Tag: বঙ্গোপসাগরে

  • বঙ্গোপসাগরে কোস্টগার্ডের অভিযান : অস্ত্রধারী ৫ ডাকাত আটক, উদ্ধার ৭ জেলে

    বঙ্গোপসাগরে কোস্টগার্ডের অভিযান : অস্ত্রধারী ৫ ডাকাত আটক, উদ্ধার ৭ জেলে

    চট্টগ্রাম ডেস্ক : বঙ্গোপসাগরের টেকনাফের মোহনায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ ৫ ডাকাতকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড।

    সোমবার (১২ অক্টোবর) গভীর রাত ৩টার সময় টেকনাফ থানাধীন নোয়াখালীপাড়া হতে ১২ নটিক্যাল মাইল দূরে সমুদ্র থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

    এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দেশীয় ২টি একনলা বন্দুক, ৮ রাউন্ড কার্তুজ, ১০ টি বিভিন্ন ধরনের বার্মিজ ধারালো অস্ত্র।

    তাছাড়া ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি ইঞ্জিন চালিত কাঠের নৌকা জব্দ করা হয় এবং ওই নৌকায় ডাকাতদের হাতে জিম্মি থাকা ৭ বাংলাদেশী জেলেকে উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। উদ্ধারকৃত জেলেরা সকলেই টেকনাফের নোয়াখালীপাড়ার বাসিন্দা।

    আটক ডাকাতরা হলেন, মো. বাকগুল্লা (২২), মো. শুকুর (২০), রবি আলম (২২), নুরুল আমিন (৩০) ও শফি আলম (২০)। এরা সবাই মায়ানমারের আকিয়াব জেলার আড়িপাড়া অঞ্চলের বাসিন্দা।

    বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা এম হায়াত ইবনে সিদ্দিক বলেন, বঙ্গোপসাগরের টেকনাফ থানা এলাকায় জেলেদের জিম্মি করে ডাকাতি হচ্ছে এমন খবরে অভিযানে নামে কোস্টগার্ড পূর্ব জোন টেকনাফ বিজিসি স্টেশনের একটি টিম।

    গভীর রাত ৩টার সময় সমুদ্রে ভাসমান একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকার গতিরোধ করে ৫ জন অস্ত্রধারী ডাকাতকে আটক করা হয় এবং একই নৌকা থেকে ৭ জেলেকে উদ্ধার করা হয়।

    তাছাড়া উদ্ধারকৃত বাংলাদেশী জেলেদের ডুবে যাওয়া একটি নৌকা উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে কোস্টগার্ডের এ কর্মকর্তা।

    তিনি বলেন, আটককৃত ডাকাতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উদ্ধার জেলে এবং জব্দকৃত অস্ত্র ও অন্যান্য মালামালসহ টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা,রাজীব

  • বঙ্গোপসাগরে নৌবাহিনীর সফল মিসাইল উৎক্ষেপণ

    বঙ্গোপসাগরে নৌবাহিনীর সফল মিসাইল উৎক্ষেপণ

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ব্যুরো : বঙ্গোপসাগরে সফল মিসাইল উৎক্ষেপণ করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। তাদের দীর্ঘ ১৮ দিনের মহড়ার শেষ দিনে মিসাইল উৎক্ষেপণ করা হয়।

    ১৮ দিনব্যাপী মহড়ায় বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর ফ্রিগেট, করভেট, ওপিভি, মাইন সুইপার, পেট্রল ক্রাফট, মিসাইল বোট, মেরিটাইম পেট্রল এয়ার ক্রাফট ও হেলিকপ্টার প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিয়েছে। এ ছাড়াও বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, সেনা ও বিমানবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট মেরিটাইম সংস্থাগুলো প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশ নিয়েছে।

    বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন-পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন-নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী। পরিকল্পনামন্ত্রী যুদ্ধজাহাজ বানৌজা বঙ্গবন্ধু থেকে মহড়া পরিদর্শন করেন।

    এর আগে সকালে মন্ত্রী জাহাজে পৌঁছালে কমান্ডার বিএন ফ্লিট রিয়ার অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান ও বানৌজা বঙ্গবন্ধুর অধিনায়ক ক্যাপ্টেন কেইউএম আমানত উল্লাহ তাকে স্বাগত জানান। এ সময় নৌবাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল জাহাজে মন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেয়।

    চার ধাপে অনুষ্ঠিত মহড়ার বিশেষ দিকগুলো হচ্ছে-নৌবহরের বিভিন্ন কলাকৌশল অনুশীলন, সমুদ্র এলাকায় পর্যবেক্ষণ, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান, লজিস্টিক অপারেশন, ল্যান্ডিং অপারেশন, উপকূলীয় এলাকার নৌ স্থাপনাগুলোর মহড়া ইত্যাদি।

    চূড়ান্ত দিনের মহড়ায় ছিল বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে মিসাইল উৎক্ষেপণ, শোল্ডার লাঞ্চড স্যাম ফায়ারিং, অ্যান্টি এয়ার রেপিড ওপেন ফায়ার, আরডিসি ফায়ার, ডিবিএসএস/নৌ কমান্ডো মহড়া ও নৌযুদ্ধের কলাকৌশল।

    এবারের মহড়ার মূল প্রতিপাদ্য ছিল-সমুদ্র এলাকায় দেশের সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণ, সমুদ্র সম্পদের হেফাজত, সমুদ্রপথের নিরাপত্তা বিধানসহ চোরাচালান রোধ, জলদস্যুতা দমন, উপকূলীয় এলাকায় জীববৈচিত্র সংরক্ষণ ও সমুদ্র এলাকার প্রহরা নিশ্চিতকরণ।