Tag: বাগেরহাট

  • মানবতাবিরোধী অপরাধে বাগেরহাটের ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

    মানবতাবিরোধী অপরাধে বাগেরহাটের ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

    মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বাগেরহাটের খান আকরামসহ সাতজনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহীনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

    মামলার সাত আসামি হলেন- খান আকরাম হোসেন (৬০), শেখ মোহম্মদ উকিল উদ্দিন (৬২), মো. মকবুল মোল্লা (৭৯) কারাবন্দি। পলাতক রয়েছেন- খান আশরাফ আলী (৬৫), রুস্তম আলী মোল্লা (৭০), শেখ ইদ্রিস আলী (৬১) ও শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল (৬৪)।

    মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর রানা দাস গুপ্ত, তার সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিদের বিরুদ্ধে সাতটি অভিযোগ আনা হয়।

    ২০১৭ সালের ৩১ মে আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমলে নেওয়ার পর চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচারকাজ শুরু হয়। দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়া শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।

    আসামিদের বিরুদ্ধে সাত অভিযোগ

    অভিযোগ-১: ১৯৭১ সালের ২৬ মে ১৫-২০ জন রাজাকার ও ২৫-৩০ জন পাকিস্তানি দখলদার সেনাবাহিনীর সদস্যসহ বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ থানার চাপড়ী ও তেলিগাতীতে নিরীহ নিরস্ত্র মুক্তিকামী মানুষদের ওপর অবৈধভাবে হামলা চালিয়ে ৪০-৫০টি বাড়ির মালামাল লুণ্ঠন করে, বাড়িঘর অগ্নিসংযোগে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে, দুইজন নিরীহ নিরস্ত্র মানুষকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুরুতর জখম করে এবং ১০ জন নিরীহ নিরস্ত্র স্বাধীনতার পক্ষের মানুষকে গুলি করে হত্যা করে।

    অভিযোগ-২: ১৯৭১ সালের ৭ জুলাই আসামিরা বাগেরহাটের কচুয়া থানার হাজরাখালী ও বৈখালী রামনগরে হামলা চালিয়ে অবৈধভাবে নিরীহ নিরস্ত্র স্বাধীনতার পক্ষের চার লোককে আটক ও অপহরণ করে আবাদের খালের ব্রিজে হত্যা করে লাশ খালে ফেলে দেয়।

    অভিযোগ-৩: ১৯৭১ সালের ১৩ নভেম্বর বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ থানার ঢুলিগাতী গ্রামে হামলা চালিয়ে দুইজন নিরস্ত্র বীর মুক্তিযোদ্ধাকে অবৈধ আটক, নির্যাতন ও গুলি করে হত্যা করে।

    অভিযোগ-৪: ১৯৭১ সালের ১৭ নভেম্বর বাগেরহাটের কচুয়া থানার বিলকুল ও বিছট গ্রামে হামলা চালিয়ে চারজন নিরীহ নিরস্ত্র স্বাধীনতার পক্ষের লোককে আটক ও অপহরণ করে কাঠালতলা ব্রিজে এনে নির্যাতনের পর গুলি করে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়।

    অভিযোগ-৫: ১৯৭১ সালের ৩০ নভেম্বর বাগেরহাটের কচুয়া থানাধীন বিলকুল গ্রাম থেকে নিরস্ত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আলী নকীবকে অন্যায় আটক ও অপহরণ করে মোড়েলগঞ্জ থানার দৈবজ্ঞহাটির গরুর হাঁটির ব্রিজের ওপরে নিয়ে নির্যাতনের পর গুলি করে হত্যা করে।

    অভিযোগ-৬: ১৯৭১ সালের ১৬ অক্টোবর বাগেরহাটের কচুয়া থানাধীন উদানখালী গ্রামে হামলা চালিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের নিরীহ নিরস্ত্র উকিল উদ্দিন মাঝিকে অবৈধভাবে আটক করে হত্যা করে এবং তার মেয়ে তাসলিমাকে অবৈধভাবে আটক ও অপহরণ করে কচুয়া রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে আসে। কচুয়া রাজাকার ক্যাম্প ও আশেপাশের রাজাকার ক্যাম্পে দীর্ঘদিন অবৈধভাবে সলিমাসহ চারজনকে আটকিয়ে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ১৬ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ দখলদার মুক্ত হলে মুক্তিযোদ্ধারা রাজাকার ক্যাম্প তল্লাশি করে ভিকটিম তাসলিমাকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে পৌঁছে দেন।

    অভিযোগ-৭: বাগেরহাটের কচুয়া থানার গজালিয়া বাজারে হামলা চালিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরীহ নিরস্ত্র শ্রীধাম কর্মকার ও তার স্ত্রী কমলা রানি কর্মকারকে অবৈধভাবে আটক করে নির্যাতন করতে থাকে। আসামিরা শ্রীধাম কর্মকারকে হত্যা করে কমলা রানি কর্মকারকে অপহরণ করে কচুয়া রাজাকার ক্যাম্পে এনে আটকে রাখে।

  • বাগেরহাটে টি কে গ্রুপের কারখানায় আগুন

    বাগেরহাটে টি কে গ্রুপের কারখানায় আগুন

    বাগেরহাট সদর উপজেলার যাত্রাপুর এলাকার ভৈরব নদীর পাশে টি কে গ্রুপের একটি কারখানায় আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট।

    তবে কী কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয় তাৎক্ষণিক বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। সবশেষ এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

    রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের সহকারী উপপরিচালক মো. গোলাম সরোয়ার।

    তিনি জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এলাকাবাসীর সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার করছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তবে কী কারণে আগুন লেগেছে, সে বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না। আর কারখানার ভেতরে একটি বয়লার রয়েছে, সেটি বিস্ফোরিত হয়ে আগুন লেগেছে কিনা সেটিও এখন বলা যাচ্ছে না।

    তিনি আরও জানান, টি কে গ্রুপের ওই কারখানার আশপাশে বেশকিছু জ্বালানি কাঠ রয়েছে। এত আগুন নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

    এন-কে

  • বাগেরহাটে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

    বাগেরহাটে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

    বাগেরহাটের মোল্লাহাটে বজ্রপাতে প্রকাশ বিশ্বাস (৩৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১১ আগস্ট) দুপুরে মোল্লাহাট উপজেলার জয়ডিহি খালের মাথা এলাকায় মৎস্য ঘেরে কাজ করার সময় বজ্রপাতে নিহত হয় সে। নিহত প্রকাশ বিশ্বাস মুণজিলা গ্রামের বিনয় বিশ্বাসের ছেলে।

    কোদালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম জানান, সকালে স্ত্রীকে নিয়ে মৎস্য ঘেরে কাজ করতে যায় প্রকাশ বিশ্বাস। দুপুরে বৃষ্টির সময় স্ত্রী ঘেরের বাসায় আশ্রয় নিলেও প্রকাশ কাজ করছিল। হঠাৎ বজ্রপাতে অজ্ঞান হয়ে পড়েন প্রকাশ বিশ্বাস। পরে প্রকাশকে উদ্ধার করে  মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

    মোল্লাহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ওয়াহিদ হোসেন বলেন, বজ্রপাতে মোল্লাহাটে এবছর কয়েকটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বৃষ্টি এবং মেঘ ডাকলে মানুষকে নিরাপদে আশ্রয় গ্রহণের পরামর্শ দেন তিনি।

    এন-কে

  • স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ গুমের চেষ্টা, পুলিশ সদস্য আটক

    স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ গুমের চেষ্টা, পুলিশ সদস্য আটক

    বাগেরহাটের শরণখোলায় স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে সাদ্দাম হোসেন নামের এক পুলিশ সদস্যকে আটক করা হয়েছে।

    নিহতের নাম জ্যোৎস্না বেগম (৩৫)। তিনি ঘাতক সাদ্দাম হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন।

    পারিবারিক কলহের জেরে বৃহস্পতিবার রাতে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

    নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

    প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, পুলিশ সদস্য সাদ্দাম দুই বিয়ে করেছেন। প্রথম স্ত্রী সাতক্ষীরায় সাদ্দামের বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকেন। আর দ্বিতীয় স্ত্রী জ্যোৎস্নাকে নিয়ে শরণখোলায় থাকতেন তিনি।

    তাদের ভাষ্যমতে, জ্যোৎস্নার আগে আরও একটি বিয়ে হয়েছিল। সেই ঘরের ৬ বছরের একটি সন্তানসহ তাকে বিয়ে করেন সাদ্দাম। ৬ মাস আগে জ্যোৎস্না অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এরপর থেকেই আগের ঘরের সন্তান নিয়ে জ্যোৎস্নার সঙ্গে ঝগড়া হতো সাদ্দামের।

    বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় বলেন, পারিবারিক কলহের কারণে সাদ্দাম হোসেন তার স্ত্রীকে হত্যা করতে পারে বলে ধারণা করছি। আমরা তাকে গ্রেফতার করেছি। হত্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।

    শরণখোলা থানার ওসি সাইদুর রহমান যুগান্তরকে জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে সাদ্দাম তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে লাশ পলিথিনে মুড়িয়ে বস্তায় ভরে লুকিয়ে রাখে। ওই রাতেই খবর পেয়ে পুলিশ শরণখোলার তাফালবাড়ি বাজার এলাকার মামুন ভিলায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে সাদ্দামকে আটকের পর পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে বস্তাবন্দি জ্যোৎস্নার লাশ উদ্ধার করা হয়।

    তিনি বলেন, সাদ্দাম হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন জ্যোৎস্না। স্ত্রী ও তার ৬ বছরের ছেলেসন্তানকে নিয়ে ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি।

    সাদ্দাম হোসেন শরণখোলা উপজেলার তাফালবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। তিনি সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার বড়ধাল গ্রামের আবদুল লতিফ গাজীর ছেলে।

    ওসি সাইদুর রহমান আরও বলেন, সাদ্দাম হোসেন সন্তানসহ স্বামী পরিত্যক্তা জ্যোৎস্নাকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করেন। জ্যোৎস্নার সন্তানসহ সাদ্দাম হোসেন শরণখোলার তাফালবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িসংলগ্ন মামুন ভিলায় ভাড়ায় থাকতেন।

    তিনি বলেন, নিহত জ্যোৎস্না ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তার বাড়ি খুলনার রূপসা উপজেলায়। জ্যোৎস্নার আগের ঘরের সন্তান নিয়ে কলহের জের ধরে তাকে হত্যা করেছে বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাদ্দাম স্বীকার করেছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • রামপালে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নিহত

    রামপালে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নিহত

    বাগেরহাটের রামপালে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল ওরফে মিনা কামাল (৫০) নিহত হয়েছেন।

    বৃহস্পতিবার ভোরে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ডাইভারসনের ভেকটমারী এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

    নিহত মোস্তফা কামাল খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার নৈহাটী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। তার বাড়ি রূপসার নৈহাটির রাগমারা গ্রামে।

    অবৈধ মাদক ব্যবসার ঘটনা কেন্দ্র করে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিনি নিহত হয়েছেন বলে রামপাল পুলিশ জানিয়েছে।

    রামপাল ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, ভোরে রামপালের ভেকটমারী এলাকায় র‌্যাব ৬-এর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিনি গুলিবিদ্ধ হন।

    পরে তাকে রামপাল উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠায়। তার শরীরে একাধিক গুলির চিহ্ন রয়েছে।

    তবে র‌্যাবের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠনিকভাবে এখনও কোনো তথ্য জানানো হয়নি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • বাগেরহাটে বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৫

    বাগেরহাটে বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৫

    বাগেরহাটের ফকিরহাটে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ জন।

    আজ শনিবার (১৪ মার্চ) বিকেলে ফকিরহাট উপজেলার কাকডাঙ্গা এলাকায় বাগেরহাট-মাওয়া মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ মো. খায়রুল আনাম দুর্ঘটনার খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, আজ বিকেল ৪টার দিকে খুলনা থেকে বরিশালগামী রাজিব পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও দুজন মারা যায়।

    নিহত পাঁচজনের মধ্যে তিনজন পুরুষ, একজন নারী ও একজন শিশু রয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিক তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

    ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বাগেরহাট কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক গোলাম সরোয়ার বলেন, আহতদের মধ্যে তিনজনকে এরই মধ্যে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

  • সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেন আর নেই

    সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেন আর নেই

    বাগেরহাট, ১০ জানুয়ারি- বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. মো. মোজাম্মেল হোসেন আর নেই (ইন্নানিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

    বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দিনগত রাত সাড়ে ১২টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।

    এমপি মোজাম্মেল হোসেনের একমাত্র ছেলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাহামুদ হোসেন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

    ডা. মোজাম্মেল হোসেন বাগেরহাট-৪ আসন থেকে ১৯৯৬, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের টিকিট পেয়ে সংসদ সদস্য হন। এর আগে ১৯৯১ সালে তিনি বাগেরহাট-১ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

    ৯৬ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভায় ডা. মোজাম্মেল হোসেন শিশু, মহিলা ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দ্বায়িত্ব পালন করেন। প্রবীণ এই সফল রাজনীতিবিদ ১৯৮৪ সাল থেকে প্রায় ৪০ বছর বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এর আগে ১৯৭৯ সালে বাগেরহাট মহাকুমা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন ডা. মোজাম্মেল হোসেন। ১৯৪০ সালের ১ আগস্ট ডা. মোজাম্মেল হোসেন জন্মগ্রহণ করেন।

    শুক্রবার সকাল ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে বাগেরহাটে। সেখানে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে।