Tag: বন্যা

  • সিকিমে হঠাৎ বন্যায় নিখোঁজ ২৩ সৈন্য

    সিকিমে হঠাৎ বন্যায় নিখোঁজ ২৩ সৈন্য

    ভারতের সিকিমে তিস্তা নদীতে আকস্মিক বন্যায় ২৩ জন সেনা সদস্য নিখোঁজ হয়েছেন। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাদের খুঁজে বের করার জন্য ব্যাপক তল্লাশি চলছে। 

    সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড জানিয়েছে, লাচেন উপত্যকার কিছু স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চুংথাং বাঁধ থেকে পানি ছাড়ার ফলে হঠাৎ করে পানির স্তর ১৫ থেকে ২০ ফুট উঁচুতে প্লাবিত হয়। এর ফলে সিংটামের কাছে বারদাংয়ে সেনা ছাউনিতে পার্ক করা সেনাবাহিনীর গাড়িগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২৩ জন সেনা সদস্য নিখোঁজ এবং কিছু যানবাহন পানির নিচে ডুবে গেছে। উদ্ধার অভিযান চলছে।

    সিকিমে মঙ্গলবার রাতভর ভারী বৃষ্টি হয়েছে। ব্যাপক বর্ষণে উত্তর সিকিমের লোনাক হ্রদ উপচে পড়ে। এতে অতিরিক্ত পানি তিস্তা নদীতে চলে আসায় হঠাৎ পানির স্তর বেড়ে যায়। তিস্তা নদী সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

    হঠাৎ বন্যার ঘটনায় সিকিম প্রশাসন সেখানকার বাসিন্দাদের জন্য উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দাদের শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যায়, পানিতে ভেসে গেছে সড়ক। নদীতে জলোচ্ছ্বাসের মতো অবস্থা।

    মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং ক্ষতিগ্রস্ত একটি এলাকা পরিদর্শনের সময় বলেন, বন্যায় কেউ আহত হয়নি, তবে সরকারি সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সিংটামে কিছু লোক নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ত্রাণ তৎপরতা চলছে।

    ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সিকিমের চুংথাং হ্রদ উপচেপড়ায় তিস্তা নদীতে পানি বেড়েছে। গাজলডোবা, দোমোহনী, মেখলীগঞ্জ ও ঘিশের মতো নিচু এলাকাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এসব এলাকার মানুষদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়।

    জানাযায়, আকস্মিক বন্যায় হু হু করে পানি ঢুকে পড়েছে পাহাড়ি গ্রামগুলোতে। পানির স্তর দোতলা বাড়ির সমান বেড়ে গেছে। তিস্তা নদীর পানিতে তলিয়ে যায় সেনাবাহিনীর ৪১টি গাড়ি। নিখোঁজ সেনা সদস্যরা ভেসে গেছে নাকি পাহাড়ের খাদে পড়েছে তা জানা যায়নি। এরই মধ্যে আবার ধস নামতে শুরু হয়েছে।

    এদিকে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ড্যাম ভেঙে যাওয়ায় জলপাইগুড়ির তিস্তায় দুই কূল ছাপিয়ে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সমতলে। বিপদ এড়াতে নদী পাড়ের বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরানো হয়েছে। বুধবার সকাল ৯টায় গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে ২ লাখ ৫১ হাজার ৫৩৫ কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছে যা এখন পর্যন্ত এ বছরের সর্বোচ্চ।

  • প্লাবিত এলাকায় চরম মানবিক বিপর্যয় খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে বানভাসি মানুষ

    প্লাবিত এলাকায় চরম মানবিক বিপর্যয় খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে বানভাসি মানুষ

    আমাদের ঘরবাড়ি এখনও পানিতে ডুবে আছে। সিলেট প্রতিনিধিঃ পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে দিন যাচ্ছে, যা ছিল সবকিছু পানি নিয়ে গেছে। না খেয়েই দিন পার করছি। সাহায্য-সহযোগিতায় নিয়ে কেউ আসছে না, পানি আরও কয়েকদিন থাকবে। কিভাবে দিন যাবে ভেবে পাচ্ছিনা। গত ১০০ বছরেও এত পানি এলাকার কেউ দেখেনি। 

    রবিবার দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিলাজুর গ্রামের এরশাদ মিয়া ও আব্দুল কাইয়ুম এভাবেই নিজেদের কথা জানিয়েছেন।

    জলযানের সংকটের কারণে সিলেটের বন্যাদুর্গত সব জায়গায় ত্রাণ পৌঁছানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান।

    ভয়াবহ বন্যায় পুরোপুরি বিপর্যস্ত সিলেট ও সুনামগঞ্জ, তবে রবিবার থেকে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। সিলেট নগরের বিভিন্ন এলাকায় শনিবার রাতে এসেছে বিদ্যুৎ। তবে নগরের ১০ থেকে ১৫টি এলাকায় পানি না নামায় বিদ্যুৎহীন রয়েছে। পানিবন্দী এলাকায় দেখা দিয়েছে চরম খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট। ফলে পানিবন্দী অবস্থায় না খেয়েই দিন পার করছেন অনেক মানুষ।

    এখনও সারাদেশের সাথে বিচ্ছিন্ন সুনামগঞ্জ। জেলার বিভিন্ন উপজেলা সড়ক ও বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে রয়েছে। গত চারদিন ধরে সুনামগঞ্জে নেই বিদ্যুৎ, মোবাইল নেটওয়ার্ক ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। কোথায় কোথায় আবার আশ্রয়কেন্দ্রে জায়গা সংকট রয়েছে। পানিবন্দী এলাকায় দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট। জেলার প্রতিটি বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। হয়েছে হাঁটু থেকে গলাসমান পানি। এখনো ৪ থেকে ৬ ফুট পানিতে তলিয়ে আছে সুনামগঞ্জ শহর। হাসপাতাল, দোকানপাট, অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সব জায়গায় পানি আর পানি। নৌকা ছাড়া যাতায়াতের নেই কোনো সুযোগ। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে বানভাসি মানুষ।

    এদিকে বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও বাড়তে শুরু করেছে দুর্ভোগ ও বন্যার রেখে যাওয়া ক্ষতচিহ্ন। তবে এবারের বন্যার পানি ধীরে ধীরে নামছে বলে জানিয়েছেন বন্যার্তরা। বন্যার্তদের উদ্ধারে কাজ করেছে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংস্থার সেচ্ছাসেবকরা।

    সরেজমিনে রবিবার দুপুরে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার হাইটেকপার্কের সড়কে বর্নি, তেলিখাল, বিলাজুর, আঙ্গুরাকান্দি গ্রামের মানুষজন অভিযোগ করেছেন- রবিবার পর্য়ন্ত তাদের গ্রামগুলোতে কোনো প্রকার সহায়তা আসেনি। অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন কয়েকদিন ধরে। বন্যায় শেষ হয়ে গেছে তাদের ঘরবাড়ি, ধান, গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি। পানির স্রোতে ভেসে গেছে নিজেদের ঘর। এখনও অনেকের ঘরবাড়ি রয়েছে পানির নিচে, এসব ঘরবাড়ি আছে কি নাই তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। সবমিলেয়ে বন্যায় কারণে নি:স্ব হয়ে গেছেন তারা। এছাড়াও রবিবার পর্যন্ত সিলেট-সুনামগঞ্জের কোনো কোনো এলাকায় পৌঁছায়নি ত্রাণ সহায়তা। এসব এলাকাতে তৈরি হয়েছে চরম মানবিক বিপর্যয়। অনেকেই না খেয়ে পানিবন্ধী অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। টানা চারদিন ধরে পানিবন্ধী হয়ে থাকলেও পাননি কোনো ধরনের সহায়তা। তাছাড়াও আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মিলছে না ঠিকমতো খারার।

    বিকেলে সরেজমিনে সিলেট নগরের সোবহানীঘাট, যতরপুর, উপশহর, মেন্দিবাগ, শিবগঞ্জ, মেজরটিলা, সাদাটিকর, তেরোরতন, মাছিমপুর, ছড়ারপাড়, কালীঘাট ও তালতলা, জামতলা, মাছুদিঘীরপাড়, লামাপাড়, বেতেরবাজার, ঘাসিটুলা, বাগবাড়ি, শেখঘাট, টিকরপাড়া, কুয়ারপার, কাজিরবাজারসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট, বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে পানি দেখা গেছে।

    সিলেট জেলা শহরের সাথে সদর, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ ও জকিগঞ্জ উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। প্লাবিত এলাকার একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি-বেসরকারি কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়েছে পানি। এর আগে গত ১৫ মে থেকে সিলেট নগর ও ১৩টি উপজেলায় টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে বন্যা হয়েছিল। এতে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় জেলা প্রশাসন।

    কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার তেলিখাল গ্রামের হান্নান মিয়া জানান, গত ৩দিন ধরে পানিবন্ধী হয়ে আছি, এখনও কেউ ত্রাণ বা কোনো সহায়তা নিয়ে আসেনি। আমাদের বাড়িঘর পানির নিচে, আমাদের সবকিছু শেষ হয়ে গেছে।

    বর্নি গ্রামের বাসিন্দা দিলোয়ার জানান- পুরো ঘর ডুবে গিয়েছিল, এখন ঘরের ভেতরে কোমর পানি রয়েছে। আমাদের ধান, গুরুসহ ঘরের যাবতীয় জিনিসপত্র শেষ হয়ে গেছে। তবে আমরা এখনও কোনো সরকারি সহয়োগিতা পাইনি।

    একই উপজেলার আাঙ্গুরাকান্দি গ্রামের মৃত্যুঞ্জয় দাস জানান, গত ৩দিন ধরে হাইর্টেক পার্কের আশ্রয়কেন্দ্রে পরিবার নিয়ে উঠেছি। আমাদের ঘরবাড়িতে এখন পানি, বার বার বন্যার কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত। গত বন্যার চেয়ে এবারের বন্যার পানি ৬ ফুট বেশি হবে।

    সিলেট নগরের কাজিরবাজারের ব্যবসায়ী ও শেখঘাটের স্থায়ী বাসিন্দা দিপু আহমদ জানান, গত কয়েকদিন ধরে পানির জন্য ব্যবসা বন্ধ রয়েছে, আমাদের বাসায় নেই বিদ্যুৎ, রয়েছে পানি। চরম ভোগান্তিতে রয়েছি।

    সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, বন্যাকবলিত এলাকায় সরকার পর্যাপ্ত ত্রাণ বরাদ্দ দিয়েছে। নতুন করে সিলেটের জন্য আরও ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ এসেছে। তবে সমস্যা হচ্ছে, জলযানের সংকটে সব জায়গায় ত্রাণ পৌঁছানো যাচ্ছে না। তবে স্থানীয় প্রশাসন এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে।

  • ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত সিলেট ও সুনামগঞ্জ; বন্যার্তদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী, বন্ধ হতে পারে বিদ্যুৎ সরবরাহ

    ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত সিলেট ও সুনামগঞ্জ; বন্যার্তদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী, বন্ধ হতে পারে বিদ্যুৎ সরবরাহ

    সিলেট প্রতিনিধিঃ টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় ভয়াবহ বন্যায় পুরোপুরি বিপর্যস্ত সিলেট ও সুনামগঞ্জ। ইতিমধ্যে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করায় সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যার্তদের উদ্ধারে কাজ করেছে সেনাবাহিনী। দুই জেলার ৮ উপজেলায় সেনাবাহিনীর ৯ টি ইউনিট কাজ করছে।

    শুক্রবার দুপুর থেকে নৌকা দিয়ে প্লাবিত এলাকার বাড়িঘর থেকে পানিবন্দী মানুষদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছেন সেনাবাহিনী সদস্যরা।

    বন্যার পানি সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রবেশ করায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়েছে। পানি বাড়লে বন্ধ হয়ে যাবে সিলেটের বিদ্যুৎ সরবরাহ। তবে কুমারগাঁও বিদ্যুতের গ্রিড উপকেন্দ্র রক্ষা করতে কাজ শুরু করেছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। দুপুর ১২টার দিকে গ্রিড উপকেন্দ্রে পানি প্রবেশ বন্ধ করতে জিও ব্যাগ ফেলা হয়।

    সিলেট-সুনামগঞ্জের কোথায় কোথায় ঘরে হাঁটু থেকে গলাসমান পানি ওঠায় অনেকে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন, সেই সাথে পাচ্ছেন না খাদ্যসামগ্রী ও বিশুদ্ধ খাবার পানিও। তৈরি হয়েছে চরম মানবিক বিপর্যয়, বন্যার পানি যত বাড়ছে-সংকটও তত বাড়ছে। এখনও সিলেটের প্রধান নদনদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সেনাবাহিনী বন্যার্তদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে পানিবন্দী মানুষের আশ্রয়ের ব্যবস্থা ও বন্যা আক্রান্তদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান। স্পর্শকাতর স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং সীমিত পরিসরে খাদ্যসামগ্রী ও বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা করছেন।

    সিলেট সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল হামিদুল হক গণমাধ্যমকে জানান, সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সিলেটের ৩ উপজেলা ও সুনামগঞ্জের ৫ উপজেলায় সেনাবাহিনী পানিবন্দী মানুষকে উদ্ধার সহ পাঁচটি কাজে তৎপরতা শুরু করেছে। সিলেটের উপজেলাগুলো হচ্ছে সদর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ, সুনামগঞ্জ জেলার সদর, দিরাই, ছাতক, দোয়ারাবাজার ও জামালগঞ্জ।

    তিনি জানান, সিলেট কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রে পানি ওঠে বিদ্যুৎ সরবরাহ হুমকির মুখে পড়েছে। এছাড়া সুনামগঞ্জের বেশ কয়েকটি খাদ্য গুদাম হুমকিতে রয়েছে। এগুলো রক্ষায়ও সেনা সদস্যরা কাজ করছেন। সেনাবাহিনী নিজস্ব নৌকা দিয়ে পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধার করছে। ঢাকা ও কুমিল্লা থেকে আরও ‘রেসকিউ বোট’ আনা হচ্ছে। এছাড়াও স্থানীয় লোকজনের নৌকাগুলোও উদ্ধার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিপদের সময় মানুষের পাশে দাঁড়ানো ও তাদের কাজ করতে পারাকে সেনাবাহিনী গৌরবের মনে করে বলেও মন্তব্য করেন।

    এদিকে বিভিন্ন উপজেলার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বন্যার্ত মানুষদের ভিড় বেড়েছে। কোথায় কোথায় আবার আশ্রয়কেন্দ্রে জায়গা সংকট রয়েছে। এছাড়াও দুই জেলার বেশিরভাগ স্থানে বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। সুরমা নদীর পানি উপচে সিলেট নগরের বেশিরভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বেড়েছে নগরের পানিবন্ধী মানুষের দুর্ভোগও। নগরে দুর্গন্ধযুক্ত পানির মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন ও মানুষজন। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন প্লাবিত এলাকার বাসিন্দারা। সব মিলিয়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জের লাখ-লাখ মানুষ এখন পানিবন্দী। সুনামগঞ্জ জেলার সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বৃহস্পতিবার রাত থেকে। এদিকে টানা বৃষ্টি ও পানির ঢল অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সিলেট জেলা শহরের সাথে সদর, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ ও জকিগঞ্জ উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। প্লাবিত এলাকার একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি-বেসরকারি কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়েছে পানি।

    সুনামগঞ্জ জেলার পৌরশহর, দিরাই, শাল্লা, ছাতক, দোয়ারাবাজার, জামালগঞ্জ, বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুর, মধ্যনগরসহ আরও নতুন উপজেলার নতুন নুতন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী আছেন কয়েক লাখ-লাখ মানুষ। সুনামগঞ্জে বন্ধ আছে সরকারি-বেসরকারি অফিসসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি এখন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। এর আগে গত ১৫ মে থেকে সিলেট নগর ও ১৩টি উপজেলায় টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে বন্যা হয়েছিল। এতে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় জেলা প্রশাসন।

    শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে সিলেট নগরের সোবহানীঘাট, যতরপুর, উপশহর, মেন্দিবাগ, শিবগঞ্জ, মেজরটিলা, সাদাটিকর, তেরোরতন, মাছিমপুর, কদমতলি, ছড়ারপাড়, কালীঘাট ও তালতলা, জামতলা, মাছুদিঘীরপাড়, লামাপাড়, বেতেরবাজার, ঘাসিটুলা, বাগবাড়ি, শেখঘাট, টিকরপাড়া, কুয়ারপার, কাজিরবাজারসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট, বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে পানি দেখা গেছে।

    এসময় নগরের যতরপুর এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, ঘরের ভেতরে ও চারপাশে পানি থাকায় বন্দী হয়ে আছি, ৩দিন ধরে এ অবস্থায় রয়েছি। প্রতিদিন পানি বাড়ছে, ফলে বাসার অনেক জিনিসপত্র নষ্ট হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়াতে ভোগান্তির শেষ নাই আমাদের।

    পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ৬টার তথ্য অনুযায়ী- সুরমা নদীর দুটি ও কুশিয়ারা নদীর একটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া সারি নদের একটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার অন্যান্য নদ-নদীর পানিও ক্রমশ বাড়ছে বলে পাউবোর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

    স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও বন্যাকবলিত মানুষেরা জানিয়েছেন, সিলেট নগরের অন্তত ২০টি এলাকার পাশাপাশি জেলার কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, সদর, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ছয় শতাধিক গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। চলাচলের জন্য মিলছে না নৌকা। ফলে জরুরি প্রয়োজনে কেউ ঘরের বাইরে বেরোতে পারছেন না।

    বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) সিলেট বিক্রয় ও বিতরণ অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল কাদির বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা দুপুর ১২টা থেকে জিও ব্যাগ ফেলে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে পানি প্রবেশ ঠেকাতে কাজ করছেন। তবে কতক্ষণ প্রতিরোধ করা যাবে তা বলা যাচ্ছে না। পানি আরো বাড়লে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হবে।

  • আবারও সিলেটে বন্যা

    আবারও সিলেটে বন্যা

    অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ি ঢলের কারণে এক মাসের ব্যবধানে আবারও সুরমার পানি উপচে সিলেট নগরীতে পানি প্রবেশ করেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সিলেট নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দা।

    হঠাৎ করে আবার বন্যার কারণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে অফিসগামী মানুষ, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষকে।

    সরেজমিনে দেখা যায়, সিলেট নগরীর উপশহর, যতরপুর, মেন্দিবাগ, তালতলা, শেখঘাট, কলাপাড়া, মজুমদার পাড়া, লালদীঘির পাড়সহ অনেক এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

    সিলেট নগরীর দশম শ্রেণির ছাত্রী আফসানা তালুকদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, এক মাসের মধ্যে আবারও বন্যার কারণে আমাদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত হচ্ছে। এমনিতেই গত এক মাসে পড়ালেখা খুব একটা হয়নি। এই মাসে কী হবে তা একমাত্র আল্লাহই ভালো বলতে পারবেন।

    অপরদিকে বারবার পানির নিচে বাসাবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় বেশ বেগ পোহাতে হচ্ছে এসব এলাকার বাসিন্দাদের। শহরাঞ্চলে এমনিতেই জরাজীর্ণ পরিবেশে বেশিরভাগ মানুষের বসবাস, তার ওপর টানা এই বন্যা তাদের ওপর মরার ওপর খাঁড়ার ঘা।

    নগরীর মেন্দিবাগ এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক দেবব্রত রায় দীপন ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতমাসের বন্যার ধকল এখনো নগরবাসী কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এর মধ্যে আবারও নগরীতে বন্যার পানি প্রবেশ করায় বেশ উৎকণ্ঠায় আছে পুরো নগরবাসী। এভাবে চলতে থাকলে সুপেয় পানিসহ নানা ধরনের সংকটে পড়তে হবে মানুষকে।

    সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান বলেন, নগরের কিছু নিচু এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। নগরীতে আশ্রয়কেন্দ্র খোলার মতো পরিস্থিতি এখনো হয়নি। আমরা বিষয়টি মনিটরিং করছি এবং প্রস্তুত আছি। প্রয়োজন হলেই আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হবে। এ সময় তিনি আরও বলেন, নগরে সুপেয় পানির সরবরাহও স্বাভাবিক আছে। ফলে বিশুদ্ধ পানিরও সংকট দেখা দেয়নি।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমদ বলেন, সিলেটের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। সকালের পর থেকে লুভা ও সারী নদীর পানি কিছুটা কমেছে। কানাইঘাটে সুরমার পানি কয়েক সেন্টিমিটার কমলেও শহরের দিকে সুরমার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে নগরীতে পানি বাড়ছে। টানা বর্ষণ অব্যাহত থাকলে বন্যার পানি আরও বাড়বে।

    মাসুদ আহমদ রনি/আরআই

  • বন্যায় সিলেটের পাঁচশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঢুকেছে পানি

    বন্যায় সিলেটের পাঁচশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঢুকেছে পানি

    সিলেট প্রতিনিধিঃ টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে সিলেট জেলার পাঁচশত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যার ঢুকেছে পানি। এছাড়াও ২০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র। ফলে জেলার অন্তত ৭৫০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

    জানা যায়, বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে কানাইঘাটে ৪২টির মধ্যে ৩৭টি, বিশ্বনাথে ৫১টির মধ্যে ৫টি, জৈন্তাপুরে ৩২টির মধ্যে ১২টি, সদরে ৯৫টির মধ্যে ১৮টি, গোয়াইনঘাটে ৪৮টির মধ্যে ১৮টি ও কোম্পানীগঞ্জে ২৬টির মধ্যে ১৫টি। এছাড়া দক্ষিণ সুরমা ও নগরে আরও ২০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্লাবিত হয়েছে।

    জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানায়, বন্যার পানি ঢুকে নগরসহ সিলেট জেলার সাড়ে ৫০০শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। তবে সরকারিভাবে স্কুল-কলেজ-মাদরাসা বন্ধের কোনো নির্দেশনা এখনও আসেনি।

    জেলার শিক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হবে।  তারা বলেন, জেলায় ১ হাজার ৪৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। এর মধ্যে গতকাল বুধবার দুপুর পর্যন্ত ৪০০টি পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ফলে এসব বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর, জকিগঞ্জ ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় প্রায় দেড়শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় পানি উঠেছে। এগুলোতেও পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

    জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাখাওয়াত এরশেদ বলেন, যেসব বিদ্যালয় প্লাবিত হয়েছে, সেগুলোতে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। পানি বাড়ার কারণে নতুন করে আরও প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। বন্যায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তলিয়ে যাওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। জেলার সব বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধের ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা আসেনি। যে বিদ্যালয়গুলোতে এখনও পানি ওঠেনি, সেগুলোকে প্রয়োজনে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে।

    জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, পানি বাড়ার কারণে প্লাবিত বিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়ছে। এগুলোতে আপাতত পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। এখনও পানি না ওঠা অনেক বিদ্যালয়েও বন্ধ রয়েছে পাঠদান। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ১৯৯টি ও নগরে ১৭টি বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলার অন্তত ২০টি কলেজ প্লাবিত হয়ে পড়ায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

  • বন্যায় তলিয়ে গেছে সিলেটের ৫৩৬ কিলোমিটার সড়ক

    বন্যায় তলিয়ে গেছে সিলেটের ৫৩৬ কিলোমিটার সড়ক

    সিলেট প্রতিনিধিঃ বন্যার কারণে গত কয়েকদিন ধরে সিলেট জেলা শহরের সাথে সদর, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ ও জকিগঞ্জ উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বন্যায় তলিয়ে গেছে সিলেটের ৫৩৬ কিলোমিটার সড়ক। এর মধ্যে সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রায় ২৫০ কিলোমিটার। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন সিলেট জেলার ১০টি উপজেলার ৬৬টি সড়কে ২৩০ কিলোমিটার। সড়ক ও জনপথ সিলেটের আওতাধীন ৮টি সড়কে ৫৫ কিলোমিটার বন্যা প্লাবিত হয়েছে। এসব রাস্তাঘাট তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সিলেট জেলা শহরের সাথে যোগাযোগের আঞ্চলিক সড়কগুলোর বিভিন্ন স্থানও ভেঙ্গে গেছে।

    সিসিক সূত্রে জানা যায়, সিলেট নগরের ৫০০ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৪টি ওয়ার্ডের প্রায় ২৫০ কিলোমিটার সড়কে বন্যার পানি উঠে গেছে। এসব সড়কের অনেক স্থানে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

    সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সারি-গোয়াইনঘাট ২য় থেকে ১৬তম কিলোমিটার পর্যন্ত ১২ দশমিক ৪০০ কিলোমিটার সড়ক ১ থেকে সাড়ে ৪ ফুট উচ্চতার পানির নিচে তলিয়ে যানবাহন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে।

    সিলেট-তামাবিল-জাফলং সড়ক ১ দশমিক ২০ কিলোমিটার ১ থেকে ৩ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। কানাইঘাটের দরবস্ত-কানাইঘাট-শাহবাগ সড়ক ৭ থেকে ২৪ কিলোমিটার পর্যন্ত ১৪ দশমিক ৮০ কিলোমিটার ১ থেকে ৪ ফুট পানিতে তলিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক ৩য় থেকে ৫ম এবং ৮ থেকে ১৩তম কিলোমিটার পর্যন্ত ৬ দশমিক ৫০ কিলোমিটারে ১ থেকে ২ ফুট পানি উঠেছে। সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রশিদপুর-লামাকাজি সড়ক ১৫ থেকে ১৭ তম কিলোমিটার পর্যন্ত ২ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ২ থেকে ৩ ফুট পানির নিচে তলিয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ-ছাতক সড়ক ১ থেকে ১২তম কিলোমিটার পর্যন্ত ১০ দশমিক ২৫ পর্যন্ত ১০ দশমিক ২৫ কিলোমিটারে ১ থেকে ৫ ফুট উচ্চতায় পানিতে তলিয়ে গিয়ে যান চলাবল বন্ধ রয়েছে। শেওলা সুতারকান্দি সড়কে ১ থেকে ৪র্থ কিলোমিটার পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে ২ দশমিক ২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ৫ থেকে ১ ফুট পর্যন্ত পানি উঠে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিমানবন্দর-বাদাঘাট-কুমারগাঁও (টুকেরবাজার) সড়কে ৫ থেকে ৯, ১১ ও ১২তম কিলোমিটারের মধ্যে ১ থেকে সাড়ে ৩ ফুট পর্যন্ত পানি উঠে যান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে।

    এলজিইডি সিলেট সূত্রে জানা যায়, বন্যা কবলিত জেলার গোয়াইনঘাটে ২৭টি সড়কে ৮২ দশমিক ১৩ কিলোমিটার, কানাইঘাটে ১৫টি সড়কে ৩০ দশমিক ৫ কিলোমিটার, জৈন্তাপুর উপজেলার ১১টি সড়কের ৩২ দশমিক ১ কিলোমিটার, সিলেট সদরের ১২টি সড়কে ২১ দশমিক ৩৮ কিলোমিটার, গোলাপগঞ্জে ১০টি সড়কে ২২ দশমিক ৩ কিলোমিটার, কোম্পানীগঞ্জে ৪টি সড়কে ৩৪ দশমিক ৬৩ কিলোমিটার, দক্ষিণ সুরমার ৪টি সড়কে সাড়ে ৩ কিলোমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জে ১টি সড়কের দেড় কিলোমিটার, ওসমানীনগর উপজেলায় ১টি সড়কের প্রায় দেড় কিলোমিটার, বালাগঞ্জে ১টি সড়কে দেড় কিলোমিটার। টাকার অংকে পাকা রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পরিমাণ ১৭২ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

    সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান বলেন, সিসিক এলাকার ৫০০ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৪টি ওয়ার্ডের প্রায় আড়াইশ’ কিলোমিটার সড়কে বন্যার পানি উঠে গেছে। এসব সড়কের অনেক স্থানে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

    স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী এনামুল কবীর বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন সিলেট জেলার ১০টি উপজেলার ৬৬টি সড়কে ২৩০ কিলোমিটার পানিতে তলিয়ে জেলা ও উপজেলা সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়েছে। টাকার অংকে পাকা রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পরিমাণ ১৭২ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

    সড়ক ও জনপথ বিভাগ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের ৫৫ কিলোমিটার সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গিয়ে অনেক স্থানে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

  • ঈদ-বন্যায় করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

    ঈদ-বন্যায় করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

    পবিত্র ঈদুল আজহা এবং বন্যা পরিস্থিতিকে ঘিরে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

    বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের আওতাধীন দফতর ও সংস্থার মধ্যে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিপত্র (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা সংক্রমণের বিস্তার রোধে বেশকিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে। কিন্তু আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে কোরবানির পশুর হাটে ও ঈদযাত্রায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাটা ব্যাহত হতে পারে। এতে করে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, বন্যার কারণে অনেক এলাকায় একসঙ্গে এক জায়গায় অনেক মানুষকে আশ্রয় নিতে হচ্ছে। এতে করেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাটা ব্যাহত হতে পারে। এই দুই কারণে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    এসময় করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনায় ‘মৃত্যুপুরী’ স্পেন বন্যায় তলিয়ে গেছে

    করোনায় ‘মৃত্যুপুরী’ স্পেন বন্যায় তলিয়ে গেছে

    করোনাভাইরাসের ভয়াবহতার মধ্যেই নতুন সংকটে পড়েছে ইউরোপের দেশ স্পেন। টানা বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতিতে দেশের পূর্ব অংশ ডুবে গেছে। স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ৪ মাসের বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ২৪ ঘণ্টায়। আর এর ফলে পূর্ব স্পেনের অধিকাংশ এলাকায় বন্যায় ভেসে গেছে।

    স্পেনের সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে জানা যায়, দেশের পূর্ব অংশে বন্যা পরিস্থিতি দেশটির প্রশাসনের টনক নড়িয়েছে। স্পেনে চারমাসে যত বৃষ্টি হয়, সেই পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ২৪ ঘণ্টায়। কাস্তেলোঁ প্রদেশের রাজধানী কাস্তেলোঁ দেলা প্লানায় প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

    স্পেনের আবহাওয়াবীদরা জানিয়েছেন, বছরের এই সময় সাধারণত ৪২ মিলিমিটার মতো বৃষ্টিপাত হয়। কিন্তু ২৪ ঘণ্টায় (৩১ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল) বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৪৭ মিলিমিটার। তাছাড়া গেল ২৪ ঘণ্টায় যে বৃষ্টিপাত হয়েছে তা গত ৩০ বছরেও হয়নি। ১৯৭৬ সালের পর এবারই এত বৃষ্টিপাত হয়েছে দেশটিতে। ২৪ ঘণ্টা বা একদিনের হিসেবে গত কয়েক বছরে এটি রেকর্ড বৃষ্টি। যার জেরে স্পেনের আলমাসোরা বুরিয়ানা এবং ভিলাফ্র্যাঙ্কা শহর ভাসছে পানিতে।

    দেশটির উত্তরাঞ্চলের ডেজার্ট ডি লেস পামেস পর্বতমালা থেকে প্রবল বেগে নেমে আসছে বৃষ্টির পানির ঢল। ফলে পরিস্থিতি হয়েছে আরও ভয়াবহ। বাড়িঘর, রাস্তাঘাট সবই প্রায় ডুবতে বসেছে। বন্যায় আটকে পড়া মানুষদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে প্রশাসনের লোকজন। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।

    এদিকে স্পেনে ভয়ঙ্করভাবে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। ইতিমধ্যেই প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বলি হয়েছেন ১১ হাজারেরও বেশি মানুষ। আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ২৪ হাজার ৭৩৬ জন। গোটা দেশ এখন করোনা মোকাবেলায় ব্যস্ত। দেশজুড়ে জারি হয়েছে লকডাউন। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে লকডাউনের সময়সীমা আরও বাড়ানো হতে পারে।

  • ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় ১৮ জনের প্রাণহানি

    ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় ১৮ জনের প্রাণহানি

    ইন্দোনেশিয়ায় নতুন বছরের প্রাক্কালে শুরু হওয়া প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট ব্যাপক বন্যা ও ভয়াবহ ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার কর্তৃপক্ষ একথা জানায়।

    এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে হাজার হাজার লোককে সাময়িকভাবে স্থাপিত বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। দক্ষিণপূর্ব এশীয় এ দেশের দুর্যোগ সংস্থা মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে।

    এদিকে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, এ দুর্যোগে কমপক্ষে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে বা নিখোঁজ রয়েছে।

    বৃহস্পতিবার জাতীয় দুর্যোগ সংস্থার মুখপাত্র আগুস উইবোয়ো বলেন, ‘আমরা এখন বিভিন্ন সূত্র থেকে হাল নাগাদ তথ্য সংগ্রহ করছি। এতে যেসব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তাতে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’ নিহতদের মধ্যে আট বছরের এক বালক ও ৮২ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ রয়েছে।

  • ফারাক্কা বাঁধ খুলে দিয়েছে ভারত,বন্যার আশঙ্কা বাংলাদেশে

    ফারাক্কা বাঁধ খুলে দিয়েছে ভারত,বন্যার আশঙ্কা বাংলাদেশে

    প্রবল বর্ষণে প্লাবনের সৃষ্টি হওয়ায় সোমবার ফারাক্কা বাঁধের সব লকগেট খুলে দিয়েছে ভারত সরকার।

    ভারত ফারাক্কা বাঁধের সবগুলো গেট খুলে দেয়ায় দ্রুত পানি বাড়ছে পদ্মায়। এতে রাজশাহী অঞ্চলের বিভিন্ন চর ও নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ায় মানুষের মাঝে বন্যা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

    উত্তর প্রদেশ ও বিহারে রেকর্ড বৃষ্টিতে উপচে পড়ছে বাঁধের জল। ফলে ফরাক্কা ব্যারেজের ১০৯টি লকগেটই আজ খুলে দেয় কর্তৃপক্ষ। এতে নদীর ভাটিতে প্লাবনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

    পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা বলেছেন, ভারত ফারাক্কা বাঁধের সব গেট খুলে দেয়ায় গঙ্গার পানি চলে আসছে বাংলাদেশের পদ্মা নদীতে। ফলে রাজশাহীতে পদ্মায় পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার ১৮ দশমিক ৫০ মিটারের কাছাকাছি চলে এসেছে।

    রাজশাহী নগরীর বড়কুঠি পয়েন্টে পাউবোর গেজ পাঠক এনামুল হক বলেন, সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় রাজশাহীতে পদ্মায় প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ১৮ দশমিক শূন্য এক মিটার। এর আগে সকালে প্রবাহ ছিল ১৭ দশমিক ৯০ মিটার। প্রতি ঘণ্টায় অন্তত ২ সেন্টিমিটার করে পানিপ্রবাহ বাড়ছে পদ্মায়।

    উজান থেকে নেমে আসা ঢলে পদ্মায় প্রবাহ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ সহিদুল আলম।

    তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মায় প্রবাহ বেড়েছে ১১ সেন্টিমিটার। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় প্রবাহ বেড়েছিল ৬ মিটারের মতো। ভারতের উত্তর প্রদেশ ও বিহারে বৃষ্টিপাতের কারণে প্রবাহ বাড়তে পারে।

    তিনি জানান, এর আগে আগামী ৩ অক্টোবর রাজশাহীতে পদ্মার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। কিন্তু এখন যেভাবে পানিপ্রবাহ বাড়ছে তাতে একদিন আগেই তা বিপৎসীমায় পৌঁছে যেতে পারে।

    তবে ফারাক্কা বাঁধের সব গেট খুলে দেয়ার বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি এই পাউবো কর্মকর্তা।

    এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, দেশটির উত্তর প্রদেশ ও বিহারে গত কয়েক দিনে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। এতে উপচে পড়ছে পানি। এ কারণেই ফারাক্কা বাঁধের সব গেট একসঙ্গে খুলে দিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এর জেরে মুর্শিদাবাদের একাংশ ও বাংলাদেশে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

    জানা গেছে, গত কয়েক দিনে গঙ্গা ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার প্রায় সব নদনদীতে পানি বাড়ছে। একটানা বর্ষণে ইংরেজ বাজার শহরের একাধিক এলাকা তলিয়ে গেছে। সোমবার ফারাক্কা ব্যারাজের ১০৯টি গেটই খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর জেরে নদীর নিম্নগতিতে প্লাবনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। পানি বেড়েছে মালদা জেলার ফুলহর, মহানন্দা ও কালিন্দী নদীতে।

    ইংরেজ বাজারের ২৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২১টিই প্লাবিত হয়েছে। পুরনো মালদার ২০টি ওয়ার্ডের ৯টি জলমগ্ন। জেলায় একাধিক জায়গায় নদী তীরবর্তী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা।

     

  • ভারতে ভারী বৃষ্টিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৩ জন

    ভারতে ভারী বৃষ্টিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৩ জন

    ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যায় বিপর্যস্ত ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্য। বিগত চার দিনে সেখানে বন্যা ও অন্যান্য ঘটনায় ৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

    এদিকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়ে পরবর্তী দুদিন রাজ্যটির পূর্বাংশের জেলাগুলোতে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।

    এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার উত্তর প্রদেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ১৭০০ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়। রাজ্যটির পূর্বাংশেই বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।

    শনিবার প্রায়াগরাজে ১০২ দশমিক ২ মিলিমিটার ও বারানাসিতে ৮৪ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। সাধারণত বছরের এ সময়টিতে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয় এটি তার চেয়ে অনেক বেশি।

    শনিবার উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। এর আগে বৃহস্পতি ও শুক্রবার, দুই দিনে ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

    ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে শুক্র ও শনিবার লক্ষণৌ, আমেথি ও অন্যান্য কয়েকটি জেলায় স্কুল বন্ধ রাখা হয়।

    নিহতদের পরিবারের জন্য আর্থিক সহায়তা ঘোষণা দিয়েছে প্রশাসন।

    দুর্যোগের কারণে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে চার লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।