Tag: বঙ্গবন্ধু বিপিএল

  • মুস্তাফিজ-ডেলপোর্ট’র নৈপুণ্যে রংপুরের সহজ জয়

    মুস্তাফিজ-ডেলপোর্ট’র নৈপুণ্যে রংপুরের সহজ জয়

    দেশ সেরা পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিং ও দক্ষিণ আফ্রিকার ক্যামেরন ডেলপোর্টের ব্যাটিং নৈপুণ্যে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেল রংপুর রেঞ্জার্স।

    আজ টুর্নামেন্টের ২৫তম ম্যাচে রংপুর রেঞ্জার্স ৭ উইকেটে হারিয়েছে সিলেট থান্ডারকে। প্রথমে ব্যাট করে মোহাম্মদ মিঠুনের হাফ-সেঞ্চুরিতে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৩ রানের মামুলি সংগ্রহ পায় সিলেট। ১০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সিলেটকে বড় স্কোর করতে দেননি রংপুরের মুস্তাফিজ। আর তিন নম্বরে ব্যাট হাতে নেমে ৬২ রান করেন মিঠুন।

    জবাবে ডেলপোর্টের ২৮ বলে ৬৩ রানের সুবাদে ১৬ বল বাকী রেখেই জয়ের স্বাদ নেয় রংপুর।

    মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্বান্ত নেয় রংপুর রেঞ্জার্স। দুই ওপেনার ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে ফ্লেচার ও জনসন চার্লস দলকে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি। স্পিনার আরাফাত সানির বলে ছক্কা মারতে গিয়ে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ক্যাচ দিয়ে শুন্য রানে আউট হন এবারের আসরের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান।

    ছক্কা দিয়ে ইনিংস শুরু করেছিলেন চার্লস। কিন্তু ৯ রানে চার্লস পেসার মুকিদুল ইসলামের বলে আউট হলে দলীয় ১৬ রানে দুই ওপেনারকে হারায় সিলেট।

    এরপর দলের হাল ধরে বড় জুটি গড়েন মিঠুন ও অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন। দেখেশুনে খেলে জুটিতে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তারা। তবে দলীয় ৭৩ রানে মোসাদ্দেক রান আউট হলে মিঠুনের সাথে জমে উঠা জুটিটি বিচ্ছিন্ন হয়। ২৩ বলে ১৫ রান করেন মোসাদ্দেক। ৪৯ বলে ৫৭ রানের জুটি গড়েন তারা।

    অধিনায়কের বিদায়ের পরপরই ৩৪ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মিঠুন। অর্ধশতকের স্বাদ নিয়ে নিজের ইনিংস বড় করছিলেন মিঠুন। কিন্তু ৬২ রানে মুস্তাফিজের বলে আরাফাত সানিকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মিঠুন। ৪৭ বলের ইনিংসে ৪টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন মিঠুন।

    মিঠুনের পর আর কেউই বড় ইনিংস খেলতে না পারায় সংগ্রহটাও বড়সড় করতে পারেনি সিলেট। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেরফেইন রাদারফোর্ডের ৯ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৬ রানের সুবাদে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৩ রানের সম্মানজনক সংগ্রহ পায় সিলেট। ৪ ওভারে ১০ রানে ৩ উইকেট নেন মুস্তাফিজ।

    জয়ের জন্য ১৩৪ রানের সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই অধিনায়ককে হারায় রংপুর। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক খেলোয়াড় ও রংপুরের অধিনায়ক শেন ওয়াটসন ১ রান করে সিলেটের পেসার এবাদত হোসেনের ইর্য়কারে বোল্ড হন।

    এরপর দলের জয়ে ভিত গড়ে দেন আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাইম ও ডেলপোর্ট। ৬৩ বলে ৯৯ রানের জুটি গড়েন তারা। এরমধ্যে ২৮ বলে ৬৩ রান ছিলো ডেলপোর্টের। ২৪ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করা ডেলপোর্ট থেমে যান ৬৩ রানেই।

    ১৩তম ওভারে দলীয় ১০৪ রানে ডেলপোর্টকে আউট করেন আফগানিস্তানের পেসার নবীন উল হক। পরের ওভারে আবারো রংপুর শিবিরে আঘাত হানেন নবীন। এবার ইংল্যান্ডের লুইস গ্রেগরিকে ৪ রানে থামিয়ে দেন তিনি। ফলে ৮ রানেই ২ উইকেট হারায় রংপুর। তবে আফগানিস্তানের ও রংপুরের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ নবীকে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন নাইম। চতুর্থ উইকেটে ১৭ বলে অবিচ্ছিন্ন ২২ রান করেন তারা। ২টি করে চার-ছক্কায় ৫০ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত নাইম। ১২ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় অপরাজিত ১৮ রান করেন নবী। সিলেটের নবীন ১৩ রানে ২ উইকেট নেন।

    এই ম্যাচের আগে এবারের আসরে একটি জয় ছিলো সিলেট ও রংপুরের। তাই পয়েন্ট টেবিলের তলানিতেই ছিলো এই দু’দল। দ্বিতীয় জয়ের জন্য মরিয়া ছিলো সিলেট ও রংপুর। অবশেষে দ্বিতীয় জয়ের স্বাদ নিয়ে ৪ পয়েন্ট সংগ্রহে রেখে ষষ্ঠস্থানে উঠলো রংপুর। সপ্তম ম্যাচে ২জয়ের সাথে ৫টি হারও রয়েছে রংপুরের। অন্যদিকে, ৮ ম্যাচে ১জয় ও ৭হারে ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের সপ্তম ও শেষ দল সিলেট।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর :
    সিলেট থান্ডার : ১৩৩/৯, ২০ ওভার (মিঠুন ৬২, রাদারফোর্ড ১৬, মুস্তাফিজ ৩/১০)।
    রংপুর রেঞ্জার্স : ১৩৪/৩, ১৭.২ ওভার (ডেলপোর্ট ৬৩, নাইম ৩৮*, নাভিন ২/১৩)।
    ফল : রংপুর রেঞ্জার্স ৭ উইকেটে জয়ী।
    ম্যাচ সেরা :মুস্তাফিজুর রহমান(রংপুর)।

  • রংপুরের বিপক্ষে খুলনার বড় জয়

    রংপুরের বিপক্ষে খুলনার বড় জয়

    বিপিএলের চলতি আসরে নিজেদের প্রথম ৩ ম্যাচে তিন জয়ের পর টানা দুই ম্যাচ হার খুলনার। ঢাকা পর্বে ফিরে আবার জয়ের ধারায় ফিরল দলটি। রংপুর রেঞ্জার্সকে হারিয়েছে ৫২ রানের ব্যবধান। অন্যদিকে টানা ৪ ম্যাচ হারের পর চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে জয়ে ফিরলেও ধরে রাখতে পারল না রংপুর।

    এদিন শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে খুলনা। দলের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত এবং মেহেদী হাসান মিরাজ।

    ইনিংসের শুরুর দুই বলে টানা দুই চার মেরে ঝড়ো শুরুর আভাস দেন শান্ত। তবে পরের ওভারে প্রথমবারের মত বল করতে এসে পরপর দুই বলে মিরাজ (১২) আর রাইলি রুশোকে (০) ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান। এরপর শামসুর রহমানও ১৩ রান করে বিদায় নিলে ৪৫ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে খুলনা।

    সেখান থেকে শান্তকে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম, চতুর্থ উইকেটে গড়েন ৩৯ রানের পার্টনারশিপ। যেখানে ২২ বলে শান্তর ব্যাট থেকে আসে ৩০ রান। বলা বাহুল্য, চলতি বিপিএলে বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যানের এটাই প্রথমবারের মত দুই অঙ্ক ছোঁয়া রান। এরপর নতুন ব্যাটসম্যান নাজিবউল্লাহ জাদরানকে নিয়ে ইনিংস বড় করার কাজ করেন মুশফিক। এরই এক ফাঁকে তুলে নেন নিজের অর্ধশতক। ৩টা চার ও ২টা ছয়ের সাহায্যে ৪১ বলে ফিফটি পূরণ করেন মুশফিক।

    পরে নাজিবউল্লাহর ২৬ বলে ৪১ এবং মুশফিকের ৪৮ বলে ৫৯ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রানের সংগ্রহ দাঁড় করে খুলনা। রংপুর রেঞ্জার্সের হয়ে একাই ৩ উইকেট নিয়েছেন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।

    খুলনার দেওয়া ১৮৩ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য টপকাতে নেমে ৫ রান করে আউট হয়ে যান রংপুরের অধিনায়ক শেন ওয়াটসন। এরপর নিজ ব্যাটে ঝড়ের আভাস দেন নাইম শেখ। তবে স্থায়ী করতে পারেননি বেশিক্ষণ, মোহাম্মদ আমিরের প্রথম শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৯ বলে ২০ রান করেন তিনি। খানিক বাদে ডেলপোর্ট ৯ ও ফজলে মাহমুদ ৪ রান করে আউট হলে ৭২ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে রংপুর।

    পরে লুইস গ্রেগরিও ৩৪ রান করে ফিরে গেলে জয়ের আশা ফিকে হয়ে যায় রংপুরের। এরপর শেষদিকের ব্যাটসম্যানরা আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দিলে মাত্র ১৩০ রানে থামে রংপুরের ইনিংস। ফলে ৫২ রানে জয় পায় খুলনা টাইগার্স। খুলনার হয়ে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন পেসার শহিদুল ইসলাম।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    খুলনা টাইগার্স: ১৮২/৭ (২০ ওভার)
    মুশফিক ৫৯, নাজিবউল্লাহ ৪১, শান্ত ৩০; মুস্তাফিজ ৩/২৮, গ্রেগরি ২/৩৬।

    রংপুর রেঞ্জার্স: ১৩০/৯ (২০ ওভার)
    গ্রেগরি ৩৪, মুস্তাফিজ ২১*, নাইম ২০; শহিদুল ৪/২৩ তানভীর ২/২৯, আমির ১/১৫।

    ফল: খুলনা ৫২ রানে জয়ী।

  • জয়ের ধারায় ফিরেছে চট্টগ্রাম

    জয়ের ধারায় ফিরেছে চট্টগ্রাম

    চলতি বঙ্গবন্ধু বিপিএলে জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরুর পর খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে হার। এরপর টানা তিন ম্যাচে জয়ের দেখা পায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। পরে আবার টানা দুই হার দিয়ে চট্টগ্রাম পর্ব শেষ করেছিল চ্যালেঞ্জাররা। ঢাকা পর্বে ফিরে আজ (শুক্রবার) আবার জয়ের ধারায় ফিরল দলটি। লো স্কোরিং ম্যাচে ঢাকা প্লাটুনকে ৬ উইকেটে হারিয়ে শক্ত করলো পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান।

    আজকের ম্যাচে আগে ব্যাট করে চট্টগ্রামের সামনে ১২৫ রানের লক্ষ্য দাঁড় করে ঢাকা। এই টার্গেট টপকাতে ওপেন করতে নেমে জুনায়েদ সিদ্দিকীকে সাথে নিয়ে দলকে উড়ন্ত সূচনার আভাস দেন লিন্ডল সিমন্স। তবে খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি তিনি, মাশরাফির বলে আউট হওয়ার আগে করেছেন ১৫ রান। পরে জুনায়েদ ৮ রান করে ফিরলে মিরপুরে ঝড় তোলেন চ্যাডউইক ওয়ালটন। ৩টা ছক্কা ও ১টা চারের সাহায্যে ১৬ বলে ২৫ রান করে ওয়াহাব রিয়াজের শিকারে পরিণত হন তিনি।

    ওয়ালটনের বিদায়ের পর রায়ান বার্লকে নিয়ে দেখে খেলেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। চতুর্থ উইকেটে গড়েন ৩৪ রানের পার্টনারশিপ। যেখানে বার্লের অবদান ১৩ রান। এরপর নুরুল হাসান সোহানকে সাথে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ার পাশাপাশি নিজের ফিফটি তুলে নেন ইমরুল। ৬ উইকেটের জয়ে নিজে অপরাজিত থাকেন ৫৪ রান নিয়ে। ৫৩ বলের ইনিংসটি বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান সাজিয়েছেন ৫টা চার ও ২টা ছয়ের মারে।

    এর আগে টসে হেরে ঢাকার হয়ে নিজেদের ইনিংস শুরু করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়। প্রথম থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুজন। ৩৪ বলে ৩২ রানের পার্টনারশিপের মাথায় ১৪ রানে থাকা বিজয় রান আউটে কাটা পড়লে ধ্বসের শুরু হয় ঢাকা শিবিরে। আগের দুই ম্যাচে অর্ধশতক হাঁকানো মেহেদী হাসান আজ ফিরেছেন শূন্য হাতে। এরপর ২৭ বলে ২১ রানে থাকা তামিমকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন নাসুম আহমেদ।

    খানিক বাদে জাকের আলী (৩), শহীদ আফ্রিদি (০), সাদাব খান (০) ও থিসারা পেরেরা (৬) আউট হয়ে গেলে মাত্র ৬৮ রানে তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসে ঢাকা। এই ধ্বংসস্তূপের মাঝে ৪ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৩৪ বলে সর্বোচ্চ ৩২ রানের ইনিংস খেলেন মুমিনুল হক। এরপর শেষদিকে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার ১৭ ও ওয়াহাব রিয়াজের ২৩ রানের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১২৪ রানে থামে ঢাকা প্লাটুনের ইনিংস।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    ঢাকা প্লাটুন: ১২৪/৯ (২০ ওভার) মুমিনুল ৩২, ওয়াহাব রিয়াজ ২৩, তামিম ২১; বার্ল ২/১, মুক্তার ২/১৮, নাসুম ১/২১।

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১২৫/৪ (১৮.৪ ওভার) কায়েস ৫৪*, ওয়ালটন ২৫, সিমন্স ১৫; ওয়াহাব রিয়াজ ২/১৮, মাশরাফি ১/১৪, মেহেদী ১/২৩।

    ফল: চট্টগ্রাম ৬ উইকেটে জয়ী।

  • রানে মালান,বোলিংয়ে রানা শীর্ষে

    রানে মালান,বোলিংয়ে রানা শীর্ষে

    বঙ্গবন্ধু বিপিএলের চলতি আসরের চট্টগ্রাম পর্ব গতকাল শেষ হয়েছে। দেশের জনপ্রিয় টি-টোয়েন্টি লিগটি ফের ফিরছে ঢাকায়। তবে চট্টগ্রামের ক্রিকেট উৎসব বেশ রোমাঞ্চিত করেছে সবাইকে। রান তোলার দিক থেকে ‘সাগরিকা’ খ্যাত জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম ছিল বেশ ‘দানশীল’।

    রানের সাথে পাল্লা দিয়ে কম যাননি বোলাররাও। তরুণ পেসারদের উত্থান দেশের ক্রিকেটকে দিয়েছে ভালো কিছুর ইঙ্গিত। দুটি শতকের সাথে ঘটেছে ৪ উইকেট পাওয়ার তিনটি ঘটনাও।

    চট্টগ্রাম পর্ব শেষে রান সংগ্রাহকদের তালিকায় সবার শীর্ষে রয়েছেন কুমিল্লার ডেভিড মালান, যিনি চট্টগ্রাম পর্বের শেষ ম্যাচে হাঁকিয়েছেন অপরাজিত সেঞ্চুরি। শীর্ষ পাঁচে একমাত্র বাংলাদেশি চট্টগ্রামের ইমরুল কায়েস।

    উইকেট শিকারিদের তালিকার শীর্ষে অবশ্য এক বাংলাদেশিই। জোড়া ৪ উইকেট শিকার করা চট্টগ্রামের মেহেদী হাসান রানা অন্যদের চেয়ে ভালো ‘দূরত্ব’ রেখেই শীর্ষে অবস্থান করছেন। শীর্ষ পাঁচে রয়েছেন সৌম্য সরকার ও রুবেল হোসেনও।

    একনজরে চট্টগ্রাম পর্ব শেষে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের শীর্ষ পাঁচ ব্যাটসম্যান

    নাম ম্যাচ/ইনিংস রান শতক অর্ধ-শতক
    ডেভিড মালান (কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স) ৬ ৩০০ ১০০/১ ৫০/১
    রাইলি রুশো (খুলনা টাইগার্স) ৫ ২৫৯ ১০০/০ ৫০/৩
    চ্যাডউইক ওয়ালটন (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স) ৭ ২৪০ ১০০/০ ৫০/২
    জনসন চার্লস (সিলেট থান্ডার) ৬ ২৩৬ ১০০/০ ৫০/২
    ইমরুল কায়েস (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স) ৭ ২৩৫ ১০০/০ ৫০/২

    শীর্ষ পাঁচ বোলার

    নাম ম্যাচ উইকেট সেরা ফিগার
    মেহেদী হাসান রানা (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স) ৫ ১৩ ২৩/৪
    আন্দ্রে রাসেল (রাজশাহী রয়্যালস) ৫ ৯ ৩৭/৪
    মুজিব উর রহমান (কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স) ৬ ৮ ২২/২
    সৌম্য সরকার (কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স) ৬ ৮ ১২/২
    রুবেল হোসেন (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স) ৬ ৮ ২৭/২

  • চট্টগ্রাম পর্ব শেষে বিপিএলের পয়েন্ট টেবিল

    চট্টগ্রাম পর্ব শেষে বিপিএলের পয়েন্ট টেবিল

    বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের চলতি আসর বঙ্গবন্ধু বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বের খেলা গতকাল শেষ হয়েছে। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উৎসব শেষে বিপিএল আবারো ফিরছে ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। চট্টগ্রাম পর্বে মোট ১২টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    চট্টগ্রাম পর্ব শেষে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বাধীন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। শেষ দিনের প্রথম ম্যাচে সিলেট থান্ডারকে হারিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠেছিল মাশরাফি মর্তুজার ঢাকা প্লাটুন। তবে চট্টগ্রাম পর্বের শেষ ম্যাচে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সকে হারিয়ে আন্দ্রে রাসেলের রাজশাহী রয়্যালস উঠে গেছে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে। ফলে তৃতীয় স্থানে নেমে গেছে ঢাকা।

    চতুর্থ স্থানে রয়েছে খুলনা টাইগার্স। পঞ্চম স্থানে থাকা কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স বর্তমানে কিছুটা ব্যাকফুটেই রয়েছে। পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে সিলেট থান্ডার ও রংপুর রেঞ্জার্স। দল দুটি জয়ও পেয়েছে সবচেয়ে কম- একটি করে। যদিও নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে জয় তুলে নিলে কুমিল্লাকে স্পর্শ করবে রংপুর।

    আগামী ২৭ ডিসেম্বর থেকে আবারও ঢাকায় শুরু হবে টুর্নামেন্টের তৃতীয় পর্ব।

    একনজরে চট্টগ্রাম পর্ব শেষে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের পয়েন্ট টেবিল

    জয় পরাজয় পয়েন্ট নেট রান রেট
    ১. চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৭ ৫ ২ ১০ ০.০২৭
    ২. রাজশাহী রয়্যালস  ৫ ৪ ১ ৮ ১.৩৬১
    ৩. ঢাকা প্লাটুন             ৬ ৪ ২ ৮ ০.২৩৭
    ৪. খুলনা টাইগার্স        ৫ ৩ ২ ৬ ০.৩০৫
    ৫. কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স   ৬ ২ ৪ ৪ ০.৪২৬
    ৬. সিলেট থান্ডার        ৬ ১ ৫ ২ -০.৫৫২
    ৭. রংপুর রেঞ্জার্স        ৫ ১ ৪ ২ -১.৭৯৯

      

  • অবশেষে জয়ের দেখা পেলো রংপুর

    অবশেষে জয়ের দেখা পেলো রংপুর

    চলতি বিপিএলে টানা চার ম্যাচ হারার পর পঞ্চম ম্যাচে এসে অধিনায়ক পরিবর্তন করে অবশেষে জয়ের দেখা পেলো রংপুর রের্ঞ্জার্স। পয়েন্টে টেবিলের শীর্ষ স্থানে থাকা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৬ উইকেটের সহজ জয় তুলে নিলো তারা।

    ১৬৪ রানের বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি রংপুরের। দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম এবং ক্যামেরন ডলপোর্ট ব্যর্থ হন। অধিনায়কত্ব করা টম আবেল উইকেট বাঁচিয়ে খেলার চেষ্টা করেন। সাদমান ইসলামও ধীরে ব্যাটিং করেন। যদিও এ দুজনও তাদের ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। এরপর লুইস গ্রেগরিকে সঙ্গ দিতে আসেন ফজলে মাহমুদ। এ দুজনের জুটিতে ভর করে সহজে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রংপুর।

    এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় রংপুর। ব্যাটে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৩ রান তোলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কোনো রান যোগ করার আগেই ফিরে যান ওপেনার লিন্ডলে শিমন্স। এরপর ইমরুল কায়েস, নাসির হোসেন, চাদউইক ওয়ালটনরা একে একে ব্যর্থতার খাতায় নাম লেখালেও একপাশ আগলে ঝড় তোলেন আভিশকা ফার্নান্ডো। সঞ্জিত সাহার বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৪০ বলে ৭২ রানের ইনিংস খেলে যান তিনি।

    তার বিদায়ের পর শেষ দিকে রানের গতি ধরে রাখতে পারেননি নুরুল হাসান, মুক্তার আলীরা। শেষ পর্যন্ত রংপুরের সামনে ১৬৪ রানের লক্ষ্য দাঁড় করাতে সক্ষম হয় তারা।

    এ ম্যাচে নিজেকে ফিরে পেয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ৪ ওভারে ২৩ রান খরচায় ২ উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। এছাড়া লুইস গ্রেগরিও তুলে নেন দুই উইকেট।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস: রংপুর রেঞ্জার্স

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ১৬৩/৭ (২০ ওভার)
    ফার্নান্দো ৭২, সোহান ২০, ওয়ালটন ১৬, মুক্তার ১২
    মুস্তাফিজ ২৩/২, গ্রেগোরি ২৭/২

    রংপুর রেঞ্জার্স ১৬৭/৪ (১৮.৪ ওভার)
    গ্রেগোরি ৭৬*, ফজলে মাহমুদ ৩৮*, অ্যাবেল ২৪
    রুবেল ৩৭/২, রানা ১৬/১

    ফল: রংপুর রেঞ্জার্স ৬ উইকেটে জয়ী।

     

  • ৪৬০ রানের ম্যাচে মেহেদীর নৈপুণ্যে চট্টগ্রামের জয়

    ৪৬০ রানের ম্যাচে মেহেদীর নৈপুণ্যে চট্টগ্রামের জয়

    এবারের বিপিএলে শুরুতে দল পাননি পেসার মেহেদী হাসান রানা। পরে সুযোগ মেলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সে। এর আগে দুই ম্যাচে মাঠে নেমে দুটোতেই ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনি। আজতো রীতিমত একাই ধসিয়ে দিলেন কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সকে। তাতেই ম্লান ডেভিড মালানের ৩৮ বলে ৮৪ রানের ঝড়ো ইনিংস।

    চট্টগ্রামের দেওয়া ২৩৯ রানের বিশাল টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে কুমিল্লার টপ অর্ডার। যার নেতৃত্ব দেন রানা। শুরুতে সৌম্য সরকার (১৫) ও ভানুকা রাজাপাকশার (৬) উইকেট তুলে নেওয়ার পর সাব্বির রহমানকেও (৫) আউট করেন তিনি। ফলে ৩২ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে কুমিল্লা। এরপর মালান আর ইয়াসির আলীর জুটিটা বেশ জমে উঠেছিল। তবে দুজনের ৫২ রানের পার্টনারশিপে ভাঙন ধরান রুবেল হোসেন।

    ইয়াসির ২১ রান করে আউট হলেও ঝড়ো ব্যাটিংয়ে নিজের ফিফটি তুলে নেন মালান। পরে অধিনায়ক শানাকাকে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে গড়েন ৬২ রানের পার্টনারশিপ। যেখানে রানার চতুর্থ শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৩৮ বলে ৮৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন তিনি। পরে শানাকার ৩৭ রানের ইনিংসে কুমিল্লার হারের ব্যবধানটায় কমেছে শুধু। ২২২ রানে কুমিল্লার ইনিংস থামলে ১৬ রানের জয় তুলে নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান আরো পোক্ত করলো চট্টগ্রাম। দলটির হয়ে একাই ৪ উইকেটে তুলে নিয়েছেন মেহেদী হাসান রানা।

    এর আগে টসে হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি চট্টগ্রামের ওপেনার লেন্ডল সিমন্স। ৭ বল থেকে ১০ রান করে মুজিব উর রহমানের শিকারে পরিণত হন তিনি। এরপর প্রতিপক্ষের বোলারদের উপর দিয়ে রীতিমত তাণ্ডব বইয়ে দেন আভিস্কা ও ইমরুল। দ্বিতীয় উইকেটে দুজনের ৮৫ রানের পার্টনারশিপের মাথায় আভিস্কাকে আউট করেন সৌম্য সরকার। এর আগে ২৭ বলে ৪৮ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেছেন তিনি।

    এরপর ওয়ালটনকে নিয়ে নিজের কাজটা ভালোভাবেই করে যান ইমরুল। মাঝে তুলে নেন চলতি আসরে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি। পরে আউট হওয়ার আগে ইমরুলের ব্যাট থেকে আসে ৬২ রান। শেষদিকে ওয়ালটনের ২৭ বলে অপরাজিত ৭১ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংসের সাথে সোহানের ২৯ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ২৩৮ রানে পাহাড়সম সংগ্রহ দাড় করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

    গত ম্যাচে ২২১ রান করে বিপিএল ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ড গড়েছিল চট্টগ্রাম। একদিন পর কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ছাড়িয়ে গেল সেই সংগ্রহ। আজকের (শুক্রবার) করা ২৩৮ রান বিপিএল ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ২৩৮/৪ (২০ ওভার)
    ইমরুল ৬২, আভিস্কা ৪৮, ওয়ালটন ৭১; সৌম্য ২/৪৪, মুজিব ১/৩১ শানাকা ১/৪৭।

    কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স: ২২২/৭ (২০ ওভার)
    মালান ৮৪, শানাকা ৩৭, আবু হায়দার ২৮*; মেহেদী হাসান ৪/২৮, রুবেল ১/৩০।

    ফল: চট্টগ্রাম ১৬ রানে জয়ী।

  • মেহেদীর বোলিং নৈপুণ্যে চট্টগ্রামের রোমাঞ্চকর জয়

    মেহেদীর বোলিং নৈপুণ্যে চট্টগ্রামের রোমাঞ্চকর জয়

    ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে আজ বিপিএল ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান করেছিলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। স্কোর বোর্ডে জমা করেছিলো ২২১ রান। শেষপর্যন্ত ম্যাচ হারলেও লড়াই চালিয়েছে ঢাকা। পরে সবমিলিয়ে ৪২৬ রানের শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ১৬ রানে জয় পায় চট্টগ্রাম।

    চট্টগ্রামের দেওয়া ২২২ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১ রান করে আউট হয়ে যান ওপেনার এনামুল হক। এরপর জাকের আলীকে নিয়ে ৫২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন আরেক ওপেনার মুমিনুল হক। যেখানে জাকেরের ব্যাট থেকে আসে ২৭ রান। এরপর নিজ ব্যাটে ঝড় তোলেন মুমিনুল। তবে তাকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি লরি ইভান্স (১৭) ও আসিফ আলী (১৫)। পরে মাত্র ৩৩ বলে নিজের অর্ধশতক তুলে নেন মুমিনুল।

    অবশ্য ফিফটি পূরণ করার পরে সাজঘরের পথ ধরতে হয়েছে এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে। ৫২ রান করে নাসির হোসেনের বলে আউট হয়েছেন তিনি। খানিক বাদে শহিদ আফ্রিদিও ৯ রান করে একই পথের সারথি হলে জয়ের আশা একপ্রকার ফিকে হয়ে যায় ঢাকার। তবে শেষ চেষ্টা চালিয়েছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজা। ইনিংসের ১৬ তম ওভারে নাসিরকে টানা ৩ ছাক্কা ও ১টা চার হাঁকিয়েছেন তিনি। পরের বলেই অবশ্য মাত্র ৫ বলে ২৩ রান করে বিদায় নিতে হয় মাশরাফিকে।

    এরপর থিসারা পেরেরার ২৭ বলে ৪৭ রানের অনবদ্য ইনিংসে লড়াই জমিয়ে তুলেছিলো ঢাকা প্লাটুন। তবে নির্ধারিত ওভার শেষে তাদের ইনিংস থামে ২০৫ রানে। ফলে ঘরের মাঠে ১৬ রানের জয় তুলে নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান মজবুত করলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

    এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নামে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বাহিনী। নিজেদের ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে এসে শুরু থেকেই ঢাকার বোলারদের উপর চড়াও হন লেন্ডল সিমন্স ও আভিস্কা ফানান্দো। উদ্বোধনী জুটিতে দলকে এনে দেন ৫১ রান। আভিস্কা মাত্র ১৩ বলে ২৬ রান করে আউট হওয়ার পর ২৪ বলে ঝড়ো ফিফটি তুলে নেন সিমন্স। পরে ইমরুল কায়েসের সাথে ভুল বুঝাবুঝিতে ৫৭ রানে রান আউটে কাটা পড়েন তিনি। এরপর সাগরিকায় ঝড় তোলেন মাহমুদল্লাহ, হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি নিয়েই চার-ছক্কার ফুলঝুরি সাজিয়ে বসেন তিনি।

    এদিন কম যাননি ইমরুলও, ২৪ বলে ৪০ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। পরে চোটকে সঙ্গী করে মাত্র ২৪ বলে অর্ধশত তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ। ৫৯ রান করে সাজঘরে ফেরার আগে ৫টা চারের সাথে ৪টা ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। শেষদিকে ওয়ালটনের অপরাজিত ২৭ রানের সুবাদে ২২১ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। যাতে চলতি বিপিএলে খুলনা টাইগার্সের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোরকে (১৯২) টপকে যায় চট্টগ্রাম। একই সাথে এবারের বিপিএল প্রথমবারের মত দেখে ২০০ ছাড়ানো সংগ্রহ।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ২২১/৪ (২০ ওভার)
    মাহমুদউল্লাহ ৫৯, সিমন্স ৫৭, ইমরুল ৪০; মাহমুদ ২/৫৫, সাকিল ১/২৭।

    ঢাকা প্লাটুন: ২০৫/১০ (২০ ওভার)
    মুমিনুল ৫২, পেরেরা.৪৭, জাকের আলী ২৭; মুক্তার ৩/৪২, উইলিয়ামস ২/৪৮, মেহেদী হাসান ৩/২৩।

    ফলাফল: চট্টগ্রাম ১৬ রানে জয়ী।

  • কুমিল্লার শ্বাসরুদ্ধকর জয়

    কুমিল্লার শ্বাসরুদ্ধকর জয়

    এবারের বিপিএলে ঢাকার পর চট্টগ্রামেও রান উৎসব করছেন ব্যাটসম্যানরা। তেমনই এক ম্যাচে মোহাম্মদ শাহজাদের ঝড়ো ব্যাটিংকে মলিন করে দিলেন সৌম্য সরকার-সাব্বির রাহমানরা। এর ফলে রংপুর রেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।

    রংপুরের দেওয়া ১৮২ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে কুমিল্লা। মারকাটারি ব্যাটিংয়ে পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে ৬১ রান যোগ করেন দুই ব্যাটসম্যান ভানুকা রাজাপকসা এবং সৌম্য। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে মাত্র ১৫ বলে ৩২ রান করে আউট হন ভানুকা। এরপরই কুমিল্লার রান তোলার গতি কিছুটা মন্থর হয়ে যায়। দলীয় ৯০ রানের মাথায় ৪১ রানে থামা সৌম্যকে সাজঘরে ফেরান পেসার মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ।

    সৌম্যর আউটের পর যখন কুমিল্লার জয়ের জন্য ৫৩ বলে ৯০ রানের প্রয়োজন, তখন অনেকটা ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করতে থাকেন সাব্বির রহমান। শুরুর ৩০ বল মোকাবেলা করে সমান ৩০ রান করেন তিনি। এরপর অবশ্য কিছুটা মারমুখী হন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। পরে মুস্তাফিজের বলে আউট হওয়ার আগে ৪০ বলে করেছেন ৪৯ রান।

    শেষ ৩ ওভারে কুমিল্লার জয়ের জন্য প্রয়োজন হয় ৩৫ রান। উইকেটে ডেভিড মালানের সাথে নতুন ব্যাটসম্যান দাসুন শানাকা। শেষদিকে মালানের অপরাজিত ৪২ রানের সাথে শানাকার ১২ রানের উপর ভর করে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। এর ফলে সিলেট থান্ডারের পর টানা ৩ ম্যাচে হারের স্বাদ পেল রংপুর।

    এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামে রংপুর। শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন শাহজাদ। তবে নাইম শেখ তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি বেশিক্ষণ, দলীয় ৪৯ রানে মাথায় নিজে ফিরেছেন ৮ রান করে। এরপর টম অ্যাবেলকে সাথে নিয় নিজের অর্ধশতক তুলে নেন তিনি। মাত্র ২১ বলে ৬টা চারের সাথে ৪টা ছয়ের সাহায্যে ফিফটি পূরণ এই ব্যাটসম্যান। পরে আউট হয়েছেন ২৭ বলে ৬১ রান করে। ওই ওভারেই রান আউটে কাটা পড়েন নতুন ব্যাটসম্যান আল-আমিন। ফলে ৮৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে রংপুর।

    পরে টম অ্যাবেলের ২৫, অধিনায়ক মোহাম্মদ নবীর ২৬ রানের সাথে শেষদিকে গ্রেগরির ২১ এবং আরাফাত সানি ও নাদিফ চৌধুরির সমান ১৫ রানের কল্যাণে ২০ ওভার শেষে ১৮১ রানে থামে রংপুর রেঞ্জার্সের ইনিংস। কুমিল্লার হয়ে মুজিব উর রহমান ২ এবং সৌম্য সরকার, আল-আমিন হোসেন ও সানজামুল ইসলাম নেন একটি করে উইকেট।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    রংপুর রেঞ্জার্স: ১৮১/৮ (২০ ওভার)
    শাহজাদ ৬১, নবী ২৬, অ্যাবল ২৫; মুজিব ২/২৫, সৌম্য ১/১৬।

    কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স: ১৮২/৪ (১৯.৪ ওভার ওভার)
    সৌম্য ৪১, সাব্বির ৪৯, মালান ৪২*; অ্যাবেল ১/২১, নবী ১/২৫, মুগ্ধ ১/২৬।

    ফলাফল: কুমিল্লা ৬ উইকেটে জয়ী।

  • বিপিএলের ড্রোন হারিয়ে গেছে, খুঁজে পেতে পুরস্কার ঘোষণা

    বিপিএলের ড্রোন হারিয়ে গেছে, খুঁজে পেতে পুরস্কার ঘোষণা

    বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) সম্প্রচারের কাজে নিয়োজিত দুটি ড্রোনের একটি হারিয়ে গেছে। ড্রোনটি খুঁজে পেয়ে কতৃপক্ষকে ফেরত দিতে পারলে তার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

    চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে খুলনা টাইগার্স ও রাজশাহী রয়্যালসের মধ্যকার ম্যাচ চলাকালীন এই দুর্ঘটনা ঘটে। এবারের বিপিএলের সম্প্রচার কাজে নিয়োজিত আছে মোট দুইটি ড্রোন। তার মধ্যে একটি ড্রোন উক্ত ম্যাচ চলাকালীন হারিয়ে গেছে। যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে এমনটা হয়েছে বলে জানা গেছে।

    এই ড্রোন নিয়ন্ত্রণ করছিলেন কানাডার একজন ড্রোন নিয়ন্ত্রক। কিন্তু হঠাৎ করেই যান্ত্রিক গোলযোগে সেটি ভূপাতিত হয়। ড্রোনটি আর খুঁজে না পাওয়া গেলে বাংলাদেশি টাকায় সেটির মূল্য ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা বলে জানা গেছে। এই সংবাদ নিশ্চিত করেছে রিয়েল ইমপ্যাক্ট প্রোডাকশন টিম।

    ধারণা করা হচ্ছে, ড্রোনটি স্টেডিয়ামের আশেপাশেই কোথাও পড়েছে। সেটা খুঁজে বের করার তৎপরতাও শুরু করেছে রিয়েল ইমপেক্ট প্রোডাকশন টিম। কেউ ড্রোনটি খুঁজে পেয়ে ফেরত দিলে তার জন্যও পুরস্কারের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। ড্রোনটি খুঁজে ফেরত দিলে তাকে তাৎক্ষণিক ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়া হবে বলে কতৃপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

    বিপিএলের সপ্তম আসরে এটাই ছিল চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচ আর সেটাতেই ঘটে গেল এমন দুর্ঘটনা। সাগরিকার এখনো পাঁচদিনের ম্যাচ বাকি আছে। চট্টগ্রাম পর্ব শেষ হবে আগামী ২৪ ডিসেম্বর। এরপর বিপিএল আবার ফিরে যাবে ঢাকায়।

  • সহজ ম্যাচ কঠিন করে চট্টগ্রামের জয়

    সহজ ম্যাচ কঠিন করে চট্টগ্রামের জয়

    বিপিএলে চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম দিনের দ্বিতীয় খেলায় জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিলেট থান্ডারের বিপক্ষে সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেও বিপদে পড়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। শুরুতে এক প্রান্ত আগলে রাখে আশা বাঁচিয়ে রাখেন ওপেনার লেন্ডল সিমন্স। শেষে নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটিং নৈপুণ্যে জয় ছিনিয়ে আনে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

    টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে দেখেশুনে খেলার চেষ্টা করেন সিলেট থান্ডারের দুই ওপেনার রনি তালুকদার এবং আন্দ্রে ফ্লেচার। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে পেসার মেহেদী হাসান রানার দুর্দান্ত বলে বোল্ড হন রনি। রুবেল হোসেনের করা পরের ওভারে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন শাফাকুল্লাহ। ২৩ রানে ২ উইকেট হারানোর পর মোহাম্মদ মিঠুন আর আন্দ্রে ফ্লেচার গড়েন ৩৯ রানের জুটি। ফ্লেচারকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন মুক্তার আলি। ৩২ বলে ৩৮ রান করেন ফ্লেচার।

    পরের ওভারে রানার দ্বিতীয় শিকার হন মিঠুন (১৫)। তুলে মারতে গিয়ে বিদায় নেন তিনি। ঐ ওভারেই জনসন চার্লস কাট করতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে বল তুলে নেন চার্লস। এক ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে আরো চাপে পড়ে সিলেট থান্ডার। মেইডেন ডাবল উইকেট নেন রানা।

    মোসাদ্দেক হোসেন আর নাঈম হাসান মিলে গড়েন ৪০ রানের জুটি। ১৬ বলে ১১ রান করে বিদায় নেন নাঈম। ২২ বলে ৩০ রানের প্রয়োজনীয় ইনিংস খেলে বিদায় নেন মোসাদ্দেক। শেষে দেলোয়ার হোসেন ৪ বলে ৭ রান করে অপরাজিত থাকেন এবং কৃস্মার সান্টোকি ৬ বলে ৯ রান করেন। ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান করে সিলেট থান্ডার।

    লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ধাক্কা খায় ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই। কৃস্মার সান্টোকির বলে বোল্ড হন ওপেনার আভিস্কা ফার্নান্দো। মাঝে ফ্লাডলাইটের ত্রুটির কারণে কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল খেলা।

    নিজের পরের ওভারে এসে ফর্মে থাকা ইমরুল কায়েসের উইকেট তুলে নেন সান্টোকি। মিড উইকেটে দারুণ ক্যাচ নেন বদলি ফিল্ডার আব্দুল মজিদ। ৭ বলে ৬ রান করেন তিনি। পরের ওভারে ইবাদত হোসেনের বলে বোল্ড হন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। রিয়াদের স্টাম্প উপড়ে ফেলেন ইবাদত। ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

    এক প্রান্ত আগলে রাখা লেন্ডল সিমন্স আর চ্যাডউইক ওয়ালটন যোগ করেন ২২ রান। ১২ বলে ৯ রান করে দেলোয়ার হোসেনের বলে বিদায় নেন ওয়ালটন। এরপর সিমন্সকে সঙ্গ দেন নুরুল হাসান সোহান। নুরুল আর সিমন্সের ব্যাট দলকে ম্যাচে টিকিয়ে রাখে। আশার প্রদীপ সিমন্স রান আউট হয়ে ফিরেন। সিঙ্গেলের জন্য দৌড় দিলেও নুরুল তাতে সাড়া দেননি। এক পর্যায়ে দুজন এক প্রান্তে চলে আসলে রান আউট হন সিমন্স। ৩৭ বলে ৪৪ রানের এক দারুণ ইনিংস খেলেন সিমন্স। সেই ইনিংসে ছিল তিনটি চার আর তিনটি ছক্কা।

    পরের ওভারে মুক্তার আলিকে এলবডিব্লিউ করেন সান্টোকি। ৮৫ রানে ৬ উইকেট হারায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সেখান থেকে হাল ধরেন নুরুল হাসান সোহান। দেলোয়ারের এক ওভারে হাঁকান দুই ছক্কা। এর মধ্যে একটি ছিল ১১০ মিটার লম্বা যা এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে বিপিএলের সবচেয়ে বড় ছক্কা।

    শেষ ২৪ বলে ২৪ রান প্রয়োজন ছিল রিয়াদদের। ইবাদতের করা ১৭ তম ওভারেই ম্যাচ নিজেদের হাতে নিয়ে আসেন সোহান। লং অনের ওপর দিয়ে দুর্দান্ত শটে চতুর্থ বলে চার আর পঞ্চম বলে ছক্কা মারেন সোহান। ঐ ওভারে ১৩ রান হলে সমীকরণ সহজ হয়ে যায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের জন্য।

    পরের ওভারে নাঈম হাসানের বলে চার আর ছক্কা হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন কেসরিক উইলিয়ামস। উইলিয়ামস ১৭ বলে ১৮ এবং সোহান ২৪ বলে ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    সিলেট থান্ডার ১২৯/৮, ২০ ওভার
    ফ্লেচার ৩৮, মোসাদ্দেক ৩০, মিঠুন ১৫
    রানা ৪/২৩, রুবেল ২/২৮, মুক্তার ১/২৬

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ১৩০/৬, ১৮ ওভার
    সিমন্স ৪৪, সোহান ৩৭*, উইলিয়ামস ১৮*
    সান্টোকি ৩/১৩, ইবাদত ১/২৮, দেলোয়ার ১/৩১

  • মুশফিকের ব্যাটে রাজশাহীর দুর্দান্ত জয়

    মুশফিকের ব্যাটে রাজশাহীর দুর্দান্ত জয়

    চলতি বিপিএলে ঢাকা প্লাটুনকে টপকে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে দলগতভাবে সর্বোচ্চ রানের সংগ্রহ পায় রাজশাহী রয়্যালস। তবে সেটা পর্যাপ্ত হলো না জয়ের জন্য। মুশফিকুর রহিমের ৯৬ রানের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে খুলনা। এতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেল দলটি।

    ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে খুলনার সামনে ১৯০ রানের লক্ষ্যে ছুঁড়ে দেয় রাজশাহী। পাহাড়সম এই রান টপকাতে নেমে শুরুতেই খালি হাতে ফিরে যান ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। খানিক বাদে একই পথের সারথি হন আগের ম্যাচে ফিফটি হাঁকানো রহমতউল্লাহ গুরবাজ। এরপর রুশোকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজ করেন অধিনায়ক মুশফিক। তৃতীয় উইকেট জুটিতে দুজন যোগ করেন ৭২ রান। ৪২ রানে থাকা রুশোকে ফিরিয়ে এই পার্টনারশিপ ভাঙেন রাব্বি।

    সেখান থেকে শামসুর রহমানকে নিয়ে বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তোলেন মুশফিক। মাঝে মাত্র ৩০ বলে তুলে নেন নিজের অর্ধশতক। পরে শামসুর ২৯ রানে বিদায় নিলেও জয় পেতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি খুলনাকে। শেষদিকে মুশফিকের ৯৬ রানের কল্যাণে ৫ উইকেটের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে খুলনা টাইগার্স। ৫১ বলের ইনিংসটি মুশফিক সাজিয়েছেন ৯টা চার ও ৪টা ছয়ের সাহায্যে।

    এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নামে রাজশাহী। দলের হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে আসেন লিটন দাস ও হযরতউল্লাহ জাজাই। তবে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি এই দুই ব্যাটসম্যান। দলীয় ২৬ রানের মাথায় সাজঘরের পথ ধরেন তারা। এরপর আফিফ হোসেনও ১৯ রান করে আউট হলে রাজশাহীর হয়ে দলের হাল ধরেন শোয়েব মালিক এবং রবি বোপারা। এরই এক ফাঁকে মাত্র ৩৫ বলে নিজের অর্ধশতকটা তুলে নেন মালিক। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এটি মালিকের ৫৫তম ফিফটি।

    পঞ্চাশ রানের কোটা পার করার পর আরো বেশি আগ্রাসী হয়ে যান পাকিস্তানি এই ক্রিকেটার। লেগ স্পিনার বিপ্লবের করা দলীয় ১৬তম ওভারেই ৩টা ছক্কা হাঁকান তিনি। তবে ইনিংসের শেষে দিকে এসে খানিক আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মালিককে। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১৩ রান দূরে থাকতে আমিরের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি। ৫০ বলে মালিকের ৮৭ রানের সাথে ২৬ বলে বোপারার অপরাজিত ৪০ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৮৯ রানের সংগ্রহ পায় রাজশাহী রয়্যালস।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    রাজশাহী রয়্যালস: ১৮৯/৪ (২০ ওভার)
    মালিক ৮৭, বোপারা ৪০*, লিটন ১৯; আমির ২/৩৬, ফ্রাইলিঙ্ক ১/২৯ শহিদুল ১/৩৫।

    খুলনা টাইগার্স: ১৯২/৫ (১৯.৪ ওভার)
    মুশফিক ৯৬, রুশো ২৯, শামসুর ২৯; রাসেল ২/৪১, রাব্বি ১/১৮।

    ফলাফল: খুলনা ৫ উইকেটে জয়ী।