Tag: বিএফআরআই

  • ‘বৃক্ষের উপর চাপ কমাতে বাঁশের যোজিত আসবাব ব্যবহারের বিকল্প নেই’

    ‘বৃক্ষের উপর চাপ কমাতে বাঁশের যোজিত আসবাব ব্যবহারের বিকল্প নেই’

    বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই)- এর মিলনায়তনে ‘বাঁশের যোজিত পণ্য তৈরির কৌশল’ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    আজ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মো: মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালাটি শুরু হয়।

    এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএফআরআই এর সাবেক পরিচালক ড. খুরশীদ আকতার। এছাড়া বাঁশের যোজিত পণ্য তৈরির কৌশল বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিভাগীয় কর্মকর্তা ড. মো: মাহবুবুর রহমান এবং রিসার্চ অফিসার জনাব মো: মাহবুবুর রহমান।

    মূল প্রবন্ধে ড. খুরশীদ আকতার বলেন, ‘জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের বাঁশ প্রয়োজন। ভবিষ্যত পৃথিবীতে বাঁশের তৈরি আসবাবই হয়ে উঠবে সবচেয়ে নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব।

    বাঁশ যেমন ঝাড়ে থাকা অবস্থায় আমাদের অক্সিজেন দেয় আবার কেটে এর দ্বারা আসবাব তৈরির মাধ্যমে কার্বনও ধরে রাখা যায়। যার ফলে আসবাব সামগ্রী তৈরিতে বাঁশ পরিবেশের জন্য একটি টেকসই সমাধান হতে পারে।’

    তিনি বাঁশের উপকারিতার কথা কমৃশালায় উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রচারের জন্য অনুরোধ করেন।

    কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন এ কে খান গ্রুপের পরিচালক শামছুদ্দিন খান। তিনি বলেন, ‘যেভাবে দিন দিন প্রকৃতি থেকে গাছপালা কমে যাচ্ছে তাতে ভবিষ্যতে বাঁশের যোজিত আসবাব ছাড়া আর বিকল্প কিছু থাকবেনা। তাই এর উন্নতি ও প্রসারে আরো গবেষণা প্রয়োজন।

    বাঁশের তৈরি আসবাবের প্রতি মানুষের কিছু ঋনাত্বক ধারণা আছে। তাই সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এসব আসবাবপত্র বাজারজাত করা খুব কঠিন। বাঁশের তৈরি আসবাব কাঠের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়-এ বিষয়টির স্বীকৃতি প্রদানে বিএফআরআই-এর কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।’

    তিনি বাঁশ ট্রিটমেন্টের জন্য ছোট-ছোট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন করার জন্য বিএফআরআইকে অনুরোধ করেন। তিনি বাঁশের যোজিত আসবাব তৈরির উন্নততর কৌশল প্রশিক্ষণের জন্য চীন থেকে প্রশিক্ষক আনার প্রস্তাব দেন এবং বাঁশের যোজিত আসবাব তৈরির কারখানাকে কৃষিজাত কারখানা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবী করেন।

    এ কে খান গ্রুপের প্রধান সমন্বয়ক শেরফেনাজ খান বলেন, ‘চীন যে প্রজাতির বাঁশ দিয়ে আসবাব তৈরি করে সেগুলোর উৎপাদন বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ নিতে হবে।’ তিনি এ কে খান গ্রুপকে বাঁশের তৈরি আনবাব নির্মাণে কারিগরি সহায়তা প্রদানের জন্য বিএফআরআই এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

    সভাপতির বক্তব্যে ড. মো: মাসুদুর রহমান বলেন, ‘বাঁশের তৈরি আসবাব এখন শুধু বাংলাদেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, সারা বিশ্বের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। বাঁশ আমাদের জন্য একটি আর্শীবাদ, এটিকে টেকসইভাবে ব্যবহার করতে হবে। বৃক্ষের উপর চাপ কমাতে বাঁশের যোজিত আসবাব ব্যবহারের বিকল্প নেই।’

    তিনি আশা প্রকাশ করেন বাংলাদেশের পরবর্তী বাজেটেই ‘গ্রীন বাজেট’ শব্দটি যুক্ত হবে। ধরীত্রিকে সুন্দর রাখার জন্য যারা কাজ করবেন তাদেরকে সরকার অবশ্যই একসময় প্রণোদনা দিবেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

    এ কে খান গ্রুপ বিএফআরআই কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘আঞ্চলিক বাঁশ গবেষণা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, নীলফামারী’-তে বাঁশের তৈরি আসবাব সরবরাহ করায় ধন্যবাদ জানান।

    কর্মশালায় এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, সেন্টার ফর যাকাত ফাউন্ডেশন, চট্টগ্রামের ম্যানেজার (বিজনেস প্রমোশন), মো: শাহজাহান, এরিয়া ম্যানেজার ড. মো: বিল্লাল হোসেন। সিএমটি ইন্টারন্যাশনাল এর জনাব লিলি চাকমা, ফরহাদ জামান জনি। ‘অর্বাচীন’ এর নকশাকার জনাব আশীষ দেব অভি। হাটহাজারী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোক্তার বেগম। বাংলাদেশ ফার্নিচার মালিক সমিতির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নুরুল আমিন খান।

    সবশেষে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে কর্মশালার সভাপতি কর্মশালার সমাপ্তি ঘোষণা করেন। কর্মশালাটি সমন্বয় করেন প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি হস্তান্তর ইউনিট এর সদস্য-সচিব মো: জহিরুল আলম।

  • বিএফআরআই পরিদর্শন করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব

    বিএফআরআই পরিদর্শন করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ : ডেস্ক : বাংলাদেশ বনগবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) এর বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকাণ্ডসহ বাস্তবায়নাধী বিভিন্ন প্রকল্প কাজের পরিদর্শন করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম।

    গত ২১ জানুয়ারি বাংলাদেশ বনগবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) পরিদর্শনে আসলে তাকে স্বাগত জানান বিএফআরআই এর পরিচালক ড. মো: মাসুদুর রহমান, বিভাগীয় কর্মকর্তা ড. রফিকুল হায়দার, মো: জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্যান্য গবেষকগণ।

    পরে অতিরিক্ত সচিব জলবায়ু ট্রাস্টফান্ডের অর্থায়নে বিএফআরআই এর প্রশাসন বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘জলবায়ু পরিবর্তন জনিত প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ বনগবেষণা ইনস্টিটিউট এলাকায় অবকাঠামো সমূহ উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করেন।

    এর মধ্যে নির্মাণকৃত রাস্তা, ইনস্টিটিউটের পূর্ব পাহাড়ের উত্তর পার্শ্বে নির্মাণকৃত আরসিসি রিটেইনিং ওয়াল, পশ্চিম পাহাড়ের পানিশোধনাগারের পার্শ্বে এবং পূর্ব পাহাড়ের উত্তর পার্শ্বে নির্মাণকৃত ২টি ব্রিক রিটেইনিং ওয়াল, প্রশাসনিক ভবন এবং বনজ সম্পদ ভবনের পার্শ্বে নির্মাণকৃত ২টি গাইডওয়াল এবং পূর্ব পাহাড়ের উত্তর পার্শ্বে নির্মাণকৃত আরসিসি ড্রেন তিনি পরিদর্শন করে সনোতাষ প্রকাশ করেন।

    পরিদর্শনকালে প্রকল্পের বাস্তবায়নকৃত কার্যক্রম সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করেন বিএফআরআই চট্টগ্রাম বিভাগীয় কর্মকর্তা (প্রশাসন) ও প্রকল্প পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। এসময় বিস্তারিত কার্যক্রম পিপি অনুযায়ী সুসম্পন্ন হওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং অবশিষ্ট কাজ প্রকল্পের নির্দিষ্ট সময় চলতি বছরের ২০ জুনের মধ্যে সম্পাদনের জন্য প্রকল্প পরিচালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

    পরিদর্শনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএফআরআই এর পরিচালকগণ, বনজ সম্পদ বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা, বীজ বাগান বিভাগের সিনিয়র রিসার্চ অফিসার ও ইনস্টিটিউটের নির্বাহী কর্মকর্তা।

  • বিএফআরআই এ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় নির্মাণকৃত রাস্তার উদ্বোধন

    বিএফআরআই এ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় নির্মাণকৃত রাস্তার উদ্বোধন

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) এ“জলবায়ু পরিবর্তন জনিত প্রভাব মোকাবেলার জন্য বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম এলাকায় অবকাঠামোসমূহ উন্নয়ন” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ভূমি উন্নয়নের মাধ্যমে পুনঃ নির্মাণকৃত ২৫০ মি. রাস্তার শুভ উদ্বোধন হয়।

    ২৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় নির্মাণকৃত রাস্তাটির উদ্বোধন করেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আলমগীর মোহাম্মদ মনসুরুল আলম।

    এ সময় বিএফআরআই এর পরিচালক ড. মো: মাসুদুর রহমান, প্রকল্প পরিচালক মো: জাহাঙ্গীর আলম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো: আলমগীর এবং বিএফআরআই এর বিভাগীয় কর্মকর্তাসহ অন্যান্য গবেষকগণ উপস্থিত ছিলেন।

    এ সময় অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় টেকসই উন্নয়নের বিকল্প নেই।’ প্রকল্প পরিচালক বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে এ রাস্তাটি যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়তো। কোমড় সমান পানিতে বিএফআরআই এর কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ এ এলাকায় স্থানীয়গণ মহা দুর্ভোগ স্বীকার করে বাস করতো।

    রাস্তাটির পুনঃনির্মাণ ও আধুনিকায়নের মাধ্যমে এষানকার জলাবদ্ধতার যেমন টেকসই সমাধান হবে তেমনি রাস্তার দুপার্শ্বে বৃক্ষ রোপণের ফলে এর সৌন্দর্য পথচারীদের আকর্ষণ করবে বলে আশা করি।’

    উদ্বোধন শেষে বিএফআরআই এর কর্মপরিকল্পনা ও অগ্রগতি বিষয়ে ইনস্টিটিউটের সম্মেলন কক্ষে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    সভায় অতিরিক্তি সচিব প্রকল্পের আওতায় গৃহীত ভূমি উন্নয়নের মাধ্যমে ২৫০মি. রাস্তা নির্মাণের পাশাপাশি অত্র প্রতিষ্ঠানের অফিস ও আবাসিক এলাকায় জলাবদ্ধতা হতে মুক্তি পেতে ৮১০মি. আরসসিসি ও ব্রিকসের ড্রেন নির্মাণ, পাহাড়ের খালি ভূমি ব্যবস্থাপনা ও বনায়নের নিমিত্তে ৩০ হাজার চারা রোপণের মাধ্যমে ভূমির ক্ষয় রোধ, পরিবেশের ভারসাম্য ও জীব-বৈটিত্র্য রক্ষা করা, পাহাড় ধস প্রতিরোধে ২৮৬মি. আরসিসি রিটেইনিং দেয়াল নির্মাণসহ সামগ্রিক বিষয়ের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং জুন ২০২০ সালের মধ্যে প্রকল্পের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

    এছাড়াও তিনি বিএফআরআই এর গবেষণা কার্যক্রমসহ সার্বিক বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।