Tag: বসন্ত উৎসব

  • রাউজান নোয়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে পিঠা-পুলি ও বসন্ত উৎসব সম্পন্ন

    রাউজান নোয়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে পিঠা-পুলি ও বসন্ত উৎসব সম্পন্ন

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। রাউজান প্রতিনিধি : মেয়েরা রং-বেরঙের শাড়ী, বাহারী সাজ আর মাথায় ফুলের খোঁপা, ছেলেদের পড়নে বিভিন্ন ডিজাইনের পাঞ্জাবী পড়ে রাউজানের নোয়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থীরা মেতেছিল পিঠা-পুলি আর বসন্ত উৎসবে।

    শিক্ষার্থীদের সাথে উৎসবের রঙে মেতে উঠেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বাসন্তী হাওয়ার দোলায় চড়ে উৎসবের রঙিন আভায় মেতেছিল সকলে। ১৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল ১০ টায় কলেজ মাঠে এই উৎসবের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীি এমপি।

    উদ্বোধন শেষে অধ্যক্ষ কপিল উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও অধ্যাপিকা সালসাবিল করিম চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অংশ নেন গভর্নিং কমিটির সদস্য এসএএম হোসাইন, ব্যবসায়ী লায়ন এম আবু বক্কর সিদ্দিকী,কলেজ উপাধ্যক্ষ ছৈয়দ উদ্দিন আহমেদ, নোয়াপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম, প্যানেল চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া, জাহাঙ্গীর সিকদার, পথেরহাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জাফর আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন সহ আরো অনেকেই।

    সভাশেষে প্রধান অতিথি উপস্থিত সূধীজনদের সাথে নিয়ে কলেজ মাঠের চারপাশে স্থাপিত শিক্ষার্থীদের পিঠাপুলির স্টলগুলো পরিদর্শন করেন। কলেজ মাঠের ১৫টি স্টলে রকমারি ডিজাইন আর সুস্বাধু পিটা-পুলির পসরা সাজিয়েছেন কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সকাল নয়টা থেকে বিকেল অব্দি চলে উৎসব।

    পিটাপুলি উৎসবে অংশ নেওয়া স্টলগুলির মধ্যে ছিল পিঠা খাইলে আইয়ুন, নাম নাই, বাঙ্গালীর হেসেল, বি এম, পিঠা সমাহার, পিঠা কুটির, বি এসসি, পিঠাকুঞ্জ, বাঙ্গালী পিঠাঘর, মানবিক ও বিজ্ঞান দ্বিতীয় বর্ষ।

    পিটা খাইলি আইয়ুন স্টলে গিয়ে দেখা যায় ব্যবসায়ী শিক্ষা ‘খ’ বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী ২২ আইটেমের পিঠা সাজিয়েছেন তাদের স্টলে। সাগর, আবিদ, সাজেদা, মনির ও আদিল জানান, তাদের স্টলে পিঠা খেতে সকাল থেকেই ভীড় লেগে আছে।

    পিঠাঘরে সাতটি আইটেমের পিঠা নিয়ে স্টল খুলেছেন এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের রেশমি, সাইমা ও সাদিয়া। কলেজের রোভার স্কাউটরা পিঠা সমাহার স্টলে ১৩ আইটেমের পিঠার পসরা সাজিয়েছেন। নজরুল, তৃষা সেন গুপ্তা, ইকরা, রেশমি ও তৃষা জানান, তাদের স্টলের পিঠা খু্ব ভালোই বিক্রী হয়েছে।

    অতিথি আপ্যায়ন পিঠা কুটিরে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ৩০ পদের পিঠার আয়োজন। বিক্রী বেশ ভালোই হয়েছে বলে জানান স্টলের ইয়াছমিন আকতার। তাদের স্টলে সুজির কেক, গাজর লাড্ডু বেশ ভালোই বিক্রি হয়েছে।

  • ভালোবাসার দিনে রঙিন বসন্ত

    ভালোবাসার দিনে রঙিন বসন্ত

    ফুল ফুটেছে ডালে ডালে। উষ্ণতার ছোঁয়ায় প্রজাপতি ডানা মেলেছে। দখিন হাওয়ার গুঞ্জরণে হৃদয়ে জেগেছে রেশমি পরশ। নিসর্গ জেগেছে নতুন রূপে। হাওয়ায়-হাওয়ায় দোল লেগেছে বাংলার প্রকৃতিতে। প্রকৃতি আজ জানান দিচ্ছে, ‘আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে।’

    কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ভাষায় ‘ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত।’ কবির শঙ্কা দূর করে ফুল ফুটেছে। গাছে গাছে ফুটেছে আমের মুকুল। শীতের খোলসে থাকা কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, নাগলিঙ্কন এখন অলৌকিক স্পর্শে জেগে উঠেছে।

    প্রকৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আজ বাসন্তি রঙের শাড়ি পরবে নারীরা। রঙে রঙিন হবে নারী, পুরুষ সবাই।

    ১লা ফাল্গুনের সঙ্গে আজ যোগ হয়েছে ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালোবাসা দিবস। একই দিনে দুটি দিবসের আনন্দ ছুঁয়ে যাবে প্রাণে।

    বসন্তের এই দিনে হৃদয় উদার, উন্মুক্ত করতে হবে। বসন্তকে আজ বরণ করে নিতে হবে। কবিগুরু তাই বলেছেন, ‘আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে/তব অবগুণ্ঠিত কুণ্ঠিত জীবনে/কোরো না বিড়ম্বিত তারে/ আজি খুলিয়ো হৃদয়দল খুলিয়ো/ আজি ভুলিয়ো আপনপর ভুলিয়ো।’

    বসন্তকে বরণ করে নিতে বেশ কিছু দিন ধরে ছিল নানা প্রস্তুতি। শপিং মল থেকে বিউটি পার্লার, ফুলের দোকানে ব্যস্ত তরুণ-তরুণীরা। ব্যস্ততা ছিলো, সংস্কৃতি কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের। শোভাযাত্রার বৈচিত্রময় আয়োজনের ব্যস্ততা শেষে আজ বরণ করা হচ্ছে বসন্তকে।

    কিছুদিন আগে থেকেই বসন্তের আগমনী বার্তা জানাচ্ছিলো প্রকৃতি। সকালের কুয়াশা ভেদ করে আকাশে উঁকি দিচ্ছিলো সূর্য়। কখনও দেখা গেছে ঝকঝকে রোদ। চাদরমোড়া শীতকে বিদায় জানিয়ে এসেছে বসন্ত। এসেছে ফাগুন। সঙ্গে ভালোবাসা দিবসের উষ্ণ ছোঁয়া। যেনো কেউ কানে কানে বলে, চলো হারিয়ে যাই। পাতার আড়ালে আবডালে লুকিয়ে থাকা বসন্তের দূত সুর তোলে কুহু কুহু সুরে। কোকিলের এই সুরে ব্যাকুল হতেই পারে বিরহী অন্তর।

    বসন্তের অসংখ্য ফুলের ভিড়ে জেগে উঠে কৃষ্ণচূড়াও। রক্তের রঙ্গে এই ফুল জানিয়ে দেয় এই ফাগুনের দিনেই বাংলা ভাষাকে ভালোবেসে জীবন দিয়েছেন আমাদের দামাল ছেলেরা। এই ফেব্রুয়ারিতেই আমার ভাইয়ের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে রাজপথ। ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কী ভুলিতে পারি..।’

    এই বসন্তে মিশে থাকে তারুণ্যের সাহসী উচ্ছ্বাস আর বাঁধভাঙা আবেগের জোয়ার। বসন্তের প্রথম দিনে নারীরা বাসন্তী রঙে নিজেকে রাঙিয়ে তোলে। সুশোভিত করে তোলে রাজধানীর রাজপথ, পার্ক, বইমেলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বরসহ পুরো নগরী। উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে দেশের সর্বত্র। পৃথিবীব্যাপি বাঙালির ঘরে ঘরে ফুল না ফটলেও বসন্ত ছুঁয়ে যায় ঠিকই।

    বাংলা পঞ্জিকা বর্ষের শেষ ঋতু বসন্তের প্রথম দিনকে বাঙালি পালন করে ‘পহেলা ফাল্গুন-বসন্ত উৎসব’ হিসেবে। বাঙালির নিজস্ব সার্বজনীন প্রাণের উৎসবের মাঝে এ উৎসব এখন গোটা বাঙালির কাছে ব্যাপক সমাদৃত হয়েছে। এই উৎসব এখন প্রাণের উৎসবে পরিণত হয়েছে।

    মোগল সম্রাট আকবর ১৫৮৫ খ্রিস্টাব্দে প্রথম বাংলা নববর্ষ গণনা শুরু করেন। নতুন বছরকে কেন্দ্র করে ১৪টি উৎসবের প্রবর্তন করেন তিনি।

    এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বসন্ত উৎসব। ১৪০১ বঙ্গাব্দ থেকে ‘বসন্ত উৎসব’ উদযাপন শুরু হয়। সেই থেকে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ বসন্ত উৎসব আয়োজন করে আসছে। আজ ১লা ফাল্গুনকে উপলক্ষ্য করে রাজধানীসহ সারা দেশে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
    রাজধানীর চারুকলার বকুলতলা, বোটানিক্যাল গার্ডেন, রমনা পার্ক, বনানী লেক, ধানমন্ডি লেক, রবীন্দ্র সরোবর, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ অনেক জায়গায় দিনভর চলবে বসন্তের উৎসব। দিনভর চলবে তরুণ-তরুণীদের বসন্তের উচ্ছ্বাস আর আনন্দ। গতকাল থেকেই মোবাইলফোন, ফেসবুক, টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে বসন্তের শুভেচ্ছা বিনিময়।

    জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ এবারও বসন্তকে বরণ করে নিতে প্রস্তুতি নিয়েছে।

    চারুকলার বকুলতলায় এবারও জমবে বসন্ত বরণের উৎসব। ভোর থেকে শুরু হয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় রয়েছে শাস্ত্রীয় সংগীতের মাধ্যমে বসন্ত বন্দনা। এছাড়াও রয়েছে নানা অনুষ্ঠান।

    বসন্ত বরণ আর ভালবাসা দিবসে অন্যরকম রূপ পাবে বাঙালির প্রাণের মেলা অমর একুশে গ্রন্থমেলা।

  • আমিরাতে বসন্ত উৎসবকে ঘিরে আয়োজক কমিটির প্রস্তুতি সভা

    আমিরাতে বসন্ত উৎসবকে ঘিরে আয়োজক কমিটির প্রস্তুতি সভা

    ওবায়দুল হক মানিক,আরব আমিরাত থেকে : সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজায় ১৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বসন্ত উৎসব কে সামনে রেখে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

    এই আয়োজনকে সফল ও সার্থক করে তুলতে বাংলাদেশ কমিউনিটি, প্রবাসী ব্যবসায়ী,সাংবাদিক ও শিল্পী বৃন্দরা যৌথ ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে।

    গত ৪ ফেব্রুয়ারি আমিরাতের সারজাস্থ হুদায়বিয়ার রেস্টুরেন্টে এই যৌথ সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিউনিটি নেতা আবির বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক, মোঃ ইয়াকুব সুনিক।

    যৌথ প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কমিউনিটি নেতা বাংলাদেশ সমিতি দুবাইয়ের আহ্বায়ক অধ্যাপক মোঃ আব্দুস সবুর, দুবাই বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সহ-সভাপতি ও কমিউনিটি নেতা আইয়ুব আলী বাবুল, বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক নূর মোহাম্মদ, শারজা বাংলাদেশ সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও কমিউনিটি নেতা ইসমাইল গনী চৌধুরী, বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের যুগ্মসম্পাদক ও কমিউনিটি নেতা মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন,বসন্ত উৎসবের সমন্বয়কারী ও বাংলাদেশ কমিউনিটি নেতা হাজী শফিকুল ইসলাম, মিরসরায় সমিতির সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ কমিউনিটি নেতা মাজহারুল্লা মিয়া,দুবাই বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম, চট্টগ্রাম সমিতি উত্তর আমিরাতের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আহমদ, বিশিষ্ট ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ইমাম হোসেন পারভেজ, আকতারুজ্জামান স্মৃতি সংসদের সহ সভাপতি মোহাম্মনাদ শওকত নারী উদ্যোক্তা সৈয়দা দীবা।

    সাংবাদিক শিবলী আল সাদিকের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউ এ ইর সভাপতি সিরাজুল হক, প্রবাসী সাংবাদিক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি নাসিম উদ্দিন আকাশ,বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি শেখ ফয়সাল সিদ্দিকী ববি, বাংলাদেশ শিল্পী সমিতি ইউ এ ইর সভাপতি জাবেদ আহমেদ মাসুম,সাংবাদিক ওবায়দুল হক মানিক।

    ৭১ টিভির সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রতিনিধি ও সংহতি সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ছড়াকার লুৎফুর রহমান, আলোকিত সকালের আরব-আমিরাত প্রতিনিধি সানজিদা ইসলাম, প্রভাস মেলার সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রতিনিধি মহিউল করিম আসিক,সি প্লাস টিভির প্রতিনিধি মোহাম্মদ ইসতিয়াক, সঙ্গীত শিল্পী মোহাম্মদ জাবেদ, সাংবাদিক সোহেল চৌধুরী,৭১টিভির ক্যামেরা পার্সন আমিনুল হক, আর টিভির ক্যামেরা পারসন খালেদ হাসান রনি।