Tag: বায়েজিদ

  • চট্টগ্রামের রৌফাবাদে স্বামী স্ত্রীসহ তিন মাদক কারবারী গ্রেফতার

    চট্টগ্রামের রৌফাবাদে স্বামী স্ত্রীসহ তিন মাদক কারবারী গ্রেফতার

    চট্টগ্রামের বায়েজিদ রৌফাবাদ এলাকা থেকে স্বামী স্ত্রীসহ তিন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ১৬০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। গতকাল সন্ধ্যায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    গ্রেফতার কৃতরা হলেন তাসলিমা আকতার (১৯), মো. ফয়সাল (৩৩) ও মোহাম্মদ রহিম (২০)। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বায়েজিদ থানায় মাদক আইনে মামলা করা হয়েছে। বায়েজিদ বোস্তামি থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইয়াবা বেচাকেনার সময় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় গ্রেফতার হওয়া তাসলিমার মা খতিজা বেগম পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তাকে গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

    স্থানীয় এবং পুলিশ সুত্র জানায়, নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানাধীন রৌফাবাদ এলাকায় খতিজা বেমগ একটি সিন্ডিকেট করে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসাসহ জুয়ার আসর ও পতিতা ব্যবসা চালিয়ে আসছে। ইতিপূর্বে পুলিশের হাতে খতিজা বেশ কয়েকবার গ্রেফতার হলেও পরে ছাড়া পেয়ে পুনরায় এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

  • বায়েজিদে চসিক’র উচ্ছেদ অভিযান শেষে আবারও দখল পায়তারা

    বায়েজিদে চসিক’র উচ্ছেদ অভিযান শেষে আবারও দখল পায়তারা

    চট্টগ্রাম ডেস্ক : চসিকের চলমান অভিযানের মধ্যে ৩০ সেপ্টেম্বর বায়েজিদ বোস্তামী মেইন সড়কের পাশে অবৈধভাবে গড়ে উঠা দোকান রিক্সার গ্যারেজ সহ একাধিক অবৈধ স্হাপনা উচ্ছেদ করা হয়। বায়েজিদ চা বোর্ড সংলগ্ন থেকে অক্সিজেন মোড় পর্যন্ত এ অভিযান চলে।

    এদিকে বায়েজিদ মাজার পুকুর পূর্ব পাড় গণপূর্তের জায়গার উপর অবৈধভাবে গড়ে তুলেছিলো দোকানপাট জনসাধারণের চলাচল রাস্তাও দখল করে নিয়ে কথিত হকারলীগের ব্যনারে বাবুল নামক ব্যক্তি দীর্ঘদিন যাবত চাঁদাবাজি করে আসছে।

    ফুটপাত দখল করে নেওয়াতে জনসাধারণের চলাচলের খুব অসুবিধা হতো বলে জানান স্থানীয় জনগণ।

    চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন নিজেই দারিয়ে থেকে অভিযান চালালে কথিত হকারলীগ নেতা বাবুল চুপসে যায়। উচ্ছেদ অভিযান শেষ করে চসিক প্রশাসক ফিরে গেলে তার ঘন্টা ক্ষানিকের মধ্যে বাবুল ও তার ভগ্নিপতি রাজ্জাককে সাথে নিয়ে পুনরায় অবৈধ দোকান গড়ে তুলতে কাজ শুরু করে। জনসাধারণ বলছে বাবুল চসিক প্রশাসককে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে তার ক্ষমতা আছে জানান দিলো।

    ২৪ ঘণ্টা/রানা

  • বায়েজিদে নিজ বাসা থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার

    বায়েজিদে নিজ বাসা থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার

    চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামি এলাকায় নিজ বাসা থেকে বিবি ফাতেমা লিপি (২১) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

    মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে শেরশাহ বাংলাবাজারে গুলশান হাউজিং কলোনির একটি বাসা থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

    বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার বলেন, ‘বিবি ফাতেমার স্বামী কামরুজ্জামান একজন দিনমজুর। রাতে বাসায় ফিরে স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে। মরদেহের পাশে একটি হামানদিস্তাও মিলেছে। ধারণা করছি, ওই হামানদিস্তা দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন করা হয়েছে।’

    হত্যাকাণ্ডের কারণ উদঘাটন ও এর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

  • চট্টগ্রামের বায়েজিদে ময়লার স্তুপ থেকে জীবিত নবজাতক উদ্ধার করল পুলিশ

    চট্টগ্রামের বায়েজিদে ময়লার স্তুপ থেকে জীবিত নবজাতক উদ্ধার করল পুলিশ

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানা শহীদনগর এলাকার ওয়েল মিলস্ জি.সি. ফ্যাক্টরীর পাশের ময়লার স্তুপে মিলল জীবিত নবজাতক কন্যা।

    স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে রবিবার সকাল পৌণে ১১টার সময় ময়লার স্তুপ থেকে নবজাতক কন্যাটিকে উদ্ধার করে বায়েজিদ থানা পুলিশ। ডাস্টবিনে মিরল জীবিত নবজাতক

    পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় নবজাতক শিশুটিকে স্থানীয় অক্সিজেন মোড়স্থ প্লাজমা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য নবজাতক মেয়ে শিশুটিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যান।ডাস্টবিনে মিরল জীবিত নবজাতক

    তথ্যটি নিশ্চিত করেন বায়েজিদ বোস্তামি থানার ওসি প্রিটন সরকার। তিনি বলেন, ময়লার স্তুপে নবজাতক কন্যাকে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। বিষয়টি উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাককে অবহিত করলে তার নির্দেশে বায়েজিদ থানা পুলিশের একটি টিম নবজাতক শিশুটিকে উদ্ধার করে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করান। ডাস্টবিনে মিরল জীবিত নবজাতক

    পরে চমেক হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসক শিশুটির শারিরিক অবস্থা ভালো উল্লেখ করে চিকিৎসক সনদ প্রদান করলে শিশুটিকে পরিচর্যার জন্য চমেক হাসপাতাল সমাজসেবা পরিচালকের কার্যালয়ের মাধ্যমে রৌফাবাদ ছোট মণি নিবাস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

    ওসি বলেন, বর্তমানে অভিভাবকহীন নবজাতক শিশুটি বায়েজিদের রৌফাবাদ এলাকার ছোট মণি নিবাস কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে আছেন।

  • বায়েজিদে বন্দুকযুদ্ধে হত্যা মামলার আসামি নিহত

    বায়েজিদে বন্দুকযুদ্ধে হত্যা মামলার আসামি নিহত

    চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামি থানার শেরশাহ এলাকায় একটি খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত আসামি এমদাদ (৩৮) পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।

    শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ভোরে বায়েজিদের মাঝিরঘোনা এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত এমদাদ বায়েজিদের শেরশাহ কলোনীর ফরিদ আহমদের ছেলে।

    জানা গেছে, বায়েজিদ বোস্তামি থানা এলাকায় মঙ্গলবার রাতে পূর্ব শত্রুতার জেরে ছুরিকাঘাতে মো. রিপন নামে এক যুবক খুন হয়। সেই হত্যা মামলার এজাহারের ৫ নম্বর আসামি ছিল এমদাদ।

    পুলিশ জানিয়েছে, চট্টগ্রামের মাঝিরঘোনা এলাকায় আসামি গ্রেপ্তার করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এমদাদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

  • চট্টগ্রামের রৌফাবাদ এলাকায় চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব

    চট্টগ্রামের রৌফাবাদ এলাকায় চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব

    পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে পাহাড় কাটার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও চট্টগ্রামের বায়েজিদ রৌফাবাদ এলাকায় নিষেধাজ্ঞার কোন তোয়াক্কাই করছে না অনেকেই।

    প্রশাসনের কঠোর নজরদারিতেও থেমে নেই পাহাড় কাটা। বরং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অগোচরে রীতিমত পাহাড় কাটার মহোৎসবে পরিণত হয়েছে রৌফাবাদ। দিনে রাতে চলছে পাহাড় কাটা। স্থানীয় সেলিম আমিরের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট রাত দিন সমানে পাহাড় কাটছে বলে স্থানীয়রা জানান।

    সরেজমিনে পরির্শন এবং স্থানীয় একাধিক সুত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, নগরীর পশ্চিম ষোলশহর মৌজার আওতাধীন স্টারশিপ কারখানার পিছনে রৌফাবাদ মিয়া পাহাড়টি কেটে সাবাড় করছে সিন্ডিকেটটি। শতাধিক শ্রমিকের পাশাপাশি স্ক্যাভেটর দিয়েও কাটা হয় এ পাহাড়ের মাটি।

    স্থানীয় সুত্র জানায়, জনৈক ফাতেমার ছেলের নিকট থেকে কথিত পাওয়ার নিয়ে সেলিম আমির সিন্ডিকেট উক্ত পাহাড়টি কাটছে। পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করা ছাড়াও খালি হওয়া জায়গায় আবাসিক প্লট করে তা বিক্রি করা হচ্ছে। তবে একাধিক ব্যাক্তি অভিযোগ করে বলেন, প্লট দেয়ার নামে স্থানীয়দের কাছে থেকে লাখ লাখ টাকা নিলেও কাউকে এখনো প্লট বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি।

    এ বিষয়ে কথা বলতে পাহাড় কাটার সাথে জড়িত আমির এবং সেলিমের মুটোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

    এদিকে পাহাড় কাটার খবর পেয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের পরিদর্শক রুম্পা সিকদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন একটি সিন্ডিকেট পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করছে। তাদের ব্যাপারে পরিবেশ আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    তবে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে পরিদর্শন করার পরেও থামছেনা পাহাড় কাটা। উল্টো আগের চেয়ে শ্রমিক সংখ্যা বাড়িয়ে দিন রাত সমানে কাটা হচ্ছে পাহাড়।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের পরিচালক আজাদুর রহমান মল্লিক বলেন, পাহাড় কাটার খবর পেয়ে সেখানে টিম পাঠানা হয়েছে। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।