Tag: বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট

  • বনজ সম্পদ রক্ষায় গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে : চসিক মেয়র

    বনজ সম্পদ রক্ষায় গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে : চসিক মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, দেশের বনজ সম্পদ রক্ষায় গবেষণার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। গবেষণা কাজে নিয়োজিত বিজ্ঞানীরা হলেন দেশের সম্পদ। তাদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি আধুনিক বিশ্বের সাথে আমাদেরকে বসবাসে উপযোগী করে তোলে। তাই বনজ সম্পদ রক্ষা ও সম্প্রসারণ গবেষণার কোন বিকল্প নাই।

    তিনি আজ বিকেলে নগরীর মুরাদপুরস্থ বিএফআরআই মিলনায়তনে বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট এর উদ্ভাবিত প্রযুক্তি সম্পর্কিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মো. মাসুদুর রহমান। শুরুতে প্রতিষ্ঠানের মুখ্য গবেষণা কর্মকর্তা বিজ্ঞানী রফিকুল হায়দার তাদের গবেষণা কার্যক্রমের একটি সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।

    এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাজনৈতিক নেতা এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, মোহাম্মদ সরোয়ার্দী।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র আরো বলেন, আগে বনজ সম্পদের উপর কোন গবেষণা ছিলো না, এখন যা হচ্ছে। আগে প্রাকৃতিকভাবে বন সৃষ্টি হতো। তখন মানুষ নিজের প্রয়োজনে বন সম্পদকে নিজের উপযোগী করে ব্যবহার করতো। এখন যেমন কাঠের বিকল্প বাঁশ ব্যবহার হচ্ছে।

    তিনি বলেন, এখন দেশে জনসংখ্যা যেমন বেড়েছে তেমনি খাদ্য উৎপাদন ও বেড়েছে। খাদ্যে এখন বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। ১৬ কোটি মানুষের দেশে খাদ্য ঘাটতি এখন নাই বললেই চলে। কাজেই সবক্ষেত্রেই গবেষণার কোন বিকল্প নাই। মেয়র বন গবেষণার কাজে নিয়োজিত বিজ্ঞানীদের গবেষণা কার্যক্রম দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    উল্লেখ্য ১৯৫৫ সালে বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়।

  • ‘বৃক্ষের উপর চাপ কমাতে বাঁশের যোজিত আসবাব ব্যবহারের বিকল্প নেই’

    ‘বৃক্ষের উপর চাপ কমাতে বাঁশের যোজিত আসবাব ব্যবহারের বিকল্প নেই’

    বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই)- এর মিলনায়তনে ‘বাঁশের যোজিত পণ্য তৈরির কৌশল’ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    আজ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মো: মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালাটি শুরু হয়।

    এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএফআরআই এর সাবেক পরিচালক ড. খুরশীদ আকতার। এছাড়া বাঁশের যোজিত পণ্য তৈরির কৌশল বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিভাগীয় কর্মকর্তা ড. মো: মাহবুবুর রহমান এবং রিসার্চ অফিসার জনাব মো: মাহবুবুর রহমান।

    মূল প্রবন্ধে ড. খুরশীদ আকতার বলেন, ‘জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের বাঁশ প্রয়োজন। ভবিষ্যত পৃথিবীতে বাঁশের তৈরি আসবাবই হয়ে উঠবে সবচেয়ে নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব।

    বাঁশ যেমন ঝাড়ে থাকা অবস্থায় আমাদের অক্সিজেন দেয় আবার কেটে এর দ্বারা আসবাব তৈরির মাধ্যমে কার্বনও ধরে রাখা যায়। যার ফলে আসবাব সামগ্রী তৈরিতে বাঁশ পরিবেশের জন্য একটি টেকসই সমাধান হতে পারে।’

    তিনি বাঁশের উপকারিতার কথা কমৃশালায় উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রচারের জন্য অনুরোধ করেন।

    কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন এ কে খান গ্রুপের পরিচালক শামছুদ্দিন খান। তিনি বলেন, ‘যেভাবে দিন দিন প্রকৃতি থেকে গাছপালা কমে যাচ্ছে তাতে ভবিষ্যতে বাঁশের যোজিত আসবাব ছাড়া আর বিকল্প কিছু থাকবেনা। তাই এর উন্নতি ও প্রসারে আরো গবেষণা প্রয়োজন।

    বাঁশের তৈরি আসবাবের প্রতি মানুষের কিছু ঋনাত্বক ধারণা আছে। তাই সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এসব আসবাবপত্র বাজারজাত করা খুব কঠিন। বাঁশের তৈরি আসবাব কাঠের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়-এ বিষয়টির স্বীকৃতি প্রদানে বিএফআরআই-এর কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।’

    তিনি বাঁশ ট্রিটমেন্টের জন্য ছোট-ছোট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন করার জন্য বিএফআরআইকে অনুরোধ করেন। তিনি বাঁশের যোজিত আসবাব তৈরির উন্নততর কৌশল প্রশিক্ষণের জন্য চীন থেকে প্রশিক্ষক আনার প্রস্তাব দেন এবং বাঁশের যোজিত আসবাব তৈরির কারখানাকে কৃষিজাত কারখানা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবী করেন।

    এ কে খান গ্রুপের প্রধান সমন্বয়ক শেরফেনাজ খান বলেন, ‘চীন যে প্রজাতির বাঁশ দিয়ে আসবাব তৈরি করে সেগুলোর উৎপাদন বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ নিতে হবে।’ তিনি এ কে খান গ্রুপকে বাঁশের তৈরি আনবাব নির্মাণে কারিগরি সহায়তা প্রদানের জন্য বিএফআরআই এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

    সভাপতির বক্তব্যে ড. মো: মাসুদুর রহমান বলেন, ‘বাঁশের তৈরি আসবাব এখন শুধু বাংলাদেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, সারা বিশ্বের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। বাঁশ আমাদের জন্য একটি আর্শীবাদ, এটিকে টেকসইভাবে ব্যবহার করতে হবে। বৃক্ষের উপর চাপ কমাতে বাঁশের যোজিত আসবাব ব্যবহারের বিকল্প নেই।’

    তিনি আশা প্রকাশ করেন বাংলাদেশের পরবর্তী বাজেটেই ‘গ্রীন বাজেট’ শব্দটি যুক্ত হবে। ধরীত্রিকে সুন্দর রাখার জন্য যারা কাজ করবেন তাদেরকে সরকার অবশ্যই একসময় প্রণোদনা দিবেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

    এ কে খান গ্রুপ বিএফআরআই কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘আঞ্চলিক বাঁশ গবেষণা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, নীলফামারী’-তে বাঁশের তৈরি আসবাব সরবরাহ করায় ধন্যবাদ জানান।

    কর্মশালায় এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, সেন্টার ফর যাকাত ফাউন্ডেশন, চট্টগ্রামের ম্যানেজার (বিজনেস প্রমোশন), মো: শাহজাহান, এরিয়া ম্যানেজার ড. মো: বিল্লাল হোসেন। সিএমটি ইন্টারন্যাশনাল এর জনাব লিলি চাকমা, ফরহাদ জামান জনি। ‘অর্বাচীন’ এর নকশাকার জনাব আশীষ দেব অভি। হাটহাজারী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোক্তার বেগম। বাংলাদেশ ফার্নিচার মালিক সমিতির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নুরুল আমিন খান।

    সবশেষে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে কর্মশালার সভাপতি কর্মশালার সমাপ্তি ঘোষণা করেন। কর্মশালাটি সমন্বয় করেন প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি হস্তান্তর ইউনিট এর সদস্য-সচিব মো: জহিরুল আলম।

  • সীতাকুণ্ডে বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রযুক্তি পরিচিতি বিষয়ক কর্মশালা

    সীতাকুণ্ডে বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রযুক্তি পরিচিতি বিষয়ক কর্মশালা

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : বাংলাদেশ বণ গবেষনা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) এর উদ্ভাবিত প্রযুক্তি পরিচিত বিষয়ক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    মঙ্গলবার উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ও বাংলাদেশ গবেষণা বন গবেষণা ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম ষোলশহর এর আয়োজনে সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্ভোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায়।

    চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্মকর্তা ডেইজী বিশ্বসের সভাপতিত্বে ও সহকারী বন গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্মকর্তা জহিরুল আলমের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন,উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ মাহবুবুল হক, স্বাগত বক্তব্য রাখেন,প্রশিক্ষন ও প্রযুক্তি হস্তান্তর ইউনিটের আহবায়ক মোঃ আনিসুর রহমান।

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন,সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি মোঃ ফিরোজ হোসেন মোল্লা, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ নুর উদ্দিন রাশেদ, সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাব সভাপতি সৌমিত্র চক্রবর্তী,সাধারণ সম্পাদক লিটন কুমার চৌধুরী,সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব এম সেকান্দর হোসাইন, শিক্ষা অফিসার মোঃনুরুচ্ছোফা,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার, সমাজ সেবা কর্মকর্তা লুৎফুন নেছা বেগম, ও যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ শাহ আলম।

    কর্মশালায় বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) এর উদ্ভাবিত নতুন নতুন উদ্ভাবিত প্রযুক্তি বিষয়ক ধারণা ও এবং আলোচনা করা হয়।

    অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সীতাকুণ্ড বন গবেষণা কেন্দ্রের ষ্টেশন কর্মকর্তা মোঃ গোলাম রসুল,সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমান, সাংবাদিক আবুল খায়ের,এনজিও কর্মকর্তা আজমল হোসেন হিরো স্বপনসহ অনেকে। এছাড়া সরকারী বেসরকারী কর্মকর্তা বৃন্দ উক্ত কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।