Tag: বন্দর

  • চট্টগ্রাম বন্দরে ফ্রান্স নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ

    চট্টগ্রাম বন্দরে ফ্রান্স নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ

    শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে পৌঁছেছে ফ্রান্স নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ এফএস সার্কাফ। রোববার (২ জুলাই) বন্দর জেটিতে পৌঁছালে চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের চিফ স্টাফ অফিসার ক্যাপ্টেন ফয়েজ জাহাজটিকে স্বাগত জানান।

    এসময় নৌবাহিনীর সুসজ্জিত বাদকদল ঐতিহ্যবাহী রীতিতে ব্যান্ড পরিবেশন করে। জাহাজটিকে স্বাগত জানাতে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতসহ নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও নাবিকরা উপস্থিত ছিলেন।

    এর আগে জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছালে বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ ‘স্বাধীনতা’ এটিকে অভ্যর্থনা জানায়।

    নৌবাহিনী জানায়, জাহাজটিতে মোট ১৭০ জন কর্মকর্তা ও নাবিক রয়েছেন। ১২৫ মিটার দৈর্ঘ্যের ফ্রান্সের এই জাহাজটির অধিনায়কের দায়িত্বে রয়েছেন ক্যাপ্টেন জেরোম ডুবইস। বাংলাদেশে অবস্থানকালে জাহাজটির অধিনায়ক কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চল, কমান্ডার বিএন ফ্লিট এবং চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

    সফরকারী জাহাজের কর্মকর্তা ও নাবিকরা বাংলাদেশ নেভাল অ্যাকাডেমি, বানৌজা পতেঙ্গা, নৌবাহিনীর সমর কৌশল বিষয়ক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ‘স্কুল অব মেরিটাইম ওয়ারফেয়ার অ্যান্ড ট্যাকটিস ও চট্টগ্রাম ওয়্যার সিমেট্রিসহ দর্শনীয় স্থানসমূহ পরিদর্শন করবেন। এছাড়া ফ্রান্স ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যদের মধ্যে একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

    ফ্রান্স নৌবাহিনীর এ জাহাজের সফরের ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে ফ্রান্সের বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। শুভেচ্ছা সফর শেষে আগামী ৬ জুলাই জাহাজটির বাংলাদেশ ত্যাগ করার কথা রয়েছে।

  • বন্দরের বহির্নোঙরে খালাস ও পণ্য পরিবহন বন্ধ

    বন্দরের বহির্নোঙরে খালাস ও পণ্য পরিবহন বন্ধ

    চট্টগ্রাম ডেস্ক :নৌযান শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পণ্য খালাস এবং নদীপথে পণ্য পরিবহন বন্ধ হয়ে গেছে। সোমবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু হয়।

    নৌযান শ্রমিকদের ছয়টি সংগঠনের জোট নৌ-শ্রমিক অধিকার সংরক্ষণ ঐক্য পরিষদ ১৫ দফা দাবি পূরণের লক্ষ্যে এই ধর্মঘট ডেকেছে। অন্যদিকে, ১১ দফা দাবিতে সোমবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন।

    আজ মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সকালে বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসাইন বলেন, আমরা সরকারি বিভিন্ন সংস্থা, জাহাজ মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়ন ঢাকায় ত্রিপাক্ষিক আলোচনা করেছি। সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই পূর্বঘোষিত কর্মবিরতি অনির্দিষ্টকাল চলবে।

    চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ধর্মঘটের কারণে বহির্নোঙরে লাইটার জাহাজ চলাচল করছে না। তবে বন্দরের মূল জেটি জিসিবি, সিসিটি, এনসিটি, রিভারমুরিং, ডলফিন অয়েল জেটি ও স্পেশাল বার্থে কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং এবং বন্দর থেকে লরি, ট্রাক, কাভার্ডভ্যানে পণ্য ও কনটেইনার ডেলিভারি স্বাভাবিক রয়েছে।

    এর আগে গত ১৩ অক্টোবর রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম অধিদপ্তরের সামনে নৌ-শ্রমিক অধিকার সংরক্ষণ ঐক্য পরিষদের মানববন্ধন থেকে এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। ২০ অক্টোবর মধ্যরাত (১৯ অক্টোবর রাত ১২টা ১ মিনিট) থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন।

    নৌ-শ্রমিক অধিকার সংরক্ষণ ঐক্য পরিষদের ১৫ দফা দাবিতে রয়েছে- নৌযান শ্রমিকদের নিয়োগপত্র ও মাসিক খাদ্যভাতা প্রদান, সার্ভিসবুক খোলা, স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান ও কল্যাণ তহবিল গঠন, নৌযানের মাস্টারশিপ-ড্রাইভারশিপ (চালকদের যোগ্যতা নির্ধারণী) পরীক্ষায় অনিয়ম-দুর্নীতি, প্রশ্নপত্র ফাঁস ও নৌ অধিদপ্তর কর্তৃক শ্রমিকদের নানা ধরনের হয়রানি বন্ধ করা প্রভৃতি। আর নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ১১ দফা দাবিতে রয়েছে শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে নিয়োগপত্র প্রদান, ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে সরকারি প্রতিষ্ঠানের নৌ-শ্রমিকদের জন্য কন্ট্রিবিউটরি প্রাভিডেন্ট ফান্ড, ফিশারিসহ অন্যান্য বেসরকারি খাতের নৌ-শ্রমিকদের জন্য কল্যাণ তহবিল গঠন, মাসিক খাদ্যভাতা প্রদান, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের বিভিন্ন পরীক্ষায় অনিয়ম ও হয়রানি বন্ধ করা প্রভৃতি।

    জানা গেছে, বিভিন্ন দাবি-দাওয়া বাস্তবায়নের জন্য ২০১৫ সাল থেকে আন্দোলন করে আসছেন তারা। এগুলোর কয়েকটি দাবি পূরণ হলেও অমীমাংসিত ১১ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে ২০১৮ সালে আবারও শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করেন ফেডারেশন নেতারা।

    যার অনুলিপি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, নৌযান মালিকদের বিভিন্ন সংগঠনসহ সংশ্নিষ্ট সব দপ্তরে দেওয়া হয়।

    এরপর একই বিষয়ে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও শ্রম ও কর্মসংস্থান অধিদপ্তর থেকে সমস্যা সমাধানে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন নেতাদের।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • চট্টগ্রামে করোনা উপসর্গ নিয়ে বন্দর কর্মীর মৃত্যু

    চট্টগ্রামে করোনা উপসর্গ নিয়ে বন্দর কর্মীর মৃত্যু

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে চট্টগ্রাম বন্দরের এক কর্মী। আজ ৩০ মে শনিবার ভোরে করোনা উপসর্গ শ্বাসকষ্টজনিত রোগ নিয়ে তার মৃত্যু হয়।

    বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, শ্বাসকষ্টজনিত রোগ নিয়ে মৃত্যুবরণকারী বন্দর কর্মীর নাম আব্দুর রশিদ মিয়াজি। তিনি নোয়াখালী জেলার বাসিন্দা হলেও চাকুরির সুবাধে পরিবার নিয়ে চট্টগ্রামের বন্দর কলোনিতে বসবাস করতেন। তিনি বন্দরের যান্ত্রিক বিভাগের হাইস্টার অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

    বন্দর সচিব বলেন, করোনা উপসর্গ থাকায় মৃত্যুর আগে গত ২৯ মে শুক্রবার চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় রশিদ মিয়াজির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কিনা রিপোর্ট আসার পর জানা যাবে। তার মৃত্যুতে বন্দর কতৃপক্ষ শোকাহত।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • দেশের অর্থনীতি সচল রাখা বন্দর শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান সুজনের

    দেশের অর্থনীতি সচল রাখা বন্দর শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান সুজনের

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : সরকার নির্ধারিত ছুটির দিনেও দেশের অর্থনীতি’র চাকা সচল রাখা বন্দর শ্রমিকদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহবান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

    দেশব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে তিনি আজ ৩০ মার্চ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট এ আহবান জানিয়েছেন।

    জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগের প্রধান এ উপদেষ্টা বিজ্ঞপ্তিতে বলেন বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর। দেশের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যের ৯০ শতাংশেরও বেশি কার্যক্রম সম্পন্ন হয় এই বন্দরের মাধ্যমে।

    দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে সরকার গত ২৬শে মার্চ থেকে ৪এপ্রিল পর্যন্ত টানা ১০ দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে। ছুটির দিনগুলোতেও দেশের আমদানি রপ্তানি স্বাভাবিক এবং ভোগ্য পণ্য সরবরাহ অব্যাহত রাখার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নানামূখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে যা প্রশংসার দাবীদার।

    কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্যি যে বন্দরের অভ্যন্তরে যে সকল শ্রমিকগণ বিভিন্ন অপারেশনাল কাজ এবং জাহাজে উঠা নামার কাজে নিয়োজিত রয়েছে তাদের নিরাপত্তা সুরক্ষাটা অনেকাংশেই উপেক্ষিত।

    এ সকল শ্রমিকরা মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ও সরকার নির্ধারিত স্বাস্থ্য বিধি না মেনেই তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দর কেন্দ্রিক উদ্বেগ এবং উৎকন্ঠা সত্বেও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা এখানে ব্যাপকভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এতে করে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে যারা প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা নিজেরাই মৃত্যু ঝুঁকির মধ্যে রয়ে গিয়েছে।

    সুজন বলেন, বর্তমান দেশের উদ্ভুত পরিস্থিতিতে এতো বিপুল সংখ্যক শ্রমিকের স্বাস্থ্যের দায় দায়িত্ব কে নিবে তা সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তুলছে। এছাড়া যে সকল শ্রমিক বর্তমান সাধারণ ছুটিতে জীবনের মায়া ত্যাগ করে কাজে যোগদান করেছে তাদেরকে বিশেষ সুবিধা প্রদান করার জন্যও বন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট আহবান জানান তিনি।

    তিনি আরো বলেন বন্দর কেন্দ্রিক দেশবাসীর উৎকন্ঠা সরজমিনে জানতে গত ২২শে মার্চ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য, প্রশাসন ও পরিকল্পনা মোঃ জাফর আলম এর সাথে স্বাক্ষাত করি ও বন্দরের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যবহারকারী, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শ্রমিকদের কাজে যোগদানের পূর্বে মাস্ক, তরল সাবান অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিস্কারসহ হ্যান্ড গ্লাভস পরিধান নিশ্চিত করার অনুরোধ করি।

    চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সব ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করার ঘোষণা প্রদান করলেও কার্যত তাদের সে ঘোষণা মাঠ পর্যায়ে কার্যকর হচ্ছে না। তাই অবিলম্বে বন্দরের অপারেশনাল কাজে নিয়োজিত সকল শ্রমিক ও স্টাফদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার্থে কাজে যোগদানের পূর্বে তরল সাবান দিয়ে হাত পরিস্কারকরণ, মাস্ক এবং হ্যান্ড গ্লাভস পরিধান করানোর আহবান জানান সুজন।

    এছাড়া বন্দরের সকল প্রবেশ পথে থার্মাল মিটার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্যও বন্দর কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন আমরা আশা করি চট্টগ্রাম বন্দর দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজেদের সুরক্ষার পাশাপশি চট্টগ্রামবাসীকেও সুরক্ষা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। বন্দরের নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে জনগনের এ দুর্যোগে মানুষের পাশে দাড়ানোর।

    তিনি করোনাভাইরাস থেকে নগরবাসীকে মুক্ত করার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে নগরবাসীর মাঝে মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, হ্যান্ড ওয়াশ, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকরণ সরবরাহ করার আহবান জানান। এছাড়া করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ পরিচালিত হাসপাতালে আইসুলেশন ব্যবস্থা রাখার অনুরোধ জানান।

    তিনি আরো বলেন চট্টগ্রাম বন্দর অর্থনৈতিকভাবে একটি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান। করোনাভাইরাস কেন্দ্রিক দুর্যোগে রাষ্ট্রের পাশাপশি স্থানীয়ভাবে অসহায় মানুষদের নিকট আন্তরিকতার সাথে সাহায্যের হাত প্রসারিত করার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট বিনীত অনুরোধ জানান সুজন।

    ২৪ ঘন্টা/আর এস পি

  • বন্দর-পতেঙ্গা এলাকায় মাতৃসদনসহ সম্মিলিত হাসপাতাল চালু করুন : সুজন

    বন্দর-পতেঙ্গা এলাকায় মাতৃসদনসহ সম্মিলিত হাসপাতাল চালু করুন : সুজন

    অবিলম্বে বন্দর-পতেঙ্গা এলাকায় মাতৃসদনসহ সম্মিলিত হাসপাতাল চালু করার জন্য সরকারের উর্দ্ধতন মহলের নিকট বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

    আজ সোমবার (২ মার্চ) উত্তর কাট্টলীস্থ তার নিজ বাসভবনে নাগরিক উদ্যোগের বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।

    জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা সুজন বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর অন্যতম প্রধান গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হচ্ছে সল্টগোলা ক্রসিং থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত। সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, তেল শোধনাগার, বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও সিইপিজেড কেইপিজেডসহ বিভিন্ন ভারী এবং হালকা শিল্প কারখানা ঐ অঞ্চলে অবস্থিত।

    স্বাভাবিকভাবেই ঐ এলাকায় বিপুল সংখ্যক জনগনের বসবাস। তাছাড়া প্রায় ৫ লক্ষাধিকের অধিক নারী জীবন ও জীবিকার তাগিদে এখানে বসবাস করে। এতো বিপুল সংখ্যক নারীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য বন্দর-পতেঙ্গা এলাকায় নেই কোন প্রকার হাসপাতাল কিংবা মাতৃসদন।

    ফলত কোন অসুখ বিসুখ কিংবা সন্তান জন্মদানের জন্য ঐ অঞ্চলে বসবাসরত নারীদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কিংবা নগরীর অন্য কোন বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে প্রসূতি মা’দের রাস্তায় সন্তান প্রসবের মতো আস্বাভাবিক পরিস্থিতির মুখেও পড়তে হয়। দিনের পর দিন এ অবস্থা চলতে থাকলেও বস্তুত ঐ এলাকার জনগনের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য কার্যত কোন প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নাই।

    অথচ সল্টগোলা ক্রসিং মোড়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ একটি বিশাল বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ করেছে যা মোটেও কাম্য নয়। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ একটি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান। এছাড়া বন্দর এলাকা হওয়ার কারণে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নির্মিত হাসপাতাল এলাকাটিতে সবসময় ট্রাফিক জ্যাম লেগেই থাকে।

    তাই চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের নিকট সবিনয় আবেদন জানাবো অতিসত্বর উক্ত বাণিজ্যিক স্থাপনাটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিকট হস্তান্তর করা হোক। যাতে ঐ এলাকায় বসবাসরত বিপুল পরিমাণ জনগোষ্ঠী প্রধানমন্ত্রী নির্দেশিত স্বাস্থ্য সেবার সুফল পেতে পারে। তিনি মুজিব বর্ষের উপহার হিসেবে চট্টগ্রামের বন্দর-পতেঙ্গা এলাকায় একটি মাতৃসদনসহ সম্মিলিত হাসপাতাল চালু করার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নিকট বিনীত অনুরোধ জানান।

    তিনি বলেন, দীর্ঘ ৫ বছর ধরে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড কর্তৃপক্ষ ২৫০০ আবাসিক এবং ১০০ বানিজ্যিক গ্রাহকের টাকা নিয়ে কাঙ্খিত গ্যাস সংযোগ প্রদান করছে না যা অত্যন্ত দুঃখজনক। ইতিমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশে এল.এন.জি আমদানি করা হয়েছে।

    চট্টগ্রামের উপর দিয়ে যাওয়া এল.এন.জি’র লাইনের মাধ্যমে ৫০০ মিলিয়নের অধিক গ্যাস সারা দেশে সরবরাহ করা হচ্ছে। অথচ ১০ থেকে ১২ মিলিয়ন গ্যাস চট্টগ্রামে সরবরাহ করা হলে চট্টগ্রামবাসী গ্যাসের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতো। তিনি অতিসত্বর চট্টগ্রামের গুরুত্ব বিবেচনা করে আবাসিক এবং বানিজ্যিক খাতে নতুন গ্যাস সংযোগ প্রদান করার জন্য কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড কর্তৃপক্ষের নিকট বিশেষ আহবান জানান।

    তিনি আরো বলেন, আমরা বারবার ওয়াসা কর্র্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানানোর পরেও এখনো ওয়াসার গড়বিল প্রদান বন্ধ হচ্ছে না। এতে করে গ্রাহকগণ ভোগান্তিতে পড়ছে। তিনি গ্রাহকদের সুবিধার্থে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নগরীতে পূণরায় ওয়াসার প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কাজ শুরু করার আহবান জানান।

    সুজন আরো বলেন, নগরবাসীর পক্ষে আমাদের একাধিকবার আবেদন সত্বেও বাংলাদেশের একটি অনন্য ঐতিহাসিক ঐতিহ্য সাকির্ট হাউস সংলগ্ন বর্তমান শিশু পার্কটি না সরিয়ে চালু করার পায়তারা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তিনি পূণরায় চসিক মেয়রকে সার্কিট হাউসের সামনে থেকে শিশুপার্কটি সরিয়ে ফেলার জন্য বিনীত অনুরোধ জানান। নচেৎ চট্টগ্রামবাসীকে সাথে নিয়ে শিশুপার্ক নামক জঞ্জালটি সরিয়ে ফেলার দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ ঘোষণা করা হবে।

    এছাড়া নগরীতে লেখাপড়া ও জীবিকার তাগিদে বসবাসরত উপজাতিদের বসবাসের সুবিধার্থে নগরীতে একটি বিশাল ডরমিটরী চালু এবং সদরঘাট থেকে কাপ্তাই পর্যন্ত লঞ্চ সার্ভিস চালু করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আহবান জানান জনাব সুজন।

    নাগরিক উদ্যোগের সদস্য সচিব হাজী মোঃ হোসেন এর সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাজী মোঃ ইলিয়াছ, আব্দুর রহমান মিয়া, সাইদুর রহমান চৌধুরী, মোঃ নিজাম উদ্দিন, নুরুল কবির, মোরশেদ আলম, মোঃ শাহজাহান, ছালেহ আহমদ জঙ্গী, অধ্যক্ষ কামরুল হোসেন, হাফেজ মোঃ ওকার উদ্দিন, শিশির কান্তি বল, শেখ মামুনুর রশীদ, এ.এস.এম জাহিদ হোসেন, অনির্বান দাশ বাবু, সমীর মহাজন লিটন, সোলেমান সুমন, সাইফুল্লাহ আনছারী, জাহাঙ্গীর আলম, রকিবুল আলম সাজ্জী, রাজীব হাসান রাজন, রকিবুল আলম সাজ্জী, এম ইমরান আহমেদ ইমু, মোঃ ওয়াসিম, মাহফুজ চৌধুরী, মনিরুল হক মুন্না প্রমূখ।

  • বিদেশ ফেরতদের বন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে : আইইডিসিআর

    বিদেশ ফেরতদের বন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে : আইইডিসিআর

    ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিওলজি ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা জারি করায় মারাত্মক করোনভাইরাস ছড়িয়ে পড়া থেকে রক্ষা করার লক্ষ্যে এখন থেকে দেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে আগত সকল যাত্রীকে সম্পূর্ণ স্ক্যান করা হবে।

    এখন থেকে, আমরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত সকল যাত্রীদের স্ক্যান করব কারণ ভাইরাসটি এখন পর্যন্ত ২৫ টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

    আইইডিসিআর পরিচালক মীরজাদি সাব্রিনা ফ্লোরা আজ তার কার্যালয়ে এক ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন, সুতরাং আরও সতর্কতা হিসাবে, এখন থেকে আমরা বিদেশ ফেরত সকল যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করব।

    ডা. ফ্লোরা পরিস্থিতি নিয়ে লোকজনকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য, সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

    আইইডিসিআর, দেশের রাষ্ট্র পরিচালিত রোগ পর্যবেক্ষণ শাখা, ২১ শে জানুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত চীন থেকে আগত ৮ হাজার ৩ শ’ ৯৬ জনকে স্ক্যান করেছে এবং তারা সকলেই নিরাপদ।

    ভাইরাস সম্পর্কে যে কোনও ধরণের বিভ্রান্তি সমাধান করতে এবং এই রোগের মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে রোগ নিরীক্ষণ শাখাটি ইতোমধ্যে চারটি হটলাইন নম্বর চালাচ্ছে -০১৯৩৭১১০০১১, ০১৯৩৭০০০০১১, ০১৯২৭৭১১৭৮৪ এবং ০১৯২৭৭১১৭৮৫।