Tag: বন্দুকযুদ্ধ

  • বোয়ালখালীতে বন্দুকযুদ্ধে নাছির হত্যা মামলার আসামী নিহত

    বোয়ালখালীতে বন্দুকযুদ্ধে নাছির হত্যা মামলার আসামী নিহত

    বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার চরণদ্বীপে বড়ুয়াপাড়া সংলগ্ন বালুর মাঠ এলাকায় পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে শওকত হোসেন চইল্ল্যা (৪৫) নামের ব্যক্তি নিহত হয়েছে।

    শওকত উপজেলার চরণদ্বীপ ইউনিয়নের খলিল তালুকদার বাড়ির হাছি মিয়ার ছেলে। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে একই এলাকার নাছির হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকায় তাকে আটক করেছিল বোয়ালখালী থানা পুলিশ।

    পুলিশের দাবি, সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধা আলী মদন’র ছেলে মোহাম্মদ নাছির হত্যার প্রধান আসামী শীর্ষ সন্ত্রাসী শওকত হোসেন চইল্ল্যা। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্রসহ বিভিন্ন আইনে একাদিক মামলা রয়েছে।

    বন্দুকযুদ্ধের সময় বোয়ালখালী থানার ইনচার্জসহ(ওসি) ২ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

    বন্দুকযুদ্ধের ঘটানাটি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালখালী থানার ওসি আবদুল করিম।

    যেভাবে আটক হয় শওকত:
    গত শুক্রবার উপজেলায় মোহাম্মদ নাছির (৪৪) নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করে একাদিক মামলার আসামী শওকত হোসেন ওরপে চইল্ল্যা ও তার ছোট ভাই জসীমসহ সন্ত্রাসী গ্রুপ। এ সময় নাছিরের পিতা মুক্তিযোদ্ধা আলী মদন ও ছোট ভাই লোকমান আহত হন।

    শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার চরণদ্বীপ ইউনিয়নের খলিল তালুকদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ জসিম উদ্দিন ও শওকত হোসেনকে আটক করে ও তাদের কাছ থেকে একটি পিস্তল, একটি এলজি, ৫ রাউন্ড গুলি, ২টি কার্তুজ, ছুরি, চাপাতি ও দা উদ্ধার করে।

    জানা গেছে, চরণদ্বীপের বটতল এলাকার বাসিন্দা হাছি মিয়া ও মুক্তিযোদ্ধা আলী মদনের পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, জমিজমা নিয়ে এ বিরোধ। এ নিয়ে আগেও দুই পরিবারের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ হয়। শুক্রবার রাতে এলাকার এক ধনাঢ্য ব্যক্তি খলিল তালুকদার নিজ বাড়িতে জাকাতের টাকা বণ্টন করছিলেন। টাকা বণ্টনে অনিয়মের অভিযোগ এনে আলী মদনের ছেলে লোকমান প্রতিবাদ করলে হাছি মিয়ার ছেলে জসিমের সঙ্গে হাতাহাতি হয়। খবর পেয়ে জসিমের ভাই শওকত বাড়ি থেকে বন্দুক নিয়ে এসে লোকমানকে মারধর করতে থাকে। লোকমানকে বাঁচাতে বড় ভাই নাছির ও তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা আলী মদন এগিয়ে এলে জসিম ও শওকত তাদের উদ্দেশ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে। এতে মুক্তিযোদ্ধা আলী মদন ও তার ছেলে নাছির গুলিবিদ্ধ হন। রাতে আহতদের চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই সময় গুলিবিদ্ধ নাছিরকে চমেক হাসপাতালে রাত ১টা ৪০ মিনিটের সময় মৃত ঘোষণা করে।

    এ ঘটনায় উপ-পরিদর্শক (এস আই) সুমন কুমার দে বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে এবং নিহত নাছিরের ভাই জয়নাল বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

    যেভাবে বন্দুক যুদ্ধ সংঘটিত হয়: মুক্তিযোদ্ধার উপর হামলা ও তার ছেলে নাছিরকে গুলি করে হত্যা বিষয়ে আটকৃতরা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সন্ত্রাসী শওকত হোসেনের কাছে আরো অস্ত্র থাকার কথা স্বীকার করে।

    শনিবার (১৬মে) দিবাগত রাতে অতিরক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে বোয়ালখালী থানার ইনচার্জ(ওসি) আব্দুল করীম, এস আই সুমন কুমার দে, এস আই আরিফুর রহমান সরকার, এসআই কুদ্দুছ সঙ্গীয়ফোর্সসহ সন্ত্রাসী শওকত হোসেন চইল্ল্যাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে যাওয়া পথে উপজেলার চরণদ্বীপ বড়ুয়াপাড়া বালুর ঘাট এলাকায় সন্ত্রাসী শওকত হোসেন ওরপে চইল্ল্যার বাহিনী পুলিশের উপর এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়লে আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোঁড়ে।

    এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সন্ত্রাসী শওকত হোসেন ওরপে চইল্ল্যাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

    ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, ১০টি কার্তুজের খোসা একটি রামদা, একটি চাকু উদ্ধার করা হয়।

    এ সময় আশে পাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোহাম্মদ নাছির হত্যায় জড়িত আরো একজনকে আটক করা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/পূজন

  • টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে ৬ মামলার আসামি নিহত

    টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে ৬ মামলার আসামি নিহত

    কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ (২২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে।

    শনিবার (১৬ মে) সেহেরির সময় ভোর ৩টার দিকে সদর ইউনিয়নের মহেষখালীয়া পাড়া মৎস্যঘাটে এ ঘটনাটি ঘটে।

    নিহত আরিফ টেকনাফ সদরের ৫ নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য নুরুল ইসলামের ছেলে।

    আরিফ হত্যাসহ অর্ধডজনের বেশী মামলার পলাতক আসামী বলে পুলিশ জানিয়েছে।

    পুলিশ দাবি, বন্দুকযুদ্ধে তাদের ৩ সদস্য আহত হয়েছে।

    তারা হলেন- এএসআই রামধন দাশ, সাইফুদ্দিন ও কনস্টেবল রমন দাশ।

    ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

    টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস জানান, আরিফুল ইসলাম দলবল নিয়ে মহেষখালীয়া পাড়া মৎস্যঘাট এলাকায় অবস্থানের খবরে পুলিশ সেখানে অভিযানে গেলে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এসময় সন্ত্রাসীদের সাথে পুলিশের গুলিবিনিময় হয়।

    এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে আরিফের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

    ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • চলন্ত গাড়িতে তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার প্রধান আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

    চলন্ত গাড়িতে তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার প্রধান আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। ডেস্ক নিউজ : কক্সবাজারে চকরিয়া উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম সাজ্জাদ হোসেন (৩৮)।

    পুলিশের দাবি, নিহত সাজ্জাদ চলন্ত গাড়িতে চম্পা বেগমকে (১৯) নিপীড়নের পর ফেলে দিয়ে হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলার প্রধান সন্দেহভাজন আসামি।

    তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও নারী নির্যাতন, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, চুরি, ইয়াবা কারবারসহ একাধিক মামলা রয়েছে। সাজ্জাদ পেকুয়া সদরের শেখের কিল্লাঘোনার এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে।

    সোমবার দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে চকরিয়া-পেকুয়া-বাঁশখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের চকরিয়ার কোনাখালী মরংঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) একেএম সফিকুল আলম চৌধুরী যুগান্তরকে জানান, সোমবার দুপুরে পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের শেখের কিল্লাঘোনার এলাকা থেকে স্থানীয়রা চম্পা হত্যা মামলার সন্দেহভাজন প্রধান আসামি সাজ্জাদ হোসেনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।

    সাজ্জাদকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তরুণী চম্পা বেগমকে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে নিপীড়ন ও পরে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে।

    সোমবার দিনগত রাত ৩টার দিকে পুলিশ তাকে নিয়ে সেই অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে গেলে সাজ্জাদের সহযোগী পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় ২০ মিনিট ধরে উভয়পক্ষে গুলিবিনিময়ের একপর্যায়ে পিছু হটে সাজ্জাদের অস্ত্রধারী সহযোগীরা।

    পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ সাজ্জাদকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    ঘটনাস্থল থেকে দেশে তৈরি দুটি এলজি, বেশ কয়েক রাউন্ড তাজা গুলি ও ব্যবহৃত গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়।

    এ সময় অস্ত্রধারীদের ছোড়া গুলিতে বিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ আবুল ফারুক, দুই কনস্টেবল সুবল ও সুমনসহ তিন পুলিশ সদস্য। তাদেরও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

    পরিদর্শক (তদন্ত) একেএম সফিকুল আলম চৌধুরী আরও জানান, বন্দুকযুদ্ধে নিহত সাজ্জাদের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও নারী নির্যাতন, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, চুরি, ইয়াবা কারবারসহ বিভিন্ন অপরাধের দায়ে মামলা রয়েছে পেকুয়া থানায়।

    চম্পা বেগমকে নিপীড়নের পর হত্যার পর দিনই র‌্যাব অপর সন্দেহভাজন আসামি সাজ্জাদের সহযোগী অটোরিকশাচালক জয়নাল আবেদীনকে (২২) আটক করে। জয়নাল পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মেহেরনামা নন্দীপাড়ার মোহাম্মদ আলী প্রকাশ সোনইয়ার ছেলে।

    র‌্যাবের হাতে আটকের পর জয়নালের স্বীকারোক্তি মতে পুলিশ সাজ্জাদ হোসেনকে আটকের জন্য কয়েকবার তার বাড়িতে গিয়েও তাকে ধরতে পারেনি। এ ঘটানায় সাজ্জাদ জড়িত থাকার বিষয়টি স্থানীয়রা জানতে পেরে সোমবার দুপুরে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

    এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান বলেন, নিহত সাজ্জাদের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা, অস্ত্র ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে পৃথক তিনটি মামলা রুজু করা হচ্ছে।

    উল্লেখ্য, কক্সবাজারের খরুলিয়ার তরুণী চম্পা বেগম গত ৬ মে চট্টগ্রাম থেকে চকরিয়া-পেকুয়া-বাঁশখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে কক্সবাজার যাওয়ার সময় পেকুয়ায় এসে গাড়ি বদল করে।

    চম্পা পেকুয়া থেকে সিএনজিচালিত বেবি টেক্সিতে চকরিয়ার দিকে যাওয়ার সময় কোনাখালীর মরংঘোনার একটি ব্রিজের কাছে তাকে দুই অটোচালক নিপীড়ন করে।

    এর পর চম্পাকে তারা পরিকল্পিতভাবে একটি অটোরিকশা থেকে ফেলে দিয়ে অপর অটোরিকশা দিয়ে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই চম্পার মৃত্যু হয়।

    ২৪ ঘন্টা/এম আর

  • টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে ২ রোহিঙ্গা মাদক ব্যবসায়ী নিহত

    টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে ২ রোহিঙ্গা মাদক ব্যবসায়ী নিহত

    কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুই রোহিঙ্গা মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

    শনিবার (৯ মে) ভোররাতে উপজেলার হোয়াইক্যংয়ের উলুবনিয়া সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

    পুলিশের দাবি, নিহত নুর মোহম্মদ ও রফিক মাদক ব্যবসায়ী। তারা উখিয়ার থাইংখালী রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা ছিলেন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র-গুলি ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

    টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, তার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল উলুবনিয়া এলাকায় পৌঁছালে রোহিঙ্গা মাদক কারবারিরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়লে দুই রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ হয়।

    তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।

    টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. জাকারিয়া মাহমুদ জানান, ভোররাতে পুলিশ গুলিবিদ্ধ দুই রোহিঙ্গা যুবককে নিয়ে আসে। এসময় তাদের কক্সবাজারে স্থানান্তর করা হয়। এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

    ২৪ ঘন্টা/এম আর

     

  • অভয়নগরে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ১;আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক উদ্ধার

    অভয়নগরে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ১;আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক উদ্ধার

    নিলয় ধর,যশোর প্রতিনিধি::যশোর জেলার অভয়নগরের চলিশিয়া ইউনিয়নের ডুমুরতলা ও হাটবিলা এলাকার মধ্যবর্তী সরখোলা গ্রামের ১টি বিলের ফাঁকা জায়গায় র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে একজন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। এ সময় ২ জন র‌্যাব সদস্য আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ১টি বিদেশী পিস্তল ও শতাধিক বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নওয়াপাড়া পৌরসভার বুইকারা গ্রামের ড্রাইভার পাড়ার মোসলেম মোল্যার ছেলে মারুফ মোল্যা (২৬) নিহত হয়েছে।

    ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার(৭ মে ২০২০) সন্ধ্যায় নওয়াপাড়া পৌরসভার সরখোলা গ্রামে।

    এই ব্যাপারে খুলনার (র‌্যাব-৬) এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল রওশন কবীর জানিয়েছেন, চলিশিয়া ইউনিয়নের ডুমুরতলা ও হাটবিলা এলাকার মধ্যবর্তী সরখোলা গ্রামের একটি বিলের ফাঁকা জায়গায় নিহত মারুফ মোল্যা সহ আরও ২/৩ জন মাদক ব্যবসায়ী ফেন্সিডিল ভাগাভাগি করছিল।

    খুলানার র‌্যাব-৬ এর একটি চৌকস টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। মাদক ব্যবসায়ীরা র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে র‌্যাবের সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে দুইজন র‌্যাব সদস্য আহত হয়।পরবর্তীতে র‌্যাব সদস্যরা পাল্টা গুলি চালালে মারুফ মোল্যা র‌্যাবের ছোড়া গুলিতে আহত হয়। এবং অন্য মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে গেলে র‌্যাবের সদস্যরা আহত মারুফ মোল্যাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারুফ মোল্যার মৃত্যু হয়।

    এই সময় ঘটনাস্থল থেকে ১টি বিদেশী পিস্তল ও আনুমানিক ১০০ এর বেশি বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে, বলে র‌্যাবের পক্ষ থেকে জানিয়েছে। বিশ্বস্তসূত্রে জানা গিয়েছে , পালিয়ে যাওয়া দুই/তিন জন মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে অভয়নগরের মাদক সম্রাট জিএম ছিলো। নিহত মারুফ মোল্যার লাশ বর্তমানে অভয়নগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে রয়েছে। আহত র‌্যাবের দুইজন সদস্যকে খুলনায় নেভি হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

    এই ব্যাপারে অভয়নগর থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানিয়েছে, অভয়নগরে র‌্যাবের সাথে মাদক কারবারিদের গোলাগুলিতে ১জন নিহত হয়েছে। এই ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

    ২৪ ঘন্টা/এম আর

  • টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে তিন ডাকাত নিহত, অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধার

    টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে তিন ডাকাত নিহত, অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধার

    কক্সবাজার প্রতিনিধিঃকক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুই সহোদর সহ তিন শীর্ষ ডাকাত নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল হতে ১৮টি বিভিন্ন ধরনের দেশী বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র, ২শ রাউন্ড গুলি ও ৫৫ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

    বুধবার (৬ মে) ভোর থেকে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত টেকনাফের রঙিখালী গহীন পাহাড়ে ডাকাত আটক অভিযানে বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে।

    টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধরাত ভোররাতে রঙ্গিখালীর গহীন পাহাড়ে ডাকাতের আস্তানায় অভিযানে যায় পুলিশ। ডাকাত দলের আস্তানা ঘেরাও করে ফেললে তারা পুলিশের উপর গুলিবর্ষণ করতে থাকে। এতে পুলিশের ৪কর্মকর্তাসহ ৫ জন আহত হয়। পুলিশও পাল্টা গুলিবর্ষন করতে থাকে। এসময় উভয়পক্ষে শতাধিক রাউন্ড গুলিবিনিময় হয়। পুলিশ-ডাকাত দলের গুলিবিনিময়ে ঘটনাস্থলে নিহত হয় ডাকাত ছৈয়দ আলম, নুরুল আলম এবং আব্দুল মোনাফ।

    এ সময় ডাকাত গ্রুপের আস্তানা থেকে ১৮টি দেশি বিদেশি অস্ত্র এবং ৫৫ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

    ওসি জানান, নিহতরা চিহ্নিত ডাকাত দলের সদস্য। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। নিহত ডাকাত সদস্যদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যেদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/মাহমুদ

  • টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহত

    টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহত

    কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মো. জাফর আলম (৩০) নামে এক ইয়াবা কারবারি নিহত হয়েছেন।

    শনিবার (১৮ এপ্রিল) গভীর রাতে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ নাফ নদীর ঘোলারচড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জাফর টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকার জবর মুল্লুকের ছেলে।

    এসময় ঘটনাস্থল থেকে ২ লাখ পিস ইয়াবা, একটি দেশীয় বন্দুক, ১ রাউন্ড কার্তুজের খোসা ও ১টি কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই জন বিজিবি সদস্য আহত হয়েছেন।

    রোববার (১৯ এপ্রিল) সকালে টেকনাফস্থ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সাল হাসান খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, ওই সময় টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ ঘোলার চড় এলাকায় শাহপরীর দ্বীপ বিওপি বিজিবির একটি নিয়মিত বিশেষ টহলদল অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর দূর থেকে একটি নৌকা নিয়ে ৩/৪ জন ব্যক্তি নাফ নদী ও সাগরের মোহনা হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেখে নদীর কিনারায় আসার সাথে সাথে বিজিবি সদস্যরা তাদের চ্যালেঞ্জ করলে ইয়াবা পাচারকারীরা নৌকা থেকে নেমে সাগরের তীর দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

    এসময় বিজিবি তাদের ধাওয়া করলে সশস্ত্র ইয়াবা পাচারকারীরা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে মাদক পাচারকারীরা গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়।

    পরে ওই এলাকা থেকে ইয়াবা অস্ত্রসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে নেওয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।

    নিহত ইয়াবা কারবারির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন বিজিবি কর্মকর্তা।

  • টেকনাফে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ নিহত ২

    টেকনাফে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ নিহত ২

    কক্সবাজার প্রতিনিধি ::: কক্সবাজার জেলার টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।পুলিশের দাবি, নিহতরা মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন।

    সোমবার (৬ এপ্রিল) ভোরে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ঝিমংখালী মিনা বাজার চিংড়ি প্রজেক্ট বাধ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান টেকনাফ থানার পরিদর্শক (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ।

    নিহতরা হলেন- টেকনাফ পৌরসভার পুরাতন পল্লান পড়ার সুলতান আহমেদের ছেলে মাহমুদ উল্লাহ (২৬) এবং হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ঝিমংখালী এলাকার জাফর আলমের ছেলে মোহাম্মদ মিজান (২৪)।

    ওসি প্রদীপ বলেন, রোববার সকালে সোনালী ব্যাংকের টাকা পাহারা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশ সদস্যদের নিতে থানায় একটি মাইক্রোবাস আসে। এ সময় মাইক্রোবাসটির চালক মাহমুদ উল্লাহর গতিবিধি পুলিশের কাছে সন্দেহজনক মনে হয়।

    তিনি বলেন, পরে পুলিশ গাড়ির চালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালায়। গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৫ হাজার ইয়াবা পাওয়া যায়। পরে আটক চালকের স্বীকারোক্তি মতে সোমবার ভোরে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ঝিমংখালী মিনা বাজার চিংড়ি প্রজেক্ট বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় মজুদ রাখা ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়।

    ওসি আরও জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে অতর্কিত গুলি ছুড়ে আটক গাড়ি চালককে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায় সহযোগীরা। পুলিশ সদস্যরাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে ২ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।

    এ সময় পুলিশের ৩ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি। ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে পাওয়া যায় ১৫ হাজার ইয়াবা, দুটি দেশীয় বন্দুক ও কিছু গুলি।

    ওসি বলেন, ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ ২ জনকে মৃত ঘোষণা করেন।

    তিনি আরও জানান, ইয়াবা বহনকারী মাইক্রোবাসটি অভিযান শেষে থানায় নিয়ে যাওয়ার পথে টেকনাফ পৌরসভার হোটেল হিলটপ সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছলে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে হঠাৎ ইঞ্জিন থেকে আগুন লেগে যায়। এতে গাড়িটি পুড়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

    মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি প্রদীপ।

  • টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৪

    টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৪

    কক্সবাজারের টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিসের সঙ্গে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে বিপুল সংখ্যক ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

    শুক্রবার (২৭ মার্চ) দিবাগত রাতে লেদা ছুরিখাল নামক উপকুলে এ ঘটনা ঘটে।

    টেকনাফ-২ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মো: ফয়সল হাসান খাঁন জানান, মাদক চোরাচালানের গোপন সংবাদ পেয়ে লেদা নাফনদী সংলগ্ন ছুরিখাল এলাকায় অবস্থান নেয় বিজিবির একটি টহল দল। পরে মাদক কারবারিরা একটি নৌকা নিয়ে নাফনদী পার হয়ে ছুরিখাল এলাকায় প্রবেশ করলে বিজিবি তাদের সংকেত দেয়। কিন্তু তারা নৌকা থেকে লাফ দিয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে বিজিবির সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালালে বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়।

    তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে ১ লক্ষ ৮০ হাজার পিস ইয়াবা, ২টি অস্ত্র, ৩ রাউন্ড কার্তুজ ও একটি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে।

    অপরদিকে, পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মুসা আকবর নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। শনিবার গভীর রাত দেড়টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন তুলাতলি এলাকায় মাদক পাচারের গোপন সংবাদ পেয়ে- থানা পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় মাদক কারবারে জড়িত অপরাধীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষ করে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়।

    গোলাগুলি থেমে যাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ব্যক্তি হোয়াইক্যং ইউনিয়ন তুলাতলী এলাকার আবুল বশরের ছেলে মুসা আকবর (৩৬)।

    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস বলেন, ঘটনাস্থল তল্লাশি করে ৬ হাজার ইয়াবা, দেশীয় তৈরি ১টি অস্ত্র, ৩ রাউন্ড কার্তুজ, ৬ রাউন্ড কার্তুজের খালি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।

  • ছাত্রলীগ নেতা রাকিব হত্যার আসামি ‘বন্দকযুদ্ধে’ নিহত

    ছাত্রলীগ নেতা রাকিব হত্যার আসামি ‘বন্দকযুদ্ধে’ নিহত

    নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দকযুদ্ধে’ ছাত্রলীগ নেতা রাকিব হত্যার আসামি নজরুল ইসলাম ওরফে কানা নজরুল (২৫) নিহত হয়েছে।

    পুলিশের দাবি, নিহত নজরুল ইসলাম স্থানীয় ছাত্রশিবিরের পিয়াস বাহিনীর সেকেন্ড-ইন কমান্ড ছিলেন। তিনি গত রোববার রাতে শিবিরের হামলায় নিহত ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম ওরফে রাকিব হত্যা মামলাসহ তিনটি মামলার আসামি। নজরুল আমানউল্লাহপুর ইউনিয়নের অভিরামপুর গ্রামের আবদুল হাকিমের ছেলে।

    মঙ্গলবার ভোর রাত পৌনে ৪টার দিকে উপজেলার আমানউল্লাহপুর গ্রামের জনকল্যাণ মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

    বেগমগঞ্জ থানার ওসি হারুন-উর-রশীদ চৌধুরী জানান, ভোররাত পৌনে ৪টার দিকে উপজেলার আমানউল্লাহপুর গ্রামের জনকল্যাণ মাঠে ছাত্রলীগ নেতা রাকিব হত্যা মামলার আসামিদের ধরতে থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি যৌথ দল যায়।

    এসময় শিবির ক্যাডার পিয়াস বাহিনীর সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলির একপর্যায়ে হামলাকারীরা পিছু হটে।

    পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনের মরদেহ উদ্ধার করে। স্থানীয়রা তাকে শিবিরের কর্মী ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিব হত্যা মামলার আসামি ‘কানা নজরুল’ হিসেবে শনাক্ত করেন।

    নিহত নজরুলের মরদেহ থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

    ওসি জানান, নজরুল ইসলাম স্থানীয় ছাত্রশিবিরের পিয়াস বাহিনীর সেকেন্ড-ইন কমান্ড ছিলেন। গত রোববার রাতে শিবিরের হামলায় নিহত ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম ওরফে রাকিব হত্যা মামলাসহ তিনটি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

    এদিকে গোলাগুলির ঘটনায় পুলিশের দুই উপপরিদর্শকসহ (এসআই) ছয় সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

    ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি গুলি, একটি ধামা, তিনটি ছোরা, তিনটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।

  • কক্সবাজারে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৭

    কক্সবাজারে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৭

    কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারের টেকনাফের মোছনীর গভীর পাহাড়ে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৭ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী জাকির বাহিনীর সদস্য বলে জানা গেছে।

    সোমবার (২ মার্চ) ভোরে এ পৃথক বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ৭ জনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে বেশকিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

    র‌্যাব-১৫ কোম্পানি কমান্ডার মির্জা শাহেদ মাহতাব বলেন, ভোরে টেকনাফের জাদিমোড়া-মোছনি ২৬ ও ২৭ নম্বর ক্যাম্পের পাশে পাহাড়ে র‌্যাবের একটি দল মোছনি রোহিঙ্গ্যা ক্যাম্পে ডাকাতবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ে র‌্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে রোহিঙ্গা ডাকাত জকি গ্রুপের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাবের সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছোড়েন।

    এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে কয়েকঘণ্টা বন্দুকযুদ্ধ চলে। একপর্যায় পরিস্থিতি শান্ত হলে র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে সাত জনের মরদেহ উদ্ধার করেন।

     

  • টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত

    টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত

    কক্সবাজারের টেকনাফে র‍্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ইলিয়াছ (৪০) নামে এক রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত হয়েছে।

    মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে টেকনাফ জাদিমোরা রোহিঙ্গা শিবির ক্যাম্পে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। নিহত ইলিয়াছ টেকনাফ-২৬ নম্বর ক্যাম্পের ডি-ব্লকের বাসিন্দা।

    এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি থ্রি কোয়ার্টার গান, একটি ওয়ান শুটার গানও চারটি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।

    র‌্যাব-১৫ এর টেকনাফ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মির্জা শাহেদ মাহতাব জানান, সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে র‌্যাবের একটি দল উপজেলার জাদিমোরা রোহিঙ্গা শিবির ক্যাম্পে সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় র‌্যাবের সঙ্গে ডাকাতদের গুলিবিনিময় হয়। এতে অন্তত ১২ জন আহত হয়।

    তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ডাকাত ইলিয়াছ গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় র‌্যাবের তিন সদস্য আহত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।