Tag: বাণিজ্যমন্ত্রী

  • আমার এলাকার মানুষ কষ্টে নেই, নারীরা দিনে তিনবার লিপস্টিক লাগাচ্ছে: বাণিজ্যমন্ত্রী

    আমার এলাকার মানুষ কষ্টে নেই, নারীরা দিনে তিনবার লিপস্টিক লাগাচ্ছে: বাণিজ্যমন্ত্রী

    দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেও তার নির্বাচনি এলাকার মানুষ কষ্টে নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এর সঙ্গে তিনি যোগ করেন, তার এলাকার নারীরা দিনে তিনবার ঠোঁটে লিপস্টিক লাগাচ্ছেন। চারবার করে স্যান্ডেল বদলাচ্ছেন।

    রাজধানীর সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বুধবার দুপুরে ন্যাশনাল ট্যারিফ পলিসি মনিটরিং ও রিভিউ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

    বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সারা দেশের অবস্থাটা ভিন্ন। শহরের যারা দিনমজুর, নিম্নশ্রেণির তাদের খুব কষ্ট হচ্ছে।

    নিজের নির্বাচনি এলাকার মানুষের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আজ থেকে ২০ বছর আগে আমার এলাকায় ১০টা মোটরসাইকেল ছিল। তখন আমি প্রথম নির্বাচন করি। আজ সেখানে হাজার হাজার মোটরসাইকেল। আমার এলাকা আলুভিত্তিক, কৃষিভিত্তিক। সেখানে মানুষের কোনো কষ্ট নেই। সেখানকার নারীরা দিনে তিনবার করে লিপস্টিক লাগাচ্ছে। চারবার করে স্যান্ডেল বদলাচ্ছে। আমি খুব ভালো জানি আমার এলাকার মানুষের কোনো সমস্যা নেই।

    একজন সাংবাদিক মন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। এই প্রভাব কাটানো কী সম্ভব হবে? এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এই প্রভাব কাটানো সম্ভব হবে, যদি আপনারা ইতিবাচক হন। বৈশ্বিক পরিস্থিতিসহ সার্বিক কারণে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। কাজেই এটিকে বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচনে প্রভাব ফেলা ঠিক হবে না। এটা নির্ভর করে আপনারা কতটুকু ইতিবাচক হবেন, তার ওপর।

    সারাদেশের মানুষ নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে নাভিশ্বাসে রয়েছে, এমতাবস্থায় আপনাদের তো এলাকায় গিয়ে ভোট চাইতে হবে— এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ধরেন, আমার এলাকা, আমার এলাকার মানুষের কষ্ট নেই। কারণ তারা আলুর দাম পাচ্ছে। আমাদের তো কৃষিভিত্তিক এলাকা। একেকটা এলাকা একেক রকম। ঢাকা শহরে যে নির্বাচন করবে, তার অনেক সমস্যা।

    গার্মেন্ট শ্রমিকদের আন্দোলন নিয়ে টিপু মুনশি বলেন, গতকাল গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর তাদের কয়েকটি সংগঠনের নেতারা অসন্তোষ প্রকাশ করে শুক্রবার নতুন করে সমাবেশের ডাক দিয়েছে। একশ ভাগ শান্তি ঠিক রাখা যায় না। কেউ খুশি হবেন, কেউ অখুশি হবেন। যারা খুশি না, তারা যদি ২০ হাজার টাকা বেতন পেতেন, তাহলে তারা খুশি হতেন। আমাদের একটি জায়গায় আসতে হবে, যেখানে দুপক্ষই রক্ষা হয়। সেখানে ১০০ ভাগ সন্তুষ্ট করা যায় না।

    গার্মেন্ট শ্রমিকদের বেতনই কেবল বাড়ানো হয়নি, তাদের বেসিকের অ্যামাউন্টও বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা জানেন, সাড়ে ১২ হাজার টাকা বেতনের সঙ্গে দিনে যদি দুই ঘণ্টা ওভার টাইম করে, একটা হাজিরা বোনাস পায় তারা, কাজেই যার বেতন সাড়ে ১২ হাজার টাকা, সে কিন্তু ষোলো থেকে সতেরো হাজার টাকা তুলবে। এই কথাটা সাধারণভাবে জানা যায় না।

    এরপর প্রত্যেককে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তাতে মাসে অন্তত ৫০০ টাকা সাশ্রয় হবে।

  • খাদ্যপণ্যের দাম আপাতত কমার সুযোগ নেই: বাণিজ্যমন্ত্রী

    খাদ্যপণ্যের দাম আপাতত কমার সুযোগ নেই: বাণিজ্যমন্ত্রী

    বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, রবি মৌসুমের ফসল ঘরে না আসা পর্যন্ত খাদ্যপণ্যের দাম আপাতত কমার কোনো সুযোগ নেই। আগামী বছরের শুরুতেই সব সংকট কাটিয়ে স্বাভাবিক হবে নিত্যপণ্যের বাজার।

    বৃহস্পতিবার বিকেলে রংপুর নগরীর লেকভিউ পার্কের নিজ বাসভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

    বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম নির্ধারণ করলেও তা ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। পেঁয়াজ আমদানিতে ভারত ৪০ শতাংশ ট্যাক্স বৃদ্ধি করায় ঢাকার বাজারে পেঁয়াজ আসার পর ৬০ থেকে ৬৫ টাকা বিক্রি হয়। গোটা দেশে বেড়েছে এখন পেঁয়াজের দাম। মাঝখানে পেঁয়াজের আইপি না থাকায় বন্ধ রাখা হয়েছিল ইমপোর্ট। এর ফলে দেশীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়ে যায়, তৈরি হয় সংকট। তবে আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কমে আসবে।

    আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার চেষ্টা করছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সারাদেশের কোল্ডস্টোরেজে কত আলু আছে, সেগুলো পর্যালোচনা করে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। তবে আগাম আলু বাজারে আসলেই দাম কমে আসবে। তাছাড়া আমদানি কমে যাওয়ায় কিছু খাদ্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সুপরিকল্পনা রয়েছে, মন্ত্রণালয়ের চেষ্টাও আছে। বিশ্বমন্দা অর্থনীতিতে কম বেশি সব দেশেই প্রভাব পড়েছে, সে দিক থেকে বাংলাদেশ অনেক ভালো অবস্থানে আছে বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

    এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য তুহিন চৌধুরী, ওয়াসিমুল বারী শিমু, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রনিসহ অন্যান্য আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

  • বিক্রেতাদের ঠকালে কাঁচা চামড়া রপ্তানির অনুমতি দিয়ে দেব: বাণিজ্যমন্ত্রী

    বিক্রেতাদের ঠকালে কাঁচা চামড়া রপ্তানির অনুমতি দিয়ে দেব: বাণিজ্যমন্ত্রী

    বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এমপি বলেছেন, ট্যানারি মালিকদের বলেছি চামড়া বিক্রেতাদের ঠকালে কাঁচা চামড়া রপ্তানির অনুমতি দিয়ে দেব। সরকার চামড়া ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙার চেষ্টা করছে। এজন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, পুলিশ প্রশাসন সবাই এক সাথে কাজ করছে। বুধবার (২৮ জুন) দুপুরে রংপুর নগরীর সাগরপাড়স্থ তার নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

    বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যারা কোরবানি দেয় তারা মূলত এই চামড়া বিক্রি করে না। কোরবানির চামড়া সাহায্য হিসেবে মাদ্রাসা, এতিমখানায় দেওয়া হয়। তারা যেন চামড়ার ন্যায্য মূল্য পায় সেজন্য আমরা ঢাকায় এক সপ্তাহ চামড়া ঢোকা বন্ধ করে দিয়েছি। তাই বাধ্য হয়ে তারা লবন লাগিয়ে ৭-৮ দিন চামড়া সংরক্ষণ করবেন।

    এতে করে ট্যানারি মালিকরা সুযোগটা নিতে পারবে না। এ বছর বড় গরুর চামড়া ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা করা হয়েছে। এখন সমস্যা হচ্ছে এতে প্রায় ২০০ টাকার লবন লাগাতে হবে।

    তিনি আরও বলেন, পাটজাত দ্রব্য রপ্তানির ক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা অ্যাম্বাসিগুলোতে শোকেজিং করা হচ্ছে।

    বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় আমাদের পাটজাত পণ্যগুলোর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। এছাড়া পলিথিন পরিবেশের জন্য খারাপ, তাই বৈশ্বিকভাবে পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বেড়েছে। আমরা আশা করছি দুই-তিন বছরের মধ্যে আমাদের দেশের রপ্তানি পণ্যের মধ্যে পাট দুই-তিন নম্বরে চলে আসবে।
    বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ওভারঅল জিনিষপত্রের দাম বেড়েছে। কিছুটা বৈশ্বিক কারণে, কিছুটা সুবিধাভোগী ব্যবসায়ীদের কারণে।

    সরকার জিনিষপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।

  • সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে সংকট তৈরি হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

    সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে সংকট তৈরি হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

    ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, এ কথা ঠিক যে বড় বড় গ্রুপগুলোই একসঙ্গে অনেক বেশি ব্যবসা করে। কিন্তু, একটা জিনিস মনে রাখা দরকার, জেলে ভরলাম, জরিমানা করলাম, সেটা হয়তো করা সম্ভব। কিন্তু, তাতে যে সংকটটা হঠাৎ করে তৈরি হয়, আমাদের তো সেটা সইতে কষ্ট হয়। আমরা চেষ্টা করি আলোচনার মাধ্যমে, নিয়মের মধ্যে থেকে কিছু করতে।

    সোমবার (২৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় খাতে ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় বিরোধী দলের সদস্যদের অভিযোগ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বার বার একটা কথা উঠে আসছে যে, আমি ব্যবসায়ী, ব্যবসায়ীরা আমার জন্য সুবিধা পাচ্ছেন। যারা এই কথাগুলো বলেছেন, তাদের উদ্দেশ্যে একটা কথা বলি। তাদের রাজনীতির কত বছরের অভিজ্ঞতা আমি জানি না, আমি কিন্তু ৫৬ বছর ধরে রাজনীতি করি। আমি কিন্তু ব্যবসা করি আজকে ৪০/৪২ বছর।

    তিনি বলেন, একজন তো বললেন আমাকে পদত্যাগ করতে। খুব ভালো কথা বলেছেন। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলব আমাকে ছেড়ে তাকে দায়িত্বটা দিতে পারেন। দাম বেড়েছে, আমাদের প্রধানমন্ত্রী কিন্তু বলেছেন মানুষ কষ্টে আছে। কারণটা কী? আমরা কি শুধু আমাদের জন্যই আমরা এই অবস্থায় এসেছি। না একটা বৈশ্বিক পরিস্থিতি আমাদের ওপর প্রভাব ফেলেছে। সেটাও কিন্তু আমাদের হিসাবের মধ্যে আনতে হবে।

    তিনি আরও বলেন, অনেকগুলো কথা বলা হয়েছে, যেমন জ্বালানির কথা আসছে, জ্বালানিটা আমি দেখি না। ডিম সেটা তো আমি খবর জানি না, ডিমের দাম বাড়া বা কমার বিষয়টি, যে মন্ত্রণালয় আছে, তারা ঠিক করে দেয়। দাম বেড়েছে কোনো সন্দেহ নেই। পেঁয়াজের কথা বলা হয়েছে। আমরা আলোচনা করে ঠিক করেছিলাম যাতে কৃষকরা একটু দাম পান। পেঁয়াজে আমাদের ৬ থেকে ৭ লাখ টন ঘাটতি আছে।

    মন্ত্রী বলেন, যদি কৃষকরা একটু ভালো মূল্য পান, তাহলে তারা উৎপাদনের দিকে মনোযোগী হবেন। এ কথা ঠিক যে, ৮০ টাকা বা ৯০ টাকা হওয়া যৌক্তিক নয়। আমরা চেষ্টা করেছি, আমদানির ব্যবস্থা করেছি, আমরা চাইছিলাম না পেঁয়াজটা আমদানি করতে। দেশেরটাই ব্যবহার করতে চেয়েছিলাম, যাতে মানুষ ন্যায্যমূল্য পায়। কিন্তু তারপরও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দাম বেড়ে গেছে, আমরা আমদানির ব্যবস্থা নিয়েছি, দাম কমতে শুরু করেছে।

    মন্ত্রী বলেন, আজ এত দুরবস্থার মধ্যেও কিন্তু আমরা ৫৮ বিলিয়ন রপ্তানি করেছি। গতবারের তুলনায় ৭ থেকে ৮ ভাগ বেশি হয়েছে। এত সংকটের মধ্যেও আমাদের রপ্তানির মান বেড়ে চলেছে, সেটা কিন্তু বলা দরকার। পেঁয়াজের দাম ১০-১৫ দিনের মধ্যে ৫০ টাকার মধ্যে চলে আসবে। আমরা মনে করি দেশি পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে থাকলে সব পক্ষের উপকার হয়।

  • রমজানে একসাথে বেশি পণ্য না কেনার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর

    রমজানে একসাথে বেশি পণ্য না কেনার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর

    রমজানে একসাথে বেশি পণ্য না কেনার আহবান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি। তিনি বলেছেন, আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ, মজুত ও বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার পর্যাপ্ত পদক্ষেপ গ্রণের অংশ হিসেবে তিনি এ আহ্বান জানান।

    বাণিজ্যমন্ত্রী আজ রোববার রংপুর ক্রিকেট গর্ডেনে রংপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্টিজ এর উদ্যোগে আয়োজিত মাসব্যাপী রংপুর শিল্প ও বাণিজ্য মেলা-২০২৩ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহহ্বান জানিয়েছেন।

    বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রমজানে কোন পণ্যের সংকট হবে না, মূল্যও বৃদ্ধি পাবে না। ভোক্তারা যদি একসাথে বেশি পণ্য ক্রয় না করেন, তবে বাজারে পণ্যের উপর বেশি চাপ পড়বেনা। তিনি বলেন, পবিত্র রমজান মাসকে কেন্দ্র করে বা স্বাভাবিক সময়ে কোন ব্যবসায়ী কোন ধরনের অবৈধ মজুদ করে কৃত্তিম সংকট সৃষ্টি করে এ সকল পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    তিনি বলেন, সরকার ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী সব ধরনের সহযোগিতা করছে।

    বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, উৎপাদন ব্যয়ের সাথে সম্বনয় করে করা হয়েছে, এতে অর্থনীতিতে কিছুটা প্রভাব পড়া স্বাভাবিক।

    তিনি বলেন, দেশের মানুষের জন্য ন্যায্যমূল্যে গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য নিশ্চিত করা চেষ্টা চলছে।

    রংপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাষ্ট্রিজ আয়োজিত মাসব্যাপী শিল্প ও বাণিজ্য মেলায় স্থানীয় ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মোট ১২০ টি স্টল রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত মেলা দর্শনাথীদের জন্য খোলা থাকবে।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রংপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্টিজ এর সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটুসহ অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডাঃ দেলোয়ার হোসেন, যুগ্ম-আহ্বায়ক আবুল কাশেম, প্রশাসন ও ব্যাবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

     

  • বাংলাদেশের চাহিদা মোতাবেক ৭টি নিত্য পণ্য রপ্তানি করবে ভারত : বাণিজ্যমন্ত্রী

    বাংলাদেশের চাহিদা মোতাবেক ৭টি নিত্য পণ্য রপ্তানি করবে ভারত : বাণিজ্যমন্ত্রী

    ভারত বাংলাদেশের বার্ষিক চাহিদা মোতাবেক চাল, গম, চিনি ও পেঁয়াজসহ ৭টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

    তিনি বলেন, ‘সম্ভাব্য খাদ্য সংকট মোকাবিলায় চাল, গম, চিনি ও পেঁয়াজসহ সাতটি নিত্যপণ্য আমদানির প্রধান সরবরাহকারি দেশ ভারতের কাছে বার্ষিক কোটা সুবিধা চাওয়া হয়েছে। আমাদের চাহিদা অনুযায়ী এই কোটা নির্ধারণে তারা সম্মত হয়েছে।’

    গত ২২-২৩ ডিসেম্বর ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যমন্ত্রী পর্যায়ের সভায় এ সুবিধা চাওয়া হয়। সভায় বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পিয়ুশ গয়াল নিজ নিজ সরকারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন।

    মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে টিপু মুনশি এ কথা জানান।

    বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সাত নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য আমদানিতে বার্ষিক কোটা সুবিধার ব্যাপারে ভারত বলেছে, যে পরিমাণ পণ্যের কথা আমরা উল্লেখ করেছি- বাংলাদেশ সেই পরিমাণ পণ্য ভারত থেকে আমদানি করে না। তাই আগামী দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে বাংলাদেশের প্রকৃত চাহিদা বা বার্ষিক কোটার সংখ্যা পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত করা হবে ।’

    তিনি বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি পণ্য পাটজাত সামগ্রীর উপর ২০১৭ সাল হতে আরোপিত অ্যান্টি-ডাম্পিং ডিউটি আর বহাল না রাখার জন্য ভারতকে অনুরোধ করা হয়েছে। তারা ডিউটি প্রত্যাহারের বিষয়ে সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছে।

    সভায় প্রস্তাবিত বাংলাদেশ-ভারত কম্প্রেহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সেপা) নামে বাণিজ্য চুক্তি স্বল্পতম সময়ের মধ্যে সম্পাদনের ব্যাপারে উভয় দেশ একমত হয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন করা যাবে।

    টিপু মুনশি আরও বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশ দুই দেশ নিজস্ব মুদ্রায় আমদানি-রপ্তানি বা কারেন্সি সোয়াপ করতে পারে কিনা সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে বিষয়টি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। কারণ কারেন্সি সোয়পের ফলে বাংলাদেশ কী পরিমাণ সুবিধা পাবে তা আগে দেখা হবে।’
    এছাড়া ভারতের পক্ষ হতে করোনার কারণে বন্ধ থাকা বর্ডার হাটসমূহ পুনরায় চালু করার বিষয়টি উপস্থাপন করা হলে শিগগির সেগুলো চালুর কার্যক্রম এরই মধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে মর্মে বাংলাদেশের পক্ষ হতে অবহিত করা হয়।

    টিপু মুনশি জানান, উভয় দেশ ১০টি বর্ডার হাট চালুর ব্যাপারে একমত হয়েছে। বর্তমানে তিনটি বর্ডার হাট চালু আছে, খুব শিগগিরই আরও একটি হাট চালু হবে।
    সফরকালে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী ছাড়াও সেদেশের অর্থমন্ত্রী শ্রীমতি নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।

    সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) নূর মো. মাহবুবুল হক, ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিম খান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

  • কৃষি মন্ত্রণালয় পজিটিভ হলে ডিম আমদানি : বাণিজ্যমন্ত্রী

    কৃষি মন্ত্রণালয় পজিটিভ হলে ডিম আমদানি : বাণিজ্যমন্ত্রী

    বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, কৃষি মন্ত্রণালয় পজিটিভ হলে ডিম আমদানি করা হবে। দাম নির্ধারণ হবে আলোচনার মাধ্যমে। ভারত থেকে ডিম আমদানি করে কম মূল্যে ভোক্তাদের দেওয়ার পক্ষে আমি। আজই কৃষি মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন পণ্যের দাম নির্ধারণ বিষয়ে কাগজ পাঠাব। তবে কৃষকদের স্বার্থের বিষয়টিও দেখতে হবে।

    তিনি বলেন, আমাদেরকে ভোক্তা ও কৃষক উভয়কেই দেখতে হবে। যথেষ্ট হিমাগার না থাকায় অনেক পেঁয়াজ পচে যায়। ফলে সেপ্টেম্বরে আমাদের পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। সেপ্টেম্বরে পেঁয়াজ উৎপাদন করার চিন্তা করা হচ্ছে।

    শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ মিলনায়তনে ‘মিট দ্য ওকাব উইথ টিপু মুনশি’ শীর্ষক আলোচনায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন টিপু মুনশি।

    তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গির কারণে আমরা চীন থেকে কিছুটা সরে আসছি। তারপরও আমাদের আমদানিতে চীন-ভারতের ওপর নির্ভরতা আছে। মূলত আমাদের ইন্ডাস্ট্রি তৈরি না হওয়া পর্যন্ত এই নির্ভরশীলতা থাকবে। বৈশ্বিক চাওয়া মেন মেইড ফাইবার আমাদের নেই। তাই বিদেশ থেকে আনতে হচ্ছে। সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।

    মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা যে যাবে না, তা এখন বুঝা যাচ্ছে। যদিও প্রথমে তাদের মানবিক কারণে জায়গা দেওয়া হয়েছিল। রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার মাধ্যমেই মিয়ানমারের সঙ্গে বানিজ্যক সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে। মিয়ানমারে কিছু গার্মেন্টস বন্ধ হওয়ায় আমাদের রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

    সেপা চুক্তি নিয়ে টিপু মুনশি বলেন, ডিসেম্বর নাগাদ দুই পক্ষ বসে ভারতের সঙ্গে সেপা চুক্তির বিষয়ে সমাধান করা হবে। ইন্দোনেশিয়াসহ কয়েকটি দেশের সঙ্গে পিটিএ-এফটিএ চুক্তি করার চেষ্টা চলছে।

    তিনি বলেন, মানবাধিকার নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ থাকলেও তা আমাদের বাণিজ্যে প্রভাব ফেলবে না। গতবারের তুলনায় এবার ২০ শতাংশ বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
    মন্ত্রী আরও বলেন, ডলারের মূল্যের বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা চাই রেডিমেড গার্মেন্টস তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখুক। পাশাপাশি আইসিটি ও চামড়া খাতে উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছি। ১০টি আইটেমের উৎপাদন বাড়াতে পারলে আমাদের রপ্তানি বাড়ব। আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি এটি বাড়াতে।

    টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর অত্যন্ত সফল হয়েছে। অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিষয়ে কতগুলো আশাব্যঞ্জক আলোচনা হয়েছে।

    ওকাবের আহ্বায়ক কাদির কল্লোলের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন ওকাব সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম মিঠু-সহ ওকাব নেতারা।
    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • তেলের দাম কমার সম্ভাবনা আছে, আর বাড়বে না : বাণিজ্যমন্ত্রী

    তেলের দাম কমার সম্ভাবনা আছে, আর বাড়বে না : বাণিজ্যমন্ত্রী

    আন্তর্জাতিক বাজার অনুযায়ী দেশে তেলের দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। মন্ত্রী জানান, দাম কমবে।

    বৃহস্পতিবার (২ জুন) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

    আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমতে শুরু করেছে। ইন্দোনেশিয়া রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। এক্ষেত্রে তেলের দাম রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) করা হবে কি না— জানতে চাইলে টিপু মুনশি বলেন, আমরা রি-অ্যাসিস্ট করব। খুব শিগগিরই, ৫-৭ দিনের মধ্যে মে মাসের পুরো তথ্য নিয়ে আমরা রি-অ্যাসিস্ট করব।

    তিনি বলেন, আমাদের কাছে যেটা রিপোর্ট আছে, আজ দাম কমেছে। আজকের দামের প্রভাব দেশে পড়তে সময় লাগবে এক থেকে দেড় মাস।

    ‘সুখবর যেটা— পাম অয়েলের দাম কমেছে এবং সয়াবিনের দাম কমার দিকে। ছয়-সাত দিনের মধ্যে যেসব সভা হবে সেটাতে অ্যাসিস্ট করে দেখে নতুন দাম নির্ধারণ করা হবে। বাড়ার সম্ভাবনা নেই, আমার ধারণা। নতুন দাম অনুযায়ী দাম কমবে। পাম অয়েলে তো যথেষ্ট প্রভাব পড়বে মনে করি, সয়াবিনের দামও অতটা বাড়বে না’, বলেন তিনি।

    চালের ইস্যুতে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মূলত চাল কন্ট্রোল (নিয়ন্ত্রণ) করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এ ব্যাপারে আমাদের সাহায্য চাইলে আমরা সাহায্য করব।

    তিনি বলেন, আমরা যতটুকু জেনেছি খাদ্য মন্ত্রণালয় আটটি টিম করেছে। এসব টিম ইতোমধ্যে বেরিয়ে পড়েছে, জানার জন্য এবং কতটুকু স্টক আছে, তা বের করার চেষ্টা করছে। যেকোনো কিছুর সুফল পেতে হলে সময় দিতে হয়। আশা করছি এ সপ্তাহের মধ্যে তারা আরও ভালো অবস্থানে নিয়ে যাবে।

    মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে চালের অভাব নেই, যা দরকার তা কিন্তু আমাদের আছে। কোথাও-কোথাও কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

    টিপু মুনশী আরও বলেন, আরেকটা কথা সেদিন আলোচনা হয়েছিল। বড় গ্রুপগুলো, তারা চাল কিনে প্যাকেট করছে। এরপর তারা বিক্রি করছে বেশি দামে। এখানে একটি সিম্পল (সাধারণ) প্রশ্ন আমার রয়ে গেছে, আমি সেদিনও বলতে চেয়েছিলাম। যে চালটা ৫০ টাকা, সেটি শুধু প্যাকেট করেই ৭০-৭৫ টাকা বিক্রি করছে। একই চাল খোলা বাজারে ক্রেতা কম দামে কিনতে পারে। নিশ্চয়ই তারা কাস্টমার পাচ্ছে বলেই বিক্রি করতে পারছে। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে তারা আজ প্যাকেটজাত খাবার খাচ্ছে। না হলে একই চাল বাজারে কম দামেও পাওয়া যাচ্ছে।

    তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ এখন মোটা চাল খেতে চায় না। মোটা চালের ক্রেতা নেই। মোটা চাল চিকন করা হচ্ছে এবং সেই চাল-ই খাওয়া হচ্ছে।

  • ভোজ্যতেল আমদানিতে ১০ শতাংশ ভ্যাট কমছে

    ভোজ্যতেল আমদানিতে ১০ শতাংশ ভ্যাট কমছে

    উৎপাদন ও ভোক্তা পর্যায়েই শুধু নয়, আমদানি পর্যায়েও ভোজ্য তেলে ১০ শতাংশ ভ্যাট কমছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

    সোমবার (১৪ মার্চ) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব ভোক্তা-অধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

    মন্ত্রী বলেন, আমদানি পর্যায়ে ১০ শতাংশ কমে ভ্যাট ৫ শতাংশ হচ্ছে। উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এবং ভোক্তা পর্যায়েও ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার হচ্ছে।

    আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমানোর ক্ষমতা আমাদের নেই। দাম কমবে কি না ব্রাজিল বলতে পারবে, কারণ ৯০ শতাংশ তেল আমরা সেখান থেকে আমদানি করি।

    টিপু মুনশি বলেন, যার পাঁচ লিটার তেল দরকার সে ১০ লিটার কিনলে ঠেকানো সম্ভব হবে না।

    এছাড়া রমজান উপলক্ষে রয়েছে বাড়তি চাপ। এ কারণে যার যতটুকু দরকার ততটুকুই কেনার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

    বর্তমানে দেশে যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্যদ্রব্য মজুদ আছে, যা দিয়ে রমজান মাস পার হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।

    এন-কে

  • করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি

    করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। জাতীয় ডেস্ক : করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বুধবার মন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা লতিফ বকশী গণমাধ্যমে আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    ২০১৮ সালে ৩০ ডিসেম্বর টানা তৃতীয়বারের মতো এমপি হিসেবে নির্বাচিত হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেন।

    রাজনৈতিক অঙ্গণের একটি পরিচিত নাম টিপু মুনশি। পোশাক শিল্পের ব্যবসার পাশাপাশি দীর্ঘদিন তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত।

    প্রসঙ্গত, ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত টিপু মুনশি বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক এবং ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

    এ ছাড়াও অন্যতম উদ্যাক্তা হিসাবে সিপাল গ্রুপের এমডি পদে রয়েছেন। তিনি দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

    এদিকে গতকাল মঙ্গলবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন দুই সংসদ সদস্য। তারা হলেন সাবেক প্রধান হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ এবং গণফোরামের নেতা মোকাব্বির খান। বাণিজ্যমন্ত্রীকে নিয়ে মোট ১২ সংসদ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

    এর আগে ১৪ জুন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ।

    দেশে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯৮ হাজার ৪৮৯ জন। আর এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৩০৫ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • করোনা ঝুঁকি : দেশের সকল বাণিজ্য মেলা বন্ধ ঘোষণা

    করোনা ঝুঁকি : দেশের সকল বাণিজ্য মেলা বন্ধ ঘোষণা

    করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে জনসমাগম কমাতে গৃহীত পদক্ষেপের অংশ হিসেবে দেশের সব স্থানে চলমান ও অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সকল বাণিজ্য মেলা বন্ধ ঘোষণা করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

    সোমবার (১৬ মার্চ) দেশের সব বিভাগীয় শহর, জেলা, উপজেলাসহ সব স্থানের চলমান ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতিপ্রাপ্ত সব বাণিজ্য মেলা বন্ধের এ ঘোষণা দেয়া হয়।

    মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আব্দুল লতিফ বকসী এ সব তথ্য জানিয়েছেন।

    তিনি বলেন, ‘এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সব মেলা বন্ধ থাকবে।’

    উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে জনসমাগম এড়িয়ে চলার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। এছাড়া ৩১ মার্চ পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

    ইতোমধ্যে বাংলাদেশে আটজন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনই বর্তমানে সুস্থ। দুজন বাড়ি ফিরে গেছেন।

    বিশ্বব্যাপী এ ভাইরাসে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৯৪১ জন আক্রান্ত হয়েছে। ৬ হাজার ৬৮৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে এ ভাইরাসে।

  • আকাশপথে ৫০ হাজার ও সমুদ্রপথে ১২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আসছে : বাণিজ্যমন্ত্রী

    আকাশপথে ৫০ হাজার ও সমুদ্রপথে ১২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আসছে : বাণিজ্যমন্ত্রী

    বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে আকাশ ও সমুদ্র পথে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছে। আকাশ পথে আমদানি করা হচ্ছে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ।

    তিনি আজ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, সমুদ্র পথে ১২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজও দেশে পৌঁছাতে শুরু করেছে। এছাড়া, দেশীয় পেঁয়াজ বাজারে উঠেছে। পেঁয়াজের মূল্যও দ্রুত গতিতে কমছে।

    মন্ত্রী বলেন, মিসর থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ সৌদি এয়ারলাইন্স-এর একটি উড়োজাহাজ যোগে ঢাকার পথে রয়েছে।

    পেঁয়াজবাহী প্রথম সৌদি এয়ার লাইন্স এর উড়োজাহাজ এসভি ৩৮০২ যোগে মিসরের কায়রো থেকে জেদ্দা হয়ে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ২০ নভেম্বর গভীর রাতে পৌঁছাবে বলে তিনি জানান।

    বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এরপর প্রতিদিন প্যাসেনজার ও কার্গো ফ্ল্যাইটে পেঁয়াজ অব্যাহতভাবে ঢাকায় আসবে। এ সকল পেঁয়াজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করা হবে। টিসিবি’র ট্রাক সেল এবং নিয়োজিত ডিলারের মাধ্যমে সারাদেশে এ পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে।

    তিনি বলেন, পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধির জন্য সরকার শুরু থেকেই আমদানিকারকদের মাধ্যমে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ আমদানির প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলে এবং মিয়ানমার পেঁয়াজের মূল্য কয়েকগুণ বৃদ্ধি করলে বিকল্প হিসেবে মিসর ও তুরষ্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করা হয়। সমদ্র পথে পেঁয়াজ আসতে সময় বেশি লাগার কারণে এখন তা আকাশ পথে আমদানি করা হচ্ছে। দেশে দৈনিক প্রায় ৬ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজের প্রয়োজন হয়। দেশের মজুত এবং আমদানিকৃত পেয়াঁজ মিলে তা পর্যাপ্ত হবে। এরই মধ্যে দেশীয় পেঁয়াজ পর্যাপ্ত বাজারে আসবে। সামনে কোন সমস্যা হবে না।

    টিপু মুনশি বলেন, আমাদের প্রতি বছর ৮ থেকে ১০ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আদানি করতে হয়। এর বেশির ভাগই প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারত থেকে আমদানি করা হয়। এখন আমদানি নির্ভর না থেকে চাহিদার পুরো পেঁয়াজই দেশে উৎপাদনের বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য কৃষকদের ভর্তুকি ও উৎসাহ প্রদান করা হবে। এছাড়া, পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, যাতে পেঁয়াজ সারাবছর সংরক্ষণ করা যায়।

    তিনি বলেন, মৌসুমের সময় পেঁয়াজ আমদানির কারণে যাতে দেশের কোন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সে সময় পেঁয়াজ আমদানির উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে। কৃষকরা যাতে পেঁয়াজের উপযুক্ত মূল্য পান, তা নিশ্চিত করা হবে।
    এ সময় বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।