Tag: বাকলিয়া থানা

  • সাংবাদিকের মোবাইল ও টাকা লুট করে গ্রেফতার হল ৪ ছিনতাইকারী

    সাংবাদিকের মোবাইল ও টাকা লুট করে গ্রেফতার হল ৪ ছিনতাইকারী

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া রসূলবাগ আবাসিক এলাকায় এক সাংবাদিকের টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনতাই করে পেশাদার ছিনতাইকারীরা। শনিবার (২১ মার্চ) রাতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছিনতাই ঘটনাটির সাথে জড়িত ৪ জনকে গ্রেফতার করে বাকলিয়া থানা পুলিশ।

    এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া টাকা, মোবাইল ফোন ছাড়াও তিনটি কিরিচ ও একটি স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায় ওই সাংবাদিকের মোবাইল ও টাকা ছিনতাইয়ের পর তার কাছ থেকে স্ট্যাম্প টিতে জোরপূর্বক সই নেওয়া হয়েছিলো।

    গ্রেফতারকৃতরা ছিনতাইকারীরা হলেন, মো. রুবেল (১৯), আসিফ বিন আজাদ (২১), এসএম আসিফ উদ্দীন (২৫) ও সাজ্জাদ মিয়া (২০)।

    এ বিষয়ে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নেজাম উদ্দিন বলেন, গত ২০ মার্চ শুক্রবার বিকেলে রসূলবাগ আবাসিক এলাকা থেকে কয়েকজন ছিনতাইকারী মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তার কাছ থেকে একটি স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক সই নিয়েছে বলে থানায় অভিযোগ করেন হোসেন মোহাম্মদ ইকবাল নামে এক সাংবাদিক।

    এ অভিযোগের সূত্র ধরে ২১ মার্চ শনিবার রাতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত পেশাদার ৪ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত ধারালো ৩টি কিরিচ ও ছিনতাই করা মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও স্ট্যাম্প উদ্ধার করে পুলিশ।

    গ্রেফতার ৪ ছিনতাইকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানালেন ওসি নেজাম উদ্দিন।

    ২৪ ঘন্টা/আর এস পি

  • ওসি নেজামের প্রচেষ্টায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবার পেল আড়াই লাখ টাকা

    ওসি নেজামের প্রচেষ্টায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবার পেল আড়াই লাখ টাকা

    চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীনের তৎপরতায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মো: জামাল উদ্দিনের পরিবার পেয়েছে আড়াই লাখ টাকা।

    রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বাকলিয়া থানায় নিহত জামাল উদ্দিনের স্ত্রীর হাতে উক্ত টাকার এফডিআরের কাগজ তুলে দেয়া হয়।

    এর আগে গত বছরের ২৭ নভেম্বর শাহ আমানত সেতু এলাকায় দ্রুতগামী বাসের ধাক্কায় মো: জামাল উদ্দিন নামে একজন মোটরসাইকেল আরোহী প্রাণ হারান।

    বাকলিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দীন বলেন, বাস মালিকের পক্ষ থেকে পাওয়া আড়াই লাখ টাকা নিহতের স্ত্রী ও নাবালক তিন সন্তানদের নামে ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংক লিমিটেডে একটি জয়েন্ট এফডিআর করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নাবালক সন্তানদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত উক্ত হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন করা যাবে না।

  • বাকলিয়ার লোকমান হত্যার অন্যতম আসামি ছোটন গ্রেফতার : আদালতে জবানবন্ধি

    বাকলিয়ার লোকমান হত্যার অন্যতম আসামি ছোটন গ্রেফতার : আদালতে জবানবন্ধি

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানার আলোচিত লোকমান হত্যার অন্যতম আসামি মো. রাকিবুল ইসলাম ছোটনকে (২২) ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) ঢাকার গুলশান-২ প্রিমিয়ার সুইটসের সামনে থেকে বাকলিয়া থানা পুলিশের একটি টিম ছোটনকে গ্রেফতার করে।

    গ্রেফতারের পর চট্টগ্রামে আনার পর শনিবার (২৫ জানুয়ারি) ছোটনকে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালতে তোলা হয়। ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক আদালতের কাছে খুনের দায় স্বীকার করে নিয়ে জবানবন্দি দিয়েছে ছোটন।

    পুলিশ জানায়, ছোটন ব্র্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলার নবীনগর থানার নওগাঁ গ্রামের মৌলভী বাড়ির আবদুল নুর মিয়ার পুত্র। বর্তমানে সে চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার ডিসি রোড এলাকার ইদ্রিস কলোনিতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেতেন।

    গ্রেফতারের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বাকলিয়া থানার (ওসি) অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ছোটনের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে বাকলিয়া পুলিশের একটি টিম ঢাকার গুলশান থেকে ছোটনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

    তিনি জানান, ছোটন গ্রেফতার এড়াতে চুল কেটে দাঁড়ি শেভ করে বেশভূষা পরিবর্তন করে ছদ্মনাম ধারণ পূর্বক ঢাকার গুলশান এলাকায় অবস্থান নেন।

    চট্টগ্রাম আনার পর শনিবার আদালতে হাজির করলে ছোটন হত্যার দায় স্বীকার করে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালতে জবানবন্ধি দেন। ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দিতে ছোটন নিজ হাতে গুলি করে লোকমানকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে। জবাববন্দি শেষে আদালত ছোটনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন বলে জানায় ওসি।

    উল্লেখ্য, গত বছরের ৬ এপ্রিল এক কিশোরীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে সৃষ্ট বিবাদের জের ধরে বাকলিয়া থানার ফুলতলা খালপাড়া এলাকায় লোকমান খুন হয়। হত্যাকাণ্ডের পরের দিন বাকলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এতে হত্যাকাণ্ডের ১নং আসামি সাইফুলের প্রধান সহযোগী হিসেবে ছোটনকে আসামি করা হয়।

    ঘটনার দুই দিন পর সাইফুলকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে তার দেয়া তথ্যমতে পুলিশ অন্যান্য আসামিদের ধরতে অভিযানে গেলে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হয় সাইফুল। লোকমান হত্যায় এ পর্যন্ত পুলিশ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।

  • বাকলিয়া থানা জামায়াত আমির আবুল মনসুর গ্রেফতার

    বাকলিয়া থানা জামায়াত আমির আবুল মনসুর গ্রেফতার

    নাশকতার মামলায় চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানা জামায়াতের আমির আবুল মনসুরকে তার চার সহযোগীসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    শনিবার (২ নভেম্বর) ভোরে বাকলিয়া থানা এলাকার আবুল মনসুরের বাসায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

    তথ্যটি নিশ্চিত করে বাকলিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দিন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, বাকলিয়া থানা জামায়াতের আমীর আবুল মনসুরের বিরুদ্ধে নাশকতার চেষ্টাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৫/৬টি মামলা রয়েছে।

    শনিবার ভোরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তার বাসায় বাকলিয়া থানা পুলিশের একটি অভিযান চালায়। এসময় তার চার সহযোগীসহ তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

  • জিনের বাদশা’র তিন বান্দা বাকলিয়ায় গ্রেফতার

    জিনের বাদশা’র তিন বান্দা বাকলিয়ায় গ্রেফতার

    কথিত জিনের বাদশা চক্রের খপ্পরে পড়ে ৪ লাখ ৭১ হাজার টাকা খুইয়েছেন চট্টগ্রামের এক নারী। দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে ভয়ভীতি ও কৌশল অবলম্বন করে ওই নারীর কাছ থেকে টাকাগুলো হাতিয়ে নেন প্রতারক চক্রটি।

    চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানায় এমনি একটি অভিযোগের সূত্র ধরে অভিযানে নামে পুলিশ। এ প্রতারক চক্রের কয়েকজন সদস্যের অবস্থান শনাক্ত করে জিনের বাদশা প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

    শনিবার রাত থেকে ভোর পর্যন্ত নগরীর বাকলিয়া থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়| গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. মুক্তার রহমান (২৭), মো. সাইফুল ইসলাম (৩১) ও শীপন চন্দ্র মহন্ত (২৯)।

    গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় এদের জন্মস্থান হলেও প্রতারণায় তারা ঢাকা,চট্টগ্রামসহ অন্যান্য জেলাকেই বেঁচে নেন। সম্প্রতি চট্টগ্রাম এসে তাদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলতে বিভিন্ন লোকজনকে টার্গেট করে তার সর্বস্ব হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

    পুলিশ জানায়, চক্রটি সাধারণত দুর্বল প্রকৃতির ও সমস্যায় জর্জরিত লোকদের টার্গেট করে তাদের ফোন নাম্বারটি প্রথমে সংগ্রহ করে নেন। পরবর্তীতে তার এবং তার আত্মীয় স্বজনদের সম্পর্কে খোজ খবর নেন। এরপর সুযোগ বুঝে টার্গেটকৃত ব্যাক্তিকে রাতের বেলায় জিনের বাদশা পরিচয়ে আত্মীয় স্বজন সম্পর্কে আজগুবী গল্প বানিয়ে ফোন করে ভয়ভীতি দেখায়। কেউ তাদের ফাঁদে পা দিলে বিভিন্ন কৌশলে তার কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে মোবাইল ফোনটি অফ করে অন্যত্র চলে যায়।

    বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নেজাম উদ্দিন বলেন, জিনের বাদশা পরিচয়ে প্রতারণার মাধ্যমে এক নারীর কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পেয়ে প্রতারক চক্রটির কয়েকজন সদস্যের অবস্থান নিশ্চিত করে পুলিশ। এরপর বাকলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রটির তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চক্রটির আরো সদস্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন গ্রেফতারকৃতরা। এ চক্রের অন্য সদস্যদেরও গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে জানালেন ওসি নেজাম উদ্দিন।