Tag: বাংলাদেশে

  • দ্বি-পাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে রোডম্যাপ তৈরির প্রস্তাব কুয়েতের

    দ্বি-পাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে রোডম্যাপ তৈরির প্রস্তাব কুয়েতের

    কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবাহ আল-খালিদ আল-সাবাহ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশেনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এতে দ্বি-পাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে একটি রোডম্যাপ (পথনকশা) তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।

    জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ঐ বৈঠকের পর নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তারা আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে একটি রোডম্যাপ ও একটি অভিযোগ্য কর্মসূচি প্রস্তুত করতে চাই।’

    ড. মোমেন দুই প্রধানমন্ত্রীর আলোচনা ‘অত্যন্ত ফলপ্রসূ’ হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, উভয় প্রধানমন্ত্রীর আলোচনার সূত্র ধরে তিনি পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ও সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র বাছাই করতে কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে একটি তেল শোধনাগার স্থাপনের ব্যাপারে তার দেশের আগ্রহের কথাও ব্যক্ত করেন এবং তাদের দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিতে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা চান।

    তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এসব প্রস্তাবকে স্বাগত জানান এবং প্রস্তাবিত তেল শোধনাগারের জন্য প্রয়োজনীয় জমি প্রদানের ব্যাপারে কুয়েতের প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদের প্রয়োজনীয় সামরিক প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহযোগিতা দিব।’

    ১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী পাঠিয়ে কুয়েতের দিকে তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল এবং এই সহযোগিতার স্বীকৃতিস্বরূপ কুয়েত তাদের একটি সামরিক ইউনিটের নামকরণ করে ‘বাংলাদেশ কন্টিনজেন্ট’।

    পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, কুয়েত তাদের কুয়েত ফান্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পাঁচ কোটি মার্কিন ডলার প্রদান করে এবং বাংলাদেশ সরকার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের আওতায় পৌরসভার অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ব্যয় করা হয়।

    তিনি বলেন, বাংলাদেশ পাঁচটি মেঘা প্রকল্পের জন্য কুয়েত ফান্ডের মাধ্যমে আরো ১০ কোটি মার্কিন ডলার গ্রহণে কুয়েতের সঙ্গে আলোচনার একে বারে শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

    পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সময় থেকেই কুয়েতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অন্যন্য।’

    এর আগে শেখ হাসিনা সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী স্টিফান লফভেনের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক করেন। সমসাময়িক বিশ্বে একজন বিখ্যাত শ্রমিক নেতা হওয়ার খ্যাতি অর্জন করেন স্টিফান।

    বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বলেন, তাঁর সরকার কর্মীদের স্বার্থের জন্য আরো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং এ ব্যাপারে তিনি তাঁর পরামর্শ চান। শেখ হাসিনা একই সঙ্গে তাঁকে অবহিত করেন যে প্রণোদনা প্যাকেজের কারণে মহামারি করোনাভাইরাস চলাকালেও কোন বাংলাদেশী গার্মেন্ট শ্রমিক চাকরি হারায়নি।

    পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা হোটেল লটে নিউইয়র্ক প্যালেসে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বিফ্রিংকালে উপস্থিত ছিলেন।

    এন-কে

  • করোনা বাংলাদেশে কমতে শুরু করবে মে থেকে, ১৫ জুলাই শেষ!

    করোনা বাংলাদেশে কমতে শুরু করবে মে থেকে, ১৫ জুলাই শেষ!

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনা পরিস্থিতি থেকে মুক্ত হওয়ার বিষয়ে আশার বাণী শুনিয়েছেন সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি অ্যান্ড ডিজাইনের (এসইউটিডি) ডাটা ড্রাইভেন ইনোভেশন ল্যাবের গবেষকরা।

    পুরো বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী ভাইরাসের মরণখেলা কবে থামতে পারে, এ ভাইরাসের কবল থেকে বিভিন্ন দেশ কবে মুক্ত হতে পারে রবিবার এমন একটি অনুমানভিত্তিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছেন তারা।

    এতে বাংলাদেশ থেকে করোনাভাইরাস পুরোপুরি বিদায় নিতে আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত সময় লাগতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন গবেষকরা। করোনার বিদায়ের দিনক্ষণের বিষয়ে এমন পূর্বাভাস এটিই প্রথম বলে জানা গেছে।

    পরিসংখ্যানে বলা হয়, আগামী ১৯ মের মধ্যে বাংলাদেশে ভাইরাসটি ৯৭ শতাংশ এবং ৩০ মের মধ্যে ৯৯ শতাংশ বিলীন হয়ে যাবে। তাছাড়া আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত সময়ে দেশ থেকে ভাইরাসটি পুরোপুরি বিদায় নিতে পারে এমনটাই বলা হয়েছে পরিসংখ্যানে।

    এতে আরও বলা হয়, গত ১১ এপ্রিল থেকে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে। আগামী ২৯ মের মধ্যে ৯৭ শতাংশ, ১৭ জুনের মধ্যে ৯৯ শতাংশ এবং চলতি বছরের ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বিশ্ব শতভাগ করোনাভাইরাস মুক্ত হবে বলে অনুমান করা হয়।

    ভারাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যে দুই লাখেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন, সংক্রমিত হয়েছেন ২৯ লাখের বেশি। দিন দিন বেড়েই চলছে এর মাত্রা। ফলে বিশ্বের ৭০০ কোটিরও বেশি মানুষের মনে এতোদিন প্রশ্ন ছিলো কবে শেষ হবে করোনাভাইরাস মহামারী।

    অবশেষে আশার বাণী শুনিয়েছেন সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি অ্যান্ড ডিজাইনের (এসইউটিডি) ডাটা ড্রাইভেন ইনোভেশন ল্যাবের গবেষকরা।

    বাংলাদেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। সে হিসেবে গতকাল রবিবার ৫০তম দিনে দেশে এ ভারাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে ১৪৫ জন এবং মোট আক্রান্ত সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়ে এখন ৫ হাজার ৪১৬ জনে দাড়িয়েছে।

    রোববার নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদফতরটি এ তথ্য জানিয়েছেন। এদিন দুপুর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৪১৮ এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ জন। এছাড়াও সুস্থ হয়েছেন ৯ জন। তথ্যসুত্র-যুগান্তর

    তবে বিশ্লেষণ বলছে, এ সময়ে চীন-ইতালি-স্পেন-যুক্তরাজ্যের চেয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতি অনেক ভালো হলেও যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের চেয়ে অনেক খারাপ। তবে চীন-ইতালি-স্পেনের চেয়ে সবদিক থেকেই বাংলাদেশের অবস্থা ভালো।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • করোনা পরিস্থিতিতে ভারত থেকে চিকিৎসা সহায়তার ২য় চালান এলো বাংলাদেশে

    করোনা পরিস্থিতিতে ভারত থেকে চিকিৎসা সহায়তার ২য় চালান এলো বাংলাদেশে

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিনিধি : কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ভারতের জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের জন্য চিকিৎসা সহায়তার দ্বিতীয় চালান এসে পৌছেছে বাংলাদেশে।

    বাংলাদেশের প্রতি ভারতের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে হাই কমিশনার শ্রীমতী রীভা গাঙ্গুলি দাশ এক লাখ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ট্যাবলেট এবং ৫০ হাজার জীবাণুমুক্ত সার্জিকাল ল্যাটেক্স গ্লাভস সমন্বিত জরুরি চিকিত্সা সরবরাহের দ্বিতীয় চালানটি আজ বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর করেন।

    বিমান বাংলাদেশের সহায়তায় ওষুধগুলো ভারত থেকে আনার পর চিকিৎসা সামগ্রী গুলো বাংলাদেশ সরকারের কেন্দ্রীয় মেডিকেল স্টোর ডিপোতে প্রেরণ করা হয়।

    ভারতীয় হাই কমিশনের পাঠানো একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্যটি জানানো হয়। এতে বলা হয় সার্ক কোভিড-১৯ জরুরি তহবিলের আওতায় এবং কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টায় সাহায্য করার উদ্দেশ্যে এই সহায়তা দেয়া হয়েছে। এর আগে এই সময়োপযোগী সাহায্যের জন্য হাই কমিশন বিমান সংস্থার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়।

    এদিকে কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরবরাহ, প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভারত থেকে অব্যাহত সহায়তার প্রশংসা করেন বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

    এসময় তিনি বলেন, সঙ্কটের সময়ে প্রতিবেশী বন্ধুর সহায়তাকে আমরা স্বাগত জানাই। হাই কমিশনার কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের অব্যাহত সহায়তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

    জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণায় ভারতের ১০ মিলিয়ন ডলার প্রাথমিক সহায়তা নিয়ে সার্ক কোভিড-১৯ জরুরি তহবিল গঠিত হয়। এই তহবিলের অধীনে ৩০ হাজার সার্জিক্যাল মাস্ক এবং ১৫ হাজার হেড-কভার সমন্বিত জরুরি চিকিৎসা সহায়তার প্রথম চালান গত ২৫ মার্চ বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আবদুল মোমেনকে হস্তান্তর করা হয়।

    সার্ক অঞ্চলে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য একটি সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার প্রতি ভারতের প্রতিশ্রুতিকে সামনে রেখে ২৬ মার্চ ও ৮ এপ্রিল সার্ক দেশসমূহের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং বাণিজ্য প্রতিনিধিদের মধ্যে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ, বাণিজ্য সহজীকরণ এবং সেরা অনুশীলনগুলো বিনিময় বিষয়ে আলোচনার জন্য পৃথক ভিডিও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

    সার্কভুক্ত দেশগুলির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সেরা অনুশীলন গুলি বিনিময়ের জন্য এবং পারস্পরিকভাবে উপকৃত হওয়ার জন্য অবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ রক্ষা করছেন।

    এছাড়াও, ভারতের স্বাস্থ্যসেবা বিশেষজ্ঞরা কোভিড-১৯ পরিচালনা কৌশল, দক্ষতা বৃদ্ধি, সেরা অনুশীলনের বিনিময় এবং এ সম্পর্কিত দিকগুলি নিয়ে সার্ক দেশগুলোর স্বাস্থ্যসেবা দানকারীদের জন্য স্বল্পদৈর্ঘ্য ওয়েবিনার আকারে ই-আইটিইসি প্রশিক্ষণ মডিউল ডিজাইন করেছেন।

    ১৭-২১ এপ্রিল অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস, রায়পুর এই অনলাইন কোর্সটি পরিচালনা করে যেখানে বাংলাদেশের ৯০ জন স্বাস্থ্যকর্মী অংশ নেন। ভারত সরকারের আইটিইসি উদ্যোগের আওতায় ২৭ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত ভারতের চন্ডীগড়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল এডুকেশন এন্ড রিসার্চ কর্তৃক দ্বিতীয় অনলাইন কোর্সের আয়োজন করা হচ্ছে।

    ভারতীয় হাই কমিশনের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথমে’নীতির অংশ হিসেবে এবং কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে একটি সহযোগিতামূলক আঞ্চলিক প্রচেষ্টার লক্ষ্যে গত ১৫ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সার্ক নেতাদের নিয়ে একটি ভিডিও সম্মেলন করেছিলেন।

    বন্ধু ও প্রতিবেশী হিসেবে প্রতিকূল সময়ে ভারত বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত। ভারত ও বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধভাবে কোভিড-১৯ সংক্রমণে সৃষ্ট পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স