Tag: বঙ্গবন্ধু বিপিএল

  • টস জিতে রাজশাহীর বিরুদ্ধে বোলিংয়ে খুলনা

    টস জিতে রাজশাহীর বিরুদ্ধে বোলিংয়ে খুলনা

    বঙ্গবন্ধু বিপিএলের দ্বিতীয় পর্বের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে খুলনা টাইগার্স৷ ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর দেড়টায়।

    ঢাকা পর্বে সেরা ফর্মে ছিল দুদলই। রাজশাহী তাদের দুই ম্যাচের একটিতে ৮ উইকেটে ও আরেকটিতে ৯ উইকেটে তাই নিজেদের দুর্দান্ত এই ফর্ম কাজে লাগিয়ে আজকেও জয় তুলে নিতে চাইবে তারা।

    অন্যদিকে ঢাকা পর্বে মাত্র একটি ম্যাচ খেলেই ৮ উইকেটের বর জয় তুলে নিয়েছে খুলনা তাদের ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ এবারের বিপিএলের দ্রুততম ফিফটির মালিক অন্যদিকে রাইলো রুশোও রয়েছেন দুর্দান্ত ফর্মে। সুতরাং, বলাই যায় দুর্দান্ত একটি ম্যাচ দেখার অপেক্ষায় আছে চট্টগ্রামবাসী

  • জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি তামিম

    জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি তামিম

    দীর্ঘ ছয় পর ব্যাট হাতে ফিরে কয়েক ম্যাচ খেলতে না খেলতেই আবারো ব্যাট-গ্লাভস তুলে রাখতে হচ্ছে তামিমকে। প্রচণ্ড জ্বর নিয়ে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন জাতীয় দল ও বিপিএলে ঢাকা প্লাটুনের এই বাঁহাতি ওপেনার।

    ঢাকা পর্ব শেষ করে তামিমকে ছাড়াই বন্দরনগরীতে এসেছে ঢাকা। দলটির ম্যানেজার আহসানউল্লাহ হাসান জানান, “চট্টগ্রামে প্রথম ম্যাচে হয়তো তামিমকে পাওয়া যাবে না। প্রচণ্ড জ্বর নিয়ে সে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।”

    উল্লেখ্য, ঢাকা পর্বের প্রথম ম্যাচে রান না পেলেও শেষ দুই ম্যাচে ৭৪ ও ৩১ রানের ইনিংস খেলে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দেন তামিম। কিন্তু এরই মধ্যে জ্বরের কারনে ছিটকে পড়তে হলো তাকে।

    চট্টগ্রাম পর্বে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার দল ঢাকা প্লাটুনের প্রথম ম্যাচ আগামী বুধবার। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের বিপক্ষে এ ম্যাচে তামিমের খেলার সম্ভাবনা নেই সেটি নিশ্চিত। তবে পরের ম্যাচে ফিরতে পারবেন কি সেটা নিয়েও দেখা দিয়েছে শঙ্কা।

  • ঢাকা প্লাটুনের দাপুটে জয়

    ঢাকা প্লাটুনের দাপুটে জয়

    চলতি বঙ্গবন্ধু বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কাছে হারলেও বেশ লড়াই করেছিলো সিলেট থান্ডার। এরপর রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে হারের পর আজ ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে পরাজয়। সবে মিলে তিন ম্যাচে টানা তিন হার সুরমা পাড়ের দলটির। মোসাদ্দেকের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পরেও এখনো দেখা হলো না জয়ের মুখ।

    শনিবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকার দেওয়া ১৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে সিলেট। ইনিংস শুরু করতে এসে উড়ন্ত সূচনার ইঙ্গিত দেন দুই ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার ও রনি তালুকদার। তবে ১০ রানে থাকা ফ্লেচারকে ফিরিয়ে সিলেটের সেই স্বপ্নকে হতাশায় পরিণত করেন হাসান মাহমুদ। এরপর রনি ১৪, জনসন চার্লস ১৯, শফিকউল্লাহ ২ ও মিঠুন ৮ রান করে বিদায় নিলে ৬১ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে সিলেট।

    সেখান থেকে অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তুললেও লাভ হয়নি তাতে। নাঈম হাসান ১০ রান করে রান আউট হয়ে গেলে আরো কঠিন হয়ে কাজ। পরে দেলোয়ার হোসেনও ফিরে যান ১৭ রান করে। ফলে ১৫৮ রানে থামে সিলেটের ইনিংস। ২৪ রানের জয় তুলে নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঢাকা। মাত্র ৩৪ বলে অর্ধশতক করা মোসাদ্দেক শেষপর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৬০ রানে।

    এর আগে টসে হেরে ঢাকার হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়। শুরুতে দেখে খেললেও ম্যাচের বয়স বাড়ার সাথে হাত খুলে খেলতে থাকেন দুজন। তবে নিজের ইনিংসটাকে খুব বেশিদূর টানতে পারেননি তামিম। ফিরেছেন ৩১ রান করে। ৫টা চারের মারে ইনিংসটি সাজাতে তিনি খরচ করেছেন ২৮ বল। তামিমের আউটের পর নিজের অর্ধশতক তুলে নেন এনামুল। পরে আউট হয়েছেন ৪২ বলে ৬২ রানে।

    এরপর দলের হাল ধরেন লরি ইভান্স ও জাকের আলী। তৃতীয় উইকেটে ৩০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন দুজন। যেখানে ফ্লেচারের অনবদ্য এক ক্যাচে ২০ রান করে আউট হতে হয় জাকেরকে। শেষদিকে ওয়াহাব রিয়াজের ১৭ এবং থিসারা পেরেরার অপরাজিত ২২ রানের কল্যাণে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রানের সংগ্রহ পায় ঢাকা প্লাটুন।

    সংক্ষিপ্ত:

    ঢাকা প্লাটুন: ১৮২/৪ (২০ ওভার)
    বিজয় ৬২, তামিম ৩১, পেরেরা ২৩*; মোসাদ্দেক ১/১৬ দেলোয়ার ১/২৮, নাঈম হাসান ১/৩৫।

    সিলেট থান্ডার: ১৫৮/৭ (২০ ওভার)
    মোসাদ্দেক ৬০*, চার্লস ১৯, দেলোয়ার ১৭; হাসান মাহমুদ ২/২৪, মাশরাফি ২/২৯।

    ফলাফল: ঢাকা ২৪ রানে জয়ী।

  • জয়ে ফিরল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স

    জয়ে ফিরল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স

    বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ঢাকা (প্রথম) পর্বের খেলা আজ শেষ হচ্ছে। ২ দিন বিরতি দিয়ে আগামী ১৭ ডিসেম্বর শুরু চট্টগ্রাম পর্ব। নিজেদের ঘরের মাঠে নামার আগে জয়ে ফিরল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। রংপুর রেঞ্জার্সকে তারা হারিয়েছে ৬ উইকেটের ব্যবধানে। যেখানে চ্যাডউইক ওয়ালটন আর ইমরুল কায়েসে ম্লান নাঈম শেখের ব্যাটিং।

    বিপিএলের সপ্তম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিলো চট্টগ্রাম। তবে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ৮ উইকেটে হারে খুলনার কাছে। চট্টগ্রাম পর্ব শুরুর আগে আবার জয়ের ধারায় ফিরলো দলটি।

    আজ (শনিবার) দিনের শুরুর ম্যাচে রংপুরের দেওয়া ১৫৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে বন্দরনগরীর দলটি। ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে এসে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন চট্টগ্রামের দুই ব্যাটসম্যান আভিস্কা ফার্নান্দো ও ওয়ালটন।

    উদ্বোধনী জুটিতে দুজন যোগ করেন ৬৮ রান। ২৩ বলে ৩৭ রানে থাকা আভিস্কাকে ফিরিয়ে এই পার্টনারশিপ ভাঙ্গেন গ্রেগরি। তবে ইমরুলকে নিয়ে ব্যাটিং ঝড় অব্যাহত রাখেন ওয়ালট। ৩২ বলে নিজের ফিফটি তুলে নিয়ে সমান ৫০ রানে নবীর শিকারে পরিণত হন তিনি। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৫ রান করে আউট হওয়ার পর জয়ের বাকি আনুষ্ঠানিকতা সারেন ইমরুল। ৬ উইকেটের বিশাল জয় পায় চট্টগ্রাম। যেখানে ইমরুল নিজে অপরাজিত থাকেন ৪৩ রানে

    এর আগে টসে হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে রংপুর। তবে উদ্বোধনী জুটিতে সুবিধা করতে পারেনি তারা, ৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন শেহজাদ। এরপর তিনে ব্যাট করতে আসেন টম অ্যাবল। তিনিও আউট হয়েছেন ১০ রান করে। এই দুই ব্যাটসম্যানকে হারানোর মাঝে নিজ ব্যাটে ঝড় তোলেন আরেক ওপেনার নাইম। ৬টা চার ও ৩টা ছয়ের মারে মাত্র ২৬ বলে তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতকটা।

    তবে এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান একপ্রান্ত আগলে রাখলেও অন্যপ্রান্তে তাকে সাপোর্ট দিতে পারেননি রংপুরের ব্যাটসম্যানরা। মাঝে অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী করেন ২১ রান। শেষদিকে রুবেল হোসেনকে স্কুপ করতে যেয়ে মেহেদী হাসানের হাতে ধরা পড়েন নাইম। আউট হওয়ার আগে খেলে যান ৫৪ বলে ৭৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস।

    ফলে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রানে থামে রংপুরের ইনিংস। চট্টগ্রামের হয়ে কেসরিক উইলিয়ামস ও রায়ান বার্ল নেন ২টি করে উইকেট। এছাড়া মাহমুদউল্লাহ এবং রুবেল নেন একটা করে।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    রংপুর রেঞ্জার্স: ১৫৭/৮ (২০ ওভার)
    নাইম ৭৮, নবী ২১, তাসকিন ১১*; উইলিয়ামস ২/৩৫, বার্ল ২/৩০, মাহমুদউল্লাহ ১/১৭।

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১৫৮/৪ (১৮.২ ওভার) ওয়ালটন ৫০, আভিস্কা ৩৭, ইমরুল ৪৩*; গ্রেগরি ২/২৭, অ্যাবল ১/১১।

    ফলাফল: চট্টগ্রাম ৬ উইকেটে জয়ী।

  • তামিম-থিসারা নৈপুণ্যে জয়ের স্বাদ পেল ঢাকা

    তামিম-থিসারা নৈপুণ্যে জয়ের স্বাদ পেল ঢাকা

    চলতি বিপিএলের প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ছন্দ ফিরে পেলেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। এদিন ব্যাট হাতে তামিমের সাথে ঝড় তুলেছিলেন থিসারা পেরেরা। বল হাতেও কম গেলেন না এই লঙ্কান ক্রিকেটার। একাই তুলে নিয়েছেন ৫ উইকেট। চলতি বিপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হারলেও আজ জয় তুলে নিয়েছে ঢাকা প্লাটুন। কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সকে হারিয়েছে ২০ রানের ব্যবধানে।

    ঢাকার দেওয়া ১৮১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে কুমিল্লা। উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ২ ওভার ৫ বল থেকে ৩২ রান এনে দেন ভানুকা রাজাপাকশা ও ইয়াসির আলী। যেখানে ১২ বলে ২৯ রানের ছোটখাটো এক ঝড় তোলেন ভানুকা। লঙ্কান এই ব্যাটসম্যানের আউটের ৪ রান পরে একই পথ ধরেন ইয়াসির। এরপর ডেভিড মালানকে নিয়ে কুমিল্লা দলের হাল ধরেন সৌম্য সরকার। তৃতীয় উইকেট জুটিতে দুজন যোগ করেন ৫০ রান।

    ২৬ বলে ৩৫ রান করে সৌম্য ওয়াহাব রিয়াজকে উইকেট দেওয়ার পর বেশিক্ষণ টিকেননি নতুন ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমানও। মাত্র ৪ রান করে পেরেরার প্রথম শিকারে পরিণত হন তিনি। কুমিল্লা শিবিরে সবথেকে বড় ভরসা যাকে নিয়ে, সেই শানাকা আউট হয়েছেন কোনো রান না করে। ফলে ৯৮ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে ওয়ারিয়র্স। শেষদিকে মালান আর মাহিদুল চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি তাতে।

    শেষ ৫ ওভারে জয়ের জন্য কুমিল্লার ৬২ রান প্রয়োজন হলে ৪১ রান তুলতে পারে কুমিল্লা। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে থামে ১৬০ রানে। ফলে ২০ রানে জয় তুলে নেয় ঢাকা। বঙ্গবন্ধু বিপিএলে এটিই ঢাকা প্লাটুনের প্রথম ম্যাচ জয়। ব্যাট হাতে ৪২ রানের ইনিংসের পাশাপাশি বোলিংয়েও ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন পেরেরা।

    এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলে আউট হয়ে যান এনামুল হক বিজয়। শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে বেশ সময় লাগে ঢাকার। ধীরগতির ব্যাটিং করতে থাকেন তামিম এবং মেহেদী হাসান। পরে মেহেদী ১২ রান করে আউট হলে দেখেশুনে কুমিল্লার বোলারদের মোকাবেলা করতে থাকেন তামিম ও লরি ইভান্স। ৫৬ বলে দলীয় অর্ধশত রান পার করা ঢাকা পরে খোলস ছেড়ে বের হয় ইনিংসের দশম ওভারে।

    ১০ থেকে ১৩ ওভারে দলীয় স্কোরে যোগ করে ৪২ রান। এরই এক ফাঁকে নিজের ফিফটি তুলে নেন তামিম। তাতে অবশ্য বল খরচ করেন গুনে গুনে ৪০টি। দলীয় ১০১ রানের মাথায় শানাকার বলে আউট হন ইভান্স। এর আগে তামিমের সাথে গড়ে যান ৭৫ রানের পার্টনারশিপ। এরপর হাত খুলে খেলতে শুরু করেন তামিম, সাথে যোগ দেন পেরেরা। আবু হায়দারের করা ইনিংসের ১৬ তম ওভারে টানা ৪টি চার মারেন পেরেরা, তার আগে হাঁকিয়েছেন আরো একটি ছয়।

    এরপর সাজঘরের পথ ধরেন তামিম। আউট হওয়ার আগে খেলেন ৫৩ বলে ৭৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। যেখানে ৬টা চারের সাথে ৪টা ছক্কা হাঁকিয়েছেন এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। শেষদিকে মাত্র ১৭ বলে পেরেরার অপরাজিত ৪২ রানের সুবাদে নির্ধারিত ওভার শেষ ১৮০ রানের পুঁজি পায় ঢাকা।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    ঢাকা প্লাটুন: ১৮০/৭ (২০ ওভার) তামিম ৭৪, পেরেরা ৪২, ইভান্স ২১; সৌম্য ২/৩৯, শানাকা ২/৪৮

    কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স: ১৬০/৯ (২০ ওভার) মালান ৪০, সৌম্য ৩৫, মাহিদুল ইসলাম ৩৭, ভানুকা ২৯; পেরেরা ৫/৩০, রিয়াজ ২/১৬

    ফলাফল: ঢাকা ২০ রানে জয়ী।

  • রাজশাহীর টানা দ্বিতীয় দুর্দান্ত জয়

    রাজশাহীর টানা দ্বিতীয় দুর্দান্ত জয়

    চলতি বিপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৯ উইকেটের বিশাল জয় তুলে নিয়েছিলো রাজশাহী রয়্যালস। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচেও আজ (শুক্রবার) কম গেল না দলটি। সিলেট থান্ডারকে হারিয়েছে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। যেখানে লিটন দাসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ম্যাচ শেষ করতে মাত্র ৪৮ মিনিট সময় নিয়েছে রাজশাহী!

    ৯২ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরতেই বিপাকে পড়ে সিলেট। ইনিংসের প্রথম ওভারে কোনো রান না দিয়ে হযরতউল্লাহ জাজাইয়ের উইকেট তুলে নেন নাঈম হাসান। পরের ওভারে উইকেটের দেখা না পেলেও মাত্র দুই রান খরচ করেন এবাদত। তবে দলের এমন হতশ্রী অবস্থা খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেননি লিটন ও আফিফ হোসেন। পরের ৪ ওভারে তুলে নিয়েছেন ৫৩ রান।

    এরপর ৬২ রানের পার্টনারশিপের মাথায় আফিফ ৩০ রান করে বিদায় নিলেও খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি রাজশাহীকে। লিটনের অপরাজিত ৪৪ রানের সুবাদে ৮ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দলটি। যেখানে ২৬ বলে ৪৪ রানের ইনিংসটি সাজাতে লিটন চার মেরেছেন ৭ টি।

    এর আগে টসে হেরে নিজেদের ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে আসেন রাজশাহীর দুই ব্যাটসম্যান রনি তালুকদার ও জনসন চার্লস। উদ্বোধনী জুটিতে ৩৫ রান যোগ করেন দুজন। ১৯ রানে থাকা রনিকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙ্গেন রাজশাহীর অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল। খানিক পর চার্লসকে ফেরান অলক কাপালি। পরের বলেই কাপালির দ্বিতীয় শিকার জীবন মেন্ডিস। ফলে ৪১ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে সিলেট।

    এরপর মোহাম্মদ মিঠুন ও মোসাদ্দেক হোসেন দলের হাল ধরলেও তা টেনে নিয়ে যেতে পারেননি বেশিক্ষণ। মিঠুনকে ২০ রানে ফিরিয়ে ৩১ রানির পার্টনারশিপ ভাঙ্গেন রবি বোপারা। এরপর ১০ রানের ব্যবধানে শেষ ৫ ব্যাটসম্যান আউট হলে ১৫ ওভার ৩ বলেই মাত্র ৯১ রানে গুটিয়ে যায় সিলেট। রাজশাহী হয়ে কাপালি নেন ৩ উইকেট।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    সিলেট থান্ডার: ৯১/১০ (১৫.৩ ওভার) মিঠুন ২০, মোসাদ্দেক ২০, রনি ১৯; কাপালি ৩/১৭, ফরহাদ রেজা ২/৯, বোপারা ২/১০

    রাজশাহী রয়্যালস: ৯২/২ (১০.৫ ওভার) লিটন ৪৪*, আফিফ ৩০, মালিক ১২; নাঈম ১/১৬

    ফলাফল: রাজশাহী ৮ উইকেটে জয়ী।

  • চট্টগ্রামের বিপক্ষে খুলনার বড় জয়

    চট্টগ্রামের বিপক্ষে খুলনার বড় জয়

    বঙ্গবন্ধু বিপিএলের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ (বৃহস্পতিবার) চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মুখোমুখি হয়েছিলো খুলনা টাইগার্স। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা। রহমানউল্লাহ গুরবাজ, রাইলি রুশোদের ব্যাটিংয়ে বন্দরনগরীর দলটিকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের দল।

    মিরপুরে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামে চট্টগ্রাম। আজও দলের নিয়মিত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ছাড়াই মাঠে নামতে হয় দলটিকে। ম্যাচে চট্টগ্রামের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ক্রিকেটার লিন্ডল সিমন্স ও চ্যাডউইক ওয়ালটন। উদ্বোধনী জুটিতে ৪৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েন দুজন। সিমন্স ২৩ বলে ২৬ রান করে আউট হওয়ার পর দলীয় ৪৯ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন ওয়ালটনও।

    এরপর নাসির হোসেনকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজ শুরু করলেও খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি ইমরুল কায়েস। নিজের প্রথম ম্যাচে বুধবার ৩৮ বলে ৬১ রানের ঝড়ো এক ইনিংস খেললেও আজ ফিরেছেন ১২ রান করে। ইমরুল রান আউটে কাটা পড়লে উইকেটে থাকা নাসিরের সাথে যোগ দেন নুরুল হাসান সোহান। চতুর্থ উইকেটে দুজন গড়েন ৩৭ রানের জুটি।

    এরপর সোহান ব্যক্তিগত ১৯ রানের মাথায় রান আউটে কাটা পড়লে, পরের ওভারে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন নাসিরও। ২৭ বল থেকে ২৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। শেষদিকে মুক্তার আলীর ১৪ বলে অপরাজিত ২৯ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ওভার শেষে ১৪৪ রানের পুঁজি পায় চট্টগ্রাম। ম্যাচে খুলনার হয়ে শফিউল ইসলাম, রবি ফ্রাইলিঙ্ক, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও শহিদুল ইসলাম প্রত্যেকেই নেন একটি করে উইকেট।

    পরে ১৪৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নামে খুলনা টাইগার্স। গুরবাজের সাথে ইনিংস শুরু কর‍তে এসে একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। নাসুমকে উইকেট দিয়ে এসেছেন ৪ রান করে। পরে রুশোকে নিয়ে চট্টগ্রামের বোলারদের উপর ধ্বংসলীলা চালান গুরবাজ। মাত্র ১৮ বলে তুলে নেন নিজের ফিফটি। ৫০ রানের মাথায় আউট হওয়ার আগে রুশোর সাথে গড়েন ৭০ রানের পার্টনারশিপ। যেখানে ৪টা চারের সাথে ৫টা ছক্কা হাঁকিয়েছেন গুরবাজ।

    এরপর মুশফিককে নিয়ে জয়ের বাকি আনুষ্ঠানিকতা সারেন রুশো। তুলে নেন নিজের অর্ধশতকটা। পরে দলকে আর কোন বিপদ হতে না দিয়ে ৩৭ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে জয় পায় খুলনা। মুশফিক ২৮ ও রুশো অপরাজিত থাকেন ৬৪ রান নিয়ে। যেখানে ৩৮ বলের ইনিংসটি রুশো সাজিয়েছেন ৭টা চার ও ২টা ছয়ের মারে।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১৪৪/৬ (২০ ওভার) মুক্তার ২৯*, সিমন্স ২৬, নাসির ২৪, সোহান ১৯; ফ্রাইলিঙ্ক ১/২১, বিপ্লব ১/২৫, শফিউল ১/৩০

    খুলনা টাইগার্স: ১৪৬/ ২ (১৩.৫ ওভার) , রুশো ৬৪*, গুরবাজ ৫০, মুশফিক ২৮*; নাসুম ১/১৮, মুক্তার ১/২০

    ফলাফল: খুলনা ৮ উইকেটে জয়ী।

  • ঢাকার বিপক্ষে রাজশাহীর বড় জয়

    ঢাকার বিপক্ষে রাজশাহীর বড় জয়

    এবারের বঙ্গবন্ধু বিপিএলে বেশ শক্ত দল গড়েছে ঢাকা প্লাটুন। মাশরাফি বিন মুর্তজা, তামিম ইকবালদের পাশাপাশি শহীদ আফ্রিদি, থিসারা পেরেরা, লরি ইভান্সের মত বিদেশি নিয়েও হতশ্রী শুরু ঢাকার। লিটন দাস, হযরতউল্লাহ জাজাইদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ঢাকাকে হেসেখেলে হারালো রাজশাহী রয়্যালস। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৯ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে রাজশাহী।

    এদিন ঢাকার দেওয়া ১৩৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই হাত খুলে খেলেন লিটন। জাজাইকে সাথে নিয়ে ইনিংস শুরু করতে এসে প্রথম ওভার থেকেই ঢাকার বোলারদের উপর চড়াও হন তিনি। সাথে যোগ্য সঙ্গ দেন জাজাইও। উদ্বোধনী জুটিতে দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৬২ রান। যেখানে ৩৯ রান করে আউট হন লিটন।

    পরে জাজাইয়ের সাথে জুটি বাঁধেন শোয়েব মালিক। দেখেশুনে খেলতে থাকেন এই দুজন। মাঝে নিজের অর্ধশতকটা তুলে নেন জাজাই। আর কোনো বিপদ হতে না দিয়ে দলকে নিয়ে যান জয়ের দ্বারপ্রান্তে। পরবর্তীতে ১০ বল ও ৯ উইকেটের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রাজশাহী রয়্যালস। যেখানে জাজাই ৫৬ ও মালিক অপরাজিত থাকেন ৩৬ রান নিয়ে।

    এর আগে টসে হেরে ব্যাট কর‍তে নামে ঢাকা প্লাটুন। দলের হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান তামিম ও এনামুল হক বিজয়। তবে শুরুটা একেবারেই সুখকর হয়নি ঢাকার। দলীয় ১৫ রানের মাথায় তামিম আউট হয়ে যান ৫ রান করে। খানিক বাদে ব্যক্তিগত ১৩ রান করে একই পথের অনুসারী হন ইভান্স।

    এরপর জাকের আলীকে নিয়ে ঢাকার হাল ধরেন বিজয়। তৃতীয় উইকেট জুটিতে দুজন যোগ করেন ৩৯ রান। ইনিংসের ১২ তম ওভারে জাকের রান আউটে কাটা পড়লে ভাঙে এই পার্টনারশিপ। পরে পেরেরা, আফ্রিদিরা ব্যর্থ হলে শেষদিকে দলের রান বাড়ানোর চেষ্টা করেন ওয়াহাব রিয়াজ ও অধিনায়ক মাশরাফি।

    ওয়াহাবের ১৯ ও মাশরাফি অপরাজিত ১৮ রানের সুবাদে ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ১৩৪ রানের সংগ্রহ পায় ঢাকা প্লাটুন। রাজশাহীর হয়ে রাহী ২ এবং তাইজুল, কাপালি, ফরহাদ রেজা ও বোপারা প্রত্যেকে নেন একটি করে উইকেট।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    ঢাকা প্লাটুন: ১৩৪/৯ (২০ ওভার)
    বিজয় ৩৮, জাকের ২১, ওয়াহাব ১৯; আবু জায়েদ ২/৪৩, ফরহাদ রেজা ১/১৪, বোপারা ১/১৫।

    রাজশাহী রয়্যালস: ১৩৬/১ (১৮.২ ওভার)
    জাজাই ৫৬*, লিটন ৩৯, মালিক ৩৬*; মেহেদী ১/২৩।

    ফলাফল: রাজশাহী ৯ উইকেটে জয়ী।

  • রংপুরকে উড়িয়ে দিল কুমিল্লা

    রংপুরকে উড়িয়ে দিল কুমিল্লা

    ব্যাট হাতে শুরুটা একেবারে সুখকর হয়নি। তবে ম্যাচের বয়স বাড়ার সাথে সাথে লাগাম নিজেদের হাতে তুলে নেয় কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। অধিনায়ক দাসুন শানাকার অনবদ্য ব্যাটিংয়ের পর বল হাতেও আলো ছড়াল কুমিল্লা। এবারের বিপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে রংপুরকে হারালো ১০৫ রানের ব্যবধানে।

    দিনের দ্বিতীয় ম্যাচ আগে ব্যাট করে রংপুরকে ১৭৪ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় কুমিল্লা। এই টার্গেট টপকাতে নেমে একেবারেই সুবিধা করতে পারেনি উত্তরাঞ্চলের দলটি। শুরুতেই ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদের (১৩) উইকেট হারিয়ে বসে তারা। এরপর জহুরুল ইসলাম ৫, ফজলে রাব্বির ১ ও লুইস গ্রেগরি কোন রান না করে বিদায় নিলে ৩৪ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে রংপুর।

    রংপুরের ব্যাটসম্যানদেরকে আর খোলস ছেড়ে বের হতে দেননি কুমিল্লার বোলাররা। মোহাম্মদ নবী ১১ রান করে সাজঘরে ফিরলে খানিক বাদে একই পথের সারথি হন সঞ্জিত সাহা (০), নাঈম (১৭) ও তাসকিন আহমেদ (১)। ফলে ৫৭ রানে ৮ উইকেট হারায় দলটি। শেষদিকে মুস্তাফিজের ৮ রান জয়ের ব্যবধানটা কমিয়েছে শুধু।

    পরে শেষ ব্যাটসম্যান হিসাবে জাকির হাসান ব্যাটিংয়ে না নামলে রংপুর আটকে যায় ৬৮ রানে। ফলে ১০৫ রানের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কুমিল্লা। বল হাতে আল-আমিন ৩ ও সানজামুল এবং সৌম্য নেন সমান ২টি করে উইকেট।

    এর আগে ম্যাচের শুরুতে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন কুমিল্লার অধিনায়ক শানাকা। দলের হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলী রাব্বি ও ভানুকা রাজপাকশা। তবে ইনিংসের শুরুর বলেই কুমিল্লা শিবিরে আঘাত হানেন রংপুরের অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী। শূন্য রানে আউট করেন রাব্বিকে। এরপর সৌম্য সরকার করেন ২৬ রান। পরবর্তীতে ডেভিড মালান ২৫ ও সাব্বির রহমানের ব্যাট থেকে আসে ১৯ রান।

    শেষদিকের রোমাঞ্চ যেন তুলে রেখেছিলেন শানাকা। মুস্তাফিজের করা দলীয় ১৯ তম ওভারে টানা ৪টা ছক্কা হাঁকান এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান, যেখানে দুইটা বাউন্ডারিকে আছড়ে ফেলেন একেবারে স্টেডিয়ামের বাইরে। এরই সাথে নিজের অর্ধশতটা তুলে নেন লঙ্কান ক্রিকেটার। পরে শানাকার ৩১ বলে অপরাজিত ৭৫ রানের ঝড়ে দলীয় ২০ ওভার শেষে স্কোর বোর্ডে ১৭৩ রানের সংগ্রহ পায় কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। এদিন ৩টা চারের সাথে ৯টা ছক্কা হাঁকিয়েছেন শানাকা।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স: ১৭৩/৭ (২০ ওভার) দাসুন শানাকা ৭৫, সৌম্য সরকার ২৬, ডেভিড মালান ২৫, সাব্বির রহমান ১৯; মুস্তাফিজুর রহমান ২/৩৭, সঞ্জিত সাহা ২/২৬, লুইয়া গ্রেগরি ১/২৫

    রংপুর রেঞ্জার্স: ৬৮/১০ (১৪ ওভার) নাইম শেখ ১৭, মোহাম্মদ শেহজাদ ১৩, মোহাম্মদ নবী ১১; আল-আমিন হোসেন ৩/১৪, সানজামুল ইসলাম ২/৪, সৌম্য সরকার ২/১২

    ফলাফল: কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স ১০৫ রানে জয়ী।

  • জয় দিয়ে বিপিএলে চট্টগ্রামের শুভ সূচনা

    জয় দিয়ে বিপিএলে চট্টগ্রামের শুভ সূচনা

    মোহাম্মদ মিঠুনের ঝড়ো ইনিংসও দলের জয়ের জন্য যথেষ্ট হতে পারেনি। জাতীয় দলের আরেক তারকা ইমরুল কায়েসের দুর্দান্ত অর্ধ-শতকে সিলেট থান্ডারকে ৫ উইকেটে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএলে শুভসূচনা করেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

    মিরপুরে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান জড়ো করে সিলেট থান্ডার। দলের পক্ষে দারুণ এক ইনিংস খেলেন মিঠুন। ৪৮ বলের মোকাবেলায় ৮৪ রান করে অপরাজিত থাকেন ৪টি চার ও ৫টি ছক্কা হাঁকিয়ে।

    এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে জনসন চার্লস ২৩ বলে ৩৫ ও অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৩৫ বলে ২৯ রান করেন।

    চট্টগ্রামের পক্ষে রুবেল হোসেন শিকার করেন দুটি উইকেট।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নামা চট্টগ্রাম দলীয় ৪২ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গেলেও সেই চাপ সামাল দেন চারে নামা ইমরুল কায়েস ও ওপেনার অভিষকা ফার্নান্দো। ফার্নান্দো ২৬ বলে ৩৩ রান করে বিদায় নিলেও ইমরুল দেখেশুনে খেলে যান।

    ২টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৩৮ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলে ইমরুল যখন বিদায় নিচ্ছেন দল তখন জয়ের দোরগোড়ায়। শেষদিকে চ্যাডউইক ওয়ালটনের ৩০ বলে ৪৯ রানের ইনিংস দলকে ৫ উইকেট ও ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয়। ওয়ালটন হাঁকান ৩টি চার ও ২টি ছক্কা। ৫ রানে অপরাজিত থাকেন নুরুল হাসান সোহান।

    সিলেটের পক্ষে নাজমুল ইসলাম অপু শিকার করেন দুটি উইকেট।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স

    সিলেট থান্ডার ১৬২/৪ (২০ ওভার)
    মিঠুন ৮৪*, চার্লস ৩৫, মোসাদ্দেক ২৯
    রুবেল ২৭/২, নাসুম ৩৪/১, এমরিট ৩৮/১

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ১৬৩/৫ (১৯ ওভার)
    ইমরুল ৬১, ওয়ালটন ৪৯*, ফার্নান্দো ৩৩
    অপু ২৩/২, মোসাদ্দেক ৯/১, এবাদত ৩৩/১

    ফল: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৫ উইকেটে জয়ী।

  • বিপিএলের প্রথম খেলায় টস জিতে ফিল্ডিংয়ে চট্টগ্রাম

    বিপিএলের প্রথম খেলায় টস জিতে ফিল্ডিংয়ে চট্টগ্রাম

    বঙ্গবন্ধু বিপিএলের প্রথম ম্যাচে টস জিতে সিলেট থান্ডারকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

    চট্টগ্রামের নেতৃত্ব দিচ্ছেন রিয়াদ এমরিত এবং সিলেটের নেতৃত্বে রয়েছেন মোসাদ্দেক।

    চট্টগ্রামের স্কোয়াডে রয়েছেন ক্রিস গেইল, কেসরিক উইলিয়ামস, ইমাদ ওয়াসিম, লেন্ডল সিমন্সদের মতো বিদেশি তারকা। এ ছাড়া দেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ইমরুল কায়েস, নাসির হোসেন, রুবেল হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, এনামুল হক জুনিয়ররা আছেন দলটিতে।

    তবে চট্টগ্রামের প্রথম কয়েকটি ম্যাচে থাকছেন না মাহমুদউল্লাহ। ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক ইডেন টেস্টে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়েন তিনি। এখনো পুরোপুরিভাবে সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি এ অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। ফলে তাকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চাইছে না বিসিবি।

    মাহমুদউল্লাহর পাশাপাশি এই ম্যাচে খেলবেন না ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল। থাকছেন না লেন্ডল সিমন্স ও কেসরিক উইলিয়ামস।

    সিলেট থান্ডারও যথেষ্ট শক্তিশালী দল গড়েছে। বিদেশিদের মধ্যে আছেন আন্দ্রে ফ্লেচার, মোহাম্মদ সামি, শিরফানে রাদারফোর্ড, জনসন চার্লস, জীবন মেন্ডিসরা। এ ছাড়া বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে আছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মোহাম্মদ মিঠুন, নাজমুল ইসলাম অপু, সোহাগ গাজীরা।

    নতুন আঙ্গিকে শুরু হতে যাওয়া বিপিএল নিয়ে উন্মাদনার শেষ নেই দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের। এর আঁচ পাওয়া গেছে গেল রোববার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিতব্য এ টুর্নামেন্টের উদ্বোধনীতে উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে শেরেবাংলায়।

    অনুষ্ঠান সফল করতে আয়োজনের কমতি রাখেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। প্রধান আকর্ষণ ছিলেন বলিউড সুপারস্টার সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফ। এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে এবার লিগের মূল লড়াই দেখার প্রতীক্ষায় দর্শকরা।

    সিলেট থান্ডার একাদশ : জনসন চার্লস, রনি তালুকদার, মোহাম্মদ মিথুন, মোসাদ্দেক হোসেন, জীবন মেন্ডিস, নাজমুল হোসেন, সোহাগ গাজি, নাভিন উল হক, কৃশমার সান্তোকি, এবাদত হোসেন, নাজমুল হোসেন।

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স একাদশ : ইমরুল কায়েস, আভিশকা ফার্নান্দো, জুনায়েদ সিদ্দিকি, রায়ান বার্ল, চ্যাডউইক ওয়ালটন, নুরুল হাসান, নাসির হোসেইন, রিয়াদ এমরিত, নাসুম হোসেন, রুবেল হোসেন, মুখতার আলি।

  • বঙ্গবন্ধু বিপিএলের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    বঙ্গবন্ধু বিপিএলের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    জমকালো আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    আজ সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টা ৫০ মিনিটে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক জমজমাট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই উদ্বোধন ঘোষণা করেন শেখ হাসিনা।

    উল্লেখ্য, এটাই ছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে সরকার গৃহীত বিভিন্ন কর্মসুচির প্রথম সূচি।

    ৪০ দিনব্যাপী এ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠারন মঞ্চ মাতাতে ঢাকায় পা রাখেন জনপ্রিয় বলিউড তারকা সালমান খান, ক্যাটরিনা কাইফ, সনু নিগাম ও কৈলাশ খেরেরা। এছাড়া দেশি তারকাদের মধ্যে আছেন মমতাজ, জেমসসহ আরও অনেকে। পাঁচ ঘন্টা দীর্ঘ এই অনুষ্ঠানে পারফর্ম করবেন তারা।

    প্রধানমন্ত্রীর আগমনের আগেই কনসার্ট দিয়ে শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। বিসিবি’র তত্ত্বাবধানে এবার বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক পরিবেশনা রাখা হয়েছে। পুরো স্টেডিয়ামকে সাজানো হয়েছে বর্ণিলভাবে। সব মিলিয়ে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশেষ এই বিপিএল উদ্বোধন হয়।

    সাতটি দলের অংশগ্রহণে যথাযথভাবে আগামী ১১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে এবারের ‘বঙ্গবন্ধু বিপিএল’।

    দলগুলো হচ্ছে- ঢাকা প্লাটুন, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, খুলনা টাইগার্স, সিলেট থান্ডার, রংপুর রেঞ্জার্স, রাজশাহী রয়্যালস ও কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। বিসিবি নিজের তত্ত্বাবধানে এবারের আসরের দলগুলো পরিচালনা করছে।

    ১১ ডিসেম্বর দুপুরে মিরপুরে চট্টগ্রাম ও সিলেট এবং সন্ধ্যায় কুমিল্লা ও রংপুর ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াবে বিপিএলের সপ্তম আসরের লড়াই।