Tag: বাংলাদেশ

  • বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র

    বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র

    যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া ব‌লে‌ছেন, গণতন্ত্র সমুন্নত রাখাসহ মানবাধিকারের প্রতি সম্মান বজায় রেখে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

    চার‌ দি‌নের বাংলা‌দেশ সফর নি‌য়ে শুক্রবার (১৪ জুলাই) আন্ডার সেক্রেটারিকে উদ্ধৃতি ক‌রে তার এমন বক্তব্য এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় ঢাকার মা‌র্কিন দূতাবাস।

    উজরা ব‌লেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সমৃদ্ধি ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।

    মা‌র্কিন দূতাবাসের বিজ্ঞ‌প্তি‌তে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া ব্যুরোর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু’সহ ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা ও কক্সবাজারে ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজের সদস্য, রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং মানবিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করতে আগামী ১১-১৪ জুলাই বাংলাদেশ সফর শেষ করেছেন।

    বাংলাদেশ সফরকালে আন্ডার সেক্রেটারি জেয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং বাংলাদেশ সরকারের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

    এছাড়া তিনি শ্রমিক আন্দোলন-কর্মী, নাগরিক সমাজের নেতাদেরসহ মানবাধিকার রক্ষাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এসব বৈঠকে জেয়া বাংলাদেশের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করার গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়ার পাশাপাশি নাগরিক সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা, মানবাধিকার রক্ষাকর্মী, সাংবাদিক ও শ্রমিক আন্দোলন কর্মীদের নিরাপত্তার গুরুত্ব; মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহিতা থাকা এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

    তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলো পরিদর্শন ও সেখানকার ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেন। এসময় তিনি রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবিলায় বার্মা এবং বাংলাদেশের উদ্যোগগুলোর সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আরও ৭৪০ কোটি টাকার বেশি (৭৪ মিলিয়ন ডলার) অনুদানের ঘোষণা করেছেন, যার মধ্যে প্রায় ৬১০ কোটি টাকা বার্মায় অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয়দানকারী জনগোষ্ঠীসহ অন্যান্যদের সহায়তার জন্য দেওয়া হবে।

    এর মধ্য দিয়ে ২০১৭ সাল থেকে এ অঞ্চলে রোহিঙ্গা ও তাদের আশ্রয়দানকারী জনগোষ্ঠীর জন্য আমেরিকার সহায়তার পরিমাণ ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল।

    এছাড়াও আন্ডার সেক্রেটারি জেয়া ফ্রিডম ফান্ড এবং এর অংশীদারদের জন্য স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে ১০ কোটি টাকারও বেশি (১ মিলিয়ন ডলার) অনুদান ঘোষণা করেন। এ টাকা মানব পাচারকারীদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া ৫০০-এরও বেশি শিশুকে সমাজে পুনঃএকত্রীকরণের কর্মসূচিতে ব্যবহার করা হবে।

    যুক্তরাষ্ট্র মানব পাচার মোকাবেলায় সরকার ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে নিবেদিতভাবে কাজ করছে ব‌লেও বিজ্ঞ‌প্তি‌তে উল্লেখ ক‌রেন মা‌র্কিন দূতাবাস।

  • সান্ত্বনার জয়ে সিরিজ শেষ করল বাংলাদেশ

    সান্ত্বনার জয়ে সিরিজ শেষ করল বাংলাদেশ

    শেষ ওয়ানডেতে ভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছিল দুই দল। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করা আফগানিস্তানের সামনে সুযোগ ছিল বাংলাদেশকে প্রথমবার ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ করার। অন্যদিকে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল মান বাঁচানো। সেই মিশনে স্বাগতিক বোলাররা লেটার মার্ক তুলেছে। আর বাকি কাজটুকু সহজেই সেরেছেন ব্যাটাররা। ফলে সান্ত্বনার জয়ে সিরিজ শেষ করেছে বাংলাদেশ।

    আজ (১১ জুলাই) টস জিতে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৪৫ ওভার ২ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২৬ রান তুলেছিল আফগানিস্তান। বাংলাদেশের হয়ে ২১ রানে ৪ উইকেট শিকার করে ইনিংসের সেরা বোলার ছিলেন শরিফুল। জবাবে ২৩ ওভার ৩ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৫৭ রান করেছেন লিটন দাস। এই ম্যাচ হারলেও ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে আফগানিস্তান।

    ছোট লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা মোটেই ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। তামিমের বিশ্রামে একাদশে সুযোগ পাওয়া মোহাম্মদ নাঈম শেখ আবারও ব্যর্থ। এবার ৮ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারলেন না এই ওপেনার। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের ফারুকির লেন্থ বলে বোল্ড হয়েছেন তিনি। তাতে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি টিকেছে কেবল ১৪ বল, স্কোরবোর্ডে যোগ করতে পেরেছে ২ রান।

    নাঈম দ্রুত ফিরলেও লিটন-শান্ত জুটি আক্রমণাত্মকই শুরু করেছিল। সপ্তম ওভারের তৃতীয় বলে ফারুকিকে ছক্কা মেরেছিলেন লিটন। একবল পর এই পেসারকে আরও একবার বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়েছেন শান্ত। কিন্তু পরের বলেই তার স্টাম্প উপড়ে গেছে। সোজা বলে লাইন মিস করে সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৫ বলে ১১ রান।

    তৃতীয় উইকেট জুটিতে সাবলীল ব্যাটিং করছিলেন সাকিব-লিটন। মনে হচ্ছিল, তারাই ম্যাচ শেষ করে আসবেন। সেটি আর হলো না। মোহাম্মদ নবির বলে ক্যাচ তুলে ফিরলেন সাকিব। শর্ট লেংথে দেখে টেনে তুলে মারতে চেয়েছিলেন সাকিব। তবে যেদিকে চেয়েছিলেন, সেদিকে সেভাবে খেলতে পারেননি। ৩৯ বলে ৩৯ রান করে থেমেছেন তিনি। এই ইনিংস খেলার পথেই বিশ্বের একমাত্র অলরাউন্ডার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪ হাজার রান আর ৬০০ উইকেটের মাইলফলক অর্জন করেন।

    গত দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে সুবিধা করতে না পারলেও শেষ ম্যাচে দলের মতোই ঘুরে দাঁড়িয়েছেন অধিনায়ক লিটনও। দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৫৭ রান করেছেন অধিনায়ক। তাতে ২৩ ওভার ৩ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। এ জয়ে ৯ বছর দেশের মাটিতে ধবলধোলাই না হওয়ার রেকর্ডটা টিকে থাকল বাংলাদেশের।

    এর আগে শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি আফগানিস্তান। প্রথম বলেই উইকেট, তারপর তিনটি ডট। পঞ্চম বলে আবারো উইকেট। ইনিংসের তৃতীয় আর শরিফুলের দ্বিতীয় ওভারের গল্প এটি। আগের ম্যাচে আফগান ওপেনিং জুটি থেকে এসেছিল ২৫৬ রান। তবে আজ তাদের উদ্বোধনী জুটি ভেঙেছে মাত্র ৩ রানেই। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ইব্রাহিম জাদরান আজ ফিরলেন ৬ বলে ১ রান করে। তার বিদায়ের তিন বল পর শরিফুলের বাড়তি বাউন্সে খোঁচা দিয়ে ডাক খেয়ে সাজঘরে ফেরেন রহমত শাহও।

    এরপর আগের ম্যাচের আরেক সেঞ্চুরিয়ান রহমানউল্লাহ গুরবাজও দ্রুত ফেরেন। তাসকিনের বাউন্সারে পুল করার চেষ্টা করেছিলেন এই ওপেনার, কিন্তু অফ স্টাম্পের বাইরের বল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় উইকেটের পেছনে। দারুণ ক্যাচ লুফে নেন মুশফিক। ৬ রান করে এই ওপেনার ফিরলে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারায় সফরকারীরা। কাকতালীয় ব্যাপার, এই তিনজনই মুশফিকের হাতে ধরা পড়েন।

    টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে যখন ধুঁকছিল আফগানিস্তান তখন উইকেটে আসেন মোহাম্মদ নবি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের ওপর গুরু দায়িত্ব ছিল দলকে এমন পরিস্থিতি থেকে টেনে তোলার। কিন্তু সেটা তো পারলেনই না, উল্টো দলের বিপদ বাড়িয়ে সাজঘরে ফিরেছেন মাত্র ১ রান করে। ফলে ১৫ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় সফরকারীরা।

    পাওয়ার প্লেতে দুই পেসার তাসকিন ও শরিফুলকে টানা ৫ ওভার করে ব্যবহার করেছেন লিটন। এগারোতম ওভারে মিরাজকে দিয়ে প্রথমবার স্পিন আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। পরের ওভারে অপর প্রান্তে আসেন সাকিব। দুই প্রান্ত থেকেই স্পিন আক্রমণেও সফলতা পান লিটন। অধিনায়ককে সাফল্য এনে দিতে এদিন সাকিব সময় নিলেন ১৮ বল। ইনিংসের ১৬তম ওভারের শেষ বলে এই বাঁহাতি স্পিনারকে সুইপ করতে গিয়ে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন নজিবুল্লাহ। আম্পায়ার আউট দিলে রিভিউ নেন তিনি। তবে সিদ্ধান্তে কোনো পরিবর্তন আসেনি। এই মিডল অর্ডার ব্যাটারকে ফিরিয়ে ওয়ানডেতে সাকিবের উইকেট সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩০৫। ফলে বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে ওয়ানডেতে উইকেট শিকারির তালিকায় যৌথভাবে শীর্ষ দুইয়ে ওঠেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার ড্যানিয়েল ভেট্টোরির থেকে ৬০ ম্যাচ কম খেলেই তার এই রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন সাকিব।

    ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যেও একটা প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করার চেষ্টা করছিলেন হাশমতউল্লাহ শাহিদি। কিন্তু আফগান অধিনায়কের সেই চেষ্টা বৃথা গেছে বাজে শটে। তাতে দলে ফিরেই উইকেটের দেখা পেয়েছেন তাইজুল ইসলাম। ২২তম ওভারের তৃতীয় বলে আগে থেকেই রিভার্স সুইপ করবেন বলে হয়তো ঠিক করেছিলেন শাহিদি। পজিশনেও চলে যান আগেই। কিন্তু বল পাননি নাগালে। শেষ মুহূর্তে বদলাতেও পারেননি পজিশন, রিভার্স সুইপই করার চেষ্টা করেন। বল আঘাত করে স্টাম্পে।

    নতুন বলে আফগানদের কাঁপন ধরিয়েছিলেন। দ্বিতীয় স্পেলে বোলিংয়ে এসেও যেন শেষ থেকেই শুরু করলেন। ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলটি শর্ট লেন্থে করেছিলেন এই পেসার। শরীর তাক করে আসা বাউন্সারে পুল করেন আব্দুল রহমান রহমানি। কিন্তু টাইমিং করতে পারেননি তিনি, বল রাখতে পারেননি নিচেও। ডিপ ফাইন লেগে কিছুটা দৌড়ে ক্যাচ নেন তাইজুল ইসলাম। এই উইকেটসহ ১৭ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে শরিফুল ম্যাচে চার উইকেট নিলেন তৃতীয়বার।

    ওমরজাইয়ের সঙ্গে জিয়ার জুটিটি একটু হলেও আশা জোগাচ্ছিল আফগানিস্তানকে, অন্তত বল খেলার দিক দিয়ে। তবে ৫৩ বল টেকার পর ভাঙল সেটি। ওমরজাইকে সঙ্গ দেওয়ার কাজ করা জিয়া বোল্ড হলেন তাইজুলের বলে। ব্যাকফুটে গিয়ে অফ সাইডে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে গেছেন তিনি। জিয়া সাজঘরে ফেরার পর উইকেটে আসেন মুজিব।

    ৩২ রানে ৫ উইকেট যাওয়ার পর উইকেটে এসেছিলেন ওমরজাই। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে একাই যা টেনেছেন আফগানিস্তানকে। পেয়েছেন ব্যাক্তিগত ফিফটিও। ওমরজাইকে ভালোই সঙ্গ দিচ্ছিলেন মুজিব। কিন্তু তাড়া-হুড়া করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনলেন। মিরাজকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দেন তিনি।

    উইকেটে আসার পর একও প্রান্তে দেয়াল হয়ে ছিলেন ওমরজাই। শেষ পর্যন্ত সেই দেয়াল ভেঙেছনে তাসকিন আহমেদ। ৪৬তম ওভারে এই অলরাউন্ডারকে ৫৬ রানে ফিরিয়েছেন এই পেসার। তাতে আফগানিস্তান অলআউট হয়েছে ১২৬ রান করে।

  • হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লড়াইয়ে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

    হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লড়াইয়ে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

    ওয়ানডেতে ঘরের মাঠে সিরিজ হারের স্মৃতি ভুলতেই বসেছিল বাংলাদেশ। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ হারের পর ২০২৩ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুর্লভ সেই স্বাদ পাবার পর এখন হোয়াইটওয়াশের শঙ্কায় বাংলাদেশ।

    তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় তথা সর্বশেষ ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়েছে সফরকারী আফগানিস্তান। আর তাই মান বাঁচানোর ম্যাচে শুরুতে ফিল্ডিং করবে বাংলাদেশ।

    আগেই সিরিজ জিতে যাওয়ায় রশিদ খানকে বিশ্রামে রেখেছে আফগানিস্তান। এছাড়া প্রথম দুই ম্যাচ খেলা পেসার সেলিম সাফিও নেই আজ। তাদের জায়গায় দলে এসেছেন আব্দুল রহমান ও জিয়া আকবর।

    এদিকে বাংলাদেশ দলে তিন পরিবর্তন। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে থাকা এবাদত হোসেন ছিটকে গেছেন পুরো সিরিজ থেকেই। পেশির ইনজুরিতে দুই সপ্তাহ মাঠের বাহিরে থাকতে হবে এই পেসারের। সেই মোতাবেক শেষ ওয়ানডের পাশাপাশি তার খেলা হবে না টি-টোয়েন্টি সিরিজেও। অন্য দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও মুস্তাফিজুর রহমানও নেই আজ। দলে এসেছেন তাসকিন আহমেদ, তাইজুল ইসলাম ও শরীফুল ইসলাম।

    বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস (অধিনায়ক), মোহাম্মদ নাঈম, নাজমুল হোসেন, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, তাইজুল ইসলাম ও শরীফুল ইসলাম।

    আফগানিস্তান একাদশ: রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শহীদি, নাজিবুল্লা জাদরান, মোহাম্মদ নবী, মুজিব উর রহমান, ফজলহক ফারুকি, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, জিয়া আকবর, আব্দুল রহমান।

  • বাংলাদেশকে লজ্জা দিয়ে আফগানদের সিরিজ জয়

    বাংলাদেশকে লজ্জা দিয়ে আফগানদের সিরিজ জয়

    প্রথম ওয়ানডেতে বৃষ্টি আইনে হার। একটু আক্ষেপ ছিল, যদি পুরো খেলা হতো! এবার আর সেই আক্ষেপের সুযোগ নেই। যাচ্ছেতাই পারফরম্যান্স দেখিয়েই হেরেছে বাংলাদেশ।

    চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের কাছে পাত্তাই পায়নি টাইগাররা, হেরেছে ১৪২ রানের বিশাল ব্যবধানে। এই হারে তিন ম্যাচের সিরিজ এক ওয়ানডে বাকি থাকতেই খুইয়ে বসেছে লিটন দাসের দল।

    আফগানিস্তানের রানপাহাড়ে চাপা পড়ে বাংলাদেশের বড় হার নিশ্চিত হয়ে যায় ব্যাটিংয়ের শুরুর দিকেই। ৩৩২ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রশিদ-নবিদের তোপে ৭২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে টাইগাররা। তারপর কেবল পরাজয়ের ব্যবধান কমানোর চেষ্টা।

    সপ্তম উইকেটে মুশফিকুর রহিম আর মেহেদি হাসান মিরাজ গড়েন ১০৮ বলে ৮৭ রানের লড়াকু এক জুটি। তাদের এই জুটিটি শেষ পর্যন্ত ভেঙেছেন মুজিব। আফগান অফস্পিনারকে তুলে মারতে গিয়ে লংঅনে ক্যাচ হন মিরাজ। ৪৮ বলে তার ২৫ রানের ইনিংসে ছিল ২টি বাউন্ডারি।

    বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ধুঁকছিল বাংলাদেশ। প্রথম ওভারটা আফগান ফজলহক ফারুকিকে মেইডেন দিয়ে শুরু করেন নাইম শেখ। দ্বিতীয় ওভারে স্পিন আক্রমণে নিয়ে আসেন আফগান অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শহিদি।

    ওই ওভারে মুজিব উর রহমানকে টানা দুই বাউন্ডারি হাঁকান লিটন। এরপরই অবশ্য বিপদে পড়তে যাচ্ছিলেন। বল প্যাডে লাগলে আফগানদের আবেদনে আঙুল তুলে দিয়েছিলেন আম্পায়ার।

    তবে লিটন সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নিয়ে নেন। রিপ্লেতে দেখা যায় বল প্যাডে আঘাত হানার সঙ্গে লেগেছে ব্যাটেও। ব্যক্তিগত ৮ রানের মাথায় বেঁচে যান লিটন। তবে সেই জীবন কাজে লাগাতে পারেননি।

    আফগান পেসার ফারুকিকে পুল করতে গিয়ে মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ১৫ বলে ৩ বাউন্ডারিতে তিনি করেছেন ১৩ রান।

    এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত আউট হন ১ রান করেই। মুজিব উর রহমানের ঘূর্ণি বল বুঝতে না পেরে স্টাম্প উড়ে যায় শান্তর। ২৭ বলে ৯ করেন দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা নাইম শেখ, তার স্টাম্প উড়িয়েছেন ফারুকি। ২৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে বাংলাদেশ।

    অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান আর তরুণ তাওহিদ হৃদয় সেই বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু ৫০ বলে তাদের ৪০ রানের জুটিতে ভাঙন ধরান রশিদ খান নিজের প্রথম ওভারেই। তার দুর্দান্ত গুগলি বুঝতে না পেরে বোল্ড হন হৃদয়। ৩৪ বলে ২ বাউন্ডারির সাহায্যে ১৬ রান করেন তিনি।

    চাপের মুখে সাকিব খেলছিলেন দায়িত্ব নিয়েই। কিন্তু ১৮তম ওভারে আম্পায়ার্স কলে ফিরতে হয় তাকে। মোহাম্মদ নবির বলে এলবিডব্লিউয়ের আবেদন হলে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার।

    কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায় বল প্রায় লেগস্টাম্প বেরিয়েই যেতো, একটুখানি পেয়েছে। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে আউট হয়। ২৯ বলে ৩ চারে সাকিবের ইনিংসটি ছিল ২৫ রানের।

    পরের ওভারে ‘গোল্ডেন ডাক’ আফিফ হোসেন ধ্রুবর। রশিদ খানের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। সেখান থেকে মিরাজ আর মুশফিকের লড়াই যা একটু পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছে।

    মুশফিক তার ক্যারিয়ারের ২৫০তম ওয়ানডে খেলতে নেমেছিলেন। যা একটু লড়াই করেছেন তিনিই। শেষ ব্যাটার হিসেবে মুশফিক আউট হন ৬৯ করে, ফারুকির শিকার হয়ে। ৮৫ বলের ইনিংসে ৬টি বাউন্ডারি হাঁকান মুশফিক।

    ৪৩.২ ওভারে বাংলাদেশ থামে ১৮৯ রানে। চোটের কারণে ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি এবাদত হোসেন।

    আফগানিস্তানের ফজলহক ফারুকি আর মুজিব উর রহমান নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। ২টি উইকেট শিকার রশিদ খানের।

    এর আগে ওপেনিং জুটিতে ২৫৬ তোলা ইব্রাহিম জাদরান আর রহমানুল্লাহ গুরবাজের জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে ৯ উইকেটে ৩৩১ রানের পাহাড় গড়ে আফগানরা।।

    চট্টগ্রামে প্রথম ওয়ানডেতে আগে ব্যাটিং নিয়ে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে তাই টস জেতার পর প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেননি অধিনায়ক লিটন দাস। বরং, আফগানিস্তানকে বেকায়দায় ফেলতে বল হাতে তুলে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

    কিন্তু আফগানদের বেকায়দায় ফেলা দূরে থাক। দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ এবং ইব্রাহিম জাদরানকেই আউট করতে রীতিমত ঘাম ঝরেছে টাইগারদের। শুধু জুটি গড়াই নয়, মারমুখী ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তানকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন দুই ওপেনার।

    আরেকটু হলে রেকর্ড হয়ে যেতো। বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে প্রথম উইকেটে সেরা জুটিটি ২৮২ রানের। ২০১৭ সালে কিম্বারলিতে হাশিম আমলা আর কুইন্টন ডি কক গড়েছিলেন এই জুটি।

    ইব্রাহিম জাদরান আর রহমানুল্লাহ গুরবাজ সেই জুটি ভাঙার পথেই ছিলেন। অবশেষে আঘাত হানেন সাকিব, সেটাও অনেক দেরিতে, ইনিংসের ৩৭তম ওভারে। ২৫৬ রানের জুটিটি সাকিব ভাঙেন সেঞ্চুরিয়ান গুরবাজকে গুরবাজকে এলবিডব্লিউ করে।

    তার আগেই অবশ্য নিজের ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেলে ফেলেছেন গুরবাজ। ১২৫ বলে তার ১৪৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংসটিতে ছিল ১৩ চার আর ৮টি ছক্কার মার। এটি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি।

    গুরবাজকে আউট হওয়ার পরের বলেই আরেকটি উইকেট পেতে পারতো বাংলাদেশ। কিন্তু রহমত শাহকে রানআউট করার সুযেগা মিস করেন মুশফিক। বল ধরার আগেই শরীর দিয়ে বেল ফেলে দেন।

    তবে রহমত শাহ জীবন পেয়ে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। পরের ওভারে প্রথম বলেই এবাদত হোসেনকে পুল করে ফাইন লেগ বাউন্ডারিতে মোস্তাফিজুর রহমানের ক্যাচ হন তিনি (২)।

    পরের ওভারে মেহেদি হাসান মিরাজ ফিরিয়ে দেন আফগান অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শহিদিকে। টাইগার অফস্পিনারকে সুইপ করতে গিয়ে ২ রানে বোল্ড হন শহিদি।

    নাজিবুল্লাহ জাদরান স্লগে নামলেও ঠিক সুবিধা করতে পারেননি। ১৫ বল খেলে ১০ রান করে মিরাজকে তুলে মারতে যান। লংঅনে সহজ ক্যাচ নেন লিটন।

    ইব্রাহিম জাদরান অবশ্য সেঞ্চুরি তুলে নিতে ভুল করেননি। ১১৯ বলে ৯ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ১০০ করে আউট হন তিনি। ৪৩ রানের মধ্যে ৫ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ।

    এরপর রশিদ খান ৬ করে সাকিবকে এগিয়ে মারতে গিয়ে হন স্টাম্পিং। এরপর লেজের ব্যাটারদের আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেননি মোস্তাফিজ-হাসান মাহমুদরা।

    ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, সাকিব আল হাসান আর মেহেদি হাসান মিরাজ।

  • টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ

    টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ

    প্রথম ওয়ানডেতে হার দিয়ে আফগানিস্তানের সঙ্গে সিরিজ শুরু করেছে বাংলাদেশ। সিরিজ বাঁচানোর লক্ষ্যে লিটন দাসের দল দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নেমেছে। ম্যাচে টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লিটন। একাদশে দুটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। বিশ্রামে থাকা তামিম ইকবালের জায়গায় এসেছেন নাঈম শেখ এবং পেসার তাসকিন আহমেদের পরিবর্তে নেওয়া হয়েছে এবাদত হোসেনকে।

    চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ দুপুর ২টায় তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান।ট জিতে আফগানদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছে টাইগার অধিনায়ক লিটন দাস।

    এর আগে তামিম ইকবালের নেতৃত্বে সিরিজ শুরু করেছিল টাইগাররা। বৃষ্টি আইনে সেই ম্যাচে তারা ১৭ রানে হেরে যায়। এরপরই আচমকা অবসরের ঘোষণা দেন তামিম। যদিও গতকাল শুক্রবার তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে অবসর প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে এখনই দলে ফিরছেন না তিনি, থাকবেন দেড়মাসের বিশ্রামে। তার পরিবর্তে পরবর্তী দুই ম্যাচে স্বাগতিকদের অধিনায়কত্বের ভার লিটনের কাঁধে।

    অন্যদিকে আফগান একাদশে কোনো পরিবর্তন আসেনি। তারা প্রথম ওয়ানডের বিজয়ী একাদশ নিয়েই নামছে এই ম্যাচেও। তবে তাদেরও লক্ষ্য থাকবে এই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নেওয়া।

    বাংলাদেশ একাদশ : লিটন দাস (অধিনায়ক), মোহাম্মদ নাঈম, নাজমুল হোসেন, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, হাসান মাহমুদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও এবাদত হোসেন।

    আফগানিস্তান একাদশ : রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শহীদি (অধিনায়ক), নাজিবুল্লা জাদরান, মোহাম্মদ নবি, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, ফজলহক ফারুকি, আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও সেলিম সাফি।

  • বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশকে ১৭ রানে হারাল আফগানিস্তান

    বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশকে ১৭ রানে হারাল আফগানিস্তান

    শঙ্কাই সত্যি হলো। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার পরই জানা গিয়েছিল, খেলা আর শুরু না হলে হারবে বাংলাদেশ। সেটাই হলো।

    চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশকে ১৭ রানে হারিয়েছে আফগানিস্তান। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে সফরকারীরা।

    ২১.৪ ওভারে আফগানিস্তান ২ উইকেটে ৮৩ রান তোলার পর বৃষ্টির কারণে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। কার্টেল ওভারের ম্যাচটিতে আফগানিস্তানের সামনে ছিল ৪৩ ওভারে ১৬৪ রানের।

    ২ উইকেট হারানো আফগানিস্তানের এই অবস্থায় জয়ের জন্য পার স্কোর দরকার ছিল ৬৭ রান। তারা তুলেছে ৮৩।

    আফগানিস্তান রান তাড়ায় ধীরগতির ব্যাটিং শুরু করে। প্রথম ১০ ওভারে তারা তোলে ৩২। ১৫ ওভার শেষে রান দাঁড়ায় ৫৩, ওভারপ্রতি গড় ৩.৫!

    অবশেষে ১৬তম ওভারে এসে উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। রহমানুল্লাহ গুরবাজ আর ইব্রাহিম জাদরানের ৫৪ রানের জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান।

    বড় শট খেলার মনস্থির করে এগিয়ে আসেছিলেন গুরবাজ। কিন্তু নিচু হয়ে যাওয়া বলটি তিনি মিডউইকেটে নাজমুল হোসেন শান্তর মাথার ওপর দিয়ে নিতে পারেননি। ৪৫ বলে ২২ করে সাজঘরে ফেরেন আফগান ওপেনার।

    এরপর রহমত শাহকে বেশিদূর এগোতে দেননি তাসকিন আহমেদ। টাইগার পেসারের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ব্যাট ছুঁইয়ে প্রথম স্লিপে লিটন দাসের ক্যাচ হয়েছেন রহমত (৮)।

    এর আগে দুই দফা বৃষ্টির বাগড়ায় চট্টগ্রামে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মধ্যকার সিরিজের প্রথম ওয়ানডেটি কার্টেল ওভারের করার সিদ্ধান্ত হয়।

    বাংলাদেশ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে এই ম্যাচে। তবে শেষ পর্যন্ত অলআউট হয়নি টাইগাররা। তাওহিদ হৃদয়ের হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ৪৩ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৯ রান তুলেছে স্বাগতিকরা।

    তবে বাংলাদেশের উইকেট বেশি হারানোর বিষয়টি বিবেচনায় এনে কার্টেল ওভারের ম্যাচের নিয়মে আফগানিস্তানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৩ ওভারে ১৬৪ রানের।

    চট্টগ্রামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সূচনাটা মোটামুটি ভালো করেছিল টাইগাররা। অধিনায়ক তামিম ইকবাল ধুঁকতে থাকলেও লিটনের সঙ্গে গড়েছিলেন ৩০ রানের জুটি। কিন্তু তামিম ইকবাল ফজল হক ফারুকির বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দেওয়ার পরনিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে শুরু করে বাংলাদেশ।

    তামিম ইকবাল ধুঁকতে থাকলেও অন্যপাশে ধীরস্থির ব্যাটিং করছিলেন লিটন। দেখে মনে হচ্ছিল, বাংলাদেশ দলের ইনিংসকে অনেকদূর এগিয়ে নিতে পারবেন তিনি। কিন্তু মুজিবের ঘূর্ণি বলের কাছে পরাস্ত হলেন লিটনও। ২৬ রান করে আউট হন তিনি।

    এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ১২ রান করে হন মোহাম্মদ নবির শিকার। সালিম শাফিকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।

    ১৫.১ ওভার খেলা হওয়ার পর নামে বৃষ্টি। উইকেট ঢেকে দিতে হয় প্লাস্টিকের কাভার (ত্রিপল) দিয়ে। যার ফলে খেলাও বন্ধ হয়ে যায়। তবে কিছু সময় বন্ধ থাকার পর ফের শুরু হয় খেলা।

    বিরতির পর সাকিব আল হাসান আর তাওহিদ হৃদয় ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। এরপরই টানা দুই ওভারে জোড়া ধাক্কা। ২৩তম ওভারের শেষ বলে সাকিব কভারে ক্যাচ দেন আজমতউল্লাহর বলে।

    পরের ওভারের পঞ্চম বলে রশিদ খানকে উইকেট দিয়ে আসেন মুশফিক। মুশফিক অবশ্য নিজেকে খানিকটা দুর্ভাগাই ভাবতে পারেন। কারণ রশিদের ডেলিভারিটি বের হয়ে যাচ্ছিল লেগস্টাম্প দিয়ে, মুশফিকের গায়ে লেগে সেই বল ভেঙে দেয় স্টাম্প।

    টানা দুই ওভারে সাজঘরে বাংলাদেশের দুই ব্যাটিং স্তম্ভ। এরপর ভরসা দিতে পারলেন না দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা আফিফ হোসেন ধ্রুবও।

    বিশ্বকাপকে সামনে রেখে দলে জায়গা ফিরে পেয়েছেন আফিফ। কিন্তু ফেরার ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন এই বাঁহাতি। রশিদ খানের ঘূর্ণি মিস করে প্যাডে লাগে আফিফের।

    আম্পায়ার অবশ্য আবেদনে সাড়া দেননি শুরুতে। রিভিউ নিয়ে জিতে যায় আফগানিস্তান। আফিফ ফেরেন ৮ বলে ৪ রান করে। এরপর মেহেদি হাসান মিরাজও (৫) এলবিডব্লিউ হন, তার উইকেটটি নেন পেসার ফজলহক ফারুকি।

    একটা প্রান্ত ধরে ছিলেন তাওহিদ হৃদয়। হাফসেঞ্চুরির পর তিনি ফজলহক ফারুকির শিকার হন নবম ব্যাটার হিসেবে। ৬৯ বলে হৃদয়ের ৫১ রানের লড়াকু ইনিংসটিতে ছিল মোটে ৩টি বাউন্ডারির মার।

    আফগানিস্তানের ফারুকি ২৪ রানে নেন ৩টি উইকেট। দুটি করে উইকেট মুজিব উর রহমান আর রশিদ খানের।

  • টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

    টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

    একমাত্র টেস্টের পর এবার ওয়ানডে মিশনে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদী। ফলে টস হেরে ব্যাট করতে নামবে তামিম ইকবালের দল। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর ২টায়।

    ইনজুরি কাটিয়ে একাদশে ফিরেছেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এছাড়া দুই সিরিজ বাদে আবারো দলে ফেরা আফিফ হোসেনও রয়েছেন একাদশে।

    একাদশে তিন পেসারের সঙ্গে দুই স্পিনার নিয়ে মাঠে নামছে টাইগাররা। যদিও কোমরের চোট থাকায় তামিমের খেলা নিয়ে কিছুটা দোলাচল থাকলেও গতকাল তিনি জানিয়েছিলেন প্রথম ওয়ানডেতে খেলছেন তিনি। তবে শতভাগ ফিট নন সেটাও নিজ মুখে গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন এই ওপেনার। তামিমের এমন সিদ্ধান্তে অবশ্য নাখোশ প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে এবং বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

    আফগানদের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারতে চায় তামিম ইকবালের দল। ওয়ানডে ফরম্যাটে আফগানরা শক্তিশালী হলেও জয়ের বিকল্প ভাবছে না স্বাগতিকরা। অন্যদিকে, টেস্টে হারের পর ওয়ানডেতে পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই এসেছে আফগানরা। দলে আছে রশিদ খান, মোহাম্মদ নবি, মুজিবসহ পরিচিত সব মুখ। স্পিন ও পেস বোলিং অ্যাটাক বিশ্বমানের হওয়ায় জয় ভিন্ন অন্য কোনো কিছু ভাবছে না সফরকারীরা। চট্টগ্রামে অভিষেক হচ্ছে পেসার সেলিম সাফির।

    বাংলাদেশের একাদশ

    তামিম ইকবাল, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, মুস্তাফিজুর রহমান।

    আফগানিস্তান একাদশ

    রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইবরাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শহীদি (অধিনায়ক), নাজিবুল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবি, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, ফজলহক ফারুকি ও সেলিম সাফি।

  • বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সার্বিক সহযোগিতা দিতে আগ্রহ সৌদি যুবরাজের

    বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সার্বিক সহযোগিতা দিতে আগ্রহ সৌদি যুবরাজের

    সৌদি আরবের যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান আল সৌদ বলেছেন বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানে আগ্রহী সৌদি আরব।

    পবিত্র হজ পালন উপলক্ষে সৌদি আরব সফররত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সম্মানে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার মক্কায় এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সৌদি যুবরাজ এ আগ্রহের কথা জানান।

    সৌদি সরকারের রাজকীয় মেহমান হিসেবে হজ্জ পালনের জন্য ১০ দিনের সফরে সৌদি আরব অবস্থান করছেন রাষ্ট্রপতি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

    ক্রাউন প্রিন্সের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে রাষ্ট্রপতি বলেন, সৌদি আরবের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয় বাংলাদেশ।

    সৌদি প্রিন্সকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে রাষ্ট্র প্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ তাঁকে বরণ করে নিতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।’

    রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন আশা করেন, বাংলাদেশের জনগন চায় সৌদি আরবের নেতৃত্বে উন্নয়ন ও অগ্রগতির দিক দিয়ে বিশ্ব মুসলিম উম্মা আগামীতে আরো এগিয়ে যাবে।

    রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রশংসা করেন।

    তিনি আশা করেন, বাংলাদেশ উন্নয়ন অগ্রগতির পথে আগামীতে আরো এগিয়ে যাবে।

    বাংলাদেশ সফরের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে সৌদি যুবরাজ বলেন, তিনি একটি সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি নিয়ে বাংলাদেশ সফর করতে চান, যাতে করে ভবিষ্যতে দু’দেশের উন্নয়ন ও অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে একটি অনন্য মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে।

    রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন তাকে এবং তার সফরসঙ্গীদের উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য সৌদি সরকার ও জনগণকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

  • সুইডেনে কোরআন পোড়ানোয় বাংলাদেশের তীব্র নিন্দা

    সুইডেনে কোরআন পোড়ানোয় বাংলাদেশের তীব্র নিন্দা

    সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের একটি মসজিদের বাইরে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।

    ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতার’ নামে মুসলমানদের পবিত্র মূল্যবোধ ও ধর্মীয় প্রতীককে অপমান করার এ ধরনের জঘন্য কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

    বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের স্বার্থে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত উসকানি বন্ধে আবারও সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে বাংলাদেশ।

    বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার স্টকহোম শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদের বাইরে পবিত্র কোরআনের একটি কপিতে আগুন ধরিয়ে দেয় এক ব্যক্তি। তার নাম সালওয়ান মোমিকা। তিনি সুইডেনে বসবাসরত একজন ইরাকি। এ ঘটনায় অনেক মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ নিন্দা জানিয়েছে।

  • হার দিয়ে সাফ মিশন শুরু বাংলাদেশের

    হার দিয়ে সাফ মিশন শুরু বাংলাদেশের

    ফিফা র‍্যাংকিংয়ে লেবাননের চেয়ে অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশ। তারপরও ভালো কিছু করার লক্ষ্যে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামে জামাল ভুঁইয়ারা। একের পর এক আক্রমণ সামলে প্রথমার্ধে লেবাননকে আটকে রাখে বাংলাদেশ। তবে ডিফেন্ডার তারিক কাজির ভুলে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ম্যাচের অতিরিক্ত সময় ফের গোল করে লেবানন। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা

    ম্যাচের শুরু থেকেই বাংলাদেশের ওপর অধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে নেবানন। তবে ম্যাচের ১১ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ফ্রি কিক আদায় করে বাংলাদেশ। সেখান থেকে জামাল ভুঁইয়ার নেওয়া ফ্রি কিক কাজে লাগাতে পারেনি তারা। এরপর ম্যাচের ১৭ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে শট নেয় লেবানন। তবে তা চলে যায় পোস্টের বাইরে দিয়ে।

    ম্যাচের ২১ ও ২৩ মিনিটে আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। তবে তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় তারা। অন্যদিকে ম্যাচের ৩৪ মিনিটে কর্নার থেকে হেড করলে দারুণ সেভে দলকে রক্ষা করেন আনিসুর রহমান জিকো। এরপর ম্যাচের ৩৯ মিনিটে ডি বক্সের সামান্য বাইরে থেকে ফ্রি কিক পায় লেবানন।

    ম্যাচের ৪২ মিনিটে গোলের দারুণ সুযোগ পায় বাংলাদেশ। ফয়সাল ফাহিমের নেওয়া শট আটকে দেন লেবাননের গোলরক্ষক। শেষ পর্যন্ত আর কোন গোল না হলে ০-০ গোলে সমতায় থেকে বিরতিতে যায় দু’দল।

    বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণ অব্যাহত রাখে লেবানন। ম্যাচের ৪৮ মিনিটে বাংলাদেশকে রক্ষা করেন জিকো। এরপর বেশকিছু আক্রমণ করেন বাংলাদেশ। ম্যাচের ৫৯ মিনিটে গোলের ভালো সুযোগ পায় বাংলাদেশ। মোরসালিনের পাস থেকে বল নিয়ে ডি বক্সে ঢুকে শট করেন ফাহিম। তবে তা আটকে দেন লেবানন গোলরক্ষক।

    এরপর গুছিয়ে বেশকিছু আক্রমণ করে বাংলাদেশ। তবে উল্টো ম্যাচের ৮০ মিনিটে গোল খেয়ে বসে বাংলাদেশ। তারিক কাজির ভুলে বল পেয়ে ডি বক্সের ভেতর থেকে শটে বল জালে জড়ান অধিনায়ক হাসান মাসুদ।

    এরপর গোল শোধের লক্ষ্যে খেলতে থাকে বাংলাদেশ। তবে উল্টো অতিরিক্ত সময়ে খলিল বাডিরের গোলে ২-০ তে এগিয়ে যায় লেবানন। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

  • বাংলাদেশের বিশ্বস্ত সঙ্গী হওয়ার প্রতিশ্রুতি চীনের

    বাংলাদেশের বিশ্বস্ত সঙ্গী হওয়ার প্রতিশ্রুতি চীনের

    বাংলাদেশের এগিয়ে চলা অনন্য, যা এশিয়ার অন্য দেশের জন্য অনুপ্রেরণার। চীন বাংলাদেশের এ অগ্রগতিতে বিশ্বস্ত সঙ্গী হিসেবে পাশে থাকতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।

    বৃহস্পতিবার (২২ জুন) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। সাক্ষাতের শুরুতে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

    মো. তাজুল ইসলাম এ সময় ৯০ দশকে চীনের শেনজিং ভ্রমণের স্মৃতিচারণ করে বলেন, চীনের অবকাঠামো, সক্ষমতা এবং প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের প্রমাণ তখনই অনুধাবন করা যেত। বর্তমানে চীন বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনৈতিক শক্তি। এশিয়ান দেশ হিসেবে এ অর্জন আমাদের সবার জন্যই গর্বের।

    চীনের রাষ্ট্রদূত ব্রিকসে বাংলাদেশের যোগদানের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এতে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। শেখ হাসিনা যেভাবে আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়ে নিজ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তা চীন সবসময় সম্মান করে।

    রাষ্ট্রদূত দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার প্রকল্পে চীনা অর্থায়নের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করার ফলে পরিবেশের সুরক্ষার সাথে সাথে প্রকল্প সংলগ্ন মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ যদি প্রকল্প প্রস্তাব দেয় তাহলে চীন দুই দেশের মধ্যে সম্পৃক্ততা আরও বাড়াতে চায়।

    এ সময় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে চীনা সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান। এ প্রকল্পটিকে একটি আদর্শ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ক্রমবর্ধমান নগরায়ণের ফলে উৎপন্ন বর্জ্য নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে এ প্রকল্প বাংলাদেশে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

    আলোচনা শেষে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এবং চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন স্ব স্ব দেশের স্মারক উপহার নিজেদের মধ্যে বিনিময় করেন।

  • আফগানদের উড়িয়ে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয় বাংলাদেশের

    আফগানদের উড়িয়ে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয় বাংলাদেশের

    আফগানদের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে জয়টা যেন লেখাই ছিলো বাংলাদেশের, দেখার ছিলো সেটা কত তাড়াতাড়ি আসে। কাঙ্ক্ষিত সেই জয় পেয়ে গেছে বাংলাদেশ। চতুর্থ দিন প্রথম সেশনেই আফগানদের অলআউট করে ৫৪৬ রানের বিশাল এক জয় তুলে নিয়েছে লিটন দাসের দল। নিজেদের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় এটিই। আর টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে শুধু রানের হিসেবে এর চেয়ে বড় জয় আছে মাত্র দুটি।

    আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের একমাত্র ম্যাচে মাঠে না,আর আগে একটা ভয় যেন ঠিকই ছিলো বাংলাদেশি ভক্ত-সমর্থকদের মনে। ২০১৯ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মুখোমুখি হওয়া প্রথম টেস্টেই চট্টগ্রামে ২২৪ রানের হার যেন এখনো দগদগে এক ক্ষত টাইগার ক্রিকেটে। সেই হারের মোক্ষম জবাবই যেন এবার দিলো বাংলাদেশ। প্রতিশোধও নেওয়া হলো, সঙ্গে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ডও লেখা হলো মিরপুরেরহোম অব ক্রিকেটে।

    শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস হেরে শুরুতে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্তর অনবদ্য এক সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৩৮২ রান করে বাংলাদেশ। জবাব এবাদত-শরীফুলের বোলিং তোপের মুখে প্রথম ইনিংসে ১৪৬ রানেি গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান।ফলোঅনের সুযোগ থাকলেও তা না করিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ২৩৬ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে আবাও তিন অঙ্কের দেখা পান শান্ত। সঙ্গে মুমিনুল হকের ব্যাট থেকেও আছে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ৪২৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। ৬৬২ রানের বিশাল বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে টাইগার বোলারদের তোপের মুখে পড়ে ১১৫ রানেি থামতে হয় আফগানদের। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের রানের ব্যবধানে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৫৪৬ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।

    ৬৬২ রানের টার্গেটে তৃতীয় দিন বিকেলে ৪৫ রান তুলতেই ২ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। আজ সকালে কত দ্রুত বাংলাদেশের জয় আসে সেটিই ছিলো দেখার বিষয়। টাইগার বোলাররা সেই কাজটি সেরেছে বেশ দ্রুতই। লাঞ্চের আগেই টাইগার বোলাররা তুলে নিয়েছে আফগানিস্তানের বাকি ৮ উইকেট।

    আজ দিনের তৃতীয় ওভারেই এবাদতের বলে উইকেটের পেছনে লিটন দাসের হাতে ধরা পড়েন আফগান ব্যাটার নাসির জামাল। এবাদতের পরই আফগান শিবিরে জোড়া ধাক্কা দেন শরীফুল। ত্তুলে নেন আফসার জাজাই আর আগেরদিন রিটায়ার্ড হার্ট হওয়া হাশমতুল্লাহ শহিদীর কনকাশন হিসেবে উইকেটে আসা বাহির শাহকে।

    ৭৮ রানেই ৫ উইকেট হারানো আফজ্ঞানদের হয়ে রহমত শাহ একপ্রান্তে লড়াই চালিয়ে গেলেও শেষমেশ তাসকিন আহমেদের বলে হার মানেন তিনি। আফগানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩০ রান করে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। এরপর বাকিরা আর তেমন কিছুই করতে পারেননি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১১৫ রানেই গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। বাংলাদেশও পায় ৫৪৬ রানের ইতিহাসগড়া বিশাল বড় জয়। প্রথম ইনিংসে ভালো পারফর্ম না করা তাসকিন দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৭ রান দিয়ে একাই নেনে ৪ উইকেট। শরিফুল নেন ৩ উইকেট। আর এবাদত ও মিরাজ নেন ১টি করে উইকেট।