Tag: বাংলাদেশ পুলিশ

  • ‘পুলিশ ব্রুটালিটি’ নিয়ে আমরা সংবাদপত্রে খবর হতে চাই না: আইজিপি

    ‘পুলিশ ব্রুটালিটি’ নিয়ে আমরা সংবাদপত্রে খবর হতে চাই না: আইজিপি

    ‘সাংবাদিকদের কাছে আমরা গঠনমূলক সমালোচনা চাই, ক্রিয়েটিভ রিপোর্ট চাই না, বস্তুনিষ্ঠ ফ্যাক্ট নির্ভর রিপোর্ট চাই। রিপোর্টে আমরা কোন সাহিত্য রচনা প্রত্যাশা ক‌রি না।’

    ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে এগারোটায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) বার্ষিক সাধারণ সভা-২০২০ এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

    ক্র্যাব সভাপতি আবুল খায়েরের সভাপতিত্বে রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ ক্র্যাব চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ‎র‌্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিকু। সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যগণ এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

    সাংবাদিকদের ‘ওপেনিয়ন বিল্ডার’ আখ্যায়িত করে আইজিপি বলেন, সাংবাদিকদের ওপর সমাজের গতি প্রকৃতি নির্ভর করে। সাংবাদিকদের একটি রিপোর্ট মুহূর্তের মধ্যে মানুষের মনে গভীরভাবে রেখাপাত করতে পারে। সেজন্য আপনাদের কলমের ক্ষমতা মাথায় রাখতে হবে।

    সাংবাদিক এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য অর্থাৎ ল এনফোর্সমেন্ট প্র্যাকটিশনাররা একই প্ল্যাটফর্মে কাজ করে। আপনারা আমাদের গঠনমূলক সমালোচনা করবেন।

    আইজিপি বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে সুসংহত করার জন্য বিগত দিনে যে আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছে সেখানে রাজনীতিবিদ ও দেশের আপামর জনগণের সাথে সাংবাদিকরাও সমানতালে কাজ করেছেন। আমাদের স্বাধীনতা পূর্ব এবং স্বাধীনতা উত্তরকালে সাংবাদিকরা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা এবং গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

    আইজিপি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ‘রূপকল্প- ২০৪১’ বাস্তবায়নের আর ২১ বছর বাকি রয়েছে। আমরা ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হবো। উন্নত দেশের উপযোগী পুলিশ গড়তে আমরা কাজ শুরু ক‌রে‌ছি। আমরা পুলিশকে দুর্নীতিমুক্ত, মাদকমুক্ত করতে চাই। ‘পুলিশ ব্রুটালিটি’ নিয়ে আমরা সংবাদপত্রে খবর হতে চাই না।

    তিনি বলেন, আমরা ভালো কাজে আপনাদের উৎসাহ চাই, সহযোগিতা চাই। কোন পুলিশ সদস্য খারাপ কাজ করলে বস্তুনিষ্ঠ ফ্যাক্ট তুলে ধরুন। ওই সদস্যকে আমরা কোন ছাড় দিব না।

    আগামীতে দেশের প্রয়োজনে, রাষ্ট্রের প্রয়োজনে, গণমানুষের প্রয়োজনে, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সুবর্ণ সময় রেখে যাওয়ার লক্ষ্যে পুলিশ এবং সাংবাদিক হাতে হাত ধরে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন আইজিপি।

    তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় ভিন্ন মত ও পথ থাকবে। কিন্তু জাতীয় অর্জন, রাষ্ট্র ও সমাজের ক্ষেত্রে ১৬ কোটি মানুষের ৩২ কোটি হাত একসাথে থাকতে হবে।

    র‌্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, পুলিশ এবং সাংবাদিকতা উভয় পেশাই ঝুঁকিপূর্ণ। সাংবাদিকরা ঝুঁকি নিয়ে করোনাকালে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে তথ্য দিয়ে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছেন।

    তিনি বলেন, সাংবাদিকদের সাথে ‎র‌্যাবের পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ পেশাগত সম্পর্ক আগামীতে আরও সুদৃঢ় হবে।

    সভাপতির বক্তব্যে ক্র্যাব সভাপতি আবুল খায়ের বলেন, পুলিশ মানবিকতার ঊর্ধ্বে উঠে করোনাকালে জনগণকে সেবা দিয়েছে। পুলিশের সাথে সাংবাদিকদের সৌহার্দ্যপূর্ণ পেশাগত সম্পর্ক রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।

  • পুলিশ সদস্যদের আরো আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    পুলিশ সদস্যদের আরো আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    প্রধানমন্ত্রী নবীন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বাংলাদেশকে সকলে মিলে আমাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’

    তিনি বলেন, বাংলাদেশ যদি উন্নত হয়, তবে, গ্রাম, গঞ্জে ছড়িয়ে থাকা আপনাদের আত্বীয়-স্বজন এবং পরিবারের সদস্যরাই উপকৃত হবে। তাদের জীবন সুন্দর হবে, তারাই নিরাপদে বাঁচতে পারবেন বা ভবিষ্যত বংশধরদের জীবনটা সুন্দর হবে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত অসাম্প্রদায়িক উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের সরকারেরও সেটাই দায়িত্ব, বলেন তিনি।

    নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের মাধ্যমে পুলিশ বাহিনী সব সময় সরকারের পাশে রয়েছে, উল্লেখ করে সরকার প্রধান নবীন কর্মকর্তাদের ‘আগামীর কর্ণধার’ আখ্যায়িত করে দায়িত্ব পালনে আরো আন্তরিক হবার পরামর্শ দেন।

    শেখ হাসিনা এ সময় ১৯৭৫ সালের ১৫ জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পুলিশ সপ্তাহে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে জাতির পিতা প্রদত্ত ভাষণের উল্লেখযোগ্য অংশ উদ্ধৃত করেন।

    জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘একটা কথা ভুললে চলবে না তোমাদের। তোমরা স্বাধীন দেশের পুলিশ, তোমরা ইংরেজের পুলিশ নও, তোমরা পাকিস্তানি শোষকদের পুলিশ নও, তোমরা জনগণের পুলিশ। তোমাদের কর্তব্য জনগণকে সেবা করা, জনগণকে ভালোবাসা, দুর্দিনে জনগণকে সাহায্য করা।’

    জাতির পিতার এই বক্তব্যকে প্রতিটি নবীন পুলিশ সদস্যকে চলার পথের পাথেয় হিসেবে গ্রহণ করে সেভাবেই দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। একইসঙ্গে জাতির পিতার ‘আপনাদের মানুষ যেন ভয় না করে। আপনাদের যেন মানুষ ভালোবাসে। অনেক দেশে পুলিশকে মানুষ শ্রদ্ধা করে। আপনারা শ্রদ্ধা অর্জন করতে শিখুন’ উদ্ধৃতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী পুলিশ সদস্যদের জনগণের আস্থা ও ভালবাসা অর্জনে ব্রতী হওয়ারও আহ্বান জানান।

    পুলিশের বাজেট ২০০৯ সালের ৩ হাজার কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ১৬ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে, উল্লেখ করে সরকার প্রধান অপরাধ দমনে পুলিশের নতুন ইউনিট প্রতিষ্ঠাতেও তাঁর সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরেন।

    পিবিআই, ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ পুলিশ, স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়ন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, নারী আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, এয়ারপোর্ট আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও কক্সবাজার এলাকার নিরাপত্তার জন্য দু’টি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন গঠন করার তথ্যও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

    তিনি বলেন, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে পুলিশ এন্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ) এবং কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) গঠন করা হয়েছে।

    এছাড়া, অপরাধী শনাক্তকরণ এবং তদন্তে প্রকৃত তথ্য উদ্ঘাটনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশের সাইবার পুলিশ সেন্টার, ডিএনএ ল্যাব, অটোমেটেড ফিঙ্গার প্রিন্ট আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম এবং আধুনিক রাসায়নিক পরীক্ষাগার স্থাপন করা হয়েছে, বলেন তিনি।

    শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ পুলিশে সংযোজিত হতে যাচ্ছে সর্বাধুনিক অপারেশনাল গিয়ার ‘ট্যাকটিক্যাল বেল্ট’ যাতে অপারেশনাল ডিউটিতে অফিসার এবং ফোর্সগণ হ্যান্ডফ্রি রেখে অধিকতর দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে পারেন।

    পুলিশের জন্য কমিউনিটি ব্যাংক, আটটি বিভাগীয় শহরে বাংলাদেশ পুলিশ পরিচালিত আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের উদ্যোগ এবং বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিকে ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ হিসেবে গড়ে তুলতে তাঁর সরকারের পদক্ষেপ সমূহও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

    করোনার কারণে ‘মুজিববষের্’ পুলিশের জন্য গৃহীত ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা সম্ভবপর না হওয়ায় সেখানকার বাজেট গৃহহীনদের জন্য তাঁর সরকারের গৃহ নির্মাণ কর্মসূচিতে ব্যয়ের পদক্ষেপ গ্রহণ করায় প্রধানমন্ত্রী সকল পুলিশ সদস্যকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

    ‘মুজিববর্ষে দেশের একটি মানুষও আর গৃহহীন থাকবে না’ এবং ‘দেশের সকল ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের মাধ্যমে সমগ্র দেশকে আলোকিত করায় তাঁর সরকারের অঙ্গীকারের কথাও এ সময় পুণর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার কারণে বিশ^ব্যাপী একটি স্থবির অবস্থার সৃষ্টি হলেও বাংলাদেশ পুলিশ অত্যন্ত সাহসী ভূমিকা পালন করেছে।’
    মৃতের সৎকার বা রোগাক্রান্তকে চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া বা ঘরে ঘরে রিলিফ পৌঁছে দেয়ায় পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী কর্তব্য পালনকালে মৃত্যু বরণকারী পুলিশ সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।

    তিনি আরো বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রে আত্বীয়-স্বজন লাশ ফেলে চলে গেছে কিন্তু আমার পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা সেখানে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।’

    সে কারণে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের চিকিৎসার জন্য রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের পাশাপাশি তিনি একটি হাসপাতাল ভাড়া করে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

  • কক্সবাজারের এসপি মাসুদসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৬ কর্মকর্তা বদলি

    কক্সবাজারের এসপি মাসুদসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৬ কর্মকর্তা বদলি

    কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন সহ বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ছয় কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। তাকে রাজশাহী জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে বদলি করা হয়েছে। আর কক্সবাজার জেলার এসপি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে ঝিনাইদহ জেলার এসপি হাসানুজ্জামানকে।

    বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

    প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জনস্বার্থে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।

    অন্যান্যদের মধ্যে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবিরকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার, পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. মাসুদুর রহমানকে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার, ডিএমপির উপ-কমিশনার (ডিসি) মুনতাসিরুল ইসলামকে ঝিনাইদহ জেলার এসপি এবং রাজশাহী জেলার এসপি মো. শহিদুল্লাহকে ডিএমপি সদরদফতরে ডিসি হিসেবে পাঠানো হয়েছে। আদেশটি অবিলম্বে কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

    উল্লেখ্য, সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেনকে আসামি করার জন্য আদালতে বৃহস্পতিবার সকালে আবেদন করেছিলেন বাদী শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস। জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহ এর আদালত বিকেলে আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন।

    বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. মোস্তফা জানান, মেজর সিনহা হত্যা মামলার আসামি হিসেবে পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেনকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বাদী ফৌজদারি আবেদন করেন।

    শুনানি শেষে বিকেলে দেয়া এক আদেশে আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মাদকমুক্ত পুলিশ গড়তে ‘জিরো টলারেন্স’ : আইজিপি

    মাদকমুক্ত পুলিশ গড়তে ‘জিরো টলারেন্স’ : আইজিপি

    ‘প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে দুর্নীতিমুক্ত-মাদকমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলস কাজ করছেন। আমরা তার নির্দেশনা অনুযায়ী মাদকমুক্ত দেশ গড়তে বাংলাদেশ পুলিশকে মাদকমুক্ত-দুর্নীতিমুক্ত করতে শূন্য সহিষ্ণুতার (জিরো টলারেন্স) নীতিতে কাজ করছি। পুলিশের কোনো সদস্য মাদক গ্রহণ করবে না, মাদক ব্যবসায় জড়িত হবে না, মাদকের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে না। পুলিশ হবে মাদকমুক্ত। আমরা বাংলাদেশকে মাদকমুক্ত করতে চাই।’

    শনিবার সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে এসআই শিরু মিয়া মিলনায়তনে পুলিশ কর্মকর্তা ও ফোর্সের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ কথা বলেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার)।

    পুলিশপ্রধান বলেন, বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় পুলিশি সেবা পৌঁছে দিতে আমরা কাজ করছি। আমরা জনগণের সাথে জনগণের পুলিশ হয়ে থাকতে চাই। পুলিশকে শারীরিক শক্তি ব্যবহার না করে আইনি সক্ষমতা প্রয়োগ ও মানবিক মূল্যবোধে উজ্জীবিত হয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

    বর্তমান করোনাকালে জনগণকে সুরক্ষা, আইনি ও নিরাপত্তা সেবা প্রদানে পুলিশের অনন্য অবদানের প্রসঙ্গ তুলে ধরে আইজিপি বলেন, গত তিন মাসে পুলিশ জনগণের কল্যাণে অভূতপূর্ব নজির স্থাপন করেছে। পুলিশ মানুষের বিশ্বাস, সম্মান ও আস্থা অর্জন করেছে। পুলিশকে তাদের হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান দিয়েছে। মানুষকে ভালোবাসলে মানুষের ভালোবাসা পাওয়া যায়।

    তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি উন্নত আধুনিক দেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে কাজ করছেন। ২০৪১ আসতে মাত্র ২১ বছর বাকি রয়েছে। আমরা এ সময়ের মধ্যেই উন্নত দেশের উপযোগী পুলিশ বাহিনী গড়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি।

    আইজিপি করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে জীবন উৎসর্গকারী শহীদ পুলিশ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান।

    অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজি, ঢাকায় পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান, ঊধ্বর্তন পুলিশ কর্মকর্তা এবং পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • দুর্নীতি করে বড়লোক হতে চাইলে পুলিশের চাকরি ছেড়ে ব্যবসা করুন:আইজিপি

    দুর্নীতি করে বড়লোক হতে চাইলে পুলিশের চাকরি ছেড়ে ব্যবসা করুন:আইজিপি

    বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘কোনো পুলিশ সদস্য অবৈধভাবে কোনো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন না। দুর্নীতির সাথে যুক্ত হয়ে কেউ যদি বড়লোক হতে চায়, তাহলে সে চাকরি ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা করুক, বড়লোক হোক, আমরা তাকে সাধুবাদ জানা‌ব। কিন্তু, পুলিশে থেকে কোনোভাবেই দুর্নীতির সাথে যুক্ত থাকা যা‌বে না।’

    রোববার সন্ধ্যায় সিএমপি, কেএমপি আরএমপি, বিএমপি, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল রেঞ্জ, স্পেশাল ব্রাঞ্চ, সিআইডি, র‍্যাব পিবিআই, রেলওয়ে, টুরিস্ট, হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ এবং পুলিশ স্টাফ কলেজ, বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, সারদার প্রধান এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এ তিনি কথা বলেন।

    সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানায় পুলিশ সদর দফতর।

    আইজিপি বলেন, ‘আমরা বর্তমান প্রচলিত ধারা থেকে বেরিয়ে পুলিশি সেবা জনগণের কাছে নিয়ে যেতে চাই। পুলিশি সহায়তা পেতে জনগণকে এখন পুলিশের কাছে আসতে হয়। আমরা এমন একটি ব্যবস্থা চালু করতে চাই, যাতে জনগণকে পুলিশের কাছে আসতে না হয়, বরং পুলিশই জনগণের কাছে সেবা নিয়ে যাবে।’

    বিট পুলিশি়ংয়ের মাধ্যমে পুলিশকে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে ইউনিট প্রধানদের নির্দেশনা প্রদান করেন আইজিপি।

    তিনি বলেন, আমাদের দেশের প্রতিটি ইউনিয়নকে একেকটি বিটে ভাগ করে প্রতিটি বিটের দায়িত্বে একজন পুলিশ কর্মকর্তা‌কে নি‌য়োজিত করা হবে। তিনি নিয়মিত ওই ইউনিয়নের মানুষের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা ইত্যাদির খোঁজখবর করবেন, প্রতিনিয়ত তাদের সাথে যোগাযোগ রাখবেন, তাদের মতামত জানবেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের সমস্যার সমাধান করবেন এবং কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদান করবেন।

    কনফারেন্সে বর্তমান করোনাকালে পুলিশের সেবার কথা উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, করোনার সময় জনগণকে আমাদের কাছে আসতে হয়নি। আমরা জনগণের কাছে গিয়েছি, তাদের পাশে থেকেছি, তাদের করোনা সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখতে গিয়ে নিজেরা আক্রান্ত হয়েছি, জীবন বিলিয়ে দিয়েছি। তাদের বাসায় খাবার পৌঁছে দিয়েছি, যাতায়াতের ব্যবস্থা করেছি, তাদের ধান কাটার ব্যবস্থা করেছি, করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তির আপনজনরা যখন কাছে আসেনি তখন আমরা তার দাফন এবং সৎকারের ব্যবস্থা করেছি। এটা আমাদের দায়িত্ব ছিল না, কিন্তু আমরা মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে কাজটি করেছি।

    ‘একদিন করোনা থাকবে না, তখনও মানুষের আস্থা, ভালোবাসা ধরে রাখার জন্য আমাদের নিরন্তর প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে।’ সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ ও মানুষের কল্যাণে একযোগে কাজ করতে হবে বলে সহকর্মীদের জানান আইজিপি।

    তিনি বলেন, ‘জনগণকে ভালোবাসতে হবে, তাদের পাশে থাকতে হবে, তাদের জন্য কাজ করতে হবে। দায়িত্ব পালনকালে নিপীড়ন-নির্যাতন থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আইনি সক্ষমতাকে কাজে লাগাতে হবে। পুলিশকে সব ধরনের নির্যাতন থেকে বেরিয়ে এসে জনগণের পুলিশ হতে হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনায় জীবন দিলেন পুলিশের ২১তম সদস্য এনামুল

    করোনায় জীবন দিলেন পুলিশের ২১তম সদস্য এনামুল

    করোনায় জীবন দিলেন আরও এক বীর পুলিশ সদস্য। তিনি দিনাজপুর জেলা পুলিশের কনস্টেবল মোঃ এনামুল হক (৪৩)।

    বুধবার (১০ জুন) উন্নত চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্স যোগে ঢাকায় আনার পথে তার মৃত্যু হয়।

    পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

    তিনি দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

    তার অবস্থার অবনতি হতে থাকলে ডিআইজি, রংপুর রেঞ্চ ও এসপি, দিনাজপুরের উদ্দোগে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা জন্য এ্যাম্বুলেন্স যোগে প্রেরন করা হলে চান্দুরা নামক স্থানে মৃত্যু বরণ করেন।

    তিনি পঞ্চগড় জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে,এক মেয়ে সহ অনেক আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন।

    পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ব্যবস্থাপনায় মরহুমের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো, যথাযথ প্রক্রিয়ায় দাফন সহ অন্যান্য কার্যক্রম চলমান।

    করোনা যুদ্ধে এ নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের ২১ জন গর্বিত সদস্য জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে গিয়ে জীবন উৎসর্গ করেছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনায় জীবন দিলেন পুলিশের ২০তম সদস্য ইন্সপেক্টর জলিল

    করোনায় জীবন দিলেন পুলিশের ২০তম সদস্য ইন্সপেক্টর জলিল

    করোনায় জীবন দিলেন আরো এক পুলিশ সদস্য। তিনি কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের ইন্সপেক্টর মো. আব্দুল জলিল (৫৫)।

    মঙ্গলবার (৯ জুন) দুপুরে করোনাক্রান্ত হয়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

    বুধবার (১০ জুন) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সদর দফতর।

    পুলিশের ব্যবস্থাপনায় মৃত পুলিশ সদস্যের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়। সেখানে জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে জানাজা শেষে মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

    তিনি নওগাঁ জেলার আত্রাই থানার দীপ চাঁদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি স্ত্রী, দুই পুত্রসহ অনেক আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন।

    করোনাযুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের ২০ জন সদস্য জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে গিয়ে জীবন উৎসর্গ করেছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ২৪ ঘণ্টায় পুলিশে করোনায় আক্রান্তের নতুন রেকর্ড

    ২৪ ঘণ্টায় পুলিশে করোনায় আক্রান্তের নতুন রেকর্ড

    বিগত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশ পুলিশের ৪০৬ জন সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এটিই পুলিশ বাহিনীতে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড।

    সবমিলিয়ে, সোমবার (৮ জুন) দুপুর পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলার এ বাহিনীতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৬১২ জনে। গতকাল এই সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ২০৬।

    এর আগে গত ৪ জুন একদিনে সর্বোচ্চ ৩২৪ জন পুলিশ কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হন। সংক্রমণের শুরু থেকে একক পেশা হিসেবে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন পুলিশের সদস্যরা।

    পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, করোনায় আক্রান্ত বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) এক হাজার ৮৫০ জন সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন।

    সুচিকিৎসা ও সুনিবিড় পরিচর্যায় সোমবার পর্যন্ত পুলিশের ২ হাজার ৮২৩ জন সদস্য করোনাজয় করেছেন।

    আজ পর্যন্ত পুলিশের মোট ২ হাজার ৩২ জন করোনার উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন। আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৬ হাজার ৪৭৪ জন পুলিশ কর্মকর্তা।

    চলমান করোনাযুদ্ধে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত ও সংযুক্ত মোট ১৯ সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন। যার মধ্যে ১৮ জন পুলিশ কর্মকর্তা বাকি একজন সিভিল কর্মকর্তা যিনি পুলিশে সংযুক্ত ছিলেন।

    পুলিশ সদরদফতর জানায়, পুলিশ সদস্যদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি কমাতে মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের নির্দেশে বিভিন্ন ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে আক্রান্ত পুলিশদের জন্য সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করতে বেসরকারি হাসপাতাল ভাড়া করাসহ সকল পুলিশ হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ উন্নত চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সংযোজন করা হয়েছে।

    এ বিষয়ে পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, ‘মাঠে নিয়োজিত সদস্যরা যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে ও সুরক্ষিত থাকতে পারেন, সেজন্য সচেতনতার পাশাপাশি সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি জানানো হচ্ছে। সিনিয়র অফিসাররাও বিভিন্ন ইউনিটে গিয়ে তাদের সঙ্গে এসব নিয়ে কথা বলছেন। সুরক্ষা সামগ্রী ও পর্যাপ্ত জীবাণুনাশক সরবরাহে এবং ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে।’

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ২৪ ঘণ্টায় পুলিশে করোনায় আক্রান্তের রেকর্ড

    ২৪ ঘণ্টায় পুলিশে করোনায় আক্রান্তের রেকর্ড

    বৈশ্বিক মহামারী প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৩২৪ জন সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

    এটিই পুলিশ বাহিনীতে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড। এ নিয়ে আইনশৃঙ্খলার এই বাহিনীতে মোট ৫ হাজার ৮৩১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল এই সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৫০৭।

    সংক্রমণের শুরু থেকে একক পেশা হিসেবে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন পুলিশের সদস্যরা।

    বৃহস্পতিবার (৪ জুন) সকালে পুলিশে আক্রান্তের বিষয়ে আপডেট করা তথ্য থেকে এসব জানা গেছে। এর আগে গত ১৬ মে একদিনে পুলিশ বাহিনীতে সর্বোচ্চ ২৪১ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন।

    পুলিশ সদরদফতর ও ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, চলমান করোনাযুদ্ধে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত ও সংযুক্ত মোট ১৭ সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন। যার মধ্যে ১৫ জন পুলিশ কর্মকর্তা বাকি দুজন সিভিল কর্মকর্তা যারা পুলিশে সংযুক্ত ছিলেন।

    করোনায় আক্রান্ত পুলিশের সদস্যদের মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) এক হাজার ৭৭৭ জন সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। এদিকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের ২ হাজার ১২২ জন পুলিশ সদস্য করোনা জয় করে সুস্থ হয়েছেন।

    এ পর্যন্ত পুলিশের মোট এক হাজার ৬৪০ জন করোনার উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন। আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৫ হাজার ৫৫৯ জন পুলিশ কর্মকর্তা।

    পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, ‘মাঠে নিয়োজিত সদস্যরা যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে ও সুরক্ষিত থাকতে পারেন, সেজন্য সচেতনতার পাশাপাশি সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি জানানো হচ্ছে। সিনিয়র অফিসাররাও বিভিন্ন ইউনিটে গিয়ে তাদের সঙ্গে এসব নিয়ে কথা বলছেন। সুরক্ষা সামগ্রী ও পর্যাপ্ত জীবাণুনাশক সরবরাহে এবং ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে।’

    পুলিশ সদস্যদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি কমাতে মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের নির্দেশে বিভিন্ন ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে আক্রান্ত পুলিশদের জন্য সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করতে বেসরকারি হাসপাতাল ভাড়া করাসহ সব পুলিশ হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ উন্নত চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সংযোজন করা হয়েছে।

    এদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৫ জন মারা গেছেন। ফলে করোনায় মোট মারা গেলেন ৭৮১ জন। একই সময়ে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৪২৩ জন। ফলে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৭ হাজার ৫৬৩ জনে।

  • ৫ হাজার ছাড়াল করোনা আক্রান্ত পুলিশের সংখ্যা

    ৫ হাজার ছাড়াল করোনা আক্রান্ত পুলিশের সংখ্যা

    প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ২৬১ জন পুলিশ সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। পুলিশে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা এটিই। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে পুলিশে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১২৯ জনে।

    সোমবার (১ জুন) সকাল পর্যন্ত সারাদেশের পুলিশ ইউনিটের তথ্য বিশ্লেষণে আক্রান্তের বিষয়টি জানা গেছে।

    এর আগে গত ১৬ মে একদিনে সর্বোচ্চ ২৪১ জন পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।

    পুলিশের করোনা কন্ট্রোল রুম সুত্রে জানা গেছে, আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সদস্য ১ হাজার ৬৫৮ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যই বেশি।

    ডিএমপি জানায়, করোনায় মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা ছাড়াও তাদের দু’জন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) ও একজন সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পদমর্যাদার কর্মকর্তা আক্রান্ত হয়েছেন।

    সারাদেশের পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা গেছে, করোনা আক্রান্ত সন্দেহে আরও ১ হাজার ২০৬ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসায় ৫ হাজার ১৬২ জন কর্মকর্তাকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। করোনাভাইরাসমুক্ত হয়ে ১ হাজার ৮৭৬ পুলিশ সদস্য বাড়ি ফিরেছেন। মৃত্যুবরণ করেছেন ১৫ জন পুলিশ সদস্য।

    এদিকে করোনা আক্রান্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের দেখভালে উচ্চপদস্থ পরিদর্শন টিম গঠন করেছেন আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ। তারা নিয়মিত পুলিশ সদস্যদের খোঁজ-খবর রাখছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • নতুন আইজিপি বেনজীর আহমেদ

    নতুন আইজিপি বেনজীর আহমেদ

    ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) ইন্সপেক্টর জেনারেল, বাংলাদেশ পুলিশ (আইজিপি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখার প্রজ্ঞাপন নং:৮৮.০০.০০০০.০৯৪.১৯.০০১.১৯.৩৪১ মোতাবেক বুধবার (৮ এপ্রিল) তাকে ইন্সপেক্টর জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।

    আগামী ১৫ এপ্রিল ২০২০ তারিখ থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে। তিনি বর্তমান ইন্সপেক্টর জেনারেল বাংলাদেশ পুলিশ ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার) এর স্থলাভিষিক্ত হবেন। সপ্তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৮ সালে তিনি সরাসরি বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে যোগদান করেন।

    একজন দক্ষ, পেশাদার, আধুনিক ও বিজ্ঞানমনস্ক পুলিশ অফিসার বেনজীর তার বর্ণাঢ্য চাকরি জীবনে র‌্যাবের মহাপরিচালক, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে ডিআইজি (প্রশাসন ও অপারেশন্স) ও ডিআইজি (ফিন্যান্স অ্যান্ড বাজেট) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি পুলিশ সুপার হিসেবে কিশোরগঞ্জ জেলায় দায়িত্ব পালন করেছেন।

    তিনি ২০১০-২০১৫ মেয়াদে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জনগণের সেবা প্রাপ্তির বিষয়টি আরও সহজতর ও গতিশীল করার লক্ষ্যে তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে থানার সংখ্যা, জনবল ও ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের তদারকী বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন। ফলে তার কর্মকালের প্রায় সূচনালগ্নেই তিনি ডিএমপিতে ৪ টি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, ৫ টি যুগ্ম কমিশনার, ৭ টি ডিসির পদসহ ৮ টি থানার জনবলের পদ সৃজন করেন।

    ডিএমপি কমিশনার হিসেবে তিনি ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজত বিরোধী আন্দোলন অত্যন্ত সাহসিকতা, বুদ্ধিমত্তা ও দক্ষতার সাথে মোকাবেলা করেন এবং ঢাকা শহর তথা দেশকে এক মারাত্মক বিপর্যয় থেকে মুক্ত করেন। এছাড়াও ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালের রাজনৈতিক অগ্নিসন্ত্রাস ও বোমা সন্ত্রাস অত্যন্ত সাহসিকতা, দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সাথে দমন করেন। বিশেষ করে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চার মাস ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক বহুসংখ্যক ভয়াবহ অগ্নিসন্ত্রাস, বোমা সন্ত্রাস ও পুলিশকে টার্গেট করে আক্রমন তিনি অত্যন্ত দক্ষতা, সাহসিকতা ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের মাধ্যমে দমন করেন।

    ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি তিনি র‌্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহন করেন। র‌্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে দৃঢ়তার সাথে দায়িত্বপালন করে তিনি সুন্দরবনকে দস্যু মুক্ত করেন। যা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বহু বছরের আইন-শৃঙ্খলাজনিত সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত ছিল। নারায়ণগঞ্জ জেলার ৭ হত্যা মামলাসহ কতিপয় ঘটনার ক্ষেত্রে যখন র‌্যাবের ভূমিকা ও ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ এবং র‌্যাব সদস্যদের মনোবল ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম তখন তিনি দৃঢ়তার সাথে সেই নাজুক পরিস্থিতি মোকাবেলা করেন। সদস্যদের মনোবল চাঙ্গা করার পাশাপাশি জনসম্মুখে র‌্যাবের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

    তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও গুরুত্বপূর্র্ণ দায়িত্বপালন করেছেন। ড. বেনজীর আহমেদ উপমহাদেশের মধ্যে প্রথম যিনি নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ডিপার্টমেন্ট অব পিস কিপিং অপারেশন্স এর অধীন মিশন ম্যানেজমেন্ট এন্ড সাপোর্ট সেকশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি কসোভো মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের কন্টিনজেন্ট কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন।

    বেনজীর আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি এলএলবি ও এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। লেখাপড়ার প্রতি তার ঐকান্তিক আকর্ষণের কারণেই সর্বশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ফ্যাকাল্টি থেকে ডক্টর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ডিবিএ) ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ একাডেমিতে পেশাগত বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে তিনি রেক্টর’স মেডেল প্রাপ্তির কৃতিত্ব অর্জন করেন। এছাড়াও চাকরি জীবনে তিনি বিভিন্ন সময়ে সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রেকর্ড সংখ্যক সর্বোচ্চ ছয়বার বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-কে ভূষিত হয়েছেন। এই দূরদর্শী ও প্রজ্ঞাবান কর্মকর্তা বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশন এর তিনবার সভাপতির পদ অলংকৃত করেছেন।

    তিনি ১৯৬৩ সালে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিবাহিত এবং তিন কন্যা সন্তানের জনক।

  • বাংলাদেশ পুলিশ জনতার পুলিশে রূপান্তরিত হয়েছে:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    বাংলাদেশ পুলিশ জনতার পুলিশে রূপান্তরিত হয়েছে:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো: আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে পুলিশ বাহিনী চেয়েছিলেন, বাংলাদেশ পুলিশ ধীরে ধীরে সেই ধরনের পুলিশের যোগ্যতা অর্জন করেছে। জনতার পুলিশে রূপান্তরিত হয়েছে।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে আয়োজিত ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

    ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা: শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো: মোস্তাফা কামাল উদ্দীন ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।

    এছাড়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য, বিভিন্ন রাষ্ট্রের কূটনৈতিকবৃন্দ, পুলিশের সাবেক আইজিপিগণ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, শিল্পী, সংস্কৃতিকর্মী, চলচ্চিত্র অভিনেতা-অভিনেত্রী ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একটি চক্র বাংলাদেশকে জঙ্গিরাষ্ট্র বানানোর জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করেছিল, বর্তমান সরকারের আমলে পুলিশের দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের কারণে সেখান থেকে ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে বেরিয়ে এসেছে।

    তিনি বলেন, ‘মাদকের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। জঙ্গিবাদ নিমূল হয়েছে, মাদকের বিরুদ্ধে জয় আমাদের হবেই’।

    আসাদুজ্জামান খান বলেন, পুলিশ আজ জনগণের পুলিশ হিসেবে গঠিত হচ্ছে, পুলিশ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিচ্ছে।জঙ্গি, সন্ত্রাস ও মাদক নিমূলে পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করছে।

    তিনি পুলিশের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশকে উন্নত দেশে রুপান্তরিত করতে হলে নিরাপত্তার বিকল্প নেই। দেশের উন্নয়ন ধরে রাখতে হলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগের চেয়ে পুলিশের সক্ষমতা অনেক বেড়েছে।পুলিশ জনতার সাথে মিশছে, জনতাও তাদের সহযোগিতা করছে।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন বলেন, ‘আমরা পুলিশকে এমন একটি অবস্থানে নিয়ে গেছি এখন কেউ অপরাধ করে পালিয়ে থাকতে পারে না। ধরা পড়তেই হবে’।

    পুলিশকে পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করতে হবে উল্লেখ করে আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, পুলিশে জনবল, যানবাহন ও লজিস্টিক সাপোর্টেও সীমাবদ্ধতা রয়েছে,অনেক চ্যালেঞ্জ আছে তারপরও থানাকে সকল সেবার কেন্দ্র বিন্দু করতে হবে। জনগণ যাতে নির্ভয়ে তাদের অভিযোগ জানাতে পারে থানায় আগতদের সেই সেবা নিশ্চিত করতে হবে।

    তিনি বলেন, ঢাকাকে নিরাপদ রাখতে ৩৫ হাজার পুলিশ সদস্য নিরাপত্তায় কাজ করছে। ঢাকাকে নিরাপদ শহর হিসেবে গড়ে তোলা হবে। কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে জঙ্গি, মাদক ও সন্ত্রাস নিমূলে কাজ করছে পুলিশ।

    ডিএমপি কমিশনার মোহা: শফিকুল ইসলাম বলেন, অপরাধ মুক্ত শহরের স্বপ্ন আমরা দেখতেই পারি, তবে পৃথিবীর কোন শহরই অপরাধ মুক্ত নয়, ঢাকা শহরকে অপরাধমুক্ত করতে আমরা চেষ্টা করছি।থানাগুলোতে সেবা প্রত্যাশীরা ঠিকমতো সেবা পাচ্ছে কিনা, আমরা সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তার মাধ্যমে তা মনিটরিং করছি। সেবা প্রত্যাশীদের সাথে কথা বলছি,তারা কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছে কিনা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

    এর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি শুরু হয়ে শেষ হয় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে গিয়ে। র‌্যালিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সকল স্তরের পুলিশ সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও যুক্ত ছিল ডিএমপির সুসজ্জিত ব্যান্ড দল, সোয়াট, বোম্ব ডিসপোসাল ইউনিটসহ অন্যান্য ইউনিটের সদস্যরা।

    এছাড়াও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৪৫তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে সন্ধ্যায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনস্ মাঠে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    এ অনুষ্ঠানে দেশের খ্যাতনামা অভিনেতা, অভিনেত্রী , সংগীত ও নৃত্যশিল্পীরা এবং বাংলাদেশ পুলিশ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের শিল্পীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন ।