Tag: বন্দুকযুদ্ধে

  • রামপালে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নিহত

    রামপালে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নিহত

    বাগেরহাটের রামপালে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল ওরফে মিনা কামাল (৫০) নিহত হয়েছেন।

    বৃহস্পতিবার ভোরে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ডাইভারসনের ভেকটমারী এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

    নিহত মোস্তফা কামাল খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার নৈহাটী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। তার বাড়ি রূপসার নৈহাটির রাগমারা গ্রামে।

    অবৈধ মাদক ব্যবসার ঘটনা কেন্দ্র করে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিনি নিহত হয়েছেন বলে রামপাল পুলিশ জানিয়েছে।

    রামপাল ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, ভোরে রামপালের ভেকটমারী এলাকায় র‌্যাব ৬-এর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিনি গুলিবিদ্ধ হন।

    পরে তাকে রামপাল উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠায়। তার শরীরে একাধিক গুলির চিহ্ন রয়েছে।

    তবে র‌্যাবের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠনিকভাবে এখনও কোনো তথ্য জানানো হয়নি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সাতকানিয়ায় বন্দুকযুদ্ধে যুবলীগ কর্মী মোসাদ্দেক খুনের মূল আসামি নিহত

    সাতকানিয়ায় বন্দুকযুদ্ধে যুবলীগ কর্মী মোসাদ্দেক খুনের মূল আসামি নিহত

    চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে যুবলীগ কর্মী মোসাদ্দেকুর রহমান হত্যা মামলার প্রধান আসামী মাদক সম্রাট সোহেল নিহত হয়েছেন।

    শুক্রবার (২৬ জুন) দিবাগত রাত আড়াইটায় সাতকানিয়া সদরের দক্ষিণ রূপকানিয়া ইউনিয়নের গাজীর পাড়া কুতুবুর দীঘির পাড় এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে সাতকানিয়া থানার ৫ পুলিশ আহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল মাদকসেবীদের আস্তানা থেকে বিভিন্ন অস্ত্র, ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে।

    সাতাকানিয়া সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নেজাম উদ্দিন এ ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।

    সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সফিউল কবীর জানান, ‘রাত ১টা ৪৫ মিনিটে সাতকানিয়া সদরে দক্ষিণ রূপকানিয়ার গাজীপাড়ার কুতুবুর দীঘির পাড় এলাকায় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পুলিশের প্রতিরোধের মুখে মাদক ব্যবসায়ী সোহেলের সঙ্গীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ একজনের লাশ পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে।’

    নিহত সোহেল সাতকানিয়া ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। কিছুদিন আগে তিনি ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান। ঈদের পর কারামুক্ত হয়ে সোহেল আবারও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার (২২ জুন) আসরের নামাজের পরে যুবলীগ কর্মী মোসাদ্দেক ও তার ছোট ভাই ফয়সালসহ মাদক নির্মূল কমিটির আরও কয়েকজন মিলে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ও ইয়াবা ডন সোহেলের কর্মকাণ্ডেরর প্রতিবাদ করেন। এসময় দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকিাটি হয়। একপর্যায়ে সোহেল অতর্কিতভাবে মোসাদ্দেক ও ফয়সালকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখান থেকে দুজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। হাসপাতালে নেওয়া পথে মোসাদ্দেক মারা যান।

  • টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত

    টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। কক্সবাজার প্রতিনিধি : টেকনাফে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুইজন রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত হয়েছে।

    আজ শুক্রবার (১ মে) ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে টেকনাফ উপজেলার জাদিমোরা ২৬নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শালবাগান এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটেছে।

    এসময় ১৫টি দেশীয় তৈরী লম্বা বন্দুক, ২৮ রাউন্ড গুলি ও দুইটি রাম দা উদ্ধার করা হয়েছে।

    নিহতরা হলেন, টেকনাফের ২৬ নং নয়াপাড়া ক্যাম্পের ডি-ব্লকের আব্দুল হামিদের ছেলে আবদুল হাকিম (৩৫) ও অজিউল্লাহ’র ছেলে রশীদ উল্লাহ (৩০)। র‌্যাবের দাবি নিহত দুইজনই স্থানীয় রোহিঙ্গা ডাকাত গ্রুপ রকি বাহিনীর সদস্য।

    কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) আবদুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব জানতে পারে যে, টেকনাফ উপজেলার জাদিমোরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২৬ শালবাগান ক্যাম্পের পাশ্ববর্তী পাহাড়ে একদল রোহিঙ্গা ডাকাত অবস্থান করছে।বন্দুকযুদ্ধে ২ রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত

    এ খবরের ভিত্তিতে র‌্যাব সদস্যরা অভিযানে গেলে ডাকাতদল র‌্যাবের উপর অতর্কিতভাবে গুলি ছোড়ে। এসময় র‌্যাবও পাল্টা গুলি করে। গোলাগুলির একপর্যায়ে ডাকাতদল পালিয়ে গেলে র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে দুইজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

    পরে তাদের রকি গ্রুপের সদস্যরা বলে সনাক্ত করে র‌্যাব। এসময় ১৫টি দেশীয় তৈরী বন্দুক, ২৮ রাউন্ড গুলি ও দুইটি ধারালো রাম দা উদ্ধার করা হয়।

    এদিকে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, র‌্যাব সুত্রে খবর পেয়ে দুইটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত জব্দ করেছে। মৃতদেহ দুটি ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

    এ ব্যাপারে টেকনাফ থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে’।

    ২৪ ঘণ্টা/ইসলাম/আর এস পি

  • যশোরে বন্দুকযুদ্ধে হত্যা মামলার প্রধান আসামি নিহত

    যশোরে বন্দুকযুদ্ধে হত্যা মামলার প্রধান আসামি নিহত

    যশোরে আনসার সদস্য হোসেন আলী হত্যা মামলার প্রধান আসামি জুয়েল (২৯) ডিবি পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।

    আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারী) ভোরে যশোর সদর উপজেলার হাশিমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

    নিহত জুয়েল যশোর সদর উপজেলার হাশিমপুর গ্রামের আমজাদ মোল্লার ছেলে।

    যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম জানান, গত বছরের ৩০ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে হাশিমপুর বাজারে প্রকাশ্যে আনসার সদস্য হোসেন আলীকে গুলি করে হত্যা করে একদল সন্ত্রাসী। ওই ঘটনায় গত ১৪ ডিসেম্বর সাতজনকে আটক করা হয়। তাদের দেয়া তথ্য মতে হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি হাশিমপুর এলাকার জুয়েল ও মুন্নাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছিল ডিবি পুলিশ।

    এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে কক্সবাজার থেকে আটক করা হয় জুয়েলকে। তার দেয়া তথ্য মতে অপর আসামি মুন্নাকে ধরতে বৃহস্পতিবার ভোররাত ৪টার দিকে আসামি জুয়েলকে নিয়ে হাশিমপুর এলাকায় অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ। এ সময় মুন্না ও তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় আসামি জুয়েল গুলিবিদ্ধ হন। তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

    অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম আরও জানান, সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান ও ১২টি গুলি উদ্ধার করেছে

  • বাঁশখালীতে বন্দুকযুদ্ধে ৩১ জেলে হত্যায় অভিযুক্ত জলদস্যু মোরশেদ নিহত

    বাঁশখালীতে বন্দুকযুদ্ধে ৩১ জেলে হত্যায় অভিযুক্ত জলদস্যু মোরশেদ নিহত

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে মোরশেদ আলম (৩৫) নামে এক জলদস্যুর মৃত্যু হয়েছে। র‌্যাব দাবী করছে বন্দুকযুদ্ধে তার মৃত্যু হয়।

    র‌্যাব জানায়, বাঁশখালীতে ডাকাতির সময় ৩১ জেলেকে সাগরে ফেলে নির্মমভাবে হত্যায় অভিযুক্ত এবং এবং খুন, ডাকাতি, ও চাঁদাবাজিসহ দুই ডজনেরও অধিক মামলার আসামি কুখ্যাত ডাকাত সর্দার মোরশেদকে গ্রেফতার করতে গেলে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। সেখানে তার মৃত্যু হয়।

    আজ ২৬ জানুয়ারি রবিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বাঁশখালী উপজেলার বাণীগ্রাম লটমুণি পাহাড় এলাকায় বন্দুযুদ্ধের ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি থ্রি কোয়ার্টার গান, দুইটি ওয়ান শ্যুটার গান, ১৯ রাউন্ড গুলি ও ৩টি রামদা উদ্ধার করে র‌্যাব।

    নিহত মোরশেদ আলম একই উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের পশ্চিম চাম্বল ২ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত সিদ্দিক আহম্মদের ছেলে। নিহত মোরশেদ চাঞ্চল্যকর ৩১ জেলে হত্যা মামলা, প্রকাশ্য দিবালোকে বুজরুজ মেহের হত্যাসহ ৩টি খুনের মামলার আসামি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে খুনসহ ডাকাতি, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ দুই ডজনেরও অধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

    বন্দুকযুদ্ধে কুখ্যাত ডাকাত সর্দার মোরশেদ নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি মো. মাহমুদুল হাসান মামুন। তিনি বলেন, রবিবার ভোরে কুখ্যাত ডাকাত ও জলদস্যু মোরশেদ আলম (৩৫) এর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে র‌্যাবের একটি টিম বাঁশখালীর বাণীগ্রাম সংলগ্ন লটমুণি পাহাড়ে অভিযান চালায়।

    এসময় র‌্যাব এর উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের নেতা মোরশেদের বাহিনী র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাবও পাল্টাগুলি চালায়। এক পর্যায়ে ডাকাত দল পিছু হঠে পাহাড়ের ভেতরে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ মোরশেদের লাশ পড়ে থাকতে দেখে র‌্যাব সদস্যরা স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার মৃত্যু হয়।

    ডাকাত দলের ফেলে যাওয়া বিদেশী পিস্তল, বন্দুক ও গুলি উদ্ধার করেছে। এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান র‌্যাব-৭ এর সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ।

    জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৪ মার্চ কুতুবদিয়া থানার জাহাজখালীতে বঙ্গোপসাগরের গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতির চেষ্টা চালিয়েছে একদল জলদস্যু। এতে বাধা দিতে গিয়ে পানিতে ফেলে দিয়ে ৩১ জেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিলো যাকাত দলটি।

    পরে এ ঘটনায় দায়েরকৃত একটি মামলায় অন্যতম আসামি ছিলেন বাঁশখালীর জলদস্যু ও ডাকাত সর্দার হিসেবে পরিচতি মোরশেদ আলম। এছাড়াও একই বছরের ২০ জুলাই চাম্বল বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি বুজুরুছ মেহের চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করেছিলো মোরশেদ বাহিনী।

    পরে মোরশেদকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ পুলিশ গ্রেফতার করলেও ২০১৯ সালের ১০ মার্চ তিনি জামিনে মুক্তি পান।

  • বিজিবি’র সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ২ রোহিঙ্গা নিহত

    বিজিবি’র সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ২ রোহিঙ্গা নিহত

    কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালীতে বিজিবি’র সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ২ রোহিঙ্গা ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে।

    নিহতদের লাশ ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে। নিহত ২ জনই মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরনার্থী বলে জানিয়েছে বিজিবি। এসময় নিহতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২০ হাজার ইয়াবা ও একনলা ১টি বন্দুকসহ দুই রাউন্ড কার্তুজ।

    সোমবার ৬ জানুয়ারি সকালে কক্সবাজারস্থ ৩৪ বিজিবি’র সদস্য ও ইয়াবা ব্যবসায়ীদের মধ্যে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

    নিহত রোহিঙ্গা শরনার্থী ইয়াবা ব্যবসায়ীরা হলেন- মিয়ানমারের উনচিপ্রাং এলাকা থেকে পালিয়ে আসা উখিয়া রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের ২২নং ব্লকে আশ্রয় নেয়া মৃত সুলতান আহমদের পুত্র মোহাম্মদ ইসমাইল (২৮) ও মো. আবু সৈয়দের পুত্র মো. হেলাল উদ্দিন (২০)।

    ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক আলী হায়দার আজাদ আহমেদ বলেন, কতিপয় ইয়াবা ব্যবসায়ী উখিয়ার পালংখালী পূর্ব ফাঁড়িরবিল এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে মাদক প্রবেশ করার খবরে বিজিবির টহলদল অভিযান চালায়। এসময় বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে মাদক ব্যবসায়ীরা।

    আত্মরক্ষার্থে বিজিবি সদস্যরাও গুলি চালায়। এক পর্যায়ে দুই মাদক ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হলে তাদের আহতাবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়। এসময় হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন

  • বায়েজিদে বন্দুকযুদ্ধে হত্যা মামলার আসামি নিহত

    বায়েজিদে বন্দুকযুদ্ধে হত্যা মামলার আসামি নিহত

    চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামি থানার শেরশাহ এলাকায় একটি খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত আসামি এমদাদ (৩৮) পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।

    শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ভোরে বায়েজিদের মাঝিরঘোনা এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত এমদাদ বায়েজিদের শেরশাহ কলোনীর ফরিদ আহমদের ছেলে।

    জানা গেছে, বায়েজিদ বোস্তামি থানা এলাকায় মঙ্গলবার রাতে পূর্ব শত্রুতার জেরে ছুরিকাঘাতে মো. রিপন নামে এক যুবক খুন হয়। সেই হত্যা মামলার এজাহারের ৫ নম্বর আসামি ছিল এমদাদ।

    পুলিশ জানিয়েছে, চট্টগ্রামের মাঝিরঘোনা এলাকায় আসামি গ্রেপ্তার করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এমদাদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

  • দুই জেলায় র‌্যাবের সাথে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে সন্ত্রাসী ও ইয়াবা কারবারির মৃত্যু

    দুই জেলায় র‌্যাবের সাথে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে সন্ত্রাসী ও ইয়াবা কারবারির মৃত্যু

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। ডেস্ক নিউজ : দেশের দুই জেলায় র‌্যাবের সাথে পৃথক বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় কক্সবাজারের মাদক কারবারি মো. রুবেল (২২) ও পাবনার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী আমিন শেখ (৪০) এর মৃত্যু হয়েছে। পৃথক দুটি ঘটনায় এ সময় র‌্যাবের দুই সদস্য আহত এবং বিপুল দেশীয় অস্ত্র, গুলি, ইয়াবা ও ফেনসিডিল উদ্ধারের তথ্য জানিয়েছে র‌্যাব।

    আমাদের কক্সবাজার প্রতিনিধি জানিয়েছেন, টেকনাফে র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মো. রুবেল (২২) নামে এক মাদক ও অস্ত্র কারবারি নিহত হয়েছেন। ২৪ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) ভোররাত ৩টার দিকে র‌্যাব-১৫, (সিপিসি-১) টেকনাফ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল টেকনাফ সদর ইউপির বড় হাবিবছড়া সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভ এলাকায় ইয়াবার চালান খালাসের সংবাদ পেয়ে অবস্থান নেয়।

    কিছুক্ষণ পর র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেলে মাদক কারবারিরা তাদের উপর গুলি চালায়। এতে র‌্যাবের দুই সদস্য আহত হলে র‌্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। গোলাগুলি থেমে গেলে ঘটনাস্থল থেকে ১০ হাজার ইয়াবা, দেশীয় তৈরী একটি ওয়ান শুটারগান, ৩ রাউন্ড গুলি ও গুলির ২টি খালি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।

    এসময় গুলিবিদ্ধ এক মাদক কারবারিকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

    নিহত রুবেল টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া জুম্মা পাড়া এলাকার মো. সিদ্দিকের ছেলে। সে মাদক ও অস্ত্র কারবারি এবং ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য ছিল বলে জানিয়েছে র‌্যাব। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১৫ এর টেকনাফ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মির্জা শাহেদ মাহাতাব। তিনি এই ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে পৃথক মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান।

    এদিকে আমাদের পাবনা প্রতিনিধি জানিয়েছেন বুধবার ভোর ৪টার দিকে পাবনার সদর উপজেলার রাজাপুর এলাকায় র‌্যাবের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আমিন শেখ (৪০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

    র‌্যাবের দাবি, নিহত আমিন শেখ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও ডাকাত দলের সদস্য। তার বিরুদ্ধে সদর থানায় তিনটি করে হত্যা ও অস্ত্র মামলাসহ ১১টি মামলা রয়েছে। নিহত আমিন উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের পয়দা গ্রামের এসকেন শেখের ছেলে।

    র‌্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার আমিনুল কবির তরফদার তথ্য নিশ্চিত করে জানান, উপজেলার রাজাপুর এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে ভোররাত ৪টার দিকে অভিযানে যায় র‌্যাবের একটি অভিযানিক টিম।

    ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ৩টি তাজা গুলি, একটি রাম দা, একটি চাপাতি ও ৫ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছুঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে ডাকাতদলের সদস্যরা। র‌্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুঁড়ে।

    এক পর্যায়ে ডাকাত দল পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

  • উখিয়ায় বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহত

    উখিয়ায় বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহত

    কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারের উখিয়া সীমান্তে টহলরত বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছে ।

    শনিবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের সীমান্ত জনপদ নলবনিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    নিহতরা ইয়াবা কারবারের সঙ্গে জড়িত বলে দাবি বিজিবির। পুলিশ তাদের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

    নিহতরা হলেন- উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মো. ছিদ্দিক (৩০) ও মো. শাহাজান (৩৬)। ঘটনাস্থল থেকে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি দেশীয় তৈরি এক নলা বন্দুক ও দুইটি কার্তুজ উদ্ধার করেছে বিজিবি।

    কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহম্মদ জানান, একদল রোহিঙ্গা ইয়াবার চালান নিয়ে সীমান্তের নাফ নদী পার হয়ে নলবনিয়া পয়েন্টে প্রবেশ করলে বিজিবি তাদের গতিরোধ করার চেষ্টা করে।

    এ সময় ইয়াবা কারবারিরা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করলে বিজিবিও পাল্টা গুলি ছুড়ে। এতে ঘটনাস্থলে দুইজন রোহিঙ্গা মারা যান।

    তিনি বলেন, তাদের কাছ থেকে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি দেশীয় তৈরি এক নলা বন্দুক ও দুইটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

    উখিয়া থানার ওসি আবুল মনসুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘অজ্ঞাতনামা দুইজন ইয়াবা কারবারির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ’

  • টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে দুই ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহত

    টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে দুই ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহত

    কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) ভোরে হ্নীলা রঙ্গিখালীর গাজীপাড়া সংলগ্ন পশ্চিম পাহাড়ের পাদদেশে এ ঘটনা ঘটে। টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস এক ক্ষুদে বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন।

    নিহতরা হলো—টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াবাজার গ্রামের দিল মোহাম্মদ ওরফে ইয়ার মোহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদ আমিন ওরফে নূর হাফেজ (৩২) এবং হ্নীলার সাব্বির আহম্মেদের ছেলে মোহাম্মদ সোহেল (২৬)। নূর হাফেজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী এবং রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল হাকিমের সহযোগী।

    এর আগে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) নিহত এই দুজনসহ চার মাদক ব্যবসায়ীকে ৮ লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা ও ৬টি অস্ত্রসহ আটক করেছিল র‌্যাব-১৫।

    পুলিশ জানায়, আটকের পর নূর হাফেজ ও সোহেল জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তাদের কাছে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও অস্ত্র সংরক্ষিত আছে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে তাদের সঙ্গে নিয়ে শনিবার ভোরে পুলিশের একটি দল হ্নীলা রঙ্গিখালীর গাজীপাড়া সংলগ্ন পশ্চিম পাহাড়ের পাদদেশ এলাকায় অভিযানে যায়।

    সেখানে পৌঁছালে তাদের ছিনিয়ে নিতে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পরে মাদক কারবারিরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নূর হাফেজ ও সোহেলকে উদ্ধার করে প্রথমে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

    এ সময় পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে ৯৫ হাজার পিস ইয়াবা, ৬টি দেশীয় অস্ত্র, ১৮ রাউন্ড কার্তুজ ও ১৮টি কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।

    ওসি প্রদীপ কুমার দাস বলেন, ‘লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। মাদকের বিরুদ্ধে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

  • চট্টগ্রামে বন্দুকযুদ্ধে হত্যা মামলার আসামি ডাকাত আইজ্জা নিহত

    চট্টগ্রামে বন্দুকযুদ্ধে হত্যা মামলার আসামি ডাকাত আইজ্জা নিহত

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামে পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে হত্যা মামলার আসামি আজিজ ডাকাত ওরফে আইজ্জা ডাকাত নিহত হয়েছে। রবিবার গভীররাত আড়াইটার সময় নগরীর খুলশী থানা নাসিরাবাদ প্রোপার্টিস লিমিটেড নামের আবাসিক এলাকার চার নম্বর সড়কের পশ্চিমে টিলায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাটি ঘটে।

    ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশিয় আগ্নেয়াস্ত্র ও দুই রাউন্ড অব্যবহৃত কার্তুজ উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

    পুলিশ জানায়, গরিবুল্লাহ শাহ আবাসিক এলাকার এক বাসা চুরির অভিযোগের সুত্র ধরে পুলিশ আইজ্জ্যা ডাকাতকে গ্রেফতারে অভিযানে গেলে ডাকাত আইজ্জ্যা ও তার সহযোগীরা অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে পুলিশের উপর গুলি বর্ষন করতে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়। গোলাগুলির এক পর্যায়ে আইজ্জ্যা বাহিনীর সদস্যরা পিছু হটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিব্ধ অবস্থায় আইজ্জ্যাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি প্রনব চৌধুরী। তিনি বলেন, গত (১৫ নভেম্বর) শুক্রবার জুমার নামাযের সময় গরীবুল্লাহ হাউজিং সোসাইটি এলাকার একটি বাসায় ঢুকে এক মহিলাকে জিম্মি করে স্বর্ণালঙ্কার ও দুটি মোবাইল ফোন ছিনতাই করে অজ্ঞাত ছিনতাইকারীরা। এ ঘটনায় খুলশী থানায় মামলা দায়ের করেন বাড়ির মালিক।

    মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ঘটনার দিন ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিকশাটিসহ চালক শাহজালালকে আটক করে পুলিশ। এর পর তার দেওয়া তথ্য মতে এ ঘটনায় সম্পৃক্ত জুয়েলার্স ব্যবসায়ি দুর্জয় ও মোহাম্মদ রফিক নামে আরো দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় চোরাই গয়নাগুলো। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা আইজ্জ্যা ডাকাতের তথ্য দেন। তথ্যমতে রবিবার গভীর রাতে আইজ্জ্যাকে গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযান চালায়।

    এ ঘটনায় অস্ত্র আইনে একটি এবং একটি হত্যা মামলা দায়ের করার কথা জানিয়ে ওসি প্রনব বলেন, আইজ্জ্যা ডাকাতের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা ও একটি ডাকাতি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়া গত তিন মাস আগে জননিরাপত্তা আইনের একটি মামলায় ১২ বছর সাজা খাটার পর সে জামিনে মুক্তি পায় নিহত আজিজ।

  • সীতাকুণ্ডে বন্দুকযুদ্ধে ডা.শাহ আলম খুনের মূল হোতা ডাকাত নজির নিহত

    সীতাকুণ্ডে বন্দুকযুদ্ধে ডা.শাহ আলম খুনের মূল হোতা ডাকাত নজির নিহত

    সীতাকুণ্ড থানার উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় র‍্যাব ৭ এর টহল দলের সাথে অস্ত্রধারী ডাকাতদলের গুলি বিনিময়ে চাঞ্চল্যকর ডা, শাহ আলম হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা ডাকাত দলের প্রধান নজির আহমেদ সুমন প্রকাশ কালু (২৬) নিহত হয়েছেন।

    আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) ভোরে সাড়ে ৪টার দিকে সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নে এ বন্দুকযুদ্ধে ঘটনা ঘটেছে।

    বিষয়টি ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে নিশ্চিত করেন র‍্যাব ৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. মাহমুদুল হাসান মামুন। তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশী পিস্তলসহ দুটি অস্ত্র ও ২৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার উদ্ধার করে র‍্যাব ৭।

    উল্লেখ্য যে, গতকাল ২২ অক্টবর র‍্যাব ৭ ডা. শাহআলম হত্যার সাথে জড়িত লেগুনা চালক ওমর ফারুক (১৯)কে আটক করে। পরে সে আদালত ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রধান করে এবং হত্যার সাথে জড়িতদের সকলে নাম পরিচয় প্রকাশ করে। আরো খবর : ছিনতাইকারীদের বাধা দেয়ায় প্রাণ হারায় ডা.শাহ আলম

    র‍্যাব ৭ এর একজন কর্মকর্তা ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, গ্রেফতারকৃত ওমর ফারুকে দেয়া তথ্যের ভিক্তিতে এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ডাকাত দলের মূল হোতা নজির আহমেদ সুমন প্রকাশ কালুকে আটকে অভিযানে নামে র‍্যাব।

    সীতাকুণ্ডের উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় অভিযান চালাতে গেলে র‍্যাবের উপস্থিতি দেখে কালু ডাকাত তার সহযোগীরাদের নিয়ে র‍্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আরো খবর : অজ্ঞাত লাশটি চিকিৎসক শাহ আলমের

    আত্মরক্ষার্থে র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালালে ডাকাত দল পিছু হঠে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে কালু ডাকাতের গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এবং অস্ত্র পাওয়া যায়।

    সীতাকুন্ড মডেল থানার (এস আই) সাইফুল উদ্দিন শাওন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, ডাকাত নজিরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড মডেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। নিহত নজির ডাকাতের বুকে তিনটা গুলির চিহ্ন রয়েছে । নিহত নজির ডাকাত বাড়কুন্ড একালার আবুল হোসেন ছেলে বলে জানা গেছে।

    র‌্যাব-৭ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) কাজী তারেক আজিজ বলেন, গত ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাতে কর্মস্থল সীতাকুণ্ড থেকে নগরীর চান্দগাঁও এলাকার বাসায় ফিরতে একটি লেগুনায় (জীপ) উঠেন সৌদি আরবের মদিনা ফেরৎ চিকিৎসক ডা. শাহ আলম। আরো খবর : কুমিরায় মহাসড়কের পাশ থেকে লাশ উদ্ধার

    ছিনতাইকারী চক্র লেগুনাটি রয়েল গেট এলাকায় পৌঁছালে ডাক্তার মোঃ শাহ আলমের কাছ থেকে টাকা পয়সা এবং মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।

    এসময় শাহ আলম বাধা দিলে ছিনতাইকারীদের সাথে ধস্তাধস্তি শুরু হয়।ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ছিনতাইকারীরা মোঃ শাহ আলমকে ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে হত্যা করে। হত্যা করার পর তার লাশ রাস্তায় ফেলে দেয়। এর পর তারা লেগুনা নিয়ে সাগর পাড়ে চলে যায়।

    পরে ঘটনার তদন্ত শুরু করে গতকাল ২২ অক্টবর র‍্যাব ৭ ডা. শাহআলম হত্যার সাথে জড়িত লেগুনা চালক ওমর ফারুক (১৯)কে আটক করে।