Tag: বিএনপি-জামায়াত

  • আন্দোলনরত ছাত্রদের নিয়ন্ত্রণ বিএনপি-জামায়াতের হাতে

    আন্দোলনরত ছাত্রদের নিয়ন্ত্রণ বিএনপি-জামায়াতের হাতে

    কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের নিয়ন্ত্রণ বিএনপি-জামায়াতের হাতে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

    তিনি বলেন, আমরা আশা করেছিলাম ছাত্ররা সরকারের উদ্যোগ ও উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাবেন, কিন্তু দুঃখজনকভাবে তারা সেটি করেননি। তাদের কন্ট্রোল (নিয়ন্ত্রণ) বিএনপি-জামায়াত ও জঙ্গিদের হাতে। যারা দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার প্রচেষ্টা চালিয়েছে। এদের আক্রোশই ছিল পুলিশ ও আওয়ামী লীগের প্রতি। দুইজন সাংবাদিককে হত্যা ও একজন নারী সাংবাদিককে নাজেহাল করেছে তারা। এরা মানুষের শত্রু, জনগণের ও দেশের শত্রু।

    শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দুষ্কৃতকারীদের নাশকতা-সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

    নারায়ণগঞ্জে নজিরবিহীন তাণ্ডবের কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নারায়ণগঞ্জের শিমরাইলে একটি ভবনে আগুন দিয়ে তিন শ্রমিককে পুড়িয়ে হত্যা করেছে তারা। শিমরাইলে মা হাসপাতালেও আগুন দেয় তারা। সেখান থেকে নবজাতক ও গর্ভবতী মায়েদের অনেক কষ্টে উদ্ধার করা হয়েছে। এমনকি বিভিন্ন স্থানে পুলিশের ওপর হামলা করেছে। পিবিআই অফিস, পাসপোর্ট অফিস, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, ২ নম্বর রেলগেটে পুলিশ বক্স, সিটি কর্পোরেশন ভবন, যুব উন্নয়ন অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। মদনপুরে ছয় পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, থানায় হামলার চেষ্টা চালানো হয়েছে।

    তিনি বলেন, ওরা পদ্মা সেতুর গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ও প্ল্যান সেতু ভবনে হামলা করে পুড়িয়ে দিয়েছে৷ ত্রাণ ভবন বিনষ্ট করেছে তারা। যে বিটিভি বাংলাদেশের সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আর্কাইভে সংরক্ষণ করে, সেই বিটিভি ভবনও পুড়িয়ে দিয়েছে তারা। আমাদের স্বপ্নের ও গর্বের মেট্রোরেলও ওদের অগ্নিসংযোগে এখন বন্ধ।

    শিক্ষার্থীদের দাবি প্রধানমন্ত্রী মেনে নিয়েছেন উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ছাত্র আন্দোলনের নেতা‌রা নতুন ‌যে ৮ দফা দাবি দিয়েছিলেন সে প্রসঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন এগুলোর মধ্যে যৌ‌ক্তিক দাবিগুলো ক্রমান্বয়ে মেনে নেবেন। কিন্তু সেই সুযোগ শিক্ষার্থীরা দেননি।

    এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনের সমন্বয়কারী তিনজ‌নকে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তারা নিজেদের ওপরে হামলার শঙ্কা পরিবারকে জানিয়েছিলেন। কারা তাদের আক্রমণ করতে চায় সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রয়োজনীয় ব‌্যবস্থা নেওয়া হবে।

    তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছে যে পুলিশ, তাদের ওপর নির্মমভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। আমাদের দেশপ্রেমিক বিজিবিদের ওপরও হামলা করা হয়েছে। আমাদের র‍্যাব, পুলিশ, বিজিবি যখন একত্রে পারছিল না তখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছি। খুব শিগগিরই আমরা এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাব। আমি আগেই বলেছি, ছাত্রদের মিসগাইড করে যে ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে, অনেক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, আমাদের ছাত্রলীগের অনেকেই শাহাদাত বরণ করেছে। তিনজন পুলিশ মারা গেছেন। একজন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। বর্তমানে এক‌টি মহল সোশ্যাল মি‌ডিয়ার মাধ‌্যমে গুজব ছ‌ড়িয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে বিভ্রা‌ন্তি ছড়াচ্ছে। এইসব গুজব থেকে দেশকে রক্ষা করা সাংবাদিকদের দায়িত্ব।

    সহিংসতায় প্রাণহানির কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন। তিনজন পুলিশ ও একজন আনসার সদস্য শাহাদাত বরণ করেছেন। এক পুলিশ সদস্যকে নির্মমভাবে মেরে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছিল ওরা। গাজীপুরের সাবেক জনপ্রিয় মেয়রের পিএসকেও ওরা হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছিল। এমনকি নরসিংদী জেলখানায় ওরা হামলা করে সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের বের করে এনেছে, অস্ত্রও লুট করেছে। সেই অস্ত্র ওরা এখন পুলিশের বিপক্ষে ব্যবহার করতে চায়, জঙ্গিদের দ্বারা আবারও দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। গণমাধ্যমের ব্যক্তিরা, আপনারা ওদের বীভৎসতা, নির্মমতা বেশি করে প্রচার করুন। আমাদের পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেশপ্রেমিক। তারা এসবে ভয় পায় না।

    এদিন মন্ত্রী দুষ্কৃতকারীদের হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত পিবিআই কার্যালয়, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, সিটি কর্পোরেশন ভবন, শিল্প পুলিশ কার্যালয়সহ আরও বেশ কিছু স্থাপনা পরিদর্শন করেন।

    এ সময় নারায়ণগঞ্জ-৪ (সিদ্ধিরগঞ্জ-ফতুল্লা) আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি নুরুল ইসলাম, র‍্যাব-১১ এর অধিনায়ক তানভীর মাহমুদ পাশা, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক, নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল হাই প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • গুজব ছড়ানোর জন্য বিএনপি-জামায়াত নিয়মিত পয়সা দেয় : তথ্যমন্ত্রী

    গুজব ছড়ানোর জন্য বিএনপি-জামায়াত নিয়মিত পয়সা দেয় : তথ্যমন্ত্রী

    গুজব ছড়ানোর জন্য বিএনপি-জামায়াত নিয়মিত পয়সা দেয় বলে অভিযোগ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

    মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে গুজব প্রতিরোধ সেল এবং ফ্যাক্টস চেকিং কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন। এসময় প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়াসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    বিদেশে বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে গুজব রটানো হয় সে বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেবেন– সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিদেশে বসে নানা ধরনের গুজব অনেকে ছড়ায়। যেমন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়েও অনেক গুজব ছড়ানো হয়েছে। এগুলো বিদেশ থেকে ছড়ানো হয়েছে। আমরা এসব বিষয়ে ওয়াকিবহাল।

    তিনি বলেন, দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে এই গুজব ছড়ানোর জন্য বিএনপি-জামায়াত তাদের নিয়মিত পয়সা দেয়। এগুলো তাদের এজেন্ট। আবার পয়সা না দেওয়া ও কম দেওয়ার প্রেক্ষাপটে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে, সেটার অডিও ভাইরাল হয়েছে।

    দেশের বিরুদ্ধে গুজব রটানোর জন্য যদি একটি রাজনৈতিক দল রটনাকারীদের পয়সা দেয়, এর থেকে দুঃখজনক আর কিছু হতে পারে না– মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।

    গুজব রটনাকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অনেক জায়গায় তাদের নোটিফাই করা হয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে কয়েক জায়গায় মামলাও হয়েছে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট দেশের আইন অনুযায়ী মামলা করতে আমাদের দলের নেতাদের বলা হয়েছে।

    গুজব রটনাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি না। এ বিষয়ে আপনার দল বা সরকার কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গুজব রটনা করলে দুটি চ্যালেঞ্জ আমরা মোকাবিলা করি। দেশের মধ্যে থেকে যখন কেউ গুজব রটায় তখন তার বিরুদ্ধে মামলা হয় আইসিটি আইনে। তখন আবার বিভিন্ন পত্রিকায় নিউজ হয়, কেন মামলা হলো।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেখেন গুজব তো অনলাইনে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো হয়। সেটা তো ডিজিটাল মাধ্যম, আর সেজন্য ডিজিটাল মাধ্যমে মামলা হবে। সেখানে মামলা হলে অনেকেই চেঁচামেচি করে যে কেন মামলা হলো এবং গ্রেপ্তার করলে তো আরও বেশি কথাবার্তা হয়। শেষে কি করেছে সেটি তখন ঢাকা পড়ে যায়। এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আরেকটি হলো আমাদের বিচার প্রক্রিয়ার মধ্যে দীর্ঘসূত্রতা রয়েছে। যেকোনো মামলা ৫/৭ বছরের আগে হয় না। দ্রুত বিচার আইনে মামলা করলেও এক-দুই বছর লাগে। এটা যে শুধু আমাদের দেশে তা নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশেই এমন। কারো কারো শাস্তি হয়নি তা নয়। তবে বিচার প্রক্রিয়া যেহেতু দীর্ঘ তাই একটু সময় লাগে।

    যেসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়াচ্ছে সেসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আপনাদের কোনো আলাপ-আলোচনা হয়েছে কি না– জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, আসলে সেটা একটা বড় প্রতিবন্ধকতা। ভারত আইন করেছে সকল সার্ভিস প্রোভাইডার বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে নিবন্ধিত হতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইউকে আইন করেছে সেখানে নিবন্ধিত হতে হবে। আমাদের দেশে আইনটা এখনো হয়নি। আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করছি।

    তিনি বলেন, বার-বার তাগাদা দিচ্ছি এবং এখানে অফিস খোলার কথা বলছি। পাশাপাশি বাংলাদেশি আইনে নিবন্ধিত হওয়ার কথা বলছি। কিন্তু আমাদের এখানে নিবন্ধিত হতে হবে, সেই বাধ্যবাধকতা আরোপ আইনটি এখনো হয়নি। সেটি করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আমি আইনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, এখন তো আইন করার সময় নেই। আগামী সংসদে এ বিষয়ে আইন হবে বলে আমি আশা করছি।

  • আগামী ১০ বছরে বিএনপি-জামায়াত বলে কোনো দল থাকবে না: জয়

    আগামী ১০ বছরে বিএনপি-জামায়াত বলে কোনো দল থাকবে না: জয়

    বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) চেয়ারম্যান সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, আগামী ১০ বছরে বিএনপি-জামায়াত বলে কোনো দল থাকবে না। অনেকেই সন্ত্রাসকে উসকাচ্ছে। আমি আপনাদের অনুরোধ করবো আপনারা এসব কথায় কান দিয়েন না।

    শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় সপ্তমবারের মতো আয়োজিত জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের চূড়ান্ত পর্বের অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

    তরুণদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘আপনারা শুধু বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে চিন্তাই করেন না, সমাধানও বের করছেন এবং তা বাস্তবায়ন করছেন। বাংলাদেশের তরুণরাও নিজের পায়ে এখন দাঁড়াতে পারছে। বিদেশি দূতরা যখন আগুন সন্ত্রাসীদের পক্ষে কথা বলবে- তখন আপনারা এর প্রতিবাদ করবেন।’

    বিএনপি-জামায়াত বিষয়ে জয় বলেন, ‘অনেকেই সন্ত্রাসকে উসকাচ্ছে। আমি আপনাদের অনুরোধ করবো আপনারা এসব কথায় কান দেবেন না।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে বিভিন্ন দেশের দূত অতিরিক্ত কথা বলছেন। কিন্তু বিএনপি মানুষ পোড়াচ্ছে, বাস পোড়াচ্ছে- এসব নিয়ে তারা কিছু না বলে বরং উসকানি দিচ্ছেন। কারণ তারা বাংলাদেশে শান্তি চান না।’

    জয় বলেন, জেনারেল জিয়াউর রহমানের আমলে ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় ১৩০০ জনের বেশি সেনাকে। সেই ঘটনায় নিজের পরিবারের বিচার না পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরা এক তরুণের প্রশ্নের জবাবে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আজ যারা (বিভিন্ন দেশের দূত) মানবাধিকারের কথা বলেন, তারা একটি বারও এসব নিয়ে কথা বলেন না। বিএনপি কখনোই গণতান্ত্রিক দল ছিল না।’

    জিয়াউর রহমান খুনি ছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীপুত্র বলেন, ‘যেভাবেই পারি আমরা সেই সব হত্যাকাণ্ডের বিচার করব।’

    জয় বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের সময় বিশ্বে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। বাংলাদেশে সেরকম দুর্নীতি থাকলে এতো মেগা প্রকল্প করা সম্ভব হতো না। আওয়ামী লীগের আমলে যে পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে, বাংলাদেশের ইতিহাসে তা হয়নি। অল্প সময়ে এতো উন্নত হয়েছে বলেই তরুণরা আওয়ামী লীগকে ভালোবাসে।’

    শনিবার মধ্যাহ্ন বিরতির পর সারাদেশের ৭৫০টিরও বেশি সংগঠনের মধ্য থেকে ৬ ক্যাটাগরিতে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার তুলে দেন সিআরআই চেয়ারম্যান সজীব ওয়াজেদ জয়।

  • বিএনপি-জামায়াত পাকিস্তানের চেয়েও খারাপ হয়ে গেছে : তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপি-জামায়াত পাকিস্তানের চেয়েও খারাপ হয়ে গেছে : তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপি-জামায়াত দেশে অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে। তারা এখন পাকিস্তানের চেয়েও খারাপ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

    দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে দগ্ধদের দেখতে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।

    তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশে যে অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে সেটা ১৯৭১ সালের বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। কেন তারা সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করবে? বিএনপি-জামায়াতের কাছে আমার প্রশ্ন— সাধারণ মানুষের কি অপরাধ? তাদের কেন পুড়িয়ে হত্যা করছে? তাদের এই অপরাধের কোনো উত্তর তাদের কাছে নেই।

    তিনি আরও বলেন, আপনারা দেখেছেন বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের কারণে কীভাবে অসহায় খেটে খাওয়া মানুষগুলো বার্ন ইউনিটে কাতরাচ্ছে। ঠিক একই কায়দায় তারা ২০১৩-১৪-১৫ সালে যেভাবে মানুষের উপর আক্রমণ করেছিল, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছিল, ঠিক একই কায়দায় তারা মানুষ ও যানবাহনের উপরে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করছে। তারা যে অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে, তাদের জন্য নির্মমতা নিষ্ঠুরতা ও হিংস্রতা এই শব্দগুলো বাংলা ভাষায় যথেষ্ট নয়। কীভাবে অসহায় মানুষদের পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এখানে দগ্ধ যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের মধ্যে গাড়িচালক, হেলপার, রিকশাচালক ও কর্মজীবী মানুষ রয়েছে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখানে যারা চিকিৎসাধীন আছেন তারা কেউই শঙ্কামুক্ত নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা তাদের খোঁজখবর নিতে এসেছি। এখানে যারা অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার হয়ে দগ্ধ হয়েছেন, তাদের সমস্ত চিকিৎসার ব্যয় সরকার বহন করবে এবং তাদের আর্থিকভাবে সহায়তা প্রদান করা হবে।