Tag: বার্সেলোনা

  • লা লিগা চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা

    লা লিগা চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা

    বার্সেলোনার ইতিহাসের সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি থাকাকালে একের পর এক শিরোপা জেতা ক্লাবটি আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে হারিয়ে যেন পথ হারিয়ে ফেলেছিল। ন্যু ক্যাম্পের আকাশে জমা হয় ঘন কালো মেঘ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ব্যর্থতাতো আছেই, টানা তিন মৌসুমে লিগ শিরোপা জিততে পারেনি কাতালান ক্লাবটি। তবে ২০২১ সালে বার্সার দায়িত্ব নিয়েই দলকে বদলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন জাভি হার্নান্দেজ।

    অবশেষে সাবেক ফুটবলারের হাত ধরেই তিন মৌসুম পর লা লিগা শিরোপা পুনরুদ্ধার করল কাতালান ক্লাবটি। সেটিও আবার চার ম্যাচ হাতে রেখেই। এটি বার্সেলোনার ২৭তম লিগ শিরোপা। আগের ২৬ শিরোপার ১০টিই জিতেছে একবিংশ শতাব্দীতে; মেসির উপস্থিতিতে।

    রোববার রাতে এস্পানিওলের মাঠে শিরোপার সুবাস নিয়েই মাঠে নেমেছিল বার্সেলোনা। রবার্ট লেভানদোভস্কির জোড়া গোলে এদিন ৪-২ গোলে জিতেছে জাভির শিষ্যরা। ৩৪ ম্যাচে ২৭ জয় ও ৪ ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ৮৫। অন্যদিকে বার্সেলোনার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ সমান ম্যাচে ৭১ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে।

    লিগ শিরোপা জয়ের ম্যাচে প্রথম থেকেই বল দখলে একচেটিয়া আধিপত্য দেখায় বার্সেলোনা। ম্যাচে লিড পেতেও বেশি সময় লাগেনি রাফিনহা-লেভাদের। ১১তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বালদের নেওয়া ক্রস দারুণ নৈপুণ্যে প্রতিপক্ষের জালে জড়ান লেভানদোভস্কি। প্রথম গোলের নয় মিনিট পরই প্রথম গোলে অ্যাসিস্ট করা বালদে নিজেই গোল করেন।

    ম্যাচের ৪০ মিনিটে আবারও গোল করেন লেভানডোভস্কি। পাল্টা আক্রমণে ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে দূরের পোস্টে দারুণ পাস বাড়ান রাফিনিয়া। এবারও গোলরক্ষক আগেই বল ধরতে এগিয়ে গিয়ে ব্যর্থ হন, নিখুঁত শটে ফাঁকা জালে বল পাঠান লেভানদোভস্কি।

    এরপর দ্বিতীয় হাফের অষ্টম মিনিটে জুলস কুন্দে গোল করে বার্সেলোনাকে চার গোলের লিড এনে দেন। ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ং-এর ক্রস থেকে হেড করে গোল করেন কুন্দে। যদিও ম্যাচের ৭৩তম মিনিটে দারুণ নৈপুণ্যে ব্যবধান কমান এস্পানিওলের হাভিয়ের পুয়াদো। প্রতি-আক্রমণে সবাইকে পেছনে ফেলে বক্সে ঢুকেই চিপ শটে আগুয়ান টের স্টেগেনের ওপর দিয়ে বল লক্ষ্যে পাঠান স্প্যানিশ এই ফরোয়ার্ড। প্রথমে অফসাইডের বাঁশি বাজলেও ভিএআরে পাল্টায় সিদ্ধান্ত।

    দুই মিনিট যোগ করা সময়ের একেবারে শেষ সময়ে আরেকটি গোল শোধ করে এস্পানিওল। ফের্নান্দো কালেরোর হেড পোস্টে প্রতিহত হওয়ার পর ফিরতি বল গোলমুখ থেকে সহজেই জালে পাঠান হোসেলু। এর পরপরই বাজে শেষের বাঁশি। আর তাতেই বার্সেলোনার বড় জয়ের পাশাপাশি লিগ শিরোপাটাও নিশ্চিত হয়ে যায়। কোচ ও বেঞ্চের খেলোয়াড়রা মাঠে দৌড়ে যান। শুরু হয় বার্সেলোনার শিরোপা উৎসব।

  • নাটকীয়তার ম্যাচে বার্সা-ইউনাইটেডের ড্র

    নাটকীয়তার ম্যাচে বার্সা-ইউনাইটেডের ড্র

    ইউরোপা লিগের নানা নাটকীয়তার ম্যাচে বার্সেলোনার সঙ্গে ড্র করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতের ক্যাম্প ন্যুর ম্যাচে ২-২ গোলে ড্র করে বার্সা ও ম্যান ইউ। ফলে জয় কিংবা হার, কোনোটির স্বাদ পায়নি কোনো দলই।

    ম্যাচের প্রথমার্ধটা ছিল গোলশূন্য। কিন্তু দুই দলই খেলেছে আক্রমণ, পাল্টা-আক্রমণে। তৈরি করেছে দারুণ কিছু সুযোগ। বার্সেলোনাই নিজেদের একটু বেশি সৌভাগ্যবান ভাবতে পারে। গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেন দেয়াল হয়ে না দাঁড়ালে ম্যাচে ওই সময়ই পিছিয়ে পড়ত তারা। মার্কাস রাশফোর্ড ও ভাউট ভেগহোর্স্টের প্রায় নিশ্চিত দুটি গোলের হাত থেকে বার্সাকে বাঁচিয়েছেন টের স্টেগেন। সুযোগ বার্সেলোনাও পেয়েছে। কিন্তু রবার্ট লেভানডফস্কি ও জর্ডি আলবা সেই সুযোগ দুটি কাজে লাগাতে পারেননি।

    বিরতির পর ম্যাচের প্রথম গোলটা করে বার্সেলোনা। ৫০ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার রাফিনিয়ার কর্নারে হেড করেন মার্কাস আলোনসো, বল চলে যায় ইউনাইটেডের জালে। তবে তিন মিনিট পরেই ডানদিকে ফ্রেডের পাস থেকে বল পেয়ে দলকে সমতায় ফেরান মার্কাস রাশফোর্ড। সব প্রতিযোগিতা মিলে ইউনাইটেডের জার্সিতে এই মৌসুমে রাশফোর্ডের এই ২২তম গোল। রেড ডেভিলদের হয়ে নিজের ক্যারিয়ারের সেরা সময়ই কাটাচ্ছেন ইংলিশ এই ফরোয়ার্ড।

    সমতা ফেরানোর মিনিট ছয়েক পরে এগিয়েও যায় ইউনাইটেড। এবারও রাশফোর্ডের শট। তবে তা বার্সার ডিফেন্ডার জুলস কুন্দের গায়ে লেগে বল চলে যায় স্বাগতিকদের জালে। ম্যাচে ৭৬ মিনিটে সমতায় ফেরে জাভির শিষ্যরা। কাসেমিরোর কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে জুল কুন্দে বাড়াল রাফিনিয়ার দিকে। রাফিনিয়া শট নিয়েছিলেন লেভানডফস্কির দিকে। কিন্তু লেভা বল ধরতে পারেননি, পারেননি ইউনাইটেডের কোনো খেলোয়াড়ও। ইউনাইটেড গোলরক্ষক দে হায়াকে ফাঁকি দিয়ে সেই বল চলে যায় জালে।

    ইউরোপা লিগে ৩২ দলের এই রাউন্ডে রাতের অন্য ম্যাচগুলোতে আয়াক্স গোলশূন্য ড্র করেছে ইউনিয়ন বার্লিনের সঙ্গে, সালজবুর্গ ১-০ গোলে জিতেছে রোমার বিপক্ষে, শাখতার দোনেৎস্ক ২-১ গোলে হারিয়েছে রেনেকে।

  • স্প্যানিশ সুপার কাপ শিরোপা বার্সার

    স্প্যানিশ সুপার কাপ শিরোপা বার্সার

    স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে শিরোপা জিতল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা। রোববার রাতে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের কিং ফাহাদ স্টেডিয়ামে রিয়ালকে ৩-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে বার্সেলোনা।

    রবার্ট লেভানডফস্কি ও গাভির গোলে প্রথমার্ধে ২ গোলে এগিয়ে ছিল বার্সেলোনা। দ্বিতীয়ার্ধেও সেই দাপুটে ধারা বজায় রাখে। যদিও শেষ মুহূর্তে গোল পায় রিয়াল মাদ্রিদের করিম বেনজামা।

    খেলার ৩৩ মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় বার্সেলোনা। রবার্ট লেভানডোফস্কির বাড়িয়ে দেওয়া শটে থেকে গোল করেন গাভি। আর প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে গাভির সহায়তায় গোল করেন লেভানডোফস্কি। এতে ২-০ গোলের লিড নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে বার্সা।

    বিরতির পরও নিজেদের দাপট বজায় রাখে বার্সা। পরে ৬৯ মিনিটে বার্সার তৃতীয় গোলটি করেন পেদ্রি। আর এ গোলে বার্সার জয় তখনই নিশ্চিত হয়ে যায়। পরে খেলার নির্ধারিত সময়ের পর ইঞ্জুরি টাইমের তৃতীয় মিনিটে গোল করেন করিম বেনজেমা। তবে তার দেওয়া সেই গোল শুধুই রিয়ালের হারের ব্যবধানই কমিয়েছে।

  • অবসরের ঘোষণা দিলেন পিকে

    অবসরের ঘোষণা দিলেন পিকে

    চার বছর আগে যেমন বিস্ময় জাগিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলেছিলেন, ঠিক তেমনি আচমকাই বুটজোড়া তুলে রাখার ঘোষণা দিলেন জেরার্দ পিকে। বার্সেলোনার স্প্যানিশ ডিফেন্ডার জানালেন, আগামী শনিবার লা লিগায় আলমেরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি কাম্প নউয়ে তার শেষ।

    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বৃহস্পতিবার ভিডিও বার্তায় এই ঘোষণা দেন ৩৫ বছর বয়সী পিকে।

    “আমি সবসময় বলেছি, বার্সার পর (আমার ক্যারিয়ারে) আর কোনো দল থাকবে না এবং সেটাই হবে।”

    বার্সেলোনার একাডেমিতে বেড়ে ওঠা পিকে ২০০৪ সালে যোগ দেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে চার বছরের অধ্যায়ে একটি করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, প্রিমিয়ার লিগ ও কমিউনিটি শিল্ড জয়ের স্বাদ পান তিনি। ২০০৮ সালে ফেরেন কাম্প নউয়ে।

    কাতালান দলটির হয়ে প্রায় দেড় দশকে তিনি খেলেছেন ৬১৫ ম্যাচ। গোল করেছেন ৫২টি। তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, আটটি লা লিগা, সাতটি কোপা দেল রে-সহ জিতেছেন মোট ৩০টি শিরোপা।

    ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলে দেওয়ার আগে স্পেনের হয়ে তিনি জেতেন ২০১০ বিশ্বকাপ ও ২০১২ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ।

    ফুটবলকে বিদায় বলার এখনই সঠিক সময় বলে মনে করছেন পিকে। ভবিষ্যতে অন্য কোনো ভূমিকায় কাম্প নউয়ে ফেরার আশাও ব্যক্ত করেন তিনি।

    “ফুটবল আমাকে সবকিছু দিয়েছে। বার্সা আমাকে সবকিছু দিয়েছে। ভক্তরা আমাকে সবকিছু দিয়েছে। এখন যেহেতু সেই শিশুটির (তিনি নিজে) সব স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, আমি আপনাদের বলতে চাই, এই যাত্রা এখনই শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

    “আপনারা আমার সম্পর্কে জানেন, শিগগিরই বা পরে কখনও আমি ফিরে আসব। বার্সা দীর্ঘজীবী হোক।”

    বার্সেলোনা এই মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে, টানা দ্বিতীয়বারের মতো। লা লিগায় পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে আছে শাভি এরনান্দেসের দল।

    গত জুনে পিকে তার সঙ্গী ও জনপ্রিয় পপ গায়িকা শাকিরার সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • বায়ার্নের কাছে হেরে ইউরোপায় অবনমন বার্সেলোনার

    বায়ার্নের কাছে হেরে ইউরোপায় অবনমন বার্সেলোনার

    আশায় বাঁচে চাষা! আশার নিভু নিভু সলতে জ্বলছিল বার্সেলোনার। অনেক যদি-কিন্তুর হিসাব বাঁচিয়ে রাখলেও শেষ পর্যন্ত সব শেষ। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৩-০ গোলের পরাজয়ে শঙ্কাই সত্যি হলো। টানা দ্বিতীয়বার ইউরোপা লিগে অবনমিত হলো বার্সেলোনা।

    বার্সার পরের পর্বে যাওয়ার সমীকরণ বাঁচিয়ে রাখতে অলৌকিক কিছু ঘটতে হতো। ইন্টার মিলানকে হারতে হতো ভিক্টোরিয়া প্লাজেনের বিপক্ষে। বার্সাকে জিততে হতো বায়ার্নের সঙ্গে। এত মারপ্যাঁচে না গিয়ে ঘরের মাঠে প্লাজেনকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে পরের পর্ব নিশ্চিত করেছে ইন্টার। তাতে বিদায় ঘন্টা বেজে যাওয়া বার্সেলোনা প্রত্যাশিত পরাজয় বরণ করে বায়ার্নের কাছে।

    ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে ন্যূনতম প্রতিরোধও গড়তে পারেনি কাতালানরা। জার্মান জায়ান্টদের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করে। খেলা মাঠে গড়াবার ১০ মিনিটে গোল পায় বায়ার্ন। সার্জ গ্যানাব্রির লম্বা পাস থেকে বাভারিয়ানদের পক্ষে প্রথম গোল করেন সাদিও মানে। ৩১ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান ম্যাক্সিম চপো-মোটিং। ২ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় বায়ার্ন। বিরতির পর ফিরেই বায়ার্ন ফের আগ্রাসী। মানেকে অ্যাসিস্ট করা গ্যানাব্রি একটি গোল পেলেও বাতিল হয় অফসাইডের কারণে। এরপর গোল না পেলেও বার্সার রক্ষণ নিয়ে একপ্রকার ছেলেখেলাই করে তারা। ম্যাচের ৯৫ মিনিটে বদলি হিসেবে নামা বেঞ্জামিন পাভার্ড শেষ পেরেক ঠোঁকেন বার্সার কফিনে।

    ম্যাচে বায়ার্নের ১৪ টা সঠিক শটের বিপরীতে বার্সার শট শূন্য। বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে সর্বশেষ ৫ দেখায় সব কয়টিতে হেরেছে বার্সেলোনা। সর্বশেষ চার দেখায় তাদের জালে একটি বলও জড়াতে পারেনি কাতালানরা।

  • লেভানডোভস্কির জোড়া গোলে দাপুটে জয়ে শীর্ষে বার্সেলোনা

    লেভানডোভস্কির জোড়া গোলে দাপুটে জয়ে শীর্ষে বার্সেলোনা

    স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার গোল নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রায় দূর করে দিয়েছেন বায়ার্ন মিউনিখ থেকে আসা পোলিশ তারকা রবার্ট লেভানডোভস্কি। তিনি মাঠে নামা মানেই যেনো গোলের তালিকায় নাম তোলা। যে ধারা বজায় রইলো এলচের বিপক্ষে ম্যাচেও।

    শনিবার রাতে লা লিগার ম্যাচে ঘরের মাঠে এলচেকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। লেওয়ানডস্কি করেছেন জোড়া গোল, মেমফিস ডিপাই করেছেন অন্যটি। এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলেও শীর্ষে উঠে গেছে জাভি হার্নান্দেজের শিষ্যরা। ছয় ম্যাচে পাঁচ জয় ও একটি ড্র করেছে বার্সা।

    ফিনিশিং আরেকটু ভালো হলে নিশ্চিতভাবেই ৫-৬ গোল দিতে পারতো কাতালান ক্লাবটি। ম্যাচের পরিসংখ্যানে সাফ দেখা যাচ্ছে, পুরো ৯০ মিনিটে গোলের জন্য ২৫টি শট করেছে বার্সেলোনা। যার মধ্যে ৯টিই ছিল লক্ষ্য বরাবর। কিন্তু জালের ঠিকানা খুঁজে পেয়েছে মাত্র তিনটি শট।

    ম্যাচের শুরুতেই বার্সেলোনার কাজ সহজ করে দিয়েছিল এলচে। মাত্র ১৪ মিনিট পেরোতেই পেছন থেকে লেওয়ানডস্কিকে ফাউল করায় লাল কার্ড দেখেন গনজালো ওয়ারদুর। ফলে ম্যাচের বেশিরভাগ সময় একজন কম নিয়েই খেলতে হয় অতিথি দলকে।

    তবু প্রথম গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয় ৩৪ মিনিট পর্যন্ত। অ্যালেক্সান্দ্রো বালদের নিখুঁত পাস থেকে আলতো টোকায় জালের ঠিকানা খুঁজে নেন লেওয়ানডস্কি। মিনিট সাতেক পর বালদের আরেকটি পাস ধরে কোনাকুনি শটে বল জালে প্রবেশ করা মেমফিস।

    বিরতিতে যাওয়ার আগে আরেকবার জালের ঠিকানা খুঁজে পেয়েছিল বার্সেলোনা। কিন্তু সেই গোলের আগে অফসাইডে ছিলেন পেদ্রি। তাই বাড়েনি ব্যবধান। দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে ৪৮ মিনিটের সময় দেম্বেলের পাসে ঠিকঠাক পা লাগাতে পারেননি মেমফিস। তবে আলগা বলে বাকি কাজ সহজেই সারেন লেওয়ানডস্কি।

    মাত্র ৪৮ মিনিটেই নিজের দ্বিতীয় গোল করে ফেলার পর হ্যাটট্রিকের সুযোগও পেয়েছিলেন ৩৪ বছর বয়সী এ তারকা স্ট্রাইকার। কিন্তু ৭১ মিনিটের সময় সুবর্ণ সুযোগটি বাইরে মেরে বসেন লেওয়ানডস্কি। এর পরপরই তাকে উঠিয়ে নেওয়া হয়।

    তবু থেমে থাকেনি বার্সার আক্রমণ। ম্যাচের ৮০ মিনিটের দিকেও জোরালো আক্রমণে দারুণ এক সুযোগ পায় তারা। কিন্তু সেটিও কাজে লাগানো সম্ভব হয়নি। পুরো ম্যাচ আক্রমণ সামাল দিতে ব্যস্ত থাকা এলচে ম্যাচের শেষ মিনিটে এগিয়ে একমাত্র আক্রমণ করে। যা ছিল নিষ্ফলা।

    এই জয়ের পর ছয় ম্যাচে পাঁচ জয় ও এক ড্রতে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে বার্সেলোনা। এক ম্যাচ কম খেলে রিয়ালের সংগ্রহ ১৫ পয়েন্ট। আজ অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে হারাতে পারলে শীর্ষস্থান ফিরে পাবে লা লিগার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • ‘আগের বার্সার সঙ্গে এই বার্সার তুলনার মানে নেই’

    ‘আগের বার্সার সঙ্গে এই বার্সার তুলনার মানে নেই’

    চলতি মৌসুমে বড় দুঃসময় পার করছে বার্সেলোনা। স্প্যানিশ লিগ কিংবা চ্যাম্পিয়নস লিগ—কোনো মঞ্চেই আলো ছড়াতে পারছে না কাতালান ক্লাবটি। দলের ছন্দহীনতায় চাপ বাড়ছে কোচ রোনাল্ড কোম্যানের ওপর। অনেকেই কোম্যানের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। কিন্তু, এ বিষয় নিয়ে কোম্যান অবশ্য তত ভাবছেন না। তাঁর মতে, আগের বার্সেলোনার সঙ্গে এই বার্সার তুলনার কোনো মানে নেই।

    চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে গতকাল বুধবার বেনফিকার কাছে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হয় বার্সেলোনা। হারের রাতে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন বার্সেলোনা ডিফেন্ডার এরিক গার্সিয়া। এর আগে বায়ার্ন মিউনিখের কাছেও একই ব্যবধানে হেরেছিল কাতালান ক্লাবটি।

    এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় প্রথম দুই ম্যাচে হারল বার্সেলোনা। এর আগে ১৯৭২-৭৩ মৌসুমে প্রথম এমন হতাশার সঙ্গী হয়েছিল বার্সা।

    পয়েন্ট টেবিলেও তাদের অবস্থা নড়বড়ে। চ্যাম্পিয়নস লিগের দুই ম্যাচ শেষে টেবিলে সবার নিচে বার্সা। গ্রুপের অন্য ম্যাচে দিনামো কিয়েভকে ৫-০ গোলে হারানো বায়ার্ন ৬ পয়েন্ট নিয়ে আছে শীর্ষে। ৪ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে বেনফিকা। তাদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ড্র করা দিনামোর পয়েন্ট ১। সবমিলে খুব খারাপ সময় যাচ্ছে বার্সার।

    এমন দুর্দিন নিয়ে কোম্যান বলেন, ‘আমার দলের সামর্থ্য নিয়ে তর্ক করতে যাব না আমি। এই বার্সেলোনার সঙ্গে আগের বার্সেলোনার তুলনার কোনো অর্থই নেই। এটা পানির মতো পরিষ্কার।’

    নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে ডাচ কোচের ভাষ্য, ‘আমি কেবল ক্লাবে নিজের কাজের ব্যাপারেই মতামত দিতে পারি। আমি অনুভব করি, খেলোয়াড়রা আমার পাশে আছে, তাদের মানসিকতাও। বাকিটা, ক্লাব জানে। আমি নিশ্চিত নই। কারণ আমি জানি না, ক্লাব এই ক্ষেত্রে কী ভাবছে। এটা আমার হাতে নেই।’

    বেনফিকার কাছে হার নিয়ে কোম্যান বলেন, ‘এই ফলাফল হজম করা কঠিন এবং মাঠে যা দেখি, তার প্রতিফলন এতে পড়ছে না। যদিও আমরা শুরুতে পিছিয়ে পড়েছি, তার পরও ২-০ হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা ভালো খেলেছি। গোল করার বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছি আমরা, কিন্তু নিতে পারিনি।’

    এন-কে

  • বার্সায় ফাতির নতুন যুগের সূচনা

    বার্সায় ফাতির নতুন যুগের সূচনা

    খুবই বাজে সময় পার করছিল বার্সেলোনা। গ্রানাডার বিপক্ষে কোনোমতে শেষ মুহূর্তের গোলে ড্র করার পর গত বৃহস্পতিবার রাতে কাডিজের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো কাতালানদের।

    সেই দলটি এবার জয়ে ফিরেছে। সব বাধাকে অতিক্রম করে গতকাল রোববার  রাতে লেভান্তকে ঘরের মাঠে ৩-০ গোলে হারিয়ে জয়ে ফিরেছে বার্সা। ডাগআউটে ছিলেন না কোচ রোনাল্ড কোম্যান। তাঁর অনুপস্থিতিতে মাঠে দাপট দেখান ফুটবলাররা। আর এই ম্যাচেই বার্সার হয়ে আনসু ফাতির নতুন যুগের সূচনা হয়।

    ম্যাচের ৬ মিনিটেই পেনাল্টি থেকে বার্সাকে এগিয়ে দেন মেমফিস। ১৪ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করেন ডাচ ফরোয়ার্ড লুক ডি’জং।

    ম্যাচের ৮১ মিনিটে দারুণ অভ্যর্থনা নিয়ে মাঠে নামেন আনসু ফাতি। তাঁর নামার দশ মিনিটের মধ্যেই গোল হয়। হাঁটুর চোটের কারণে দীর্ঘ সময় মাঠের বাইরে ছিলেন এই তরুণ ফুটবলার। চারবার অস্ত্রোপচারের পর অবশেষে ফিট হয়ে মাঠে নামেই গোল করেন।

    মেসির বার্সা ছাড়ার পর ক্লাবটির নতুন ১০ নম্বর জার্সি পান ফাতি। তরুণ উইঙ্গারের গোলে নবযুগের সূচনা হয় বার্সায়। দীর্ঘ চোট সমস্যার পর প্রথম গোল করেই ডাগআউটে বসে থাকা দলের ডাক্তারকে জড়িয়ে ধরে নিজের গোল  উদযাপন করে কৃতজ্ঞতা জানান ফাতি।

    এই জয়ের সুবাদে লিগে শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের চয়ে পাঁচ পয়েন্ট পিছনে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে বার্সা।

    এন-কে

  • আবারও কাঁদলো বার্সেলোনা

    আবারও কাঁদলো বার্সেলোনা

    লিগগুলোতে বার্সেলোনার একের পর এক হতাশাজনক পারফরম্যান্স দেখা যাচ্ছে। উয়েফা ও স্প্যানিশ লা লিগা মিলিয়ে শেষ পাঁচ ম্যাচে মাত্র একটিতে জিতেছে রোনাল্ড কোম্যানের শিষ্যরা, ড্র-ই হয়েছে তিনটি ম্যাচ।

    বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে তুলনামূলক দুর্বল দল কাদিজের বিপক্ষে আরও একবার ড্র করেছে বার্সেলোনা। গত মৌসুমে নিজেদের ঘরের মাঠ কিংবা কাদিজের মাঠ দুই ম্যাচের একটিতেও জিততে পারেনি কাতালান ক্লাবটি।

    কাদিজের মাঠে খেলতে গিয়ে বল দখলের লড়াইয়ে একক আধিপত্য ছিলো বার্সেলোনার। পুরো ম্যাচে প্রায় ৭০ ভাগ সময় বলের দখল নিজেদের কাছেই রাখে তারা। কিন্তু সে অর্থে কাদিজের রক্ষণভাগের তেমন কোনো পরীক্ষাই নিতে পারেনি বার্সা।

    সারা ম্যাচে মাত্র ৬টি শট করতে পেরেছেন মেমফিস ডিপাই, লুক ডি ইয়ংরা। যার মধ্যে মাত্র ২টি ছিল লক্ষ্য বরাবর। অন্যদিকে ১৩টি শট করে কাদিজ, ৩টি রাখে লক্ষ্যেও। বার্সেলোনার নেহায়েত সৌভাগ্য, কোনো গোল হজম করতে হয়নি।

    ম্যাচের ৬৫ মিনিটেই বড় ধাক্কাই খেয়েছে বার্সেলোনা। মাঝমাঠে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে ফাউল করায় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন বার্সার অন্যতম ভরসার পাত্র লুক ডি ইয়ং। যার ফলে পরের ম্যাচটি খেলতে পারবেন না তিনি। অবশ্য ডি ইয়ংয়ের হলুদ কার্ডটি নিয়ে সংশয়ের জায়গা ছিলো অনেক। এই হতাশাজনক ড্রয়ের পর পাঁচ ম্যাচে ২ জয় ও ৩ ড্রয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের সাত নম্বরে রয়েছে বার্সেলোনা। এক ম্যাচ বেশি খেলে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ১৪ নম্বরে কাদিজ।

    এন-কে

  • বার্সেলোনার শেষ মুহূর্তের গোলে রক্ষা

    বার্সেলোনার শেষ মুহূর্তের গোলে রক্ষা

    গেল ম্যাচে চ্যাম্পিয়নস লিগে হতাশা দিয়ে শুরু করেছে বার্সেলোনা। বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ওই হারের ক্ষততে প্রলেপ দিতে চেয়েছিল লা লিগায় জয় দিয়ে। কিন্তু সেটা আর হলো কই? উল্টো ম্যাচের দুই মিনিট না যেতেই গ্রানাদার বিপক্ষে গোল খেয়ে বসে বার্সা। এক পর্যায়ে হারের শঙ্কায় পড়ে যায় ক্লাবটি। তবে শেষ পর্যন্ত অঘটন হয়নি। শেষ মুহূর্তে গোল করে দলকে হারের মুখ থেকে রক্ষা করলেন রোনালদ আরাহো।

    গতকাল সোমবার রাতে ন্যু-ক্যাম্পে লা লিগার ম্যাচে গ্রানাদার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে বার্সা। গ্রানাদার হয়ে একমাত্র গোলটি করেন দোমিনগোস দুয়ার্ত।

    অবশ্য পুরো ম্যাচে বল দখলে এগিয়ে ছিল বার্সেলোনা। ম্যাচের ৭৭ ভাগ সময় বল দখলে রেখে ১৭টি শট নেয় কাতালানরা। যার মধ্যে ছয়টি ছিল অনটার্গেট শট। বিপরীতে পাঁচ শটের কেবল দুটি লক্ষ্যে যাওয়ার মতো ছিল গ্রানাদার।

    সবদিক দিয়ে এগিয়ে থাকা বার্সেলোনা গোল খেয়ে বসে শুরুতেই। বার্সা সমর্থকদের চমকে দিয়ে দ্বিতীয় মিনিটে এগিয়ে যায় গ্রানাদা। বাঁ দিক থেকে সতীর্থের ক্রসে দূরের পোস্টে হেডে ফাঁকা জালে বল পাঠান দুয়ার্ত।

    এরপর রক্ষণ আগলে খেলে গ্রানাদা। এক পর্যায়ে হারের শঙ্কায় পড়ে যায় বার্সা। তবে শেষ পর্যন্ত আর অঘটন হয়নি। ঠিক ৯০ মিনিটের মাথায় গোল করে বার্সাকে রক্ষা করেন আরহো। টিনএজার গাভির ক্রসে কাছ থেকে হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন উরুগুয়ের ডিফেন্ডার। ফলে এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।

    চলতি লিগে চার ম্যাচে দুটি করে জয় ও ড্রয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে আছে বার্সেলোনা। ৩ পয়েন্ট নিয়ে ১৭তম স্থানে গ্রানাদা। পাঁচ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে রিয়াল মাদ্রিদ। ২ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয়তে আছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ।

    এন-কে

  • বার্সার ক্ষতি ৪৮২৫ কোটি টাকা

    বার্সার ক্ষতি ৪৮২৫ কোটি টাকা

    বার্সেলোনার জন্য ২০২০-২১ মৌসুমটি একেবারেই ভালো যায়নি, কাতালান ক্লাবটির ক্ষতির পরিমাণ শুনলে আঁতকে উঠতে পারে যে কেউ। ক্লাব ম্যানেজমেন্টের প্রকাশিত হিসাব অনুযায়ী ৪৮১ মিলিয়ন ইউরো ক্ষতি হয়েছে তাদের। বাংলাদেশি টাকার হিসাবে যার পরিমাণ প্রায় ৪ হাজার ৮২৫ কোটি ৮১ লাখ ৫১ হাজার ৭২৫ টাকা।

    বার্সেলোনা পরিচালক বোর্ড শুক্রবার ২০২১-২২ মৌসুমের বাজেট প্রকাশ করেছে। নতুন মৌসুমে তাদের বাজেটের আকার ৭৬৫ মিলিয়ন ইউরো। এদিনই বিগত বছরের লাভ-ক্ষতির হিসাব প্রকাশ করা হয়।

    উল্লেখ্য, দলের পরবর্তী বোর্ড মিটিং অনুষ্ঠিত হবে এ বছরের ১৬ ও ১৭ অক্টোবর। ওই মিটিং চলাকালীন বার্সেলোনা মুখোমুখি হবে ভ্যালেন্সিয়ার।

    বোর্ড মিটিংয়ে দলের কোচ রোনাল্ড কোম্যানের ভবিষ্যৎ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সম্প্রতি একটা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল যে, সাম্প্রতিক ব্যর্থতার কারণে কোম্যানকে অব্যাহতি দিতে চলেছেন ক্লাব সভাপতি লাপোর্তা। কিন্তু মিটিংয়ে বার্সা সভাপতি বলেছেন, তিনি হঠাৎ করে কোম্যানকে বরখাস্ত করতে চান না।

    এর আগে মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মঙ্গলবার ৩-০ গোলে হারের পর হুয়ান লাপোর্তা, সহসভাপতি রাফা ইউস্তে ও সিইও মাতিও অ্যালেমানি রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন ন্যু ক্যাম্পে। মিটিংয়ে কী নিয়ে কথা হয়েছে তা জানা না গেলেও অনেকে আন্দাজ করে নিয়েছেন যে, ঝড়ের পর যেভাবে মেরামতের কাজ চলে তেমন কিছুই করার পরিকল্পনা গ্রহণ করছেন বার্সা নেতারা। এর আগেও যে একবার বায়ার্নের বিপক্ষে ৮-২ গোলের বিশাল ব্যবধানে হেরেছিল বার্সা। সে কারণে মঙ্গলবারের ম্যাচটিকে অনেকে বার্সার জন্য প্রতিশোধের ম্যাচ বলেও অভিহিত করেছিলেন।

    গত মৌসুমে করোনার কারণে বার্সার ক্ষতির পরিমাণ বহুগুণে বেড়েছে। মহামারির সময়কালে ক্লাবের ম্যাচগুলো দর্শকরা সরাসরি এসে দেখতে পারেনি। যে কারণে আয়ের একটা অংশ থেকে বঞ্চিত হয় কাতালান ক্লাবটি। এটি অবশ্য শুধু বার্সেলোনার ক্ষেত্রেই না, ইউরোপসহ সারা বিশ্বের ক্লাবগুলোর ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। তা ছাড়া সংকটকালীন সময়ে স্পন্সরও স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কম পেয়েছে বার্সা।

    গত মৌসুমে এমনিতেই উত্তাল ছিল বার্সেলোনার সার্বিক পরিস্থিতি। জোসেফ মারিয়া বার্তোমেউকে তোপের মধ্যে থেকে ক্লাবা ছাড়তে হয়। তারপর নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন হুয়ান লাপোর্তা। আবার লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ব্যর্থতাও আরও নেতিবাচক দিকে ঠেলে দেয় ক্লাবটিকে।

    এন-কে

  • মেসির বার্সা ছাড়ার জন্য দায়ী লা লিগা সভাপতি, বলছেন লাপোর্তা

    মেসির বার্সা ছাড়ার জন্য দায়ী লা লিগা সভাপতি, বলছেন লাপোর্তা

    ২১ বছরের সম্পর্ক ভেঙে প্যারিসে পাড়ি জমিয়েছেন লিওনেল মেসি। ফ্রান্সের ক্লাব পিএসজির হয়ে এরই মধ্যে অভিষেকও হয়ে গেছে আর্জেন্টাইন তারকার। কিন্তু, এতদিনেও মেসির চলে যাওয়ার ক্ষত শুকায়নি বার্সেলোনার। প্রায়ই বিভিন্ন মাধ্যমে কথা উঠছে মেসির বার্সেলোনা ছাড়া প্রসঙ্গে। এবার এ প্রসঙ্গে বার্সা’র সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা জানিয়েছেন, মেসির বার্সা ছাড়ার জন্য দায়ী হলেন লা লিগার প্রধান হাভিয়ের তেবাস।

    মূলত লা লিগার ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে নিয়মের কারণে নিজেদের ক্লাব ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়কে ছাড়তে হয়েছে বার্সেলোনাকে। লা লিগার নিয়মের কারণে অনেকটা বাধ্য হয়েই প্রিয় ক্লাব ছেড়েছেন রেকর্ড ছয় বারের বর্ষসেরা ফুটবলার।

    স্পেনের দৈনিক ক্রীড়াপত্রিকা স্পোর্তকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গত রোববার তেবাস জানিয়েছিলেন, সিভিসি ক্যাপিটাল পার্টনার্সের সঙ্গে বিনিয়োগের চুক্তি বার্সেলোনা প্রত্যাখ্যান করার জন্যই আর্জেন্টাইন তারকাকে ধরে রাখতে পারেনি তারা।

    তেবাসের এই অভিযোগ প্রত্যাখান করেছেন বার্সা সভাপতি লাপোর্তা। তেবাসের সাক্ষাৎকারের পরদিনই বার্সা টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লাপোর্তা বলেছেন, ‘সম্প্রীতি ও সংবেদনশীলতার পরিবর্তে তিনি (তেবাস) সবসময় দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের পথ খোঁজেন। কীভাবে বার্সা ও এর মূল্যবোধের ক্ষতি হয়, সবসময় তিনি সেটা দেখার অপেক্ষায় থাকেন, এটা তাঁর মানসিক অসুস্থতা। কিন্তু আমরা কাতালানরা এরই মধ্যে তাঁকে চিনে ফেলেছি।”

    এরপর লাপোর্তা বলেছেন, ‘তিনি (তেবাস) বলেছেন, মেসি বার্সায় থাকেনি। কিন্তু না থাকার জন্য দায়ী তিনিই, তাঁর (নিয়ম নিয়ে) বাড়াবাড়ির কারণেই এমনটা হয়েছে। বাকি লিগগুলো (ফেয়ার প্লে নিয়মের ক্ষেত্রে) অনেক নমনীয় হয়েছে এবং তাদের সবচেয়ে উপযুক্ত খেলোয়াড়দের রাখতে পেরেছে।’

    এন-কে