Tag: বাংলাদেশ রেলওয়ে

  • রেলের দখল করা জমি ৫ দিনের মধ্যে ছাড়ার নির্দেশ

    রেলের দখল করা জমি ৫ দিনের মধ্যে ছাড়ার নির্দেশ

    বাংলাদেশ রেলওয়ের যেসব জমি দখল করে স্থাপনা ও অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে, তা আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

    আজ বৃহস্পতিবার রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো. আলী আকবরের সই করা গণবিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।

    সেখানে বলা হয়, সরকার বাংলাদেশ রেলওয়ের অবৈধভাবে দখলকৃত ভূমি দখলমুক্ত করার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের ভূমিতে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অবৈধভাবে নির্মিত সব স্থাপনা বা অবকাঠামো ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে নিজ উদ্যোগে অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করা হলো। ওই সময়ের পরে বাংলাদেশ রেলওয়ের ভূমি অবৈধ দখল মুক্তকরণে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    ব্রিটিশ শাসনামলের বেঙ্গল রেলওয়ে থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে বিশাল ভূসম্পদ পেয়েছিল রেলওয়ে। তাদের হিসাবে, জমি রয়েছে ৬১ হাজার ৮৬০ দশমিক ২৮ একর। এর মধ্যে রেলওয়ে অপারেশন কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে ৩০ হাজার ৭৬৮ দশমিক ৫১ একর জমি। এ ছাড়া লাইসেন্স ও লিজকৃত জমি রয়েছে ১৩ হাজার ২৩ একর। দখলকৃত জমির পরিমাণ ১২ হাজার ৫৪৩ একর।

    এর আগে সাবেক রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম জানিয়েছিলেন রেলের প্রায় ২৩ হাজার একর জমি বেদখলে রয়েছে।

  • রেল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুদক’র হয়রানিমূলক মামলা

    রেল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুদক’র হয়রানিমূলক মামলা

    বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক প্রকৌশলী ফরিদ আহমেদ, সাবেক অতিরিক্ত প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক বর্তমানে বেজার উপ-সচিব মুহাম্মদ রাশেদুল আমিন, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী তাপস কুমার দাস এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ট্রেড অ্যান্ড টেকনোলজির স্বত্বাধিকারী এএসএম ইকবাল মোর্শেদকে আসামি করে ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮৭ হাজার টাকা আত্মসাতের মামলা করেন দুদক।

    সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম- ১ এর উপপরিচালক আহসানুল কবীর পলাশ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

    এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২১ সালের ২৩ মার্চ পাহাড়তলী ডিপো হতে ১৪৬ দশমিক ৯২৭ টনের কাঁচা লোহা (পিগ আয়রন) ক্রয়ের চাহিদা প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক দপ্তরে পাঠানো হয়। ওই অর্থবছরে বাজেট স্বল্পতার কারণে ১৪৬ দশমিক ৯২৭ টনের পরিবর্তে ৮৫ মেট্রিক ক্রয় করা যেতে পারে বলে ক্রয় পরিকল্পনার অনুচ্ছেদ ৫.১-এ উল্লেখ করা হয়। সেই মোতাবেক প্রাক্বলিত ব্যয় নির্ধারণী কমিটি বাজার যাচাইপূর্বক প্রতি টন কাঁচা লোহার দাম ২ লাখ ৩৪ হাজার ১০০ টাকা নির্ধারণ করেন। ওই মালামাল ক্রয়ের আনুমানিক সরকারি খরচ অনুমোদন দেওয়া হয় ২০২২ সালের ১৫ নভেম্বর এবং প্রতিবেদন দাখিল হয় একই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর। সবশেষ মালামাল ক্রয়ের চুক্তিপত্র সম্পাদিত হয় ২০২৩ সালের ৮ আগস্ট। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রাক্কলন ব্যয়ের ৩১ শতাংশ কমে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে মালামাল সরবরাহের কাজ পায়। কিন্তু মালামাল সরবরাহ না করে বিল নিয়েছে বলে দুদক অনুসন্ধানে পেয়েছে।  ক্রয়ের প্রাক্কলন কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী বাজারমূল্য ৩ কোটি ৪১ লাখ ৭৮ হাজার ৬০০ টাকা। টেন্ডার কমিটির সদস্যরা ঠিকাদারের সাথে পরস্পর যোগসাজসে অসৎ উদ্দেশ্যে লাভবান হওয়াসহ প্রতারণামূলকভাবে পিপিআর ২০০৮ এর ধারা লঙ্ঘন করে। ফলে চাহিদাকৃত ১৪৬ দশমিক ৯২৭ টনের পরিবর্তে ৮৫ টন সরবরাহ দেখিয়ে মালামাল সরবরাহ না করে সরকারের ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে দুদকের অনুসন্ধানে ওঠে এসেছে।

    দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত বলেন, ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮৭ হাজার টাকা আত্মসাতের দায়ে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।

    কিন্তু মামলায় অভিযুক্তরা বলছেন ভিন্নকথা। তারা বলেন, একটি পক্ষ আমাদের সম্মানহানি করার জন্য এধরণের তথ্য দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করিয়েছেন।

    রেলবুদ্ধারা বলছেন, মালামাল ক্রয়ের দরপত্র আহ্বান ও মূল্যায়নের সঙ্গে জড়িত কমিটির সদস্যরা মামলার আসামি হলেও মালামাল পরিদর্শন, পরীক্ষণ ও গ্রহণের সঙ্গে জড়িতদের মামলায় আসামি করা হয়নি। প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকসহ মুল্যায়ন কমিটির সদস্যরা মালামাল গ্রহণ ও মুল্য পরিশোধের সঙ্গে জড়িত নয়। ফলে এখানে মালামাল গ্রহণ, পরীক্ষণ ও বণ্টনের সঙ্গে জড়িত দপ্তরগুলো মূলত দায়ী হওয়ার কথা।

    জানা গেছে, প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের দপ্তর থেকে ৮৫ মেট্রিক টন পিগ আয়রন ক্রয়ে ইজিপি দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্র মূল্যায়ন শেষে সর্বনিম্ন দরদাতা মেসার্স ট্রেড অ্যান্ড টেকনোলজির সঙ্গে চুক্তি হয়। সরবরাহকারী মালামালগুলো জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের পরিদর্শন দপ্তরে সরবরাহ করে। পরিদর্শন দপ্তর পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গ্রহণ করে ও গ্রহণপত্র জারি করে। ওই গ্রহণপত্রের ভিত্তিতে হিসাব বিভাগ থেকে বিল পরিশোধ করা হয়। এরপর মালামালগুলো পরিদর্শন দপ্তর থেকে জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক, পাহাড়তলী ডিপো ও সৈয়দপুর জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে পাঠায়। প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকসহ মুল্যায়ন কমিটির সদস্যবৃন্দ দরপত্র আহ্বান ও মুল্যায়নের সংগে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। মালামাল গ্রহন ও মুল্য পরিশোধের সংগে জড়িত ছিলেন না।

  • ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি : রেলওয়ে

    ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি : রেলওয়ে

    কোটা সংস্কার আন্দোলনের তোপে সারাদেশে গত ৭ দিন যাবৎ যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ রয়েছে। তবে কবে নাগাদ এই ট্রেন চলাচল শুরু হবে, সে বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বাংলাদেশ রেলওয়ে। আজ থেকে স্বল্প দূরত্বে যেসব ট্রেন চলার কথা ছিলো সেগুলোও বাতিল করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এসব কথা জানান বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী।

    তিনি বলেন, ট্রেন চলাচলের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ট্রেন চালানো কোনো বিষয় না, বিষয়টি হচ্ছে নিরাপত্তা। সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে মন্ত্রী, সচিব এবং সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে কবে থেকে ট্রেন চলবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    এর আগে গতকাল রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. হুমায়ুন কবির জানান, বৃহস্পতিবার কারফিউ শিথিল সময়ে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা ও ঢাকা-টঙ্গী-ঢাকা রুটে ২টি কমিউটার ট্রেন চলাচল করবে। এছাড়া পূর্ণাঙ্গভাবে ট্রেন চলাচলের বিষয়ে আগামীকাল সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    এমন ঘোষণায় স্বল্প দূরত্বের যাত্রীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হলেও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ।

    গত ১৮ জুলাই রাজধানীর নাখালপাড়া রেলগেট এলাকায় কোট আন্দোলনকারীরা রেললাইনের ওপর আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করলে জননিরাপত্তার স্বার্থে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

  • আজ রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত হচ্ছে পর্যটনশহর কক্সবাজার

    আজ রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত হচ্ছে পর্যটনশহর কক্সবাজার

    ট্রেনের জন্য কক্সবাজারবাসীর অপেক্ষাটা দীর্ঘ ৯২ বছরের। অবশেষে অপেক্ষার সেই প্রহর শেষ হচ্ছে।

    শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) থেকে বাণিজ্যিকভাবে চালু হচ্ছে ট্রেন। এতে করে দেশের রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত হচ্ছে পর্যটনশহর কক্সবাজার।

    শুক্রবার দুপুর ১২ টা ৩০ মিনিটে আইকনিক রেল স্টেশন থেকে প্রায় ১ হাজার ৩০ জন যাত্রী নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা করবে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’। ইতোমধ্যে যাত্রার সকল প্রস্তুতি শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার গোলাম রব্বানী।

    তিনি বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে থেকে অনলাইন ও অফলাইনে সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। এখন শুধু ৯ ডিসেম্বরের পরের টিকিট বিক্রি হচ্ছে। কক্সবাজার এক্সপ্রেসে ২০ বগিতে আসন সংখ্যা ৭৮০টি। প্রায় ১ হাজার যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি যাত্রা করবে। চাহিদা বাড়লে বগিও বাড়ানো হবে।’

    তিনি আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ৯টি স্টেশন রয়েছে। সবখানে জনবলও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ননস্টপ যাত্রা করবে। শুধু মাত্র চট্টগ্রাম ও ঢাকায় যাত্রা বিরতি করবে।’

    কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশনে নামলে যাত্রীরা তারকা মানের হোটেল, অত্যাধুনিক শপিং মলে কেনাকাটাসহ পাবেন নানা সুযোগ সুবিধা। তবে এখনো শতভাগ কাজ শেষ হয়নি। পুরোদমে স্টেশনের সেবা পেতে আরও কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে যাত্রীদের।

    প্রথম ট্রেনের টিকিট পেয়ে উচ্ছ্বসিত যাত্রীরা। ঢাকার টিকিট করা যাত্রী মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘কক্সবাজার থেকে প্রথম এই যাত্রা ইতিহাস হয়ে থাকবে। তাই আগে থেকে টিকিট বুকিং করে রাখছি।’

    সাইদুল ইসলাম ফরহাদ নামের একজন টিকিট হাতে ‘সোনার হরিণ হাতে’ লিখে ফেসবুকে পোস্ট দেন।

    আরো বেশ কয়েকজন যাত্রী জানান, তারা অনেক কষ্ট করে টিকিট পেয়েছেন। সমুদ্রশহর কক্সবাজার থেকে স্বপ্নের ট্রেন যাত্রা করবে। এ নিয়ে উদগ্রীব হয়ে অপেক্ষা করছেন তারা।’

    রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার এক্সপ্রেস চট্টগ্রামে বেলা ৩টা ৪০ মিনিটে এবং ঢাকায় পৌঁছবে রাত ৯টা ১০ মিনিটে। পর্যটন শহর থেকে রাজধানী ঢাকা যেতে সময় লাগবে ৮ ঘন্টা ১০ মিনিট। কক্সবাজার থেকে ঢাকা পর্যন্ত শোভন চেয়ারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯৫ টাকা, এসি চেয়ারের ভাড়া ১ হাজার ৩২৫ টাকা, এসি সিটের ১ হাজার ৫৯০ টাকা এবং এসি বার্থের ভাড়া ২ হাজার ৩৮০ টাকা।

    গত ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার-দোহাজারি রেলপথের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

  • ২৫ বছর পর উদ্ধার হলো রেলওয়ের ৫ কোটি টাকার সম্পত্তি

    ২৫ বছর পর উদ্ধার হলো রেলওয়ের ৫ কোটি টাকার সম্পত্তি

    নগরের চান্দগাঁও এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে দখল হওয়া রেলওেয়ের শূন্য দশমিক ২৫ একর জায়গা উদ্ধার করেছে রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তি বিভাগ। যার বাজার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা।

    সোমবার (১৯ জুন) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নগরের মোহরা এলাকার জানালীহাট স্টেশনের ইস্পাহানি সাইডিং লাইনের আশপাশে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

    রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা সুজন চৌধুরীর নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) জীষান দত্ত, সহকারি ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. শহিদুজ্জামান, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর এসআই শওকত, চান্দগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মনিবুর রহমান।

    সুজন চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন অবৈধভাবে দখলে থাকা রেলওয়ের সম্পত্তি শূন্য দশমিক ২৫ একর জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে। উচ্ছেদ করা হয়েছে অবৈধ ২০টি সেমিপাকা, টিনশেড ঘর, দোকান ঘর।বিতাড়িত করা হয়েছে ১৪০ জন অবৈধ দখলদারকে।

  • চট্টগ্রামে রেলওয়ের ২০ কোটি টাকার সম্পত্তি উদ্ধার

    চট্টগ্রামে রেলওয়ের ২০ কোটি টাকার সম্পত্তি উদ্ধার

    চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানার নিউমার্কেট এলাকায় রেলওয়ের জায়গায় গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে প্রায় ৩০ শতক জমি উদ্ধার করা হয়।

    বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানার নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

    জেলা প্রশাসন জানায়, দীর্ঘদিন সিটি কলেজ সংলগ্ন নিউমার্কেট এলাকায় রেলওয়ের জমিতে অবৈধভাবে দোকানপাট ও স্থাপনা নির্মাণ করে আসছে একটি চক্র। রেলওয়ে এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করতে জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করে। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে নির্দেশনা দেয়।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা বলেন, উদ্ধার হওয়া জায়গার মূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা। উচ্ছেদের পর জায়গাটি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযানে পুলিশ, আরএনবি ও রেলওয়ে কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিল।

  • সাড়ে ২৬ হাজার টিকিটের জন্য আড়াই কোটি হিট

    সাড়ে ২৬ হাজার টিকিটের জন্য আড়াই কোটি হিট

    ঈদযাত্রার শেষদিনের ট্রেনের টিকিট কিনতে ব্যাপক চাপ সৃষ্টি রেলওয়ের সার্ভারে। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) ঈদের আগের ২১ এপ্রিলের টিকিট অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে। টিকিট কিনতে সার্ভারে গত চার দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ চাপ ছিল আজ।

    যথারীতি মঙ্গলবার সকাল ৮টায় অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হয়। এরপর প্রথম ৪০ মিনিটে ২৬ হাজার ৪৪৬টি টিকিটের জন্য আড়াই কোটি হিট পড়েছে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।

    অন্যদিকে, সকাল ৮টা থেকে চার ঘণ্টা আপ্রাণ চেষ্টা করেও সার্ভারে প্রবেশ করতে না পেরে অনেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে চলে এসেছেন।

    রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, অন্য দিনের তুলনায় আজ সার্ভারে বেশি হিট পড়ায় প্রথম তিন ঘণ্টায় সমস্যা দেখা দেয়। তবে সাড়ে ১১টার দিকে সমস্যা কাটিয়ে ওঠা গেছে। পূর্বাঞ্চলের কিছু টিকিট এখনো অবিক্রীত থাকলেও সেগুলো বিক্রি হয়ে যাবে। পশ্চিমাঞ্চলের টিকিটের চাহিদা বেশি থাকায় বিক্রি শুরু হওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে সব টিকিট বিক্রি শেষ হয়ে গেছে।

    সকাল থেকে আপ্রাণ চেষ্টা করেও সার্ভারে প্রবেশ করতে না পেরে অনেকে কমলাপুর স্টেশনে চলে এসেছেন। তাদের দাবি, সকাল ৮টায় টিকিট বিক্রি শুরুর পর ল্যাপটপ, মোবাইলে টানা চেষ্টা করেও রেলওয়ের সার্ভারে প্রবেশ করতে পারেননি। তাহলে কারা সার্ভারে প্রবেশ করে টিকিট কাটতে, এটা জানা দরকার।

    শফিকুর রহমান নামে এক ব্যক্তি ফেসবুকে লিখেছেন, অনলাইনে টিকিট যুদ্ধে সাকসেস হতে পারিনি, তাই অফলাইনে এখন কমলাপুরে এসেছি।

    সাইদুর রহমান নামে একজন যাত্রী বলেন, সব অঞ্চলের টিকিট একসঙ্গে না ছেড়ে সময় ভাগ করে ছাড়লে সার্ভারের লোড কমানো সম্ভব হতো। তার মতে, সকাল ৮টা থেকে ১০টা উত্তরাঞ্চলের টিকিট, ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত সিলেট ও চট্টগ্রাম, ১২ থেকে ২টা পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলের টিকিট বিক্রির সিডিউল দিলে সার্ভারের জটিলতা কমানো যেত। এখন সব টিকিট একসঙ্গে ছাড়ার কারণে লাখ লাখ মানুষ সার্ভারে হিট করছে। এতে লটারির মতো হয়ে যাচ্ছে। কেউ কোনরকমে ঢুকতে পারলেই তিনি ভাগ্যবান ব্যক্তি হয়ে যাচ্ছেন। যাত্রীদের হয়রানি কমানোর জন্য যেহেতু এ পদ্ধতি চালু করা হয়েছে, তাই সার্ভারের জটিলতা কীভাবে কমানো যায় তা নিয়ে আগামীতে রেল কর্তৃপক্ষের ভাবা উচিত।

    সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে কমলাপুর রেল স্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার ঢাকা পোস্টকে বলেন, এবারই প্রথম অনলাইনে টিকিটি বিক্রি হচ্ছে। এতে নতুন নতুন সমস্যা সামনে আসছে। এগুলো সংরক্ষণ করা হচ্ছে। সিডিউল করে টিকিট বিক্রির পরামর্শও পেয়েছি। সব বিষয় আমলে নিয়ে পরবর্তীতে বসব। আশা করি, ধীরে ধীরে একটা সমাধানের মধ্যে আসবে।

    তিনি বলেন, ২৭ হাজার টিকিটের জন্য যখন আড়াই কোটি হিট পড়ে তখন সার্ভারে সমস্যা হবেই। তারপরও সোমবার ও রোববার সার্ভার জটিলতা ছাড়াই টিকিট কিনতে পেরেছেন যাত্রীরা। শনিবারের সমস্যা গত দুই দিনে কাটিয়ে উঠতে পারলেও আজ কিছুটা সমস্যা হয়েছে। সক্ষমতার চেয়ে শতগুণেরও বেশি হিট পড়ছে অনলাইনে। কারও ভাগ্যে টিকিট জুটছে, কারও নয়। তবে আমরা শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে টিকিট বিক্রি করছি।

    রেল সূত্রে জানা গেছে, অনলাইনে রেলের টিকিট কাটার জন্য নিবন্ধন করেছে ১৮ লাখ মানুষ। অনলাইনে ঈদের ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১৫ এপ্রিল।

    সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ৭ এপ্রিল ১৮৫০০, ৮ এপ্রিল ২৫২০০ এবং ৯ এপ্রিল ২৪৫০০ টিকিট অনলাইনে বিক্রি হয়েছে। সোমবার ২৭ হাজারের কিছু বেশি টিকিট বিক্রি হয়। মঙ্গলবার ২১ এপ্রিলের জন্য নির্ধারিত ২৬ হাজার ৪৪৬টি টিকিট কিনতে যুদ্ধ করছে কয়েক লাখ মানুষ।

    গত শুক্রবার ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হয়। সোমবার ২৭ হাজারের কিছু বেশি টিকিটের জন্য ১ কোটি ৮৪ লাখ মানুষ রেল সার্ভারে হিট করেছে।

    আসন বিহীন টিকিট বিক্রি হবে

    যারা টিকিট পাচ্ছেন না তাদের জন্য আসনবিহীন টিকিট বিক্রি হবে। ঢাকা-চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর সুবর্ণ এক্সপ্রেস ছাড়া বাকি ৩৬টি আন্তঃনগর ট্রেনে শুধু যাত্রার দিন আসনবিহীন ২৫ শতাংশ টিকিট বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছেন কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার। তিনি জানান, অবিক্রীত টিকিটও যাত্রার আগে কাউন্টার থেকে কাটতে পারবেন যাত্রীরা।

  • ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ৭ এপ্রিল, শতভাগ অনলাইনে

    ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ৭ এপ্রিল, শতভাগ অনলাইনে

    আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হবে আগামী ৭ এপ্রিল থেকে। এবার কাউন্টারে কোনো টিকিট বিক্রি হবে না, শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি হবে।

    বুধবার (২২ মার্চ) রেলভবনে ঈদযাত্রার প্রস্তুতি উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।

    তিনি বলেন, আগামী ৭ এপ্রিল থেকে ঈদের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু। ঈদযাত্রা ও ফিরতি শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে। এছাড়া ঈদের ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১৭ এপ্রিল থেকে।

    এবার ঈদে চাপ কমাতে ৯ জোড়া স্পেশাল ট্রেন চলবে বলেও জানান মন্ত্রী।

    নূরুল ইসলাম সুজন আরও জানান, ঈদ সামনে রেখে আন্তর্জাতিক ট্রেন মিতালি এক্সপ্রেস ১৮-২৭ এপ্রিল পর্যন্ত এবং মৈত্রী এক্সপ্রেস ২০-২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

  • রেলের ওয়ার্কশপ নির্মাণ সমীক্ষার জন্য প্রায় ২৭ কোটি টাকার চুক্তি

    রেলের ওয়ার্কশপ নির্মাণ সমীক্ষার জন্য প্রায় ২৭ কোটি টাকার চুক্তি

    রাজবাড়ীতে নতুন ক্যারেজ ও ওয়াগন ওয়ার্কশপ নির্মাণের জন্য সমীক্ষা করতে কনসালটেন্ট নিয়োগে প্রায় ২৭ কোটি টাকার চুক্তি করেছে বাংলাদেশ রেলেওয়ে। ২টি ফেইজে ১৮ মাস মেয়াদি এই চুক্তি করা হয়েছে ফ্রান্সের সিসট্রা এসএ এবং ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালটেন্ট লিমিটেডের সঙ্গে।

    বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর রেলভবনের সম্মেলন কক্ষ যমুনায় এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষে প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী (পশ্চিম) মুহাম্মদ কুদরত-ই-খুদা এবং সিসট্রা এসএ’র পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হ্যারি কুমার স্বাক্ষর করেন।

    অনুষ্ঠান থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশ রেলওয়ের ভবিষ্যৎ অবকাঠামো উন্নয়নে এবং রেলওয়ের রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করছে। বর্তমানে রোলিং স্টক (মিটারগেজ ও ব্রডগেজ এবং ক্যারেজ ও ওয়াগন) রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে সৈয়দপুর ক্যারেজ এবং ওয়াগন শপে। সরকার দেশের দক্ষিণাংশে ক্যারেজ ও ওয়াগনের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মর্ডান রোলিং স্টক মেইনটেন্স ওয়ার্কশপ নির্মাণ করতে যাচ্ছে। আর তাই রাজবাড়ীতে ওয়ার্কশপ নির্মাণের জন্য সমীক্ষা যাচাই, বিস্তারিত ডিজাইন এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসের জন্য চুক্তি করা হচ্ছে।

    এই প্রকল্পের জন্য মোট ৩০ কোটি ৫ লাখ টাকার বাজেট ধরা হয়েছে এবং সমীক্ষার জন্য ২৬ কোটি ৯৮ লাখ ৩০ হাজার ২১৭.৭৯ টাকা ধরা হয়েছে। চুক্তি অনুসারে ২টি ফেইজে কাজ করা হবে। প্রতিটি ফেইজের জন্য ৮ মাস করে সময় ধরা হয়েছে। প্রথম ফেইজে সমীক্ষা যাচাই করা হবে এবং দ্বিতীয় ফেইজে বিস্তারিত ডিজাইন এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রস্তুত করা হবে।

    চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. হুমায়ুন কবির, রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার প্রমুখ।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • ভারত থেকে ট্রেনের কোচ নেবে বাংলাদেশ, রেলমন্ত্রীর কারখানা পরিদর্শন

    ভারত থেকে ট্রেনের কোচ নেবে বাংলাদেশ, রেলমন্ত্রীর কারখানা পরিদর্শন

    ভারত থেকে ট্রেনের কোচ আমদানির কথা ভাবছে বাংলাদেশ। এলক্ষ্যে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে অবস্থিত ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি (আইসিএফ) পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।

    কারখানা পরিদর্শনের পর সেখানে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এই ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি থেকে ট্রেনের কোচ আমদানির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখবে। বৃহস্পতিবার (২ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআই।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন চেন্নাইয়ের এই ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি (আইসিএফ) পরিদর্শন করেন। এসময় রেলমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার শাহাদাত আলী ছিলেন। সংক্ষিপ্ত এই সফরে তারা লিংক হফম্যান বুশ (এলএইচবি) ভিস্তাডোম কোচ, এলএইচবি এসি টু টায়ার এবং থ্রি টায়ার-সহ আইসিএফ’র তৈরি বিশেষ কোচগুলো পরিদর্শন করেন।

    পিটিআই বলছে, কারখানা পরিদর্শনের পর আইসিএফ’র মহাব্যবস্থাপক এ কে আগারওয়ালের সাথে আলাপকালে রেলমন্ত্রী সুজন বলেন, বাংলাদেশে রেলওয়ের বর্তমান মিটারগেজ ট্র্যাকগুলোকে ব্রডগেজে রূপান্তর করার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে এবং আইসিএফ থেকে এলএইচবি কোচগুলো বাংলাদেশ রেলওয়ের আধুনিকীকরণে অনেক সাহায্য করবে।

    এদিকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, শ্রীলঙ্কা ও নেপালে সম্প্রতি আইসিএফ’র রপ্তানি করা ডেমু (ডিজেল ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিট) ট্রেনের মতো গণ যাতায়াতের জন্য ট্রেন সেট আমদানির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখবে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

    ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, আইসিএফ থেকে কোচ রপ্তানির প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তাদের একটি দল শিগগিরই চেন্নাইয়ের আইসিএফ পরিদর্শন করবে।

    তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে ভারতীয় সেনাদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেন এবং প্রতিবেশী এই দেশ চিরকাল (বাংলাদেশের সঙ্গে) সম্পর্ক বজায় রাখবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    এছাড়া বন্দে ভারত কোচ-সহ আইসিএফ নির্মিত অন্যান্য রেল কোচ দেখে নুরুল ইসলাম সুজন মুগ্ধ হয়েছেন বলেও বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

  • সাড়ে ১১ ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

    সাড়ে ১১ ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

    গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনসহ দুটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার সাড়ে ১১ ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। শনিবার (২৮ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কমলাপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল হক। তিনি বলেন, লাইনচ্যুত ইঞ্জিন ও বগি উদ্ধারের পর রেললাইন কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে তা মেরামত করা হলে রেল চলাচল শুরু হয়।

    এর আগে শুক্রবার (২৭ মে) রাত ১০টার দিকে মৌচাক রেলস্টেশনের কাছে ইঞ্জিনসহ ট্রেনের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

    জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার রেজাউল ইসলাম বলেন, পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাত ১০টার কিছু সময় আগে মৌচাক স্টেশন পার হয়। এর কিছু সময় পরই ট্রেনটির ইঞ্জিনসহ দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে ঢাকা-রাজশাহী ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলগামী সকল ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

    তিনি আরও বলেন, রাত ২টার দিকে ঢাকা থেকে রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করে। সকাল ৭টায় ইঞ্জিন উদ্ধারের কাজ শেষ হয়। পরে সকাল সাড়ে ৯টায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

    বাংলাদেশ রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক মো. শাহীদুল ইসলাম বলেন, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হওয়ার খবর পাওয়ার পর ঢাকা ডিভিশন থেকে রিলিফ ট্রেন গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। পাশাপাশি দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে কমিটিতে সদস্য হিসেবে কারা আছেন তাৎক্ষণিকভাবে তিনি জানাতে পারেননি।

  • টিটিই শফিকুল নির্দোষ : তদন্ত কমিটি

    টিটিই শফিকুল নির্দোষ : তদন্ত কমিটি

    রেলমন্ত্রীর তিন আত্মীয়কে বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমণের দায়ে জরিমানা করা টিটিই শফিকুল ইসলামের বরখাস্তের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি। প্রতিবেদনে টিটিইকে সম্পূর্ণ নির্দোষ বলা হয়েছে।

    সোমবার (১৬ মে) বেলা ১১টা ২০ মিনিটে নিজ কার্যালয়ে প্রতিবেদন জমা নেন‌ পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহিদুল ইসলাম।

    এর আগে গত ৭ মে ঘটনার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এতে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা (এটিও) সাজেদুল ইসলামকে প্রধান এবং সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী (এইএন) শিপন আলী ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সহকারী কমান্ডেন্ট (এসিআরএনবি) আবু হেনা মোস্তফা কামালকে সদস্য করা হয়।

    দুই কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও পরে আরও তিন দিন সময় বাড়ানো হয়। বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন দাখিল করার দিন ধার্য করা থাকলেও ডিআরএম ঢাকায় থাকায় এবং সরকারি ছুটি থাকায় তিন দিন পর আজ এই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হলো।

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার (০৬ মে) রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে বিনা টিকেটে রেল ভ্রমণ করায় তিন যাত্রীকে জরিমানা করায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয় খুলনা থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেসের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) শফিকুল ইসলামকে।

    এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর গত ৮ মে দুপুরে নিজ ক্ষমতাবলে টিটিই শফিকুল ইসলামের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে তাকে স্বপদে বহাল করেন পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক শাহিদুল ইসলাম। একইসঙ্গে তিনি বরখাস্তকারী পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিনকে শোকজ করেন।