Tag: বাংলাদেশ

  • ভারতের ২৪১ রানের লিড,ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কায় বাংলাদেশ

    ভারতের ২৪১ রানের লিড,ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কায় বাংলাদেশ

    কলকাতার ইডেন গার্ডেনস স্টেডিয়ামে বিরাট কোহলির সেঞ্চুরিতে বড় লিড পেয়েছে ভারত। ২৪১ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করেছে ভারত।

    চার উইকেট নিয়ে লাঞ্চ ব্রেকে গিয়েছিল ভারত। তখনও নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৭তম সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন কোহলি। লাঞ্চ ব্রেকের পরেই আবু জায়েদ রাহীর বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন রবীন্দ্র জাদেজা। তিনি আউট হন ১২ করে। নতুন বল হাতে নিতেই ঝলক দেখান বাংলাদেশের বোলাররা। বাউন্ডারি লাইনে তাইজুলের অসাধারণ এক ক্যাচে এবাদতের বলে সাজঘরে ফিরে যান কোহলি। আউট হওয়ার আগে করেন ১৩৬ রান!

    সাহা ও অশ্বিন মিলে কিছুটা চেষ্টা করলেও দলীয় ৩২৯ রানে আল-আমিনের বলে এল্বিডব্লিউর শিকার হন অশ্বিন। আল-আমিন, এবাদতের পর নতুন বলে উইকেট তুলে নেন আবু জায়েদও। উমেশকে স্লিপে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন আবু জায়েদ। ৩৩১ রানে ফের উইকেট তুলে নেন আল-আমিন। শেষ পর্যন্ত ৩৪৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত।

    এর দ্বিতীয় দিনের শুরুটা ভালোই করেন এ দুই ব্যাটসম্যান। কোহলি প্রথমদিনেই ফিফটি পেলেও, দ্বিতীয় দিনে এসে ফিফটির দেখা পান রাহানে। অন্যদিকে ফিফটিকে সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন কোহলি। ফিফটি করে ক্রিজে টিকে থাকতে পারেননি রাহানে।

    তাইজুলের স্লোয়ারে এবাদতের হাতে ক্যাচ তুলে দেন রাহানে। আউট হওয়ার আগে খেলেন ৫১ রানের ইনিংস সেই সাথে কোহলির সঙ্গে গড়েন ৯৯ রানের জুটি। তবে সেঞ্চুরির দেখা পান ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি।

    প্রথমদিনে মাত্র ১০৬ রানেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ইশান্ত শর্মা একাই তুলে নেন পাঁচ উইকেট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে শুরুতে ফিরিয়ে সাফল্য পান আল-আমিন হোসেন। রোহিতের ক্যাচ ছাড়লেও শেষ সেশনের শুরুতে তাকে ফেরান এবাদত। ২১ করে আউট হন তিনি। তবে পূজারা ও কোহলির দায়িত্বশীল ব্যাটিং ভারতকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। প্রথমদিনের শেষদিকে ব্যক্তিগত ৫৫ করে এবাদতের বলে আউট হন পূজারা।

    সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

    বাংলাদেশ (১ম ইনিংস) ১০৬

    সাদমান ২৯, লিটন ২৪*, নাঈম ১৯: ইশান্ত ৫-২২

    ভারত ৩৪৭-৯ (১ম ইনিংস)

    কোহলি ১৩৬, পূজারা ৫৫: আল আমিন ৩-৮৫

  • গোলাপি টেস্টে প্রথম দিনেই ব্যাকফুটে বাংলাদেশ

    গোলাপি টেস্টে প্রথম দিনেই ব্যাকফুটে বাংলাদেশ

    ইডেনের গোলাপি বলের টেস্ট ম্যাচের প্রথম দিন আপাতত বাংলাদেশের জন্য নীল। বেদনার রং। কষ্টের কষাঘাত! ৩০.৩ ওভারে ১০৬ রানে গুটিয়ে যাওয়া দলের কাছে গোলাপি নিয়ে বাকবাকুম করার উপায় কি আছে? আর তাই উৎসবের মেজাজ নিয়ে শুরু হওয়া ইডেনের পিঙ্ক টেস্টের আমেজ এখন বাংলাদেশ দলের কাছে শিরিষ কাগজে ঘষা খাওয়া চেহারা!

    ইডেনের উইকেট এবং গোলাপি বলে যেখানে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ের শত ছিদ্র বেরিয়ে গেল; সেই একই উইকেটে ভারত দিন শেষ করল ৩ উইকেটে ১৭৪ রান তুলে।

    প্রথম দিনেই ভারত এগিয়ে আছে ৬৮ রানে। বড় কোনো বিস্ময়কর ঘটনা না ঘটলে নিশ্চিতভাবে দ্বিতীয় দিন ভারত যেখানে পৌঁছাবে সেখান থেকে সামনে তখন একটাই দৃশ্য-ভারতের জয়, সম্ভাব্য বড় জয়!

    এই টেস্টের শুরুটা বাংলাদেশের এতই বিশ্রী হয়েছে যে প্রথম দিন শেষেই হিসেব মেলানো শুরু হয়ে গেছে ভারত কতো বড় ব্যবধানে জিতছে! অনেক আশা নিয়ে যারা পিঙ্ক টেস্টের চতুর্থ দিনের টিকেট কেটে রেখেছেন; তারা এখন সেদিনের জন্য নতুন পরিকল্পনা করতেই পারেন।

    প্রথম দফায় ব্যাটিংয়ে চুরমার বাংলাদেশ ইডেনে দ্বিতীয় ইনিংসে অনেক বড় কিছু করে ফেলবে-এমন আশার বেলুনে ফুঁ দেওয়ার লোক কম। পিঙ্ক টেস্ট দেখতে গেছেন যারা, খুব সম্ভবত ম্যাচের দ্বিতীয় দিন ভারতের ব্যাটিং দেখার চেয়ে নিউ মার্কেটে শপিংয়ে কাটানোর মধ্যেই বেশি সুখ খুঁজে পাবেন তারা! এমন একতরফা ক্রিকেটে আনন্দ কোথায় ভাই?

    টসে জিতে মুমিনুল হক ইন্দোরের মতো ইডেনেও ব্যাটিংয়ের সাহসী সিদ্ধান্ত নিলেন। কিন্তু তার পুরো দল যে ব্যাটিং করল সেখানে সাহস, সামর্থ্য বা স্কিলের ছিঁটেফোঁটাও যে মিলল না!

    ৩৮ রানে শুরুর ৫ উইকেট হারানোর পরই এই ম্যাচের চিত্র পরিষ্কার। লাঞ্চে গেল বাংলাদেশ ৭৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে। হেলমেটে চোট নিয়ে লিটন দাসের পিঙ্ক টেস্ট শেষ প্রথম সেশনেই। শুরুর ছয় ব্যাটসম্যানের মধ্যে পাঁচজনের সঞ্চয় ১০ রান। তিনে মুমিনুল, চারে মোহাম্মদ মিঠুন এবং পাঁচে মুশফিকুর রহিম-মিডলঅর্ডারের এই তিন ‘ম’ শূন্য রানে আউট!

    ইমরুল কায়েস সিরিজের টানা তৃতীয় ইনিংসে ব্যর্থ। আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম ৫২ বল খেলেও উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন ২৯ রানে। লোয়ার অর্ডারে যে দুজন ব্যাটসম্যান কিছুটা প্রতিরোধ গড়েছিলেন সেই দুজনেই আর এই ম্যাচের অংশ নন। লিটন দাস ২৯ বলে ২৪ এবং নাঈম হাসান ২৮ বলে ১৯ রান করে বাউন্সারের চোট নিয়ে ফিরেন। সেই চোটেই তাদের পিঙ্ক টেস্টের রোমাঞ্চ শেষ।

    গুরুতর আঘাত পাওয়া কোনো ক্রিকেটারের বদলি হিসেবে নতুন খেলোয়াড় নামানোর যে নতুন নিয়ম আছে তার জন্য আবেদন করে বাংলাদেশ দল। ম্যাচ রেফারি সেই আবেদন পর্যালোচনা করে ব্যাটসম্যান লিটন দাসের জায়গায় মেহেদি মিরাজ এবং বোলার সাঈফ হাসানের বদলি হিসেবে তাইজুলকে খেলার অনুমতি দেন। তবে লিটন যেহেতু ম্যাচে ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছেন তাই তার বদলি মিরাজও এই ম্যাচে শুধু ব্যাটিং করতে পারবেন। বোলিং নয়। অবশ্য তাইজুল বোলিং ও ব্যাটিং দুটোই করতে পারবেন। বদলি খেলোয়াড়ের এই নিয়মে কোনো দল যাতে বাড়তি সুবিধা না পায় সেজন্যই ম্যাচ রেফারি এমনসব কিছু নিয়ম-কানুন জারি করেন। ম্যাচ রেফারিকে সেই ক্ষমতা দিয়েছে আইসিসি।

    আর ইডেনে রান ক্ষমতা ভালো দেখাচ্ছেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ইন্দোরে শূন্য রানে আউট হওয়া কোহলি ইডেনে দলের হয়ে প্রথমদিন শেষে সর্বোচ্চ স্কোরার। প্রথম দিন হাফসেঞ্চুরির আনন্দে ব্যাট তুললেন। দ্বিতীয় দিন অপেক্ষায় থাকছেন নিজের ২৭ নম্বর টেস্ট সেঞ্চুরির জন্য। প্রথম দিন শেষে ভারতের ৩ উইকেটে ১৭৪ রানের মধ্যে চেতেশ্বর পূজারার হাফসেঞ্চুরিও রয়েছে।

    হ্যাঁ, টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশের ক্যাচ মিসের ঘটনা থাকবে না-তা কি করে হয়! ১২ রানে রোহিত শর্মার সহজ ক্যাচ হাতে নিয়েও ফেলে দেন আল-আমিন। বেচারা বোলার ছিলেন আবু জায়েদ রাহী। তবে ভাগ্য ভালো রোহিত সেই সুযোগ বেশি কাজে লাগাতে পারেননি। এবাদত হোসেন তার প্রথম ওভারেই রোহিতকে ফেরান ২১ রানে।

    ব্যাটিং দুঃস্বপ্নে কাটা বাংলাদেশের প্রথম দিনের বোলিংয়ে যা একটু সুখ পেলেন ঐ এবাদতই।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর: (প্রথম দিন শেষে)

    বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ১০৬/১০ (৩০.৩ ওভারে, সাদমান ২৯, ইমরুল ৪, মুমিনুল ০, মিঠুন ০, মুশফিক ০, মাহমুদউল্লাহ ৬, লিটন দাস ২৪ রিটায়ার্ড হার্ট, নাঈম হাসান ১৯, এবাদত ১, মেহেদি ৮, আল আমিন ১, আবু জায়েদ ০, অতিরিক্ত ১৪; ইশান্ত ৫/২২, উমেশ ৩/২৯ ও শামি ২/৫)।

    ভারত প্রথম ইনিংস: ১৭৪/৩ (৪৬ ওভারে, আগারওয়াল ১৪, রোহিত ২১, চেতেশ্বর ৫৫, কোহলি ৫৯*, রাহানে ২৩*, এবাদত ২/৬১ ও আল আমিন ১/৪৯)।

  • বাংলাদেশ থেকে বাইসাইকেল আমদানির আগ্রহ মমতার

    বাংলাদেশ থেকে বাইসাইকেল আমদানির আগ্রহ মমতার

    পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি পারস্পরিক স্বার্থে বাংলাদেশ থেকে বাইসাইকেল আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

    তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে বাইসাইকেলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ পশ্চিমবঙ্গে সাইকেল রফতানির এ সুযোগটি কাজে লাগাতে পারে।’

    আজ কলকাতার তাজবেঙ্গল হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির মধ্যকার বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

    বৈঠকে মমতা এ বিষয়ে দু’টি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা যৌথভাবে পশ্চিমবঙ্গে বাই সাইকেলের কারখানা স্থাপন করতে পারেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাঁর সরকার এ ব্যাপারে জমি বরাদ্দ দেবে।

    মমতা বলেন, দ্বিতীয়ত বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীরা এ ধরনের কারখানা বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে স্থাপন করতে পারে। এতে পরিবহন খরচ অনেকটাই কমে যাবে।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও শিল্পকারখানার ওপর সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

    মমতা ব্যানার্জি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাদের সমাজকল্যাণমূলক কর্মসূচির সম্পকে অবহিত করেন। তিনি উল্লেখ করেন, ভারতের অন্যান্য রাজ্যগুলোর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সর্বোচ্চ ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মমতা ব্যানার্জিকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির বিষয়ে অবহিত করেন। তিনি দেশে শিক্ষা খাতের উন্নয়নে তাঁর সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন।

    মোমেন বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ভারতের ইডেন গার্ডেনে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ঐতিহাসিক দিবা-রাত্রির টেস্ট ম্যাচ দেখার জন্য কলকাতা সফরে আসায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

    মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী এবং ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

  • সন্ধ্যার আগেই অলআউট বাংলাদেশ

    সন্ধ্যার আগেই অলআউট বাংলাদেশ

    কলকাতার ইডেন গার্ডেনস স্টেডিয়ামে দিবা-রাত্রির টেস্টে সন্ধ্যার আগেই প্রথম ইনিংসে অল আউট হয়েছে বাংলাদেশ। মোহাম্মদ শামি, ইশান্ত শর্মা ও উমেশ যাদবের বোলিং তোপে টিকতেই পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। সর্বোচ্চ পাঁচটি উইকেট নেন ইশান্ত শর্মা।

    টেস্ট সিরিজে টস ভাগ্যটা যে বাংলাদেশের পক্ষেই কথা বলছে। তবে টস বাংলাদেশের পক্ষে গেলেও সুবিধা যেন ভারতেরই বেশি হচ্ছে। ইন্দোর টেস্টেও আগে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল বাংলাদেশ। একই পথে হেটেছে ঐতিহাসিক টেস্টেও। ব্যাট করতে নেমে ইমরুল কায়েসকে নিয়ে আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিলেও ইমরুল প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন সাজঘরে। ১৫ বলে ৪ রান করা ইমরুল ইশান্ত শর্মার বলে বোল্ড হন। একটি রিভিউ নিয়ে বেঁচে গেলেও দ্বিতীয় চেষ্টায় রক্ষা পাননি।

    সুবিধা করতে পারেননি অধিনায়ক মুমিনুলও। তার মত মোহাম্মদ মিঠুন ও মুশফিকুর রহিম শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন। ভারতের পেস আক্রমণের সামনে স্পেশালিষ্ট ব্যাটসম্যানরা মোকাবেলা করেছেন যথাক্রমে ৭, ২ ও ৪ বল!

    পেসাররা কতটা দাপট দেখাচ্ছেন, তা এ থেকে সহজেই অনুমান করে নেওয়া যেতে পারে। সেই দাপটকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছিলেন সাদমান। তবে দুঃসাহসের বলী হয়ে তাকেও ফিরতে হয় সাজঘরে। সাজঘরে ফেরার আগে ৫২ বলে করেছেন ২৯, চারই হাঁকিয়েছেন পাঁচটি।

    ৩৮ রানে পঞ্চম উইকেট হারানোর পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকেও হারায় দল। ২১ বলে ৬ রান করা রিয়াদ ফিরলে লিটন দাস দেখেশুনে খেলে যান। তবে মোহাম্মদ শামির বল হেলমেটে আঘাত করায় অস্বস্তি বোধ করছিলেন। লাঞ্চের আগে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন ২৪ রান করে। লিটনের বদলি হিসেবে নামের মিরাজ।

    তবে তিনিও বেশি সুবিধা করতে পারেননি। মাত্র ৮ রান করে ইশান্তের বলে দারুণ এক ক্যাচ ধরেন পুজারা। লিটন, সাদমানের পাশাপাশি ব্যাট ভালো কিছু করার ইঙ্গিত দেন নাঈম হাসান। ইশান্তের বলে বোল্ড আউট হন তিনি। আউট হওয়ার আগে ২৮ বলে ১৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১০৬ রানেই শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। ইশান্তের পাঁচটির পাশাপাশি তিনটি নেন শামি।

  • গোলাপী বল: টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

    গোলাপী বল: টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

    কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে বাংলাদেশ এবং ভারতের অভিষেক ঘটছে গোলাপি বলের ক্রিকেটে। অর্থাৎ সিরিজের দ্বিতীয় এবং শেষ টেস্টের মধ্য দিয়েই দিবারাত্রির টেস্টে অভিষেক ঘটছে দু’দলেরই। ইডেন গার্ডেনসে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হক।

    বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যকার চলমান সিরিজের প্রথম টেস্ট জিতে ১-০ তে এগিয়ে আছে স্বাগতিক ভারত। এই সিরিজ দিয়ে বাংলাদেশের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে অভিষেক ঘটেছে। আর সিরিজের শেষ ম্যাচে দিবারাত্রির টেস্টে অভিষেক ঘটছে দুই দেশেরই।

    বাংলাদেশ একাদশ: ইমরুল কায়েস, সাদমান ইসলাম, মোহাম্মদ মিঠুন, মুমিনুল হক (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), আবু জায়েদ রাহী, এবাদত হোসেন, আল-আমিন এবং নাইম হাসান।

    ভারত একাদশ: মায়াঙ্ক আগারওয়াল, রোহিত শর্মা, চেতেশ্বর পূজারা, বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), আজিঙ্কা রাহানে, রবীন্দ্র জাদেজা, ঋদ্ধিমান সাহা (উইকেটরক্ষক), রবীচন্দ্রন আশ্বিন, উমেষ যাদব, মোহাম্মদ শামী, ইশান্ত শর্মা।

  • বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে রূপ নিয়েছে:ফখরুল

    বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে রূপ নিয়েছে:ফখরুল

    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবসম্মত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন।

    আজ বুধবার সকাল ১০টায় ঠাকুরগাঁও শহরের তাঁতীপাড়ায় পৈতৃক নিবাসে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।

    মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সড়ক পরিবহন আইনটি বাস্তবসম্মত হয়নি। এটি শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট স্টক হোল্ডারদের নিয়ে আলোচনায় বসে এই আইন প্রণয়ন করা উচিত ছিল।’

    সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এই সরকার রাষ্ট্রপরিচালনায় ব্যর্থ তাই দেশে এ সময়ে পেঁয়াজ-লবণ সংকট দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ আজ ব্যর্থ রাষ্ট্রে রূপ নিয়েছে। আইনের সুশাসন নেই। দুঃশাসনের যাতাকলে সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় গণঅভ্যুত্থান।’

    ফখরুল বলেন, ‘আইনের সুশাসনের অভাবে প্রশাসনও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে না। দুর্নীতিতে দেশ ডুবে গেছে। দলীয় কর্মীদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভিসি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে অঙ্গনে অস্থিরতা বিরাজ করছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নৈরাজ্য ও অপশাসন এবং ভিসির অপতৎপরতা বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনের নেতারা প্রতিবাদ করায় তাদেরও বের করে দেওয়া হয়েছে। কারণ ভিসির নাকি রাজকীয় পরিবারের সঙ্গে মিল মহব্বত রয়েছে।’

    বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘৫২ থেকে ৯০-র গণঅভ্যুত্থানসহ দেশে সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্র সমাজের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি।’

    দেশের চলমান পরিস্থিতিতে ছাত্র সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি ।

    মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের চলমান সমস্যার দিকে সরকারের মনোযোগ নেই। বড় বড় মেগা প্রজেক্ট তৈরি করে কীভাবে জনগণের টাকা লুট করা যায় এ নিয়ে তারা ব্যস্ত। কোটি কোটি টাকা লুট করে তারা বিদেশে পাচার করছে।’এসবের প্রতিবাদে দাঁড়ালেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে তা পণ্ড করে দিচ্ছে এমন অভিযোগ করেন তিনি।

    মহাসচিব বলেন, ‘ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। এ দেশের স্বাধীকার আন্দোলনে ভারতের অবদান রয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ সরকার তিস্তাসহ দেশের নদীগুলোর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে ব্যর্থ হয়েছে।’

    মিয়ানমার সম্পর্কে ফখরুল বলেন, ‘দুই বছরেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সমস্যা নিরসন করতে পারেনি আওয়ামী লীগ সরকার। কূটনৈতিকভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে ফ্যাসিস্ট এ সরকার।’

    বেগম খালেদা জিয়া কারাবন্দী প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকারের হীনমন্যতা আর দৈন্যতার কারণে তাকে অন্যায়ভাবে আটক রাখা হয়েছে। গণআন্দোলনের মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসনকে মুক্ত করা হবে’

    তিনি বলেন, ‘বিএনপি সাংগঠনিকভাবে দুর্বল নয়। বন্যায় যেমন পদ্মা-যমুনা-মেঘনার দুই তীর ভাঙে, কিন্তু নদীর প্রবাহ ঠিক থাকে। বিএনপির এ রূপ গতি রয়েছে। সরকার বিএনপির পেছনে টিকটিকি লাগিয়ে দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে মাত্র।’

    এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার দাদা বাড়ি পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলায় রওনা হন। সেখান থেকে তিনি তেঁতুলিয়া যাবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

  • দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়

    দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়

    ইন্দোর টেস্টের তৃতীয় দিনে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংয়ে নেমেছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও নড়বড়ে সূচনা করেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬ রানের মধ্যেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও দুই ওপেনার ব্যক্তিগত ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এরপর অধিনায়ক মুমিনুল ৭ এবং মিঠুন ১৮ রান করে আউট হয়েছেন। ইনিংস পরাজয় এড়াতে প্রয়োজন ২৯৯ রান।

    এখন মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহ ব্যাট করছেন। দলীয় সংগ্রহ ৪৪/৪

    এর আগে ৬ উইকেটে ৪৯৩ রান নিয়ে দ্বিতীয় শেষ করা ভারত ইনিংস ঘোষণা করে একই রানে। এর ফলে ৩৪৩ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছে টাইগাররা।

    মায়াঙ্ক আগারওয়ালের ডাবল সেঞ্চুরিতে ভর করে গতকাল দ্বিতীয় দিনে ৩৪৩ রানে এগিয়ে গিয়েছিল স্বাগতিক ভারত। গতকাল ইনিংস ঘোষণা না করায় ভারত রান আরও বাড়াতে আরও কিছু সময় ব্যাট করতো বলে অনুমান করা হলেও তৃতীয় দিনে আর ব্যাটিংয়ে নামেনি স্বাগতিকরা। আগের দিনে করা ৬ উইকেটে ৪৯৩ রানেই ইনিংস ঘোষণা করে বিরাট কোহলির দল।

    ভারতের পক্ষে মায়াঙ্ক আগারওয়াল ২৪৩, রাহানে ৮৬ রান করেন। এছাড়া জাদেজা অপরাজিত থাকেন ৬০ রান।

    বাংলাদেশের পক্ষে আবু জায়েদ চৌধুরী রাহী ৪টি এবং মেহেদী মিরাজ ও এবদাত হোসেন নেন একটি করে উইকেট।

    এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করেছিল ১৫০ রান।

  • মায়াঙ্কের ডাবল সেঞ্চুরিতে ভারতের রানের পাহাড়

    মায়াঙ্কের ডাবল সেঞ্চুরিতে ভারতের রানের পাহাড়

    ইন্দোর টেস্টে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ভারতের ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়াল। তার ডাবল সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে বড় লিড পেয়েছে ভারত। সেই সাথে বড় রানের পথে দলীয় সংগ্রহও।

    লাঞ্চ ব্রেকের পর সেঞ্চুরি হাঁকান মায়াঙ্ক আগারওয়াল। সেঞ্চুরি থেকে নিজের ইনিংসকে নিয়ে যান দেড়শ রানে। মায়াঙ্ককে যোগ্য সঙ্গ দেন অজিঙ্কা রাহানে। এমনিতেই বড় লিডের পথে এগোচ্ছিল ভারত। লাঞ্চ ব্রেকের পর ফিফটির দেখা পান রাহানেও। তবে সেখানেই থামেননি এ দুই ব্যাটসম্যান। মায়াঙ্কের সেঞ্চুরির পর ভারতের অধিনায়ক কোহলি ইঙ্গিত দেন ডাবল সেঞ্চুরি করার।

    কোহলির কথামত দেড়শ’র ইনিংসকে নিয়ে ডাবল শতকে! টেস্ট ক্যারিয়ারে ইতোমধ্যে দুইটি ডাবল শতকের দেখা পেয়েছেন মায়াঙ্ক। ডাবল হাঁকানোর পর ড্রেসিংরুম থেকে ফের ট্রিপল সেঞ্চুরি করার ইঙ্গিত দেন কোহলি। সেদিকেও এগোচ্ছিলেন তিনি। এ দুই ব্যাটসম্যান যখন দলের রান এগিয়ে নিচ্ছিলেন তখন ফের বাংলাদেশকে ব্রেক-থ্রু এনে আবু জায়েদ রাহি।

    ব্যক্তিগত ৮৬ রানে রাহির বলে তাইজুলের হাতে ক্যাচ তুলে দেন রাহানে। সেই সাথে রাহি ভাঙেন ১৯০ রানের জুটিও। ডাবল সেঞ্চুরির পরই দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল। তবে তার সেই ইনিংস থামিয়ে দেন মেহেদী হাসান। তার বলে সুইপ করে বাউন্ডারিতে অসাধারণ এক ক্যাচ ধরেন রাহি। ৩৩০ বলে ২৪৩ করে থামে তার ইনিংস।

    অন্যদিক থেকে দলের লিড বড় করতে থাকেন জাদেজা। শেষ বিকেলে ঋদ্ধিমান সাহাকে বোল্ড করেন এবাদত। শেষ বিকেলে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন বোলার উমেশ যাদব। রাহি, এবাদতকে পাত্তাই দেননি তিনি। উমেশের ঝড়ের পাশাপাশি ফিফটিও হাঁকান জাদেজা। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় দিনে শেহসে ৪৯৩ রান করে ভারত। সেই সাথে লিড নেয় ৩৪৩ রানের।

    সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

    বাংলাদেশ (১ম ইনিংস) ১৫০ (মুশফিক ৪৩, মুমিনুল ৩৭: ৩-২৭

    ভারত (১ম ইনিংস) ৪৯৩-৬ (আগারওয়াল ২৪৩, উমেশ ২৫*, রাহানে ৮৬: রাহি ৪-১০৮

  • প্রথমদিনে চালকের আসনে ভারত

    প্রথমদিনে চালকের আসনে ভারত

    ইন্দোরে চেতেশ্বর পূজারা ও মায়াঙ্ক আগারওয়ালের ব্যাটে প্রথমদিনে চালকের আসনে রয়েছে ভারত। শামি-ইশান্তদের তোপে পড়ে অসহায় আত্মসমর্পণ করে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। এরপর ব্যাট হাতে এবার বাংলাদেশের বোলারদের বিপক্ষে শক্ত অবস্থানে স্বাগতিকরা ।

    মুশফিকের বিদায়ের পরের বলে শামির বলে এল্বিডব্লিউর শিকার হয়ে চা-বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। রিভিউ চাইলে নিতেও পারতেন মিরাজ। কিন্তু অপরপ্রান্তে থাকা লিটন সাড়া না দিলে রিভিয় না নিয়েই সাজঘরের পথ ধরেন মিরাজ। পরবর্তীতে দেখা যায় শামির করা বলটি লেগ স্ট্যাম্প মিস করে। চা-বিরতির প্রথম বলেই আউট হন লিটন কুমার দাস। ইশান্তের বলে স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন ২১ রান করা লিটন।

    যেখানে দলের স্বীকৃত ব্যাটসম্যানরাই ঠিকমত দাঁড়াতে পারেনি শামিদের বিপক্ষে সেখানে বোলারদের টিকে থাকা এক প্রকার অসম্ভব। শেষ পর্যন্ত ১৫০ রানে ইনিংস শেষ হয় বাংলাদেশের। দুইটি করে উইকেট লাভ করেন ইশান্ত শর্মা, উমেশ যাদব ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। একাই তিন উইকেট নেন পেসার মোহাম্মদ শামি।

    জবাবে ব্যাট করতে নেমে আবু জায়েদ রাহি ও এবাদত হোসেনকে বেশ দেখেশুনেই খেলেন রোহিত শর্মা ও মায়াঙ্ক আগারওয়াল। দলীয় ১৪ রানে রোহিত শর্মাকে আউট করে সাজঘরে ফেরান আবু জায়েদ। অবশ্য ঘুরে দাঁড়ায় ভারত। মায়াঙ্ক ও পূজারা মিলে দলের রান সংগ্রহ বড় করার দায়িত্ব নেন। এবাদত-আবু জায়েদ ও তাইজুলকে দেখেশুনেই খেলেন এ দুই ব্যাটসম্যান।

    দিনের শেষবেলায় মায়াঙ্ককে আউট করার সুযোগ এনেও সেটি হাতছাড়া করে বাংলাদেশের। রাহির বলে স্লিপে ক্যাচ তুলে দিয়েছিল মায়াঙ্ক কিন্তু সেটি নিতে পারেননি ইমরুল। শেষ পর্যন্ত এক উইকেট হারিয়ে ৮৬ রান সংগ্রহ করে দিনশেষ করে ভারত। ৪৩ করে অপরাজিত রয়েছেন পূজারা এবং ৩৭ করে অপরাজিত রয়েছেন মায়াঙ্ক।

    এর আগে বাংলাদেশের ৩১ রানে ৩ উইকেট পড়লে সেখান থেকে দলের হাল ধরার দায়িত্ব নেন মুশফিক ও মুমিনুল। তবে একের পর এক জীবন পেয়ে গেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। সেটি কাজে লাগানোর চেষ্টাও করেন তিনি। মুশফিক-মুমিনুলের জুটি ভাঙেন অশ্বিন। ব্যক্তিগত ৩৭ রান মুমিনুলকে আউট করেন অশ্বিন। দল যখন বিপদে তখন সেটি আরও বাড়ান মাহমুদউল্লাহ।

    অশ্বিনের বলে স্ট্যাম্প থেকে সরে এসে সুইপ করতে গেলে বোল্ড হন ১০ রান করা মাহমুদউল্লাহ। তবুও যেন চেষ্টা চালিয়ে যান মুশফিক। তবে শামির দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ৪৩ রান করেই সাজঘরে ফিরতে হয় মুশফিককে।

    সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

    বাংলাদেশ (১ম ইনিংস) ১৫০ (মুশফিক ৪৩, মুমিনুল ৩৭, লিটন ২১: শামি ৩-২৭

    ভারত (১ম ইনিংস) ৮৬-১ (পূজারা ৪৩*, মায়াঙ্ক ৩৭*)

  • বাংলাদেশ ১৫০ রানে অলআউট

    বাংলাদেশ ১৫০ রানে অলআউট

    ইন্দোরে ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে চরম ব্যাটিং ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বাংলাদেশ দল। এই ম্যাচের মধ্য দিয়েই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে যাত্রা আরম্ভ করা টাইগাররা তাদের প্রথম ইনিংসে ৫৮.৩ ওভারে মাত্র ১৫০ রানে অলআউট হয়ে গেছে।

    বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় হলকার স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া ম্যাচে দলীয় ১২ রানের মাথায় জোড়া উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ দল টেস্টের শুরুটা মোটেও ভালো করতে পারেনি। ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলটি উমেশ যাদব লেন্থ ডেলিভারি দিয়েছিলেন। লাফিয়ে ওঠা বলটি ইমরুল খোঁচা মেরে নিজের বিপদ ডেকে আনেন। বল সরাসরি তৃতীয় স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা আজিঙ্কা রাহানের হাতে চলে গেলে ইমরুল মাত্র ৬ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ইশান্ত শর্মার করা পরের ওভারে ইমরুলের সমান ৬ রান করে সাদমান আলগা ড্রাইভ করেন। বল ব্যাটে লেগে সরাসরি ঋদ্ধিমান সাহার গ্লাভসে চলে গেলে সাদমানও ফিরে যান।

    এরপর ১৮ ওভারে মোহাম্মদ শামির করা লেগ মিডলে পিচ করা বল সামান্য একটু সুইং করে মোহাম্মদ মিঠুনের প্যাডে আঘাত হানে। ভারতীয় ফিল্ডাররা লেগ বিফোরের আবেদন করলে আম্পায়ার তাতে সাড়া দেন এবং ৩৬ বলে ১২ রান করে মিঠুন ফিরে যান।

    চতুর্থ উইকেটে ৬৮ রান যোগ করে অধিনায়ক হিসেবে অভিষিক্ত মুমিনুল হক এবং মুশফিকুর রহিম প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করছেন। ৬৫ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কার মারে মুমিনুল ৩৪ রান করে অশ্বিনের করা অফ স্টাম্পের একটু বাইরে পিচ করা বল অযথাই ছেড়ে দিলে বোল্ড হয়ে অনেকটা আত্মহত্যাই যেন করে বসেন।

    মুমিনুলের আউটের পর উইকেটে এসেছিলেন রিয়াদ। ৩০ বল খেলে ১ চারে করেছেন ১০ রান। ৪৫তম ওভারের ওই প্রথম বলেই অশ্বিনের ঝুলিয়ে দেয়া বলে স্টাম্প অনেকটা ছেড়ে দিয়ে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে রিয়াদ ফিরলে সফরকারীরা বেশ বিপদে পড়ে যায়। অশ্বিনের বলে ক্যাচ স্লিপে থাকা আজিঙ্কা রাহানে ধরতে না পারায় ব্যক্তিগত ৭ রানে থাকা রিয়াদ তার ইনিংস টেনে নিতে ব্যর্থ হন।

    লাঞ্চের আগে উমেশ যাদবের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েও বিরাট কোহলি তা ধরতে না পারায় মুশফিক জীবন পেয়েছিলেন। লাঞ্চের পর যখন মি.ডিপেন্ডেবলের ব্যক্তিগত রান ১৫ তখন অশ্বিনের বলে স্লিপে তার ক্যাচ আজিঙ্কা রাহানে ফেলে দিলে আবারো বেঁচে যান মুশফিক।

    ব্যক্তিগত ৩৪ রানে অশ্বিনের বল তার গ্লাভসে লেগে ঋদ্ধিমান সাহার কাছে গেলেও তিনি তা গ্লাভসবন্দি করতে পারেননি। তারপরও তিনি ইনিংসটাকে লম্বা করতে পারেননি। মোহাম্মদ শামির দারুণ একটি বলে কাট করতে গিয়ে ব্যাটে বলে মুশফিক টাইমিং করতে না পারায় ১০৫ বলে ৪৩ রান করে বোল্ড হয়ে যান।

    মুশফিকের বিদায়ের পরের বলেই উইকেটে গিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন। যদিও টিভি রিপ্লেতে দেখা গেছে রিভিউ নিলে তিনি বেঁচে যেতেন। চা বিরতির পর ইশান্ত শর্মার করা প্রথম বলেই স্লিপে থাকা বিরাট কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২১ রান করা লিটন দাস।

    খানিক পর দৌড়ে দুই রান নিতে যান তাইজুল ইসলাম। বাউন্ডারি লাইন থেকে রবীন্দ্র জাদেজার দারুণ থ্রো গ্লাভসে জমা করে উইকেট ভেঙে দিলে তাইজুল মাত্র ১ রান করে রান আউট হয়ে ফেরেন। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে এবাদত হোসেন ২ রান করে উমেশ যাদবের বলে বোল্ড হলে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষ হয়।

    ভারতের পক্ষে মোহাম্মদ শামি ৩টি এবং ইশান্ত শর্মা, উমেশ যাদব এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন ২টি করে উইকেট পান।

  • শুরুতেই তিন উইকেট হারাল বাংলাদেশ

    শুরুতেই তিন উইকেট হারাল বাংলাদেশ

    ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে ইন্দোরের হলকার ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং করছে বাংলাদেশ।

    শুরুতেই বিদায় নায়েছেন দুই ওপেনার ইমরুল ও সাদমান।

    ইন্দোরে ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। টস হেরে বোলিংয়ে নেমে শুরু থেকেই দারুণ লাইন এবং লেংথে বল করতে থাকে ভারতীয় পেসার ঈশান্ত শর্মা এবং উমেষ যাদব। ষষ্ট ওভারের শেষ বলে যাবদের অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল ব্যাটের কোনায় লেগে চলে যায় স্লিপে দাঁড়ানো রাহানের হাতে। আর ৬ রান করা ইমরুল কায়েসের তুলে দেওয়া ক্যাচ তালু বন্দী করতে একটুও ভুল করেননি আজিঙ্কা রাহানে।

    পরের ওভার অর্থাৎ ৭ম ওভারের শেষ বলে ঈশান্ত শর্মার বলে ঋদ্ধিমান সাহার হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম। আউট হওয়ার আগে নামের পাশে যোগ করেন মাত্র ৬ রান।

    এরপর দলীয় ৩১ রানে শামির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ১৩ রান ফিরে যান মিঠুন। ক্রিজে আছেন অধিনায়ক মুমিনুল ১৮ রান এবং মুশফিক ২ রান।

    দলীয় সংগ্রহ ৪৭/৩ (২৩ ওভার)

    ভারতকে টসে হারিয়ে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ :
    ইন্দোরের হলকার ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে দুদলের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ। যেখানে ভারতকে টসে হারিয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের কাপ্তান মুমিনুল হক।

    ১৩ ম্যাচে টস জিতার পর আজ ভাগ্য নির্ধারণে হেরেছে ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। যদিও এই নিয়ে কোনো ভাবনা নেই তার। টস করার সময় তার বক্তব্য ছিলো টস জিতলে ফিল্ডিংই করতেন তিনি। যদিও ২০১৮ সালের পর থেকে আগে বোলিং করে ৭ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটি ম্যাচে জিতেছে। আর বাকি ৬ ম্যাচেই হেরেছে তারা।

  • টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

    টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

    দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ কাপ্তান মুমিনুল হক

    হলকার ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে এই টেস্ট দিয়ে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের যাত্রা।

    উল্লেখ্য যে ভারতের মাটিতে ভারত ৩২ ম্যাচ খেলে মাত্র ১ টি হেরেছে ২৬ টি জিতেছে এবং ৫টি ড্র হয়েছে।

    বাংলাদেশ একাদশ:

    ইমরুল কায়েস, সাদমান ইসলাম, মোহাম্মদ মিঠুন, মুমিনুল হক (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, আবু জায়েদ রাহি, ইবাদত হোসেন।

    ভারত একাদশ:

    রোহিত শর্মা, মায়াঙ্ক আগারওয়াল, চেতেশ্বর পূজারা, বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), আজিঙ্কা রাহানে, রবীন্দ্র জাদেজা, ঋদ্ধিমান সাহা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ইশান্ত শর্মা, মোহাম্মদ শামি, উমেশ যাদব।