Tag: বাংলাদেশ-ভারত

  • বাংলাদেশ-ভারত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে চোখ সবার

    বাংলাদেশ-ভারত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে চোখ সবার

    ‘কূটনৈতিক সম্পর্কের দৃশ্যমান অবনতি’ এবং উভয় দেশের ‘রাজনৈতিক উত্তেজনার’ মধ্যেই সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকায় বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র সচিব। বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন এবং ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি নিজ নিজ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।

    বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর দুই দেশের মধ্যে এটিই উচ্চ পর্যায়ের প্রথম বৈঠক। বৈঠকটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যখন বাংলাদেশে সনাতন ধর্মীয় একজন নেতার গ্রেফতারের প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে ভারত, সাথে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়নের অভিযোগও তুলেছে – আবার কলকাতা ও আগরতলায় বাংলাদেশ হাই কমিশনে হামলার ঘটনা নিয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে।

    বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন, পররাষ্ট্র সচিবদের বৈঠক থেকে বড় কিছু অর্জনের সুযোগ না থাকলেও, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দুই দেশ বৈঠক বা আলোচনায় বসেছে- এটাই হবে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।

    বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, দুই দেশের মধ্যকার ‘কমন বিষয়’গুলোই আলোচনায় আসবে।

    ‘সীমান্ত, বাণিজ্য, কানেকটিভিটি, পানির মতো অনেক বিষয় দুই দেশের আলোচনায় সাধারণভাবে থাকে। তবে, এজেন্ডায় শেষ পর্যন্ত কী থাকবে তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট উইং কাজ করছে,’ বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।

    সাবেক কূটনীতিক হুমায়ুন কবির বলছেন, এজেন্ডায় যাই থাকুক, সব ধরনের উস্কানি নিরসন করে উত্তেজনা কমিয়ে এনে দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য এবারের এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ও ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকটি ‘ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) নামে পরিচিত। এটি মূলত দুই দেশের সব বিষয় নিয়েই আলোচনার একটি ফোরাম।

    এফওসি বৈঠকে নতুন ইস্যু যেমনি উঠে আসে, তেমনি আগের সিদ্ধান্তগুলো দুই দেশের তরফে কোনটি কতটা বাস্তবায়ন হলো তা নিয়ে পর্যালোচনাও হয়ে থাকে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে কোন ক্ষেত্রে কী করা যায় তেমন কিছুও আলোচনা হয় এই ফোরামে।

    ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল তার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলেছেন, এফওসি বৈঠক হলো বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি কাঠামোবদ্ধ বিষয় এবং ভারতও এ বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে।

    ব্রিফিংয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একজন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মি. জয়সোয়াল বলেছেন ‘আইনি অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা এবং সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ বিচারের বিষয়টি ভারত আবারও উল্লেখ করছে’।

    বৈঠকটি নিয়ে এত আলোচনা কেন

    ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) বৈঠক একটি নিয়মিত ও স্বাভাবিক কূটনৈতিক কার্যক্রম হলেও বিভিন্ন কারণে এবারের বৈঠকটি অতিরিক্ত আগ্রহ তৈরি করেছে।

    বৈঠকটির বিষয়ে গত বুধবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এটা খুবই স্পষ্ট, আমরা চাই ভালো সম্পর্ক। তবে সেটা ‘রেসিপ্রোকাল’ হতে হবে, দুই পক্ষকেই চাইতে হবে এবং সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।’

    মূলত শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ‘সংখ্যালঘু ইস্যুতে’ দুই দেশের সম্পর্কের দৃশ্যমান অবনতি হয়েছে। এবং সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোর ঘটনাপ্রবাহ দুই দেশের মধ্যে যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে – তাতে এই বৈঠকে কী আলোচনা হয়, এবং এখান থেকে নতুন কোন দিকে পরিস্থিতি মোড় নেয় কী-না তা নিয়ে আগ্রহ আছে মানুষের মনে।

    সর্বশেষ গত দুই সপ্তাহের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য বিবৃতি ছাড়াও বাংলাদেশে সনাতম ধর্মাবলম্বীদের একজন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ করে’ গ্রেফতারের ঘটনার জের ধরে ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ হাই কমিশনে হামলার ঘটনায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে।

    এ ঘটনায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মাকে গত মঙ্গলবার ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে ভারতের কলকাতা ও আগরতলায় বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনের প্রধানরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বৃহস্পতিবার ঢাকায় ফিরে এসেছেন।

    এদিকে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বৈঠকের পর প্রণয় ভার্মা সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে, কোনো নির্দিষ্ট একটি ইস্যুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক মূল্যায়ন করা যাবে না।

    ‘আমরা আমাদের আলোচনা চলমান রাখবো। বৈঠক তারই একটা অংশ। আমাদের বিস্তৃত সম্পর্ক রয়েছে, পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে,’ বলছিলেন তিনি।

    বাংলাদেশ সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টাও ভারতের নাম উল্লেখ করে নানা মন্তব্য করেছেন, যা ব্যাপকভাবে আলোচনায় এসেছে। বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ভারত বিরোধী প্রচারণা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

    আবার বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ব্যাপকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে- ভারতীয় মিডিয়ায় এমন প্রচারেও ক্ষোভ প্রকাশ করা হচ্ছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশ সরকারও এ ধরনের খবর সত্য নয় বলে দাবি করেছে।

    প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার দেশের সব রাজনৈতিক দল এবং বৃহস্পতিবার ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক করেছেন।

    আবার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এবারের আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত নেতাদের পক্ষ থেকে ভারতকে নিয়ে যেসব বক্তব্য বিবৃতি এসেছে, তাতে ভারতের দিক থেকেও নিরাপত্তা ইস্যুতে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে বলে অনেকে ধারণা করছেন।

    সাবেক কূটনীতিক হুমায়ুন কবির বলছেন, সব মিলিয়েই দুই দেশের মধ্যে ‘সম্পর্কের শীতলতা’ কিংবা ‘উত্তেজনা’ তৈরি হয়েছে।

    ‘এখন বৈঠকে যদি এই উত্তেজনা কমিয়ে আনতে দুই দেশ একমত হতে পারে, তাহলেও তো সম্পর্ক স্বাভাবিক করার দিকে অগ্রসর হওয়া যায়। সেটিই হওয়া উচিত,’ বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।

    তবে, ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা যে ধারণা দিয়েছেন তাতে ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়টি আলোচনায় আসবে কী-না তা এখনো নিশ্চিত নয়।

    যদিও ভারতে অবস্থান করে শেখ হাসিনার বক্তব্য বিবৃতি নিয়ে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা স্বয়ং বিভিন্ন সাক্ষাতকারে উষ্মা প্রকাশ করেছেন।

    গত সপ্তাহে শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আওয়ামী লীগ আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছেন। লন্ডনেও একটি অনুষ্ঠানে তার টেলিফোনে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।

    এমন পরিস্থিতিতে ভারতে অবস্থান করে শেখ হাসিনার বিবৃতি দেওয়ার বিষয়টিতে বাংলাদেশের সরকারের আপত্তির বিষয়টি আলোচনায় আসতে পরে বলে অনেকে মনে করছেন।

    একই সাথে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতীয় গণমাধ্যম ও কিছু রাজনৈতিক দলের সংখ্যালঘু ইস্যুতে ‘অপতথ্য প্রচার’ এর বিষয়টিতেও ভারতীয়দের দৃষ্টি আকর্ষণের বিষয়টি আলোচনায় থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    তবে, শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ বা এমন কিছু এই আলোচনায় আসার সুযোগ নেই। কারণ বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ আগেই বলেছে, বিচারিক আদালতে শেখ হাসিনা বিরুদ্ধে করা মামলার যে বিচার চলছে, তার রায় হবার পরেই তারা এ বিষয়ে ভারতের সাথে আলোচনা করবে।

    আলোচনায় কী কী আসতে পারে

    পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের এ বৈঠকে আলোচনার জন্য প্রাথমিক এজেন্ডা ঠিক করে থাকে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট শাখাগুলো। আবার আলোচনার সময় অনেক ক্ষেত্রে নতুন নতুন বিষয়ও উঠে আসে। তবে ঠিক কী নিয়ে আলোচনা হবে তা সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত এজেন্ডা ঘোষণা বা প্রকাশ করেনি কোনো পক্ষই।

    কর্মকর্তারা যে ধারণা দিচ্ছেন তা হলো, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের যেকোনো আলোচনায় কয়েকটি বিষয়টি নিয়মিত আলোচনায় আসে। বাংলাদেশ যেমন অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন কিংবা আরও বিশেষ ভাবে তিস্তাসহ কিছু নদীর পানির বিষয়টি উল্লেখ করে থাকে।

    এর বাইরে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনা ও সীমান্ত পরিস্থিতিও গুরুত্ব পেয়ে থাকে।

    পাশাপাশি গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর বাংলাদেশে ভিসা কার্যক্রম অনেকটাই বন্ধ করে রেখেছে ভারত। বৈঠকে এ বিষয়টিও উঠে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    তবে এর বাইরেও যে বিষয়টির দিকে সবার নজর থাকবে সেটি হলো- সংখ্যালঘু ইস্যুকে ঘিরে দুই দেশ তাদের নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে কী-না কিংবা কীভাবে করে।

    বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই ভারত বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে আসছে।

    অন্যদিকে, বাংলাদেশ সরকার সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ সত্যি নয় বলে মনে করে এবং তারা মনে করে ভারতীয় গণমাধ্যম ও কিছু রাজনৈতিক দল এ বিষয়ে অপপ্রচার ও অতিরঞ্জন করছে।

    সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির বলছেন, ভারতের সরকারি দলের লোকজনকেই বাংলাদেশ নিয়ে বেশি কথা বলতে দেখা যাচ্ছে।

    ‘এখন দুই দেশ যদি একমত হয় যে উত্তেজনা কমিয়ে আনা হবে – তাহলেই সম্পর্কের শীতলতা কাটিয়ে ওঠার সুযোগ তৈরি হবে।’

    প্রসঙ্গত, পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি কাল সোমবারই ঢাকায় এসে সচিব পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেবেন। সফরকালে তিনি পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথেও সাক্ষাত করবেন। তবে প্রধান উপদেষ্টার সাথে তার সাক্ষাৎ চূড়ান্ত হয়েছে কী-না সেটি এখনো জানা যায়নি।

  • বাংলাদেশ-ভারত সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা জোরদারে গুরুত্বারোপ

    বাংলাদেশ-ভারত সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা জোরদারে গুরুত্বারোপ

    বাংলাদেশ-ভারত দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দুই প্রতিবেশী দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করা উচিত।

    সফররত ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে মঙ্গলবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

    বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

    শেখ হাসিনা তার সরকার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং (বিপসট) স্থাপন করেছে উল্লেখ করে বলেন, পারস্পরিক কল্যাণে এখানে দুই দেশের মধ্যে কর্মকাণ্ড বিনিময়ের সুযোগ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকার, সেনাবাহিনী ও সে দেশের জনগণের সমর্থন ও ভূমিকার কথাও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।

    প্রধানমন্ত্রী দারিদ্র্যকে প্রধান শত্রু হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, দারিদ্র্য এই অঞ্চলের জনগণের প্রধান শত্রু এবং এই অঞ্চলের দেশগুলোকে দারিদ্র্য দূর করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

    তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিরাজ করছে। এই সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

    বাংলাদেশকে অধিক জনসংখ্যার দেশ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা ও সম্পদ সীমিত থাকা সত্ত্বেও দেশটিকে আর্থ-সামাজিকভাবে এগিয়ে নিতে আপ্রাণ চেষ্টা করছে।

    বৈঠকে ভারতীয় সেনাপ্রধান বলেন, প্রতিরক্ষা শিল্প খাতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সহযোগিতা খুব ভালোভাবে এগিয়ে চলেছে। জেনারেল মনোজ পান্ডে এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করে বলেন, আগামী দিনেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

    তিনি বলেন, প্রযুক্তিগত ও অন্যান্য ক্ষেত্রে দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদার করার সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতীয় সেনাপ্রধান পারস্পরিক সুবিধার জন্য এই সুযোগগুলোকে কাজে লাগানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

    জেনারেল মনোজ পান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে জানান যে, তিনি চট্টগ্রামে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি পরিদর্শন করেছেন এবং সেখানে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়েছেন।

    এ সময় অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

  • প্রথম দিনে ২২৭ রানে অলআউট বাংলাদেশ

    প্রথম দিনে ২২৭ রানে অলআউট বাংলাদেশ

    মোমিনুল হকের হাফ-সেঞ্চুরির পরও ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম দিন ৭৩ দশমিক ৫ ওভারে ২২৭ রানে অলআউট হয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। এ ভেন্যুতে ভারতের বিপক্ষে টেস্টে নিজের সর্বোচ্চ ৮৪ রান করে আউট হন টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক মোমিনুল।

    বাংলাদেশের ইনিংস শেষে ব্যাট হাতে নেমে ৮ ওভারে বিনা উইকেটে ১৯ রান করেছে ভারত। ১০ উইকেট হাতে নিয়ে ২০৮ রানে পিছিয়ে ভারত।

    মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্বান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

    চট্টগ্রাম টেস্টের একাদশ থেকে দু’টি পরিবর্তন আনে বাংলাদেশ। ইয়াসির আলি ও এবাদত হোসেনের পরিবর্তে একাদশে নেয়া হয়েছে ব্যাটার মোমিনুল হক ও পেসার তাসকিন আহমেদকে।

    ভারতের একাদশে একটি পরিবর্তন হয়েছে। চট্টগ্রামের টেস্টের সেরা খেলোয়াড় স্পিনার কুলদীপ যাদবের পরিবর্তে একাদশে নেয়া হয়েছে পেসার জয়দেব উনাদকতকে।

    ব্যাট হাতে সাবধানী শুরু ছিলো বাংলাদেশের দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হাসানের। চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ১২৪ রানের সূচনা গড়েছিলেন তারা। আরও একবার বড় জুটির লক্ষ্য ছিলো শান্ত ও জাকিরের। সেই লক্ষ্যে ১৪ ওভারও কাটিয়ে দেন তারা। প্রথম ঘন্টায় অবিচ্ছিন্ন ছিলেন শান্ত ও জাকির।

    ১৫তম ওভারের বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন ১২ বছর ৬ দিন পর টেস্ট খেলতে নামা ভারতীয় পেসার জয়দেব উনাদকত। উনাদকতের বল ঠিকঠাক খেলতে না পারায় জাকিরের গ্লাভসে লেগে ভারতের অধিনায়ক রাহুলের হাতে ক্যাচ যায়। ৩৪ বলে ১৫ রান করেন জাকির। ৩৯ রানে পতন হয় বাংলাদেশের প্রথম উইকেট।
    জাকির ফেরার চার বল পরই থামেন শান্তও। ১৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ব্যক্তিগত ২৪ রানে ভারতের স্পিনার রবীচন্দ্রন অশি^নের বলে লেগ বিফোর আউট হন শান্ত।
    ৩৯ রানে দুই উইকেট পতনের পর তৃতীয় উইকেটে জুটি বেঁধে অবিচ্ছিন্ন ৪৩ রান তুলে মধ্যাহ্ন-বিরতিতে যান মোমিনুল ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

    তবে দ্বিতীয় সেশনের প্রথম বলেই পেসার উমেশ যাদবের ডেলিভারি মিড অফের উপর দিয়ে মারতে গিয়ে চেতেশ^র পূজারাকে ক্যাচ দেন সাকিব। ১টি করে চার-ছক্কায় ৩৯ বলে ১৬ রান করেন সাকিব।

    সাকিবের বিদায়ের পর মোমিনুলে সাথে বড় জুটি ইঙ্গিত দিয়েও আউট হন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। চতুর্থ উইকেট মুশফিকের সাথে ৪৮ ও পঞ্চম উইকেটে লিটনের সাথে ৪২ রান তুলেন মোমিনুল।

    সাবধানে খেলতে থাকা মুশফিক ৩৮তম ওভারে অশি^নের শেষ তিন বলে তিনটি চার মারেন। ৪১তম ওভারের শেষ বলে উনাদকতের অফ-স্টাম্পের বল খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দেন মুশফিক। ৫টি চারে ২৬ রান করেন মুশফিক।

    মুশফিকের বিদায়ে উইকেটে এসে সেট হয়ে বড় ইনিংস খেলার ইঙ্গিত দিয়ে ফিরেন লিটন। পেসার সিরাজের এক ওভারে ১টি করে চার ও ছয়ও মারেন তিনি। কিন্তু অশি^নের অফ-স্টাম্পের বলে ফ্লিক করে শর্ট মিড উইকেটে রাহুলকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন লিটন। ২৬ বলে ২৫ রান করেন লিটন।

    লিটনের সাথেই জুটিতে বাউন্ডারি মেরে টেস্ট ১৬তম হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন মোমিনুল। মোমিনুলের অর্ধশতকে ৫ উইকেটে ১৮৪ রান নিয়ে চা-বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। মোমিনুল ৬৫ ও মিরাজ ৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।
    দিনের শেষ সেশন শুরু করেই বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ভারতের দুই বোলার অশি^ন ও উমেশের তোপে ৪৩ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
    মিরাজকে ১৬, উইকেটরক্ষক নুরুল হাসানকে ৬ ও তাসকিনকে ১ রানে শিকার করে বিরতির পর বাংলাদেশকে বড় ধাক্কা দেন উমেশ। এতে ২২৩ রানে অষ্টম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

    তারপরও ভারতের মাথা ব্যাথার কারন ছিলেন মোমিনুল। নবম ব্যাটার হিসেবে মোমিনুলকে থামান অশি^ন। অশি^নের অফ-স্টাম্পের বল ছাড়তে গিয়ে নিজের ভুলেই আউট হন মোমিনুল। অশি^নের ডেলিভারিটি ছাড়া সনা ছাড়ার দ্বিধায় পড়লে বল মোমিনুলের গ্লাভসে লেগে উইকেটরক্ষকের হাতে জমা পড়ে। ১৫৭ বল খেলে ১২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন মোমিনুল।

    শেষ ব্যাটার খালেদকে শূন্যতে ফিরিয়ে বাংলাদেশের ইনিংসে ইতি টানেন অশি^ন। ভারতের অশি^ন ৭১ রানে ও উমেশ ২৫ রানে ৪টি করে উইকেট নেন। উনাদকত ৫০ রানে নেন ২ উইকেট।

    আলেঅর স্বল্পতার কারণে দিনের শেষ বেলায় ৮ ওভার ব্যাটিং করার সুযোগ পায় ভারত। শেষ বিকেলে বাংলাদেশের দুই বোলার তাসকিন ও সাকিবকে সামলাতে হিমশিম খেয়েছেন রাহুল ও গিল। রাহুল ৩ ও শুভমান গিল ১৪ রানে অপরাজিত আছেন।

  • পরশু চট্টগ্রামে বাংলাদেশ-ভারত ওয়ান ডে ম্যাচ

    পরশু চট্টগ্রামে বাংলাদেশ-ভারত ওয়ান ডে ম্যাচ

    কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ-ভারত ওয়ান ডে ক্রিকেট ম্যাচ। চট্টগ্রামের জহুর আহম্মদ স্টেডিয়ামে আগামী ১০ ডিসেম্বর শুক্রবার দিনব্যাপী এ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ উপলক্ষে নগরীর রেডিসন ব্লু হোটেল প্রাঙ্গন থেকে একটি মহড়া সাগরিকাস্থ জহুর আহম্মদ স্টেডিয়ামে পৌছায়। সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় সকালে এ মহড়ার দিক নির্দেশনা দেন। মহড়া শেষে খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয় মঙ্গলবার দুপুরে।

    সিএমপি কমিশনার বলেন, কঠোর নিরাপত্তার জন্য এই মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ-ভারত ওয়ান ডে ক্রিকেট ম্যাচ উপলক্ষে আগামী বৃহষ্পতিবার দুটি টিম চট্টগ্রাম পৌছাবে। নিরাপত্তা জোরদার করতে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। খেলোয়াড়দের হোটেল থেকে শুরু করে বাংলাদেশ-ভারত টিম স্টেডিয়ামে পৌছানো পর্যন্ত কয়েকটি ধাপে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা বিধান করবে। পুলিশ ও র‌্যাবের সঙ্গে কাজ করবে কাউন্টার টেরোরিজম টিমের সোয়াত টিম। স্টেডিয়ামের দর্শক গ্যালারীতে যারা অবস্থান নিবে তাদের সঙ্গে মোবাইল ছাড়া আর কিছু সঙ্গে রাখতে পারবে না। এছাড়াও টিকেটের পেছনে দর্শকদের উদ্দেশ্যে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে।

    প্রেস কনফারেন্সে সিএমপি কমিশনার সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। বিশেষ করে খেলোয়াড়দের রাস্তা বন্ধ করে নিরাপত্তা দেওয়া হলে কলেজ-বিশ^বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা বেকায়দায় পড়বে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ৪ তারিখের জনসভার সময়ও এইচ এস সি পরীক্ষা ছিল কোন ধরনের সমস্যা হয়নি। প্রয়োজনে অভিভাবকরা সরকারী সহায়তা ৯৯৯ এ কল করে পুলিশের গাড়ীর ব্যবস্থা করতে পারবেন। এছাড়াও স্কুল ও কলেজের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখবে।

    ২৪ঘণ্টা/জেআর

  • চট্টগ্রামে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা

    চট্টগ্রামে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা

    চট্টগ্রামে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে তৃতীয় এক দিনের ক্রিকেট ম্যাচ আগামী ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া রয়েছে একটি টেস্ট ম্যাচও। এ কারণে পাঁচ স্তরের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ।

    মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচতারকা হোটেল রেডিসন ব্লু থেকে জহুর আহাম্মদ চৌধুরী স্টেডিয়াম পর্যন্ত নিরাপত্তা মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অংশ নিয়েছিল পুলিশের পাশাপাশি বাহিনীর বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াট সদস্যরাও।

    চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার কৃঞ্চপদ রায় বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের ক্রিকেট দল চট্টগ্রাম সফরের সময় পরিকল্পিতভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। পুলিশের পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে, চট্টগ্রামে ইতোপূর্বে আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়েছে। সেই ম্যাচগুলোতে কঠোর নিরাপত্তার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলাম, সেটা ব্যবস্তবায়নও করেছি। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে যে নিরাপত্তা নেয়া প্রয়োজন, সেই ধরনের নিরাপত্তা গ্রহণ করা হয়েছে। হোটেল থেকে মাঠে খেলোয়াড়দের আসা-যাওয়া থেকে শুরু করে সার্বক্ষণিক পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। র‌্যাব ও সোয়াটের পাশাপাশি নিয়োজিত থাকবে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট।

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ বনাম ভারত ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ আগামী ১০ ডিসেম্বর জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। একই মাঠে ১৪ ডিসেম্বর টেস্ট ম্যাচ শুরু হবে। চট্টগ্রামে তৃতীয় ওয়ানডের টিকিট পাওয়া যাবে ৯ ডিসেম্বর নগরের বিটাক মোড় ও এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে। অবিক্রিত থাকলে ১০ ডিসেম্বর ম্যাচের দিন জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের বুথে টিকিট পাওয়া যাবে।

    যেখানে গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড বা রুফটপ এক হাজার ৫০০ টাকা, আন্তর্জাতিক গ্যালারি এক হাজার টাকা, ক্লাব হাউজ ৫০০ টাকা, পূর্ব গ্যালারি ৩০০ টাকা ও পশ্চিম গ্যালারির টিকিটের মূল্য ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

  • বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

    বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

    আজ বাংলাদেশ-ভারত সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ। সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে আকর্ষণীয় লড়াই বাংলাদেশ-ভারত লড়াই। বেশ কিছুদিন থেকেই বিষয়টি লক্ষণীয়, এই প্রতিবেশী দুই দেশের লড়াই মানেই শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই। সেটা গত টি-২০ বিশ্বকাপেও দেখা গেছে। দুই দল যেখানেই লড়াই করেছে, তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। সে কারণেই ফুটবল বিশ্বকাপের মধ্যেও ক্রিকেট নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের এই উন্মাদনা।

    আগামী বছরই ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ। স্বাগতিক ভারত এখন থেকেই তাদের দল গোছানোর কাজে নেমে গেছে। সেখানে পুরো শক্তির দল নিয়েই তারা বাংলাদেশে এসেছে।

    গতকাল শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস দলের ওপেনিং জুটি আর সম্ভাব্য টিম কম্বিনেশ নিয়ে কোনো পূর্ব ধারণা দিতে পারেননি। বলেছেন, এখনও ওসব নিয়ে কথা হয়নি।

    বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ : লিটন দাস (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন শান্ত, এনামুল হক বিজয়, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মেহেদি হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলাম/ এবাদত হোসেন।

    ওপেনিং জুটিতে ডান ও বাঁ হাতি কম্বিনেশন থাকলে লিটন বা বিজয়ের সাথে নাজমুল হোসেন শান্তর খেলা একরকম নিশ্চিত। এ তিনজনের একজনকে আবার তিনেও খেলানো হতে পারে। সেক্ষেত্রে সাকিব চারে, মুশফিক পাঁচ, রিয়াদ ছয় আর আফিফ সাত নম্বরে খেলবেন। আট নম্বরে মিরাজ এবং সঙ্গে তিন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ এবং এবাদত হোসেন আর শরিফুল ইসলামের যে কোনো একজন খেলবেন।

    ২৪ঘণ্টা/জেআর

  • সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে ফেনী নদীর তীরে প্রাচীর নির্মাণ করেছে ভারত; পতাকা বৈঠকে কড়া প্রতিবাদ বিজিবি’র

    সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে ফেনী নদীর তীরে প্রাচীর নির্মাণ করেছে ভারত; পতাকা বৈঠকে কড়া প্রতিবাদ বিজিবি’র

    ফটিকছড়ি প্রতিনিধিঃ আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্গণ করে ফেনী নদীর তীরে পাথর ও সিমেন্টের শক্ত প্রচীর নির্মাণ করছে ভারত। খবর পেয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ১৯৭৫ সালের (ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি) সীমান্ত আইন লংঘনের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র কাছে। গত শনিবার ফেনী নদীর রামগড় ও ত্রিপুরার সাব্রুম সীমান্ত এলাকায় এঘটনা ঘটে।

    স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রামগড় পৌরসভার মন্দিরঘাট সীমান্তের ওপারে ফেনী নদীর তীর ঘেঁষে জিরো লাইলের মাত্র ৩০-৪০ গজের মধ্যে
    পাথর ও সিমেন্টের ঢালাইয়ে নির্মাণ করেছে ভারত। যা আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন অনুসারে জিরো পয়েন্টের ১৫০ মিটারের মধ্যে কোন স্থাপনা নির্মাণ অবৈধ।

    অপর দিকে রামগড় থানার বিপরীতে সাব্রুমের দশমিঘটে এলাকায় সীমান্তের দেড়‘শ গজের মধ্যে পাকা ওয়াল নির্মাণের কাজ শুরু করলে বিজিবির বাঁধায় তা বন্ধ করেছে।

    জানা গেছে, গত শনিবার (১ মে) রামগড়-সাব্রুম সীমান্তে মৈত্রী সেতুর উপর ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিএসএফের সাথে অনুষ্ঠিত এক পতাকা বৈঠকে বিজিবি এ প্রতিবাদ জানায়। বৈঠকে রামগড়স্থ ৪৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে.কর্ণেল মোহাম্মদ আনোয়ারুল মাযহার এবং সাব্রুমের ৬৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট দীনেশ কুমার সিং নিজ নিজ পক্ষের নেতৃত্ব দেন। বৈঠক শেষে ৪৩ বিজিবির পরিচালক লে.কর্ণেল মোহাম্মদ আনোয়ারুল মাযহার সাংবাদিকদের জানান, রামগড় মন্দিরঘাট ও থানাঘাট এলাকার বিপরীত অংশে (ভারতের সাব্রুমে) দুটি কাজই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

    সরেজমিন দেখা যায়, রামগড় পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের মন্দিরঘাট এলাকায় ২২১৬/৬ আর.বি সীমানা পিলারের বিপরীত অংশে ভারত ফেনী নদীর কিনারাঘেঁষে তরিগরি করে পাথর ও সিমেন্টের ঢালাইয়ে একটি বড় মজবুত প্রাচীর নির্মাণ করে। বিএসএফের পাহারায় ভারী মেশিনারিজ ব্যবহার করে তারা বিজিবির নজরে আসার আগেই অল্প সময়ের মধ্যে প্রাচীরটির নির্মাণ কাজ শেষ করেছে। বিষয়টি সীমান্তের দুই পাড়ের মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে। তারা দুই পাড়ের আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্গণ এবং দীর্ঘ দিনের সম্প্রীতির ফাঁটল ধরাতে এই প্রচীর নির্মাণ করে বলে সমালোচনা করেন।

    সাব্রুমের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সীমান্তে পাকা সড়ক নির্মাণের জন্যই তারা মজবুত প্রাচীরটি নির্মাণ করছে। প্রাচীরের পাশে মাটি ভরাট করা হয়েছে। বিজিবির নজরে আসার আগেই দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য তারা স্কেভেটর, মিক্সার ভ্যাহিক্যাল, ড্রাম ট্রাক ইত্যাদি ব্যবহার করেছে। প্রাচীরের নির্মাণ কাজ শেষে মাটি ভরাটের কাজ করার সময় শনিবার (১ মে) এটি বিজিবির নজরে আসার পর বাঁধা দিয়ে কজ বন্ধ করে দেয়া হয়।
    অন্যদিকে, রামগড় থানা এলাকায় ২২১৫/৬ আর.বি সীমানা পিলারের বিপরীতে সাব্রুম বাজার সংলগ্ন দশমি ঘাট এলাকায় ফেনী নদীর তীর ঘেঁষে জিরো লাইন হতে ১৫০ গজের মধ্যে প্রায় ১০ ইঞ্চি প্রস্থের ইট সিমেন্টের পাকা প্রাচীরের নির্মাণ কাজ শুরু করে ভারত। কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের অজুাহাতে তারা শতাধিক ফুট লম্বা এ প্রাচীরের নির্মাণ কাজ করছিল। শনিবার( ১ মে) বিজিবি বাধা দিয়ে কাজটি বন্ধ করে দেয়।

    রবিবার (২ মে) দুপুরে থানাঘাট ও মন্দির ঘাট সীমান্ত এলাকা ঘুরে দেখা যায়, দুইটি এলাকায়ই ভাারতের নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। এপারে বিজিবির প্রহরা রয়েছে।

    এ ব্যাপারে বিজিবি লে.কর্ণেল মোহাম্মদ আনোয়ারুল মাযহার বলেন, রামগড়-সাব্রুম সীমান্তে দুটি স্থানে প্রাচীর নির্মানের বিষয়টি বিজিবি গুরুত্বের সাথে পর্যবেক্ষণ করছে। কড়া পাহারা রাখা হয়েছে।

  • বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু একাত্তরের দু:সহ স্মৃতির স্মারক হয়ে থাকবে:জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অপু

    বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু একাত্তরের দু:সহ স্মৃতির স্মারক হয়ে থাকবে:জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অপু

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু বলেছেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে উপ-মহাদেশের ভ্রাতৃপ্রতিম দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক যোগসূত্র স্থাপিত হয়েছে।

    বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং জাতির জনকের জন্ম শতবার্ষিকীর মাহেন্দ্রক্ষণে অর্থনৈতিক এই কর্মযজ্ঞ পার্বত্যাঞ্চলের ‘পাহাড়ি-বাঙালি’ সকল সম্প্রদায়ের মাঝে অগ্রগতির আশা সঞ্চার করেছে। এজন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং ভারত সরকারসহ ত্রিপুরা রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী এবং সকল নাগরিকদের কাছে আমরা ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গেলাম।

    তিনি সোমবার বিকেলে রামগড়ের মহামুনি এলাকায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ফেণী নদীর উপর নির্মিত মৈত্রী সেতু পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের কাছে এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

    তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, উনিশ’শ একাত্তর সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষের অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রামে ‘রামগড়’ ছিল সংকটকালীন এক উত্তরণ জনপদ। কালের পরিক্রমায় সেই রামগড়ের মাধ্যমেই সরকার নতুন এক অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে চলেছে। এটির মাধ্যমে বৃহত্তর চট্টগ্রাম এবং পার্বত্য খাগড়াছড়ির মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও কমংসংস্থানের বিশাল ক্ষেত্র সৃষ্টি হবে।

    তরুণ রাজনীতিক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু’ পরিদর্শনকালে সেতুতে বৈকালিক ভ্রমণে আসা বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সাথে কুশল বিনিময় ছাড়াও কর্মরত ‘বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)’ সদস্যদের একাগ্র দায়িত্ব পালনের জন্য ধন্যবাদ জানান।

    খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু’র সাথে এসময় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য খোকনেশ্বর ত্রিপুরা ও মেমং মারমা, খাগড়াছড়ি জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মুকুল চাকমা, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ সা: সম্পাদক বিশ্বজিত রায়দাশ, রামগড় পৌরসভা নির্বাচনে সম্ভাব্য মেয়রপ্রার্থী রফিকুল আলম কামাল, রামগড় মহকুমা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক উত্তম সরকার, বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ-এর কেন্দ্রীয় সা: সম্পাদক অনন্ত কুমার ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব-এর সাবেক সা: সম্পাদক মুহাম্মদ আবু দাউদ, খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে)-এর সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী, খাগড়াছড়ি জেলা শিল্পকলা একাডেমী’র যুগ্ম-সম্পাদক সাংবাদিক নাজিম উদ্দিন, রামগড় উপজেলা প্রেসক্লাব’র সভাপতি নিজাম উদ্দিন, খাগড়াছড়ি জেলা যুবলীগ নেতা মো. হাফিজ উদ্দিন, খাগড়াছড়ি চাকমা একাডেমী’র যুগ্ম-সা: সম্পাদক সাংবাদিক রুপায়ন তালুকদার, খাগড়াছড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থা’র নির্বাহী সদস্য সুমন মল্লিক এবং দীঘিনালা কুজেন্দ্র-মল্লিকা মডার্ণ কলেজ-এর প্রভাষক রাসেল ত্রিপুরা উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/প্রদীপ চৌধুরী

  • সাত মাস পর বাংলাদেশ-ভারত বিমান চলাচল শুরু

    সাত মাস পর বাংলাদেশ-ভারত বিমান চলাচল শুরু

    কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) প্রাদুর্ভাবের কারণে সাত মাসের বেশী সময় বন্ধ থাকার পর ‘এয়ার বাবল’ ব্যবস্থার আওতায় আজ থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পুনরায় বিমান চলাচল শুরু হয়েছে।

    আজ সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (এইচএসআইএ) থেকে কোলকাতার উদ্দেশে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের নিয়মিত একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট উড্ডয়নের মধ্য দিয়ে ফের দু’দেশের মধ্যে বিমান চলাচল শুরু হল।

    এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র বলেন, এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কে দোরাইস্বামী, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান এবং ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ক্যাপ্টেন মেসবাহ্ উদ্দিন আহমেদ কোলকাতাগামী যাত্রীদের বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।

    ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স আজ সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে ঢাকা-চেন্নাই-ঢাকা ফ্লাইটটিও পুনরায় চালু করেছে। জাতীয় পতাকাবাহী বিমান আগামীকাল থেকে নয়াদিল্লীগামী ফ্লাইট যাত্রার মধ্য দিয়ে ভারতে যাত্রী পরিবহন পুনরায় শুরু করবে।

    এর আগে এয়ারলাইন্সের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দিল্লী রুটে চলাচল ছাড়াও, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স আগামী ১ ও ১৫ নভেম্বর থেকে যথাক্রমে কোলকাতা ও চেন্নাইয়ে তাদের ফ্লাইট পুনরায় চালু করবে।

    ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স সোমবার ছাড়া সপ্তাহে ছয় দিন কোলকাতায় এবং চেন্নাইয়ে সপ্তাহে চারদিন সোমবার, বুধবার, শুক্রবার ও শনিবার ফ্লাইট পরিচালনা করবে।

    স্থানীয় আরেকটি বিমান পরিবহন নভোএয়ার তাদের কোলকাতা ফ্লাইট পুনরায় চালু করার প্রস্তুতি নিয়েছে, তবে এখনো তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি।

    এই এয়ার বাবল চুক্তির আওতায় শুধু বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যেই ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। কোন তৃতীয় দেশকে এর সঙ্গে যুক্ত করা হবে না। কোন ট্রানজিট যাত্রী বহন করা হবে না।

    ভারত ইতোমধ্যে ফ্রান্স, জার্মানী, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মালদ্বীপের মতো কয়েকটি দেশের সাথে এ ধরনের এয়ার বাবল চুক্তি করেছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটি হচ্ছে এধরণের প্রথম চুক্তি।

    এয়ার বাবল ব্যবস্থা অনুযায়ী, বাংলাদেশী এয়ারলাইন্স-বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এবং নভো এয়ার সপ্তাহে ২৮টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে। অন্যদিকে, ভারতীয় পরিবহন এয়ার ইন্ডিয়া, ভিস্টারা, ইন্ডিগো, স্পাইসজেট এবং গোএয়ার সপ্তাহে সম সংখ্যক ফ্লাইট পরিচালনা করবে।

    ভারতীয় পাঁচটি এয়ারলাইন্স দিল্লী-ঢাকা-দিল্লী, কোলকাতা-ঢাকা-কোলকাতা, চেন্নাই-ঢাকা-চেন্নাই এবং মুম্বাই-ঢাকা-মুম্বাই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে।

    ভারতীয় হাইকমিশন গত ৯ অক্টোবর বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য অনলাইনে ভিসা আবেদন সেবা পুনরায় শুরুর ঘোষণা দিয়েছে।

    বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন থেকে চিকিৎসা, ব্যবসা, চাকরী, সাংবাদিকতা, কূটনীতি, ব্যক্তিগত, কর্মকর্তা, জাতিসংঘ কর্মকর্তা ও জাতিসংঘ কূটনৈতিক এই নয়টি ক্যাটাগরিতে ভারতীয় ভিসা প্রদান করা হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • মোদি এলে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হবে : কাদের

    মোদি এলে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হবে : কাদের

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে এলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হবে।

    আজ সোমবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই সফর ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং নতুন উচ্চতায় উন্নীত করবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় আরো অগ্রগতি হবে। কাজেই সম্পর্ক যখন আছে এই সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে, শক্তিশালী হবে। এটিই আমরা আশা করি।’

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে স্বাক্ষাৎ হলে সমস্যা নিয়ে তো উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হবেই। তবে আমাদের যে সম্পর্ক এই সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে। আমাদের অনেকগুলো সমস্যার সমাধান হয়েছে। আরো কিছু ইস্যু আছে যেগুলো সমাধানের জন্য দিন গুণছে এবং আলোচনায়ও অগ্রগতি আছে।

    তিনি বলেন, ভারতের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের কথা বিবেচনা করে নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানানো উচিত। তার আসা প্রতিহত করার ঘোষণায় বিব্রত নয় সরকার।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা বিরোধিতা করছে, উচিত হচ্ছে না। তাদের স্বাগত জানানো উচিত। নরেন্দ্র মোদির সফরে নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে। বাংলাদেশের জনগণ অতিথির সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

    এনআরসি সমস্যা সমাধানের কোন আশ্বাস পাওয়া গেল কিনা জানতে চাইলে কাদের বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আসছেন একটা উপলক্ষ নিয়ে, সেটা হলো মুজিব বর্ষ। আমাদের সম্মানিত অতিথি হিসেবে আমাদের ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান মিত্র ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের উদ্বোধনে যোগ দিচ্ছেন। একই সঙ্গে ১৮ তারিখ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক আছে। সেখানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অবশ্যই দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর আলোচনা হওয়ার সুযোগ আছে।