Tag: বাংলাদেশি নিহত

  • বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত

    বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত

    চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার বাড়াদি সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহতের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতের যেকোনো সময় ভারতীয় সীমান্তের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।

    বিষয়টি দর্শনা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

    নিহতরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের ব্যাকপাড়ার হায়দার আলীর ছেলে সাজিদুল ইসলাম (২৫) ও একই এলাকার শরিয়তুল্লাহর ছেলে খাজা মঈনউদ্দিন (৩২)। নিহত সাজিদুল ইসলামের একটি ও খাজা মঈনউদ্দিনের তিন সন্তান রয়েছে।

    পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ড (ইউপি) সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, আমার ওয়ার্ডের সাজিদুল ও মঈনউদ্দিন শনিবার রাতে বাড়াদি সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে অবৈধভাবে গরু আনতে যায়। সেখানে ভারতের বিজয়পুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যদের গুলিতে এই দুইজন নিহত হন। তাদের মরদেহ এখন পর্যন্ত ভারতে আছে।

    দর্শনা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, দুজন বাংলাদেশি ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করেছিল। ভারতের কৃষ্ণনগর থানাধীন এলাকায় বিএফএফের গুলিতে তারা নিহত হয়েছেন বলে জেনেছি। মরদেহ সেখানে আছে। ধারণা করা হচ্ছে তারা অবৈধভাবে গরু নিয়ে আনতে গিয়েছিল।

    জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমানের সরকারি নম্বরে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

  • মালয়েশিয়ায় ভবন ধসে নিহত ৩, ভবনের সবাই ছিলেন বাংলাদেশি

    মালয়েশিয়ায় ভবন ধসে নিহত ৩, ভবনের সবাই ছিলেন বাংলাদেশি

    মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে নির্মাণাধীন ভবন ধসে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত তিনজনই শ্রমিক। এছাড়া দুর্ঘটনার পর বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং এখনও চারজন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।

    ধসে পড়া এই নির্মাণাধীন ভবনের সকল শ্রমিকই বাংলাদেশি ছিলেন বলে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাতে ভবন ধসে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।

    বুধবার (২৯ নভেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইট টাইমস এবং ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৯.৪৫ মিনিটের দিকে মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে নির্মাণাধীন একটি ভবন ধসে পড়ে। সেই ঘটনার পর উদ্ধারকারীরা এখনও চারজন নিখোঁজ শ্রমিকের খোঁজে ধ্বংসস্তূপের নিচে সন্ধান করছেন।

    পেনাংয়ের ডেপুটি পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ ইউসুফ জান মোহাম্মাদ বলেন, এখনও পর্যন্ত উদ্ধারকারীরা আটকে পড়া ৯ শ্রমিকের মধ্যে পাঁচজনকে খুঁজে পেয়েছেন।

    ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘ঘটনার সময় প্রায় ১২ মিটার লম্বা এবং প্রায় ১৪ টন ওজনের একটি বিম ভেঙে পড়ে এবং এই ঘটনায় আরও ১৪টি বিম ভেঙে পড়েছিল। নির্মাণাধীন এই সাইটে কাজের জন্য ১৮ জন শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছিল। এ সময় তারা কেউ নামাজের জন্য বের হননি।’

    তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত, আমরা তিনজন নিহত ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছি – দুজন যারা ঘটনাস্থলে মারা গেছেন এবং অন্য একজন হাসপাতালে মারা গেছেন। গুরুতর আহত অন্য দুজনকে চিকিৎসার জন্য পেনাং হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

    তিনি আরও বলেন, এখানে কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের সবাই ছিলেন বাংলাদেশি নাগরিক। আমরা বিশ্বাস করি, ধসে পড়া কাঠামোর নিচে আরও চারজন আটকা পড়ে আছেন।

    যদিও ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে বলছে, দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদ ইউসুফ।

    এদিকে পেনাং ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি ডিরেক্টর জুলফাহমি সুতাজি বলেছেন, ধসে পড়া কাঠামোর ওজন বেশি হওয়ায় উদ্ধার প্রচেষ্টা বেশ কঠিন হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ভারী কাঠামো অপসারণ করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে যাওয়ার জন্য আমাদের বড় যন্ত্রপাতি দরকার।’

    এর আগে ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ধ্বংসস্তূপের নিচে অন্তত নয়জন শ্রমিক আটকা পড়েন। দুর্ঘটনার পর তল্লাশি ও উদ্ধার কাজ এখনও চলছে।

    অন্যদিকে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শাইক ইসমাইল আলাউদ্দীন বলেছেন, তারা এখনও দুর্ঘটনায় হতাহতদের বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য অপেক্ষা করছেন।

    তিনি বলেছেন, ‘অফিশিয়ালি (আনুষ্ঠাসিকভাবে) কোনও তথ্য জানার আগে আমরা কোনও ধরনের বিবৃতি দিতে পারি না। আমি ঠিকাদারকে ক্ষতিগ্রস্তদের বিবরণ দিতে বলেছি। যদিও আমরা জানি, তারা বাংলাদেশ থেকে এসেছে, তবে কোনও বিবৃতি দেওয়ার আগে তাদের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য আমাদের নথি দরকার।’

  • কাশ্মিরের ডাল লেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৩ বাংলাদেশি নিহত

    কাশ্মিরের ডাল লেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৩ বাংলাদেশি নিহত

    ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের শ্রীনগরের ব্যাপক জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র ডাল লেকে হাউসবোটে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত তিন বাংলাদেশি পর্যটক নিহত হয়েছেন। শনিবার ডাল লেকের কয়েকটি হাউসবোটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ওই বাংলাদেশিরা মারা গেছেন।

    কাশ্মিরের পুলিশ বলছে, শনিবার ভোরের দিকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ডাল লেকের কয়েকটি হাউসবোট ছাই হয়ে গেছে। অগ্নিকাণ্ডের কয়েক ঘণ্টা পর সেখান থেকে তিন বাংলাদেশির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

    পুলিশের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া সাফিনা হাউসবোটে ছিলেন ওই তিন বাংলাদেশি। পুলিশ বলছে, ডাল লেকের ৯ নাম্বার ঘাটের কাছের একটি হাউসবোটে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং অন্যান্য হাউসবোটও পুড়ে যায়।

    স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনায় অন্তত পাঁচটি হাউসবোট একেবারে ছাই হয়ে গেছে। এছাড়া আগুনে আরো কয়েকটি হাউসবোট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে কাশ্মির পুলিশ।

  • কাতারে অগ্নিকাণ্ডে ৪ বাংলাদেশি নিহত, দুজনের বাড়ি ফেনী

    কাতারে অগ্নিকাণ্ডে ৪ বাংলাদেশি নিহত, দুজনের বাড়ি ফেনী

    মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারের দোহায় একটি গাড়ির গ্যারেজে অগ্নিকাণ্ডে চার বাংলাদেশিসহ ছয় অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে।

    স্থানীয় সময় রোববার (৫ নভেম্বর) রাতে দোহার ফিরোজ আব্দুল আজিজ এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে পাশের একটি ভবনেও।

    নিহত চার বাংলাদেশির মধ্যে দুজনের বাড়ি ফেনীতে। বাকি দুজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিহত অন্য দুজন পাকিস্তানি নাগরিক।

    ফেনীর নিহতরা হলেন ফেনী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দিস মোহাম্মদ ভূঁইয়া বাড়ির বাসিন্দা মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান ও দাগনভূঞার জায়লস্কর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে মীর হোসেন ফরহাদ।

    নিহত মীর হোসেন ফরহাদের চাচাতো ভাই তৌহিদুল ইসলাম জানান, ফরহাদ পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। তার কাগজপত্র নিয়েও কিছু জটিলতা আছে। পরিবারের পক্ষ থেকে ওই এলাকায় অবস্থানরত বাংলাদেশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মরদেহ দেশে আনার চেষ্টা চলছে।

    জায়লস্কর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ মিলন ও ফেনী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাহার মিয়া কাতারে ফেনীর দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

  • দক্ষিণ আফ্রিকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ বাংলাদেশি নিহত, আহত ২

    দক্ষিণ আফ্রিকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ বাংলাদেশি নিহত, আহত ২

    দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

    শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে দেশটির জোহানেসবার্গ থেকে কেপটাউনে যাওয়ার পথে বাফেলো এলাকায় মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    নিহত পাঁচ বাংলাদেশির চারজনের বাড়ি ফেনী ও অপরজনের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। তারা হলেন, ফেনী সদর উপজেলার ইসমাইল হোসেন, দাগনভূইয়া উপজেলার মোস্তফা কামাল, রাজু আহমেদ, মো. হোসেন এবং তার ছেলে নাজিম হোসেন। অন্যদিকে আহতরা হলেন, আনিসুল হক ও নাহিদ।

    জানা গেছে, এক প্রবাসী বাংলাদেশিকে এয়ারপোর্টে পৌঁছে দেওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। কেপটাউন থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে বাফোল নামক শহরে মালবোঝাই একটি লরির সঙ্গে তাদের বহনকারী গাড়িটির মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই পাঁচ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়।

    গুরুতর আহত দুই বাংলাদেশিকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

  • মরিশাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ বাংলাদেশি নিহত

    মরিশাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ বাংলাদেশি নিহত

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মহাসাগরে দ্বীপ রাষ্ট্র মরিশাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ বাংলাদেশি কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

    আজ বৃহস্পতিবার (৫ নবেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে দ্বীপরাষ্ট্রটির রাজধানী পোর্ট লুইসের পাইল নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    দুর্ঘটনায় হতাহতদের বিস্তারিত পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা না গেলেও নিহত সবাই হাইবেক পার্টনার নামে একটি কোম্পানির কর্মী।

    সকাল সাড়ে সাতটায় কর্মস্থলে যাওয়ার সময় তাদের বহনকারী বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং একটি বাস টার্মিনালে আঘাত করে। এতে বাসটি দুমড়ে মুচড়ে মারা যান চার বাংলাদেশি। হতাহত হন বেশ কয়েকজন। তাদের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

    মরিশাসে বাংলাদেশের হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ জানিয়েছেন, তারা নিহতদের ক্ষতিপূরণ আদায় নিশ্চিত করবেন এবং নিহত চারজনের মরদেহ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশে পাঠানো হবে।

    এ ঘটনায় দেশটিতে প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • বৈরুতে বিস্ফোরণে বাংলাদেশি নিহত বেড়ে ৪, আহত ৯৯

    বৈরুতে বিস্ফোরণে বাংলাদেশি নিহত বেড়ে ৪, আহত ৯৯

    লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত চার বাংলাদেশি নিহত এবং ৯৯ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ২১ জন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্য।

    বুধবার (৫ আগস্ট) রাতে এ তথ্য জানান লেবাননে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) আব্দুল্লাহ আল মামুন।

    জানা গেছে, নিহত চারজনই প্রবাসী বাংলাদেশি। তারা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেহেদী হাসান রনি (২৫) ও মো. রাসেল (২২), মাদারীপুরের মিজানুর রহমান এবং কুমিল্লার রেজাউল।

    আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, আহতদের মধ্যে বর্তমানে হাসপাতালে আছেন ৮-১০ জনের মতো। বাকিদের বেশিরভাগই চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

    তিনি বলেন, আহত ২১ জন নৌবাহিনীর সদস্যের মধ্যে ৭ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

    আবদুল্লাহ আল মামুন আরও জানান, বিস্ফোরণ স্থলের ৪ থেকে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত হলেও বাংলাদেশ দূতাবাসের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

    এদিকে বৈরুতের ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গেছে এবং আহত হয়েছেন চার হাজারের বেশি। ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকে আটকা থাকায় হতাহতের এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

    বুধবার স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বৈরুত বিস্ফোরণের ব্যাপারে এ তথ্য দিয়েছেন লেবাননের রেড ক্রসের প্রধান জর্জ কিত্তানেহ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • শ্বশুরবাড়ি থেকে ফেরার পথে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

    শ্বশুরবাড়ি থেকে ফেরার পথে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চোষপাড়া সীমান্তের ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম জয়নাল আবেদীন (৩৫)।

    বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) ভোরে চোষপাড়া সীমান্তের ১৭১ নম্বর পিলার এলাকার বিপরীতে ভারতের চাকলাগড় বিএসএফ ক্যাম্পের টহলরত সদস্যদের গুলিতে নিহত হন ওই যুবক।

    জয়নাল আবেদীন রাণীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের ভাংবাড়ি গ্রামের মো. মাঝিলের ছেলে।

    রাণীশংকৈল নন্দুয়ার ইউপি চেয়ারম্যান জমিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, জয়নাল বিয়ে করেছে ভারতের পানজিপাড়া গ্রামে। চোষপাড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে শ্বশুড়বাড়িতে যাতায়াত করতো। বৃহস্পতিবার ভোরে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার সময় বিএসএফ সদস্যরা টের পেলে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। গুলি লেগে জয়নাল মারা গেলে তার লাশ তুলে নিয়ে যায় বিএসএফ।

    বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড় পলাশবাড়ি ইউনিয়নের ৩নং ওর্য়াড মেম্বার আবদুর রহিমজানান, জয়নাল আবেদীন সীমান্তের ওপার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। ওই সময় বিএসএফ সদস্যরা তাকে গুলি করে, এতে তার মৃত্যু হয়।

    ঠাকুরগাঁও-৫০ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সহিদুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, ঘটনাটি আমরা জেনেছি। এ বিষয়ে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। বিস্তারিত জানার পর কথা বলতে পারব।

  • সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ বাংলাদেশি নিহত,  আহত ১

    সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ বাংলাদেশি নিহত, আহত ১

    সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের আমুলি গ্রামের নছিম আলীর ছেলে জাকের আলী (২২) ও জুড়ী উপজেলার বাসিন্দা আব্দুল হান্নানের ছেলে আব্দুল মুকিত (২৫)। তারা ঘটনাস্থলেই মারা যান।

    মঙ্গলবার (৩ মার্চ) স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনায় আরেক বাংলাদেশি আমুলি গ্রামের উকিল মিয়ার ছেলে শাওন (২২) গুরুতর আহত হয়েছেন। শাওন রিয়াদ কিং ফাহাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

    জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে বাসা থেকে কর্মস্থলে যাবার পথে প্রাইভেট কারের চাকা খুলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় নিহত ২ বাংলাদেশির মরদেহ রিয়াদের কিং ফাহাদ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।

  • সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ বাংলাদেশি নিহত

    সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ বাংলাদেশি নিহত

    সৌদি আরবের মদিনায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত দুইজন।

    পবিত্র মক্কা থেকে ওমরাহ পালন শেষে মদিনা ফেরার পথে সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় বিকাল ৫টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আহত দুইজনকে উদ্ধার করে মদিনা আল’দার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    নিহতরা হলেন, চট্টগ্রামের বাসিন্দা রায়হান, তার স্ত্রী ও ভাতিজী। অন্যদিকে আহত হয়েছেন রায়হানের ছেলে ও ইকবাল নামের এক মদিনা প্রবাসী ব্যবসায়ী।

    মরুভূমির বালু ঝড়ের কারণে গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

  • সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশি নিহত

    সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশি নিহত

    সৌদি আরবের বন্দরনগরী জেদ্দায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিন প্রবাসী বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।

    স্থানীয় সময় বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে জেদ্দার হাই আল সামির এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    নিহত তিন বাংলাদেশি হলেন-আল আমিন, পিতা-ফরহাদ আলী, গ্রাম-আউলাতৈল, থানা-কালিহাতী জেলা টাঙ্গাইল। শাকিল মিয়া, পিতা- কামাল উদ্দিন, গফুরগাঁও, ময়মনসিংহ। কাওসার মিয়া, পিতা-কাজল মিয়া, গ্রাম-উওর কচিকাটা, থানা-মনিহরদী জেলা-নরসিংদী।

    নিহতরা সবাই ইয়ামামা কোম্পানিতে চার বছর ধরে কাজ করছেন, ওরা তিনজন ময়লা গাড়িতে কাজ করতেন, ঘটনা ঘটে দুপুর একটার সময়। ডিউটি অবস্থায় বরিমান মারমা সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

    নিহত শাকিল মিয়ার চাচাতো বড় ভাই রাসেল জানান, রাতে একটার সময় তারা ডিউটিতে যায় কিন্তু দুপুর বারোটা সময় কাজ শেষ করে ফেরার আগ মুহূর্তে এই দুর্ঘটনা ঘটে। শাকিল পরিবারের বড় ছেলে । শাকিল দুই ভাই এক বোন তন্মধ্যে শাকিল সবার বড়। পরিবারের একমাত্র উপার্জনের সম্বল ছিল শাকিল।

    রাসেল মিয়া আরও বলেন, শাকিল কিছু দিন আগে ছুটিতে আসছে, আসার আগে ব্যাংক থেকে ঋণ করে ঘর করে অনেক লেনা দেনা শোধ করতে অনেক টেনশনে ছিল। শেষ পর্যন্ত টেনশন থেকে চিরমুক্তি নিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন শাকিল।

    নিহত কাওসারের মামা আজহার জানান, কাওসার পিতা হারা বিধবা মায়ের এক মাত্র সন্তান, গত তিন বছর আগে তার বাবাও রোড এক্সিডেন্টে মারা যান। কাওসার ছিল পরিবারের একমাত্র সম্বল । বিধবা মাকে দেখাশোনা করার আর কেউ রইলো না। নিহত মায়ের বাংলাদেশ সরকারের কাছে একমাত্র দাবি ছেলের লাশটি যেন দ্রুত দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

    নিহত আল আমিনের বউ বিলকিস বেগম জানান, তাদের বিয়ে পাঁচ বছর হলেও তাদের কোলে এখনো কোন সন্তান নেই। আল আমিন তাদের পরিবারের একমাত্র সম্বল, নিহত আল আমিন ছিল পরিবারের সবার বড় তার একটি ছোট বোন রয়েছে। স্বামীকে হারিয়ে বিলকিস বেগমের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।

    বিলকিস বেগম আরও বলেন, আমার স্বামীকে আর পাব না কিন্তু আমার মৃত্য স্বামীর লাশটি যেন দেখতে পারি, আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি আমার স্বামীর লাশটি আমাদের কাছে ফিরে দিন। শেষবারের মতো যেন দেখতে পারি।

    জানা গেছে, জেদ্দা সিটি করপোরেশনের ময়লা পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি গাড়ির সঙ্গে অপর একটি গাড়ির সংঘর্ষ হলে গাড়ির সামনে থাকা বাংলাদেশি চালক এবং অপর দুই পরিচ্ছন্নতাকর্মী ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।

    সূত্রমতে, তারা সবাই জেদ্দার ইয়ামামা নামের একটি ক্লিনিং কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন।

    নিহত আল-আমিনের চাচাত ভাই শাহজাহান জানান, আল-আমিন গাড়ির চালক ছিলেন। অপর দুইজন গাড়িতে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করতেন।

    তিনি আরও জানান, তিন বছর আগে তার চাচাত ভাই আল-আমিন সৌদি আরব পাড়ি জমান ভাগ্য পরিবর্তনের আশায়। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি দেশে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনায় তার সব স্বপ্ন ভেসে গেল। দেশের বাড়িতে মা-বাবা আছেন।

    এদিকে নিহত শাকিলের ফুফাত ভাই রোমেল জানান, তার মামাত ভাইয়ের সন্তান-সন্ততি নেই।

    নিহতদের মরদেহ জেদ্দার একটি স্থানীয় হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

  • শ্রীবরদীতে বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত

    শ্রীবরদীতে বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত

    শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার ভারতীয় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে উকিল মিয়া ও খোকন মিয়া নামে বাংলাদেশি দুই যুবক নিহত হয়েছে।

    রোববার রাতে সীমান্ত পিলার ১০৯২ সংলগ্ন জিরো পয়েন্টের মারাংপাড়া সেতুতে এই ঘটনা ঘটে। নিহত উকিল মিয়া সিংগাবরুনা ইউনিয়নের মেঘাদল গ্রামের বঙ্গ সুরুজ মিয়ার ছেলে ও খোকন মিয়া মাটিফাটা এলাকার আজিজুল মেম্বারের ছেলে।

    পুলিশ জানায়, উকিল মিয়া সংঘবদ্ধ ভারতীয় গরু চোরা কারবারিদের সাথে রাতে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করলে ভারতীয় সীমান্ত ফোর্স (বিএসএফ) গুলি ছুড়লে উকিল মিয়া ও খোকন মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়।

    পরে চোরাকারবারি দলের অন্যান্য সদস্যরা তাদের রাবার বাগান পানবাড়ি এলাকায় ফেলে পালিয়ে যায়। সেখানেই তাদের মৃত্যু হয়।

    পরে কর্ণঝোড়া সীমান্ত ফাঁড়ির ক্যাম্প ইনচার্জ আব্দুল হাই ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

    এদিকে এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিজিবি এই ঘটনার প্রতিবাদ জানান।

    বিজিবির ময়মনসিংহের ৩৯ বিজিবির অধিনায়ক শহিদুর রহমান ও ২৬ বিএসএফের অধিনায়ক বিশাল রানে পতাকা বৈঠকে নেতৃত্ব দেন।