Tag: বঙ্গবাজার

  • বঙ্গবাজারে ক্ষতিগ্রস্তদের ৯ কোটি টাকা ঈদ উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    বঙ্গবাজারে ক্ষতিগ্রস্তদের ৯ কোটি টাকা ঈদ উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বঙ্গবাজারের দোকানের শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও মালিকদের জন্য ঈদ উপহার হিসেবে নয় কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন।

    মঙ্গলবার এ তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া।

    তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের মোবাইল ফোনে টাকা পৌঁছে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং সূত্রে এ কথা জানা গেছে।

    প্রসঙ্গত, দেশের অন্যতম প্রধান কাপড়ের মার্কেট বঙ্গবাজারে গত ৪ এপ্রিল সকাল ৬টা ১০ মিনিটে আগুন লাগে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের আরও কয়েকটি মার্কেটে। সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের ৫২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

     

  • বঙ্গবাজারে কাপড় সাজিয়ে বসলেন ব্যবসায়ীরা

    বঙ্গবাজারে কাপড় সাজিয়ে বসলেন ব্যবসায়ীরা

    ঈদের মার্কেট ধরতে আজ থেকে চৌকি বসিয়ে অস্থায়ীভাবে ব্যবসা শুরু করেছেন রাজধানীর বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।

    এর আগে সেখানে বালি ফেলে ও ইট বিছিয়ে বিক্রির উপযোগী ব্যবস্থা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।

    বুধবার বেলা সোয়া ১টার দিকে চৌকি বসিয়ে অস্থায়ীভাবে বেচাবিক্রির উদ্বোধন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

    খোলা আকাশের নিচে রোদ উপেক্ষা করে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে দোকান বসিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। মূলত ঈদকে সামনে রেখে তড়িঘড়ি করে ব্যবসায়ীদের বসার জায়গা করে দেওয়া হয়েছে।

    ডিএসসিসির তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীর সংখ্যা ৩ হাজার ৮৪৫ জন। তবে আজ প্রায় ৭০০ জন ব্যবসায়ী চৌকি বসিয়ে বঙ্গবাজারে বসেছেন। যদিও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা অনুযায়ী সবাই অস্থায়ীভাবে চৌকি বসিয়ে এখানে ব্যবসা করতে পারবেন।

    অন্যদিকে বঙ্গবাজারের ১.৭৯ একর জায়গাজুড়ে প্রায় ২.৫ লাখ ইট বিছানো হয়েছে এবং প্রায় ১৫০ গাড়ি বালি ফেলছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এর আগে অগ্নিকাণ্ডস্থলে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। অগ্নিকাণ্ডস্থল থেকে ১০৬০ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।

    আরা যারা চৌকিতে বসেছেন, তাদের কেউ প্যান্ট, কেউবা শার্ট, পাঞ্জাবি, শিশুদের পোশাক কেউবা শাড়ি বিক্রি করছেন। তীব্র গরমের কারণে অসুবিধা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এই ব্যবসায়ীরা।

    বঙ্গবাজারে এমন এক চৌকি নিয়ে ব্যবসা করতে বসেছেন আব্দুস সোবহান নামের একজন ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, আজ থেকে আমরা এখানে অস্থায়ীভাবে ব্যবসা করার জন্য বসার সুযোগ পেয়েছি। যারা যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তারা অর্থাৎ আমরা ঈদ সামনে রেখে কিছুটা ব্যবসার আশা দেখছি। তবে আমাদের মধ্যে বেশিরভাগরাই পাইকারি ব্যবসায়ী। তাই এই চৌকিতে এভাবে খোলা আকাশের নিচে এভাবে আমাদের ব্যবসা হবে না।

    চৌকি বসিয়ে অস্থায়ীভাবে ব্যবসা শুরু করা এখানকার আরেক ব্যবসী মনিরুল ইসলাম বলেন, খোলা আকাশের নিচে এমন রোদে আমরা বিক্রি করার আশায় না হয় বসলাম।কিন্তু এই রোদে, তীব্র তাপে কাস্টমার তো আমাদের দোকানে আসবে না। তাই ব্যবসাটা হওয়া কঠিন এখানে। তবুও যেহেতু সামনে ঈদ তাই আমরা বুক ভরা আশা নিয়ে বসেছি এখানে। যা শেষ হওয়ার তার সব শেষ হয়ে গেছে আমাদের এই আগুনে।

    এদিকে বঙ্গবাজারে চৌকি বসিয়ে ব্যবসা কার্যক্রমের উদ্বোধনে এসে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, যারা এখানে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের তালিকা এবং দোকানের লোকেশন অনুযায়ী আমরা এখানে সবাইকে বসার সুযোগ করে দিয়েছি। যেহেতু আজকেই শুরু করা হবে এমন ঘোষণা আমারা দিয়েছিলাম তাই আমরা আজই শুরু করেছি। যেহেতু সামনে ঈদ তাই ব্যবসায়ীদের কাছে এই সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবসায়ীদের কথা বিবেচনা করে আমরা আমরা চৌকি বসিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করার এই ব্যবস্থা আমরা করেছি। এটা যেহেতু খোলা আকাশের নিচে তাই ব্যবসায়ীদের সমস্যা হচ্ছে। আমারা পরবর্তীতে এখানে ছাউনি লাগিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।

    প্রসঙ্গত, গত ৪ এপ্রিল ভোরে আগুন লাগে দেশের অন্যতম প্রধান কাপড়ের মার্কেট বঙ্গবাজারে। এর প্রায় ৬ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে, তবে তার আগেই পুড়ে যায় সব দোকান। আগুনের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে আশপাশের মার্কেটগুলোতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

     

  • বুধবার থেকে চৌকি বসিয়ে কেনাবেচা করতে পারবেন বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীরা

    বুধবার থেকে চৌকি বসিয়ে কেনাবেচা করতে পারবেন বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীরা

    বঙ্গবাজারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা আগামী বুধবার থেকে চৌকি বিছিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবে বলে জানিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। আজ রোববার বিকেলে নগর ভবনে বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ড সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

    ব্যারিস্টার তাপস বলেন, সোমবার সকাল থেকে পূর্ণোদ্যমে পরিষ্কার কার্যক্রম আরম্ভ করব। যাতে করে আগামী ১-২ দিনের মধ্যে সেখানে ব্যবসা পরিচালনার পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এরই মধ্যে তালিকা প্রণয়ন শুরু হলেও এখনো পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়ন করা যায়নি। আমরা আশা করছি আগামীকালের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ তালিকার সম্পন্ন হবে। এ ছাড়া তাদেরকে পুনর্বাসনের জন্য সব মহল থেকেই আমরা ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি।

    তিনি বলেন, এরই মাঝে ২ কোটি টাকা তহবিলে জমা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবারে আমাদের করপোরেশন সভা আছে। সেখানে আমরাও সিদ্ধান্ত নেবো। আমরাও এই তহবিলে অংশগ্রহণ করব। যাতে করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পুনর্বাসিত হতে পারে এবং আমরা আশা করছি যে, আগামী মঙ্গলবারে না হলেও বুধবার নাগাদ যেন তারা সেখানে চৌকি বিছিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারে। এজন্য পরিষ্কার করার পরে সেই জায়গাটা সমতল করব। পুরো ব্যবস্থাটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপেরেশন করে দেবে। তারপর চৌকি বিছিয়ে তারা সেখানে ব্যবসা শুরু করতে পারবে।

    মেয়র বলেন, আমরা সকলের কাছে আবেদন করছি—মানবিক দিক বিবেচনা করে, এত সংখ্যক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জীবনযাপন বিবেচনা করে সবাই যেন এগিয়ে আসে। এই তহবিলে যেন অংশগ্রহণ করে। এটা যেহেতু রমজান মাস, তাই মানবতার খাতিরে সবাই যেন এগিয়ে আসে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পর্যাপ্ত অনুদানের ব্যবস্থা করবেন। আমরা আশাবাদী, যেভাবে আমরা সাড়া পাচ্ছে তাতে অচিরেই, হয়তোবা এই সপ্তাহের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ রূপ আমরা দিতে পারব। সবাই মিলে তহবিল গঠন করবে। এতে আমাদের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।

    ঢাকা-৮ আসেনর সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও মার্কেট কমিটিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিয়েছে। টেম্পোরারি ব্যবস্থা হচ্ছে। তহবিল যেটা হচ্ছে, সবাই আশাবাদী যে এটা একটা বড় আকার ধারণ করবে। আর প্রধানমন্ত্রী এর সঙ্গে যখন যুক্ত হবেন তা সবার জন্যই একটি বড় ধরনের সহায়তা হবে বলে আমরা আশা করি।

    বারংবার অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্ঘটনা এড়াতে করণীয় নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রাশেদ খান মেনন বলেন, এখানে সবারই দায়িত্ব রয়েছে। যেমন সরকারের দায়িত্ব রয়েছে, করপোরেশনের দায়িত্ব রয়েছে তেমনি যারা মার্কেট পরিচালনা করেন তাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা থেকে শুরু করে অন্যান্য দায়িত্ব রয়েছে তো বটেই। সেজন্য সচেতনতা হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিষয়।

    বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, মেয়রের সঙ্গে কথা বলে আজ আমরা খুবই আনন্দিত। এত দ্রুত সিদ্ধান্ত পাবো আমরা কিন্তু বুঝি নাই।

    বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য আফজাল হোসেন, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মেরীনা নাজনীন, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতন, মহানগর শপিং কমপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান, মহানগরী ইউনিটের সভাপতি মো. লোকমান খান, মহানগর কমপ্লেক্সের ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মো. শাকিল, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির মহাসচিব মো. জহিরুল হক ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।

  • বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের দুই লাখ টাকা দিলেন তৃতীয় লিঙ্গের আলেয়া

    বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের দুই লাখ টাকা দিলেন তৃতীয় লিঙ্গের আলেয়া

    রাজধানীর উত্তরা এলাকার তৃতীয় লিঙ্গের সরদারনি আলেয়া। হজ করার জন্য জমিয়েছিলেন টাকা। সেই জমানো টাকা থেকে ২ লাখ বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের অনুদান হিসেবে দিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দুর্দশা দেখে এবার হজে না গিয়ে সে টাকা ব্যবসায়ীদের দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আলেয়া।

    রোববার (৯ এপ্রিল) বেলা ১১টায় রাজধানীর বঙ্গবাজারে এসে এই অনুদান দেন তিনি। অনুদান দেওয়ার সময় গণমাধ্যমকে বলেন, আমি খুবই কষ্ট পেয়েছি এই মার্কেট পুড়ে যাওয়া দেখে। এক সময় আমরাও এই ব্যবসায়ীদের থেকে ১০ থেকে ২০ টাকা সাহায্য নিয়েছি। কিন্তু আজ সেই ব্যবসায়ীরা সর্বস্ব হারিয়ে ফেলেছে। তাই আমি আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এ সামান্য সহযোগীতা করেছি।

    তিনি বলেন, আমি দেশবাসীকে অনুরোধ জানাবো তাদের এই বিপদের সময় পাশে দাঁড়ান। প্রধানমন্ত্রীকে বলবো, শুধু আপনি একা পারবেন না। সবাইকে নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেন তিনি।

    অনুদানের টাকা হাতে পেয়ে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মোহন মিয়া বলেন, আমাদের এই বিপদের সময় তিনি পাশে দাঁড়িয়েছে তাকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করতে চাই না। তিনি আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে অনেক বড় মনের পরিচয় দিয়েছেন। এই মুহূর্তে যে কারো সামান্য সহযোগিতাও আমাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া।

     

  • ‘ব্যবসায়ীদের দ্বন্দ্বের কারণে আগুন কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে’

    ‘ব্যবসায়ীদের দ্বন্দ্বের কারণে আগুন কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে’

    রাজধানীর বঙ্গবাজারে ব্যবসায়ীদের দ্বন্দ্বের কারণে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    আজ শনিবার (৮ এপ্রিল) এফডিসিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক এ কথা জানান।

    তিনি বলেন, বঙ্গবাজারে বহুতল ভবন নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিরোধ ছিল। এই দ্বন্দ্বের কারণে আগুন লাগে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আগুন লাগার কারণও ফায়ার সার্ভিস তদন্ত করছে। এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিসের অফিসে হামলায় ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    ছিনিয়ে নেওয়া জঙ্গিদের ধরতে কেন দেরি, এমন প্রশ্নে গোলাম ফারুক বলেন, আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই নিয়ে তদন্তে তাদের আইনের আওতায় আনতে সময় লাগছে। কারণ তারা স্বাভাবিক মোবাইল বা তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে না।

    গত ৪ এপ্রিল সকাল ৬টা ১০ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুন লাগে। এতে প্রায় পাঁচ হাজারের বেশি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

  • বিএনপি বঙ্গবাজারে ঘটনা ঘটিয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে : ওবায়দুল কাদের

    বিএনপি বঙ্গবাজারে ঘটনা ঘটিয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে : ওবায়দুল কাদের

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি বঙ্গবাজারে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর আজিমপুর কলোনি মাঠে লালবাগ থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবাজার দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে বিএনপি অগ্নিকান্ড নিয়ে রাজনীতির অপচেষ্টা করছে। বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যু হলেও বিএনপি বলবে আওয়ামী লীগের দোষ। বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বঙ্গবাজারে অগ্নিকান্ড ঘটিয়েছে কি-না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নাশকতা করছে বিএনপি। তারা অতীতেও মানুষকে কষ্ট দিয়েছে, আজও পাশে না দাঁড়িয়ে কষ্ট দিচ্ছে। রাস্তা অবরোধ করে রোজার দিনে কিসের কর্মসূচি। রাস্তা বন্ধ করে রোজাদারদের বিএনপি কষ্ট দিলে, আওয়ামী লীগও শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিবে।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির হাঁড় ভেঙে গেছে, এই হাঁড় আর জোড়া লাগবে না। তাদের আন্দোলন গোলাপবাগে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছে। বিএনপির পদযাত্রা মানেই পতনযাত্রা। হাঁটু ভাঙ্গা দল আর দাঁড়াবে না।

    তিনি বলেন, আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। এই সংকটের মধ্যেও দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে বিশ্বাস করে। শেখ হাসিনা কথা দিয়ে কথা রাখেন। আগামী নির্বাচনেও মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় নিবেন।

    বিএনপির সুষ্ঠু ভোটের নিশ্চয়তা সম্পর্কে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, আপনাদের সেই নিরপেক্ষ ব্যক্তি কে? তত্ত্বাবধায়কের নামে ২০০১ সালের মতো, ২০০৬ সালের মতো অস্বাভাবিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার তারা চায়। সেই তত্ত্বাবধায়ক বাংলার মানুষ চায় না।

    লালবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান জামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ মানুষ হুমায়ুন কবির প্রমুখ। পরে সুবিধাভোগীদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

     

  • ঈদের আগেই অস্থায়ীভাবে খোলা হবে বঙ্গবাজার: সালমান এফ রহমান

    ঈদের আগেই অস্থায়ীভাবে খোলা হবে বঙ্গবাজার: সালমান এফ রহমান

    প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, বঙ্গবাজারে আগুনের ঘটনায় ৩-৪ দিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা করে সহযোগিতা করা হবে। আইন মেনে ঈদের আগেই অস্থায়ীভাবে খোলা হবে বঙ্গবাজার। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ঈদের আগেই ব্যবসা পরিচালনা করার সুযোগ করে দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

    বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সকাল ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবাজার পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

    সালমান এফ রহমান জানান, এজন্য দ্রুতই দুর্ঘটনাস্থল পরিষ্কার করা হবে বলে জানান তিনি। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য আমরা কাজ করছি। ইতিমধ্যে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার জন্য আমাকে ফোন করেছেন। বিষয়টি নিয়ে আমি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছি। আর্থিক অনুদানের জন্য একটি যৌথ ব্যাংক হিসাব, বিকাশ, নগদ, রকেট অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ব্যবসায়ীদের পরামর্শ দিয়েছি। অ্যাকাউন্টগুলো খোলার পরে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে।

    এসময় সিটি কর্পোরেশনের আগের নকশায় বঙ্গবাজারে মার্কেট করতে হলে ব্যবসায়ীদের করা মামলা প্রত্যাহারের পরামর্শ দেন তিনি।

  • বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫০ ইউনিট

    বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫০ ইউনিট

    রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ৫০টি ইউনিট কাজ করছে।

    মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল ৬টা ১০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, সকাল ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজার মার্কেটে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। সংবাদ পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ৬টা ১২ মিনিটে। পর্যায়ক্রমে একের পর এক ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দিয়েছে।

    তবে প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। এছাড়া হতাহতের কোনো খবরও জানাতে পারেননি তিনি।