Tag: বন্দুকযুদ্ধে নিহত

  • এএসআই আমির হোসেন হত্যা মামলার আসামি বন্দুকযুদ্ধে নিহত

    এএসআই আমির হোসেন হত্যা মামলার আসামি বন্দুকযুদ্ধে নিহত

    ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মামুন মিয়া (৩০) বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।

    সোমবার (২০ জুলাই) ভোরে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চান্দপুর বাজারের কাছে র‍্যাব-১৪ এর ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যদের সঙ্গে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত মামুন চান্দপুর গ্রামের মুছা মিয়ার ছেলে।

    র‍্যাবের ভৈরব ক্যাম্পের সহকারী পরিচালক চন্দন দেবনাথ জানান, মামুনকে ধরতে র‍্যাবের একটি দল চান্দপুর বাজারের কাছে অভিযান চালায়। এ সময় মামুনের সহযোগীরা র‍্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। র‍্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হন মামুন। পরে তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

    ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি ও একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান র‍্যাব কর্মকর্তা চন্দন দেবনাথ।

    গত শুক্রবার (১৭ জুলাই) বিকেলে চান্দপুর বাজার থেকে অস্ত্র, মাদক ও ডাকাতি মামলার আসামি মামুন মিয়াকে গ্রেপ্তার অভিযানে যান সদর মডেল থানা পুলিশের এএসআই আমির হোসেন ও মণি শঙ্কর চাকমা। এ সময় ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে আমিরের বুকে ছুরি চালিয়ে দেন মামুন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় আমিরকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই মামুনকে প্রধান আসামি করে পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন এএসআই মণি শঙ্কর চাকমা।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ‘ক্রসফায়ার না দিলে আমি নিজেই ছেলে সোহেলকে গুলি করে মারতাম’

    ‘ক্রসফায়ার না দিলে আমি নিজেই ছেলে সোহেলকে গুলি করে মারতাম’

    এ. কে. আজাদ, সাতকানিয়া থেকে ফিরে : ‘আমার ছেলে সোহেলকে পুলিশ ক্রসফায়ার না দিলে আমি নিজেই তাকে গুলি করে মারতাম। সে শুধু এলাকার লোকজনকেই জ্বালায়নি, আমাকে, তার মা, ভাই-ভাবিকেও ছুরি দিয়ে বার বার আঘাত করার চেষ্টা করেছে। তার জ্বালায় আমরা খুব অতিষ্ঠ ছিলাম। সে ক্রসফায়ারে মারা গেছে এতে আমার কোনো দুঃখ নেই। তাকে আরো আগে গ্রেপ্তার করলে মোসাদ্দেককে খুন করতে পারতো না। আমাদের (বাবা-মাকে) দোষারূপ করার জন্যই তাকে এতোদিন গ্রেপ্তার করা হয়নি। তার ক্রসফায়ারে আমি প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।’

    চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার আলোচিত মাদকবিরোধী আন্দোলনের নেতা ও স্থানীয় যুবলীগ কর্মী মোসাদ্দেকুর রহমানের খুনি এবং এ হত্যা মামলার একমাত্র আসামি আব্দুল হান্নান সোহেল পুলিশের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ার পর তাঁর বাবা আব্দুল আলীম এ মন্তব্য করেন।

    এর আগে গত ২২ জুন মোসাদ্দেককে ছুরিকাঘাত করে হত্যার পর পালিয়ে যায় সোহেল।

    গত শনিবার মধ্যরাতে সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল কবিরের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাঙ্গুনিয়ার দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে সোহেলকে গ্রেপ্তার করেন। এর পর রাতে তাঁর স্বীকারোক্তিমতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করতে গেলে সহযোগীদের সঙ্গে পুলিশের বন্দুক যুদ্ধ হয়। এতে সহযোগীদের গুলিতে সোহেল নিহত হয়েছে বলে পুলিশের দাবী।

    এদিকে, গত শনিবার ময়নাতদন্তের পর পুলিশ সোহেলের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করলে একইদিন রাতেই পরিবারের কয়েকজন লোকের অংশগ্রহনে জানাজার নামাজ শেষে তাঁকে দাফন করা হয়।

    তবে, স্থানীয়দের বাঁধার মুখে সামাজিক কবরস্থানে সোহেলকে দাফন করা যায়নি এবং জানাজায়ও অংশ নেয়নি সমাজের কোনো লোক।

    অন্যদিকে, নিহত মোসাদ্দেকুর রহমানের বাবা মাহবুবুর রহমান জানান, তাঁর ছেলে হত্যার মূল আসামি সোহেল ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ায় আমি এবং পুরো পরিবার খুব সন্তুষ্ট। পুলিশ প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর