Tag: বাংলাদেশি নাগরিক

  • পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা

    পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা

    থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশি নাগরিকদের সতর্ক করেছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

    কিছু অসাধু ব্যক্তি এবং এসব দেশে গড়ে ওঠা বেশ কিছু স্ক্যাম প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার অপারেটর, টাইপিস্ট, কলসেন্টার অপারেটরসহ বিভিন্ন পদে আকর্ষণীয় বেতনের প্রলোভন দিয়ে নিয়োগের লক্ষ্যে বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে (ভুয়া ওয়েবসাইট, ই-মেইল, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ইত্যাদি) প্রচার কার্যক্রম ও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করছে।

    এসব ক্ষেত্রে স্ক্যাম সেন্টারগুলো বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সঙ্গে বাংলাদেশিদেরও সুকৌশলে স্ক্যাম সেন্টারের ভেতরে নিয়ে গিয়ে অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক জিম্মি করে স্ক্যামের কাজে নিয়োজিত করছে।

    ব্যাংককস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস মিয়ানমার ও কম্বোডিয়ায় গড়ে ওঠা স্ক্যাম সেন্টারগুলো থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত ও পালিয়ে আসা বেশ কিছু বাংলাদেশিকে ইতোমধ্যে দেশে ফেরত পাঠাতে সক্ষম হয়েছে।

    এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারসমূহকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

    এছাড়া, এসব দেশগুলোতে সাইবার স্ক্যাম নিয়ে কাজ করছে এরূপ এনজিওসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে।

    বিদেশে চাকরির উদ্দেশ্যে গমনেচ্ছু বাংলাদেশিদের এসব দেশে কম্পিউটার পরিচালনা সংক্রান্ত চাকরির প্রস্তাব পেলে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা অথবা জনশক্তি, কর্মস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর সংশ্লিষ্ট শাখার মাধ্যমে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহের সহযোগিতায় নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্য যাচাই করে নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

    এছাড়াও স্ক্যাম সেন্টার থেকে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ আইডির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে-বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদেরকে টার্গেট করে আর্থিকভাবে প্রতারণা করা হচ্ছে। দেশে-বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা ক্রিপ্টো কারেন্সির মাধ্যমে প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগ করলে প্রতারক চক্রটি তাৎক্ষণিকভাবে এসব লেনদেনের অ্যাকাউন্ট বন্ধের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে।

    এ বিষয়ে দেশে-বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে আরো বেশি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

  • বাংলাদেশিদের কিডনি অপসারণ, গ্রেপ্তার অ্যাপোলোর চিকিৎসক

    বাংলাদেশিদের কিডনি অপসারণ, গ্রেপ্তার অ্যাপোলোর চিকিৎসক

    বাংলাদেশ ও ভারতের কিডনি পাচার চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি ভিত্তিক ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশ। ৫০ বছর বয়সী ও চিকিৎসকের নাম ডা. বিজয়া কুমার।

    প্রাথমিক অভিযোগে জানা গেছে, ওই নারী চিকিৎসক রাজধানীর সংলগ্ন নয়ডা শহরে ‘যথার্থ’ নামের একটি হাসপাতালে অপারেশনের নামে অন্তত ১৫ থেকে ১৬ জন ব্যক্তির কিডনি সরিয়েছেন। কিডনি পাচারকারী দলের সদস্য হিসেবে এসব অপারেশন করেছেন তিনি। যাদের কিডনি তিনি সরিয়েছেন, তাদের অধিকাংশই বাংলাদেশের নাগরিক। ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের বিভিন্ন সময়ের মধ্যে হয়েছে এসব অপারেশন।

    পুলিশ জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সক্রিয় এই চক্র মধ্যবর্তী ব্যক্তি বা দালালদের মাধ্যমে দরিদ্র বাংলাদেশিদের অর্থের লোভ দেখিয়ে নয়াদিল্লির আশপাশের কিছু হাসপাতালে নিয়ে আসত। সেসব হাসপাতালে চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা বাংলাদেশিদের কিডনি অপসারণ করতেন।

    দিল্লিতে একাধিক কিডনি পাচারকারী চক্র সক্রিয়। ডা. বিজয়া কুমারি যে চক্রটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন, সেই চক্রের অধিকাংশই বাংলাদেশি। গত মাসে নয়াদিল্লি থেকে এই চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশ। তাদের সবাই বাংলাদেশের নাগরিক।

    বিশ্বের অধিকাংশ দেশের মতো ভারতেও অর্থের বিনিময়ে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রি করা নিষিদ্ধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তবে, কোনো ব্যক্তি যদি স্বেচ্ছায় কাউকে কিডনি বা অন্য কোনো প্রত্যঙ্গ প্রদান করতে চান, তাহলে তা বৈধ। এক্ষেত্রে দাতা ও গ্রহীতার নাম-পরিচয় ও অন্যান্য তথ্য কর্তৃপক্ষকে জমা দিতে হয়।

    দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, চক্রটি কেবল বাংলাদেশ থেকে আসা ভিকটিমদের কিডনি অপারেশন করত এবং দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে এসব অপারেশন সংক্রান্ত বিভিন্ন ভুয়া নথি প্রদান করত। সেসব নথিও জব্দ করেছে পুলিশ।

    ডা. বিজয়া কুমারি নয়াদিল্লির ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের একজন জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা এবং কিডনি প্রতিস্থাপন বিষয়ক সার্জন। প্রায় ১৫ বছর আগে জুনিয়র ডাক্তার হিসেবে ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলোতে যোগ দেন তিনি।

    অ্যাপোলোর পাশাপাশি নয়ডার ‘যথার্থ’ হাসপাতালের ভিজিটিং কনসালটেন্ট ও সার্জনও ছিলেন ডা. বিজয়া কুমারি। ওই হাসপাতালের অতিরিক্ত মেডিকেল সুপারিটেন্ডেন্ট সুনীল বালিয়ান জানিয়েছেন, যেসব ব্যক্তির কিডনি তিনি অপসারণ করেছেন, তাদের কেউই ওই হাসপাতালের রোগী ছিলেন না। ভিজিটিং কনসালটেন্ট হিসেবে তিনি রোগী ভর্তির জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বরাবর সুপারিশ করতে পারতেন। যে ১৫-১৬ জন বাংলাদেশির কিডনি তিনি অপারেশন করেছেন, তাদের সবাইকে তার সুপারিশের ভিত্তিতেই ভর্তি করা হয়েছিল।

    ডা. বিজয়া কুমারি ব্যতীত ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের আর কোনো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কিডনি পাচার চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই চিকিৎসককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে।

  • যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালতে প্রথম মুসলিম বিচারক বাংলাদেশের নুসরাত

    যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালতে প্রথম মুসলিম বিচারক বাংলাদেশের নুসরাত

    যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল বিচার বিভাগের ডিস্ট্রিক আদালতে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক নুসরাত জাহান চৌধুরী। ডিস্ট্রিক আদালতে ফেডারেল বিচারকের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। এরমাধ্যমে প্রথম বাংলাদেশি ও মুসলিম হিসেবে মার্কিন আদালতের ফেডারেল বিচারক হওয়ার রেকর্ড গড়েছেন নুসরাত।

    বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার উচ্চকক্ষ সিনেট ভোটের মাধ্যমে নুসরাতের নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করে। তিনি নিউইয়র্ক ইস্টার্ন ডিস্ট্রিকের ফেডারেল বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

    ২০২২ সালের জানুয়ারিতে নুসরাতকে ফেডারেল বিচারক হিসেবে মনোনয়ন দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রেসিডেন্টের এ মনোনয়নকে সমর্থন জানায় কয়েকটি সামাজিক ন্যায়বিচার, নাগরিক স্বাধীনতা এবং মুসলিম অধিকার সংস্থা।

    নুসরাতের নিয়োগটি যুক্তরাষ্ট্রের বিচারিক ব্যবস্থায় একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। অনেকের মতে দেশটির বিচারিক ব্যবস্থায় মুসলিম সম্প্রদায় বৈষম্য ও নাগরিক স্বাধীনতার ক্ষেত্রে নির্যাতনের শিকার হন।

    নুসরাতের ফেডারেল বিচারক হওয়ার মনোনয়নকে স্বাগত জানিয়ে গত বছর কয়েকটি সংস্থা সিনেটর ডিক ডারবিনের কাছে একটি চিঠি লিখেছিল। ওই চিঠিতে সংস্থাগুলো বলেছিল, ‘নুসরাত যে নিউইয়র্কে দায়িত্ব পালন করবেন সেখানে বাংলাদেশি আমেরিকান ও মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেক মানুষ বসবাস করেন।’

    চিঠিতে আরও বলা হয়েছিল, ‘নুসরাতের মনোনয়ন চূড়ান্ত হলে আদালতে ব্যক্তিগত এবং পেশাদারিত্বে বৈচিত্র আসবে। যা বিচারিক ব্যবস্থার ওপর মানুষের বিশ্বাস বাড়ানোর জন্য এবং আদালতে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য খুবই প্রয়োজন।’

    এদিকে নুসরাত ফেডারেল বিচারক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সব মুসলিম সংস্থা।

  • সুদান থেকে দেশে ফিরেছেন ৫২ বাংলাদেশি

    সুদান থেকে দেশে ফিরেছেন ৫২ বাংলাদেশি

    যুদ্ধকবলিত সুদান থেকে জেদ্দা হয়ে দেশে ফিরেছেন আরও ৫২ বাংলাদেশি।

    আজ (বৃহস্প‌তিবার) সকা‌ল সা‌ড়ে ১০টার পর বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে তারা দে‌শে ফিরে‌ছেন।

    বুধবার পোর্ট সুদান থে‌কে সুদানের বদর এয়ারলাইন্সের বি‌শেষ ফ্লাই‌টে জেদ্দায় পৌঁছান ১৭৬ বাংলা‌দে‌শি। তা‌দের ম‌ধ্যে থে‌কে ৫২ জন দে‌শে ফি‌রে এলেন।

    রিয়া‌দের বাংলা‌দেশ দূতাবা‌সের তথ‌্য বল‌ছে, আজকের ম‌ধ্যে কাতার এয়ারলাইন্সে আরও ১৩০ জন ও মদিনা থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে ২৩৮ জনের দেশে ফেরার কথা র‌য়ে‌ছে।

    গত সোমবার যুদ্ধকবলিত সুদান থেকে জেদ্দা হয়ে প্রথম দফায় দেশে ফেরেন ১৩৬ বাংলাদেশি। বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে তারা দেশে ফেরেন। দেশে ফেরাদের মধ্যে নারী, শিশু ও অসুস্থ প্রবাসী ছিলেন।

    গত ৩ মে সুদানের রাজধানী খার্তুম থেকে ৬৮০ বাংলাদেশিকে নিরাপদে পোর্ট সুদানে নেওয়া হয়। দুই দফায় মোট ১৩টি বা‌সে ক‌রে তাদের সেখানে নেওয়া হয়।

    রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাস বল‌ছে, সুদানে প্রায় এক হাজার পাঁচশ বাংলাদেশি নাগরিক বসবাস করেন। এদের মধ্যে যারা দেশে আসার জন্য নিবন্ধন করেছেন পর্যায়ক্রমে সবাইকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।

    সুদানের সেনাবাহিনী ও আধা-সামরিক বাহিনীর লড়াইয়ের শুরুর দিকে গত ১৫ এপ্রিল দেশটির রাজধানী খার্তুমে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদের বাসা আক্রান্ত হয়। রাষ্ট্রদূতের বাসার দেওয়াল ও জানালা ভেদ করে ঢুকে পড়ে মেশিনগানের গুলি। এরপর গত ২২ এপ্রিল সুদানের সেনাবাহিনী ও আধা-সামরিক বাহিনীর লড়াইয়ের সময় বাংলাদেশ দূতাবাসের জানালা ও দেওয়াল ভেদ করে মেশিনগানের গুলি ঢুকে পড়ে।