Tag: বরিশাল

  • প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় শাম্মী-পঙ্কজ সমর্থকের সংঘর্ষ, নিহত ১

    প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় শাম্মী-পঙ্কজ সমর্থকের সংঘর্ষ, নিহত ১

    বরিশাল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার জনসভার মাঠে দুপক্ষের সংঘর্ষে কৃষকলীগ নেতা মো. সিরাজ সিকদার (৬০) নিহত হয়েছেন।

    শুক্রবার সমাবেশ চলাকালে দুপুর আড়াইটার দিকে মাঠের পেছন দিকে বরিশাল-৪ (মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ এবং রিটানিং কর্মকর্তার বাছাইয়ে মনোনয়ন বাতিল হওয়া ড. শাম্মী আহম্মেদের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ ও প্রার্থী পঙ্কজ নাথ তখন মঞ্চে ছিলেন। এই দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে কয়েক বছর ধরে রক্তাক্ত বিরোধ চলছে।

    নিহত সিরাজ আহমেদ হিজলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কোড়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা মহব্বত আলীর ছেলে। তিনি ওয়ার্ড কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক। সিরাজকে দুপক্ষই তাদের লোক বলে দাবি করছে। আহত ২১ জনকে শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১৩ বছরের একটি শিশুও রয়েছে। চিকিৎসাধীন সবাই পঙ্কজ নাথের সমর্থক বলে জানিয়েছেন আহতরা। হাসপাতালে গিয়ে সিরাজের মৃতদেহ রাখা ঘরের সামনে অবস্থান নিয়েছেন শাম্মীর অনুসারীরা।

    হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম রাত ৮টার দিকে বলেন, ‘মৃতের শরীরে জখমের চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ছাড়া তার মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত করা যাবে না।’ এসময় বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলী এবং জেলা প্রশাসক ও রিটানিং কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। তবে প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক সূত্র জানিয়েছে, দুপক্ষের ধাওয়ার মধ্যে পড়ে গিয়ে সিরাজ নিহত হয়েছেন।

    পঙ্কজ নাথের সমর্থক শামীম আহমেদ জানান, কয়েকটি লঞ্চে প্রায় ২০ হাজার সমর্থক নিয়ে তারা সমাবেশ মাঠের অদূরে কীর্তণখোলার নদীর কেডিসি ঘাটে নামেন। পঙ্কজ নাথ সেখান থেকে মিছিলের নেতৃত্ব দিয়ে সমাবেশ মাঠের দিকে যান। কর্মীদের মাঠে রেখে পঙ্কজ মঞ্চে ওঠেন। তিনি পৌঁছার পর ড. শাম্মী আহমেদ বক্তৃতা শুরু করেন। শামীম জানান, তখনও মিছিলের প্রায় অর্ধেক অংশ মাঠে পৌঁছায়নি। শাম্মী বক্তৃতা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে তার অনুসারীরা বোতল, ইটের টুকরা ও বাঁশ দিয়ে পঙ্কজ সমর্থকদের পেটাতে শুরু করে। এসময় মাঠের মধ্যে হুলুস্থুল পরিবেশ তৈরি হয়।

    শাম্মী সমর্থক মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র কামাল উদ্দিন খান বলেন, ‘শাম্মী সমর্থকরা মাঠের মধ্যে দাঁড়ানো ছিল। পঙ্কজের সমর্থকরা মিছিল নিয়ে ঢূকে তাদের দেখে কয়েকজনকে হাতের প্ল্যাকার্ডের বাঁশ দিয়ে আঘাত করে। তখন কয়েক মিনিট হুলুস্থুল হলে পুলিশ ও র‍্যাব এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।’ কামাল খান দাবি করেন, র‍্যাব ও পুলিশের লাঠিপেটায় পঙ্কজ সমর্থকরা আহত হয়েছেন।

    উল্লেখ্য, পঙ্কজ নাথের সমথর্কদের সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাংশের বিরোধ শুরু হয় ২০১৬ সালে। দিনে দিনে পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে। একাধিকবার রক্তাক্ত সংঘর্ষে ১০ জন নিহত হয়। একপর্যায়ে পঙ্কজবিরোধীদের প্রত্যক্ষ সমর্থন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লার একক নিয়ন্ত্রিত জেলা আওয়ামী লীগ। জেলা কমিটির সুপারিশে গত বছর ১১ সেপ্টেম্বর পঙ্কজ নাথকে দলীয় সকল পদ থেকে অব্যাহতি দেয় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। এরপরে পঙ্কজবিরোধীদের সমর্থনে মেহেন্দিগঞ্জের রাজনীতিতে প্রবেশ করেন ড. শাম্মী। তাকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হলেও অস্ট্রেলিয়ায় নাগরিকত্ব থাকার অভিযোগে প্রার্থিতা বাতিল করেছেন জেলা রিটানিং কর্মকর্তা। শাম্মী মনোনয়ন পাওয়ার পরও হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জে পঙ্কজ সমর্থকের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাঙচুর হয়। গত ২০ ডিসেম্বর পঙ্কজ এলাকায় ফিরলে পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে। শাম্মীর সমর্থকরা ভিন্ন বলয়ে অবস্থান নিয়ে প্রতিদিন নৌকার মিছিল করছেন। তাদের দাবি, ২ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শাম্মী প্রার্থিতায় ফিরবেন।

  • খুলনা-বরিশালে নৌকার মাঝি হচ্ছেন যারা

    খুলনা-বরিশালে নৌকার মাঝি হচ্ছেন যারা

    আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের বৈঠক আজ দ্বিতীয় দিনের মত অব্যাহত রয়েছে। আজ দিনের শুরুতেই খুলনা এবং বরিশালের মনোনয়ন নিয়ে আলোচনা হয় এবং এই মনোনয়ন গুলো চূড়ান্ত হয়।

    খুলনা এবং বরিশাল মোট ৫৬ টি আসনের মধ্যে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কারা পাবে তা চূড়ান্ত হয়েছে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভায়। রোববার যারা মনোনীত হয়েছেন তাদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে। তবে খুলনা এবং বরিশাল অঞ্চলে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সংসদ সদস্য আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি বলে জানা গেছে। ৫৬ টি আসনের মধ্যে অন্তত ৮ জন বর্তমান সংসদ সদস্য মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন।

    আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে যে, যাদের মনোনয়ন এই আসনগুলোতে চূড়ান্ত হয়েছে মনোনয়ন বোর্ডের সভায় তাদের মধ্যে রয়েছেন-

    ফরহাদ হোসেন মেহেরপুর-১

    মাহবুবুউল আলম হানিফ কুষ্টিয়া-৩

    শেখ আফিল উদ্দিন যশোর-১

    সাইফুজ্জামান শিখর মাগুরা-১

    মাশরাফি বিন মর্তুজা নড়াইল-২

    শেখ হেলাল উদ্দিন বাগেরহাট-১

    শেখ তন্ময় বাগেরহাট-২

    পঞ্চানন বিশ্বাস খুলনা-১

    শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল খুলনা-২

    নারায়ণ চন্দ্র চন্দ খুলনা-৫

    আ স ম ফিরোজ পটুয়াখালী-২

    তোফায়েল আহমেদ ভোলা-১

    নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ভোলা-৩

    আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব ভোলা-৪

    আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ বরিশাল-১

    আমির হোসেন আমু ঝালকাঠি-২

    শ ম রেজাউল করিম পিরোজপুর-১

    এছাড়াও এই আসনে আরও কয়েকজনের নামও চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এই আসনে বেশ কিছু চমক রয়েছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র গুলো জানিয়েছে।

    বিভিন্ন সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই দুটি বিভাগের কয়েকটি আসনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব আওয়ামী লীগ সভাপতির হাতে সরাসরি অর্পণ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি বিভিন্ন জরিপ এবং অন্যান্য বাস্তবতা বিবেচনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে।

    উল্লেখ্য, খুলনা-৩ আসনে বর্তমান শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান একাধিক জরিপে পিছিয়ে রয়েছেন। তিনি আদৌ মনোনয়ন পাবেন কি না বা তার বদলে কাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের এখতিয়ার আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে অর্পণ করা হয়েছে। সাতক্ষীরা-৩ আসনে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল আমিনের বার্ধক্য এবং এলাকায় তার জনপ্রিয়তা কমে গেছে। এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও বরিশাল-৪ আসনের পঙ্কজ দেবনাথ আবার মনোনয়ন পাবেন কিনা এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। এই সিদ্ধান্তের দায়িত্ব আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে অর্পণ করা হয়েছে।

    বরিশাল-৫ আসনে জাহিদ ফারুক শামীমের স্থানে আওয়ামী লীগের একজন হেভিওয়েট নেতাকে দেওয়ার গুঞ্জন রয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে মনোনয়ন বোর্ডের সভায় কোন রকম আলোচনাই হয়নি।

  • বরিশালে বাস-ট্রলি মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩

    বরিশালে বাস-ট্রলি মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩

    বরিশালে বাসের সঙ্গে ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৫ জুলাই) দুপুর ৩টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের সাতমাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন।

    নিহতরা হলেন, এয়ারপোর্ট থানার কাশিপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড রাজমাতা কলসগ্ৰামের আবুল কালাম হাওলাদারের ছেলে এমদাদুল হক (৩৮), এয়ারপোর্ট থানার পশ্চিম রহমতপুর বাদামতলা ৩নং ওয়ার্ড এলাকার মো. সেন্টু হাওলাদারের ছেলে নাদিম হাওলাদার (১২) ও এয়ারপোর্ট থানার উওর রহমতপুর এলাকার সিনবাদ।

    বরিশাল মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক লোকমান হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে বরিশালে আসার পথে ছয় মাইল মল্লিক বাড়ির সামনে গুনগুন পরিবহনের একটি বাস বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রলিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান।

    বাকিদের উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে সেখানে একজনের মৃত্যু হয়। হতাহতরা সবাই ট্রলিতে ছিলেন বলেও জানান তিনি।

    লোকমান হোসেন আরও বলেন, ঘটনার পর বাসের চালক ও হেল্পার পালিয়ে গেছে। তবে বাসটি আটক করা হয়েছে। এছাড়া মরদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

  • বরিশালে সমাবেশস্থলে জুমার নামাজ আদায় করলেন বিএনপি নেতাকর্মীরা

    বরিশালে সমাবেশস্থলে জুমার নামাজ আদায় করলেন বিএনপি নেতাকর্মীরা

    বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের আগের দিন আজ শুক্রবার বঙ্গবন্ধু উদ‌্যানে (বেলস পার্ক) নেতাকর্মীদের ভিড় ছিল। তাঁরা মাঠেই পৃথক দুটি জামাতে জুমার নামাজ আদায় করেছেন।

    নামাজে অংশ নেওয়া ভোলার দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের বিএনপি নেতা মো. স্বপন সিকদার বলেন, ‘আমি ভোলার দৌলতখান থেকে এসেছি। নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠে একসঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করেছি।’ তিনি বলেন, ‘ভোলা থেকে আসতে ভেদুরিয়া ঘাটে আমাদের অনেক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। আমরা স্পিড বোটে ওঠার পর আমাদের দিকে লাঠি ছুড়ে মারা হয়েছে। ঘাট দিয়ে নৌকা, ট্রলার, লঞ্চ কিছুই ছাড়তে দেয়নি। খুব কষ্ট করে এই পর্যন্ত আসতে পেরেছি।’

    গৌরনদীর মাহিলারা ইউনিয়নের বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সজল বলেন, ‘একসঙ্গে অনেক মানুষ নামাজ আদায় করতে দেখে ভালো লেগেছে। নেতাকর্মীরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মাঠে নামাজ আদায় করেছে।’

    বরগুনা জেলা যুবদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক রনি আহমেদ নাসির বলেন, ‘প্রখর রোদে গরমে কষ্ট হলেও একসঙ্গে অনেকে নামাজ আদায় করতে পেরে ভালো লাগছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সমাবেশ স্থলে আসতে অনেক বাধা বিপত্তি পার হতে হয়েছে। তবে, সমাবেশে যে পরিমাণ লোকজন অংশ নিয়েছে, তা দেখে সব কষ্ট বিলীন হয়ে গেছে।’

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • বরিশালকে বিদায় করে কোয়ালিফায়ারে ঢাকা

    বরিশালকে বিদায় করে কোয়ালিফায়ারে ঢাকা

    শ্বাসরুদ্ধকর এক জয়ে কোয়ালিফায়ারে পৌঁছে গেল বেক্সিমকো ঢাকা। আগে ব্যাটিং করে ইয়াসির আলির অর্ধশতকে ১৫০ রানের সংগ্রহ পায় মুশফিকুর রহিমের দল। জবাবে রানে ১৪১ থামে বরিশাল। ৯ রানের জয়ে বরিশালকে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় করে দিল ঢাকা।

    ১৫১ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিলেন সাইফ হাসান। কিন্তু তার ৩টি চারের ইনিংস থেমে যায় ওই ১২ রানেই। শফিকুল ইসলামের বলে ড্রাইভ করতে ব্যর্থ হয়ে বোল্ড হয়ে যান সাইফ। তারপর তামিম ইকবাল ও পারভেজ হোসেন ইমন ধীরগতিতে খেলেন। ১১ বলে ২ রান করে ইমন বোল্ড হয় রবিউল ইসলাম রবির বলে।

    ২৮ বলে ২২ রান করে আউট হন তামিম। ওদিকে ত্বরত্বর করে বাড়তে থাকে বরিশালের প্রয়োজনীয় রানরেট। আফিফ হোসেন ধ্রুব দ্রুতগতিতে রান তুলে বরিশালের জয়ের আশা জিইয়ে রাখেন। শুরুতেই একবার তাকে আম্পায়ার আউট দিয়েছিল তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান আফিফ।

    ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ফিল্ডারদের ভুলে রান আউট থেকেও বেঁচে যান আফিফ। তবে ওই ওভারেই টানা দুই বলে তৌহিদ হৃদয় ও সোহরাওয়ার্দী শুভকে আউট করেন ম্যাচ ঢাকার পক্ষে হেলিয়ে দেন আল আমিন জুনিয়র। অপরপ্রান্তে ৩২ বলে অর্ধশতক তুলে নেন আফিফ।

    দলকে কঠিন সমীকরণের সামনে দাঁড় করিয়ে ৩৫ বলে ৫৫ রান করে বিদায় নেন আফিফ। তার ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ৪টি ছক্কা। আফিফের বিদায়ের সাথে সাথে বরিশালের বিদায় ঘণ্টাও বেজে যায়। তবে শেষে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিলেন মিরাজ। কিন্তু তা যথেষ্ট হয়নি। ৯ রানের হারে বরিশালকে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয়েছে।

    আল আমিন ৪ ওভারে ২২ রান খরচায় নেন ২টি উইকেট। রবি ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান খরচায় নেন ১টি উইকেট।

    তার আগে টস হেরে ব্যাটিং করে ঢাকা। বরিশালের পক্ষে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন তাসকিন আহমেদ। অধিনায়কের সিদ্ধান্তের প্রতিদান দিয়ে বরিশালের বোলাররা ভালো শুরু করেন। পাওয়ারপ্লের মধ্যেই ঢাকার ৩টি উইকেট তুলে নেন তারা। প্রথম ৬ ওভারে ঢাকা সংগ্রহ করে কেবল ২৪ রান। ঢাকা শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তারপরে তাসকিন আহমেদ। মোহাম্মদ নাঈম শেখ ৫ (১১), আল আমিন জুনিয়র ০ (২) ও সাব্বির রহমান ৮ (১৪) ফিরে যান। সাব্বিরকে বোল্ড করেন সোহরাওয়ার্দী শুভ।

    ইয়াসির আলি রাব্বিকে সাথে নিয়ে ঢাকার ব্যাটিং বিপর্যয় সামাল দেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। দ্বিতীয় উইকেটে তারা গড়েন ৪৮ রানের জুটি। মুশফিক ৩০ বলে ৪৩ রান করে বিদায় নেন।

    বোলার কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে সুবিধামতো শট না নিতে না পারার ফলে বোলারদের হাতেই তালুবন্দী হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

    চতুর্থ উইকেটে জুটি গড়েন ইয়াসির ও আকবর আলি। ইয়াসির এক প্রান্তে ধীরগতিতে ব্যাটিং করলেও আকবর নেমেই দ্রুত রান তুলতে থাকেন। তবে থিতু হতে পারেননি আকবর। ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৯ বলে ২৩ রানের ছোট্ট ঝড় তুলে মিরাজের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন এই তরুণ ব্যাটসম্যান।

    ঢাকার পক্ষে সর্বোচ্চ ইনিংস আছে ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যান ইয়াসিরের উইলো থেকে। ৪৩ বলে ৫৪ রান করে কামরুলের শিকার হন ইয়াসির। তার ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ২টি ছক্কা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ঢাকা পেয়েছে ১৫০ রানের সংগ্রহ।

    বরিশালের স্পিনার মিরাজ ৪ ওভারে ২৩ রান খরচায় নেন ২টি উইকেট। ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে তাসকিন নেন ১টি উইকেট। অপরদিকে খরুচে বোলার কামরুল ২টি উইকেট পেলেও খরচ করেন ৪০ রান।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    বেক্সিমকো ঢাকা ১৫০/৮ (২০ ওভার)
    ইয়াসির ৫৪, মুশফিক ৪৩, আকবর ২১;
    মিরাজ ২/২৩, কামরুল ২/৪০, তাসকিন ১/২১, শুভ ১/৩২।

    ফরচুন বরিশাল ১৪১/৯ (২০ ওভার)
    আফিফ ৫৫, তামিম ২২;
    আল আমিন ২/২২

    ফল: বেক্সিমকো ঢাকা ৯ রানে জয়ী।

  • নাঈমের সেঞ্চুরি সত্ত্বেও হেরে গেল ঢাকা, প্লে-অফে বরিশাল

    নাঈমের সেঞ্চুরি সত্ত্বেও হেরে গেল ঢাকা, প্লে-অফে বরিশাল

    বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে বেক্সিমকো ঢাকাকে ২ রানে হারিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে ফরচুন বরিশাল। বরিশালের জয়ে প্লে-অফের আগেই বাদ পড়ল মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। অন্যদিকে তৃতীয় স্থানে থেকেই লিগ পর্ব শেষ করল ঢাকা।

    ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করে বরিশাল। দলের পক্ষে অর্ধশতক হাঁকান সাইফ হাসান, আফিফ হোসেন ধ্রুব ও তৌহিদ হৃদয়।

    ৪৩ বলে ৫০ রান করা সাইফ গড়ে দিয়েছিলেন ইনিংসের ভিত। তামিম ইকবাল ১৯ ও পারভেজ হোসেন ইমন করেন ১৩ রান। তাদের সমর্থন কাজে লাগিয়ে শেষদিকে বিধ্বংসী রুপ নেন আফিফ ও হৃদয়। চতুর্থ উইকেটে দুজনে গড়েন ৯১ রানের অনবদ্য অবিচ্ছিন্ন পার্টনারশিপ, মাত্র ৩৮ বলে।

    ১ চার ও ৫ ছক্কায় আফিফ ২৫ বলে ৫০ এবং ২ চার ও ৪ ছক্কায় হৃদয় ২২ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন। হৃদয়ের ব্যাট থেকে আসে টুর্নামেন্টের দ্রুততম ফিফটি, আফিফের ফিফটি ছিল টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দ্রুততম।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে সোহরাওয়ার্দী শুভর বোলিং তোপে পড়ে ঢাকা। ৬২ রানের মধ্যেই ঢাকার তিন ব্যাটসম্যানকে শিকার করে নেন শুভ। এরপর প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ওপেনার নাঈম শেখ ও ইয়াসির আলী রাব্বি। নাঈমের বিধ্বংসী ব্যাটিং ঢাকাকে নিয়ে যায় জয়ের কাছে। ৬০ বলে শতক হাঁকান নাঈম, যিনি অর্ধশতক করেছিলেন ৪৩ বলে। নাঈম যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, ঢাকার জয়কে মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। তবে ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে নাঈমকে শিকার করেন সুমন খান। ৬৪ বলে ১০৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনার, হাঁকান ৮টি চার ও ৭টি ছক্কা। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। ঐ ওভারে রান আউট হন ইয়াসির (২৮ বলে ৪১)। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ঢাকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৯১ রান। বরিশাল পায় ২ রানের কষ্টার্জিত জয়।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস : বেক্সিমকো ঢাকা

    ফরচুন বরিশাল : ১৯৩/৩ (২০ ওভার)
    হৃদয় ৫১*, আফিফ ৫০*, সাইফ ৫০
    আল-আমিন ৫/১, রুবেল ২৮/১, মুক্তার ৪৮/১

    বেক্সিমকো ঢাকা : ১৯১/৫ (২০ ওভার)
    নাঈম ১০৫, ইয়াসির ৪১, সাব্বির ১৯
    শুভ ১৩/৩

    ফল : ফরচুন বরিশাল ২ রানে জয়ী।

  • বরিশালকে হেসেখেলে হারাল চট্টগ্রাম

    বরিশালকে হেসেখেলে হারাল চট্টগ্রাম

    বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ১৮তম ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান নিশ্চিত করেছে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম পেয়েছে ৭ উইকেটের জয়।

    টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান জড়ো করে বরিশাল। অর্ধশতকের খুব কাছে গিয়েও হতাশ হয়ে ফিরতে হয় দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সাইফ হাসানকে। সাইফ ৩৩ বলে ৪৬ ও তামিম ৩৯ বলে ৪৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন।

    ১১তম ওভারে ৮৭ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙলে খেই হারায় বরিশাল। কাছাকাছি সময়ে সাজঘরে ফেরেন সাইফ ও তামিম। এরপর কেউই প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যাটিং করতে পারছিলেন না। শেষদিকে আফিফ হোসেন ধ্রুবর ১৬ বলে ২৮ রানের ঝড়ো ইনিংস দলকে এনে দেয় সম্মানজনক পুজি। চট্টগ্রামের পক্ষে দুটি করে উইকেট শিকার করেন সঞ্জিত সাহা, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও জিয়াউর রহমান।

    মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলামের মত এই ম্যাচে বিশ্রাম পেয়েছিল লিটন দাস। সৌম্য সরকার তাই ব্যাটিং সূচনা করতে নামেন সৈকত আলীকে সঙ্গে নিয়ে। বরিশালের বিপক্ষে আগের দেখায় ক্যামিও খেলা সৈকত সৌম্যকে নিয়ে দেখেশুনে খেলে যান। উদ্বোধনী জুটিতে দুজনে যোগ করেন ৭৯ রান।

    ৩৩ বলে ৩৯ রান করে সৈকত বিদায় নিলে সৌম্য সঙ্গ পান মাহমুদুল হাসান জয়ের। জয়ের সমর্থনে সৌম্য অর্ধশতকও পূর্ণ করেন। তবে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়তে পারেননি। ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৭ বলে ৬২ রানের সৌম্য ঝড় থামে দলীয় ১১৯ রানে, দল যখন জয় থেকে সামান্য দূরে। ব্যাট হাতে এদিনও ব্যর্থ হন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। ৩ রান করে সুমন খানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন সাজঘরে। তবে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন মাহমুদুল হাসান জয়। ২৭ বলের মোকাবেলায় ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। চট্টগ্রাম জয় পায় ৭ উইকেট ও ৮ বল হাতে রেখেই।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস : গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম

    ফরচুন বরিশাল : ১৪৯/৬ (২০ ওভার)
    সাইফ ৪৬, তামিম ৪৩, আফিফ ২৮*
    মোসাদ্দেক ১৬/২, সঞ্জিত ২২/২, জিয়াউর ২৫/২

    গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম : ১৫৩/৩ (১৮.৪ ওভার)
    সৌম্য ৬২, সৈকত ৩৯, জয় ৩১*
    সুমন ৩০/২, মিরাজ ৩২/১

    ফল : গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম ৭ উইকেটে জয়ী।

  • রেকর্ডময় খেলায় রাজশাহীকে হারাল বরিশাল

    রেকর্ডময় খেলায় রাজশাহীকে হারাল বরিশাল

    রান বন্যা ও রেকর্ডময় এক ম্যাচ দেখলো বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। নাজমুল হোসেন শান্তর ঝড়ো সেঞ্চুরিতে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী আগে ব্যাটিং করে সংগ্রহ করে টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ ২২০ রান। পারভেজ হোসেন ইমনের সেঞ্চুরিতে ম্যাচটি ৮ উইকেটে নিজেদের করে নিয়েছে ফরচুন বরিশাল। এই ম্যাচে হ্যাটট্রিকও করেছেন কামরুল ইসলাম রাব্বি।

    বরিশালের বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে রাজশাহী। উত্তরবঙ্গের দলটির পক্ষে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন নাজমুল হাসান শান্ত ও আনিসুল ইসলাম ইমন। টুর্নামেন্টে পাওয়ারপ্লেতে সর্বোচ্চ ৬৪ রানের রেকর্ড গড়েন এই দুইজন। তবে সে রেকর্ড পরের ইনিংসেই ভেঙে দেয় বরিশাল।

    উদ্বোধনী জুটিতে ১৩১ রান তোলেন ইমন ও শান্ত। ৩৯ বলে ৬৯ রানের এক ঝড়ো ইনিংস খেলে বিদায় নেন ইমন। সুমন খানের শিকার হওয়ার আগে এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান হাঁকান ৭টি চার ও ৩টি ছক্কা। তার স্ট্রাইকরেট ছিল ১৭৬.৯২!

    রনি তালুকদার ১২ বলে ১৮ রান করে সুমনের এক উড়ন্ত ফিরতি ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন। পরের বলেই রান আউট হয়ে ফেরেন শেখ মেহেদী হাসান। তবে তাতে রাজশাহীর রান তোলায় মোটেও ভাটা পড়েনি। বরং সময়ের সাথে রান তোলার গতি বাড়িয়েছেন শান্ত।

    একপ্রান্ত আগলে রেখে সেঞ্চুরি তুলে নেন রাজশাহীর অধিনায়ক। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে এটিই প্রথম সেঞ্চুরি। ৫২ বলে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন শান্ত। চলতি বছরে ও টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারেই এটা তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। বছরের শুরুতে জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন তিনি।

    শান্তর ১০৯ রানের টর্নেডো ইনিংস শেষ হয় কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে তামিমের তালুবন্দী হয়ে। তার ৫৫ বলের ইনিংসে মোট ৪টি চার ও ১১টি ছক্কা ছিল।

    শেষ ওভারে নুরুল হাসান সোহান, শান্ত ও ফরহাদ রেজার টানা উইকেটে হ্যাটট্রিকের দেখা পান কামরুল ইসলাম রাব্বি। চতুর্থ বাংলাদেশি বোলার হিসাবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে হ্যাটট্রিকের রেকর্ড গড়লেন এই পেসার। এক বল পরের মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের উইকেটসহ শেষ ওভারে মোট ৪টি উইকেট পান তিনি।

    নির্ধারিত ২০ ওভারে রাজশাহী পায় ২২০ রানের সংগ্রহ। যা টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।

    বরিশালও উড়ন্ত শুরু পায় সাইফ হাসান ও তামিম ইকবালের ব্যাটে। পাওয়ারপ্লেতে আগের ইনিংসের রেকর্ড ভেঙে ৬৭ রান সংগ্রহ করে বরিশাল। উড়ন্ত সূচনা এনে দেওয়া সাইফ হাসান ২টি করে চার ও ছক্কায় ১৫ বলে ২৭ রান করে সাইফউদ্দিনের শিকারে পরিণত হন। তারপরে বরিশালকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন।

    ৩৪ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন বরিশালের অধিনায়ক তামিম। অপরপ্রান্তে ২৫ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন পারভেজ। অর্ধশতক পূর্ণ করার পরে ইমনের রান তোলার গতি আরও বৃদ্ধি পায়। তবে রান আউট হয়ে যান তামিম। ৩৭ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় ৫৩ রান করেন তিনি। ইমন ও তামিমের জুটি হয়েছিল ৫৩ বলে ১১৭ রানের।

    তামিম ফেরার পরে আফিফ হোসেন ধ্রুবকে সাথে নিয়ে বাকি কাজটা সম্পূর্ণ করেন পারভেজ। মাত্র ৪২ বলে সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি, যা বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দ্রুততম। পারভেজের ম্যাচজয়ী ইনিংসটিতে ছিল ৯টি চার ও ৭টি ছক্কা। আফিফ অপরাজিত থাকেন ১৬ বলে ২৬ রানে।

    ১১ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের বড় জয় পায় বরিশাল। এই হারে টানা ৫টি ম্যাচ হারলো রাজশাহী। অপরদিকে টানা তিন ম্যাচ হারের পরে জয় পেল বরিশাল।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী ২২০/৭ (২০ ওভার)
    শান্ত ১০৯, ইমন ৬৯;
    রাব্বি ৪/৪৩, সুমন ২/৪৩।

    ফরচুন বরিশাল ২২১/২ (১৮.১ ওভার)
    পারভেজ ১০০*, তামিম ৫৩,
    সাইফ ১/৪০।

    ফরচুন বরিশাল ৮ উইকেটে জয়ী।

  • বরিশালের বিপক্ষে খুলনার দাপুটে জয়

    বরিশালের বিপক্ষে খুলনার দাপুটে জয়

    দ্বিতীয়বারের দেখায়ও তামিম ইকবালের দলকে হারালেন সাকিব-রিয়াদরা। জাকির হোসেনের ব্যাটে ভর করে বড় সংগ্রহ করার পরে বল হাতে ভালো করেছে জেমকন খুলনার বোলাররাও। ফরচুন বরিশালকে তারা ১২৫ রানে অলআউট করে ৪৮ রানের জয় পেয়েছে।

    ১৭৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে পারভেজ হোসেন ইমনকে সাথে নিয়ে বরিশালকে ভালো শুরু এনে দেন তামিম ইকবাল। শুভাগত হোমের এক ওভারেই ম্যাচে ফিরে আসে খুলনা। শুভাগত ও শামীম হোসেনের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে খুলনা এগিয়ে যায়। এক ওভারেই শুভাগত শিকার করেন তামিম ও পারভেজকে। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হন পারভেজ ও ক্যাচ আউট হন তামিম।

    ১ ছক্কা ও ৪ চারে ২১ বলে ৩২ রান করেন বরিশালের অধিনায়ক তামিম। পারভেজের ব্যাট থেকে ১ ছক্কায় ১৯ রান। তারা দুইজনে ফেরার পরের ওভারেই রান আউটের শিকার হন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ম্যাচে ফেরার পরে খুলনার বোলাররাও বেশ ইকোনোমিকাল হয়ে ওঠেন।

    ইরফান শুক্কুর ও তৌহিদ হৃদয় জুটি গড়ে বরিশালকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। তাদের ৩১ রানের জুটি ভেঙে দেন সাকিব আল হাসান। তারপর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে নিয়ে এগোতে থাকেন হৃদয়। তবে ততক্ষণে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বরিশাল। আল আমিন হোসেনের বলে শামীমের এক অসাধারণ ক্যাচে সাজঘরের পথ ধরেন অঙ্কন।

    বরিশালের পক্ষে একাই লড়াই করতে থাকা হৃদয়কে ফেরান হাসান মাহমুদ। আরিফুল হকের হাতে এক সহজ ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। করেন ২৭ বলে ৩৩ রান। সেই ওভারে তাসকিনকেও শিকার করেন হাসান।

    শেষ ওভারে শহিদুল ইসলাম পান ২টি উইকেট এবং একটি রান আউট হয়। বরিশাল অলআউট হয়ে ১২৫ রানে। ফলে জেমকন খুলনা পেয়েছে ৪৮ রানের জয়। টুর্নামেন্টে এটি খুলনার তৃতীয় জয়।

    তার আগে বড় পরিবর্তন এনে খুলনা ইনিংস উদ্বোধনে পাঠায় জাকির হাসান ও জহুরুল ইসলাম অমিকে। শুরতেই তাদের চেপে ধরেন আবু জায়েদ রাহি ও তাসকিন আহমেদ। তাসকিনের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন জহুরুল। ফেরার আগে করেন ১০ বলে ২ রান।

    দ্বিতীয় উইকেটে হাত খুলে খেলতে থাকেন ইমরুল কায়েস ও জাকির। টুর্নামেন্টে প্রথম সুযোগ পেয়েই অর্ধশতক হাঁকান জাকির। ৩৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এই দুইজনের ব্যাটে দারুণ গতিতে এগিয়ে চলছিল খুলনা। সেই সময়ে ইমরুলকে শিকার করে ব্রেক থ্রু এনে দেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। পরের ওভারে জাকিরকে শিকার করেন তাসকিন।

    ৩৪ বলে ৩৭ রান করে তামিমের তালুবন্দী হন ইমরুল। তার ইনিংসে ছিল ২টি চার ও একটি ছক্কা। দৃষ্টিনন্দন সব শটে জাকির করেন ৪২ বলে ৬৩ রান। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ১০ চার দিয়ে।

    সাকিব ভালো শুরু করলেও তা ধরে রাখতে ব্যর্থ হন। তানভীর ইসলামের বলে সীমনার কাছে তৌহিদ হৃদয়ের তালুবন্দী হয়ে সাজঘরে ফেরেন সাকিব। তিনি ২ চারে করেন ১০ বলে ১২ রান।

    শেষ দিকে অধিনায়ক রিয়াদের ১৪ বলে ২৪ রানের ক্যামিওতে খুলনা সংগ্রহ করেছিল ১৭৩ রান। ১ বলে ৬ রানে আরিফুল হক ও ২ বলে ৫ রানে শুভাগত হোম অপরাজিত থাকেন।

    আজকেও দুর্দান্ত বোলিং করেন শুরু বরিশালের পেসার তাসকিন। কিন্তু শেষটা রাঙাতে পারেননি তিনি। ৪৩ রান খরচায় নেন ২টি উইকেট। শেষ ওভারে ২টিসহ মোট ৩টি উইকেট পান রাব্বি।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    জেমকন খুলনা ১৭৩/৬ (২০ ওভার)
    জাকির ৬৩, ইমরুল ৩৭, রিয়াদ ২৪, সাকিব ১২;
    রাব্বি ৩/৩৩, তাসকিন ২/৪৩, তানভীর ১/১৬।

    ফরচুন বরিশাল ১২৫/১০ (১৯.৫ ওভার)
    হৃদয় ৩৩, তামিম ৩২, পারভেজ ১৯, ইরফান ১৬;
    শহিদুল ২/১৭, শুভাগত ২/১৮, হাসান ২/১৮, সাকিব ২২/১।

  • ঝালকাঠি-বরিশালসহ ১০ রুটে অনর্দিষ্টিকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ

    ঝালকাঠি-বরিশালসহ ১০ রুটে অনর্দিষ্টিকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ

    ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠি-বরিশালসহ ১০ রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন। মাহেন্দ্রা গাড়ি চালক কর্তৃক বাস মালিককে মারধরের প্রতিবাদে বুধবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে এ রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। আকস্মিকভাবে বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণায় ভোগান্তিতে পড়েছেন এ রুটে যাতায়াতকারী যাত্রীরা।

    ঝালকাঠি বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহম্মেদ জানান, ঝালকাঠি-বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে থ্রিহুইলার মাহিদ্রা গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ করা হলেও ঝালকাঠিতে সুযোগ পেলেই এ গাড়িগুলো চলাচল করছে। মালিক সমিতি বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়েও তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।

    বুধবার সকাল ৯টার দিকে ঝালকাঠি সদর উপজেলার ছত্রকান্দা এলাকায় বাস মালিক গোলাম রসুল আঞ্চলিক মহাসড়কে মাহিন্দ্রা গাড়ি চলাচলে বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মাহিন্দ্রা চালকরা তাকে মারধর করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ঝালকাঠি বাসটার্মিনালে মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    সভায় প্রশাসনের কাছে আঞ্চলিক মহাসড়কে মাহিন্দ্রা গাড়ি বন্ধের দাবি জানিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঝালকাঠি-বরিশাল, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, পাথরঘাটা, ভান্ডারিয়া, কাউখালী, মঠবাড়িয়া ও আমুয়াসহ ১০ রুটে বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন এ রুটে যাতায়াতকারী হাজারো যাত্রী।

    ২৪ ঘণ্টা/আতাউর

  • বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপে চট্টগ্রামের হ্যাট্টিক জয়

    বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপে চট্টগ্রামের হ্যাট্টিক জয়

    বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপে হ্যাট্টিক জয়ের স্বাদ নিলো গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। আজ টুর্নামেন্টের সপ্তম ও নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে চট্টগ্রাম ১০ রানে হারিয়েছে তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশালকে। নিজেদের তিন ম্যাচের সবক’টিতে জিতলো চট্টগ্রাম। ৩ ম্যাচে ১ জয় ও ২ হার বরিশালের।

    প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫১ রান করে চট্টগ্রাম। জবাবে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪১ রান করে বরিশাল।

    মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিং করতে নামে তামিমের বরিশাল। শুরুটা ভালো না হলেও ওপেনার লিটন দাস ও মিডল-অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যান শামসুর রহমান ও মোসাদ্দেক হোসেনের ছোট ইনিংসের কল্যাণে সম্মানজনক স্কোরের পথ পায় চট্টগ্রাম।

    ওপেনার সৌম্য সরকার ৫ ও অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ১৭ রান করে ফিরেন। তবে আরেক ওপেনার লিটন ৪টি চারে ২৫ বলে ৩৫ রান করেন।
    আর মিডল-অর্ডারে শামসুর ২৬ ও মোসাদ্দেক ২৮ রান করেন। তবে শেষদিকে সৈকত আলির ১১ বলে ঝড়ো ২৭ রানে লড়াকু স্কোর পায় চট্টগ্রাম। সৈকতের ইনিংসে ১টি চার ও ৩টি ছক্কা ছিলো। ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫১ রান করে চট্টগ্রাম। বরিশালের পেসার আবু জায়েদ ৪২ রানে ২ উইকেট নেন।

    ১৫২ রানের জয়ের টার্গেটে ভালো শুরুর চেষ্টা করেছিলেন বরিশালের দুই ওপেনার মেহেদি হাসান মিরাজ ও অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ১টি করে চার ও ছক্কায় মিরাজ ১৩ রানে থামলেও, আগের ম্যাচের মত নিজের ইনিংস বড় করছিলেন তামিম।
    তবে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩২ বলে ৩২ রান করেই থামেন আগের ম্যাচে অপরাজিত ৭৭ রান করা তামিম।

    দলীয় ৬৭ রানে তামিমের বিদায়ের পর মিডল-অর্ডারে দলের হাল ধরতে পারেননি বরিশালের ব্যাটসম্যানরা। পারভেজ হোসেন ইমন ১১, আফিফ হোসেন ২৪, তৌহিদ হৃদয় ১৭ ও ইরফান শুক্কুর ২ রান করেন।

    শেষদিকে সুমন খানের ৮ বলে অপরাজিত ১২ রানও বরিশালের হার এড়াতে পারেনি। শেষ ওভারে ১৯ রানের প্রয়োজনে ১টি ছক্কায় ৮ রান নিতে পারেন সুমন। ২০ ওভারে বরিশাল করে ৮ উইকেটে ১৪১ রান। চট্টগ্রামের শরিফুল ও মুস্তাফিজুর ৩টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন শরিফুল।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর :
    গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম : ১৫১/৭, ২০ ওভার (লিটন ৩৫, মোসাদ্দেক ২৮, আবু জায়েদ ২/৪২)।
    ফরচুন বরিশাল : ১৪১/৮, ২০ ওভার (তামিম ৩২, আফিফ ২৪, মুস্তাফিজ ৩/২৩)।
    ফল : গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম ১০ রানে জয়ী।
    ম্যাচ সেরা : শরিফুল ইসলাম (গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম)।

  • শেষ ওভারে ৪ ছক্কা হাঁকিয়ে খুলনাকে জেতালেন আরিফুল

    শেষ ওভারে ৪ ছক্কা হাঁকিয়ে খুলনাকে জেতালেন আরিফুল

    বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে জেমকন খুলনাকে অবিশ্বাস্য জয় এনে দিয়েছেন আরিফুল হক। শেষ ওভারের প্রথম পাঁচ বলে চারটি ছক্কা হাঁকিয়ে প্রায় জিতে যাওয়া ম্যাচ ফরচুন বরিশালের মুঠো থেকে বের করে আনেন তিনি।

    মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় জেমকন খুলনা ও ফরচুন বরিশাল। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি তামিমের দল। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে বরিশালের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৫২ রান।

    দলের পক্ষে অর্ধশতক হাঁকান পারভেজ হোসেন ইমন (৪২ বলে ৫১)। এছাড়া তৌহিদ হৃদয় ২৫ বলে ২৭, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ১০ বলে ২১, তামিম ১৫ বলে ১৫ ও তাসকিন আহমেদ ৫ বলে অপরাজিত ১২ রানের ইনিংস খেলেন।

    খুলনার পক্ষে শহিদুল আলম চারটি উইকেট শিকার করেন তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার গড়ে। দুটি করে উইকেট শিকার করেন শফিউল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ। ৩ ওভার বল করে ১৮ রানের খরচায় একটি উইকেট শিকার করেন ১৩ মাস পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরা সাকিব আল হাসান।

    অবশ্য বোলিংয়ের খুলনার সাফল্য মিলিয়ে যায় ব্যাটিংয়ের সময়। তাসকিন-সুমন খানদের বোলিং তোপে রিয়াদ-সাকিবরা প্রত্যাশা অনুযায়ী রান তুলতে ব্যর্থ হন। প্রথম ওভারেই তাসকিন শিকার করেন এনামুল হক বিজয় ও ইমরুল কায়েসকে। সাকিব (১৩ বলে ১৫) ও রিয়াদ (১৬ বলে ১৭) প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।

    সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা করেছেন জহুরুল ইসলাম অমি ও শামিম হোসেন পাটোয়ারি। জহুরুল ২৬ বলে ৩১ ও শামিম ১৮ বলে ২৬ রান করে বিদায় নেন। আরিফুল হকের ধীরগতির ইনিংস বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছিল। তবে নিজের শক্তিটুকু বুঝি শেষ ওভারের জন্য জমা রেখেছিলেন হার্ড হিটার হিসেবে পরিচিত এই ব্যাটসম্যান।

    শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২২ রান। তামিম বল তুলে দেন মেহেদী হাসান মিরাজকে। মিরাজের প্রথম, দ্বিতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম বলে চারটি ছক্কা হাঁকিয়ে আরিফুল অবিশ্বাস্যভাবে দলকে জয় এনে দেন ১ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখেই। বরিশালের পক্ষে তাসকিন ও সুমন দুজনই শিকার করেন দুটি করে উইকেট। হারের তেতো স্বাদ পাওয়া মিরাজ ৩.৫ ওভারে বিলি করেছেন ৩৬ রান।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস : জেমকন খুলনা

    ফরচুন বরিশাল : ১৫২/৯ (২০ ওভার)
    ইমন ৫১, হৃদয় ২৭, অঙ্কন ২১, তামিম ১৫
    শহিদুল ১৭/৪, শফিউল ২৭/২

    জেমকন খুলনা : ১৫৫/৫ (১৯.৫ ওভার)
    আরিফুল ৪৮*, জহুরুল ৩১ শামিম ২৬
    সুমন ২১/২, তাসকিন ৩৩/২

    ফল :জেমকন খুলনা ৪ উইকেটে জয়ী।