Tag: বাবা

  • ‘ক্রসফায়ার না দিলে আমি নিজেই ছেলে সোহেলকে গুলি করে মারতাম’

    ‘ক্রসফায়ার না দিলে আমি নিজেই ছেলে সোহেলকে গুলি করে মারতাম’

    এ. কে. আজাদ, সাতকানিয়া থেকে ফিরে : ‘আমার ছেলে সোহেলকে পুলিশ ক্রসফায়ার না দিলে আমি নিজেই তাকে গুলি করে মারতাম। সে শুধু এলাকার লোকজনকেই জ্বালায়নি, আমাকে, তার মা, ভাই-ভাবিকেও ছুরি দিয়ে বার বার আঘাত করার চেষ্টা করেছে। তার জ্বালায় আমরা খুব অতিষ্ঠ ছিলাম। সে ক্রসফায়ারে মারা গেছে এতে আমার কোনো দুঃখ নেই। তাকে আরো আগে গ্রেপ্তার করলে মোসাদ্দেককে খুন করতে পারতো না। আমাদের (বাবা-মাকে) দোষারূপ করার জন্যই তাকে এতোদিন গ্রেপ্তার করা হয়নি। তার ক্রসফায়ারে আমি প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।’

    চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার আলোচিত মাদকবিরোধী আন্দোলনের নেতা ও স্থানীয় যুবলীগ কর্মী মোসাদ্দেকুর রহমানের খুনি এবং এ হত্যা মামলার একমাত্র আসামি আব্দুল হান্নান সোহেল পুলিশের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ার পর তাঁর বাবা আব্দুল আলীম এ মন্তব্য করেন।

    এর আগে গত ২২ জুন মোসাদ্দেককে ছুরিকাঘাত করে হত্যার পর পালিয়ে যায় সোহেল।

    গত শনিবার মধ্যরাতে সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল কবিরের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাঙ্গুনিয়ার দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে সোহেলকে গ্রেপ্তার করেন। এর পর রাতে তাঁর স্বীকারোক্তিমতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করতে গেলে সহযোগীদের সঙ্গে পুলিশের বন্দুক যুদ্ধ হয়। এতে সহযোগীদের গুলিতে সোহেল নিহত হয়েছে বলে পুলিশের দাবী।

    এদিকে, গত শনিবার ময়নাতদন্তের পর পুলিশ সোহেলের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করলে একইদিন রাতেই পরিবারের কয়েকজন লোকের অংশগ্রহনে জানাজার নামাজ শেষে তাঁকে দাফন করা হয়।

    তবে, স্থানীয়দের বাঁধার মুখে সামাজিক কবরস্থানে সোহেলকে দাফন করা যায়নি এবং জানাজায়ও অংশ নেয়নি সমাজের কোনো লোক।

    অন্যদিকে, নিহত মোসাদ্দেকুর রহমানের বাবা মাহবুবুর রহমান জানান, তাঁর ছেলে হত্যার মূল আসামি সোহেল ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ায় আমি এবং পুরো পরিবার খুব সন্তুষ্ট। পুলিশ প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মেয়ের লিভারে জীবন ফিরে পেল বাবা

    মেয়ের লিভারে জীবন ফিরে পেল বাবা

    তাসফিক আব্দুল্লাহ চৌধুরী, কুবি প্রতিনিধি: ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাস। নারায়ন আচার্য্যের কিছুদিন ধরে পেটে ব্যথা, কিছু খেতে পারতেন না। হাসপাতালে ভর্তির পর জানা গেল তিনি লিভারের কঠিন রোগে আক্রান্ত। সুস্থ করার জন্য লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে! কিন্তু কে দেবে লিভার? এগিয়ে এলেন মেয়ে উর্মি আচার্য্য। এই সাহসী মেয়েই তার ৬৭ শতাংশ লিভার বাবাকে দান করেছেন।

    শর্মী আচার্য্য ও উর্মি আচার্য্য দুইবোন। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থী। বড়বোন শর্মী ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের (৭ম ব্যাচ) গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী। ছোটবোন উর্মি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের (৮ম ব্যাচ) অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (এআইএস) বিভাগে পড়েন। তাদের বাবা নারায়ন আচার্য্য দীর্ঘদিন যাবৎ লিভার সিরোসিসে ভুগছিলেন।

    বাংলাদেশে চিকিৎসকদের পরামর্শে বাবাকে নিয়ে উর্মিরা ভারত যান গেল বছরের ২৬ ডিসেম্বর। ভর্তি হন দিল্লির ম্যাক্স হেলথকেয়ার হসপিটালে।

    উর্মি আচার্য্য জানান, ‘১৫ লক্ষ টাকা নিয়ে দিল্লি গিয়েছিলাম। কিন্তু অপারেশনের জন্য দরকার ২৫ লক্ষ টাকা। এরমধ্যে সব পরীক্ষা করাতে প্রায় ২লক্ষ টাকা শেষ। এদিকে বাবার অবস্থা আরো খারাপ হতে লাগল। তাই ৭ জানুয়ারি অপারেশনের তারিখ দিল চিকিৎসকরা। কিন্তু অপারেশনের জন্য পুরো টাকা আগে জমা করতে হবে, আমরা জমা করতে পারিনি। এতে অপারেশনের তারিখ পিছিয়ে গেল। বাবার শরীর খারাপ হতে থাকলো। তখন ইমার্জেন্সি মোট ৬ বার হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয় বাবাকে। এইভাবে আমাদের হাতের টাকা কমতে থাকে। তাছাড়া সেখানে থাকা-খাওয়া অনেক ব্যয়বহুল। সবমিলিয়ে অনেক হতাশায় দিনপার করছিলাম।’

    বাবা-মেয়ে

    গত ১৭ জানুয়ারি লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টের অপারেশন হয়। উর্মি দান করেন ৬৭ শতাংশ লিভার। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বাবা নারায়ন আচার্য্যকে নিয়ে দেশে ফেরেন উর্মি।

    উর্মি বলেন, দিল্লির চিকিৎসকরা আরো কিছুদিন থাকতে বলেছিলেন। কিন্তু আমাদের টাকা শেষ হওয়ায় আমাদের দেশে চলে আসতে হয়েছে। হাসপাতালে বাবাকে দেখেছেন বিখ্যাত লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জন ডা. সুভাষ গুপ্তা। তাকে আমাদের আর্থিক ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলাতে বাংলাদেশে আসতে দিয়েছেন। দেশে প্রতি সপ্তাহ পর পর সংশ্লিষ্ট পরীক্ষাগুলোর রিপোর্ট ইমেইল পাঠাতে বলেছেন তিনি।

    তিনি জানান, পরীক্ষাগুলো অনেক ব্যয়বহুল৷ আর বাবা এখন থেকে সারাজীবন অনেক দামি মেডিসিন নিতে হবে। আমি সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছিলাম। এখন বাবাকে লিভার দেয়ায় আমিও কোন উপার্জন করতে পারব না। তাই অনেক দুশ্চিন্তায় দিন পার করতে হচ্ছে আমার।

    বাবাকে লিভার দান করা উর্মি আচার্য্য

    তবে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে উর্মি আচার্য্য বলেন, ‘সকলের সহযোগিতায় বাবার অপারেশন সম্ভব হয়েছে। কৃতজ্ঞতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বড় ভাই-বোন, সহপাঠী, অন্যান্য শিক্ষার্থীদের প্রতি। দেশের মানুষ যেভাবে এগিয়ে এসেছে তা আমি মুখে বলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারবোনা।’

    নিজেদের সুস্থতার ব্যাপারে উর্মি বলেন, ‘বাবা সুস্থ হতে ছয় মাসের মতো লাগতে পারে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আমার সুস্থ হতে তিন মাসের মতো লাগতে পারে।’

    বাবাকে লিভারের অংশ বিশেষ দেয়ার ব্যাপারে উর্মি জানান, ‘বাবাকে লিভার দান ছিল আমার কর্তব্যের অংশ। আর সকলের সহযোগিতা করার আগ্রহ আমার সাহসিকতাকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। সবকিছুর জন্য সৃষ্টিকর্তার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা।’

    উল্লেখ্য, গেল বছর বাবার চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা চেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন উর্মি আচার্য্য। সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, দেশের জনগণ ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।

  • অফিসে বসে বাবা দেখলেন, সন্তানকে নির্মমভাবে মারছে কাজের বুয়া (ভিডিও)

    অফিসে বসে বাবা দেখলেন, সন্তানকে নির্মমভাবে মারছে কাজের বুয়া (ভিডিও)

    বাব-মা দুজনই কর্মজীবী। ছোট্ট শিশুসন্তানটির যত্ন নেওয়ার জন্য মধ্যবয়সী এক কাজের বুয়া রেখেছিলেন বাসায়। একদিন সিসি ক্যামেরায় চোখ রাখতেই চমকে ওঠলেন বাবা। তার অতি আদরের দুই বছর বয়সী শিশুসন্তানটিকে নির্মমভাবে মারধর করছে ওই কাজের বুয়া।

    এটা কোনো বানোয়াট গল্প নয়। রাজধানীর শাহজাহানপুরের কর্মজীবী দম্পতির বাসায় দুই বছরের শিশুকে ৪৫ বছর বয়সী গৃহকর্মী নির্মম নির্যাতনের দৃশ্য ধরা পড়েছে সিসি ক্যামেরায়। পৈশাচিক নির্যাতনের এ ঘটনার ভিডিও দেখে শিউরে উঠতে হয়।

    শিশুটির বাবা ইঞ্জিনিয়ার মো. আল আমিন সরকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন।আর মা মা লুৎফুন্নাহার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। এই দম্পতির একমাত্র শিশু আবদুল্লাহ আবতাই আয়াতের বয়স মাত্র দুই বছর। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই চাকরি করায় আয়াত থাকত বাসার কাজের বুয়া শাহিদার কাছে।

    সন্তানের আচরণ, বিশেষ করে বুয়াকে দেখে ভয়ে চমকে ওঠার বিষয়টি চোখে পড়ে বাবার। মনের মধ্যে তৈরি হয় একধরনের আশংকা। যে কারণে তিনি দ্রুত নিজের বাসায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করেন। আইপি ক্যামেরায় ধারণকৃত ফুটেজ তিনি নিজের স্মার্টফোনেই লাইভ দেখতে পারতেন। যে কারণে নিজের সন্তান চোখে চোখেই থাকত।

    গত ১৪ নভেম্বর অফিসে বসে ভয়ংকর এক দৃশ্য চোখে পড়ল আল আমিন সরকারের। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে তার শিশুসন্তানকে বাসার কাজের বুয়া নির্মমভাবে নির্যাতন করছে।
    অফিস বসে বাবা দেখতে পান, বাথরুম থেকে ঘরের ভেতর ছুড়ে ফেলে দিয়ে ওইটুকু শিশুকে একের পর এক লাথি মারতে থাকে কাজের বুয়া শাহিদা! এরপর ক্রন্দনরত শিশুকে সেভাবে ফেলে দিয়েই আবারও নিজের কাজে মন দেয় সে।

    প্রযুক্তির কল্যাণে অফিসে বসে অতি আদরের সন্তানের ওপর এই ভয়াবহ নির্যাতনের দৃশ্য দেখে নিজেকে আর স্থীর রাখতে পারেননি ওই বাবা। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি ছুটেন বাসার দিকে। পাষণ্ড কাজের বুয়ার হাত থেকে উদ্ধার করেন সন্তানকে।

    এ প্রসঙ্গে শিশুটির বাবা আল আমিন সরকার বলেন, আমি একঅসহায় বাবা, যাকে দেখতে হয়েছে দুই বছরের সন্তানকে নির্মমভাবে মারধর করার দৃশ্য।এই নির্যাতন থেকে তাৎক্ষণিকভাবে আমার বাচ্চাটাকে রক্ষা করতে না পারার আক্ষেপে পুড়ছি আমি।

    এ ঘটনায় গত ১৫ নভেম্বর রাতে শাহজাহানপুর থানায় শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০১৩ (সংশোধিত ২০১৮) এর ৭০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন আল আমিন সরকার। অভিযুক্ত গৃহকর্মীকে গ্রেফতাার করেছে পুলিশ।

    https://youtu.be/H_GPICqT434

  • ছেলের ছুরিকাঘাতে বাবা খুন

    ছেলের ছুরিকাঘাতে বাবা খুন

    নরসিংদীর পলাশে পারিবারিক কলহের জের ধরে ছেলের ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছে বাবা। এ ঘটনার পর থেকে ঘাতক ছেলে আরিফ রয়েছে। নিহত পিতার নাম জমির উদ্দিন মোল্লা (৬২)।

    শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের চরআলী নগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

    ঘাতক আরিফ মোল্লা পর পর তিনটি বিয়ে করেন। প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করেন। এই ঘরে এক সন্তান রেখে কিছুদিন যাওয়ার পর তাকে রেখে আরেকটি বিয়ে করেন তিনি। এ নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী’র ভরণ পোষণ নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোমেন মিয়ার উপস্থিতিতে সালিশ বসে। এরই জের ধরে পিতার ওপর ক্ষিপ্ত হয় ঘাতক আরিফ।

    এদিকে বিকেলে বৈঠক শেষে বাড়ি ফেরার পথে আরিফ তার বাবাকে আটকিয়ে এলোপাথারি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান জমির উদ্দিন।

    পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া অভিযুক্ত আরিফকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

  • রায়ে সন্তুষ্ট নুসরাতের বাবা

    রায়ে সন্তুষ্ট নুসরাতের বাবা

    বহুল আলোচিত ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাসহ ১৬ আসামির মত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আদালতের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন নুসরাতের বাবা এ কে এম মুসা। তবে পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

    বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) আদালতের রায় শুনে নুসরাতের বাবা বলেছেন, এই রায়ে তারা সন্তুষ্ট। দ্রুত যেন রায় বাস্তবায়ন করা হয়। এছাড়া আসামি পক্ষ যদি হাইকোর্টে আপিল করে তারপরেও যেন এই রায় বহাল থাকে।

    এসময় তদন্ত দ্রুত শেষ করায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান নুসরাতের বাবা।

    মামলার বাদী ও নুসরাতের বড় ভাই নোমান বলেন, আমরা রায়ে সন্তুষ্ট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুরু থেকে এই মামলার বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাকে ধন্যবাদ দিতে চাই। আশা করি তিনি এই সুযোগ আমাদের দিবেন। এছাড়া দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানায় আমরা।

    এর আগে বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। তিনি ১৩ মিনিটেই নুসরাত হত্যা মামলার রায় পড়া শেষ করেন।

    মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৬ আসামি হলেন-মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এস এম সিরাজ উদদৌলা, দুই নম্বর আসামি ফেনী কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা মুক্তি পরিষদ আন্দোলনের আহ্বায়ক মো. নুর উদ্দিন, তিন নম্বর আসামি মাদ্রাসার ফাজিলের ছাত্র শাহাদাত হোসেন শামীম, চার নম্বর আসামি পৌর আওয়ামী লীগের সদ্য বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক এবং ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, পাঁচ নম্বর আসামি ছাত্রলীগকর্মী ও মাদ্রাসার ফাজিল বিভাগের ছাত্র মো. জোবায়ের, ছয় নম্বর আসামি চরচান্দিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ও মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী জাবেদ হোসেন, সাত নম্বর আসামি মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক এবং ফাজিল দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র হাফেজ আবদুল কাদের, আট নম্বর আসামি মাদ্রাসার ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আফছার উদ্দিন, মাদ্রাসার ফাজিল প্রথম বর্ষ ও ফেনী পলিটেকনিক কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র আবদুর রহিম ওরফে শরীফ, অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা মুক্তি পরিষদ আন্দোলনের সদস্য ও ছাত্রলীগকর্মী মো. শামীম, অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা মুক্তি পরিষদ আন্দোলন সদস্য ও ফেনী কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এমরান হোসেন মামুন, মাদ্রাসা শাখা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ইফতেখার উদ্দিন রানা, অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা মুক্তি পরিষদ আন্দোলনের সদস্য ও ছাত্রদলকর্মী হিসেবে পরিচিত মহিউদ্দিন শাকিল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রুহুল আমিন, মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী উম্মে সুলতানা পপি ও মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী কামরুন নাহার মণি।

    প্রসঙ্গত, গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা নুসরাতের শ্লীলতাহানি করেন। এ ঘটনায় নুসরাতের মা শিরিনা আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। পরে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর মামলা তুলে নিতে নুসরাতের পরিবারকে নানা ধরনের হুমকি দেয়া হয়। কিন্তু নুসরাতের পরিবার ওই মামলা তুলে নেয়নি। নুসরাত ওই মাদ্রসার শিক্ষার্থী ছিলেন।

    গত ৬ এপ্রিল সকালে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে আলিমের আরবি প্রথম পত্র পরীক্ষা দিতে যান নুসরাত। ওই সময় কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে তাকে ডেকে নিয়ে যায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার সহযোগীরা। পরে নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় গত ৮ এপ্রিল নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান (নোমান) সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুসরাত। পরবর্তীতে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।

  • ছেলের হাতে বাবা খুন

    ছেলের হাতে বাবা খুন

    পাবনার চাটমোহরে ছেলে ইসমাইল হোসেনের ছুড়ে মারা ইটের আঘাতে খুন হয়েছেন বাবা খন্দকার ছানোয়ার হোসেন (৫৭)।

    মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের তেবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

    নিহত ছানোয়ার হোসেন ওই গ্রামের মৃত আব্দুল ওহাবের ছেলে এবং তিনি হরিপুর পোস্ট অফিসের পিয়ন হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

    স্থানীয়রা জানান, বিকেলে ছেলে ইসমাইলের স্ত্রীর সাথে তার মায়ের তর্ক-বিতর্ক ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এ খবর শুনে ইসমাইল বাড়িতে ফিরে তার মাকে মারতে উদ্যত হলে বাবা ছানোয়ার তাকে বাধা দেন। এ সময় তিনি লাঠি দিয়ে ছেলে ইসমাইলকে মারতে শুরু করলে তিনি দৌড় দেন। একপর্যায়ে রাস্তা থেকে ইট তুলে তার বাবাকে লক্ষ্য করে ছুড়ে মারেন ইসমাইল। মাথায় ইটের আঘাত লেগে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বাবা ছানোয়ার। এ সময় তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।

    প্রথমে তাকে হরিপুর বাজারের পল্লি চিকিৎসক রতন কুমারের কাছে নিয়ে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ নাসীর উদ্দিন জানান, লাশ উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। সেই সাথে অভিযুক্ত ছেলে ইসমাইলকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

  • বাবার কবরের ওপর ছেলের টয়লেট নির্মাণ

    বাবার কবরের ওপর ছেলের টয়লেট নির্মাণ

    মুক্তিযোদ্ধা বাবার কবরের ওপর তারই ছেলের বিরুদ্ধে শৌচাগার নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। দুদিন আগে শৌচাগার নির্মাণের কাজ শুরু হলেও গতকাল রোববার বিকেলে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা এটি ভেঙে দেন।

    বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বারুনিঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। মুক্তিযোদ্ধা ওই বাবার নাম আবদুস সাত্তার। ছেলের নাম আবদুর রউফ। তিনি একজন কাস্টমস কর্মকর্তা।

    পরিবারের সদস্যরা জানান, মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সাত্তার ২০১৭ সালে মারা গেলে তার ১২ শতক জমি দুই ছেলে ও দুই মেয়ে ভাগ করে নেন।

    বড় ছেলে আসাদ খান মুনির জানান, জমি ভাগাভাগি হলেও নিজের অংশ নিয়ে ছোটভাই কাস্টমস ইন্সপেক্টর আবদুর রউফ ক্ষুব্ধ ছিলেন। এর জেরে সম্প্রতি তিনি বাবার কবরের প্রাচীরের ওপর থেকে প্রাচীর তুলে শৌচাগার নির্মাণ শুরু করেন। বিষয়টি জানার পর পরিবারের সবাই বাধা দিলেও রউফ তাতে কর্ণপাত করেননি।

    স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা হযরত আলী জানান, মুক্তিযোদ্ধা বাবার কবরের ওপর টয়লেট নির্মাণ করার খবর শুনে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা সেখানে যান। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানালে তিনি কবরের ওপর তোলা টয়লেটের প্রাচীর ভেঙে ফেলার নির্দেশনা দেন। সন্ধ্যায় স্থানীয়রা প্রাচীরটি ভেঙে ফেলেছেন।

    টয়লেট নিমার্ণের বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধার ছেলে আবদুর রউফ বলেন, জমি-জমা ভাগাভাগির সময় কবরের জায়গাটা তার ভাগেই পড়েছে। কিন্তু তিনি কবর দখল করে কিছু করছেন না।

    তবে বিষয়টি স্থানীয় বয়োজ্যেষ্ঠরা এবং মুক্তিযোদ্ধারা রোববার সন্ধ্যায় সমাধান করে দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।