Tag: বঙ্গবন্ধু বিপিএল-২০১৯

  • বিপিএলের সেরা খেলোয়াড় রাসেল

    বিপিএলের সেরা খেলোয়াড় রাসেল

    বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের সপ্তম আসরে খুলনা টাইগার্সকে ২১ রানে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের প্রথম শিরোপা জিতে নিল উত্তরের বিভাগ রাজশাহী রয়্যালস। আর তাদের এই শিরোপা জয়ের পেছনে যার সবচেয়ে বড় অবদান তিনি হচ্ছেন রাজশাহীর অধিনায়ক ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল৷

    পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে দুর্দান্ত ক্যাপ্টেন্সির পাশাপাশি ব্যাট ও বল হাতে দলকে চ্যাম্পিয়ন করে ‘ম্যান অফ দ্যা ফাইনাল’ এবং ‘প্লেয়ার অব দি টুর্নামেন্ট’ নির্বাচিত হয়েছেন রাসেল। পুরো টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে ১৩ ম্যাচে ১৮০ স্ট্রাইকরেটে ২২৫ ও বল হাতে ১৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি৷

    রাসেলকে নিয়ে রাজশাহীর খেলোয়াড়দের উল্লাস

    তার এই দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স রাজশাহীর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পেছনে অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে তাই স্বভাবতই টুর্নামেন্ট সেরার মুকুটটাও উঠেছে তার হাতে।

  • বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী

    বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী

    বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সপ্তম আসর বঙ্গবন্ধু বিপিএলের নতুন চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী। ফাইনালে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন খুলনা টাইগারর্সকে ২১ রানে হারিয়ে বিপিএল প্রথম শিরোপা ঘরে তুলে আন্দ্রে রাসেলের রাজশাহী রয়ালস।

    এর আগে ২০১৬ সালে ফাইনালে উঠে ঢাকা ডায়নামাইটের বিপক্ষে হেরে শিরোপ বঞ্চিত হয়েছিল রাজশাহী।তবে এবার আর হতাশ হতে হয়নি। শিরোপা নিয়েই বাড়ি ফিরেছে আন্দ্রে রাসেলের নেতৃত্বাধীন দলটি।

    শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ১৭০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে রাজশাহী। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন ইরফান শুক্কর। ইনিংসের শেষ দিকে ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে ২০ বলে ৪১ রান করেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ নওয়াজ। ১৬ বলে ২৭ রান করেন আন্দ্রে রাসেল।

    বিপিএল প্রথম শিরোপা জয়ের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১১ রানে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যাওয়া দলকে খেলায় ফেরাতে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন শামসুর রহমান শুভ। তৃতীয় উকেটে রাইলি রুশোর সঙ্গে গড়েন ৭৪ রানের জুটি।

    ২ উইকেটে ৮৫ রান করা খুলনা এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শিরোপা জয়ের লড়াই থেকে ছিটকে যায়। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন শামসুর রহমান শুভ। তার ইনিংসটি ৪৩ বলে ৪টি চার ও দুটি ছক্কায় সাজানো। এছাড়া ৩৭ রান করেন রুশো। ২১ রান করে ফেরেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।

    এর আগেআন্দ্রে রাসেল ও মোহাম্মদ নওয়াজের ব্যাটিং ঝড়ে বিপিএল ফাইনালে ১৭০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছে রাজশাহী রয়েলস। ইনিংসের প্রথম ১৫ ওভারে ৪ উইকেটে ১০০ রান করা রাজশাহী পরের ৫ ওভারে তুলে নেয় ৭০ রান।

    শেষ ৩০ বলে অবিচ্ছিন্ন ৭১ রানের জুটি গড়ে দলকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর উপহার দেন রাসেল ও নওয়াজ। তাদের দায়িত্বশীলতায় লড়াই করার মতো পুঁপি পায় রাজশাহী। মাত্র ১৬ বল খেলে ৩টি ছক্কায় ২৭ রান করেন রাসেল। আর ২০ বল খেলে ৬টি চার ও দুই ছক্কায় ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন নওয়াজ।

    শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে যায় রাজশাহী। দলীয় মাত্র ১৪ রানে ওপেনার আফিফ হোসেনের উইকেট হারায় তারা।

    তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার লিটন দাসের সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি গড়েন ইরফান শুক্কর। দলীয় ৬৩ রানে ফেরেন জাতীয় দলের তারকা ওপেনার লিটন দাস। তার আগে ২৮ বলে এক চার ও এক ছক্কায় করেন ২৫ রান।

    ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন ইরফান শুক্কর। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৩২ বলে ফিফটি তুলে নেন তিনি। ঘরোয়া লিগের এ তারকা ক্রিকেটার আগের ম্যাচেও অসাধারণ ব্যাটিং করেছিলেন। ফাইনাল নিশ্চিত করার ম্যাচে খেলেছিলেন ৪৫ রানের ইনিংস।

    শুক্রবার দলীয় ৯৯ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন ইরফান শুক্কর। তার আগে ৩৫ বলে ৬টি চার ও দুই ছক্কায় খেলেন ৫২ রানের ঝকঝকে ইনিংস।

    ইরফান আউট হওয়ার পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল ও মোহাম্মদ নওয়াজ। পাকিস্তান ব্যাটসম্যান নওয়াজকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংসের শেষ দিকে রীতিমতো তাণ্ডব চালান রাজশাহীর ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    রাজশাহী রয়েলস: ২০ ওভারে ১৭০/৪ (ইরফান ৫২, নওয়াজ ৪১*, রাসেল ২৭*, লিটন ২৫, আফিফ ১০, শোয়েব মালিক ৯; আমির ২/৩৫)।

    খুলনা টাইগার্স: ২০ ওভারে ১৪৯/৮ (শামসুর রহমান ৫২, রুশো ৩৭, মুশফিক ২১; ইরফান ২/১৮, কামরুল ইসলাম ২/২৯, আন্দ্রে রাসেল ২/৩২)।

    ফল: রাজশাহী রয়েলস ২১ রানে জয়ী।

  • আজ বিপিএলের ফাইনাল

    আজ বিপিএলের ফাইনাল

    আজ রাজধানীর মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের সপ্তম আসরের শিরোপার লড়াইয়ে নামবে খুলনা টাইগার্স-রাজশাহী রয়্যালস। ম্যাচ শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টায়।

    এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু বিপিএলের বিশেষ ট্রফি উন্মোচন করা হয়েছে। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও রাজশাহী রয়্যালসের অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল এই ট্রফি সবার সামনে নিয়ে আসেন।

    বক্তিগতভাবে প্রথমবার ফাইনাল খেলতে যাওয়া মুশফিকের চোখ শিরোপায়। আন্দ্রে রাসেল বীরত্বে ফাইনালে ওঠা রাজশাহীও ছেড়ে কথা বলবে না।

    খুলনা শুরু থেকে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলছে। অফ স্পিনার মিরাজকে অলরাউন্ডার বানিয়ে সফল হয়েছে দলটি। শেষের দিকে এসে ছন্দে ফিরেছেন ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তও। মিডল অর্ডারও বেশ ভালো করছে। মুশফিক ভরসার নাম। টিম কম্বিনেশনের কারণে এতদিন সুযোগ না পেলেও ফাইনালে খেলতে পারেন হাশিম আমলা। খুলনা বোলিং লাইনআপও যেকোনো দলকে ভড়কে দিতে পারে।

    অন্যদিকে, দারুণভাবে শুরু করা রাজশাহী শেষ দিকে এসে কিছুটা ছন্দ হারালেও আন্দ্রে রাসেল ব্যাটে ফাইনালে উঠেছে। লিটন-আফিফের উদ্বোধনী এবারের আসরের সেরা। শোয়েব মালিক-আন্দ্রে রাসেলদের ব্যাট জ্বলে উঠলে খুলনাকে হারানো কঠিন নয়। টিম ডিরেক্টরহীন রাজশাহী শিরোপা জিতলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবেনা।

     

     

  • আমিরের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ফাইনালে খুলনা

    আমিরের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ফাইনালে খুলনা

    বিপিএলের চলতি আসরের প্রথম কোয়ালিফায়ারে ব্যাট হাতে যেমন আলো ছড়িয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত, বোলিংয়েও তেমন দুর্দান্ত ছিলেন মোহাম্মদ আমির। এতেই শোয়েব মালিকের প্রতিরোধ উপেক্ষা করে ২৭ রানে ম্যাচ জয় খুলনা টাইগার্সের। যার ফলে প্রথম দল হিসেবে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ফাইনাল নিশ্চিত করলো খুলনা।

    এদিন আগে ব্যাট করে শান্তর ৭৮ রানের অনবদ্য ইনিংসের উপর ভর করে ১৫৮ রানের সংগ্রহ দাঁড় করে খুলনা টাইগার্স। ১৫৯ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে শুরু থেকেই বিধ্বস্ত রাজশাহী রয়্যালস। ইনিংসের প্রথম ওভারে ওপেনার লিটন দাসকে ফিরিয়ে যার শুরু করেন খুলনার পেসার আমির।

    এরপর একে একে সাজঘরের পথ ধরেন আফিফ (১১), রবি বোপারা (১), অলক কাপালি (০), আন্দ্রে রাসেল (০) ও ফরহাদ রেজা (৩)। ফলে মাত্র ৩৩ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে রাজশাহী। যেখানে একাই ৪ উইকেট নিজের ঝুলিতে পোরেন আমির। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলে যান তিন নম্বরে ব্যাট করতে আসা দলের পাকিস্তানি রিক্রুট শোয়েব মালিক।

    এরপর তাইজুল ইসলামকে নিয়ে লড়ে যান মালিক। ৩৯ বলে তুলে নেন ফিফটি। তবে ফায়দা হয়নি একেবারেই। এতে রাজশাহীর হারের ব্যবধানটা কমলো শুধু। পরে তাইজুলের ১২ রানের সাথে মালিকের ৫০ বলে ৮০ রানের কল্যাণে ১৩১ রানে থামে রাজশাহীর ইনিংস। যেখানে বিপিএল ইতিহাসের সেরা বোলিংয়ের পাশাপাশি প্রথমবারের মত ৬ উইকেটের স্বাদ পান আমির। ফলে ২৭ রানে ম্যাচ জিতে প্রথম দল হিসেবে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ফাইনাল নিশ্চিত করলো খুলনা টাইগার্স।

    তবে এই ম্যাচ হারলেও ফাইনাল খেলার সুযোগ থাকছে রাজশাহী রয়্যালসের সামনে। টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী কোয়ালিফায়ার এক এর পরাজিত দল কোয়ালিফায়ার দুইয়ে মুখোমুখি হবে এলিমিনেটরের জয়ী দলের বিপক্ষে। সে হিসেবে এই ম্যাচ হারের ফলে ফাইনালে উঠার মিশনে পরবর্তী ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মুখোমুখি হবে আন্দ্রে রাসেলের রাজশাহী রয়্যালস।

    এর আগে টস হেরে খুলনার হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান শান্ত ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে আজ একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি মিরাজ। মোহাম্মদ ইরফানের বলে আউট হয়েছেন ৮ বলে সমান ৮ রান করে। ওই ওভারেই দ্বিতীয় আঘাত হানেন ইরফান। এবার ফেরান রানের খাতা খুলতে না পারা রাইলি রুশোকে। দলীয় ১৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে খানিক বিপদে পড়ে খুলনা।

    সেখান থেকে শামসুর রহমানকে নিয়ে দলের হাল ধরেন শান্ত। তবে শামসুর ৩১ বলে ৩২ রান করে আউট হলে ভাঙে তৃতীয় উইকেটে দুজনের ৭৮ রানের পার্টনারশিপ। পরে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে সাথে নিয়ে মাত্র ৩৬ বলে নিজের ফিফটি তুলে নেন শান্ত। তবে ইনিংসের ১৯তম ওভারে এসে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মুশফিককে। এর আগে ১৬ বলে ২১ রান করেন তিনি।

    শেষদিকে ৭টি চার ও ৪টি ছয়ের সাহায্যে শান্তর ৫৭ বলে ৭৮ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ওভার শেষে ১৫৮ রানের সংগ্রহ দাঁড় করে খুলনা টাইগার্স।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    খুলনা টাইগার্স: ১৫৮/৩ (২০ ওভার)
    শান্ত ৭৮*, শামসুর ৩২, মুশফিক ২১; ইরফান ২/১৩, বোপারা ১/২৪।

    রাজশাহী রয়্যালস: ১৩১/১০ (২০ ওভার)
    মালিক ৮০, তাইজুল ১২, আফিফ ১১; আমির ৬/১৭, মিরাজ ২/৬, শহিদুল ১/১৫।

    ফল: খুলনা ২৭ রানে জয়ী।

  • চট্টগ্রাম দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে

    চট্টগ্রাম দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে

    বিপিএলের চলতি আসরে এলিমিনিটর ম্যাচে পয়েন্ট টেবিলের ৩ ও ৪ নম্বর দলের লড়াইয়ে শেষ হাসি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের। ঢাকা প্লাটুনকে ৭ উইকেটে হারিয়ে অলিখিত সেমিফাইনালের (কোয়ালিফায়ার) টিকিট পেল দলটি।

    এদিন আগে ব্যাট করে শাবাদ খানের ঝড়ো ইনিংসের উপর ভর করে চট্টগ্রামের সামনে ১৪৫ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় ঢাকা। এই টার্গেট টপকাতে ক্রিস গেইলের সাথে ইনিংস শুরু করত আসেন জিয়াউর রহমান। শুরু থেকেই ব্যাট চালিয়ে খেলতে থাকেন জিয়া। মেহেদী হাসানের বলে আউট হওয়ার আগে ৩টি চার ও ২টি ছয়ের মারে ১২ বলে ২৫ রান করেন তিনি।

    এরপর গেইল ধীরগতির ব্যাটিং করলেও অন্য প্রান্তে নিজ ব্যাটে ঝড় তোলেন ইমরুল কায়েস। ৩টি ছয়ের সাথে ১টি চারের মারে মিরপুরের ভরা গ্যালারীকে আনন্দে ভাসান তিনি। শাদাব খানের বলে থিসারা পেরেরার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ২২ বলে ৩২ রান করেন ইমরুল। ততক্ষণে অবশ্য জয়ের ভিত গড়া হয়ে গেছে চট্টগ্রামের।

    তবে এই ম্যাচে খোলস ছেড়ে বের হতেই পারলেন না গেইল। বাঁহাতে ১৪ সেলাই নিয়ে গালিতে দাঁড়িয়ে গেইলকে একহাতে তালুবন্দী করে ফেরান মাশরাফি বিন মুর্তজা। আউট হওয়ার আগে ৪৯ বলে ৩৮ রান করেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং দানব।

    শেষদিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ১৪ বলে ৩৪ এবং চ্যাডউইক ওয়ালটনের ১০ বলে ১২ রানের সুবাদে ১৪ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌছে যায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এই জয়ের ফলে অলিখিত সেমিফাইনালে টিকিট পেল বন্দরনগরীর দলটি। একই সাথে এবারের বিপিএল পর্ব শেষ হয়ে গেল তারকায় ঠাঁসা দল ঢাকা প্লাটুনের।

    এর আগে মুমিনুল হককে নিয়ে নিজেদের ইনিংস শুরু করতে এসে একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি তামিম ইকবাল। ১০ বলে ৩ রান করে রুবেল হোসেনের বলে আউট হন তিনি। এরপর দলীয় পঞ্চম ও ষষ্ঠ ওভারে এনামুল হক বিজয় ও লুইস রিস শূন্য হাতে ফিরলে ২৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে ঢাকা।

    খানিক বাদে ৭ রান করে ইনফর্ম ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান ও ০ রান করে জাকের আলীও আউট হলে ৯ ওভারে মাত্র ৪৩ রান তুলতেই ৫ উইকেট যায় ঢাকা প্লাটুনের। তবে সতীর্থ্যরা আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দিলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলে যান ওপেনার মুমিনুল হক। ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরার আগে ৩১ বলে সমান ৩১ রান করে যান তিনি।

    এরপর থিসারা পেরেরাকে নিয়ে নিজ ব্যাটে ঝড় তোলেন শাদাব খান। দুজনের ৪৪ রানের পার্টনারশিপের পর ১৩ বলে ২৫ করে আউট হন পেরেরা। শেষদিকে মাত্র ৩৬ বলের নিজের ফিফটির তুলে নেন শাদাব। শেষপর্যন্ত ৪১ বলে ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। এর ফলে নির্ধারিত ওভার শেষে ১৪৪ রানের পুঁজি পায় ঢাকা প্লাটুন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    ঢাকা প্লাটুন: ১৪৪/৮ (২০ ওভার)
    শাদাব ৬৪*, মুমিনুল হক ৩১, পেরেরা ২৫; এমরিট ৩/২৩, নাসুম ২/১১, রুবেল ২/৩৩।

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১৪৭/৩ (১৭.৪ ওভার)
    গেইল ৩৯, কায়েস ৩২, জিয়াউর ২৫; শাদাব ২/৩২, মেহেদী ১/২০।

    ফল: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৭ উইকেটে জয়ী।

  • হাতে ১৪ সেলাই,মাশরাফির বিপিএল শেষ

    হাতে ১৪ সেলাই,মাশরাফির বিপিএল শেষ

    বিপিএলের চলতি আসরে রাউন্ড রবিন লিগের শেষ ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের কাছে হেরে শীর্ষ দুইয়ে থেকে লিগ পর্ব শেষ করার আশা চূর্ণ হয়েছে ঢাকা প্লাটুনের। সেই সাথে আরও একটি দুঃসংবাদ পেয়েছে ঢাকা বিভাগের প্রতিনিধিত্বকারী দলটি। দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা পড়েছেন চোটে।

    মাশরাফির ইঞ্জুরিটি বেশ গুরুতরই। খুলনা টাইগার্সের ইনিংসে ক্যাচ ধরতে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন বাঁ হাতের আঙুলে। চোট পাওয়া সেই হাতে লেগেছে ১৪টি সেলাই!

    খুলনার ইনিংসের ১১তম ওভারে মেহেদী হাসানের বলে সজোরে হাঁকান রাইলি রুশো। এক্সটা কভারে ছুটে যাওয়া বলটি তালুবন্দি করতে গিয়ে বাঁ হাতের আঙুলে আঘাত পান মাশরাফি।

    সেই আঘাতের পর আর মাঠেই থাকতে পারেননি। তীব্র ব্যথায় কাতর হয়ে মাঠ ছেড়ে যান ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ খ্যাত ক্রিকেটার। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সাজঘরে ফেরে চোটাক্রান্ত স্থানে লেগেছে ১৪টি সেলাই।

    ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা প্লাটুনের প্রতিনিধি এনামুল হক বিজয় বলেন-

    ‘মাশরাফি ভাইয়ের হাতে সেলাই পড়েছে দশটার বেশি। বাঁ হাতের অনেকখানি কেটে গেছে। বড় সেলাই পড়েছে যেহেতু উনার জন্য পরের ম্যাচগুলো খেলা একটু কঠিনই হয়ে যায়। এখনো নিশ্চিত না। পরের ম্যাচ খেলা তার জন্য অবশ্যই কঠিন হবে।’

    এই চোটের কারণে মাশরাফির বঙ্গবন্ধু বিপিএলের বাকি অংশে অংশগ্রহণ একপ্রকার অনিশ্চিতই হয়ে পড়েছে। ১২ ম্যাচে ৭ জয় নিয়ে চতুর্থ স্থানে থেকে রাউন্ড রবিন লিগ শেষ করেছে ঢাকা প্লাটুন। এলিমিনেটর ম্যাচ জিতলেও ফাইনালে উঠতে হলে দলটিকে কোয়ালিফায়ার ম্যাচ খেলতে হবে।

    মাশরাফির এই চোটের কারণে বেশ বেকায়দায় পড়বে ঢাকা। তিনি পরের ম্যাচে না থাকলে ‘নকআউট’ হয়ে ওঠা খেলায় দলের নেতৃত্বেও আসবে পরিবর্তন। চোট পাওয়ার দিনে ৩ ওভার বল করে ২৬ রান খরচ করেন মাশরাফি, পাননি কোনো উইকেট। ইঞ্জুরিতে মাঠ ছাড়ায় চার ওভারের কোটাও পূর্ণ করতে পারেননি।

  • প্লে-অফ লাইন-আপ চূড়ান্ত

    প্লে-অফ লাইন-আপ চূড়ান্ত

    বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সপ্তম ও বিশেষ আসর বঙ্গবন্ধু বিপিএলের রাউন্ড রবিন লিগ পর্বের খেলা শেষ হয়েছে। ৪২টি ম্যাচ শেষে চূড়ান্ত হয়েছে প্লে-অফের লাইন-আপও।

    পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ চারে থেকে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে খুলনা টাইগার্স, রাজশাহী রয়্যালস, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও ঢাকা প্লাটুন। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকায় খুলনা টাইগার্স ও রাজশাহী রয়্যালস ফাইনালে যাওয়ার জন্য দুটি সুযোগ পাচ্ছে। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও ঢাকা প্লাটুন তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে থাকায় দল দুটির জন্য বিপিএল যাত্রা হয়ে উঠেছে ‘নকআউট’, অর্থাৎ কোনো ম্যাচে হারলেই বিদায়।

    রাউন্ড রবিন লিগের পর এক দিনের বিরতি শেষে ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে শেষ চারের লড়াই। ১৩ জানুয়ারি ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে দুটি ম্যাচ।

    দিনের প্রথম খেলায় এলিমিনেটর ম্যাচে মুখোমুখি হবে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় দল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও চতুর্থ দল ঢাকা প্লাটুন। এই ম্যাচের জয়ী দল ফাইনাল খেলার জন্য আরও একটি সুযোগ পাবে, পরাজিত দল আসর থেকে বিদায় নেবে।

    দিনের দ্বিতীয় খেলায় প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দল খুলনা টাইগার্স ও রাজশাহী রয়্যালস। এই ম্যাচের জয়ী দল উঠে যাবে ফাইনালে। পরাজিত দল দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে এলিমিনেটর ম্যাচের জয়ী দলের মোকাবেলা করবে।

    দ্বিতীয় ফাইনালিস্ট বাছাইয়ের সেই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায়। ফাইনালে ওঠা দুই দল শিরোপার জন্য লড়বে ১৭ জানুয়ারি।

    একনজরে শেষ চারের পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি

    ম্যাচ তারিখ ও সময় লড়াই
    এলিমিনেটর ১৩ জানুয়ারি (সোমবার), দুপুর দেড়টা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স বনাম ঢাকা প্লাটুন

    প্রথম কোয়ালিফায়ার ১৩ জানুয়ারি (সোমবার), সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা খুলনা টাইগার্স বনাম রাজশাহী রয়্যালস

    দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ১৫ জানুয়ারি (বুধবার), সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা প্রথম কোয়ালিফায়ারের পরাজিত দল বনাম এলিমিনেটরের জয়ী দল

    ফাইনাল ১৭ জানুয়ারি (শুক্রবার), সন্ধ্যা সাতটা প্রথম কোয়ালিফায়ারের জয়ী দল বনাম দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের জয়ী দল

  • শান্তর সেঞ্চুরিতে খুলনার দুর্দান্ত জয়

    শান্তর সেঞ্চুরিতে খুলনার দুর্দান্ত জয়

    বিপিএলের চলতি আসরে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আগে ব্যাট করে খুলনা টাইগার্সের সামনে ২০৬ রানের লক্ষ্য দাঁড় করে ঢাকা প্লাটুন। যার জবাবটা জুতসই ভাবে বুঝিয়ে দিল খুলনা। নাজমুল হোসেন শান্তর ঝড়ো সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে দলটি। একই সাথে রাজশাহী রয়্যালসের পর নিশ্চিত করলো কোয়ালিফায়ারের খেলা।

    এদিন মুমিনুল হকের ৯১ ও মেহেদী হাসানের ৬৮ রনের সুবাদে ২০৫ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করে ঢাকা। পাহাড় সম এই টার্গেট টপকাতে নেমে খুলনাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন মিরাজ। শান্ত একপ্রান্ত ধরে খেললেও অপর প্রান্তে নিজ ব্যাটে ঝড় তোলেন মিরাজ। চার-ছক্কার ফুলঝুরি সাজিয়ে ২৫ বলে ৪৫ রান করে আউট হন তিনি। যেখানে ৫টি চারের সাথে ছক্কা হাঁকান ২টি।

    সতীর্থ্যকে হারিয়ে খোলস ছেড়ে বের হন শান্ত। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে মাত্র ২৮ বলে ফিফটি তুলে নেন তিনি। এরপর আরও বেশি বিধ্বংসী হয়ে উঠেন শান্ত। থিসারা পেরেরার করা ইনিংসের ১৩তম ওভারে ৩টি ছয়ের মারে তুল নেন ২০ রান। পরের ওভারেই ফিরতে হয় রাইলি রুশোকে। ১৭ বলে ২৩ রান করে রুশো আউট হলে ভাঙে দ্বিতীয় উইকেটে ৮১ রানের জুটি।

    এরপর আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। শাহরিয়ার নাফীস, মোহাম্মদ আশরাফুল, সাব্বির রহমান এবং তামিম ইকবালের পর পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিপিএলে সেঞ্চুরি করার গৌরব অর্জন করেন শান্ত। দ্বিতীয় কনিষ্ঠতম ক্রিকেটার হিসেবে এ নজির গড়েন তিনি। যা ডেভিড মালান ও আন্দ্রে ফ্লেচারের পর চলতি বিপিএলে তৃতীয় ব্যক্তিগত শতক।

    শেষদিকে ৫১ বলে শতক হাঁকানো শান্তর ৮টি চার ও ৭টি ছয়ের সাহায্যে ৫৭ বলে ১১৫ রানের কল্যাণে ৮ উইকেটে জয় তুলে মাঠ ছাড়ে খুলনা টাইগার্স। যা বিপিএলে রেকর্ড করা চেজ। এদিন মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ১৮ রান। এ জয়ের ফলে রাজশাহীর সাথে কোয়ালিফায়ার পর্ব নিশ্চিত করলো খুলনা। ম্যাচ হেরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে এলিমিনেটর ম্যাচ খেলতে হবে ঢাকা প্লাটুনকে।

    এর আগে টস হেরে ব্যাট কর‍তে নেমে সুবিধা করতে পারেননি ঢাকার দুই ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়। তামিম ৫ বলে ১ এবং এবং বিজয় আউট হন ১০ বলে সমান ১০ রান করে। খানিক বাদে জাকের আলীও ৭ বলে ১৪ রান করে ফিরে গেলে বিপাকে পড়ে ঢাকা। এরপরের গল্পটা মুমিনুল হক এবং মেহেদী হাসানের। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বাকি সময়টা খুলনার বোলারদের শাসন করতে থাকেন দুজন।

    এরই এক ফাকে ৪১ বলে ফিফটি তুলে নেন মুমিনুল। একই পথে হাঁটেন মেহেদীও। টুর্নামেন্টে নিজের তৃতীয় ফিফটির স্বাদ পেতে তিনি খরচ করেন ৩১ বল। এরপর আরো আগ্রাসী হয় উঠেন এই দুই ব্যাটসম্যান। তবে নিজেদের ইনংসের শেষদিকে এসে আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মুমিনুলকে। সেঞ্চুরি থেকে ৯ রান দূরে অর্থাৎ ৯১ রান করে আউট হন তিনি। এতেই ভাঙে চতুর্থ উইকেটে দুজনের ১৩৫ রানের পার্টনারশিপ।

    শেষদিকে মেহেদীর ৩৬ বলে অপরাজিত ৬৮ রানের কল্যাণে ২০৫ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় ঢাকা প্লাটুন। নিজের ইনিংসটিতে ৩টি চারের সাথে ৫টি ছয় হাকান মেহেদী।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    ঢাকা প্লাটুন: ২০৫/৪ (২০ ওভার)
    মুমিনুল ৯১, মেহেদী ৬৮*, জাকের আলী ১৪; ফ্রাইলিঙ্ক ২/৩৫, আমির ১/৩৫, শফিউল ১/৫০।

    খুলনা টাইগার্স: ২০৭/২ (১৮.১ ওভার)
    শান্ত ১১৫*, মিরাজ ৪৫, রুশো ২৩; শাদাব ১/৩২।

    ফল: খুলনা ৮ উইকেটে জয়ী।

  • চট্টগ্রামকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রাজশাহী

    চট্টগ্রামকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রাজশাহী

    বঙ্গবন্ধু বিপিএলের চলতি আসরে নিজেদের প্রথম দেখায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছিল রাজশাহী রয়্যালস। টুর্নামেন্টে আজ দ্বিতীয়বার মুখোমুখি হয়েছিল দুদল। যেখানে লিটন দাসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৮ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে চট্টগ্রামকে টপকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেল রাজশাহী।

    এদিন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অপরাজিত ৪৮ রানের সুবাদে আগে ব্যাট করে রাজশাহীর সামনে ১৫৬ রানের লক্ষ্য দাঁড় করে চট্টগ্রাম। এই টার্গেট টপকাতে নেমে দলের হয়ে দুর্দান্ত শুরু করেন রাজশাহীর দুই ওপেনার লিটন ও আফিফ হোসেন। চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে চট্টগ্রামের বোলারদের শাসন করতে থাকেন দুজন। এরই এক ফাকে মাত্র ২৯ বলে টুর্নামেন্টে নিজের তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন লিটন।

    ইনিংসের ১১তম ওভারে ৩২ রানে থাকা আফিফকে ফিরিয়ে রাজশাহী শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন চট্টগ্রামের স্পিনার নাসুম আহমেদ। তবে নিজেদের জয় তুলে নিতে একেবারেই বেগ পেতে হয়নি রাজশাহীকে। পরে লিটনের সাথে ধ্বংসযজ্ঞে দেন শোয়েব মালিক। এই দুই ব্যাটসম্যানের ৫০ রানের পার্টনারশিপে চট্টগ্রামের বিপক্ষে ৮ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রাজশাহী রয়্যালস।

    জিয়াউরের বলে আউট হওয়ার আগে ৪৮ বলে ৭৫ রানের ইনিংসটি লিটন সাজিয়েছন ১১টি চার ও ১টি ছয়ের সাহায্যে। মালিকের ব্যাট থেকে আসে ৪৩ রান। ১৪ বল হাতে রেখে পাওয়া জয়ের ফলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে টপকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেল রাজশাহী। এই সাথে নিশ্চিত করলো কোয়ালিফায়ার পর্বের খেলা।

    এর আগে টস হেরে জুনায়েদ সিদ্দিকীকে নিয়ে চট্টগ্রামের ইনিংস শুরু করতে আসেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইল। তবে রাজশাহীর বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং তোপে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি তারা। ইনিংসের সপ্তম ওভারে দলীয় ৩৮ রানের মাথায় ২৩ বলে সমান ২৩ রানে থাকা জুনায়েদকে আউট করেন শোয়েব মালিক। এরপর গেইল ২১ বলে ২৩ ও ইমরুল কায়েস আউট হন ১৮ বলে ১৯ রান করে।

    ৬৯ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর চ্যাডউইক ওয়ালটনও ৪ রান করে ফিরে গেলে নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে চট্টগ্রামের হাল ধরেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পঞ্চম উইকেটে ৩৮ রানের পার্টনারশিপ গড়েন দুজন। শেষদিকে সোহানের ১৬ বলে ৩০ রানের ঝড়ো ইনিংসের সাথে রিয়াদের ৩৪ বলে অপরাজিত ৪৮ রানের সুবাদে ১৫৫ রানের সংগ্রহ দাঁড় করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১৫৫/৫ (২০ ওভার)
    রিয়াদ ৪৮*, সোহান ৩০, গেইল ২৩, জুনায়েদ ২৩; মালিক ১/১১, রাহি ১/১২, আফিফ ১/১৮।

    রাজশাহী রয়্যালস: ১৫৬/২ (১৭.৪ ওভার)
    লিটন ৭৫, মালিক ৪৩*, আফিফ ৩২; জিয়া ১/১৫, নাসুম ১/৩৩।

    ফল: রাজশাহী ৮ উইকেটে জয়ী।

  • রংপুরের দুর্দান্ত জয়

    রংপুরের দুর্দান্ত জয়

    বিপিএলের চলতি আসরে প্রথমবারের মত মুখোমুখি হয়েছিল উত্তরবঙ্গের দুই দল রাজশাহী রয়্যালস ও রংপুর রেঞ্জার্স। যেখানে উত্তরবঙ্গ ডার্বিতে শেষ হাসি রংপুরের। শুরুতে নাইম শেখের ফিফটির পর তসকিন আহমেদের অনবদ্য বোলিংয়ে ৪৭ রানের জয় পেয়েছে দলটি।

    এদিন আগে ব্যাট করে রাজশাহীর সামনে ১৮৩ রানের লক্ষ্য দাঁড় করে রংপুর। পাহাড়সম এই টার্গেট টপকাতে নেমেও ধীরগতির শুরু করেন রাজশাহীর দুই ওপেনার লিটন দাস ও আফিফ হোসেন। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের সময় আফিফ যখন ৭ রান করে তাসকিনের প্রথম শিকারে পরিণত হন, তখন রয়্যালসদের দলীয় রান ১২।

    খানিক বাদে পর পর দুই বলে লিটনকে ১৭ বলে ১২ ও শোয়েব মালিককে ০ রানে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলেন তাসকিন। এরপর অলক কাপালিও ২৮ বলে ৩১ রান করে আউট হলে ৬৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে পদ্মা পাড়ের দলটি।

    সেখান থেকে রাজশাহীর হাল ধরার চেষ্টা করেন রবি বোপারা ও নাহিদুল ইসলাম। তবে পঞ্চম উইকেটে ২৭ রানের বেশি যোগ করতে পারেননি দুজন। বোপারা ২৮ ও নাহিদুল আউট হন ১৯ রান করে। শেষদিকে আন্দ্রে রাসেল ঝড় তুললেও ৭ বলে ১৭ রান করে রান আউট হয়ে যান তিনি।

    কার্যত ওখানেই শেষ হয়ে যায় রাজশাহীর জয়ের আশা। পরে দলটির আর কোন ব্যাটসম্যান প্রতিরোধ করতে না পারলে ১৩৫ রানে থামে রাজশাহীর ইনিংস। ফলে ৪৭ রানে জয় তুলে মাঠ ছাড়ে রংপুর রেঞ্জার্স। ম্যাচে রংপুরের হয়ে একাই ৪ উইকেট পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ।

    এর আগে টসে হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে রংপুর রেঞ্জার্স। দলের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান শেন ওয়াটসন ও নাইম শেখ। উদ্বোধনী জুটিতে দুজন যোগ করেন ৩৮ রান। তবে আগের দুই ম্যাচের মত এই ম্যাচেও রান পাননি অধিনায়ক ওয়াটসন। অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান ৭ রান করে আউট হওয়ার পর ক্যামেরুন ডেলপোর্টকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৫৪ রানের জুটি গড়েন নাইম। এরই ফাকে তুল নেন চলতি বিপিএলে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি।

    ৪০ বলে অর্ধশতক পূরণ করা নাইম পরে সাজঘরে ফেরেন ৫৫ রান করে। মাঝে ডেলপোর্টের ব্যাট থেকে আসে ৩১ রান। এরপর গ্রেগরির ১৭ বলে ২৮ ও মোহাম্মদ নবীর ১৬ রানের সাথে শেষদিকে আল-আমিন জুনিয়রের ১৫ এবং জহুরুল ইসলামের ৮ বলে অপরাজিত ১৯ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রানের সংগ্রহ পায় রংপুর রেঞ্জার্স। রাজশাহীর হয়ে মোহাম্মদ ইরফান ও আফিফ হোসেন নেন দুইটা করে উইকেট।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    রংপুর রেঞ্জার্স: ১৮২/৬ (২০ ওভার)
    নাইম ৫৫, ডেলপোর্ট ৩১, গ্রেগরি ২৮; ইরফান ২/৩৫, আফিফ ২/৪০।

    রাজশাহী রয়্যালস: ১৩৫/৮ (২০ ওভার)
    অলক ৩১, বোপারা ২৮, নাহিদুল ১৯; তাসকিন ৪/২৯, গ্রেগরি ২/২৮।

    ফল: রংপুর ৪৭ রানে জয়ী।

  • শেষ বলে কুমিল্লার রোমাঞ্চকর জয়

    শেষ বলে কুমিল্লার রোমাঞ্চকর জয়

    বঙ্গবন্ধু বিপিএলে চলতি আসরে নিজেদের প্রথম ৩ ম্যাচে ২ জয়ে দুর্দান্ত শুরু করেছিল কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। তবে পরের ৪ ম্যাচে হারতে হয় চারটিতেই। আজ পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ স্থানে থাকা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আবার জয়ের ধারায় ফিরেছে দলটি। ডেভিড মালানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে শেষ বলে এসে ৩ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে কুমিল্লা।

    এদিন আগে ব্যাট করে কুমিল্লার সামনে ১৬০ রানের লক্ষ্য দাঁড় করে চট্টগ্রাম। এই টার্গেট টপকাতে নেমে দলের হয়ে ঝড়ো শুরুর ইঙ্গিত দেন কুমিল্লা ওপেনার স্ট্যিয়ান ভ্যান জিল। তবে সেই ঝড় খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী করতে পারেননি তিনি। মাত্র ১২ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ২২ রান করে আউট হন বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান।

    এরপর আরেক ওপেনার রবিউল ইসলাম রবি করেন ১৭ রান। আগের ম্যাচেই ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলা সৌম্য সরকার আজ একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি, জিয়ার বলে আউট হয়েছেন ৬ রান করে। তবে সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে তিন নম্বরে নেমে বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান করে যান মালান।

    সৌম্যর আউটের পরে সাব্বিরর রহমান তার সাথে যোগ দিলে হাত খুলে খেলতে শুরু করেন মালান। জিয়ার করা ইনিংসের ১৪তম ওভার থেকে তুলে নেন ২০ রান। এরই ফাঁকে ৩৯ বলে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন তিনি। পরে সাব্বির ১৮ ও ডেভিড উইজ ১ রান করে আউট হলে শেষ ওভারে কুমিল্লার জয়ের জন্য প্রয়োজন হয় ১৬ রান। যেখানে আবু হায়দার রনির ৮ বলে ১২ রানের সাথে মালানের ৫১ বলে ৭৪ রানের সুবাদে ৩ উইকেটের জয় তুলে মাঠ ছাড়ে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।

    এর আগে টসে হেরে চট্টগ্রামের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান লেন্ডল সিমন্স ও জুনায়েদ সিদ্দিকী। উদ্বোধনী জুটিতে দুজন জড়ো করেন ১০৩ রান। যেখানে মাত্র ২৮ বলে নিজের ফিফটি তুলে নিয়ে ৩৪ বলে ৫৪ রান করে আউট হন সিমন্স। খানিক পরে মাত্র ৫ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয় জুনায়েদকে। ৩৭ বলে ৪৫ রান করে রান আউটে কাটা পড়ে ফেরেন তিনি।

    এরপর বার্ল ২ এবং ওয়ালটন ৯ রান করে আউট হলে ১৫ ওভার শেষে ১১৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে চট্টগ্রাম। সেখান থেকে দলকে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখান অলরাউন্ডার জিয়াউর রহমান। শেষদিকে ২১ বলে জিয়ার অপরাজিত ৩৪ রানের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রানের সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কুমিল্লার হয়ে ২০ রান খরচে ২ উইকেট নেন সৌম্য সরকার।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১৫৯/৬ (২০ ওভার)
    সিমন্স ৫৪, জুনায়েদ ৪৫, জিয়া ৩৪*; সৌম্য ২/২০, উইজ ১/২৬, সানজামুল ১/৩৩।

    কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স: ১৬১/৭ (২০ ওভার)
    মালান ৭৪ ভ্যান জিল ২২, সাব্বির ১৮; রুবেল ২/১৬, বার্ল ১/৯।

    ফল: কুমিল্লা ৩ উইকেটে জয়ী।

  • মিরাজের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে খুলনার প্রতিশোধের জয়

    মিরাজের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে খুলনার প্রতিশোধের জয়

    বিপিএলের চলতি আসরের চট্টগ্রাম পর্বে মুখোমুখি দেখায় সিলেট থান্ডারের কাছে ৮০ রানে হেরেছিল খুলনা টাইগার্স। ঢাকায় ফিরে বদলাটা বেশ ভালোভাবেই নিল খুলনা। টি-টোয়েন্টিতে মেহেদী হাসান মিরাজের ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়ে ৮ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে দলটি।

    এদিন সিলেটের দেওয়া ১৫৮ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে খুলনার হয়ে ওপেনিং করতে আসেন মিরাজ ও শান্ত। শুরু থেকেই ব্যাট চালিয়ে খেলতে থাকেন মিরাজ, তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন শান্ত। সিলেটের বোলারদের শাসন করে পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে ৬৬ রান তুলে ফেলেন দুজন।

    পরে চলতি বিপিএলে নিজের প্রথম ফিফটির স্বাদ পান মিরাজ। ৩১ বলে পাওয়া অর্ধশতকটি ৫টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে সাজান তিনি। পরে ১১৫ রানের সময় খুলনা শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন এবাদত। শান্তকে ফেরান ৪১ রানে।

    এরপর রুশোও ১৫ রানে আউট হয়ে গেলে মুশফিককে সাথে নিয়ে জয়ের বাকি আনুষ্ঠানিকতা সারেন মিরাজ। ১৩ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটে পাওয়া জয়ে ৬২ বলে ক্যারিয়ার সেরা ৮৭ রানে অপরাজিত থাকেন মিরাজ।

    এর আগে টসে হেরে সিলেটের হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান আন্দ্রে ফ্লেচার ও রুবেল মিয়া। ফ্লেচার একপ্রান্ত থেকে ঝড় তুললেও অপর প্রান্তে টেস্টের মেজাজে ব্যাটিং করতে থাকেন রুবেল। উদ্বোধনী জুটিতে দুজন যোগ করেন ৬২ রান। ফ্লেচার ২৪ বলে ৩৭ রান করে আউট হলে নতুন ব্যাটসম্যান জনসন চার্লেসকে সাথে নিয়ে দলীয় স্কোর বড় করার পথে ছুটেন রুবেল।

    কিন্তু চার্লস সঙ্গ দিতে পারেননি বেশিক্ষণ, ১২ বল থেকে ১৭ রান করেন তিনি। দুই রান পরেই অবশ্য ৪৪ বলে ৩৯ রান করে শহিদুলের বলে আউট হন রুবেল। একই ওভারে মোহাম্মদ মিঠুন কোন রান না করে ফিরে গেলে মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে সিলেট।

    এরপর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন ও রাদারফোর্ড। শেষদিকে দুজনের ৫৩ রানের পার্টনারশিপে ১৫৭ রানের সংগ্রহ পায় সিলেট থান্ডার। রাদারফোর্ড ২০ বলে ২৬ ও মোসাদ্দেক অপরাজিত থাকেন ২৩ রানে।

    আজকের এই ম্যাচ হারের ফলে ৭ ম্যাচে মোটে ১ জয়ে প্লে-অফের আশা অনেকটা ফিকে হয়ে গেল সিলেট থান্ডারের।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    সিলেট থান্ডার: ১৫৭/৪ (২০ ওভার)
    রুবেল ৩৯, ফ্লেচার ৩৭, রাদারফোর্ড ২৬*; ফ্রাইলিঙ্ক ২/৫৮, শহিদুল ২/২৬।

    খুলনা টাইগার্স: ১৫৮/২ (১৭.৫ ওভার)
    মিরাজ ৮৭*, শান্ত ৪১, রুশো ১৫; রাদারফোর্ড ১/৯, এবাদত ১/২১/

    ফল: খুলনা ৮ উইকেটে জয়ী।