Tag: বাড়ি লকডাউন

  • রাউজানের হলদিয়ার ২ নং ওয়ার্ডে একজনের করোনা শনাক্ত, বাড়ী লকডাউন

    রাউজানের হলদিয়ার ২ নং ওয়ার্ডে একজনের করোনা শনাক্ত, বাড়ী লকডাউন

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :
    চট্টগ্রামের রাউজানের হলদিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডে মোরশেদ নামের একজনের করোনা পজেটিভ আসায় তার বাড়ি লকডাউন করেছে প্রশাসন।

    উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে হলদিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ নাছির উদ্দিন স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের নিয়ে ১৯ জুন (শুক্রবার) সন্ধ্যায় আক্রান্ত মোরশেদের পরিবারসহ তিন পরিবারকে লকডাউন করেন।

    এ সময় সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর নির্দেশে ১ নং হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে মোরশেদের পরিবারে খাদ্যসহায়তা প্রদান করা হয়।

    আক্রান্ত মোরশেদ এলাকার মহতের বাড়ির মোঃ মুছার পুত্র।

    স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ নাছির উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ১৯ জুন জুমাবার আমার ওয়ার্ডের উত্তর সর্তা মহতের বাড়ির মোঃ মুছার পুত্র মোরশেদের করোনা পজেটিভ আসার সংবাদ পেয়ে রাউজান উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের পরামর্শক্রমে আমি পুলিশ প্রশাসন নিয়ে মোরশেদের ঘরসহ তিন পরিবারকে লকডাউন করেছি। এ সময় হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ হতে মোরশেদের পরিবারে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত মোরশেদের পরিবারের যে কোনো প্রয়োজনে আমরা ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে সার্বিক সহযোগিতা করবো।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/রানা

  • আনোয়ারায় স্বামী-স্ত্রীর করোনা পজিটিভ,বাড়ি লকডাউন

    আনোয়ারায় স্বামী-স্ত্রীর করোনা পজিটিভ,বাড়ি লকডাউন

    আনোয়ারা(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি:চট্টগ্রাম আনোয়ারা উপজেলার হাজীগাঁও গ্রামের স্বামী-স্ত্রী দুই জনের করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) পজিটিভ রির্পোট এসেছে।

    বুধবার (২০ মে) চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটস্থ বিআইটিআইডিতে করোনার নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে আনোয়ারার দুই জনের পজেটিভ ঘোষণা করেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা: সেখ ফজলে রাব্বি।

    আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, বুধবার রাতে জেলা সিভিল সার্জন অফিস থেকে রির্পোট পাওয়ার পর আনোয়ারায় ২ আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করেছি। করোনা আক্রান্ত দু’জন স্বামী স্ত্রী।

    এ নিয়ে আনোয়ারায় পঞ্চম করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। প্রথম করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি করোনা ১৪ দিন কোয়ারান্টাইন থাকার পর সুস্থ হয়েছে এবং দ্বিতীয় রির্পোটে করোনা ভাইরাস নেগেটিভ এসেছে। নতুন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়ি লকডাউন করার প্রক্রিয়া চলছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/জাবেদুল

  • ফটিকছড়িতে যুবকের করোনা পজেটিভ : বাড়ী লকডাউন

    ফটিকছড়িতে যুবকের করোনা পজেটিভ : বাড়ী লকডাউন

    ফটিকছড়ি প্রতিনিধি:ফটিকছড়িতে এক যুবকের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ২৩ বছর বয়সী ওই যুবকের বাড়ি উপজেলার সমিতিরহাট ইউনিয়নে।

    মঙ্গলবার (১৯ মে) ওই যুবকের বাড়ি লকডাউন করেছে প্রশাসন।

    উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইলিয়াস চৌধুরী মঙ্গলবার (১৯ মে) মঙ্গলবার দুপুরে এ তথ্য জানান।

    তিনি জানান, ওই যুবক হাটহাজারী উপজেলার নাঙ্গলমোড়া ইউনিয়নে তার বোনের বাড়ীতে থাকতেন। পূর্বে তার যক্ষা রোগ ছিল।

    সম্প্রতি তার কাঁশি আর গলা ব্যাথা দেখা দিলে গত ১৪মে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা পরিক্ষার জন্য নমুনা দেয়।

    নমুনা দিয়েই তিনি তার বাড়ী ফটিকছড়ি উপজেলায় চলে আসেন গতকাল সোমবার (১৮ মে) রিপোর্টে তার করোনা পজিটিভ আসে।

    তবে বর্তমানে তার করোনার উপসর্গ নেই বলে তাকে বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সায়েদুল আরেফিন জানান, আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা পরিবারের সদস্যদের পরিক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হবে।

    উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত ফটিকছড়ি উপজেলায় ৩জনের করোনা শনাক্ত হয়। তাদের মধ্যে একজন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছে। বাকী দুজন চিকিৎসাধনী

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/জুনায়েদ

  • রাউজানে আরও একজনের করোনা শনাক্ত, বাড়ি লকডাউন,

    রাউজানে আরও একজনের করোনা শনাক্ত, বাড়ি লকডাউন,

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :
    চট্টগ্রামের রাউজানে আরো একজনের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। উপজেলার ১ নং হলদিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের জামাল পোস্ট মাস্টার বাড়ির সিএনজি চালক মোঃ রুবেল এর স্ত্রী রুপসী আকতারের নমুনায় করোনা শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম।

    তিনি বলেন, রুপসী আকতার নাজিরহাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে তার অপারেশন সম্পন্ন হয়। পরে তার শরীরে জ্বর আসায় হাটহাজারীতে তার নমুনা পরীক্ষা সংগ্রহ করা হয়।

    রবিবার রুপসী আকতারের শরীরে করোনা সংক্রমণের বিষয়টি জানান, রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ নুর আলম ডীন।

    বিষয়টি রাউজানের সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে অবহিত করার পর রাউজান উপজেলা প্রশাসন বাড়িটি লকডাউন করেন।

    সাংসদের নির্দেশে রুপসী আকতারের পরিবারে খাদ্য সহায়তা নিয়ে যান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম ও উপজেলা যুবলীগ নেতা হাসান মুরাদ রাজু।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/রানা

  • মিরসরাইয়ে স্কুল ছাত্রীর করোনা শনাক্ত, বাড়ি লকডাউন

    মিরসরাইয়ে স্কুল ছাত্রীর করোনা শনাক্ত, বাড়ি লকডাউন

    মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:::
    মিরসরাইয়ে এক স্কুল ছাত্রীর (১৫) করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সে উপজেলা করেরহাট ইউনিয়নের অলিনগর গ্রামের অলিনগর এল.বি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রী। তাকে ফেনী ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

    বুধবার (৬ মে) দুপুর ৩টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিনের নেতৃত্বে ওই রোগীর বাড়ি লকডাউন করেছেন। মিরসরাইয়ে এ পর্যন্ত ৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

    জানা গেছে, গত সোমবার (৪ মে) করোনার উপসর্গ জ্বর সর্দি দেখা দেয় ওই কিশোরীর। চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন ফেনী জেলার করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র ফেনী ট্রমা সেন্টারে। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর আজ জানা যায় ওই কিশোরী সংক্রমিত হয়েছে। খবর পেয়ে মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় করেরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন ওই এলাকায় গিয়ে লকডাউনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন। এসময় চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়নের পক্ষ থেকে ওই যৌথ পরিবারটির জন্য পুরো একমাসের খাবার রসদ প্রদান করা হয়। পরিবারটির নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রাখার জন্য একজন গ্রাম পুলিশ সদস্য নিয়োজিত করা হয়েছে।

    এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন জানান, আমার ইউনিয়নে একজন করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে। সতর্কতার অংশ হিসেবে ওই পরিবারটিকে ইউএনও মহোদয়ের উপস্থিতিতে লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে। এজন্য তাদেরকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও রসদ সরবরাহ করেছি। তিনি সকলকে হোমকোয়ারিন্টাইনে থাকার জন্য এবং ইউনিয়নের সকল জনগনকে জরুরী প্রয়োজন ব্যতিত বাড়ির বাইরে না যেতে অনুরোধ করছি।

    মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন জানান, ওই মেয়ের বাবা চট্টগ্রামে সিএন্ডএফ এজেন্সিতে চাকুরী করেন। সে সূত্রে তিনি চট্টগ্রামে আসা যাওয়ার মধ্যে রয়েছেন। ধারনা করা হচ্ছে বাবার মাধ্যমেই সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারে সে। আগামীকাল পরিবারের বাকি সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। ওই পরিবারটি সহ পাশ্ববর্তী কয়েককটি পরিবারকে লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে ।

    উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৮ এপ্রিল খইয়াছড়া ইউনিয়নের নিজতালুক গ্রামে রাজিয়া সুলতানা নামের এক মহিলা ও গত ২৮ এপ্রিল মিঠানালা ইউনিয়নের পাত্তারপুকুর এলাকায় এক গাড়ি চালকের শরীরে করোনা সনাক্ত হয়। তাদের মধ্যে রাজিয়া সুস্থ হয়ে গত মঙ্গলবার বাড়ি ফিরেছেন। অন্যজন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/আশরাফ

  • মিরসরাইতে ২৫ পরিবার লকডাউনে

    মিরসরাইতে ২৫ পরিবার লকডাউনে

    আশরাফ উদ্দিন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম):::মিরসরাইয়ে কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) এ আক্রান্ত দ্বিতীয় রোগী শনাক্ত হওয়ায় ৩টি বাড়ির ২৬ পরিবারকে লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন। ওই রোগী সরাসরি সংস্পর্শে থাকা ১৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া তার সাথে ফুলবল খেলায় অংশগ্রহণ করা এলাকার লোকজন ও তাদের পরিবারের খোজ নেওয়া হচ্ছে।

    নতুন এই রোগী গত ২১ এপ্রিল শ্বাসকষ্ট নিয়ে ফৌজদারহাটে অবস্থিত বাংলাদেশ ট্রপিক্যাল ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) এ নমুনা প্রদান শেষে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন।

    সোমবার (২৭ এপ্রিল) রাতে (বিআইটিআইডি) সংগ্রহকৃত নমুনার ফলাফল প্রকাশ করলে মিরসরাইয়ের ওই যুবকের রিপোর্ট পজিটিভ আসার বিষয়টি চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

    তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন।

    জানা গেছে, আক্রান্ত যুবক (৩০) মিঠানালা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের পাত্তার পুকুর গ্রামের মোল্লা বাড়ির বাসিন্দা। পেশায় তিনি একজন প্রাইভেটকার চালক। গাড়ী চালক হওয়ায় তিনি অন্যের মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত ১৮ এপ্রিল বাড়ির পাশে ফুটবল খেলে সন্ধ্যায় বাড়িতে আসার পর থেকেই তিনি অসুস্থতাবোধ করেন। এসময় জ্বর ও গলা ব্যাথা অনুভব করলে গত ২১ এপ্রিল বিআইটিআইডিতে গিয়ে নিজে নমুনা দেন এবং পরবর্তীতে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ উপজেলা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া যুবকের বাড়ী ও তার গাড়ীর সহকারীর বাড়ি এবং তাকে চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে যাওয়া ওই গাড়ীর চালকের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। ১৬জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত : গত ১৮ এপ্রিল উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়নের নিজতালুক গ্রামে প্রথম এক নারী করোনা রোগী হিসেবে মিরসরাইয়ে সনাক্ত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • পটিয়ায় নতুন করোনা রোগী শনাক্ত : দিনে প্রাইভেট হাসপাতাল,রাতে ১২ বাড়ি লকডাউন

    পটিয়ায় নতুন করোনা রোগী শনাক্ত : দিনে প্রাইভেট হাসপাতাল,রাতে ১২ বাড়ি লকডাউন

    সনজয় সেন,পটিয়া প্রতিনিধিঃ বুধবার দুপুরে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে পটিয়ার একমাত্র প্রাইভেট হাসপাতাল পটিয়া সেন্ট্রাল হাসপাতালটি ৭দিন বন্ধ রাখা এবং ডাক্তার ১৪দিন হোম কোয়ারেইন্টিন থাকার নির্দেশ প্রদান করেন পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারহানা জাহান উপমা।

    এছাড়া বুধবার দিনগত রাত ১.৩০ ঘটিকায় পটিয়া পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কাগজীপাড়া নাইখাইন রোডের ১২ টি ঘর (পরিবার মোট ১৪টি, সদস্য সংখ্যা প্রায় ৫০ জন) লকডাউন করা হয়। আগামী ১৪দিন এই ঘরগুলোর কোন সদস্য এখান থেকে বের হতে বা নতুন কেও এখানে প্রবেশ করতে পারবেন না।

    আক্রান্ত রোগীকে চট্টগ্রামের জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    এসময় রোড সংলগ্ন এলাকায় লাল পতাকা টাকানো হয় ও আপাতত ২০ কেজি চাল, ও অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী দেয়া হয়। এলাকার মসজিদ থেকেও মাইকিং করা হয়।

    আজ বৃহস্পতিবার আরো মানবিক সহায়তা প্রদান করা হবে। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পুলিশ, ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ডাক্তার, ও ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।

    আক্রান্ত ব্যক্তির এক আত্মীয় দুই মাস আগে বিদেশ থেকে এসেছেন বলে জানা যায়। কিন্তু, সদ্য অন্য কোন বিদেশ ফেরত ব্যক্তির সরাসরি সংস্পর্শে তিনি আসেননি বলে জানা যায়।

    লকডাউনকৃত ব্যক্তিরা ছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির স্বামী/পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা গত কয়েকদিনে যাদের সংস্পর্শে এসেছেন তাদের আবশ্যিকভাবে আগামী ১৪দিন হোম কোয়ারেন্টাইন এ থাকতে হবে। আক্রান্ত রোগীর পরিবারের সদস্যদের সাথে যাদের সংস্পর্শ হয়েছিল তাদের তালিকা করা হচ্ছে।

    উল্লেখ্য পটিয়ার হাইদগাঁও ১ নং ওয়ার্ডে ওসমান পাড়া এক ৬ বৎসরের শিশু মারা যায়। পরে ২০০০ পরিবার কে লকডাউন করে দেন।

  • করোনা: ফটিকছড়িতে দুই বাড়ি লকডাউন

    করোনা: ফটিকছড়িতে দুই বাড়ি লকডাউন

    ফটিকছড়ি প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের ফিরিঙ্গিবাজারে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে যাওয়ায় ফটিকছড়িতে দুই কর্মচারীর বাড়ি লকডাউন করেছে প্রশাসন।

    শনিবার উপজেলার নানুপুর ও পাইন্দং ইউনিয়নের দুটি বাড়িতে লাল পতাকা দিয়ে চিহ্নিত করে দেয় প্রশাসন। আগামী ১৪দিন দুটি বাড়ির কেউই বাইরে বের না হতে বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

    প্রসংঙ্গত, শুক্রবার ১০ এপ্রিল চট্টগ্রাম নগরীর ফিরিঙ্গি বাজার এলাকার ৫০ বছর বয়সী সাইফুদ্দিন মানিকের করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়। তিনি ফটিকছড়ি উপজেলার ৪ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম নানুপুর গ্রামের মান্নান ডাক্তার বাড়ির হোসাইন সওদাগরের বড় পুত্র।

    তিনি নগরীর ফিরিঙ্গিবাজার এলাকায় নিজস্ব ভবনে বাস করতেন। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী। তার দোকানে চাকুরী করতেন নুরুল ইসলাম ও এরশাদ।

    এদের মধ্যে নুরুল ইসলাম, ওই ব্যবসায়ীর একই বাড়ির সিদ্দিক অাহমদের ছেলে। অপরজন এরশাদ পাইন্দং ইউনিয়নের হাইদচকিয়া গ্রামের ৪ নং ওয়ার্ডের খালাছির বাড়ির আহমদ ছাফার ছেলে।

    চট্টগ্রামের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির জানান, শুক্রবার শতাধিক নমুনা পরীক্ষা করে দুজন করোনা পজেটিভ রোগী পাওয়া গেছে। এদের একজনের বয়স ৩৫, অপরজনের বয়স ৫০। দুজনই পেশায় ব্যবসায়ী। তবে দুই জনের কেউই প্রবাসী ছিলেন না। কিন্তু মানিকের ভাই সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন। তাঁর থেকে সংক্রমণ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    শনিবার বিকালে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সায়েদুল আরেফিন বলেন, ‘ফটিকছড়িতে দুটি বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে। দুই বাড়ির সদস্যদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

  • করোনা : নারায়নগঞ্জে আক্রান্ত, চট্টগ্রামের বাড়ি সাতকানিয়ার তিন গ্রাম লকডাউন

    করোনা : নারায়নগঞ্জে আক্রান্ত, চট্টগ্রামের বাড়ি সাতকানিয়ার তিন গ্রাম লকডাউন

    নারায়ণগঞ্জে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার এক ব্যক্তির গ্রামে তিনটি বাড়ি লকডাউন করেছে জেলা প্রশাসন। উপজেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, করোনা আক্রান্ত ওই ব্যক্তি সম্প্রতি বাড়ি ঘুরে গেছেন।

    মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনায় চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের ওই তিনটি বাড়ি লকডাউন করা হয় বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরে আলম।

    নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘সাতকানিয়ার এক ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জে থাকা অবস্থায় করোনা পজেটিভ হন। তার পরিবার সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে, তিনি গত ২০ মার্চ গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন। এ জন্য তার নিজের বাড়িসহ তিনটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।’

    চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘নতুন যে ৪১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে একজন চট্টগ্রামের। তবে তিনি নারায়ণগঞ্জে বসবাস করেন, সেখানেই আক্রান্ত হয়েছেন, তিনি রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

    ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ডা. ফরহান উদ্দীন চৌধুরী মারুফ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সাতকানিয়ার রোগীটি নিয়ে অনেকে প্রশ্ন করছেন। উনি নারায়ণগঞ্জ থাকেন। এখানেই তিনি অসুস্থ হয়েছেন। তিনি বর্তমানে ঢাকার একটি করোনা হাসপাতালে ভর্তি আছেন। উনার পরিবারের সদস্য এবং উনাকে যেসব চিকিৎসক সেবা দিচ্ছেন তাদের সাথে আমার নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। উনার সাতকানিয়ার আত্মীয়-স্বজনদের সাথেও নিয়মতি যোগাযোগ হচ্ছে। পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনরা যারা উনার সংস্পর্শে এসেছিলেন সবাই এখনো পর্যন্ত সুস্থ আছেন। আপনারা রোগীটির জন্য বিশেষভাবে দোয়া করেন। আর যদি পারেন আল্লাহর ওয়াস্তে ঘরের খেতরে থাকুন।

  • কমলগঞ্জের পতনউষায় ৪টি বাড়ি লকডাউন

    কমলগঞ্জের পতনউষায় ৪টি বাড়ি লকডাউন

    মবু আহমেদ চৌধুরী, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার আকুয়া গ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির পাশবর্তী গ্রাম গোপালনগর থেকে এক ব্যক্তি কমলগঞ্জের পতনউষায় শশুর বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। একারণে এই ইউনিয়নের ৪টি বাড়ি লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন।

    সোমবার (৬ এপ্রিল) বিকাল ৪ঘটিকায় কমলগঞ্জের ২নং পতনঊষার ইউনিয়নের উত্তর পতনউষার মফিজ মিয়ার বাড়িসহ ৪টি বাড়ি লকডাউন করে লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশেকুল হক। এ ঘটনায় গোটা এলাকায় আতংক বিরাজ করছে।

    জানা য়ায়, কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী পতনউষার ইউনিয়ন হতে মাত্র ৫ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত রাজনগর উপজেলার করোনায় আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির গ্রাম আকুয়া। ওই গ্রামের পাশ্বর্তী গোপালনগর গ্রাম হতে সোমবার সকালে এক ব্যক্তি তার শশুড় বাড়ি উত্তর পতনউষারে মফিজ মিয়ার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। এ সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আতংক সৃষ্টি হয়।

    খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে পুলিশ ও মেডিকেল টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে মফিজ মিয়ার পরিবারসহ আশ পাশের ৪টি বাড়ি লকডাউন ঘোষনা করেন। এসময় বাড়ির সীমানায় লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে দেয়া হয় এবং আশপাশে কেউ যাতায়াত না করার নির্দেশও দেয়া হয়।

    কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশেকুল হক বলেন, রাজনগরের টেংরা ইউনিয়নটি লকডাউন করা হয়েছে। মৃত ওই ব্যক্তি পাশের গ্রাম গোপালনগর হতে একটি লোক পতনউষারের শশুর বাড়ি আসায় ৪টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। যাতে করে অন্য মানুষের সংস্পর্শে বাড়ির লোকজন না যায়। ৫টি পরিবারকে স্থানীয় চেয়ারম্যান খাদ্য সামগ্রী বাড়িতে পৌছে দিবেন।