Tag: বাজেট ঘোষণা

  • চবিতে ৪০৫ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

    চবিতে ৪০৫ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪০৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকার বাজেট পেশ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫তম বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে এ বাজেট পেশ হয়। এতে মোট বাজেটের বিপরীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাপ্তি ৩৯৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।

    রোববার (৩০ জুলাই) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য সম্মেলন কক্ষে শুরু হয় সিনেট অধিবেশন। বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ও সিনেট সভাপতি অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের সভাপতিত্বে বাজেট পেশ করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ও সিনেট সদস্য সচিব কে এম নূর আহমদ।

    বরাবরের মতো এবারের বাজেটেও সর্বোচ্চ বরাদ্দ বেতন-ভাতা খাতে। এবছর অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে বেতন-ভাতা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৫১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ৬২ শতাংশ। এছাড়া পেনশনের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৬২ কোটি ৩৬ লাখ। সর্বমোট ৩১৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা যাবে বেতন ভাতা ও পেনশন খাতে। যা মোট বাজেটের ৭৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

    এবারের বাজেটে বরাদ্দের পরিমাণ বেড়েছে গবেষণায়। এ খাতে বরাদ্দ ৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ২ দশমিক ১০ শতাংশ। তবে গত বছরের তুলনায় গবেষণায় এবার ২ কোটি টাকা বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট বাজেটের বিপরীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৩৯৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। ঘাটতি বাজেট রয়েছে ৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা। একইসঙ্গে গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট ৩৯৬ কোটি ৫ লাখ টাকা সিনেট সভায় অনুমোদন করা হয়।

  • ১৮৮৭ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করলেন চসিক মেয়র

    ১৮৮৭ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করলেন চসিক মেয়র

    এক হাজার আটশ ৮৭ কোটি ২৮ লক্ষ টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করেছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। বুধবার আন্দরকিল্লাস্থ পুরাতন নগর ভবনের কে. বি. আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেন মেয়র।

    এদিন ২০২২-২৩ সালের এক হাজার ১৭৬ কোটি ২৮ লক্ষ ১০ হাজার টাকার সংশোধিত বাজেট পাশ হয় চসিকের বিশেষ সাধারণ সভায়। এ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ছিল ২ হাজার ১৬১ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

    সভায় চট্টগ্রামের বহুল আকাক্সিক্ষত আডাই হাজার কোািট টাকার প্রকল্পের বিষয়ে মেয়র জানান, প্রকল্পটির আওতায় ৭৪টি উপ-প্রকল্পে প্রায় ৪৩০ কোটি টাকার অধিক দরপত্র আহŸান করা হয় এবং কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। ইতোমধ্যে ৩৯টি দরপত্রের মূল্যায়ন চলমান। প্রকল্পটির অধীনে নিয়োজিত কনসালট্যান্টের মাধ্যমে কাজগুলো নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে।

    চসিকের কার্যক্রমকে স্মার্ট করতে কাজ চলমান জানিয়ে মেয়র বলেন, ডিজিটাল নথি (ডি-নথি) ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)এর সহযোগিতায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অর্গানোগ্রাম অনুসারে নথি ব্যবস্থাপনার সাথে যুক্ত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অ্যাকাউন্ট (ডি-নথি অ্যাকাউন্ট) খোলা হয়েছে। সচিবালয় বিভাগের অধিকাংশ ফাইল ডি-নথির মাধ্যমে নিষ্পত্তির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ডি-নথি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালাও চলমান রয়েছে। দ্রæততম সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সকল বিভাগের নথি ডি-নথি সিস্টেমের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে। এ ছাড়াও নগরে ৪১টি ওয়ার্ড কার্যালয় হতে প্রদত্ত সকল ধরনের সনদপত্র বা প্রত্যয়নপত্র অনলাইনের মাধ্যমে প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

    “যান্ত্রিক শাখার সকল ধরনের কার্যক্রম সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে পরিচালনার লক্ষ্যে ট্রান্সপোর্ট পুল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রণয়ন করা হয়েছে। এই সফ্টওয়ারের মাধ্যমে বিদ্যমান গাড়িসমূহের সকল ধরনের তথ্য সন্নিবেশ করা হয়েছে। ইতোপূর্বে প্রণীত স্টোর ম্যানেজমেন্ট ও ফুয়েল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের সাথে এ সফ্্টওয়্যারের সাথে ইন্টিগ্রেশন করা হয়েছে। এ ছাড়া সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা সফ্্টওয়্যার উন্নয়ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।”

    গৃহকর প্রসঙ্গে মেয়র বলেনন, করদাতাদের নানাবিধ ও অর্থনৈতিক সমস্যা বিবেচনায় ধার্যকৃত মূল্যায়নের ওপর আপত্তি নিষ্পত্তির জন্য ৬টি রিভিউ বোর্ড গঠন করা হয়। উক্ত রিভিউ বোর্ডে আমি নিজে উপস্থিত হয়ে গণ-শুনানির মাধ্যমে করদাতাদের চাহিদামতো সহনীয় পর্যায়ে কর মূল্যায়ন করায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে করদাতারা আগ্রহ নিয়ে আপিল শুনানিতে অংশগ্রহণ করেছেন এবং নিয়মিত পৌরকর পরিশোধ করছেন। এতে নগরবাসীর গৃহকর নিয়ে যে অসন্তোষ ছিল তা প্রশমিত হয়েছে।

    সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশনে বাজেট বিবরণী উপস্থাপন করেন অর্থ ও সংস্থাপন বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মো. ইসমাইল ।

    বাজেট সভায় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, অর্থ ও সংস্থাপন স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাইল, কাউন্সিলরবৃন্দ এবং চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরসহ চসিকের বিভাগ ও শাখা প্রধানবৃন্দ।

    বাজেট সভার পর চসিকের ৬ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ২৯তম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কোরবনির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং জলাবদ্ধতা আলোচনায় প্রাধান্য পায়।

  • ৬ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা আজ

    ৬ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা আজ

    করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলা ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে আজ (৩ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি মোট জিডিপির ১৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

    দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ঘাটতি বাজেট হতে যাচ্ছে ৫০তম এ বাজেট। আলোচিত এই বাজেটে অনুদানসহ ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ১১ হাজার ১৯১ কোটি টাকা। যা জিডিপির ৬ দশমিক ১ শতাংশ। অনুদান বাদ দিলে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা।

    আসন্ন ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটের আকার হচ্ছে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ১৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এটি চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ৬৪ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা বেশি।

    বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদে এ বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। প্রস্তাবিত বাজেটের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘জীবন ও জীবিকার প্রাধান্য, আগামীর বাংলাদেশ’।

    একাদশ জাতীয় সংসদের ত্রয়োদশ (বাজেট) অধিবেশনে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন হবে। করোনাকালের দ্বিতীয় এই বাজেট অধিবেশনও সংক্ষিপ্ত হবে বলে জানা গেছে।

    মহামারি করোনার ধাক্কা সামলাতে এবারের বাজেটে আয়ের দিকে বেশি নজর দিচ্ছে সরকার। সেজন্য বাজেটে মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৯২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। যা জিডিপির ১১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৩৬ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা বেশি।

    চলতি অর্থবছরে এ আয়ের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৫১৭ কোটি টাকা। যদিও বাজেটে মূল লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ৮২ হাজার ১৩ কোটি টাকা। আয়ের মধ্যে রাজস্ব খাত থেকে আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা এবং বৈদেশিক অনুদান নেওয়া হবে ৩ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা।

    বাজেট প্রসঙ্গে সম্প্রতি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, দেশের সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের বাঁচানোর লক্ষ্য নিয়েই ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট দেওয়া হবে। এ বাজেটে সবার স্বার্থ সংরক্ষণ করা হবে। পাশাপাশি পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক মানুষকে সঙ্গে রাখা হবে। আগামী বছর একই ধারা থাকবে। আর রাজস্ব আহরণ কম হলে ব্যয় কমাতে হয়। পাশাপাশি প্রশাসনিক অদক্ষতা ও জবাবদিহিতার অভাবে যে বরাদ্দ দেওয়া হয়, সেটিও ব্যয় করা যাচ্ছে না।

    রাজস্ব আয়

    আগামী অর্থবছরে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য পূরণে কর খাত থেকে মোট আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নিয়ন্ত্রিত কর ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা এবং এনবিআরবহির্ভূত কর হচ্ছে ১৬ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া কর ছাড়া প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৪৩ হাজার কোটি টাকা। আর বৈদেশিক অনুদান থেকে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৩ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। বাজেটে মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৯২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা।

    বাজেটে ব্যয়

    বড় বাজেটের ব্যয়ের খাতগুলোর মধ্যে সরকারের পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৬১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। যা জিডিপির ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এর মধ্যে আবর্তক ব্যয় ৩ লাখ ২৮ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। যার মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ হিসেবে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬২ হাজার কোটি টাকা এবং বৈদেশিক ঋণের সুদ ৬ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা। এছাড়া উন্নয়ন ব্যয় ২ লাখ ৩৭ হাজার ৭৮ কোটি টাকা, ঋণ ও অগ্রিম ৪ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা এবং খাদ্য হিসাবে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯৭ কোটি টাকা।

    ঘাটতি বাজেট

    আয় ও ব্যয়ের মধ্যে ব্যবধান বেড়ে যাওয়ায় আগামী বাজেটে ঘাটতির পরিমাণও অনেক বেড়েছে। আগামী বছর অনুদানসহ ঘাটতির পরিমাণ ৬ দশমিক ১ শতাংশ চূড়ান্ত করা হয়েছে। টাকার অংকে ২ লাখ ১১ হাজার ১৯১ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ হচ্ছে ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। যা জিডিপির ৬ দশমিক ২ শতাংশ। যেখানে চলতি অর্থবছরে অনুদানসহ ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৮৫ হাজার ৯৮৭ কোটি টাকা। যা জিডিপির ৫.৯ শতাংশ। আর চলতি অর্থবছরে অনুদান ব্যতীত সামগ্রিক ঘাটতি ছিল ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। যা জিডিপির ৬ শতাংশ।

    ঘাটতি সংস্থানে ঋণ

    বড় বাজেটের বড় ঘাটতি পূরণ করা হবে ঋণের মাধ্যমে। যদিও করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে বিভিন্ন দাতা সংস্থা বাংলাদেশকে সহায়তা করছে। যা বাজেটের হিসাবেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাজেট সহায়তা হিসাবে আগামী বাজেট ঘাটতি পূরণে অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ঋণ নেওয়া হবে ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংকিং খাত থেকে নেওয়া হবে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। যদিও চলতি অর্থবছরের তুলনায় ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা কমেছে। চলতি অর্থবছরে ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৯ হাজার ৭৪৯ কোটি টাকা। এছাড়া সঞ্চয়পত্র থেকে ৩২ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে নেওয়া হবে ৫ হাজার ১ কোটি টাকা। পাশাপাশি

    বিদেশি ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯৭ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। ঋণের বিপরীতে সুদ পরিশোধ করতে হয়। এজন্য আগামী অর্থবছরে সুদ খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৬৭ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা।

    আগামী বাজেটে আটটি খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে করোনা নিয়ন্ত্রণে অর্থায়ন ও স্বাস্থ্য খাতে অতিরিক্ত বরাদ্দ নিশ্চিত, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও সামাজিক নিরাপত্তার আওতা সম্প্রসারণ করা। এছাড়া প্রণোদনা প্যাকেজ সফলভাবে বাস্তবায়ন, নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে স্বল্প ও বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণ, অধিক খাদ্য উৎপাদনে কৃষিতে গুরুত্ব এবং মানবসম্পদ উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

  • চবিতে ২০-২১ অর্থবছরে ৩৪৬ কোটি টাকা বাজেট ঘোষণা

    চবিতে ২০-২১ অর্থবছরে ৩৪৬ কোটি টাকা বাজেট ঘোষণা

    মেহেদী হাসান, চবি প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ২০২০-২১ অর্থবছরের ৩৪৬ কোটি ৩০ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।

    রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ৩২ তম সিনেট সভায় এ বাজেট ঘোষণা করা হয়।

    সিনেট সভার সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরিণ আখতার। এসময় বাজেট উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান।

    এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত), সিনেট সদস্যবৃন্দ, সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

    প্রতি বছরের মতো এবারও সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা হয়েছে বেতন ভাতা খাতে। এখাতে বরাদ্দের পরিমাণ ২২২ কোটি ২০ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ৬৪ দশমিক ১৬ শতাংশ। তাছাড়া গবেষণায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪ কোটি ২০ লক্ষ টাকা, যা মোট বাজেটের ১ দশমিক ২১ শতাংশ। পণ্য ও সেবা বাবদ সহায়তা হিসেবে ৬০ কোটি ৯০ লাখ ও পেনশন ও অবসর সুবিধা হিসেবে ৫০ লাখ টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এদিকে পরিবহন খাতে ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা ও ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্স অ্যান্ড ফিশারিজ এর গবেষণা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির খাতে ২ কোটি ৪১ লাখ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। চিকিৎসা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫৬ লাখ টাকা।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৪১ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা চাহিদার বিপরীতে ৩৪৬ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। যার মধ্যে ৩২৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা দেবে ইউজিসি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাব্য নিজস্ব আয় থেকে পাওয়া যাবে ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ঘাটতি রয়েছে ৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর