Tag: বাংলাদেশ

  • সহযোগিতা জোরদারে ঢাকা ও টোকিও’র মধ্যে ৮টি চুক্তি স্বাক্ষরিত

    সহযোগিতা জোরদারে ঢাকা ও টোকিও’র মধ্যে ৮টি চুক্তি স্বাক্ষরিত

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপানে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের দ্বিতীয় দিনে ঢাকা ও টোকিও আজ আটটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

    কৃষি, মেট্রোরেল, শিল্প উন্নয়ন, জাহাজ রিসাইক্লিং, শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়, মেধাসম্পদ, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, আইসিটি এবং সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতা বিষয়ে দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

    পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে চুক্তিগুলো বিনিময় করা হয়।

    প্রথম চুক্তিটি হলো- বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয় এবং জাপানের কৃষি, বন ও মৎস্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে কৃষি গবেষণা ও উন্নয়ন এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কৃষি সহযোগিতার বিষয়ে একটি সহযোগিতা স্মারক (এমওসি)।

    দ্বিতীয় চুক্তিটি হলো- শুল্ক আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে শুল্ক বিষয়ক সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তা সংক্রান্ত জাপান সরকার এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি। এর লক্ষ্য শুল্ক অপরাধ প্রতিরোধ, তদন্ত এবং শুল্ক পদ্ধতির সরলীকরণ ও সমন্বয়ের জন্য সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা গ্রহণ করা।

    তৃতীয় চুক্তিটি হলো- বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ‘বাংলাদেশ-জাপান ইন্ডাস্ট্রিয়াল আপগ্রেডিং পার্টনারশিপ কোঅপারেশনের ওপর একটি ফ্রেমওয়ার্ক প্রতিষ্ঠার জন্য যৌথভাবে বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদারের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিল্পের মানোন্নয়নের সম্ভাবনা অন্বেষণ করার জন্য একটি এমওসি।

    ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) অবস্থান থেকে উত্তরণ লাভের জন্য এবং “ভিশন ২০৪১” এর সাথে সঙ্গতি রেখে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ হওয়ার চলমান প্রচেষ্টার জন্য বাণিজ্য কর্মক্ষমতা এবং পণ্য বৈচিত্র্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারী ও বেসরকারী উভয় পর্যায়ে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার।

    চতুর্থ চুক্তিটি হলো- প্রতিরক্ষা সংলাপ, সফর বিনিময়, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, কোর্স, সেমিনার, কর্মশালা, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং এর সাথে প্রাসঙ্গিক অন্য কোনো সম্মত কার্যক্রমের ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এবং জাপান সরকারের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সংক্রান্ত স্মারক।

    পঞ্চম চুক্তিটি হলো- মেট্রো রেলের ক্ষেত্রে সহযোগিতা, মেট্রো রেল নীতি, আইন ও প্রবিধান বিষয়ে সহযোগিতা, অবকাঠামো, রোলিং স্টক ও সিস্টেমের জন্য প্রযুক্তি; নিরাপত্তা নীতি ও ব্যবস্থাপনা এবং দুর্যোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে জাপানের ভূমি, অবকাঠামো, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সহযোগিতা স্মারক।

    ষষ্ঠ চুক্তিটি হলো- জাপানের ভূমি, অবকাঠামো, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয়ের মধ্যে জাহাজ রিসাইক্লিংয়ের ক্ষেত্রে সহযোগিতা স্মারক। বাংলাদেশী পক্ষ ২০২৩ সালের মধ্যে জাহাজের নিরাপদ ও পরিবেশসম্মতভাবে রিসাইক্লিং করার জন্য হংকং ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন (এইচকেসি) মেনে

    চলার জন্য প্রয়োজনীয় সক্ষমতা অর্জনে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে।
    জাপানি পক্ষ জাহাজ রিসাইক্লিং করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়নে সহায়তা প্রদানের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে। এগুলোর মধ্যে একটি ট্রিটমেন্ট, স্টোরেজ এবং ডিসপোজাল সুবিধা প্রতিষ্ঠা করা এবং এইচকেসি এর বিধানগুলোর শর্ত পূরণে বাংলাদেশকে সহায়তা করা।

    তথ্য বিনিময় ও চর্চা, আইপিআরের গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, শিল্পের বিকাশ ও উদ্ভাবনের জন্য আইপিআর সিস্টেমের উন্নতির মাধ্যমে মেধাসম্পদ অধিকার (আইপিআর) সিস্টেম ও চর্চার বিষয়ে জাপান পেটেন্ট অফিস এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পেটেন্ট, ডিজাইন এবং ট্রেডমার্ক বিভাগের মধ্যে সপ্তম সহযোগিতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

    অষ্টম চুক্তিটি হলো- বাংলাদেশের আইসিটি বিভাগ, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সাইবার নিরাপত্তাসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এমওসি।

    কৃষিমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডেও চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনীম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকের-উজ-জামান, সড়ক পরিবহন ও জনপথ বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

    চুক্তি স্বাক্ষরের আগে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও জাপানের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

    নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, বর্ধিত বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা এবং রোহিঙ্গা ইস্যুসহ সংশ্লিষ্ট পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো আলোচনায় প্রাধান্য পায়।

  • বাংলাদেশে ‘মডেল’ নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

    বাংলাদেশে ‘মডেল’ নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

    বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু দেখতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ ক্ষেত্রে একটি ‘মডেল’ নির্বাচনের তাগিদ দিয়েছে দেশটি। এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ।

    ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বৈঠকে শেষে ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় সোমবার (১০ এপ্রিল) সেখানকার একটি হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান মোমেন।

    বৈঠকে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে কোন বিষয়গুলো গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে ড. মোমেন বলেন, নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছেন। তারা (যুক্তরাষ্ট্র) চান অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। একটা মডেল নির্বাচন করতে হবে। আমি বলেছি, অবশ্যই; এটা আমাদেরও উদ্দেশ্য। আমরাও মডেল নির্বাচন চাই।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করার বিষয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সরকার এ ব্যাপারে এক্কেরে…। তবে এ ব্যাপারে আপনাদের (যুক্তরাষ্ট্র) সাহায্য চাই। আপনারও (যুক্তরাষ্ট্র) আমাদের সাহায্য করেন, যেন একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারি।

    মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলে মোমেন-ব্লিঙ্কেনের বৈঠক। বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু, র‌্যাব, ব্যবসা-বাণিজ্য, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা খুনি রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনসহ আরও অন্যান্য ইস্যুতে আলোচনা করে উভয়পক্ষ।

    নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষককে স্বাগত জানানোর কথা দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান মোমেন। তবে দেশটিতে অবস্থানরত কোনো বাংলাদেশি নাগরিক রাজনৈতিক দলের পরিচয়ে পর্যবেক্ষক হতে পারবে না বলে বার্তা দেন ড. মোমেন।

    তিনি বলেন, আমরা তোমাদের (যুক্তরাষ্ট্র) পর্যবেক্ষককে স্বাগত জানাতে চাই। তোমরা আস। আমরা বলেছি, তোমরা যত পার পর্যবেক্ষক পাঠাও। গত নির্বাচনে ২৫ হাজার পর্যবেক্ষক ছিল। কিন্তু পর্যবেক্ষক অবশ্যই বাংলাদেশি অরিজিন কেউ হতে পারবে না, যারা রাজনৈতিক দলের ব্যানারে পর্যবেক্ষক হতে চাইবে।

    নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনার কথা ব্লিঙ্কেনের কাছে তুলে ধরে মোমেন বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য আমরা কী করেছি- আমরা ফটো আইডি তৈরি করেছি, যাতে ভুয়া ভোট না হয়। আমরা বিশ্বাসযোগ্য ব্যালট বাক্স করেছি। আমরা একটা স্বাধীন নির্বাচন কমিশন করেছি।

    নির্বাচনের সময় কমিশন স্বাধীন জানিয়ে মোমেন বলেন, নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম। তারা ইচ্ছে করলে যেকোনো লোককে বদলি করতে পারে, যেকোনো লোককে সাসপেন্ড করতে পারে। কমিশনের এগুলো করার ক্ষমতা রয়েছে এবং তারা করেছে।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত ১৪ বছরে কয়েক হাজার নির্বাচন হয়েছে। স্বল্প সংখ্যক কিছু অনিয়ম হয়েছে। সেখানে কমিশন ব্যবস্থা নিয়েছে। আরা আশা করছি, নির্বাচন কমিশন একটা স্বচ্ছ নির্বাচন পরিচালনা করতে পারবে। তবে নির্বাচন একা একা হয় না।

    সরকারের একার পক্ষে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মনে করেন মোমেন। তার ভাষ্য, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু শুধু সরকার করতে পারবে না। সেটার জন্য সব বিরোধী দলকে এগিয়ে আসতে হবে। তাদেরকেও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য কমিট করতে হবে। তাদের অংশগ্রহণ ছাড়া অবাধ, সুষ্ঠু বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন…।

    নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে একজন মানুষও যেন প্রাণ না হারায় সেই চাওয়ার কথা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন মোমেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশে নির্বাচনে লোক মারা যায়। আমরা চাই না একটা লোক মারা যাক। আমাদের এখানে হাসি-আনন্দে নির্বাচন হয়। তবে আমরা খুব ইগোস্টিক, এত উদ্বেলিত হই যে; লোক মাইরা ফেলি। আমরা চাচ্ছি, নির্বাচন ইস্যুতে আমাদের একটা লোকও যেন না মারা যায়।

    ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য সব ধরনের পরিবেশ তৈরি করেছে। তবে অন্যদের সাহায্যের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন মোমেন।

  • শঙ্কার পর বাংলাদেশের স্বস্তির জয়

    শঙ্কার পর বাংলাদেশের স্বস্তির জয়

    আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে এই টেস্ট খেলার আগে মোট ১১টি দলের বিপক্ষে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞ ছিল বাংলাদেশের। আর এই ১১ দলের বিপক্ষেই সাদা পোশাকে প্রথম দেখায় বাংলাদেশের সঙ্গী ছিল হার। তবে এবার সেই ক্ষতে কিছুটা হলেও প্রলেপ দিতে পেরেছে টাইগাররা। আইরিশদের বিপক্ষে লাল বলের ক্রিকেটে প্রথম দেখায় ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

    ১৩৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে ২৭ ওভার ১ বল খেলে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। আর প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ছিল ৩৬৯ রান। আয়ারল্যান্ড নিজেদের প্রথম ইনিংসে করেছিল ২১৪ রান, আর দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯২ রানে থেমেছিল আইরিশরা।

    ছোট লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল বাংলাদেশ। শুধু খেলার ধরনে নয়, ব্যাটিং অর্ডারেও পরিবর্তন আনে বাংলাদেশ টিম ম্যানেমজমেন্ট। প্রথম ইনিংসে ওপেনিংয়ে তামিম ইকবালের সঙ্গী ছিল নাজমুল হোসেন শান্ত, তবে আজ ইনিংসের গুরাপত্তন করেছেন লিটন দাস।

    টেস্টে সাধারণত লোয়ার মিডল অর্ডারেই ব্যাটিং করতে দেখা যায় লিটনকে, তবে আজ ওপেনিংয়ে এসে ব্যাটিং করেছেন টি-টোয়েন্টি মেজাজে। তার খেলা ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসে কাউ কর্ণার দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে রানের খাতা খুলেন। পরের বলেই আবার পয়েন্টে দারুণ এক কাট শটে বাউন্ডারির দেখা পান এই ওপেনার।

    এমন দুর্দান্ত শুরুর পর সেটা ধরে রেখে ব্যাটিং করার চেষ্টা করেছেন তিনি। আর তাতেই যেন বিপদ ডেকে এনেছেন লিটন। মার্ক অ্যাডায়ারের করা পঞ্চম ওভারের শেষ বলটি শট লেন্থে ছিল। এমন বলে লোভ সংবরণ করতে পারেননি এই ওপেনার, তাতে পুল করতে গিয়ে ঠিকমতো টাইমিং হয়নি, ফলে বল তার হ্যালমেট ছুঁয়ে স্টাম্পে আঘাত হানে। সাজঘরে ফেরার আগে ১৯ বলে ২৩ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।

    লিটন ফিরে গেলেও অপর প্রান্তে আগ্রাসী ছিলেন তামিম। এই অভিজ্ঞ ওপেনারও শুরু থেকেই হাত খুলে শট খেলেছেন। তিনে খেলতে নেমে একই ভঙ্গিতে ব্যাটিং করার চেষ্টা করেছেন শান্তও। কিন্তু সুবিধা করতে পারেননি এই ব্যাটার। ৪ রান করে স্লিপে ধরা পড়েন তিনি। তার বিদায়ে দলীয় হাঁফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করার আগেই ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

    এরপর লাঞ্চ বিরতির আগ পর্যন্ত বাকিটা সময় ভালো ভাবেই পার করেছেন মুশফিক এবং তামিম। বিশেষ করে মুশফিক দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন তামিম ইকবাল। আজ দেশের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে সেই এলিট ক্লাবে যোগ দিলেন মুশফিকুর রহিম।

    লাঞ্চ বিরতি থেকে ফিরে বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না তামিম। ইনিংসের ২১তম ওভারে হোয়াইটের করা শট বলে পুল করতে গিয়ে মিডউইকেটে ধরা পড়েন তামিম। এই ওপেনার সাজঘরে ফেরার আগে নামের পাশে যোগ করেছেন ৬৫ বলে ৩১ রান।

    এরপর বাকি কাজটুকু মুমিনুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে সেরেছেন মুশফিক। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান এই ইনিংসেও দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন। তুলে নিয়েছেন ব্যাক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি। চতুর্থ উইকেটে এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে সহজেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

    এর আগে গত দিনের ৮ উইকেটে ২৮৬ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেছিল আয়ারল্যান্ড। সকাল বেলা উইকেটে পেসারদের জন্য যে বাড়তি সুবিধা থাকে সেটা পুরোপুরি আদায় করেছেন আজ এবাদত হোসেন। এদিন নিজের প্রথম ওভার করতে এসেই উইকেটের দেখা পেয়েছেন এই পেসার।

    ইনিংস হার এড়িয়ে আইরিশদের ম্যাচে ফেরানো অ্যান্ডু ম্যাকব্রাইন এবাদতের পোলার লেন্থের ডেলিভারীতে রীতিমতো চোখে সর্ষে ফুল দেখেছেন। ইনিংসের ১১২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে তার স্টাম্প উপড়ে দিয়েছেন এবাদত। সাজঘরে ফেরার আগে গত দিনের রানের সঙ্গে যোগ করতে পেরেছেন কেবল ১ রান। শেষ পর্যন্ত ৮ চার আর এক ছক্কায় ১৫৬ বল খেলে ৭২ রান করেছেন তিনি।

    এর তিন ওভার পর আবারও এবাদতের আক্রমণ। এবার এই পেসারের শিকার গ্রাহাম হিউম। ১১৬তম ওভারের শেষ বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে গুড লেন্থে রেখেছিলেন এবাদত, সেখানে অফ সাইডে খেলতে গিয়ে ব্যাটের কানা ছুয়ে বল চলে উইকেটকিপার লিটন দাসের গ্লাভসে। হিউমকে ১৪ রানে ফিরিয়ে আইরিশদের কফিনে শেষ পেরেকটা মারেন এই পেসার। তাতে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯২ রানে অলআউট হয় আয়ারল্যান্ড।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    আয়ারল্যান্ড ১ম ইনিংস: ২১৪

    বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৩৬৯

    আয়ারল্যান্ড ২য় ইনিংস: (আগের দিন ২৮৬/৮) ১১৬ ওভারে ২৯২ (ম্যাকব্রাইন ৭২, হিউম ১৪, হোয়াইট ০*; সাকিব ১৩-৪-২৬-২, তাইজুল ৪২-১৬-৯০-৪, মিরাজ ৩০-৮-৫৮-০, ইবাদত ১৫-৩-৩৭-৩, শরিফুল ৮-১-৩৫-১, খালেদ ৭-২-৩৮-০, মুমিনুল ১-০-২-০)।

    বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ১৩৮) ২৭.১ ওভারে ১৩৮/৩ (তামিম ৩১, লিটন ২৩, শান্ত ৪, মুশফিক ৫১*, মুমিনুল ২০*; অ্যাডায়ার ৬-০-৩০-১, ম্যাকব্রাইন ১৩.১-০-৫২-১, হোয়াইট ৭-০-৪৩-০, টেক্টর ১-০-৫-০)।

    ফল: বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী।

    ম্যান অব দা ম্যাচ: মুশফিকুর রহিম।

  • স্টারলিংয়ের ব্যাটে হোয়াইটওয়াশ এড়াল আয়ারল্যান্ড

    স্টারলিংয়ের ব্যাটে হোয়াইটওয়াশ এড়াল আয়ারল্যান্ড

    বাংলাদেশ সফরের শুরুতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হারে আয়ারল্যান্ড। এরপর তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই খেলায় ৭৭ ও ২২ রানে হেরে সিরিজ হাতছাড়া করে সফরকারীরা।

    শুক্রবার হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়েও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে আইরিশরা।

    বাংলাদেশকে ১৯.২ ওভারে ১২৪ রানে অলআউট করে সহজ টার্গেট তাড়ায় ৩৬ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের জয় পায়। এই জয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ এ ভাগ বসাল সফরকারীরা।

    আয়ারল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য ছিল মাত্র ১২৫ রানের। ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় আইরিশরা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ওপেনার রস এডায়ারকে (৯ বলে ৭) বোল্ড করেন তাসকিন আহমেদ। এরপর লরকান টাকারকে (৪) উইকেটরক্ষক লিটন দাসের ক্যাচ বানান শরিফুল ইসলাম। ওই পর্যন্তই।

    অধিনায়ক পল স্টারলিং আর সুযোগ দেননি টাইগার বোলারদের। ঝোড়ো গতিতে ৩১ বলে ফিফটি পূরণ করেন। অভিষিক্ত রিশাদের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে তিনি যখন ফিরেছেন, আইরিশদের ৪৭ বলে দরকার মাত্র ১৬ রান।

    ৪১ বলে ৭৭ রানের ঝোড়ো ইনিংসটি স্টারলিং সাজিয়েছিলেন ১০ চার আর ৪ ছক্কায়। হ্যারি টেক্টর ১৪ আর কুর্তিস ক্যাম্ফার ১৬ রান নিয়ে বিজয়ীর বেশেই মাঠ ছাড়েন।

    এর আগে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে একশর আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল বাংলাদেশ। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বলতে গেলে একাই লড়াই করেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী।

    তার লড়াকু হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে আইরিশদের বিপক্ষে টেনেটুনে সম্মানজনক পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ। ৪ বল বাকি থাকতে অলআউট হয় ১২৪ রানে।

    আগের দুই ম্যাচে টস হারলেও প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তৃতীয় ম্যাচে এসে টস জিতে নিজেরাই বেছে নিয়েছে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত। কিন্তু এবার শুরু থেকেই মহাবিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা।

    ৬১ রানের মধ্যে ৭ ব্যাটার ফেরেন সাজঘরে। অষ্টম উইকেটে নাসুম আহমেদকে নিয়ে ৩৩ বলে ৩৪ রানের একটি জুটি গড়ে দলকে সেই বিপর্যয় থেকে উদ্ধার করেন শামীম। ৪০ বলে ফিফটি করে এই শামীমই শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হয়েছেন। ৪২ বলে গড়া তার ৫১ রানের ইনিংসে ৫টি চারের সঙ্গে ছিল ২টি ছক্কার মার।

    আগের দুই ম্যাচে বাংলাদেশের দুই ওপেনার লিটন দাস এবং রনি তালুকদার তাণ্ডব চালিয়েছিলেন আইরিশ বোলারদের ওপর। দ্বিতীয় ম্যাচে তো রীতিমত ১২৪ রানের রেকর্ড জুটি গড়েছিলেন তারা। এ দুজনের উড়ন্ত সূচনার পর বাংলাদেশের স্কোর ২০০ পার হয়ে গিয়েছিলো দুই ম্যাচেই।
    কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে এসে লিটন, রনি এবং শান্ত- তিনজনই ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন। ব্যাট করত নেমেই যথারীতি উড়ন্ত সূচনারই চেষ্টা করেছিলেন লিটন। একটি বাউন্ডারিও মেরেছিলেন তিনি। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই মার্ক অ্যাডেয়ারের বলে জর্জ ডকরেলের হাতে ধরা পড়েন তিনি। দলীয় রান তখন ৯।

    এরপর রনি তালুকদারও তার স্বভাবসুলভ ঝড় তোলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই সেই ঝড় থামিয়ে দিলেন কুর্তিস ক্যাম্ফার। ১০ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৪ রান করেন রনি। দলীয় রান তখন ২৪। তার আগেই ১৮ রানের মাথায় ফিরে যান নাজমুল হোসেন শান্ত। ৮ বল খেলে ধুঁকতে থাকা শান্ত আউট হন কেবল ৪ রান করে।

    ব্যাটিং বিপর্যয় চলমান রেখে দ্রুত আউট হয়ে যান সাকিব আল হাসান এবং তাওহিদ হৃদয়ও। দলকে ৪১ রানের মাথায় বসিয়ে আউট হন দুজনই। ৬ বলে সাকিব ৬ রান করেন। সম্ভাবনাময়ী তরুণ তাওহিদ হৃদয়ের ওপর আস্থা ছিল এই বিপর্যয়ে হাল ধরবেন। কিন্তু তিনিও পারলেন না। দলীয় ৪১ রানের মাথায় আউট হন তিনিও। ১০ বলে একটি করে চার-ছক্কায় হৃদয় করেন ১২ রান।

    সেখান থেকে অভিষিক্ত রিশাদ হোসেন ও শামীম পাটোয়ারী চেষ্টা করেন হাল ধরার। ২০ রানের জুটি গড়ে ৬১ রানের মাথায় আউট হয়ে যান রিশাদ। ৭ বলে ৮ রান করেন তিনি। তাসকিন আহমেদ আউট হন কোনো রান না করেই।
    আইরিশ পেসার মার্ক এডায়ার ২৫ রানে নেন ৩টি উইকেট। অভিষিক্ত বাঁহাতি স্পিনার ম্যাথু হামপ্রিস ১০ রান দিয়ে শিকার করেন ২টি উইকেট।

  • সাকিব-লিটনে আইরিশদের গুঁড়িয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

    সাকিব-লিটনে আইরিশদের গুঁড়িয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

    বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করার পর এবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে পাওয়া দাপুটে জয়ে টাইগাররা এক ম্যাচ হাতে রেখেই নিশ্চিত করেছে সিরিজ জয়। লিটন দাসের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসের দিনে সাকিব আল হাসান বল হাতে শিকার করেছেন ৫ উইকেট।

    চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমেই বাংলাদেশ মারমুখো ব্যাটিং শুরু করে। দুই ওপেনার লিটন ও রনি গড়েন ১২৪ রানের জুটি, যা বাংলাদেশের হয়ে ওপেনিংয়ে সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ। ৬ ওভারে বাংলাদেশ দল জড়ো করে ৮৩ রান। পাওয়ারপ্লে ছিল ৫ ওভার, তাই রেকর্ড বইয়ে আগের ম্যাচের ৮১ রানই অক্ষুণ্ণ থাকছে। তবে লিটন ও রনি ঠিকই তুলে নেন দ্রুততম দলীয় শতক। মাত্র ৪৩ বলে ১০০ রান স্পর্শ করে বাংলাদেশ।

    ১৮ বলে অর্ধশতক হাঁকিয়ে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম অর্ধশতকের কীর্তি গড়েন লিটন। পা বাড়াচ্ছিলেন শতকের দিকেও। তবে ৪১ বলে ৮৩ রান করে থামে তার ১০টি চার ও ৩টি ছক্কার ইনিংস। রনি অল্পের জন্য পঞ্চাশের মাইলফলকে পা রাখতে পারেননি। ২৩ বলে ৪৪ রান করেন তিনটি চার ও দুটি ছক্কায়। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও তৌহিদ হৃদয়। শেষ ওভারে বিদায় নেওয়ার আগে তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ১৩ বলে ২৪ রান করেন হৃদয়। তবে সাকিব শেষপর্যন্ত অপরাজিতই ছিলেন। ২৪ বলের মোকাবেলায় তিনটি চার ও দুটি ছক্কায় ৩৮ রান আসে তার ব্যাট থেকে। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে টাইগারদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২০২ রান।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নামা আয়ারল্যান্ড প্রথম বলেই উইকেট হারায়। তাসকিন আহমেদের শিকার হয়ে গোল্ডেন ডাকের স্বাদ পান পল স্টার্লিং। এরপর শুরু সাকিবের ভেলকি। একে একে সাজঘরে ফেরান লোরকান টাকার, রস এডায়ার, গ্যারেথ ডিলানি, জর্জ ডকরেল ও হ্যারি টেক্টরকে। ৪ ওভারে ২২ রানের খরচায় নামের পাশে ৫ উইকেট লেখার দিনে টিম সাউদিকে ছাড়িয়ে আবারও বনে যান আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি।

    শেষপর্যন্ত আইরিশরা নির্ধারিত ১৭ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রান জড়ো করতে সমর্থ হয়। স্রোতের বিপরীতে হেঁটে ৩০ বলে ৫০ রান করেন কার্টিস ক্যামফার। এছাড়া হ্যারি টেক্টর ১৬ বলে ২২ ও গ্রাহাম হিউম ১৭ বলে অপরাজিত ২০ রানের ইনিংস খেলেন। সাকিবের ৫ উইকেটের দিনে তাসকিন আহমেদ তিনটি ও হাসান মাহমুদ একটি উইকেট শিকার করেন। ৭৭ রানের জয়ে বাংলাদেশ নিশ্চিত করেছে সিরিজ জয়।

  • তাসকিনের বিধ্বংসী বোলিংয়ে আয়ারল্যান্ডকে হারালো বাংলাদেশ

    তাসকিনের বিধ্বংসী বোলিংয়ে আয়ারল্যান্ডকে হারালো বাংলাদেশ

    তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে বৃষ্টি আইনে আয়ারল্যান্ডকে ২২ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ১৯ ওভার ২ বলে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৭ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। এরপর বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হলে আয়ারল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৮ ওভারে ১০৪ রান। শেষ পর্যন্ত ৮ ওভারে ৮১ রান তুলতে সক্ষম হয় আয়ারল্যান্ড।

    ১০৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে আয়ারল্যান্ডকে ঝড়ো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার পল স্টার্লিং ও রস আডায়ার। উদ্বোধনী জুটিতে ৩২ রান সংগ্রহ করেন এই দুই ব্যাটার। এরপর দলীয় ৩২ রানে রস আডায়ারকে আউট করেন পেসার হাসান মাহমুদ। ১০ বলে ১৩ রান করে আউট হন রস আডায়ার।

    এরপর ইনিংসের চতুর্থ ওভারে বোলিংয়ে তিন আইরিশ ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরান তাসকিন আহমেদ। ৮ বলে ১৭ রান করে পল স্টার্লিং, ২ বলে ১ রান করে লোরকান টাকার ও রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফিরে যান জর্জ ডকরেল।

    এরপর হ্যারি টেক্টর ও গ্যারেথ ডেলানি মিলে ব্যাট করতে থাকেন। শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য ১২ বলে ৩৯ রান প্রয়োজন হয় আয়ারল্যান্ডের। সপ্তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন মুস্তাফিজ। এই ওভারে ৭ রান দেন মুস্তাফিজ।

    শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৩২ রান প্রয়োজন হয় আয়ারল্যান্ডের। শেষ ওভারে বোলিংয়ে এসে ওভারের প্রথম বলেই হ্যারি টেক্টরকে আউট করেন তাসকিন। শেষ পর্যন্ত ৮ ওভারে ৮১ রান তুলতে সক্ষম হয় আয়ারল্যান্ড। ফলে ২২ রানের জয়ে সিরিজ শুরু করলো বাংলাদেশ।

  • বাংলাদেশকে একটি বিমান চলাচল কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে রোডম্যাপ জরুরি : প্রধানমন্ত্রী

    বাংলাদেশকে একটি বিমান চলাচল কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে রোডম্যাপ জরুরি : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশকে একটি বিমান চলাচল কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে এর ভৌগলিক-কৌশলগত সুবিধার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে একটি রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে।

    ঢাকায় এভিয়েশন সামিটের প্রথম এভিয়েশনের উদ্বোধনী অধিবেশনে এক ভিডিও ভাষণে তিনি বলেন, ‘আমাদের ভৌগলিক-কৌশলগত সুবিধাকে পুঁজি করে কীভাবে আমরা আমাদের দেশকে একটি বিমান চলাচল কেন্দ্রে পরিণত করতে পারি, সেজন্য আমাদের একটি রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে।’

    যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের সহযোগিতায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ এভিয়েশন সামিট-২০২৩’ এর আয়োজন করেছে।

    প্রধানমন্ত্রী এই শীর্ষ সম্মেলনকে বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন। কারণ, এটি এই অঞ্চলে একটি বিমান চলাচল কেন্দ্রে পরিণত হওয়ার আকাক্সক্ষা রয়েছে।

    তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে আইসিএও-এর সদস্যপদ পাওয়া মাত্রই আমাদের ভৌগোলিক অবস্থানের সুযোগ নিয়ে পূর্ব ও পশ্চিমকে সংযুক্ত করতে বাংলাদেশকে একটি ‘এভিয়েশন হাব’- এ পরিণত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পরপরই এই পদক্ষেপ স্থগিত করা হয়েছিল।

    তিনি আরো বলেন, ‘আমরা একটি এভিয়েশন হাবের উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। গত এক দশকে, আমরা আমাদের বিমানবন্দর, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা এবং গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং উন্নত করার জন্য অনেকগুলো প্রকল্প বাস্তাবায়ন করেছি।’

  • কাবাডিতে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

    কাবাডিতে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

    বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্টে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। শহীদ নূর হোসেন স্টেডিয়ামে চাইনিজ তাইপেকে ৪২-২৮ ব্যবধানে পরাজিত করে তুহিন তরফদাররা। সোমবার ফাইনালে উঠেই কাবাডির পরের বিশ্বকাপে সরাসরি খেলা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।

    শুরু থেকেই চাইনিজ তাইপে দাপট দেখায় বাংলাদেশকে। এক পর্যায়ে ৭-৬ পয়েন্টে লিড ছিল তাদের। এরপর প্রতিপক্ষকে আর লিড নিতে দেননি তুহিন তরফদাররা। প্রথমার্ধ বাংলাদেশ শেষ করে ২০-১৪ পয়েন্টে।

    বিরতির পরও স্বাগতিকদের আধিপত্য বজায় ছিল। শুরুর দিকে ২৪-১৪ পয়েন্টে তাইপেকে অল আউট করেছে লাল-সবুজ দল। শেষের দিকেও ৩৭-২১ পয়েন্টে অল আউট হয় তাইপে। তাতে করে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরে বড় ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ।

     

  • এশিয়া কাপ আর্চারিতে বাংলাদেশের স্বর্ণ জয়

    এশিয়া কাপ আর্চারিতে বাংলাদেশের স্বর্ণ জয়

    চাইনিজ তাইপেতে এশিয়া কাপ ওয়ার্ল্ড র‌্যাংকিং আরচারি টুর্নামেন্ট স্টেজ-১ এ স্বর্ণ জিতেছে বাংলাদেশ।

    রবিবার (১৯ মার্চ) রিকার্ভ মিশ্র দৈতের ফাইনালে দিয়া সিদ্দিকী ও হাকিম আহমেদ রুবেলের সমন্বয়ে গড়া বাংলাদেশ ৫-৩ সেট পয়েন্টে হারিয়েছে কাজাখস্তানকে।

    হাকিম আহমেদ রুবেলের সঙ্গে দেশসেরা নারী আরচার দিয়া সিদ্দিকীর জুটি সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে ৫-১ সেট পয়েন্টে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিলেন। এর আগে কোয়ার্টারফাইনালে বাংলাদেশ ৬-২ সেট পয়েন্টে হারিয়েছিলো মালয়েশিয়াকে।

    এ টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশের ৯ সদস্যের দল। ১০ ইভেন্টের মধ্যে বাংলাদেশ অংশ নিয়েছে রিকার্ভ পুরুষ একক, রিকার্ভ মহিলা একক, রিকার্ভ পুরুষ দলগত, রিকার্ভ মিশ্র দলগত, কম্পাউন্ড পুরুষ একক, কম্পাউন্ড মহিলা একক এবং কম্পাউন্ড মিশ্র দলগত ইভেন্টে।

     

  • রেকর্ড জয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের

    রেকর্ড জয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের

    সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে সফররত আয়ারল্যান্ডকে রীতিমতো উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ। ১৮৩ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতে গড়েছে রেকর্ডও। ওয়ানডেতে এর চেয়ে বেশি রানে জেতেনি টাইগাররা। ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ৩৩৮ রান তুলে বাংলাদেশ। জবাবে মাত্র ১৫৫ রানে গুটিয়ে যায় আইরিশদের ইনিংস।

    রান তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনারের কল্যাণে ভালো সূচনা পায় সফররত আয়ারল্যান্ড। অতপর সেই জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। আর নিজের টানা দুই ওভারে দুই ব্যাটারকে ফেরালেন ইবাদত। এর মাঝেই নিজের প্রথম উইকেট তুলে নেন তাসকিনও। স্টেফেন দোহেনি ৩৪, পল স্টার্লিং ২২, হ্যারি টেক্টর ৩ ও বালবির্নি ৫ রান করেন।

    এরপর নাসুমের ঘূর্ণিতে নাকাল হয়ে পড়ে আইরিশরা। হারাতে থাকে একের পর এক উইকেট। লরকান টাকার ৬, কুর্তিস ক্যাম্ফের ১৬, গ্যারেথ ডেলানি ১ ও শূন্যরানে অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন, ১৩ রানে মার্ক আদায়ের ও ৪৫ রানে জর্জ ডকরেল আউট হন। আর ২ রানে অপরাজিত থাকেন গ্রাহাম হুম।

    বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন ইবাদত হোসেন। তিনটি উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। এছাড়া তাসকিন আহমেদ দুটি ও সাকিব আল হাসান একটি উইকেট নেন।

    এর আগের ম্যাচের শুরুতে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান আইরিশ দলনেতা অ্যান্ডি বালবির্নি। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন দলনেতা ও ওপেনার তামিম ইকবাল খান। তার ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ৩ রান। আরেক ওপেনার লিটন কুমার দাস করেন ২৩ রান।

    তৃতীয় উইকেট জুটিতে দারুণ ব্যাট করে যাচ্ছিলেন সাকিব-শান্ত। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি শান্ত। ম্যাকব্রিনের করা বলে বোল্ড হন ব্যক্তিগত ২০ রানে।

    পরের উইকেটে খেলতে নামেন অভিষিক্ত তৌহিদ হৃদয়। তাকে নিয়ে আইরিশ বোলারদের রীতিমতো শাসন করে যাচ্ছেন সাকিব আল হাসান। এ সময় দুজন মিলে গড়েন ১৩৫ রানের জুটি। তাতেই বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় বাংলাদেশ। দুজনেই ফিফটির দেখা পান। সাকিব চলে যান সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে। কিন্তু গ্রাহাম হুমের করা বলে ৯৩ রানে ফেরেন সাকিব।

    এরপর মুশফিক-হৃদয় মিলে ক্রিজে ঝড় তোলেন। মাত্র ৪৯ বলে দুজনে গড়েন ৮০ রানের জুটি। হৃদয় সেঞ্চুরির পথে ও মুশফিক ছুটছিলেন অর্ধশতকের পথে। কিন্তু কেউ লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেননি। গ্রাহাম হুমের এক ওভারে ফিরেছেন দুজনই। মাত্র ২৬ বলে ৪৪ রানে মুশি ও ৮৫ বলে ৯২ রানে আউট হন হৃদয়। এরপর তাসকিন ১১, ইয়াসির ১৭, নাসুম ১১ ও মোস্তাফিজ ১ রানে করেন।

  • বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে বাংলাদেশের সিরিজ জয়

    বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে বাংলাদেশের সিরিজ জয়

    ২০০৫ সালে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট শুরু হয়। অথচ ইংল‌্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রথম খেলার সুযোগ পায় ২০২১ সালের বিশ্বকাপে। বিষয়টি অবাক করার মতোই। ম‌্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ৮ উইকেটে। সে সময় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশও দুঃসময় পার করছিল। এবার ঘরের মাঠে প্রথমবারের মতো সিরিজ খেলার সুযোগ পেয়ে বাংলাদেশ বিশ্বচ‌্যাম্পিয়নদের ঘায়েল করে জিতে নিয়েছে সিরিজ।

    রবিবার (১২ মার্চ) মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সিরিজ জেতার ম‌্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে ৪ উইকেটে।

    প্রথমে বোলারদের ক্ষুরধার বোলিংয়ে টস জিতে ইংল‌্যান্ডকে ব‌্যাট করতে পাঠিয়ে ১১৭ রানে অলআউট করে। সিরিজ জেতার নেশায় মত্ত বাংলাদেশের ব‌্যাটাররা সেই রান ১৮.৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে অতিক্রম করে উল্লাসে মেতে উঠে। প্রথম ম‌্যাচ বাংলাদেশ চট্টগ্রামে জিতেছিল ৬ উইকেটে। সিরিজের শেষ ম‌্যাচ একই স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ১৪ মার্চ মঙ্গলবার।

  • বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে সিরিজ জিততে বাংলাদেশের চাই ১১৮ রান

    বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে সিরিজ জিততে বাংলাদেশের চাই ১১৮ রান

    ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি জিতে একটি ইতিহাস হয়েছে, ডাকছে আরেকটি ইতিহাস। ইংলিশদের বিপক্ষে এর আগে কখনও দ্বিপক্ষীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেনি বাংলাদেশ। এবারই প্রথম, আর প্রথমবারেই সিরিজ জয়ের সুবর্ণ সুযোগ।

    বোলাররা এরই মধ্যে তাদের কাজটা করে দিয়েছেন। অফস্পিন ভেল্কিতে ইংল্যান্ডের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপকে দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ইনিংসের শেষ বলে ইংল্যান্ড অলআউট হয়েছে ১১৭ রানে। অর্থাৎ বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে সিরিজ জিততে বাংলাদেশের দরকার ১১৮ রান।

    মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টসভাগ্যটা বাংলাদেশের পক্ষেই ছিল। টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠান টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

    শুরুতেই ইংলিশদের চাপে ফেলে বাংলাদেশ। ৮ বলে ৫ রান করা ডেভিড মালান ইনিংসের তৃতীয় ওভারে তাসকিন আহমেদের শিকার হন। ক্যাচ নেন হাসান মাহমুদ। এরপর ফিল সল্ট চালিয়ে খেলছিলেন। ৬ ওভারের পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেটে ৫০ রান তুলে নেয় ইংল্যান্ড।

    তবে পাওয়ার প্লে শেষ হতেই আঘাত হানেন সাকিব। ফিরিয়ে দেন ভয়ংকর হতে চাওয়া সল্টকে (১৯ বলে ২৫)। ঘূর্ণি জাদুতে পরাস্ত করে সাকিব নিজেই নেন ফিরতি ক্যাচ।

    এরপর অষ্টম ওভারে ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলারকে (৪) চোখ ধাঁধানো এক ইয়র্কারে বোল্ড করেন হাসান মাহমুদ। মঈন আলি (১৭ বলে ১৫) চাপ সামলাবেন কি, তার ঠিক পরের ওভারে মেহেদি হাসান মিরাজকে তুলে মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ হন। ৭ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে রীতিমত ধুঁকতে থাকে ইংল্যান্ড।

    সেখান থেকে স্যাম কারান আর বেন ডাকেট হাল ধরতে চেয়েছিলেন। ৩২ বলে ৩৪ রানের জুটি গড়েন তারা। কিন্তু ইনিংসের ১৫তম ওভারে মেহেদি হাসান মিরাজ জোড়া ধাক্কা হানেন ইংলিশ শিবিরে।

    মিরাজের টার্ন বুঝতে না পেরে এগিয়ে গিয়ে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন স্যাম কারান (১৬ বলে ১২) আর ক্রিস ওকস (০)। ৯১ রানে ৬ উইকেট হারায় ইংলিশরা।

    স্বীকৃত ব্যাটার বলতে ছিলেন কেবল বেন ডাকেট। শেষ ওভার পর্যন্ত তিনি লড়াই চালিয়ে গেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত মোস্তাফিজুর রহমানের বলে মারতে গিয়ে বল আকাশে ভাসিয়ে দেন ডাকেট। ২৮ বলে ২৮ করে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি।

    মিরাজ ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করেছেন। ৪ ওভারে ১২ রান দিয়ে একাই নিয়েছেন ৪টি উইকেট। একটি করে উইকেট সাকিব, হাসান মাহমুদ, তাসকিন আর মোস্তাফিজের। আফিফ, শান্তসহ সাকিব আজ বাংলাদেশের ৮ বোলার ব্যবহার করেছেন।