল ৩/২৮, বিপ্লব ২/১৯, আমির ২/২৪।

    ফল: খুলনা ৯২ রানে জয়ী।

  • ঢাকার বোলিং তোপে রংপুরের বিদায়

    ঢাকার বোলিং তোপে রংপুরের বিদায়

    বিপিএলের চলতি আসরে ৯ ম্যাচে ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে অবস্থান করছিল ঢাকা প্লাটুন। বাকি ৩ ম্যাচে একটা জয় পেলেই নিশ্চিত হতো শেষ চার। এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে আজ রংপুর রেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৬১ রানের বিশাল জয় তুলে নিয়েছে ঢাকা।

    এদিন আগে ব্যাট করে রংপুরের সামনে ১৪৫ রানের টার্গেট দাঁড় করে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। এই লক্ষ্য টপকাতে নেমে শুরু থেকেই বিধ্বস্ত রংপুর। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ দুই বলে নাইম শেখ এবং শেন ওয়াটসনের উইকেট তুলে নেন স্পিনার মেহেদী হাসান। এরপর ২০ রানে থাকা ক্যামেরুন ডেলপোর্টকে ফেরান ফাহিম আশরাফ।

    সেখান থেকে একে একে ফজলে মাহমুদ (৩), লুইস গ্রেগরি (৫) এবং আল-আমিন জুনিয়র (২৩) আউট হয়ে গেলে মাত্র ৫৯ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে রংপুর। কার্যত ওখানেই শেষ হয়ে যায় দলটির জয়ের আশা। পরে মোহাম্মদ নবীর ব্যাটে রংপুরের হারের ব্যবধানটাই কমলো শুধু।

    রংপুরকে ৮৪ রানে আটকে দিয়ে ৬১ রানে ম্যাচ জিতে চট্টগ্রাম ও রাজশাহীর পর তৃতীয় দল হিসেবে প্লে-অফ পর্ব নিশ্চিত করে ঢাকা প্লাটুন। এই ম্যাচ হারের ফলে খালি হাতে এবারের বিপিএল পর্ব শেষ হলো রংপুর রেঞ্জার্সের।

    এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নামে ঢাকা। ওপেনার এনামুল হক বিজয়কে ফিরিয়ে প্রথম আঘাত হানেন লুইস গ্রেগরি। বিজয় করেন ৭ বলে ১১ রান। এর আগে ব্যাট হাতে চমক দেখানো মেহেদী হাসান মাঠ ছাড়েন ৬ বলে ১ রান করে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা ঢাকার তৃতীয় উইকেটটি শিকার করেন তাসকিন আহমেদ। ১২ বলে ১৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন আরিফুল হক।

    সুবিধা করতে পারেননি মুমিনুল হকও। ৭ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। পরে তাসকিনের বলে শেন ওয়াটসনের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেয়ার আগে তামিম করেন ৩৮ বলে ৪০ রান। এরপর আসিফ আলিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েও পূরণ করতে পারেননি তাসকিন।

    জোড়া ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই বিদায় নেন থিসারা পেরেরা। মুস্তাফিজুর রহমানের বলে তাসকিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। পেরেরার উইকেট শিকারের মাধ্যমে মেহেদী হাসান রানার সাথে যৌথভাবে চলতি বিপিএলে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হন মুস্তাফিজ। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ঢাকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৫ রান। শেষের দিকে ১৯ বলে ৩১ রানের ছোট ক্যামিও দেখান শাদাব খান।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    ঢাকা প্লাটুন: ১৪৫/৯ (২০ ওভার)
    তামিম ৪০, শাদাব ৩১*, আরিফুল ১৩;
    তাসকিন ৩/৩২, মুস্তাফিজ ৩/৩৪, নবী ২/২১।

    রংপুর রেঞ্জার্স: ৮৪/১০ (১৫.৩ ওভার)
    আল-আমিন ২৩, ডেলপোর্ট ২০, নবী ১২; মেহদী হাসান ২/১২, মাশরাফি ২/১৮।

    ফল: ঢাকা ৬১ রানে জয়ী।

  • রুশো-ফ্রাইলিঙ্ক নৈপুণ্যে প্লে-অফে খুলনা

    রুশো-ফ্রাইলিঙ্ক নৈপুণ্যে প্লে-অফে খুলনা

    বিপিএলের চলতি আসরে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখতে জয় ভিন্ন কোন পথ ছিল না কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের। সেই মিশনে দলটি আজ মাঠে নামে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে। যেখানে সাব্বির রহমানের ঝড়ো ফিফটির পরেও হারতে হয়েছে। খুলনার পক্ষে একাই পাঁচ উইকেট নিয়েছেন রবি ফ্রাইলিঙ্ক।

    এদিন টসে হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে খুলনা। দলের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদী হাসান মিরাজ। শুরুতে দেখেশুনে খেললেও ম্যাচের বয়স বাড়ার সাথে সাথে হাত খুলে খেলতে থাকেন দুজন। ৫৫ বলে উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ৭১ রান। ২৯ বলে ৩৮ রান করা শান্তকে ফিরিয়ে এই পার্টনারশিপ ভাঙেন সৌম্য সরকার।

    এরপর নিজেকে বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেননি মিরাজও। দলীয় ৯১ রানে ফিরেছেন ৩৯ বলে সমান ৩৯ রান করে। মিরাজের আউটের পর মুশফিককে নিয়ে হাত খুলে খেলতে শুরু করেন রুশো। ইমরুল কায়েসের পর চলতি বিপিএলে তুলে নেন নিজের চতুর্থ ফিফটি। মাত্র ২৬ বলে পাওয়া অর্ধশতকটি বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান সাজান ৪টি চার ও ৩টি ছয়ের মারে।

    শেষদিকে মুশফিক-রুশোর ৪৬ বলে ৮৫ রানের অবিচ্ছেদ্য পার্টনারশিপের উপর ভর করে ২০ ওভার শেষে ১৭৯ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ দাঁড় করে খুলনা টাইগার্স। দলের হয়ে মুশফিক ১৭ বলে ২৪ ও রুশো অপরাজিত থাকেন ৩৬ বলে ৭১ রান নিয়ে।

    পরে খুলনার দেওয়া ১৮০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামেন কুমিল্লার দুই ওপেনার স্ট্যিয়ান ভ্যান জিল ও সাব্বির রহমান। এক ম্যাচ পর আবার দলে ফিরে বেশ সাবলীল ছিলেন সাব্বির। তবে সুবিধা করতে পারেননি ভ্যান জিল। ১৩ বলে ১২ রান করে ফ্রাইলিঙ্কের প্রথম শিকারে পরিণত হন তিনি।

    এরপর দলটির ইনফর্ম ব্যাটসম্যান ডেভিড মালানকে ১ রানের মাথায় ফেরান শফিউল ইসলাম। মালানের বিদায়ের পর উইকেটে থাকা সাব্বিরের সাথে যোগ দেন সৌম্য। ইনিংসের ১১তম ওভারে জোড়া আঘাতে সৌম্য (২২) ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে (০) আউট করেন ফ্রাইলিঙ্ক। ফলে ৮২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে কুমিল্লা।

    একপ্রান্তে আগলে রেখে খেলে যান সাব্বির। মিরপুরে আজ চার-ছক্কার ফুলঝুরি সাজিয়ে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে মাত্র ৩১ বলে তুলে নেন ফিফটি। এবার তার সাথে যোগ দেন ইয়াসির আলী রাব্বি। রীতিমত ধ্বংসলীলা চালান স্পিনার অ্যালিস ইসলামের উপর। অ্যালিসের ৪ ওভারে ৪৯ রান তুলে নেয় কুমিল্লা।

    পরে রুশোর দুর্দান্ত এক ক্যাচে ৩৯ বলে ৬৩ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয় সাব্বিরকে। ১৪ ম্যাচ পাওয়া ফিফটি ৭টি চার ও ২টি ছয়ের মার দিয়ে সাজিয়েছেন ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান। শেষদিকে ইয়াসির ১৩ বলে ২৬ রান করে আউট হলে শেষরক্ষা হয়নি কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের। ইনিংস থামে ১৪৫ রানে। ফলে ৩৪ রানে ম্যাচ জেতে খুলনা টাইগার্স।

    এই হারের ফলে প্লে-অফের স্বপ্ন ফিকে হয়ে গেল কুমিল্লার। ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়েছেন খুলনার পেসার রবি ফ্রাইলিঙ্ক।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    খুলনা টাইগার্স: ১৭৯/২ (২০ ওভার)
    রুশো ৭১*, মিরাজ ৩৯, শান্ত ৩৮; সৌম্য ১/৩৯, উইজ ১/৩০।

    কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স: ১৪৫/১০ (১৮.২ ওভার)
    সাব্বির ৬৩, ইয়াসির ২৭, সৌম্য ২২; ফ্রাইলিঙ্ক ৫/১৬, শহিদুল ২/৩৪।

    ফল: খুলনা ৩৪ রানে জয়ী।

  • বিপিএলের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে চট্টগ্রাম

    বিপিএলের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে চট্টগ্রাম

    ইমরুল কায়েস ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের লেন্ডন সিমন্সের ব্যাটিং নৈপুন্যে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে এককভাবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

    মঙ্গলবার টুর্নামেন্টের ৩৬তম ও দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে রাজশাহী রয়্যালসকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

    প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬৬ রান করে রাজশাহী রয়্যালস। ওপেনার লিটন দাস ৫৬ ও ফরহাদ রেজা ৮ বলে ২১ রান করেন। জবাবে ইমরুলের অপরাজিত ৬৭ ও সিমন্সের ৫১ রানের সুবাদে ৯ বল বাকী রেখেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে চট্টগ্রাম।

    এই জয়ে ১১ খেলায় ৮জয় ও ৩হারে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠলো চট্টগ্রাম। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৭ জয় ও ৪ হারে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে নেমে গেলো রাজশাহী।

    মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্বান্ত নেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের অধিনায়ক ইনজুরি কাটিয়ে মাঠে ফেরা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারনে গেল পাঁচ ম্যাচে খেলতে পারেননি তিনি।

    রাজশাহীকে প্রথমে ব্যাট করার সুযোগটা ভালোভাবে কাজে লাগাতে দেননি পেসার রুবেল হোসেন। ইনফর্ম আফিফ হোসেনকে দ্বিতীয় ওভারেই বিদায় দেন রুবেল। বোল্ড হবার আগে ৯ রান করেন তিনি।

    এরপর ইরফান শুক্কুরের সাথে ৩৭ ও পাকিস্তানের শোয়েব মালিকের সাথে ৪১ রানের দু’টি জুটি গড়ে রাজশাহীর রানের চাকা সচল রাখেন লিটন।এবারের আসরের দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি তুলে থামেন লিটন। ৪৫ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৬ রান করে রাজশাহীর জিয়াউর রহমানের বলে আউট হন লিটন।

    লিটনের পর ছোট-ছোট ইনিংস খেলেন মালিক ও অধিনায়ক ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে রাসেল। মালিক ২৪ বলে ২৮ ও রাসেল ১০ বলে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ২০ রান করেন। কিন্তু ইনিংসের ১০ বল বাকী থাকতে প্যাভিলিয়নে ফিরেন মালিক-রাসেল-কাপালি ও বোপারা। তখন দলের স্কোর ১৪৪ রান।
    এ অবস্থায় শেষদিকে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেন ফরহাদ। মাত্র ৮ বলে ২১ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন ফরহাদ। তার ইনিংসে ১টি চার ও ২টি ছক্কা ছিলো। ফলে ৮ উইকেটে ১৬৬ রানের লড়াকু পুঁিজ পায় রাজশাহী। চট্টগ্রামের রুবেল-জিয়াউর ৩টি করে উইকেট নেন।

    জয়ের জন্য ১৬৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই ১২ রান পায় চট্টগ্রাম। রাজশাহীর অধিনায়ক রাসেলের ঐ ওভারে ১টি করে চার-ছক্কা মারেন ওপেনার লেন্ডন সিমন্স। তৃতীয় ওভারে রাজশাহীর স্পিনার আফিফের উপর চড়াও হন গেইল। প্রথম, তৃতীয় ও ষষ্ঠ ডেলিভারিতে ছক্কা হাঁকান তিনি। পঞ্চম বলে চারও মারেন গেইল। ফলে ঐ ওভার থেকে ২২ রান নেন গেইল। কিন্তু পঞ্চম ওভারের প্রথম বলেই আউট হন গেইল।

    রাজশাহীর পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বির ডেলিভারিটি ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন গেইল। ফলে এবারের বিপিএলে প্রথম খেলতে নেমে ১০ বলে ২৩ রান করেন তিনি। তার ইনিংসে ১টি চার ও ৩টি ছক্কা ছিলো।

    দলীয় ৩৫ রানে ‘ইউনিভার্স বস’ ফিরে যাবার পর চট্টগ্রামের জয়ের ভিত গড়ে দেন সিমন্স ও ইনফর্ম ইমরুল কায়েস। ৪৯ বলে ৭৭ রানের জুটি গড়েন তারা। চলমান আসরে তৃতীয়বারের মত হাফ-সেঞ্চুরি তুলে ৫১ রানে রান আউট হন সিমন্স। জয়ের জন্য এ সময় ৪৬ বলে ৫৬ রান দরকার ছিলো চট্টগ্রামের।

    এরপর ক্রিজে গিয়ে বাউন্ডারি দিয়ে রানের খাতা খুলেন মাহমুদুল্লাহ। পরের ওভারে আত্মবিশ্বাসের সাথে আরও একটি বাউন্ডারি আদায় করেন তিনি। তবে বেশিক্ষন টিকতে পারেননি। ৬ বলে ১০ রান করে ফরহাদ রেজার শিকার হয়ে অধিনায়ক বিদায় নিলেও জয় পেতে কোন সমস্যা হয়নি চট্টগ্রামের। ১৪ ওভার শেষে ম্যাচ হাতে মুঠোয় চলে আসে তাদের। কারন শেষ ৩৬ বলে ৩৭ রান দরকার পড়ে চট্টগ্রামের। দলের বাকী প্রয়োজনটুকু মিটিয়েছেন ইনফর্ম ইমরুল ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের চাঁদউইক ওয়ালটন। চতুর্থ উইকেটে ২৬ বলে ৪০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন তারা।

    ৪১ বলে ৩টি চার ও ৫টি ছক্কায় অপরাজিত ৬৭ রান করেন ইমরুল। চলমান আসরে চারটি হাফ-সেঞ্চুরিতে তার রান এখন ৩৮৬। রান সংগ্রাহকের তালিকায় দ্বিতীয়স্থানে উঠে এসেছেন ইমরুল। ১১ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন ওয়ালটন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর :
    রাজশাহী রয়্যালস : ১৬৬/৮, ২০ ওভার (লিটন ৫৬, মালিক ২৮, জিয়াউর ৩/১৮)।
    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স : ১৭০/৩, ১৮.৩ ওভার (ইমরুল ৬৭*, সিমন্স ৫১, ফরহাদ ১/১৭)।

    ফল : চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৭ উইকেটে জয়ী।
    ম্যাচ সেরা : ইমরুল কায়েস(চট্টগ্রাম)।

  • চট্টগ্রামের হয়ে খেলতে ঢাকায় গেইল

    চট্টগ্রামের হয়ে খেলতে ঢাকায় গেইল

    বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের সপ্তম আসর বঙ্গবন্ধু বিপিএলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে খেলতে ঢাকায় পা রেখেছেন ‘ইউনিভার্স বস’ খ্যাত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিখ্যাত ক্রিকেটার ক্রিস গেইল।

    আজই (৬ জানুয়ারি) দলের সঙ্গে যোগ দেবেন গেইল। দুপুরে প্রথমবারের মত চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের সঙ্গে অনুশীলনে নামবেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের আগামী ম্যাচে মাঠে নামবেন তিনি।

    গেইলের বঙ্গবন্ধু বিপিএলে খেলা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। প্লেয়ার্স ড্রাফট থেকে এই বিধ্বংসী ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানকে দলে নেয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু ড্রাফটের পর এক সাক্ষাৎকারে বিপিএলে দল পাওয়ার বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন খোদ গেইল।

    গেইলের দাবি ছিল এমন- বিপিএলের ড্রাফটে আছেন বা দল পেয়েছেন এটা তিনি জানতেনই না। আবার বিপিএল কর্তৃপক্ষ বা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের দাবি ছিল- সকল প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই তাকে দলভুক্ত করা হয়েছে।

    পারস্পরিক সমঝোতায় সেই ঝামেলা চুকে গেছে। গেইলও জানান- বঙ্গবন্ধু বিপিএলে আসছেন। অবশেষে বিপিএল খেলতে বাংলাদেশে পা রেখেছেন ইউনিভার্স বস।

    সিলেট পর্বের খেলা শেষ করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ফিরেছে ঢাকায়। ৭ জানুয়ারি ফের শুরু হবে ঢাকা পর্বের খেলা। এদিন রাতের খেলায় চট্টগ্রামের প্রতিপক্ষ রাজশাহী রয়্যালস। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এই ম্যাচেই গেইল মাঠে নামবেন।

    প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের শেষ চারের লড়াইয়ে অংশগ্রহণ ইতোমধ্যে নিশ্চিত হয়েছে। ১০ ম্যাচে ৭ জয় পাওয়া দলটি রয়েছে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে।

  • সিলেটকে উড়িয়ে দিয়ে প্লে-অফে রাজশাহী

    সিলেটকে উড়িয়ে দিয়ে প্লে-অফে রাজশাহী

    বিপিএলের চলতি আসরে সিলেট পর্বের শেষ ম্যাচে সিলেটকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে রাজশাহী। এ  জয়ে প্লে-অফে খেলাও নিশ্চিত করেছে দলটি।

    এদিন আগে ব্যাট করে রাজশাহীর সামনে ১৪৪ রানের লক্ষ্য দাঁড় করে সিলেট থান্ডার। এই টার্গেট টপকাতে নেমে দলের হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান লিটন দাস ও আফিফ হোসেন। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ৩৪ বলে ৫৯ রানের পার্টনারশিপ গড়েন দুজন।

    রাদাফোর্ডের বলে আউট হওয়ার আগে ২০ বলে ৩৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে যান লিটন। ওপেনিং পার্টনারকে হারিয়ে দলীয় অধিনায়ক শোয়েব মালিককে নিয়ে রাজশাহীর রানের চাকা সচল রাখেন আফিফ। তবে খানিক পর আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয় বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যানকে। মাত্র ৪ রানের জন্য অর্ধশতকের দেখা পাননি তিনি।

    আফিফ ৩০ বলে ৮টা চারের সাহায্যে ৪৬ রান করে রান আউট হলে মালিকও ফেরেন ২৭ রানে। শেষদিকে ইরফান শুক্কুরের ১০ ও মোহাম্মদ নেয়াওয়াজের অপরাজিত ১৭ রানের সুবাদে ২৯ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় তুলে মাঠ ছাড়ে রাজশাহী রয়্যালস।

    এই জয়ের ফলে ১০ ম্যাচে ৭ জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করার পাশাপাশি ঢাকাকে সরিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেল পদ্মা পাড়ের দলটি।

    এর আগে টসে জিতে আব্দুল মাজিদকে নিয়ে ইনিংস শুরু কর‍তে আসেন সিলেটের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক আন্দ্রে ফ্লেচার। তবে দলীয় ২৬ আর ৩৬ রানের মাথায় আউট হয়ে যান মাজিদ (১৬) এবং নতুন ব্যাটসম্যান জনসন চার্লস (৮)। এরপর মিঠুনকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজ করেন ফ্লেচার। পরে তিনিও ৩৩ বলে ২৫ রান করে রান আউট হলে হাত খুলে খেলতে শুরু করেন মিঠুন।

    তবে চলতি বিপিএলে নিজের তৃতীয় ফিফটি থেকে মাত্র ৩ রান দূরে থাকতে মিঠুনও রান আউটের ফাঁদে পড়েন। আউট হওয়ার আগে ৩৮ বলের ইনিংসটি মিঠুন সাজিয়েছেন ৩টি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে। শেষদিকে রাদারফোর্ডকে ২৫ ও নাজমুল হসেন মিলনের অপরাজিত ১৩ রানের কল্যাণে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করে সিলেট থান্ডার।

    ম্যাচে রাজশাহী রয়্যালসের হয়ে ২ উইকেট নেন লেগ স্পিনার অলক কাপালি। এছাড়াও মোহাম্মদ ইরফান ও আবু জায়েদ নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    সিলেট থান্ডার: ১৪৩/ ৬ (২০ ওভার)
    মিঠুন ৪৭, ফ্লেচার ২৫, রাদারফোর্ড ২৫; কাপালি ২/১৪, ইরফান ১/১৮।

    রাজশাহী রয়্যালস: ১৪৫/৪ (১৫.১ ওভার)
    আফিফ ৪৬, লিটন ৩৬, মালিক২৭; দেলোয়ার ২/১১, রাদারফোর্ড ১/৩১।

    ফল: রাজশাহী ৬ উইকেটে জয়ী।

  • সহজ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে চট্টগ্রাম

    সহজ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে চট্টগ্রাম

    বঙ্গবন্ধু বিপিএলে সিলেট পর্বের শেষ দিনের প্রথম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে হারিয়ে আবারো পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বাধীন দল জিতেছে ৬ উইকেটের ব্যবধানে।

    টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২১ রান জড়ো করে খুলনা। মেহেদী হাসান রানা ও রুবেল হোসেনের বোলিং তোপে এদিন দাঁড়াতেই পারেননি খুলনার ব্যাটসম্যানরা। রুবেল ও রানা দুজনই ৩টি করে উইকেট শিকার করেন।

    খুলনার পক্ষে ৪০ বলে ৪৮ রান করেন রুশো, যা দলের পক্ষে সর্বোচ্চ। এছাড়া মুশফিকুর রহিম ২৪ বলে ২০ ও রবি ফ্রাইলিঙ্ক ২৩ বলে ১৭ রান করেন।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দুই ওপেনার লেন্ডল সিমন্স ও জুনায়েদ সিদ্দিকী উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ৬৯ রান। সিমন্স ২৮ বলে ৩৬ ও জুনায়েদ ৩৯ বলে ৩৮ রান করে বিদায় নিলে আসেনা গুনারত্নেও কোনো রান না করে সাজঘরে ফেরেন। ইনিংস বড় করতে পারেননি ৭ রান করে আউট হওয়া চ্যাডউইক ওয়ালটনও।

    তবে অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের ২৭ বলে ৩০ রানের ইনিংস দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয় ১১ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখেই। ৬ রান করে অপরাজিত থাকেন নুরুল হাসান সোহান।

    খুলনার পক্ষে ২টি উইকেট শিকার করেন রবি ফ্রাইলিঙ্ক। এছাড়া আল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ ১টি করে উইকেট শিকার করেন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স

    খুলনা টাইগার্স ১২১ (২০ ওভার)
    রুশো ৪৮, মুশফিক ২৯, ফ্রাইলিঙ্ক ১৭
    রুবেল ১৭/৩, রানা ২৯/৩, উইলিয়ামস ২১/২

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ১২৪/৪ (১৮.১ ওভার)
    জুনায়েদ ৩৮, সিমন্স ৩৬, ইমরুল ৩০*
    ফ্রাইলিঙ্ক ২০/২, মিরাজ ১০/১

    ফল: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৬ উইকেটে জয়ী।

  • হেরেই চলেছে সিলেট,রংপুরের জয়

    হেরেই চলেছে সিলেট,রংপুরের জয়

    বঙ্গবন্ধু বিপিএলের চলতি আসর হার দিয়ে শুরু করেছিল সিলেট থান্ডার। এরপর টানা চার হারের পর আসে স্বস্তির জয়। তবে আবার টানা হারের বৃত্তে আটকে যাওয়া সিলেট আগেই শেষ করেছে টুর্নামেন্টের প্লে-অফের আশা। আজও রংপুর রেঞ্জার্সের বিপক্ষে হেরেছে ৩৮ রানের ব্যবধানে।

    এদিন আগে ব্যাট করে শেন ওয়াটসন ও নাইম শেখের ব্যাটে সিলেটকে ২০০ রানের বিশাল টার্গেট ছুঁড়ে দেয় রংপুর রেঞ্জার্স। পাহাড়সম এই লক্ষ্য টপকাতে নেমে শুরুটা সুখকর হয়নি সিলেটের। ঝড়ো শুরুর আভাস দিয়ে মাত্র ১২ বলে ১৯ রান করে আউট হয়ে যান অধিনায়ক আন্দ্রে ফ্লেচার।

    আরেক ওপেনার আব্দুল মজিদ ১১ বলে ৭ রান করে গ্রেগরির বলে বোল্ড হলে পরে দলের হাল ধরেন মোহাম্মদ মিঠুন ও রাদারফোর্ড। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পরের ৪ ওভারে ৩৮ রান যোগ করেন দুজন। ইনিংসের দশম ওভারে নবীর বলে অসাধারণ এক ক্যাচ নিয়ে মিঠুনকে সাজঘরের পথ দেখান বদলি খেলোয়াড় মুগ্ধ। আউট হওয়ার আগে মিঠুনের ব্যাট থেকে আসে ২২ বলে ৩০ রান।

    তবে নিজের কাজটা ঠিকই করে যান রাদারফোর্ড। মাত্র ৩১ বলে তুলে নেন চলতি টুর্নামেন্টে নিজের প্রথম ফিফটি। কিন্তু অন্যপ্রান্তে তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি শফিকউল্লাহ (১০), সোহাগ গাজী (১), রনি তালুকদাররা (০)। পরে রাদারফোর্ডও ৩৭ বলে ৬০ রান করে রান আউটে কাটা পড়লে ফিকে হয়ে যায় সিলেটের জয়ের আশা।

    শেষদিকে মনির হোসেন ব্যাটিংয়ে না নামলে এবং আর কোনো ব্যাটসম্যান প্রতিরোধ গড়তে না পারলে মাত্র ১৬১ রানে থামে সিলেট থান্ডারের ইনিংস। ফলে ৩৮ রানে জয় তুলে মাঠ ছাড়ে রংপুর রেঞ্জার্স। রংপুরের হয়ে গ্রেগরি, তাসকিন এবং মুস্তাফিজ নেন দুইটি করে উইকেট।

    এর আগে টসে হেরে রংপুরের হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন কর‍তে আসেন নাইম এবং ওয়াটসন। উদ্বোধনী জুটিতে ৭৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েন দুজন। যেখানে আউট হওয়ার আগে ৭টি চারের সাথে ১টি ছক্কা সাহায্যে ৩৩ বলে ৪২ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে যান নাইম। এরপর ক্যামেরুন ডেলপোর্টকে নিয়ে দলের হাল ধরেন ওয়াটসন। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে মাত্র ৩১ বলে ফিফটি তুলে নেন এই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান।

    পরে এবাদতের বলে আউট হওয়ার আগে ৩৬ বলে ৬৮ রান করেন তিনি। এর আগে ডেলপোর্ট ২৫ রানে আউট হলে শেষদিকে লুইস গ্রেগরির ১৫ রানের সাথে মোহাম্মদ নবীর ১৭ বলে ২৩ ও ফজলে রাব্বির অপরাজিত ১৬ রানের সুবাদে নির্ধারিত ওভার শেষে ১৯৯ রানের সংগ্রহ পায় রংপুর রেঞ্জার্স। ম্যাচে সিলেট থান্ডারের হয়ে ২ উইকেট নেন পেসার এবাদত হোসেন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    রংপুর রেঞ্জার্স: ১৯৯/৫ (২০ ওভার)
    ওয়াটসন ৬৮, নাইম ৪২, ডেলপোর্ট ২৫; এবাদত ২/৩০, মনির ১/২৫, রাদারফোর্ড ১/২৮।

    সিলেট থান্ডার: ১৬১/১০ (১৯.১ ওভার)
    রাদারফোর্ড ৬০, মিঠুন ৩০, ফ্লেচার ১৯; মুস্তাফিজ ২/১৮, গ্রেগরি ২/২৭, তাসকিন ২/৩৯।

    ফল: রংপুর ৩৮ রানে জয়ী।

  • হাসানের বোলিং নৈপুণ্যে ঢাকার জয়

    হাসানের বোলিং নৈপুণ্যে ঢাকার জয়

    বিপিএলের চলতি আসরে সিলেট পর্বে দ্বিতীয় দিনে বৃষ্টি বিঘ্নিত প্রথম খেলার মাঝখানে ছন্দ হারালেও ঢাকা প্লাটুন ফের ফিরেছে পুরনো দাপটে। বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ৩১তম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ১২ রানের ব্যবধানে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠেছে দলটি। ঢাকার তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ একাই শিকার করেছেন ৪ উইকেট। তার পারফরম্যান্সে ম্লান হয়ে গেছে খুলনার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের ঝড়ো ইনিংস।

    সিলেটে বৃষ্টির কারণে বিলম্বিত ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান জড়ো করে ধাক। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করে আসিফ আলী। ছয়ে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৩ বলের মোকাবেলায় ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ২টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে। তার দ্রুতগতির ব্যাটিংয়েই দল পায় বড় পুঁজি।

    এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে মুমিনুল হক ৩৬ বলে ৩৮, আরিফুল হক ৩০ বলে অপরাজিত ৩৭ ও ওপেনার তামিম ইকবাল ২৩ বলে ২৫ রান করেন।

    খুলনার পক্ষে মোহাম্মদ আমির ২টি এবং আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও শফিউল ইসলাম ১টি করে উইকেট শিকার করেন।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই আমিনুল ইসলাম বিপ্লব (৪), মেহেদী হাসান মিরাজ (১৫), ও শামসুর রহমানের (৩) উইকেট হারায় খুলনা। প্রতিরোধ গড়তে পারেননি রাইলি রুশোও, ১৮ রান করে তিনি ফেরেন সাজঘরে। এরপর নাজিবউল্লাহ জাদরানের (৩১) সাবধানী ব্যাটিংয়ে সমর্থন পেয়ে চড়াও হন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।

    শেষদিকে ঢাকাকে বেশ ভয়ও পাইয়ে দিয়েছিলেন মুশফিক। ২৭ রানে আসরের তৃতীয় অর্ধ-শতক পূর্ণ করার পরও দ্রুত রান তুলছিলেন। তবে হাসান মাহমুদের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন ৩৩ বলে ৬৪ রান করে, যে ইনিংসে হাঁকিয়েছিলেন ৬টি চার ও ৪টি ছক্কা।

    এই ম্যাচে দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে বিপিএলে ২০০০ রানের মাইলফলক গড়া মুশফিক বিদায় নিলে খুলনা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার থেকে ৮ উইকেট হারানো খুলনার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৬০ রান, ঢাকা পায় ১২ রানের জয়।

    ঢাকার পক্ষে হাসান মাহমুদ ৪টি এবং মাশরাফি বিন মুর্তজা, থিসারা পেরেরা ও শাদাব খান একটি করে উইকেট শিকার করেন। নিজের চতুর্থ ওভারে ১৪ রান বিলি করলেও বল হাতে হাসানের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সই ঢাকার জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস: খুলনা টাইগার্স

    ঢাকা প্লাটুন ১৭২/৪ (২০ ওভার)
    আসিফ ৩৯*, মুমিনুল ৩৮, আরিফুল ৩৭*তামিম ২৫
    আমির ২৭/২, বিপ্লব ১৫/১, শফিউল ৪৪/১

    খুলনা টাইগার্স ১৬০/৮ (২০ ওভার)
    মুশফিক ৬৪, জাদরান ৩১, রুশো ১৮
    হাসান ৩২/৪, শাদাব ২৫/১, মাশরাফি ২৬/১

    ফল: ঢাকা প্লাটুন ১২ রানে জয়ী।

  • সুপার ওভারে সিলেটের বিপক্ষে কুমিল্লার জয়

    সুপার ওভারে সিলেটের বিপক্ষে কুমিল্লার জয়

    বঙ্গবন্ধু বিপিএলের সিলেট পর্বে প্রথম দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে সুপার ওভারে সিলেটকে হারিয়ে টুর্নামেন্টে আশা টিকিয়ো রাখলো কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।

    সুপার ওভারে আগে ব্যাট করতে নেমে মুজিবের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের কাছে ৭ রান করে ফ্লেচার-রাদারফোর্ড। জবাব দিতে নেমে শুরুতে সৌম্য সরকারকে হারালেও ডেভিড ভিজের ব্যাটে ২ বল আগেই জয় তুলে নেয় কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।

    এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রান জড়ো করে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করছেন চলতি বিপিএলের প্রথম ম্যাচে খেলতে আসা উপল থারাঙ্গা। ৯ চারে ৩১ বলে ৪৫ রান করেন এই লঙ্কান ব্যাটসম্যান।

    এছাড়া মাহিদুল ১৯, সাব্বির ১৭, উইজ ১৫, জিল ১০ এবং সৌম্য করেন ৫ রান। বল হাতে সিলেটের হয়ে ৩ উইকেট নেন এবাদত ও রাদারফোর্ড। সোহাগ গাজী নেন ২ উইকেট।

    ১৪১ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে সিলেট থান্ডার। তবে স্রোতের বিপরীতে দারুন ব্যাটিং করেন বোলার সোহাগ গাজী। ২৯ বলে তার ঝড়ো ফিফটিতে জয়ের আশা দেখে সিলেট থান্ডার।

    তবে সিলেটের আশায় বাঁধা হয়ে দাড়ান মুজিব উর রহমান। এক ওভারে সোহাগ গাজী-মিলনদের ফিরিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন তিনি। কিন্তু শেষের দিকে এলোমেলো বোলিং করেন আল আমিন হোসাইন। আবারো আশা দেখে সিলেট। শেষ ৬ বলে ১৫ রান প্রয়োজন হলে শুরুতে পরপর দুই বলে বাউন্ডারি মারেন নাভিন উল হক। পরের বলে রান আউট হলেও শেষ বলে ১ রান নিয়ে ম্যাচ ড্র করেন মনির হোসাইন। ফলে সুপার ওভারে গড়ায় ম্যাচ।

    কুমিল্লার হয়ে দারুণ বোলিংয়ে মাত্র ১২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন মুজিব উর রহমান। এরপর সুপার ওভারেও দারুণ বোলিং করেন তিনি৷ ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠে তারই হাতে।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    সিলেট থান্ডার: ২০ ওভারে ১৪০/৯ (থারাঙ্গা ৪৫, জিল ১০, সৌম্য ৫, সাব্বির ১৭, ইয়াসির ৫, উইজে ১৫, অংকন ১৯*, রনি ৭, সানজামুল ০, মুজিব ৩; নাভিন ০/২৫, ইবাদত ৩/৩৩, গাজী ২/২৩, নাঈম ০/১২, মনির ০/২১, রাদারফোর্ড ৩/১৯)।

    কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স: ২০ ওভারে ১৪০ (চার্লস ০, রনি ২, মিঠুন ১৩, রাদারফোর্ড ১৫, ফ্লেচার ১, মিলন ১৩, গাজী ৫২, নাঈম ০, নাভিন ১৫, মনির ১৬, ইবাদত ৩*; সানজামুল ১/২৪, মুজিব ৪/১২, উইজে ১/৩১, আল-আমিন ২/৩০, সৌম্য ০/২২, হায়দার ০/১৭)।

    ফলাফল: সুপার ওভারে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স জয়ী।

    ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মুজিব উর রহমান (কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স)।

  • রংপুরকে হারিয়ে রাজশাহীর ‘প্রতিশোধ’

    রংপুরকে হারিয়ে রাজশাহীর ‘প্রতিশোধ’

    বিপিএলের চলতি আসরে রংপুর রেঞ্জার্সের বিপক্ষে প্রথম দেখায় হেরে গিয়ে শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল রাজশাহী রয়্যালস। তবে ফিরতি লেগে রাজশাহীকে ৩০ রানে হারিয়ে ফের জয়ের ছন্দে ফিরেছে দলটি।

    বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭৯ রানের বড় পুঁজি জড়ো করে ৪ উইকেট হারানো রাজশাহী।

    দলের পক্ষে অর্ধ-শতক হাঁকান রবি বোপারা। ২৯ বলের মোকাবেলায় ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা হাঁকিয়ে। এছাড়া ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শোয়েব মালিক ৩১ বলে ৩৭, আফিফ হোসেন ধ্রুব ১৭ বলে ৩২ ও লিটন দাস ১৫ বলে ১৯ রান করেন।

    রংপুরের পক্ষে মুস্তাফিজুর রহমান দুটি এবং মোহাম্মদ নবী ও আরাফাত সানি একটি করে উইকেট শিকার করেন।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় রংপুর। অধিনায়ক শেন ওয়াটসন চাপ জয়ের বদলে সাজঘরে ফিরে যান ৯ বলে ২ রান করে। আরেক ওপেনার নাইম শেখ চাপ জয়ের চেষ্টা চালিয়েছিলেন অবশ্য, তবে ১৮ বলে ২৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনিও।

    এরপর ক্যামেরন ডেলপোর্টের ৭ বলে ১৪, টম আবেলের ২৪ বলে ২৯ ও ফজলে মাহমুদের ২৬ বলে ৩৪ রানের ইনিংস তিনটি দলের জয়ের জন্য যথেষ্ট হতে পারেনি। শেষদিকে ঝড়ো ব্যাটিং উপহার দিতে পারেননি কেউই। শেষপর্যন্ত রংপুর পরাজয় বরণ করে ৩০ রানের বড় ব্যবধানে। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৪৯ রান।

    রাজশাহীর পক্ষে শোয়েব মালিক, মোহাম্মদ নাওয়াজ ও কামরুল ইসলাম রাব্বি দুটি উইকেট শিকার করেন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস: রংপুর রেঞ্জার্স

    রাজশাহী রয়্যালস ১৭৯/৪ (২০ ওভার)
    বোপারা ৫০*, মালিক ৩৭, আফিফ ৩২
    মুস্তাফিজ ৪১/২, নবী ২৬/১

    রংপুর রেঞ্জার্স ১৪৯/৭ (২০ ওভার)
    ফজলে মাহমুদ ৩৪, অ্যাবেল ২৯, নাইম ২৭
    নাওয়াজ ২১/২, মালিক ২৭/২, রাব্বি ৩২/২

    ফল: রাজশাহী রয়্যালস ৩০ রানে জয়ী।