২৪ ঘন্টা ডট নিউজ।চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)’র সোহরাওয়ার্দী হলের ১০৪ নম্বর কক্ষটিতে ২ বহিরাগত যুবককে আটকে রেখে নির্যাতনের চেষ্টা চালিয়েছে অপর এক বহিরাগত যুবক। এমন খবর পেয়ে বুধবার রাতে কক্ষটিতে অভিযান চালায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এসময় নির্যাতনকারী বহিরাগত যুবক আসাদ পালিয়ে গেলেও নির্যাতনের শিকার দুই যুবক মোহাম্মদ আয়াজ ও মোহাম্মদ নাসিমকে উদ্ধার করে প্রশাসন। এসময় ইয়াসিন আরাফাত নামে আরো এক বহিরাগতকে ওই কক্ষ থেকে আটক করা হয়। পরে তিনজনকে হাটহাজারী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী আশরাফ খান শুভর বন্ধু আসাদ কয়েকদিন ধরে সোহরাওয়ার্দী হলের ১০৪ কক্ষে অবস্থান করছিলো। অবস্থানকালে ওই কক্ষে আয়াজ ও নাসিম নামে অপর দুই বহিরাগত যুবককে আটকে রেখে চাঁদা দাবিতে তাদের নির্যাতনের চেষ্টা চালায়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই কক্ষে বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে আয়াজ ও নাসিমকে উদ্ধার করে। এসময় একই কক্ষে ইয়াসিন আরাফাত নামে আরো এক বহিরাগত যুবককে পাওয়া যায়। সে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী সম্রাট শিকদারের অতিথি হিসেবে ওই কক্ষে অবস্থান করছিলেন।
তবে কক্ষটিতে দুই যুবককে আটকে রেখে নির্যাতনের চেষ্টা করা আসাদকে পাওয়া যায়নি। সে অভিযানের খবর পেয়ে কৌশলে পালিয়ে গেছে বলে চবি সূত্রে জানিয়েছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান বলেন, বহিরাগত কয়েকজন যুবক চবির সোহরাওয়ার্দী হলের ১০৪ কক্ষে অবস্থান করছে এমন সংবাদ পেয়ে বুধবার রাত ৮টার সময় কক্ষটি পরিদর্শণে যায়। এসময় কক্ষটিতে অবস্থান করা তিন বহিরাগত যুবককে আটক করে ঘণ্টাব্যাপী জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসাদ নামে অপর এক বহিরাগত আয়াজ ও নাসিমকে আটকে রেখে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবিতে নির্যাতনের চেষ্টা চালিয়েছে।
পরে দুজনকে উদ্ধার করে একই কক্ষে অবস্থা করা অপর যুবক ইয়াসিনসহ তিনজনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। বহিরাগতদের আশ্রয় দেয়া শিক্ষার্থীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে জানিয়ে হলে অবৈধভাবে বসবাসরতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বললেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর।