Tag: বঙ্গবন্ধু

  • আজ ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস

    আজ ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস

    আজ ৭ জুন ঐতিহাসিক ছয়-দফা দিবস। ১৯৬৬ সালের এ দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ৬-দফা দাবির পক্ষে দেশব্যাপী তীব্র গণআন্দোলনের সূচনা হয়।

    এই দিনে আওয়ামী লীগের ডাকা হরতালে টঙ্গি, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে তৎকালীন পুলিশ ও ইপিআর’র গুলিতে মনু মিয়া, শফিক ও শামসুল হকসহ ১০ জন বাঙালি শহীদ হন।

    এরপর থেকেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আপোষহীন সংগ্রামের ধারায় ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের দিকে এগিয়ে যায় পরাধীন বাঙালি জাতি।

    প্রতিবছর বিভিন্ন কমূসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়ে আসলেও করোনা ভাইরাসজনিত পরিস্থিতির কারণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে জনসমাগম পরিহার করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে এ বছর দিবসটি উদ্যাপন করা হবে
    আওয়ামী লীগ ৭ জুন ‘ঐতিহাসিক ৬-দফা দিবস’- যথাযথ মর্যাদার সাথে পালন করে ।

    তবে এবছর বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে সৃষ্ট সংকটে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে সব ধরনের জনসমাগমপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি পরিহার করে আসছে।

    স্বাস্থ্য বিধি মেনে সীমিত পরিসরে দেশবাসীকে ঐতিহাসিক ৭ জুনের সকল বীর শহীদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহীদ এবং বাঙালি জাতির স্বাধীনতা, মুক্তি, গণতন্ত্র ও প্রগতি প্রতিষ্ঠায় আত্মদানকারী শহীদ সন্তানদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে পরম করুণাময়ের নিকট এ দিনটিতে প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছে দলটি ।

    আজ ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উদযাপন উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি’র পক্ষ থেকে একটি অনলাইন আলোচনা সভা এবং তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করার উদ্দেশে অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনলাইন আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করতে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন বলে জানিয়েছেন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তাসখন্দ চুক্তিকে কেন্দ্র করে লাহোরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের সাবজেক্ট কমিটিতে ৬-দফা উত্থাপন করেন এবং পরের দিন সম্মেলনের আলোচ্য সূচিতে যাতে এটি স্থান পায় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু এই সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর এ দাবির প্রতি আয়োজক পক্ষ গুরুত্ব প্রদান করেনি। তারা এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে।

    প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু সম্মেলনে যোগ না দিয়ে লাহোরে অবস্থানকালেই ৬-দফা উত্থাপন করেন। এ নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানের বিভিন্ন খবরের কাগজে বঙ্গবন্ধুকে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা বলে চিহ্নিত করা হয়।

    পরে ঢাকায় ফিরে বঙ্গবন্ধু ১৩ মার্চ ৬-দফা এবং এ ব্যাপারে দলের অন্যান্য বিস্তারিত কর্মসূচি আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদে পাস করিয়ে নেন।

    ৬-দফার মূল বক্তব্য ছিল- প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিষয় ছাড়া সকল ক্ষমতা প্রাদেশিক সরকারের হাতে থাকবে। পূর্ববাংলা ও পশ্চিম পাকিস্তানে দু’টি পৃথক ও সহজ বিনিময়যোগ্য মুদ্রা থাকবে।

    সরকারের কর, শুল্ক ধার্য ও আদায় করার দায়িত্ব প্রাদেশিক সরকারের হাতে থাকাসহ দুই অঞ্চলের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার আলাদা হিসাব থাকবে এবং পূর্ববাংলার প্রতিরক্ষা ঝুঁকি কমানোর জন্য এখানে আধা-সামরিক বাহিনী গঠন ও নৌবাহিনীর সদর দফতর স্থাপন।

    বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ৬-দফা দাবির মুখে পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক শাসক আইয়ুব খান বিচলিত হয়ে পড়েন। তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, ৬-দফা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে অস্ত্রের ভাষায় উত্তর দেয়া হবে।

    এদিকে ৬-দফা কর্মসূচি জনগণের মাঝে পৌঁছে দেয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সমগ্র পূর্ববাংলা সফর করেন এবং ৬-দফাকে বাঙালির বাঁচার দাবি হিসেবে অভিহিত করেন। ফলে শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ অন্যান্য নেতাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে। যশোর, ময়মনসিংহ ও সিলেটসহ অন্যান্য কয়েকটি স্থানে ৬ দফার পক্ষে প্রচারকালে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হন।

    পরবর্তী সময়ে ঐতিহাসিক ৬-দফাভিত্তিক নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনই ধাপে ধাপে বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামে পরিণত হয়।

    এ দাবির সপক্ষে বাঙালি জাতির সর্বাত্মক রায় ঘোষিত হয় ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক সাধারণ নির্বাচনের মধ্যদিয়ে। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বাঙালিরা বিজয়ী করে।

    অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর দলকে জনগণ বিজয়ী করলেও স্বৈরাচারী পাক শাসকরা বিজয়ী দলকে সরকার গঠন করতে না দিলে আবারো বঙ্গবন্ধু জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতার পক্ষে আন্দোলন শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ. আ. ম. স আরেফীন সিদ্দিক বলেন, ৬ দফাই এনে দিয়েছে আমাদের তথা বাংলাদেশের স্বাধীনতা।

    তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দূর দৃষ্টি, অন্তঃদৃষ্টি ও রাজনৈতিক বিচক্ষণতা এতই প্রখর ছিল যে, তিনি ৬ দফাকে এক দফার দাবিতে পরিণত করে বাংলার স্বাধীনতার আন্দোলনের ডাক দেন।

    অওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, ছয় দফার সময়ে এটা কেবল স্বায়ত্তশাসনের দাবি, অর্থনৈতিক মুক্তির দাবি না- এমন বিতর্ক ছিল। তিনি বলেন, ৭০-এর নির্বাচন ছিল ৬-দফার প্রশ্নে ম্যান্ডেট।

    রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব ও লেখক নূহ-উল আলম লেনিন বলেন, পাকিস্তান সৃষ্টির আগেই স্বাধীন বাংলাদেশের বিষয়টি বঙ্গবন্ধুর মাথায় ছিল। তাই ছয় দফা হঠাৎ কোন ব্যাপার ছিল না। বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ রাজনীতির লক্ষ্যই ছিল স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। ছয় দফার ভেতর দিয়েই প্রকৃত অর্থে স্বাধীনতা এসেছে।

    সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ছয় দফা মুক্তির সনদ না হলেও এটা ছিল মুক্তিযুদ্ধের একটা মাইল ফলক, যা অতিক্রম করার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ সফল হয়েছিল।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • পিতা তোমার স্বপ্নের সোনার বাংলা আমরা গড়বোই:প্রধানমন্ত্রী

    পিতা তোমার স্বপ্নের সোনার বাংলা আমরা গড়বোই:প্রধানমন্ত্রী

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মুজিববর্ষের’ উদ্বোধন ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পিতা, তোমার কাছে আমাদের অঙ্গীকার, তোমার স্বপ্নের সোনার বাংলা আমরা গড়বোই। আর সেদিন বেশি দূরে নয়। তোমার বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।

    মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) মুজিববর্ষ উপলক্ষে উদ্বোধনী ভাষণে আজ রাতে তিনি একথা বলেন।

    জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণটি বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি টেলিভিশন ও রেডিওসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একযোগে প্রচার করা হয়।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তুমি ঘুমাও পিতা শান্তিতে। তুমি ঘুমিয়ে আছ টুঙ্গিপাড়ার সবুজ ছায়াঘেরা মাটিতে পিতা মাতার কোলের কাছে।

    আমরা জেগে রইবো তোমার আদর্শ বুকে নিয়ে। জেগে থাকবে এদেশের মানুষ – প্রজন্মের পর প্রজন্ম -তোমার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে। তোমার দেওয়া পতাকা সমুন্নত থাকবে চিরদিন।
    বক্তব্যের শুরুতেই মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশবাসী ও বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশী নাগরিক এবং বিশ্ববাসীকে শুভেচ্ছা জানান বঙ্গবন্ধুর জেষ্ঠ্যকনা শেখ হাসিনা। এরপর ছোটবোন শেখ রেহানার পক্ষ থেকেও দেশের সকল বষয়, শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজ ১৭ই মার্চ। ১৯২০ সালের আজকের দিনে এই বাংলায় জন্ম নিয়েছিলেন এক মহাপুরুষ। তিনি আমার পিতা, শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশ নামের এই দেশটি তিনি উপহার দিয়েছেন। দিয়েছেন বাঙালিকে একটি জাতি হিসেবে আত্মপরিচয়ের মর্যাদা। তাইতো তিনি আমাদের জাতির পিতা। দুঃখী মানুষকে ক্ষুধা-দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দিতে নিজের জীবনের সব সুখ-আরাম বিসর্জন দিয়ে তিনি সংগ্রাম করেছেন আজীবন। বারবার কারারুদ্ধ হয়েছেন। মানুষের দুঃখ-কষ্ট তাঁকে ব্যথিত করতো। অধিকারহারা দুঃখী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যেকোন ত্যাগ স্বীকারে তিনি দ্বিধা করেননি। এই বঙ্গভূমির বঙ্গ-সন্তানদের একান্ত আপনজন হয়ে উঠেছিলেন – তাই তিনি ‘বঙ্গবন্ধু’।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজ থেকে শুরু হয়ে ২০২১ সালের ২৬-এ মার্চ পর্যন্ত মুজিববর্ষ উদযাপন করা হবে। ২০২১ সালে উদযাপিত হবে আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিভিন্ন বন্ধুপ্রতীম দেশ, ইউনেসকো, ওআইসি-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা মুজিববর্ষ উদযাপনে অংশীদার হয়েছে। সকলকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের প্রতি। আমরা মুজিববর্ষ পালনের সুযোগ পেয়েছি। এ যে আমাদের জীবনে কত বড় পাওয়া, তা ভাষায় বোঝাতে পারব না। আমি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই দেশবাসীর প্রতি- যাঁরা আমার দল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে, পরপর তিনবার সরকার পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে মুজিববর্ষ উদযাপনের সুযোগ করে দিয়েছেন।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসজনিত উদ্ভুত পরিস্থিতিতে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কিছুটা পরিবর্তন আনতে হয়েছে। তবে বছরব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমরা মুজিববর্ষ উদযাপন করবো। একই কারণে বিদেশি অতিথিবৃন্দের সফর স্থগিত করা হয়েছে। ভূটানের রাজা জিগমে খেসার নমগেয়েল ওয়াংচুক, নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারি, ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী, জাতিসংঘের মহাসচিব এন্টিনিও গুতেরাস এবং ওআইসি’র মহাসচিব ড. ইউসুফ আল ওথাইমিন-সহ বেশ কয়েকজন বিদেশি শুভাকাঙ্ক্ষী ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আমি তাদের ব্যক্তিগতভাবে এবং বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আজকের এই মাহেন্দ্রক্ষণে আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। শ্রদ্ধা জানাচ্ছি ১৫ই আগস্টের শহিদদের প্রতি। স্মরণ করছি জাতীয় ৪-নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদকে। নির্যাতিত মা-বোন এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। মুক্তিযোদ্ধাদের সালাম।

    বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ছোটবেলা থেকেই মানুষের দুঃখ-কষ্টে ব্যথিত হতেন জাতির পিতা। অকাতরে বিলিয়ে দিতেন তাঁর জামাকাপড়, বই, ছাতা। যার যখন যা প্রয়োজন মনে করতেন, তাকে নিজের জিনিষ দিয়ে দিতেন। নিজের খাবারও তিনি ভাগ করে খেতেন। দুর্ভিক্ষের সময় গোলার ধান বিলিয়ে দিতেন। মানুষের জন্য কিছু করতে পারার মধ্যেই তিনি আনন্দ পেতেন। নিজের জীবনের কোন চাওয়া পাওয়া ছিল না।

    বাংলাদেশের মানুষকে উন্নত, সুন্দর জীবন নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন তিনি। তার সে ত্যাগ বৃথা যায়নি। তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে মর্যাদার আসনে আসীন। আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে। গড়তে হবে জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।

    আজকের শিশু-কিশোর, তরুণ সমাজের কাছে আমার আবেদন- তোমরা দেশকে এবং দেশের মানুষকে ভালবাসবে। অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই স্বাধীনতা। স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে চলার উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে তোমাদের নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। ঠিক যেভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের মানুষকে ভালোবেসেছিলেন, সেভাবেই ভালোবাসতে হবে। তার আদর্শে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে।

    শেখ হাসিনা বলেন, পিতা, ঘাতকের নির্মম বুলেট কেড়ে নিয়েছে তোমাকে। তোমার দেহ রক্তাক্ত করেছে। তোমার নাম বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চেষ্টা করেছে। কিন্তু ওরা পারেনি। ঘাতকেরা বুঝতে পারেনি তোমার রক্ত ৩২ নম্বর বাড়ির সিঁড়ি বেয়ে-বেয়ে ছড়িয়ে গেছে সারা বাংলাদেশে। জন্ম দিয়েছে কোটি কোটি মুজিবের। তাই আজ জেগে উঠেছে বাংলাদেশের মানুষ সত্যের অন্বেষণে। ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না। সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢেকে রাখা যায় না। আজ শুধু বাংলাদেশ নয় তোমার জন্মশতবার্ষিকী পালিত হচ্ছে বিশ্বব্যাপী। বাংলাদেশকে বিশ্ব চিনে নিয়েছে তোমার ত্যাগের মহিমায়।

  • বিভক্তি নয় দেশপ্রেমই বড় গুণ:রিয়াজ হায়দার

    বিভক্তি নয় দেশপ্রেমই বড় গুণ:রিয়াজ হায়দার

    চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী ফতেয়াবাদ আদর্শ বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের ১২৫ বছর পূর্তির দুই দিন ব্যাপী উৎসব উদ্বোধন হয়েছে।

    শুক্রবার (১৩ মার্চ) বিকেলে বিদ্যালয় মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে উক্ত অনুষ্ঠানের  উদ্বোধন করেন পেশাজীবী নাগরিক সংগঠক,বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী।

    বিকেল চারটায় তিনি উদ্বোধন করেন বর্ণাঢ্য এক শোভাযাত্রাও।

    উৎসবে যোগ দিয়েছেন দেশবিদেশ থেকে বিদ্যালয়ের অন্তত ৫০০০ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ।

    শোভাযাত্রাকালে ফতেয়াবাদ এলাকার সবকটি সড়ক পথে যেন মিশে যায় বিদ্যালয়টির উদ্যানে। বিভিন্ন ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ব্যানার ফেস্টুন ও বর্ণের সাজে দারুন উচ্ছ্বাস প্রকাশের মধ্য দিয়ে এই উৎসবে অংশ নেন।

    অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিয়াজ হায়দার চৌধুরী সামাজিক আদাব ও দেশপ্রেমের চেতনায় শিক্ষার্থীদের জীবন গঠনের উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, দলীয় বিভক্তির বাইরে গিয়ে দেশপ্রেমে জাগর চৈতন্যের অধিকারী হতে পারাটা বড় গুণ।

    তিনি করোনা ভাইরাস বিষয়ে সচেতনতা তৈরীর জন্য প্রাক্তন শিক্ষার্থী শিক্ষক ও অভিভাবকদের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

    অনুষ্ঠানে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কদরের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ( চবি)র সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও প্রতিষ্ঠানের সাবেক প্রধান শিক্ষক আ ক ম ফজলুল হক পাশা, বিদ্যালয়টির সাবেক ছাত্র চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন, সাবেক প্রধান শিক্ষক অমর নাথ চৌধুরী, সমাজ সেবক আলী আসগর চৌধুরী, রাজনীতিবিদ কাজী এনামুল হক, সাবেক ছাত্র ও জনপ্রতিনিধি এডভোকেট মোহাম্মদ শামীম, সাবেক ছাত্র ও রাজনীতিবিদ এড ইফতেখার চেধৈুরী মহসিন, রাজনীতিবিদ মোরশেদ আলম চৌধুরী, চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আলী আসগর চৌধুরী, সাবেক ছাত্র নেতা সৈয়দ মন্জুর আলম, আইনজীবী সমিতির অর্থ সম্পাদক মইনুল আলম চৌধুরী টিপু, চবি আইন বিভাগের অধ্যাপক শাহীন, হাটহাজারী সরকারি কলেজের অধ্যাপক লিটন, চবি একাউর্ন্টিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আলী আরশাদ চৌধুরী, বাচিক শিল্পী বিশ্বজিৎ পাল প্রমুখ।

    উদ্বোধনী বক্তব্যে পেশাজীবী নাগরিক সংগঠক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী বলেন, সবার আগে দেশ। দেশের ঐতিহ্য ইতিহাস ধারণ করে আলোকিত দেশ, আলোকিত জীবন গঠন হতে পারে শিক্ষার সার্থকতা।

    উত্তর চট্টগ্রামের শিক্ষা বিস্তারে শুধু নয়, সমগ্র চট্টগ্রামের শিক্ষা খাতে ফতেয়াবাদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের অতুলনীয় অবদান রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন এই পেশাজীবী-সাংবাদিক নেতা।

    তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষে তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে দেশের শিক্ষাখাতে তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসাধারণ অবদানের কথাও উল্লেখ করেন।

  • আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ

    আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ

    আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। বাঙালি জাতির দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অনন্য দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন।

    এ দিন লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে এই মহান নেতা বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একাত্তরের ৭ মার্চ দেয়া ঐতিহাসিক ভাষণ পরবর্তীতে স্বাধীনতার সংগ্রামের বীজমন্ত্র হয়ে পড়ে। একইভাবে এ ভাষণ শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলিলই নয়, জাতির সাংস্কৃতিক পরিচয় বিধানের একটি সম্ভাবনাও তৈরি করে।

    বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো।

    একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর এই উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিক-নির্দেশনা। এরপরই দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঘরে ঘরে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। বঙ্গবন্ধুর এই বজ্রনিনাদে আসন্ন মহামুক্তির আনন্দে বাঙালি জাতি উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। যুগ যুগ ধরে শোষিত-বঞ্চিত বাঙালি ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যায় কাক্সিক্ষত মুক্তির লক্ষ্যে।
    ধর্মীয় চিন্তা, সাম্প্রদায়িকতার মানসিকতা ও দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ১৯৪৭ সালে গঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ২৩ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যদিয়ে বাঙালি জাতিসত্ত্বা, জাতীয়তাবোধ ও জাতিরাষ্ট্র গঠনের যে ভিত রচিত হয় তারই চূড়ান্ত পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পর ছাত্র-কৃষক-শ্রমিকসহ সর্বস্তরের বাঙালি স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে।

    বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে আনে বাঙালি জাতি। এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

    ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণে গর্জে ওঠে উত্তাল জনসমুদ্র। লাখ লাখ মানুষের গগনবিদারী শ্লোগানের উদ্দামতায় বসন্তের মাতাল হাওয়ায় সেদিন পত্ পত্ করে ওড়ে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত লাল-সবুজের পতাকা। শপথের লক্ষ বজ্রমুষ্টি উত্থিত হয় আকাশে। সেদিন বঙ্গবন্ধু মঞ্চে আরোহণ করেন বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে।

    ফাগুনের সূর্য তখনো মাথার ওপর। মঞ্চে আসার পর তিনি জনতার উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন। তখন পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান লাখ লাখ বাঙালির ‘তোমার দেশ আমার দেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ, তোমার নেতা আমার নেতা শেখ মুজিব, শেখ মুজিব’ শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে।

    তিনি দরাজ গলায় তাঁর ভাষণ শুরু করেন, ‘ভাইয়েরা আমার, আজ দুঃখ-ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি…।’ এরপর জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে বাংলা ও বাঙালির স্বাধীনতার মহাকাব্যের কবি ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম…, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

    মাত্র ১৯ মিনিটের ভাষণ। এই স্বল্প সময়ে তিনি ইতিহাসের পুরো ক্যানভাসই তুলে ধরেন। তিনি তাঁর ভাষণে সামরিক আইন প্রত্যাহার, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর, গোলাগুলি ও হত্যা বন্ধ করে সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেয়া এবং বিভিন্ন স্থানের হত্যাকান্ডের তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবি জানান।

    বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘ভাইয়েরা আমার, আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, মানুষের অধিকার চাই। প্রধানমন্ত্রীত্বের লোভ দেখিয়ে আমাকে নিতে পারেনি। ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে দিতে পারেনি। আপনারা রক্ত দিয়ে আমাকে ষড়যন্ত্র-মামলা থেকে মুক্ত করে এনেছিলেন। সেদিন এই রেসকোর্সে আমি বলেছিলাম, রক্তের ঋণ আমি রক্ত দিয়ে শোধ করবো। আজো আমি রক্ত দিয়েই রক্তের ঋণ শোধ করতে প্রস্তুত।’

    তিনি বলেন, ‘আমি বলে দিতে চাই আজ থেকে কোর্ট-কাচারি, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সব অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। কোন কর্মচারী অফিসে যাবেন না। এ আমার নির্দেশ।’

    বঙ্গবন্ধুর ভাষণের সর্বশেষ দু’টি বাক্য, যা পরবর্তীতে বাঙালির স্বাধীনতার চূড়ান্ত লড়াইয়ের দিক-নির্দেশনা ও প্রেরণার হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয়বাংলা’।

    ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে তাঁর রাজনৈতিক চিন্তাধারার পরিচয় দিয়েছেন। রণকৌশলের দিক থেকে এই ভাষণ অসাধারণ। এই বক্তৃতা এখনো মানুষকে শিহরিত করে।

    তিনি বলেন, এই বক্তৃতার আগে রাজনৈতিক কর্মী ও জনসাধারণ স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য এক ধরনের চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতা ঘোষণা করলে যে পাকিস্তানি সেনা শাসকরা সর্বশক্তি প্রয়োগ করে তাঁদের উপর দমন-পীড়ন চালিয়ে যাবে, সে বিষয়েও তিনি অবহিত ছিলেন।

    আনিসুজ্জাামান বলেন, স্বাধীনতা ঘোষণা করবেন কি না, এমন এক প্রশ্নর জবাবে বঙ্গবন্ধু নিউজউইকের এক সাংবাদিককে বলেছিলেন ‘আমরাতো সংখ্যাগরিষ্ঠ। পশ্চিমাদের উপর নির্ভর করছে তারা বিচ্ছিন্ন হতে চায় কিনা।’

    আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এবং সেই সভায় উপস্থিত তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর চশমাটা সেদিন ডায়াসের উপর রেখে ১৮ মিনিটের যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তার পুরোটাই অলিখিত। একদিকে তিনি পাকিস্তানীদের প্রতি চারদফা শর্ত আরোপ করলেন, অন্যদিকে ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তুলতে বললেন। ভাতে মারার কথা বললেন, পানিতে মারার কথা বলেন।

    তিনি বলেন, ‘সাতই মার্চের আগে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি গিয়েছিলাম। একজন তাঁকে বললেন, জনগণ কিন্তু সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ঘোষণা ছাড়া মানবে না। বঙ্গবন্ধু বললেন, তুমি তোমার কাজ কর। আমি তাদের নেতা, আমি তাদের পরিচালিত করবো, তারা আমাকে নয়।’

    বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের শ্রেষ্ঠত্বের কথা তুলে ধরে ইতিহাসের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণের পর গোটা বাংলাদেশে পাকিস্তানীদের পরিবর্তে বাঙালিদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়। অনেকে বিভিন্ন জায়গায় পূর্ব পাকিস্তান শব্দ মুছে বাংলাদেশ লেখে।

    তিনি বলেন, এ ভাষণের পর গোটা দেশ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় চলতে থাকে। এ ভাষণ গুটি কয়েক রাজাকার ছাড়া গোটা বাংলাদেশকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলো।

    রাজনীতি বিশেষজ্ঞদের মতে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুধু বাঙালি জাতিকে মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান নয়। এটি সব জাতির মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার দিক-নির্দেশনা।

    দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহন করেছে। আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শনিবার ভোর ৬টা ৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। এছাড়াও এদিন বিকেল ৩ টা ৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সন্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের সকল শাখা কমিটি কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সংগে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ করে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ স্মরণ করবে।

  • বারিক বিল্ডিং মোড়ে ‘বঙ্গবন্ধুর’ম্যুরাল উদ্বোধন

    বারিক বিল্ডিং মোড়ে ‘বঙ্গবন্ধুর’ম্যুরাল উদ্বোধন

    চট্টগ্রাম নগরীর বারিক বিল্ডিং মোড়ে উদ্বোধন করা হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল।

    সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফলক উম্মোচন করে এই ম্যুরালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

    নৌকার উপর স্থাপিত এই ম্যুরালের উচ্চতা ১৪ ফুট ও প্রস্থ সাড়ে ৭ ফুট।কয়েকজন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারিদের উদ্যোগে এ ভাষ্কর্য নির্মিত হয়।

    উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব বেলাল আহমদ, বাংলাবাজার ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ জাকেরিয়া, সদস্য মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ বুল, ৩৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ আহবায়ক ইসকান্দর মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল শীল, সাবেক ছাত্রনেতা আলহাজ্ব মোহাম্মদ হোসেন, ২৮ নংওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন, প্রচার সম্পাদক এম কিবরিয়া দোভাষ, বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ জাহেদুল ইসলামসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

    এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র বলেন, ১৭ই মার্চ জাতির জনকের জন্মশত বার্ষিকী। আজ আমরা জাতি হিসেবে বিশ্বের দরবারে মাথা উচুঁ করে দাঁড়ানোর পিছনে যাঁর অবদান তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিুবর রহমান। ইতোমধ্যে নগরীকে দৃষ্টি নন্দন করতে সিটি কর্পোরেশন সৌন্দর্যবর্ধনে অনেক কাজ করা হয়েছে। এবার বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীকে স্মরনীয় করে রাখতে বারিক বিল্ডিং মোড়ে তাঁর ম্যুরাল স্থাপন করা হলো এছাড়া ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে নব প্রজন্মের কাছে পরিচয় ও জানার জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বিভিন্ন খ্যাতিমান ব্যক্তিদের নামে নাম করণ করা হয়েছে। স্থাপিত করা হয়েছে ম্যুরাল ও ভাষ্কর্য।

    সিটি মেয়র আরো বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে এখন উন্নয়নের রোল মডেল। ২০২১ সনের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সনের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন বর্তমান প্রজন্মকে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জানানোর জন্য কর্পোরেশনের এই উদ্যোগ।

  • বাবার ছবির সামনে বোন-মেয়েকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সেলফি

    বাবার ছবির সামনে বোন-মেয়েকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সেলফি

    হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতির সামনে দাঁড়িয়ে ছোট বোন শেখ রেহানা, কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুলকে সঙ্গে নিয়ে সেলফি তুলছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা ও মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রপ্রদর্শনী অনুষ্ঠানে এ ছবি তোলেন তিনি। এসময় তিনজনকেই বেশ হাস্যজ্জ্বল দেখা যায়।

    প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব ইমরুল কায়েস রানা ফেসবুকে স্ট্যাটাসে প্রধানমন্ত্রীর সেলফি তোলার ছবিটি পোস্ট করেছেন।

    প্রিয় প্রধানমন্ত্রী এমনই। তার ঘনিষ্ঠজনরা জানান, প্রধানমন্ত্রী এমন বিশেষ মুহূর্ত মিস করেন না। বিশেষ মুহূর্তের ছবি তিনি তুলে রাখেন। রাজনীতির বাইরে তার অন্যতম প্রিয় শখ ছবি তোলা। তিনি অনেক আগ থেকেই ছবি তুলতে পছন্দ করেন। আর এই সেলফির যুগে নিজেকেই ধারণ করে রাখেন নিজের ফোনে।

    অনেক সময় অনেকে সাহস করে বলতে পারেন না প্রধানমন্ত্রী আপনার সঙ্গে সেলফি তুলবো। প্রধানমন্ত্রী যদি সেটা কোনভাবে যদি বুঝতে পারেন তাহলে তিনি নিজেই তার সঙ্গে সেলফি তোলেন। নানা সময়ে অনেক মন্ত্রী এমপি রাজনীতিবিদ এমনকি সাধারণ নেতাকর্মীদের সঙ্গেও তিনি সেলফিবন্দী হয়েছেন।

  • বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লিখা বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লিখা বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ জাতীয় সংসদ ভবনের বঙ্গবন্ধু কর্নারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে লিখা দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেছেন।

    প্রধানমন্ত্রীর সহকারি প্রেস সচিব এ. বি. এম. সরওয়ার-ই-আলম সরকার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী প্রথমে জাতির পিতার বিভিন্ন সাক্ষাৎকার ও কথপোকথনের সংকলন গ্রন্থ ‘জয় বাংলা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।’

    তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে শেখ হাসিনা বইটির ভূমিকা লিখেন। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ এমপি এবং লেখক ও কবি পিয়াস মজিদ বঙ্গবন্ধুর সাক্ষাতকার ও কথপোকথনগুলো সংগ্রহ ও সম্পাদনা করেন।

    সারওয়ার বলেন, নাহিদ ও মজিদ ছাড়াও জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-এ-আলম চৌধুরী লিটন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

    তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ’ বইয়েরও মোড়ক উন্মোচন করেন।

    সব্যসাচী লেখক শামসুল হক বইটির গ্রন্থনা এবং পিয়াস মজিদ বইটির সম্পাদনা করেন।

  • আইআইইউসি’তে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর : শিক্ষকসহ অজ্ঞাত ৭০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

    আইআইইউসি’তে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর : শিক্ষকসহ অজ্ঞাত ৭০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। কামরুল দুলু,সীতাকুণ্ড : আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (আইআইইউসি) চট্টগ্রামে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুরের অভিযোগে দুই জামায়াত নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জামায়াতপন্থী চার শিক্ষকসহ আরো অজ্ঞাত ৭০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।

    সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে সীতাকুণ্ড থানায় মামলাটি দায়ের করেন যুবলীগ নেতা কামাল উদ্দিন। মামলার আসামিরা হলেন, জামায়াত নেতা আ ন ম শামসুল ইসলাম ও আহসান উল্লাহ এবং চার শিক্ষক মাহবুব রহমান, কাউছার আহমেদ, মোহাম্মদ শফিউল আলম ও নিজাম উদ্দিন।

    মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৬০-৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ড বিধির ১৪৩, ১৪৭, ১৪৮ ধারার পাশাপাশি ১২৪ (ক) ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে।

    সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শামীম শেখ ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুরের অভিযোগে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ও ৬০-৭০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন কামাল উদ্দিন। মামলাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    মামলার এজাহারে বাদি উল্লেখ করেছেন, গত ২৯ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর করে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা। খবর পেয়ে তিনি দ্রুত ওই ক্যাম্পাসে গিয়ে ছবি ভাঙচুরের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তারা তাকে হত্যা করে লাশ গুমের হুমকি দেয়।

    এদিকে গত ১০ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসের অডিটোরিয়াম হলে এক সংবাদ সন্মেলনের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং সম্পুর্ণরুপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। আইআইইউসি’র ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর কে এম গোলাম মহিউদ্দিন এর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রেজিস্টার আবুল কাসেম।

  • স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে পলিটেকনিক ছাত্রলীগের র‌্যালি ও সমাবেশ

    স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে পলিটেকনিক ছাত্রলীগের র‌্যালি ও সমাবেশ

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে র‍্যালি ও সমাবেশ করেছে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ছাত্রলীগ ও ছাত্র সংসদের নেতাকর্মীরা।

    নাসিরাবাদস্থ চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গণ থেকে র‍্যালিটি শুরু হয়ে নগরীর টেকনিক্যাল মোড়, বেবিসুপার, ২নং গেইট প্রদক্ষিণ করে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের একাডেমীক ভবনের সামনে এক সমাবেশে মিলিত হয়।

    চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ছাত্রলীগের সভাপতি ইকরামুল কবিরের সভাপতিত্বে ও ছাত্র সংসদের জি.এস. শাহাদাত হোসেন ওমরের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মহানগর ছাত্রলীগ নেতা মোশারফ হোসেন, নগর ছাত্রলীগের সদস্য নুরুল হক মনির, মহানগর ছাত্রলীগ নেতা বেলাল উদ্দিন, আনিসুল ইসলাম সাজিদ, ইমন সরকার, ইয়াসিন আরাফাত বাপ্পী, রাকেশ উদ্দিন, পলিটেকনিক ছাত্র সংসদের ভিপি কাম্বার হোসেন রকি, ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শওকত ওসমান সজিব।

    বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু সারাজীবন দেশ ও দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করে গিয়েছিলেন। দেশের মানুষের প্রতি পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর অত্যাচার নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে বার বার নির্যাতনের শিকার হয়ে কারাবরণ করেছিলেন। দেশের জন্য বঙ্গবন্ধুর যে ত্যাগ সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে নির্লোভ দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে দেশের জন্য করে যাওয়ার জন্য ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।

    এসময় চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ছাত্রলীগ, ন্যাশনাল পলিটেকনিক কলেজ ছাত্রলীগ, চট্টগ্রাম সরকারি মডেল কলেজ ছাত্রলীগ ও বাংলাদেশ কুরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার শাখা ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • বঙ্গবন্ধু’র জন্মশতবর্ষের ক্ষণগণনা উদ্বোধন

    বঙ্গবন্ধু’র জন্মশতবর্ষের ক্ষণগণনা উদ্বোধন

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবাষির্কী উপলক্ষে বছরব্যাপী মুজিব বর্ষ উদযাপনের জন্য আজ ক্ষণগণনার উদ্বোধন করেছেন। পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের এই দিনে দেশে ফিরে আসেন।

    প্রধানমন্ত্রী নগরীর পুরাতন বিমান বন্দরে আয়োজিত এক বণার্ঢ্য অনুষ্ঠানে মুহূর্তটিকে বঙ্গবন্ধু’র ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসাবে উৎসর্গ করে বলেন, ‘আমি ক্ষণগণনার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করছি।’ বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে তাঁর স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রথম পা রাখেন এই স্থানেই।

    বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা ও নাতি সজীব ওয়াজেদ জয় এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

    শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের জনগণ জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বে মযার্দার আসনে অধিষ্ঠিত করবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের হাতে বিজয়ের মশাল তুলে দিয়েছেন, আমরা এখন এই বিজয় নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চাই।

    ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের দখলদারিত্ব থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার কয়েক সপ্তাহ পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ব্রিটিশ রাজকীয় এয়ার ফোর্সের একটি বিমানে করে লন্ডন থেকে নয়াদিল্লী হয়ে দেশে ফিরে তেজগাঁওয়ে ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করেন।

    বঙ্গবন্ধুকে বহনকারী বিমানের অনুরূপ একটি বৃটিশ সি-১৩০জে বিমান সম্প্রতি সংগ্রহ করা হয়। এটি বিমানবন্দরের টারমাকে স্থাপন করা হয় এবং বঙ্গবন্ধু হাত নেড়ে এগিয়ে আসছেন লেজার লাইট প্রক্ষেপণের মাধ্যমে তার অনুকরণ করা হয়।

    ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি যেদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন সেদিন বাজানো সন্ধ্যা মুখার্জির গান -‘বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়, তুমি আর ঘরে ঘরে এত খুশি তাই,’ গানটি অনুষ্ঠানে মাইকে বাজানো হয়।

    পাশাপাশি জনতার মধ্য থেকে জাতীয় পতাকা নেড়ে প্রতীকী বিমানকে স্বাগত জানানো হয়।
    এই আয়োজনে প্রতীকী বিমান অবতরণ ছাড়াও রয়েছে আলোক প্রক্ষেপণে বঙ্গবন্ধুর অবয়ব তুলে ধরা, ২১ বার তোপধ্বনি ও সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর চৌকশ দলের গার্ড অব অনার প্রদান।

    ১৯৭২ সালে যেভাবে এদেশের সংগ্রামী জনতা বঙ্গবন্ধুকে বরণ করে নিয়েছিল, প্রতীকীভাবে সেই ক্ষণটিও ফুটিয়ে তোলা হয়, ওড়ানো হয় এক হাজার লাল-সবুজ বেলুন এবং অবমুক্ত করা হয় একশ’টি সাদা পায়রা।

    প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর (১৯৭১) বিজয় লাভের পর থেকে জাতি বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তনের জন্য অধীর আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করছিল।

    তিনি আরো স্মরণ করেন যে, সেদিন তাঁর মাতা, ছোট বোন এবং তিনি নিজে তাঁদের বাসায় বসে ঐতিহাসিক মুহূর্তটির ধারাবিবরণী রেডিওতে শুনছিলেন। কারণ, তারা তাঁর ছোট পুত্র জয় এবং ছোট ভাই রাসেলকে রেখে কোথাও যেতে পারছিলেন না।

    সেদিন পকিস্তান থেকে বাংলাদেশে আসার সময় বঙ্গবন্ধুর সফরসঙ্গী ছিলেন ড. কামাল হোসেন। ড. কামাল হোসেন ও জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রায় ২,০০০ অতিথি এবং ১০,০০০ দর্শকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।

    এর পরপরই জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। এসময় মঞ্চে তাঁর পাশে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা এবং ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং ছোট বোন শেখ রেহানা।

    অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন। সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা। মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগ,সংসদ সদস্যবৃন্দ, সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিশিষ্ট নাগরিক বৃন্দ, বিভিন্ন সংবাদপত্র এবং গণমাধ্যমের সম্পাদক এবং জেষ্ট্য সাংবাদিকবৃন্দ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, কূটনীতিক এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ড. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

    এই দিন বিকেল ৪টা ৩৭ মিনিটের দিকে বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ ‘সি-১৩০জে মডেলের’ উড়োজাহাজ প্রতীকী হিসেবে পুরানো বিমানবন্দরের (তৎকালিন তেঁজগাঁও বিমানবন্দর) রানওয়েতে অবতরণ করে। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বিকালে ব্রিটিশ রয়্যাল এয়ারফোর্সের এরকম একটি উড়োজাহাজে করেই এসেছিলেন জাতির পিতা।

    বিমানটি ধীরে ধীরে এসে টারমাকে অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে এসে থামে। এ সময় বাজানো হয় সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠের সেই গান- ‘বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে তোমার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলায়’।
    বিমানটি টারমাকে পৌঁছানোর পর দরজা খোলা হলে ২১ বার তোপধ্বনি দেওয়া হয়। ‘জয়বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে চারিদিক। লেজার লাইটের মাধ্যমে বিমানের দরজার ফুটিয়ে তোলা হয় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি। পুষ্পবৃষ্টির মধ্যে সেই আলোকবর্তিকা ধীরে ধীরে সিঁড়ি বেয়ে নেমে এসে লাল গালিচার মাথায় ছোট্ট মঞ্চে এসে থেমে যায়। এরপর গার্ড অব অনারের মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়।

    বঙ্গবন্ধু যে আলোকবর্তিকা হয়ে সেদিন দেশে ফিরেছিলেন, তারই প্রতীকী উপস্থাপনা ছিল এ আয়োজন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১০ জানুয়ারি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা দিন। যেদিন আমরা ফিরে পেলাম সেই মহান নেতাকে যিনি বাংলার দু:খী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার জন্য সারাটা জীবন ত্যাগ স্বীকার করেছেন।

    তিনি ৭২’র ১০ জানুয়ারির স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘লাখো মানুষের ঢল নেমেছিল এখানে। স্বজন হারা বেদনার্র্ত আহত-নির্যাতিত মানুষ তাঁদের মহান নেতাকে ফিরে পেয়ে তাঁদের জীবনে যেন পূর্ণতা পেয়েছিলেন। হারাবার বেদনা যেন তাঁরা ভুলতে চেয়েছিলেন তাঁদের প্রাণপ্রিয় নেতাকে ফিরে পাওয়ার মধ্যদিয়ে।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক চাপে পাকিস্তানীরা বাধ্য হয়েছিল জাতির পিতাকে মুক্তি দিতে। কারণ প্রায় প্রতিটি দেশের জনগণই আমাদের মুক্তিকামী জনগণের পাশে ছিল।’

    শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের বন্ধুপ্রতীম দেশ ভারত সহ যে সকল দেশ আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা দিয়েছিল, শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছিল, আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং এবং অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করেছিল এবং জাতিসংঘে যারা আমাদের সমর্থন দিয়েছিলেন তেমন সকল দেশের সকল জনগণের প্রতি আমি আমার শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।’

    ‘১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে পরিবারের কথা না ভেবে জাতির পিতা চলে গিয়েছিলেন রেসকোর্সের ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান)। তাঁর প্রিয় জনগণের কাছে চলে গিয়েছিলেন’ মর্মে স্মৃতিচারন করে তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথের কবিতা-’সাত কোটি বাঙালির যে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙালি করে, মানুষ করনি,’ উদ্বৃত করে বলেন,‘কবিগুরু দেখে যান আপনার সাত কোটি বাঙালি আজ মানুষ হয়েছে, তারা যুদ্ধে জয়লাভ করেছে।’

    তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমাদের অত্যন্ত দুর্ভাগ্য যে, পাকিস্তানীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারেনি, তাঁকে জীবন দিতে হয়েছিল বাংলার মাটিতে।’

    জাতির পিতা হত্যাকে কেন্দ্র করে পরবর্তী সময়ে বাঙালির জীবনে যে কালো অধ্যায় নেমে এসেছিল তা যেন আর কোনদিন আসতে না পারে সেজন্য সকলকে সতর্ক করেন প্রধানমন্ত্রী।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ আজ মানুষকে উজ্জীবিত করা আড়াই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ ভাষণের মধ্যে অন্যতম হিসেবে ইউনেস্কোর আন্তর্জাতিক প্রামাণ্য দলিলে স্থান করে নিয়েছে। আমাদের একটা অন্ধকার সময় ছিল। আজ আমরা সে অন্ধকার সময় কাটিয়ে আলোর পথে যাত্রা করেছি।’

    প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দেওয়ার পর মুজিববর্ষের লোগো উন্মোচন ও ক্ষণগণনার উদ্বোধন করেন ল্যাপটপের বোতাম চেপে। প্রধানমন্ত্রীর হাতে লোগো তুলে দেন জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ও কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

    প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের পর প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও জনপরিসরে ক্ষণগণনা শুরু হয়। দেশের ৫৩ জেলা, দুটি উপজেলা, ১২টি সিটি করপোরেশনের ২৮টি পয়েন্ট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর ৮৩টি পয়েন্টে কাউন্টডাউন ঘড়ি বসানো হয়েছে।

    জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁর আগ পর্যন্ত এই ক্ষণগণনা চলবে।

    বাংলাদেশের সঙ্গে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান এবং সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনেস্কো ও ‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপন করবে। প্যারিসে অনুষ্ঠিত এর ৪০ তম সাধারণ পরিষদের সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলো বর্ষব্যাপী এই উদযাপনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

    বিশ্বের অনেক নেতা ও আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব বর্ষব্যাপী অনুষ্ঠানের বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

    ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ওআইসি মহাসচিব ড. ইউসেফ এ আল-ওথাইমিন, ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী, ভারতের কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি সোনিয়া গান্ধী, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, আবুধাবির যুবরাজ শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান-কি-মুন, ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক এবং ইউনেস্কোর সাবেক মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভো জন্মশতবাষির্কীর অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

    বিদেশে বাংলাদেশের ৭৭টি মিশন ২৬১টি কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

    সরকার মুজিব বর্ষের বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করা লক্ষ্যে একটি জাতীয় কমিটি এবং একটি জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করেছে।

    উদযাপন কমিটি দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন ব্যক্তির প্রস্তাবিত ২৯৯টির বেশী কর্মসূচির প্রস্তাব বাছাই করেছে যা বছরব্যাপী উদযাপন করা হবে।

  • পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে কুবিতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত

    পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে কুবিতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত

    কুবি প্রতিনিধিঃ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হয়েছে।

    শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিবসটি পালন করেন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. রশিদুল ইসলাম শেখ, সাধারণ সম্পাদক ড.স্বপন চন্দ্র মজুমদারসহ শিক্ষক সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, হলের প্রভোস্ট, শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীবৃন্দ এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ।

    পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, “বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল বাঙালী জাতির জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। কারণ বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে বাঙালী জাতি তাঁর স্বাধীনতার পূর্ণতা পায়।”

    বক্তারা আরও বলেন, “১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১০ জানুয়ারির এই প্রেক্ষাপট একদিনে রচিত হয়নি। এই প্রেক্ষাপট দীর্ঘ সংগ্রামের। জাতীয় চার নেতার নেতৃত্বে লাখো কোটি বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এ দেশ যে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল সে স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে।”

    উল্লেখ্য, আগামী ১২ জানুয়ারি রোববার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছেন।

  • বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন করেছে সিআরএফ

    বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন করেছে সিআরএফ

    আজ ১০ জানুয়ারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। বর্ণিল অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমে চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরাম (সিআরএফ) বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ও জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণ গণনা কার্যক্রমের উদ্বোধন উদযাপন করেছে।

    শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল দশটা থেকে এশিয়ান উইম্যান বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সাংবাদিক নগরে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত পরিচালিত হয়।

    আয়োজনে ছিলো আলোচনা সভা,দুপুরের খাবার,আঞ্চলিক গান, লাকি কূপন ও খোয়াবাতি উৎসব। চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরাম(সিআরএফ) সভাপতি কাজী আবুল মনসুর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

    উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, ২ নং জালালাবাদ ওয়ার্ড এর কাউন্সিলর সাহেদ ইকবাল বাবু, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি সালাহ উদ্দীন রেজা, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমেদ। চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরাম(সিআরএফ) এর সাধারণ সম্পাদাক আলীউর রহমান এর সঞ্চানায় অনান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আয়োজক কমিটির আহবায়ক আলমগীর অপু, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য রুবেল খান, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের আপ্যায়ন সম্পাদক আইয়ুব আলী চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরাম(সিআরএফ) এর যুগ্ন সাধারণ সম্পাদাক গোলাম মওলা মুরাদ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সদস্য মুক্তিযোদ্ধা-সাংবাদিক পঙ্কজ দস্তিদার, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সদস্য শহীদুল আলম, এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার আবুল হাসনাত, সিনিয়র সাংবাদিক হাসান নাসির, যমুনা টিভির ব্যুারো প্রধান জামশেদুল আলম, একুশের পত্রিকার সম্পাদক আজাদ তালুকদার, বায়ান্ন টিভির ব্যুারো প্রধান সরোয়ার আমিন বাবু, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সদস্য শামসুল হুদা মিন্টু, নাগরিক টিভির ব্যুারো প্রধান চৌধুরী লোকমান, ইনডিপেনডেন্ট টিভির সিনিয়র রিপোর্টার আহসান রিটন, চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরাম(সিআরএফ) এর সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আবদুল্লাহ প্রমুখ।

    উল্লেখ্য, পাকিস্তানের বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের এদিন বেলা ১টা ৪১ মিনিটে জাতির অবিসংবাদিত নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন।