Tag: বাংলাদেশ

  • ফিফা র‌্যাংকিংয়ে তিন ধাপ এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ

    ফিফা র‌্যাংকিংয়ে তিন ধাপ এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ

    সর্বশেষ প্রকাশিত ফিফা র‌্যাংকিংয়ে তিন ধাপ এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ আর তিন ধাপ পিছিয়ে গেছে ভারত।

    ১৯ সেপ্টেম্বরের পর আজ নতুন র‍্যাংকিং প্রকাশ করেছে ফিফা। যেখানে তিন ধাপ এগিয়েছে লাল সবুজের পতাকাধারীরা।

    কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে এক লড়াকু বাংলাদেশকে দেখেছে ফুটবল বিশ্ব। নিজেদের থেকে ফিফার র‌্যাংকিংয়ে ৮৩ ধাপ এগিয়ে থাকা ভারতকে তাদের মাঠেই প্রায় হারিয়ে দিয়েছিল জামাল ভূঁইয়ারা। তবে শেষ মুহূর্তে ভারতীয় সেন্টার ব্যাক আদিল খানের করা গোলে শেষ রক্ষা হয় ভারতের।

    ম্যাচ শেষ হয় ১-১ গোলে অমীমাংসিতভাবেই।নিজেদের থেকে র‌্যাংকিংয়ে পিছিয়ে থাকা দলের সাথে ড্র করার মাশুল গুণতে হচ্ছে ভারতকে। ফুটবল র‌্যাংকিং সিস্টেম বলছে বাংলাদেশের সাথে ড্র করায় তিন ধাপ পেছাতে হবে সুনীল ছেত্রীদের।

    এর ফলে ফিফার নতুন প্রকাশিত র‌্যাংকিংয়ে ভারত তিন ধাপ পিছিয়ে নেমে গেছে ১০৭ নম্বরে। আর এই ম্যাচের আগে ১৮৭ নম্বরে থাকা বাংলাদেশের র‌্যাংকিংয়ে উন্নতি হয়ে উঠে এসেছে ১৮৪ নম্বরে।

    উল্লেখ্য, নতুন ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে চারে আসেনি কোন পরিবর্তন।

    প্রথম স্হানে যথারীতি বেলজিয়াম নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে। দুইয়ে আছর ফ্রান্স, তিনে ব্রাজিল ও চারে ইংল্যার্ড।

    এক ধাপ পিছিয়ে ছয়ে চলে গেছে রোনালদোর পর্তুগাল। পাঁচে এসেছে উরুগুয়ে। অন্যদিকে ইকুয়েডরের বিপক্ষে দারুন জয়ে এক ধাপ এগিয়ে নয়ে এসেছে আর্জেন্টিনা।

  • বাংলাদেশের বিপক্ষে কোহলি বিহীন ভারতের টি-২০ দল ঘোষণা

    বাংলাদেশের বিপক্ষে কোহলি বিহীন ভারতের টি-২০ দল ঘোষণা

    গুঞ্জন ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে থাকছেন না বিরাট কোহলি। অবশেষে হলোও তাই। ঘরের মাটিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করেছে ভারত।

    টি-টোয়েন্টি দলে রাখা হয়নি বিরাট কোহলিকে। বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে তাকে। টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিকদের নেতৃত্বের ভার দেওয়া হয়েছে রোহিত শর্মার কাঁধে।

    বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ও দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে ভারত। ঘরের মাটিতে শুরু হতে যাওয়া এ সিরিজের জন্য আজ দল ঘোষণা করেছে বিসিসিআই। টি-টোয়েন্টির মতো টেস্ট স্কোয়াডেও রাখা হয়েছে ১৫জন করে ক্রিকেটার।

    বাংলাদেশের বিপক্ষে ঘোষিত টি-টোয়েন্টি দলে ফিরেছেন স্যাঞ্জু স্যামসান। বিজয় হাজারি প্রতিযোগিতার নজরকাড়া পারফরম্যান্সের পর ৪ বছরের অপেক্ষা ঘুচিয়ে দলে ফিরেছেন তিনি। তাহাড়া দলে অন্তুর্ভুক্ত হয়েছেন শিভাব দুবেও।

    এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে রাঁচি টেস্টে অভিষেক হওয়া শাহবাজ নাদীমকে বাইরে রেখে টেস্ট দল ঘোষণা করেছে ভারত।

    প্রসঙ্গত, আসছে নভেম্বরের শুরুতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে শুরু হবে দু’দলের মধ্যকার বহুল প্রতীক্ষিত সিরিজটি। টি-টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে ৩, ৭ ও ১০ নভেম্বর। যথাক্রমে দিল্লী, রাজকোট ও নাগপুরে। এরপর ইন্ডোরে ১৪-১৮ নভেম্বর প্রথম টেস্ট ও কলকাতায় ২২-২৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট।

    টি-টোয়েন্টি সিরিজের ভারত দল: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শিখর ধাওয়ান, লোকেশ রাহুল, স্যাঞ্জু স্যামসন, শ্রেয়াশ আইয়ার, মনেশ পান্ডে, রিশাভ পান্ট, ওয়াশিঙ্গটন সুন্দর, ক্রুনাল পান্ডেয়া, যুবেন্দ্র চাহাল, রাহুল চাহারম দীপক চাহার, খলিল আহমেদ, শিভাম দবে ও শার্দুল ঠাকুর।

    টেস্ট সিরিজের ভারত দল: বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), রোহিত শর্মা, মায়াঙ্ক আগারওয়াল, চেতেশ্বর পুজারা, আজিঙ্কা রাহানে, হনুমান ভিহারি, ঋদ্ধিমান শাহা (উইকেটরক্ষক), রবীন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, কুলদ্বীপ যাদব, মোহাম্মদ শামি, উমেশ যাদব, ইশান্ত শর্মা, শুবমান গিল ও রিশাভ পান্ট।

    ভারতের সফরের বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দল: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, নাইম শেখ, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, আরাফাত সানি, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, আল আমিন হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান ও শফিউল ইসলাম।

    ভারত-বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি সিরিজের সূচিঃ
    →১ম টি-টোয়েন্টি- ৩ নভেম্বর, অরুন জেটলি স্টেডিয়াম, দিল্লি।
    →২য় টি-টোয়েন্টি- ৭ নভেম্বর, সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম, রাজকোট।
    →৩য় টি-টোয়েন্টি- ১০ নভেম্বর, বিদর্ভা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম, নাগপুর।

    টেস্ট সিরিজের সূচিঃ
    →১ম টেস্ট- ১৪-১৮ নভেম্বর, হকার ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ইনদোর।
    →২য় টেস্ট- ২২-২৬ নভেম্বর, ইডেন গার্ডেন্স, কোলকাতা।

  • বাংলাদেশের সাথে হারতে হারতে ড্র করেছে ভারত

    বাংলাদেশের সাথে হারতে হারতে ড্র করেছে ভারত

    কলকাতার সল্ট লেকে গ্যালারি ভর্তি দর্শক। চারদিকে কেবলই ‘ভারত’, ‘ভারত’ চিৎকার। এতো দর্শকদের সামনে খেলার অভিজ্ঞতাটাই যে নেই বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের। তাতে কী? বাংলাদেশের ছেলেরা তো দমে যাওয়ার নয়। বীরের মতো লড়লো পুরোটা সময়। মাঠের প্রতিটি কোণায় তাদের বিচরণ। ভারতীয় ফুটবলারদের যেখানে খুঁজে পাওয়া দায়।

    র‌্যাংকিংয়ে ৮৪ ধাপ এগিয়ে থাকা ভারত খানিকটা দাপট দেখাচ্ছিল শুরুতে। ৩৪ মিনিটে তো ভারতের ডানদিক থেকে নেয়া শট এক হাতে বারের ওপর দিয়ে বাইরে পাঠিয়ে দেন রানা, যেটি হয়ে যেতে পারতো গোল। তবুও আক্রমনে কম যায়নি বাংলাদেশও।

    কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর ফুটবলে ভয় ধরাচ্ছিল প্রতিপক্ষ সমর্থকদের বুকে। প্রথমার্ধের ৪২ মিনিটে জামালের ফ্রি-কিকে সাদের মাথা ছুঁয়ানোতে কাঙ্খিত সেই গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। লিড নিয়েই বিরতিতে যায় সফরকারিরা।

    দ্বিতীয়ার্ধে ৫১ মিনিটের মাথায় দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিলেন স্ট্রাইকার নবীব নেওয়াজ জীবন। সতীর্থের সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়ায় দৌড়ের মধ্যেই বক্সে বল নিয়ে ঢুকে যান তিনি, শটও নিয়েছিলেন। সেটি কোনোমতে আটকে দেন ভারতীয় এক ডিফেন্ডার।

    ৭১ মিনিটেই সমতায় ফিরতে পারতো স্বাগতিকরা। ভারতের সংঘবদ্ধ এক আক্রমণ ডিফেন্ডাররা বেশ কয়েকবার ঠেকিয়ে দিলেও শট নিয়েছিলেন স্বাগতিক দলের এক ফুটবলার। বাংলাদেশ গোলরক্ষক রানার দৃঢ়তায় তা আর সম্ভব হয়নি।
    ৭৫ মিনিটে নাবীব নেওয়াজ ভারতীয় গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে বল পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। সেটি প্রায় গোলই হয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু হঠাৎই একজন ডিফেন্ডার এসে সেটা লাথি দিয়ে ওপরে তুলে দেন। যদিও অনেকের ধারণা বলটি অতিক্রম করেছে গোললাইন।

    বাংলাদেশ তখন প্রায় জিতেই গেছে। চারদিকে চলছে উৎসবের প্রস্তুতি। এমন সময় ৮৮তম মিনিটে কর্নার থেকে বল পেয়ে হেডে গোল করেন ভারতীয় ফুটবলার আদিল খান। তার এই গোলেই শেষ পর্যন্ত ১-১ সমতায় মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।

    খেলা শেষে স্কোরবোর্ড হয়তো দেখাবে ম্যাচ হয়েছে ড্র। তবে এই ম্যাচে যেভাবে লড়াকু মানসিকতায় দেখিয়েছে জামাল ভূঁইয়ারা। ড্র হওয়ায় সেই উৎসবের রঙ হয়তো কিছুটা ধূসর হয়েছে, তবে একেবারে তো শেষ হয়ে যায়নি। এই ম্যাচের পর নিশ্চয়ই দেশের ফুটবল প্রেমিরা আবারও স্বপ্ন দেখা শুরু করবেন, দেশের ফুটবলের পুর্নজাগরণের।

  • বাংলাদেশ দুর্যোগ মোকাবেলায় রোল মডেল : প্রধানমন্ত্রী

    বাংলাদেশ দুর্যোগ মোকাবেলায় রোল মডেল : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্বের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। এ দেশ এখন যে কোনো দুর্যোগ মোকাবেলার সমর্থ রাখে।

    আজ রবিবার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে আয়োজিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

    তিনি বলেন, আমাদের সরকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় কাজ করে যাচ্ছে। আমরা দুর্যোগ ব্যবস্থানা আইন-২০১২ প্রণয়ন করেছি। দিন দিন দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে। আমরা মানুষকে সচেতন করতে পেরেছি। দুর্যোগকালীন সময়ে খাদ্য মজুদের ব্যবস্থা আমরা করেছি। দুর্যোগকালীন সময়ে প্রতিবন্ধীদের চিন্তা করেও আমরা কাজ করছি। আমরা ডেল্টা প্লান ২১০০ হাতে নিয়েছি। যাতে আজকের শিশুর কথাও বিবেচনা করা হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভৌগোলিক অবস্থানে বাংলাদেশ দুর্যোগপ্রবণ একটি ব-দ্বীপ। এ কারণে আমরা সুদূরপ্রসারি পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা কৃষক লীগের মাধ্যমে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি করেছি। এতে বনভূমি বৃদ্ধি পেয়েছে।

    নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে নদীভাঙন হবে, সেখানেই ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে।’
    তিনি বলেন, নদীগুলোয় পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে আমরা সেগুলো ড্রজিং করছি। তাছাড়া ভাঙন রোধে নদীশাসন ও বাঁধ দেওয়ার কাজ চলছে।

    শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের কর্তব্য মানুষের পাশে দাঁড়ানো। দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে জাতির পিতা উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণ করেছিলেন। তৎকালীন রেডক্রসকে সঙ্গে নিয়ে সাইক্লোনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। সে সময় ৪৫ হাজার ভলান্টিয়ারকে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছিল। পরে তারা দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন এলাকায় কাজ করেন।

    তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের প্রশিক্ষিত ভলান্টিয়ার রয়েছে। স্কাউট, বিএনসিসি, গার্লস গাইডও দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করছে।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯১ সালে যখন ঘূর্ণিঝড় হয়, তখন আমি সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা। ওই সময় এক অধিবেশনে সরকার দলীয় নেতা বলেছিলেন, ঘূর্ণিঝড়ে যত মানুষ মরার কথা ছিল, তত মানুষ মরে নাই। তখন আমি বলেছিলাম, কত মানুষ মরার কথা ছিল, আর কত মানুষ মরেছে? যেকোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সরকার সজাগ না থাকলে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
    সরকারপ্রধান বলেন, আমরা যখনই সরকারে এসেছি, দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিয়েছি। দুর্যোগের সময় প্রতিবন্ধীদের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে বিষয়ে আমরা সজাগ রয়েছি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, নেপালে ভূমিকম্পের সময় আমরা তাদের সৈয়দপুর এয়ারপোর্টটি ব্যবহার করতে দিই। প্রতিবেশী দেশগুলো দুর্যোগের সময় এই বিমান বন্দরটি ব্যবহার করতে পারবে। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে একে অপরকে সহযোগিতা করা আমাদের দায়িত্ব।

    বৃক্ষরোপণের ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আশির দশকে কৃষক লীগের মাধ্যমে সারাদেশে পহেলা আষাঢ় থেকে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ নেয়। প্রত্যেকে যেন একটি করে গাছ লাগান সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়। বনভূমি বৃদ্ধিতে উপকূলীয় এলাকায় সবুজ বেষ্টনী তৈরি করা আমাদের লক্ষ্য। চট্টগ্রামের ঝাউবন তৈরির ফলে বিশাল এলাকা জলচ্ছ্বাসের কবল থেকে রক্ষা পায়। এ ছাড়া বনভূমি সৃষ্টিতে হেলিকপ্টারে করে আমরা পাহাড় অঞ্চলে বীজ ছিটিয়ে দিয়েছিলাম।’

    তিনি বলেন, ‘সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। যে কোনো মনুষ্য সৃষ্টি দুর্যোগ ও প্রাকৃতিকে দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সব সময় প্রস্তুত রয়েছে।’

    প্রধানমন্ত্রী এ সময় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ১৪ জেলায় ১০০টি ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র ও ৬৪ জেলায় ১১ হাজার ৬০৪টি দুর্যোগ সহনীয় ঘরের উদ্বোধন করেন।

  • বাংলাদেশ-ভারত সাত সমঝোতা স্মারক সই, ৩ প্রকল্প উদ্বোধন

    বাংলাদেশ-ভারত সাত সমঝোতা স্মারক সই, ৩ প্রকল্প উদ্বোধন

    বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে দুদেশের মধ্যে সাতটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে এছাড়া উদ্বোধন হয়েছে তিনটি যৌথ প্রকল্প।

    শনিবার (৫ অক্টোবর) নয়াদিল্লীর হায়দ্রাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে শেষে দুদেশের মধ্যে এসব সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়।

    দেশের সরকার প্রধানের উপস্থিতিতে চুক্তি সই ও চুক্তিপত্র বিনিময় হয়।

    এছাড়া হাসিনা ও মোদি যৌথভাবে তিনটি দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।

    দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে হায়দ্রাবাদ হাউসে মধ্যাহ্নভোজনের আয়োজন করা হয়।

    এর আগে দুদেশের নেতাদের মধ্যে একটি ব্যক্তিগত বৈঠক হয়।

    এদিকে শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে ‘সর্বোচ্চ গুরুত্ব’ দেয়ার বিষয়টি পুর্নব্যক্ত করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

    ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘প্রাণবন্ত কথোপকথন’ হয়েছে।

    এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম, ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার রিভা দাশ গাঙ্গুলী উপস্থিত ছিলেন।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকাল সাড়ে ৪টায় ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।

    ওয়ার্ল্ড ইকোনোমি ফোরামে (ডব্লিউইএফ) যোগ দিতে বৃহস্পতিবার সকালে নয়াদিল্লী পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    নয়াদিল্লীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ককে ‘সর্বোচ্চ গুরুত্ব’ দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনার দিল্লী পৌঁছানোর ছবিসহ একটি টুইট বার্তা প্রকাশ করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

    ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, কৌশলগত সম্পর্কের বাইরে গিয়ে বাংলাদেশ-ভারত (বহুমুখী সম্পর্ক) বিনিময় করছে।

    বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে নয়াদিল্লীর হায়দ্রাবাদ হাউসে শনিবার সকালে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    আগামীকাল রোববার প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

  • ভারত সবসময় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে ‘সর্বোচ্চ গুরুত্ব’ দেয় : জয়শঙ্কর

    ভারত সবসময় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে ‘সর্বোচ্চ গুরুত্ব’ দেয় : জয়শঙ্কর

    ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে ‘সর্বোচ্চ গুরুত্ব’ দেয় ভারত।

    শনিবার শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদী দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

    পারস্পরিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে এই সাক্ষাতে উষ্ণ আলোচনা হয়েছে জানিয়ে টুইট করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাভীশ কুমার।

    তিনি লিখেছেন, ভারত যে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে ‘সর্বোচ্চ গুরুত্ব’ দেয়, তা তুলে ধরেছেন জয়শঙ্কর।

    এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, উপদেষ্টা গওহর রিজভী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

    আজ দুপুরে নয়া দিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউজে দুই প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বসবেন। সেখানে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে।

    টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর এটাই শেখ হাসিনার প্রথম ভারত সফর। নরেন্দ্র মোদীও টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন।

  • বাংলাদেশে বিনিয়োগের উত্তম পরিবেশ রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

    বাংলাদেশে বিনিয়োগের উত্তম পরিবেশ রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

    দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য সবচেয়ে উত্তম পরিবেশ বিরাজ করছে জানিয়ে বিশ্ব বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ করে ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের প্রতি শিক্ষা, অটোমোটিভ শিল্প ও হাল্কা প্রকৌশল শিল্পে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান তিনি।

    বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লির হোটেল তাজ প্যালেসে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের ইন্ডিয়া ইকোনোমিক সামিটে বাংলাদেশের ওপর কৌশলগত আলোচনাকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

    শেখ হাসিনা বলেন, এটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারী বিশেষ করে ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশের শিক্ষা, হাল্কা প্রকৌশল শিল্প, ইলেক্ট্রনিক্স শিল্প, অটোমোটিভ শিল্প, কৃত্তিম বৃদ্ধিমত্তা শিল্পের মতো ক্ষেত্রগুলোতে বিনিয়োগ করার সময়।

    তিনি বলেন, আজ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি স্বাধীন ও উদার বিনিয়োগের পরিবেশ বিরাজ করছে। বিনিয়োগবান্ধব বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগকারীরদের জন্য আইনি সুরক্ষা, উদার রাজস্ব ব্যবস্থা, মেশিনপত্র আমদানির ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড়, আনরেস্ট্রিকটেড এক্সিট পলিসি, সম্পূর্ণ বিনিয়োগ ও পুঁজি নিয়ে চলে যাবার সুবিধাসহ নানাবিধ সুবিধা রয়েছে।

    বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে নিরবিচ্ছিন্ন সুবিধা ও সেবা নিশ্চিত করে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর মধ্যে ১২টি অঞ্চল ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে। দুটি অঞ্চলকে ভারতের বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। প্রযুক্তি ও উদ্ভাবণী প্রতিষ্ঠানের জন্য বেশ কয়েকটি হাই-টেক পার্ক প্রস্তুত করা হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশর এই ব্যাপক উন্নয়নের জন্য সামাজিক মূল্যবোধ ও বাংলাদেশের মানুষের আস্থার প্রশংসা করে বলেন, ‘অনেকেই বাংলাদেশকে ৩ কোটি মধ্য ও উচ্চবিত্ত মানুষের একটি বাজার’ ও ‘অলৌকিক উন্নয়নের’ হিসেব দেখে থাকেন।

    তিনি বলেন, আমি মনে করি, আমাদের প্রধান শক্তি হচ্ছে সামাজিক মূল্যবোধ ও বাংলাদেশের প্রতি মানুষের আস্থা। সাম্যতা, সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলার আকাঙ্ক্ষার পাশাপাশি আমাদের নেতৃত্বের প্রতি তাদের আস্থা।

    ৪০টি দেশের ৮০০ প্রতিনিধি দুই দিনের এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। আগামীকাল সম্মেলন শেষ হবে। সমাপনী অধিবেশনে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

  • নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যুবাদের দাপুটে জয়

    নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যুবাদের দাপুটে জয়

    লঙ্কিনে নিউজিল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে ছয় উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে বাংলাদেশের যুবারা। নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে স্বাগতিকদের ১৭৬ রানে আটকে রাখার পর আকবর আলির অর্ধশতকের সুবাদে ৬৮ বল হাতে রেখেই লক্ষ্য টপকে যায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।

    ১৭৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে অবশ্য শুরুটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশের যুবারা। ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই ভেঙে যায় ওপেনিং জুটি। দলীয় ১১ রানের মাথায় ফিরে যান ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। ১০ বলে ২ রান করে রান আউট হন তিনি। তানজীদ হাসানের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয় তার। দ্বিতীয় রান নিতে গেলে ইমন হাত দিয়ে তানজীদকে না-বোধক ইশারা দিলেও তানজীদ দৌড় থামাননি। এরপর নিজের উইকেট বিসর্জন দেন ইমন।

    দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তানজীদ ও মাহমুদুল হাসান জয় মিলে গড়েন ৩০ রানের জুটি। দ্রুত রান তুলছিলেন তানজীদ হাসান। তবে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ২৪ বলে ২৮ রান করে স্পিনার ট্যাশকফের বলে লেগ সাইডে তুলে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন মারিউর হাতে। তার ইনিংসে ছিল ৫ টি চার। এরপর তৌহিদ হৃদয়কে নিয়ে ৪০ রান যোগ করেন জয়। জয়ও করেন ২৮ রান। পেস বোলার জ্যাকসনের অফ স্টাম্পের বাইরের বল কাট করতে গিয়ে জোহরাবের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ৮১ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।

    ইনিংস বড় করতে পারেননি হৃদয়ও। ৪৭ বল খেলে রান করেন ২৬। ডাউন দ্যা উইকেটে এসে ট্যাশরফের বলে তুলে মারতে গিয়ে বিদায় নেন হৃদয়।

    পঞ্চম উইকেটের জুটিতে হাল ধরেন শাহাদাত হোসেন আর আকবর আলী। এ দুইজনের ব্যাটে চড়ে জয়ের পথে এগিয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশ। টপ অর্ডারের কেউ বড় স্কোর না করতে পারলেও লক্ষ্য সহজ থাকায় তা তাড়া করা খুব একটা কষ্টকর হয়নি।

    চমৎকার ব্যাটিং করেন আকবর আলী। শাহাদাতকে সাথে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ৮১ রানের জুটি গড়ে দলকে পৌঁছে দেন জয়ের বন্দরে। অর্ধশতক তুলে নেওয়া আকবর আলি অপরাজিত ছিলেন ৬১ বলে ৬৫ রান করে। তার ইনিংসে ছিল ১১ টি চার।

    এর আগে প্রথমে ব্যাটিং করে স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের যুবাদের বোলিং তোপে পড়ে ১৭৬ রানে অলআউট হয় তারা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ওপেনার মারিউকে বোল্ড করেন পেসার শরিফুল ইসলাম। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে উপরে ফেলেন লেগ স্টাম্প। এরপর প্রতিরোধ গড়ে তোলেন জোহরাব আর আনসেল। তবে রানের গতি ছিল বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রণে। ৪৫ রানের এ জুটি ভাঙেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। ২৪ রান করা আনসেল পুল করতে গেলে ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে বল আঘাত আনে স্টাম্পে।

    ওপেনার জোহরাবকে ফেরান শামীম হোসেন। দলীয় ৫১ রানের মাথায় তানজীদের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন জোহরাব (১৮)। ঐ ওভারে ট্যাশকফও ফিরেন তানজীদের হাতে ক্যাচ দিয়ে। একই ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় চলে যায় নিউজিল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দল।

    বিপর্যয়ের মুখে হাল ধরেন লেলম্যান ও হোয়াইট। ৫৩ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর পঞ্চম উইকেটে এ জুটি যোগ করে ৪৭ রান। লেলম্যান (২৯ বলে ২১) শরীফুলের বলে পুল করতে গিয়ে ব্যাটে-বলে সংযোগ ঠিকমতো ঘটাতে পারেনি। হাওয়ায় ভাসতে থাকা বল এসে জমা পড়ে উইকেটরক্ষক আকবরের গ্লাভসে।

    শরীফুলের বলে এক ওভার পর বিদায় নেন হোয়াইটও। তানজীম হাসান সাকিবের বলে বিদায় নেন হোয়াইট। দারুণ এক ক্যাচ নেন আকবর আলি। ৫০ বলে ৩০ রান করেন হোয়াইট।

    সপ্তম উইকেটে অশোক ও উইকেটরক্ষক পোম্যার যোগ করেন ৩৩ রান। ১৩৫ রানের মাথায় রকিবুল হাসানের বলে বোল্ড হন অশোক। ২৫ বলে ১৪ রান করেন তিনি। ফিল্ডকে সাথে নিয়ে অষ্টম উইকেটে ৩৭ রান যোগ করেন পোম্যার। এ দুইটি জুটি স্বাগতিকদের লড়াইয়ের রসদ দেয়।

    ১৭৫ রানের মাথায় বিদায় নেন পোম্যার। দলীয় সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন তিনি। পরের ওভারে ফিল্ড ও জ্যাকসনকে মৃত্যুঞ্জয় ফিরিয়ে দিলে দুই ওভার আগেই নিউজিল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলেরর ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:
    নিউজিল্যান্ড অনূর্ধ্ব- ১৯ দল ১৭৬/১০, ৪৮ ওভার
    পোম্যার ৪০, হোয়াইট ৩০, আনসেল ২৪
    মৃত্যুঞ্জয় ৩/২১, শরীফুল ৩/৪৪, শামীম ২/৪২

    বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ১৮০/৪, ৩৮.৪ ওভার
    আকবর ৬৫*, তানজীদ ২৮, জয় ২৮
    ট্যাশকফ ২/৩৭, জ্যাকসন ১/৪০

  • রোহিঙ্গা ইস্যুতে মানবাধিকার পরিষদে ৩৭-২ ভোটে বাংলাদশের জয়

    রোহিঙ্গা ইস্যুতে মানবাধিকার পরিষদে ৩৭-২ ভোটে বাংলাদশের জয়

    মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করার আশ্বাস দিলেও ঠিকই শেষ পর্যন্ত মিয়ানমারের পাশেই দাড়ালো চীন। রোহিঙ্গাসহ মিয়ানমারে সংখ্যালঘুদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন-নিপীড়নের আন্তর্জাতিক তদন্ত ও বিচারের আহ্বানসংবলিত প্রস্তাবকে একপেশে বলে অভিহিত করে এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মানবাধিকার পরিষদে ভোটাভুটির আহ্বান জানিয়েছিল চীন। একই সঙ্গে চীন ও মিয়ানমার সবাইকে প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল।

    ভোটের শেষে ফলে দেখা গেছে, চীন ও ফিলিপাইন ছাড়া কেউই ওই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়নি।

    ভারত, জাপান, নেপাল, কঙ্গো, ক্যামেরুন, অ্যাঙ্গোলা ও ইউক্রেন—এই সাতটি দেশ ‘অ্যাবস্টেইন’ ভোট দিয়ে কারো পক্ষ নেওয়া থেকে বিরত থাকে। প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছে ৩৭-২ ভোটে।

    ► মানবাধিকার পরিষদে বাংলাদেশের উদ্যোগে ইইউ ও ওআইসির যৌথ প্রস্তাব ৩৭-২ ভোটে গৃহীত
    ► রোহিঙ্গা নিপীড়নের বিচার ও রাষ্ট্রহীনতা দূর করতে হবে, মিয়ানমারকে প্রত্যাবাসন চুক্তি বাস্তবায়নের তাগিদ

    ভোটের হিসাবে দেখা যায়, ৪৭ সদস্যের মানবাধিকার পরিষদে গতকাল মিয়ানমার ইস্যুতে ভোট দেয়নি কিউবা। জানা গেছে, কিউবার প্রতিনিধিরা ভোটের সময় অধিবেশন কক্ষে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তাঁরা দৃশ্যত প্রস্তাবটির পক্ষে অবস্থান নিয়ে ভোট দেওয়া থেকেই বিরত থেকেছেন। সাধারণত কিউবা সুনির্দিষ্ট কোনো দেশভিত্তিক প্রস্তাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে থাকে।

    ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে নতুন করে রোহিঙ্গা সংকট শুরু হওয়ার পর রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটিতে মিয়ানমারের পক্ষে এবারই সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীনের সমান্তরাল নীতিতে চলা রাশিয়া বর্তমানে মানবাধিকার পরিষদের সদস্য নয়। প্রস্তাবসম্পর্কিত দেশ হিসেবে মিয়ানমার মানবাধিকার পরিষদে প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বক্তব্য দিলেও সদস্য না হওয়ায় ভোট দিতে পারেনি।

    বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমান ও অন্য সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ বিষয়ে এবারের প্রস্তাবটি এনেছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। গৃহীত প্রস্তাবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর যৌন অপরাধসহ সব ধরনের অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মানবাধিকার লঙ্ঘনসংশ্লিষ্ট সব আন্তর্জাতিক বিধান ও আন্তর্জাতিক বিচারপ্রক্রিয়া তথা জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফৌজদারি বিচারব্যবস্থার আওতায় আনার জন্য তদন্তপ্রক্রিয়া জোরদার করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রকারান্তরে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতে (আইসিসি) চলমান প্রক্রিয়ার পাশাপাশি ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের (আইসিজে) শরণাপন্ন হওয়ার উদ্যোগকে আন্তর্জাতিক পরিসরে উৎসাহিত করা হয়েছে।

    এ ছাড়া মিয়ানমারবিষয়ক ‘নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তথ্যানুসন্ধানী মিশনের’ প্রতিবেদনগুলো জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ এবং সাধারণ পরিষদের মাধ্যমে জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সব অঙ্গ-সংগঠনের বিবেচনার্থে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রস্তাবটিতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চলমান সব প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে এরূপ পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এখতিয়ারের কথা পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

    জেনেভায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মো. শামীম আহসান গতকাল সন্ধ্যায় ভোটের আগে মানবাধিকার পরিষদকে বলেন, মানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্মম নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত খুলে দিয়েছিলেন। তবে, দুই বছর পেরিয়ে গেলেও মিয়ানমার এখনো উত্তর রাখাইনে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে।

    গৃহীত প্রস্তাবে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পাদিত দ্বিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী উত্তর রাখাইন অঞ্চলে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে পূর্ণ নিরাপত্তা ও সম্মানের সঙ্গে নিজেদের আবাসস্থলে ফিরে যেতে উৎসাহিত করতে মানবাধিকার পরিষদ মিয়ানমারকে আহ্বান জানিয়েছে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করে প্রস্তাবে রোহিঙ্গারা ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত তাদের গুরুভার বহনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদার হওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়কে আহ্বান জানানো হয়েছে।

    বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পক্ষে জবাবদিহি ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার পথে এই প্রস্তাব একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হবে।

    ভোটের আগেই মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেন, মিয়ানমার তার অভ্যন্তরীণ বিচারব্যবস্থার মাধ্যমে অপরাধের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে সক্ষম। প্রস্তাবে কেবল একটি সম্প্রদায়ের মনোভাব প্রতিফলিত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

    চীনা প্রতিনিধিও প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বলেন, গত সপ্তাহে নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের মধ্যে মন্ত্রিপর্যায়ের বৈঠকসহ সাম্প্রতিক সময়ে যে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে সেগুলো তুলে ধরতে এই প্রস্তাব ব্যর্থ হয়েছে।

    ফিলিপাইনের প্রতিনিধি প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার কথা বলে এই সংকটের মূল কারণগুলো সমাধানের ওপর জোর দেন। জাপানের প্রতিনিধি মিয়ানমারে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানান।

  • ভুটানকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

    ভুটানকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

    সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে ভুটানকে ৪-০ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।

    শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর এপিএফ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের ১৬ মিনিটে সতীর্থের নেয়া লম্বা থ্রোয়ে বল পাওয়া মাত্র মোহাম্মদ তানবির হোসেনের হেডে বল জালে জড়ালে লাল-সবুজের দল প্রথম গোলের দেখা পায়।

    এরপর ২৭ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে পাল্টা আক্রমণে গিয়ে ভুটানের গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম।
    খেলার ৩২ মিনিটের মাথায় তৃতীয় গোলের দেখা পায় পিটার টার্নারের দল। প্রতিপক্ষের ভুল পাসের সুবাদে বল দখলের পর তা নিয়ে দৌড়ে গিয়ে ডি বক্সের অনেক বাইরে থেকে শট নিয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করে দারুণ এক গোল করেন মোহাম্মদ মারাজ হোসেন।

    এরপর ম্যাচের শেষ মুহূর্তে ইনজুরি সময়ের চতুর্থ মিনিটের সময় ডি বক্সের সামান্য বাইরে থেকে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে নামা দীপকের বাঁ পায়ের দুরন্ত কিকে বল জালে জোরানো মাত্র আগেই সুনিশ্চিত হওয়া জয়ের আনন্দ বেড়ে যায় টাইগার যুবাদের শিবিরে।

    এদিকে, আজ বাংলাদেশ সময় বেলা সোয়া ৩টায় দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ মালদ্বীপ। এই ম্যাচের জয়ী দল আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর ফাইনালে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে। এর আগে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে সেমিফাইনালে খেলা দুই দল খেলবে।