Tag: বাংলাদেশ

  • বড় জয়ের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ

    বড় জয়ের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ

    মিরপুরের আকাশে শেষ বিকেলে মেঘের ঘনঘটা। মাঠে আলোকস্বল্পতায় জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল ফ্লাডলাইট। কৃত্রিম আলোর নিচে পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়ায় যেন চোখে অন্ধকারই দেখছিল সফরকারী আফগানরা। ৬৬২ রানের টার্গেট তাড়ায় ইনিংসের ২ ওভারেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে আফগানিস্তান। এর মধ্যে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদির রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়া। পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়ায় তৃতীয় দিন শেষে আফগানদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৪৫ রান।

    ঢাকা টেস্ট জিততে বাংলাদেশের প্রয়োজন আর ৮ উইকেট। অন্যদিকে, মিরাকল কিছু ঘটাতে আফগানদের লাগবে আরও ৬১৭ রান।

    অসম্ভব লক্ষ্য তাড়ায় ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারায় সফরকারীরা। শরিফুল ইসলামের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন আফগান ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান। ফুল লেংথের ডেলিভারি ব্যাটে লাগাতে পারেননি। বল গিয়ে আঘাত হানে প্যাডে। জোরাল আবেদনে সাড়া দিতে দেরি করলেন না আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি।

    শরিফুলের পরের ওভারেই সাফল্য পেয়েছেন আগের ইনিংসে উইকেটশূন্য থাকা তাসকিন। টাইগার পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরে বলে কভার ড্রাইভের চেষ্টা করেন মালিক। বল ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে জমা পড়ে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের গ্লাভসে। ইব্রাহিমের গোল্ডেন ডাকের পর মাত্র ৫ রান করে ফেরেন মালিক। প্রথম ২ ওভারেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় আফগানরা।

    বিপর্যয় কাটিয়ে উঠার আগেই বড় ধাক্কা আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদীর রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়া। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের খেলা চলছিল তখন। বোলিংয়ে ছিলেন টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদ। তার করা ওভারের তৃতীয় বলে ঘটে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি। আফগানদের হয়ে সে সময় ব্যাট করছিলেন অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি।

    তাসকিনের করা সেই বলটি এই ব্যাটার ভেবেছিলেন বাউন্সার হবে। যে কারণে বল আসার আগেই বসে পড়েন তিনি। কিন্তু সেই ডেলিভারি খুব বেশি ওপরে উঠেনি। এই সময়ে সরাসরি গিয়ে আঘাত করে শহীদির হেলমেটে। অবস্থা দেখে বোঝা যাচ্ছিল বেশ ভালো আঘাতই পেয়েছেন আফগান এই ক্রিকেটার। এরপর মাঠে তাকে সেবা শুশ্রুষার পরও ঠিক হয়নি তার সমস্যা। যে কারণে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে শহীদি উঠে গেছেন ব্যক্তিগত ১৩ রান করে।

    এরপর যদিও আর কোনো বিপর্যয় হয়নি। আলোকস্বল্পতায় নির্ধারিত সময়ের আগেই বন্ধ হয়ে গেছে তৃতীয় দিনের খেলা। অপরাজিত আছেন দুই ব্যাটার রহমত শাহ (১০) ও নাসির জামাল (৫)।

    এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেটে ১৩৪ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। এদিন ৩ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে আরও ২৯১ রান যোগ করে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেয় স্বাগতিকরা।

    দুই বছর পর সেঞ্চুরিখরা ঘুচিয়েছেন মুমিনুল। ছবি ক্রিকইনফোর
    মুমিনুলের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে একই টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েন শান্ত। প্রথম ইনিংসে ১৪৬ রানের অনবদ্য ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ১২৪ রান। দুই ইনিংস মিলে তার সংগ্রহ ২৭০ রান৷

    শান্তর পর তিন অঙ্কের দেখা পান মুমিনুল হক। দুই বছরের অপেক্ষার পর ক্যারিয়ারের ১২তম টেস্ট সেঞ্চুরিতে ১২১ রানে অপরাজিত থাকেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এছাড়া লিটন দাসের ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ৬৬ রান৷

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৩৮২

    আফগানিস্তান ১ম ইনিংস: ১৪৬

    বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৮০ ওভারে ৪২৫/৪ (ডিক্লে.) (জয় ১৭, জাকির ৭১, শান্ত ১২৪, মুমিনুল ১২১*, মুশফিক ৮, লিটন ৬৬*; আহমাদজাই ১৩-১-৬১-০, মাসুদ ১২.৫-০-৮৩-০, হামজা ১৬.১-০-৯০-১, জানাত ৮-০-৪৮-০, জাহির ২৩-০-১১২-২, শহিদী ৩-০-১৯-০, জামাল ২-০-৪-০, রহমত ২-০-৪-০)

    আফগানিস্তান ২য় ইনিংস: ১১ ওভারে ৪৫/২ (জাদরান ০, মালিক ৫, রহমত ১০*, শহিদী ১৩ রিটায়ার্ড হার্ট, জামাল ৫*; শরিফুল ৪-১-৬-১, তাসকিন ৪-০-২৮-১, তাইজুল ২-০-৬-০, মিরাজ ১-০-১-০)

  • শান্ত-মুমিনুলের শতক, আফগানদের লক্ষ্য ৬৬২

    শান্ত-মুমিনুলের শতক, আফগানদের লক্ষ্য ৬৬২

    আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে চালকের আসনে বাংলাদেশ। মিরপুরে আজ সফরকারীদের বিপক্ষে ৩৭০ রানে এগিয়ে থেকে তৃতীয় দিনের শুরু করে টাইগাররা। দ্বিতীয় দিনে মাত্র ৩৯ ওভারে ১৪৬ রানেই অলআউট হয়ে যায় আফগানিস্তান। এদিকে ফলোঅন করানোর সুযোগ থাকলেও তা না করিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ওয়ানডে মেজাজে খেলে ইতিমধ্যে বড় সংগ্রহের পথে লিটন দাসরা। দিনের শুরুতে নাজমুল শান্ত ও জাকির হাসানের জুটি দুইশত রান পেরিয়ে যাওয়ার আগে রান আউটের ফাঁদে পড়েন ওপেনার জাকির। তবে একদিকে দাঁড়িয়ে থেকে প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও শতক তুলে নেন শান্ত। এই বাঁহাতি ব্যাটারের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরির শতকের দেখা মুমিনুল হকও। দুই টপ অর্ডারের শতকে ভর করে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪২৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে টাইগাররা। ফলে আফগানিস্তানের সামনে ৬৬২ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে।

    তৃতীয় দিনে দুই বাঁহাতি ব্যাটার দেখেশুনে সেই ওয়ানডে মেজাজে খেলতে থাকেন। কিন্তু ব্যক্তিগত ৭১ রান করে নাসির জামালের দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের নৈপুণ্যে সাজঘরে ফিরেন জাকির। দলীয় ১৯১ রানে এই দুই টপ অর্ডারের ১৭৩ রানের জুটি ভাঙে রান আউটে।

    জাকির ফিরে গেলেও টানা দুই ইনিংসে শতকে তুলে নিতে ভুল করেননি নাজমুল শান্ত। ১১৫ বলে ১৩টি চারের মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ারের চতুর্থ শতক হাঁকান এই বাঁহাতি ব্যাটার।

    এক টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় বাংলাদেশি ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত। এই কীর্তি এর আগে গড়েছিলেন টাইগারদের টেস্ট ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটার মুমিনুল হক।

    শান্তর এমন কীর্তির দিনে থেমে থাকেন নি টাইগারদের সাবেক টেস্ট অধিনায়কও। দীর্ঘ দিন পর মুমিনুলও দেখা পেয়েছেন শতরানের। নিজের ক্যারিয়ারের ১২তম শতক তুলে নিয়েছেন আজ।

    শান্ত-মুমিনুলের শতকের পর বাংলাদেশ ৪২৫ রানে তাদের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে। ফলে সফরকারীদের টেস্ট জিততে হলে টপকাতে হবে ৬৬২ রানের লক্ষ্য।

  • ভিসা জটিলতায় সৌদি আরবের লাল তালিকার ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

    ভিসা জটিলতায় সৌদি আরবের লাল তালিকার ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

    গত ৩১ মে তিন দিনের মধ্যে সকল হজযাত্রীর ভিসা করানোর নির্দেশ দিয়েছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ছয়দিন অতিবাহিত হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হজযাত্রীর ভিসা করানো সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩৩ হাজারের বেশি হজযাত্রীর ভিসা করানো বাকি আছে।

    এরই পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে দ্রুত ভিসা দেওয়ার তাগিদ দেওয়া হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এ অবস্থায় প্রায় ২৭ শতাংশ হজযাত্রী ভিসার অপেক্ষায় রয়েছেন। আগামীকাল বুধবারের মধ্যে ৮০ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা না করানো গেলে জটিলতায় পড়তে পারে বাংলাদেশ। হতে পারে লাল তালিকাভুক্তও। সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

    ৭ জুনের মধ্যে অন্তত ৮০ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন না করতে পারলে লাল তালিকাভুক্ত করার হুমকি দিয়েছে সৌদি আরব। এমন তথ্য জানিয়ে ধর্ম সচিবকে চিঠি দিয়েছে জেদ্দার বাংলাদেশ হজ অফিস। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আগামীকাল বুধবারের মধ্যে ৮০ শতাংশ হজযাত্রীদের ভিসা করানোর নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। তা না করতে পারলে বাংলাদেশ হজ কার্যক্রমে লাল তালিকাভুক্ত হতে পারে।

    মঙ্গলবার (৬ জুন) সৌদি হজ ও ওমরা মন্ত্রণালয়ের বার্তার উদ্ধৃতি দিয়ে কাউন্সিলর (হজ) মো. জহিরুল ইসলাম সই করা চিঠিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

    এতে বলা হয়, রাজকীয় সৌদি সরকারের হজ ও ওমরা মন্ত্রণালয় হতে জানানো হয়েছে যে, হজ বিষয়ক নানাবিধ চুক্তি কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হওয়া দেশগুলোর হজ অফিসের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিশেষ করে হাজিদের ভিসা ইস্যুর কাজ চূড়ান্তে পৌঁছানো দেশগুলোর হজ অফিসকেও ধন্যবাদ জানাই। তবে কিছু কিছু দেশের হজ অফিস লাল তালিকাভুক্ত হয়েছে। ফলে নানা পদক্ষেপ বাস্তবায়ন ও কার্যক্রম সম্পাদনে বেশ জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে এর যাবতীয় দায়ভার সেই সব হজ অফিসের (দেশ) ওপরই বর্তাবে।

    নির্দেশনায় বলা হয়, আগামী ৭ জুনের মধ্যে ভিসা ইস্যুর শতকরা ৮০ ভাগ কাজ সম্পাদন করা চাই। এর ব্যত্যয় ঘটলে সৌদি হজ মন্ত্রণালয় যে কোনো ধরনের কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে বাধ্য থাকবে।

    এর আগে রোববার নির্দেশ দেওয়ার পরও তিন দিনের মধ্যে হজযাত্রীদের ভিসা প্রক্রিয়া শুরু না করায় ৯০টি বেসরকারি হজ এজেন্সিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়।

  • ভারতীয় লাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিক্রির অনুমতি পেল নেপাল

    ভারতীয় লাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিক্রির অনুমতি পেল নেপাল

    ভারতীয় ভূখণ্ড ও অবকাঠামো ব্যবহার করে বাংলাদেশের কাছে বিদ্যুৎ বিক্রির নেপালের প্রস্তাবে সবুজ সংকেত দিয়েছে নয়াদিল্লি। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল ওরফে প্রচণ্ড ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকে এই সংক্রান্ত ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে রাজি হয়েছে ভারত।

    ত্রিপক্ষীয় ব্যবস্থায় ভারত প্রথমবারের মতো এই ধরনের চুক্তিতে রাজি হওয়ায় বিদ্যুৎ বাণিজ্য উন্মুক্ত করার ক্ষেত্রে উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা আরও জোরদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।ভারতীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহলের মধ্যে আলোচনার সময় ভারতীয় পক্ষ নেপালকে ওই সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানিয়ে দিয়েছে।

    দ্বিপাক্ষিক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে আরও বিস্তৃত করার জন্য ভারত ও নেপাল পারস্পরিক যোগাযোগ, জলবিদ্যুৎ, পেট্রোলিয়াম অবকাঠামো, আন্তঃসীমান্ত লেনদেন ব্যবস্থা ও সমন্বিত তল্লাশি চৌকি নির্মাণ সংক্রান্ত সাতটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।

    উভয়পক্ষ রেলওয়ে নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করার পাশাপাশি ভারত থেকে নেপালের বিভিন্ন শহরে বিমান যোগাযোগ চালু করার উপায় নিয়েও আলোচনা করেছে। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কাত্রা বলেছেন, নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারতীয় গ্রিডের মাধ্যমে ট্রানজিট করে যাতে বাংলাদেশে যেতে পারে, সেটিই আমাদের উদ্দেশ্য।

    তিনি বলেছেন, জলবিদ্যুৎ সহযোগিতা শুধু ভারত ও অন্যান্য দেশের মধ্যে নয়, বরং পুরো অঞ্চলের সহযোগিতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং এক্ষেত্রে আপনি যদি বিদ্যুৎ সহযোগিতার দিকে লক্ষ্য করেন, তাহলে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যেও এটি একই রকম রয়েছে। ভারত ও নেপাল এই বিষয়ে ব্যাপকভাবে কথা বলেছে।

    ভারতীয় এই পররাষ্ট্র সচিব বলেছেন, আঞ্চলিক সংযোগকে জোরদার করার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসাবে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ বাণিজ্যের ব্যবহারের চমৎকার সুযোগ রয়েছে। এই ক্ষেত্রে এটিই প্রথম কোনো পদক্ষেপ।

    বৈঠকের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল বলেন, শিগগিরই নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি শুরু হবে। একই সাথে দ্রুত সময়ের মধ্যে ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর হবে।

    ভারতীয় ট্রান্সমিশন লাইন ব্যবহার করে নেপালের বিদ্যুৎ বাণিজ্যের অনুমতির জন্য গত কয়েক বছর ধরে নয়াদিল্লিকে চাপ দিয়ে আসছিল ঢাকা ও কাঠমান্ডু। এতদিন ধরে নয়াদিল্লির সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় ছিল উভয়পক্ষ।

    গত বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়াদিল্লি সফরের সময় ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টি উপস্থাপন করেছিলেন।

    গত মে মাসের মাঝের দিকে নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নারায়ণ প্রকাশ সৌদের ঢাকা সফরের সময়ও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। ওই সময় তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন কোম্পানিকে নেপালের জলবিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছিলেন।

  • বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে আরও মনোযোগ দেওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী

    বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে আরও মনোযোগ দেওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনকে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী উল্লেখ করে বলেছেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মূল কেন্দ্র বিন্দু হওয়া উচিত দুই দেশের আরও উন্নয়ন।

    চীনের উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী সান ওয়েইডং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি বলেন, ‘দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও ক্ষেত্রে আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত আমরা দেশকে কীভাবে আরও উন্নত করতে পারি।’

    বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

    চীনের মন্ত্রী বলেন, চীন বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন খাতে বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও হাইটেক সহযোগিতা জোরদার করতে আগ্রহী।

    তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে আরও সহযোগিতার সম্ভাবনা রয়েছে।’

    বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ চীনের উদ্যোক্তাদের জন্য বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি বরাদ্দ করেছে এবং তারা সেখানে শিল্প স্থাপন করতে পারে।

    চীনের উপমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চীনা প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান।

    বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে তিনি বলেন, প্রায় ১০ বছর আগে তিনি বাংলাদেশ সফর করেছেন। তবে, এবার বাংলাদেশকে অনেক বেশি উন্নত দেখেছেন।

    তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে।

    তিনি বলেন, তিনি পদ্মা সেতু ও বাংলাদেশে চীনের সহায়তায় নির্মিত আরো পাঁচটি প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন।

    প্রধানমন্ত্রীও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে তার ব্যক্তিগত শুভেচ্ছা জানান।

    তিনি বলেন, প্রায় ছয় হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী চীনে পড়াশোনা করছে এবং তাদের মধ্যে অনেকেই কোভিড মহামারী চলাকালীন দেশে ফিরে এসেছে।

    শেখ হাসিনা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা চালিয়ে যেতে মহামারীর পরে সে দেশে ফিরে যেতে সহায়তা করার জন্য চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

    এ সময় প্রধানমন্ত্রীর এম্বাসাডর-এটলার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন উপস্থিত ছিলেন।

    চীনের উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী সান ওয়েইডং দুই দিনের সরকারি সফরে শুক্রবার রাতে ঢাকা এসেছেন।

  • বাংলাদেশে স্থিতিশীলতার জন্য শেখ হাসিনার প্রশংসা কাতারের প্রধানমন্ত্রীর

    বাংলাদেশে স্থিতিশীলতার জন্য শেখ হাসিনার প্রশংসা কাতারের প্রধানমন্ত্রীর

    বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল সানি। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৩ মে) রাতে দোহার র‌্যাফেলস টাওয়ারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

    পরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বৈঠকে কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা (কাতার) বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে চান। বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা আনার জন্য শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ কাতার থেকে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি কেনে। আমরা চাই আপনি জ্বালানি দিয়ে আমাদের সহায়তা করুন। জবাবে মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বলেন, তারা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন যে কাতার বাংলাদেশের জন্য যতটা সম্ভব করবে।

    ২০২৩ সালের ফিফা বিশ্বকাপের পর কাতারে বাংলাদেশি শ্রমিকদের চাকরি হারানোর আশঙ্কা সম্পর্কে কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি কর্মীরা তাদের সম্পদ ও বন্ধু। কাতার যতটা সম্ভব তাদের সে দেশেই রাখবে।

    পরে কাতারের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী সাদ বিন শেরিদা আল কাবি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার অবস্থানস্থলে সাক্ষাৎ করেন। এসময় বৈঠকে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে অতিরিক্ত এলএনজি(তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) সরবরাহের বিষয়ে নতুন চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টি আলোচনায় আসে।

    প্রেস ব্রিফিং-এ ড. মোমেন বলেন, শেখ হাসিনা কাতার থেকে বৃহত্তর পরিমাণে জ্বালানি সংগ্রহের জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করতে বলেছেন।

    কাতার থেকে এলএনজি আমদানির জন্য ২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত বিদ্যমান ১৫-বছরের চুক্তিটি ২০৩২ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। তবে ২০২৫ সালের পরে বৃহত্তর পরিমাণে জ্বালানি পেতে একটি নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে, তিনি বলেন।

    মোমেন বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দরদাম সংক্রান্ত সমস্যা ঠিকঠাক করে অবিলম্বে চুক্তিতে সই করতে বলেছেন।

    বাংলাদেশকে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে বর্ণনা করে এবং যে দেশটি দুঃসময়ে কাতারের পাশে দাঁড়িয়েছিল উল্লেখ করে, তারা (কাতার) প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে চুক্তি স্বাক্ষরের সময় তারা কাতারের পক্ষে যত দূর সম্ভব সব ধরনের ছাড় দেওয়ার কথা বিবেচনা করবে।

  • বাংলাদেশে বড় আকারের বিনিয়োগের প্রস্তাব সৌদি আরবের

    বাংলাদেশে বড় আকারের বিনিয়োগের প্রস্তাব সৌদি আরবের

    সৌদি আরব স্থিতিশীল সরকার এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ভালো রেকর্ড থাকায় বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে বড় আকারের বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। সৌদি আরবের বিনিয়োগমন্ত্রী খালিদ এ আল-ফালিয়াহ এবং অর্থনীতি ও পরিকল্পনা মন্ত্রী ফয়সাল আলিব্রাহিম মঙ্গলবার দোহায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার অবস্থানরত ভবনে সাক্ষাৎ করার সময় এ প্রস্তাব দেন।

    বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন দুই মন্ত্রীর বরাত দিয়ে বলেন, “বিনিয়োগকারী হিসেবে আমরা খুব কম ইস্যু দেখি। প্রথমত, দেশের স্থিতিশীলতা, ব্যবসায়ীরা স্থিতিশীল কিনা, বিনিয়োগের ভবিষ্যৎ। বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ খুবই ভালো এবং সে কারণেই আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” এ সময় প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল উপস্থিত ছিলেন।

    মন্ত্রীরা ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ হিসাবে বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলেন, “বাংলাদেশের নেতৃত্ব খুবই ভালো, দৃষ্টিভঙ্গি ভালো এবং তাদের প্রতিশ্রুতি খুবই ভালো। দেশে একটি স্থিতিশীল সরকার রয়েছে এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি খুবই ভালো।”

    তারা জানান, এরই মধ্যে তারা কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছেন যার মধ্যে তারা পতেঙ্গা বন্দরের জন্য কিছু করতে এবং এর পাশে অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন করতে চান। “সৌদি আরব বাংলাদেশকে তার ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনা করে একটি আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়, কারণ দেশটি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে অবস্থিত। আমরা যদি এটিকে আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলি, তাহলে আমরা ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং আরও অনেক কিছুকে দেখে রাখতে পারব…।” তারা যোগ করেন।

    দুই মন্ত্রী বলেন, তারা এখানে পেট্রোকেমিক্যাল, ডিজেল, জেট ফুয়েল, সার এবং প্রধান বিতরণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি শিপিং লাইন করতে চান। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, তিনি এরই মধ্যে অনুমতি দিয়েছেন এবং অবিলম্বে এটি চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন।

    শেখ হাসিনা পারস্পরিক সুবিধার জন্য সৌদি আরবকে মাতারবাড়ি ও পায়রা সমুদ্র বন্দর এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাবও দেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগ সহজ করতে কোনো বাধা থাকলে তা দূর করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

    সৌদি আরবও পারস্পরিক সুবিধার জন্য কৃষির মতো বিভিন্ন খাতে সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে চায়। এ বিষয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন।

    হজ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার সময় উভয় মন্ত্রী সৌদি আরবে আবাসন ও হাসপাতাল নির্মাণে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ করেন। সৌদি আরবের দুই মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে দুই দেশের জনগণের সুবিধার জন্য সৌদি আরবে ওষুধ, পানীয় এবং রিয়েল এস্টেট শিল্প স্থাপনের অনুরোধ জানান।

    সৌদি বিনিয়োগ মন্ত্রী ও অর্থনীতি মন্ত্রী সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ এর লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন। তারা বাংলাদেশের আরএমজির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন যে, এটি বিশ্বের টেক্সটাইল ও গার্মেন্টসের রাজধানী হয়ে উঠেছে।

  • রুদ্ধশ্বাস জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

    রুদ্ধশ্বাস জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

    হারের মুখ থেকে অবিশ্বাস্য জয়। সেটাও আবার শেষ বলে। চেমসফোর্ডে আরেকটি অসাধ্য সাধন করলো বাংলাদেশ। যে ম্যাচে হার প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল, সে ম্যাচে ৫ রানের জয় তুলে নিয়ে শেষ হাসি হেসেছে তামিম ইকবালের দল।

    তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে নাটকীয় এই জয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজও জিতে নিয়েছে টাইগাররা। প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছিল।

    আইরিশদের সামনে লক্ষ্য ছিল ২৭৫ রানের। ৪১ ওভার শেষে যখন ৩ উইকেটেই ২২৩ রান তুলে ফেলে স্বাগতিকরা। ৫৪ বলে দরকা ৫২, হাতে ৭টি উইকেট। বাংলাদেশের সামনে তখন নিশ্চিত হার।

    এমন সময়ে বাজি ধরেন তামিম ইকবাল। টাইগার অধিনায়ক আক্রমণে আনেন অকেশনাল স্পিনার নাজমুল হোসেন শান্তকে। শান্ত নিজের প্রথম ওভারেই উইকেট এনে দেন অধিনায়ককে। এরপরই ভোজবাজির মতো পাল্টে যায় ম্যাচ।

    মোস্তাফিজুর রহমান আর শান্ত মিলে আইরিশদের টুঁটি চেপে ধরেন। রান আটকে রাখতে রাখতে চাপ তৈরি করেন। ফলে কোণঠাসা হয়ে পড়ে আইরিশরা। শান্ত একপাশে রান আটকে রাখেন, মোস্তাফিজ টানা তিন ওভারে নেন উইকেট।

    ৩ উইকেটে ২২৫ রান তোলা দলটিই ৯ উইকেটে ২৬৯ রানে থেমে যায়। অর্থাৎ ৬ উইকেট হারায় ৪৪ রানে।

    শেষ ওভারে আইরিশদের দরকার ছিল ১০ রান। হাসান মাহমুদ শেষ ভেল্কিটা দেখান, ঠান্ডা মাথায় বল করে। প্রথম ৫ বলে মাত্র ৪ রান দিয়ে তরুণ এই পেসার তুলে নেন ২টি উইকেট।

    শেষ বলে আয়ারল্যান্ডের দরকার ছক্কা। পিনপতন নীরবতা তখন স্টেডিয়ামে। হাসান দেন দুর্দান্ত এক ইয়র্কার। বল গিয়ে সরাসরি আঘাত করে উইল ইয়ংয়ের প্যাডে। রান হয়নি। ততক্ষণে উল্লাসে ফেটে পড়েছে গ্যালারিতে থাকা বাংলাদেশি সমর্থকরা। উল্লাস বাংলাদেশ শিবিরে।

  • শান্তর অভিষেক সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের জয়

    শান্তর অভিষেক সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের জয়

    শেষ ওভারে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৫ রান। হাতে ছিল ৩ উইকেট। মার্ক অ্যাডেয়ারের করা ওভারের প্রথম দুই বলে বড় শটে যাননি মুশফিক। কিন্তু গ্রাউন্ডে খেলতে গিয়ে গ্যাপ বের করতে পারেননি। তাতে দুই বলই হয় ডট। ফলে সমীকরণ দাঁড়ায় ৪ বলে ৫ রানের।

    তবে রোমাঞ্চের আরও কিছু তখনও বাকি ছিল! তৃতীয় ডেলিভারিটি ফুলটস করতে গিয়ে হাই নো করেন অ্যাডেয়ার, তাতে জোরে হাঁকালেও কোনো রান নিতে পারেননি মুশফিক। তবে নো বল হওয়ায় একটি রান পায় বাংলাদেশ। সমীকরণ দাঁড়ায় ৪ বলে ৪ রানের। পরের বলেই স্কুপ করে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন মুশি। ৩ বল হাতে রেখে ৩২০ রানের টার্গেট ছুঁয়ে ফেলে লাল সবুজরা।

    বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪৫ ওভারের ম্যাচে ৪৪ ওভার ৩ বলে ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছেছে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১১৭ রান এসেছে শান্তর ব্যাট থেকে। মুশফিক অপরাজিত ছিলেন ৩৬ রানে। তাওহীদ হৃদয় করেন ৬৮ রান।

    এর আগে প্রথমে ব্যাট করে হ্যারি টেক্টরের সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৪৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩১৯ রান তোলে আয়ারল্যান্ড। যা বাংলাদেশের বিপক্ষে আইরিশদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।

    ৩২০ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তামিম ইকবাল। মার্ক অ্যাডায়ারের বলে লেগ স্কয়ারে ফ্লিক করতে গিয়ে তিনি শর্ট লেগে থাকা ফিল্ডারের তালুবন্দি হন। সাজঘরে ফেরার আগে অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে ১৩ বলে ৭ রান। দলীয় ৯ রানেই প্রথম উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে টাইগাররা।

    তামিমের বিদায়ের পর দেখেশুনে খেলছিলেন লিটন। কিন্তু দশম ওভারে গ্রাহাম হিউমের করা অফ স্টাম্পের বাইরের বলে অযথাই খোঁচা দিয়ে বসেন তিনি। আইরিশ উইকেটরক্ষক লরকান টাকার সেটি তালুবন্দি করতে মোটেও ভুল করেননি। ২১ বলে ২১ রান করে আউট হয়ে যান লিটন। ৪০ রান তুলতেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে বেশ বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ, যেহেতু টার্গেট অনেক বড়।

    সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিব আল হাসান। এই দুই বাঁহাতি ব্যাটারে ভর করে ১৬.২ ওভারে বাংলাদেশ শতরান পূর্ণ করে।

    সাকিব ২৬ রান করে বিদায় নিলে ভাঙে ৬১ রানের জুটি। এরপর তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সমান ৪৯ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতক স্পর্শ করেন দুজনই। এরপর হৃদয় ৬৮ রানে ফিরলে ১৩১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি ভেঙে যায়। সঙ্গীকে হারালেও রানের চাকা সচল রাখেন শান্ত। ৮৩ বলে নিজের প্রথম সাদা বলের সেঞ্চুরি তুলে নেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার।

    ১১৭ রান করে শান্ত যখন প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তখন ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের হাতে। মিরাজ-তাইজুলদের সঙ্গে নিয়ে পাকা হাতে বাকি কাজটুকু সেরেছেন মুশফিকুর রহিম।

    ৩১৯ রানের বড় সংগ্রহ গড়া আয়ারল্যান্ডের শুরুটা অবশ্য খুব একটা ভালো হয়নি। ম্যাচের আগে বৃষ্টি হওয়ায় বাড়তি সুবিধা পেয়েছেন বাংলাদেশের পেসাররা। ১ম ওভারে হাসান মাহমুদের ৫ম বলে পেইস আর বাউন্সে পরাস্ত হন পল স্টার্লিং। সিলভার ডাক খাওয়া এই ওপেনার ডিফেন্স করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। যদিও আম্পায়ার আউট দেননি। রিভিউতে নিশ্চিত হয় আউট।

    সপ্তম ওভারে আরও একবার হাসান ম্যাজিক। প্রথম বলটি ব্যাক অব লেন্থে করেছিলেন, পেছনের পায়ে ভর দিয়ে কাট করতে গিয়ে পয়েন্টে মিরাজের হাতে ধরা পড়েন স্টিফেন ডোহেনি। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২১ বলে ১২ রান। ১৬ রান তুলতেই দুই ওপেনারকে হারায় আইরিশরা।

    এমন বিপর্যয় থেকে দলকে টেনে তোলেন অধিনায়ক অ্যান্ডু বার্লবির্নি ও হ্যারি টেক্টর। আইরিশ অধিনায়ক ৪২ রান করে ফিরে যান। এতে ৯৮ রানের তৃতীয় উইকেট জুটির সমাপ্তি হয়। এই জুটিতে ভালো ভিত পেয়ে যায় তারা। সেখানে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশি বোলারদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন টেক্টর। তুলে নেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ১১৩ বলে ১৪০ রানে থামেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। ৪২তম ওভারের শেষ বলে তাকে দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন এবাদত হোসেন।

    টেক্টর ফিরলেও রানের গতি কমেনি আইরিশদের। ডকরেলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সমান তালে রান তুলেছেন মার্ক অ্যাডায়ার। তিনি সাজঘরে ফেরার আগে ৮ বলে ২০ রানের ক্যামিও উপহার দিয়েছেন। আর এতেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ (রেকর্ড) ৩১৯ রানের সংগ্রহ পেয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। তাও ৪৫ ওভারে! টাইগারদের বিপক্ষে এর আগে তাদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল ২৯২ রান।

    বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট পেয়েছেন হাসান ও শরীফুল। এবাদত ও তাইজুল নেন একটি করে উইকেট।

     

     

  • দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতায় ঢাকা-দিল্লির সন্তোষ প্রকাশ

    দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতায় ঢাকা-দিল্লির সন্তোষ প্রকাশ

    বাংলাদেশ ও ভারত বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার স্তর নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

    ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এই সন্তোষ প্রকাশ করা হয়।

    বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

    তিনি বলেন, ‘উভয় পক্ষই বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার স্তর নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।’

    বৈঠকে তারা কোভিড-পরবর্তী ও ইউক্রেন যুদ্ধের পটভূমিকায় উদ্ভূত পরিস্থিতির মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা করেন।

    এছাড়া, ১২ ও ১৩ মে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় ৬ষ্ঠ ভারত মহাসাগর সম্মেলন এবং আগামী সেপ্টেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন নিয়েও তারা আলোচনা করেন।

    প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে ভারত উন্নত ও স্বল্পোন্নত দেশের মানুষের স্বার্থকে এগিয়ে নিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।
    শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তাঁর শুভেচ্ছা পৌঁছে দিতে বলেন।

    জয়শঙ্কর ৬ষ্ঠ ভারত মহাসাগর সম্মেলন আয়োজনের জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, সম্মেলনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ অনেক বড়।

    এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা এবং ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনার ড. বিনয় জর্জ উপস্থিত ছিলেন।

    ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর ৬ষ্ঠ ভারত মহাসাগর সম্মেলনে যোগ দিতে দুই দিনের সরকারি সফরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় পৌঁছেছেন।

  • বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড প্রথম ওয়ানডে

    বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড প্রথম ওয়ানডে

    আর ২১টি বল হলেই হতো। আইরিশ ইনিংসে ১৬.৩ ওভার খেলা হওয়ার পর বৃষ্টি হানা দেয় চেমসফোর্ডে। এমনই বৃষ্টি, তা আর থামেনি। ফলে অনেকটা সময় অপেক্ষা করার পর বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার প্রথম ওয়ানডে ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছেন আম্পায়াররা।

    নিয়ম অনুযায়ী, ওয়ানডেতে বৃষ্টি আইনে কোনো ম্যাচের ফল বের করতে হলে কমপক্ষে ২০ ওভার করে হতে হয় দুই দলের ইনিংসে। ৩.৩ ওভারের জন্য সেটা সম্পূর্ণ হয়নি।

    আইরিশদের সামনে লক্ষ্য ছিল ২৪৭ রানের। ম্যাচ বৃষ্টিতে বন্ধ হওয়ার আগে খুব একটা ভালো অবস্থানে ছিল না তারা। ৩ উইকেটে রান ছিল ৬৫।

    ২৭ রানেই পড়ে গিয়েছিল ২ উইকেট। এরপর প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন স্টিফেন দোহেনি আর হ্যারি টেক্টর। ৬২ বল খেলে তারা যোগ করেন ৩৬ রান। অবশেষে এই জুটিটি ভাঙেন তাইজুল ইসলাম।

    ৩৯ বলে ১৭ রানের ধীর ইনিংস খেলা ওপেনার দোহেনিকে ফিরতি ক্যাচ বানান তাইজুল। বাঁহাতি এই স্পিনার উইকেট নেওয়ার পরের ওভারেই ঝমঝমিয়ে নামে বৃষ্টি।

    ছোট পুঁজি নিয়েও প্রতিপক্ষকে চেপে ধরেন বাংলাদেশি বোলারররা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে পল স্টারলিংকে (১৫) মেহেদি হাসান মিরাজের ক্যাচ বানান শরিফুল ইসলাম। পরের ওভারে আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবির্নিকে (৫) বোল্ড করেন হাসান মাহমুদ।

    এর আগে ইংল্যান্ডের বিরূপ কন্ডিশনে শুরু থেকেই ধুঁকছিল বাংলাদেশ। ১৫ রানে হারায় ২ উইকেট। ১২২ রানে ৫টি। একটা সময় মনে হচ্ছিল, দুইশ করাই কঠিন হয়ে যাবে। তবে বিপদ কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত লড়াকু পুঁজি দাঁড় করিয়েছে টাইগাররা।

    নাজমুল হোসেন শান্ত আর মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে ভর করে ৯ উইকেটে ২৪৬ রান তুলেছে বাংলাদেশ। পুঁজিটা আরেকটু বড় হতে পারতো। কিন্তু লোয়ার অর্ডাররা শেষ দুই ওভারে মাত্র ৭ তুলতে পারেন।

    চেমসফোর্ডে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই আইরিশ বোলারদের তোপের মুখে পড়ে বাংলাদেশ। ১৫ রান তুলতেই হারিয়ে বসে ২ উইকেট। আউট হন লিটন দাস আর অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

    লিটলের করা ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাজঘরের পথ ধরেন লিটন। সেটাও আবার গোল্ডেন ডাকে (১ বলে ০)। এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন লিটন। ৩ রানে বাংলাদেশ হারায় প্রথম উইকেট।

    তামিম শুরুটা ভালোই করেছিলেন, কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। চতুর্থ ওভারে মার্ক এডায়ারের বলে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ১৯ বলে ২ বাউন্ডারিতে তামিম করেন ১৪।

    এরপর দুই বাঁহাতি সাকিব আল হাসান আর নাজমুল হোসেন শান্ত গড়েন প্রতিরোধ। সাকিব দলের বিপদের মুখে শান্তকে নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু সেই আত্মবিশ্বাসে আঘাত হানলেন গ্রাহাম হুমে।

    অনেকটা এগিয়ে ক্রস খেলতে গিয়ে আইরিশ পেসারের বলে বোল্ড হয়ে যান সাকিব। ২১ বলে ৪ বাউন্ডারিতে তিনি তখন ২০ রানে। শান্তর সঙ্গে তার ৩৭ রানের জুটিটি ভাঙে এই আউটে। ৫২ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

    সেখান থেকে তাওহিদ হৃদয় আর শান্তর দারুণ একটি জুটি। ৬৩ বলে ৫০ রানের এই জুটিটি ভাঙে শান্তর আউটে। দলীয় ১০২ রানে ৪ উইকেট পড়ে টাইগারদের।

    চাপের মুখে শান্ত খেলেছেন ভালো একটি ইনিংস। কিন্তু ইনিংসটা শেষ হলো আক্ষেপ নিয়ে। মাত্র ৬ রানের জন্য যে ফিফটিটা করতে পারলেন না।

    ফিফটি পেলে ব্যাটিং করা সবশেষ ৬ ইনিংসে এটি হতো শান্তর চতুর্থ পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস। ৬৬ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৪৪ করে কুর্তিস ক্যাম্ফারের শিকার হন শান্ত। ডিপ মিডউইকেট বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।

    এরপর ফিরে যান আরেক সেট ব্যাটার হৃদয়। হুমের বল অফসাইডে অনেকটা বাইরে গিয়ে ব্যাটে লাগান এই তরুণ, উইকেটরক্ষকের হাতে চলে যায় বল। ৩১ বলে গড়া হৃদয়ের ২৭ রানের ইনিংসে ছিল ২টি বাউন্ডারির মার।

    ১২২ রানে ৫ শীর্ষ ব্যাটার সাজঘরে। এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে দারুণ একটি জুটি গড়ে দলকে অনেকটা এগিয়ে নেন মুশফিকুর রহিম আর মেহেদি হাসান মিরাজ।

    ৬৬ বলে তাদের ৬৫ রানের জুটি ভাঙে মিরাজ সুইপে ছক্কা হাঁকাতে গেলে। ডকরেলের শিকার হওয়ার আগে ৩৪ বলে ৪ চারের সাহায্যে ২৭ রান করেন এই অলরাউন্ডার।

    স্বীকৃত ব্যাটারদের মধ্যে মুশফিকুর রহিমই ছিলেন শেষ ভরসা। ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ দেখেশুনে খেলে লোয়ার অর্ডারকে নিয়েই ক্যারিয়ারের ৪৪তম ওয়ানডে ফিফটি তুলে নেন।

    তবে ব্যক্তিগত ৬১ রানেই থামতে হয়েছে ডানহাতি এই ব্যাটারকে। লিটলকে তুলে মারতে গিয়ে দোহেনির ক্যাচ হয়ে ফিরেছেন মুশফিক। ৭০ বলের ইনিংসে ৬টি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। এরপর তাইজুল ইসলাম ১৪ আর শরিফুল ইসলাম আউট হন ১৬ রান করে।

    আইরিশ বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল জশ লিটল। ৬১ রানে তিনি নেন ৩টি উইকেট।

  • বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক ‘কৌশলগত অংশীদারিত্বে’ পৌঁছেছে : প্রধানমন্ত্রী

    বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক ‘কৌশলগত অংশীদারিত্বে’ পৌঁছেছে : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ-জাপান বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ‘ব্যাপক অংশীদারিত্ব’ থেকে সফলভাবে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্বে’ পৌঁছেছে।

    তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কিসিদা এবং আমি আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আদ্যপান্ত আলোচনা করেছি। আমরা খুব খুশী যে, আমরা বাংলাদেশ-জাপান বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পকর্কে ‘ব্যাপক অংশীদারিত্ব’ থেকে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্বে পৌঁছাতে পেরেছি।’

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিসিদার কার্যালয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর বিনিময় প্রত্যক্ষ করার পর যৌথ বিবৃতি প্রদানের পর এই মন্তব্য করেন।

    তিনি আরো বলেন, ‘আজ, প্রধানমন্ত্রী কিসিদা এবং আমি ‘কৌশলগত অংশীদারিত্বের’ ওপর যৌথ বিবৃতি প্রদান করেছি। আমি বিশ্বাস করি যে, আমাদের দ’ুদেশের জনগণ ও সরকারের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার বোঝাপড়া, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা সামনের দিনগুলোতে আরো জোরদার হবে।’

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দুই পক্ষ কৃষি, শুল্ক সংক্রান্ত, প্রতিরক্ষা, তথ্য-প্রযুক্তি, সাইবার নিরাপত্তা, শিল্পোন্নোয়ন, মেধা সম্পদ, জাহাজ রিসাইক্লিং, এবং মেট্রোরেল বিষয়ে যেসব চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে,ভবিষ্যত সহযোগিতার ক্ষেত্রে তা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করবে।’

    দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে উভয় পক্ষ রোহিঙ্গা ইস্যুর পাশাপাশি মহেশখালি-মাতারবাড়ি সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন উদ্যোগ (এমআইডিআই) এবং বে অব বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ বেল্ট (বিগ-বি) অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।

    শেখ হাসিনা বলেন, তাঁরা অতিরিক্ত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির কারণে স্থানীয় জনগণের জীবন ও জীবিকার মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন।

    তিনি বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান খুঁজে বের করতে তাদের যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনার জন্য জাপানকে অনুরোধ জানিয়েছি।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলতি বছরেই ঢাকা-নারিতা সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে।

    তিনি বলেন, ‘চলতি বছরের মধ্যে ঢাকা-নারিতা সরাসরি বিমান চলাচলের ঘোষণা করতে পেরে আমরা খুশী।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁরা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে এমআইডিআই ও বিগ-বি উদ্যোগ গ্রহণ এবং বঙ্গোপসাগর ও পাশ্ববর্তী অঞ্চলগুলোর যোগাযোগ স্থাপনের বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার হওয়ায় আমরা জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা জাপানের সঙ্গে আগামী দিনগুলোতে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি সম্পন্ন করার অপেক্ষায় আছি।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার হৃদয় ঘনিষ্ঠ জাপানের মতো একটি সুন্দর দেশে অবস্থান আমার জন্য সব সময় আনন্দের বিষয়।’

    তিনি বলেন, ‘আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছর সম্পন্ন হওয়ায় পর টোকিওতে সরকারি সফর শুরু করতে পেরে আমি বিশেষভাবে আনন্দিত।’

    শেখ হাসিনা বলেন, প্রধানমন্ত্রী কিসিদা এবং জাপান সরকারের আতিথেয়তায় আমি এবং আমার প্রতিনিধিদলের সদস্যরা গভীরভাবে মুগ্ধ।

    তিনি বলেন, জাপান বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়ে বিশেষ স্থান দখল করে আছে। যে কয়েকটি দেশ ১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশকে দ্রুত স্বীকৃতি দিয়েছিল জাপান তাদের মধ্যে একটি।

    তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালের অক্টোবরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক জাপান সফরের মাধ্যমে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেছেন।

    মহামারি কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ার আগে ২০১৯ সালে সর্বশেষ সফরের পরে তিন বছর পর শেখ হাসিনা জাপান সফর করছেন।

    এরআগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৫ দিনের সরকারি সফরে ২৫ এপ্রিল সকালে ঢাকা ত্যাগ করেন এবং একই দিন স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে টোকিও’র হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাপান বিমানবন্দরে লাল গালিচা সংবর্ধনা দিয়ে স্বাগত জানায় এবং গার্ড অব অনার প্রদান করে।