Tag: বিএম কনটেইনার ডিপো

  • বিএম ডিপোর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরও ১ জনের মৃত্যু

    বিএম ডিপোর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরও ১ জনের মৃত্যু

    চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় মো. নুরুল কাদের (২২) নামে আরও একজন মারা গেছেন।

    রোববার (১২ জুন) দুপুর ১টা ৫৭ মিনিটে চট্টগ্রাম নগরীর বেসরকারি হাসপাতাল পার্ক ভিউতে মারা যান তিনি।

    এ নিয়ে ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৮ জনে।

    পার্কভিউ হাসপাতালের মহাব্যবস্থাপক তালুকদার জিয়াউর রহমান শরীফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে নুরুল কাদের পার্ক ভিউ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তার শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। আজ দুপুরে আইসিইউতে মারা যান তিনি।

    গত ৫ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আগুন লাগার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ভয়ংকর এক বিস্ফোরণ ঘটে সেখানে। এতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ডিপোটির বিভিন্ন জায়গায়।

    এ ঘটনায় প্রথম দুই দিনে দমকলকর্মীসহ ৪১ জন মারা যান। পরবর্তীতে মৃত্যু হয় আরও ৭ জনের। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই শতাধিক মানুষ।

  • বিএম ডিপো ট্র্যাজেডি, আরো এক ফায়ার ফাইটারের মৃত্যু

    বিএম ডিপো ট্র্যাজেডি, আরো এক ফায়ার ফাইটারের মৃত্যু

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়িস্থ কেশবপুর বিএম ডিপোর অগ্নিকাণ্ডের পর ভয়াবহ বিস্ফোরণে মোঃ গাউছুল আজম (২২) নামে সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশনের আরো এক ফায়ার ফাইটার মারা গেছেন। ৮দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা রোববার ভোরে ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

    ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তার শরীরের ৭৫% পুড়ে যায়। গাউছুল আজম সাতক্ষীরা জেলার সাতক্ষীরা সদরের ১৩ নং লাপসা ইউনিয়নের মাগুড়া গ্রামের আজগর আলীর পুত্র। তার ৬ মাস বয়সী একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। এনিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১০ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।

    উল্লেখ্য, সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর এলাকায় গত ৪জুন (শনিবার) বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের পর স্মরণকালের ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ এ পর্যন্ত ৪৭ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন প্রায় তিনশতাধিক মানুষ।

  • বিএম ডিপো’র ঘটনাস্থল পরিদর্শনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের টিম

    বিএম ডিপো’র ঘটনাস্থল পরিদর্শনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের টিম

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুরস্থ বিএম ডিপোর রাসায়নিক বিষ্ফোরণে স্বাস্থ্য ঝুঁকির অবস্থা খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক (পরিকল্পনা) ডা.নাজমুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন একটি উচ্চ পর্যায়ের টিম।

    শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় তদন্ত টিমের সদস্যরা ঘটনাস্থল বিএম ডিপো পরিদর্শন করেন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক ডা. মো. সফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন মো. ইলিয়াছ চৌধুরী, মেডিকেলের কিডনি বিশেষজ্ঞ এনামুল হক শামীম, ডিএনসিসি ডেডিকেডেট কোভিট হাসপাতালের পরিচালক লেফটেনেন্ট কর্ণেল মো. মশিউর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. অনিন্দিতা শবনম কোরেশী, সহকারী পরিচালক ডা. মহিউদ্দিন আহমেদ, সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন, ইভালুয়েটর ডা. ফাবলিনা নওশিন, আইএইচআর এর ডাটা ম্যানেজার রাকিবুল ইসলাম, বিসিআইসির ইন্ড্রাষ্টিয়াল সেফটি এন্ড হেলথ ডিপার্টমেন্টের কেমিষ্ট মো. জিয়াউল হক, ডেপুটি চিফ কেমিষ্ট হুমায়ন কবির।

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও লাইন শাখার পরিচালক (পরিকল্পনা) ডা. মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, বিএম ডিপোতে রাসায়নিক বিষ্ফোরণ হয়েছে। আমাদের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখায় রেডিয়েশন হেজার্ট এবং কেমিক্যাল হেজার্ড বিষয়ে কাজ করি। এখানে রাসায়নিক বিষ্ফোরণে কী ধরণের স্বাস্থ্য ঝুঁকি হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে এখানে এসেছি আমরা। এছাড়া এই স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়া রোগীরা চমেকে কিভাবে চিকিৎসা নিচ্ছে তাও দেখব।

    এদিকে সকালে ঢাকা থেকে সিআইডি’র একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

  • সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডি: ছেলে ফিরে আসার আশায় বুক বেঁধে আছেন বৃদ্ধ মা

    সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডি: ছেলে ফিরে আসার আশায় বুক বেঁধে আছেন বৃদ্ধ মা

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সলিমপুর ইউনিয়নের আবদুল হান্নানের পুত্র আবদুল মনির হোসেন সোনাইছড়ির বিএম কন্টেইনার ডিপোতে কাজ করতেন ক্রেন অপারেটর হিসেবে। ঘটনার দিন তার ডিউটি ছিল রাতের শিফটে। বৃদ্ধ মা হোসনে আরা বেগম আর ৭ মাস আগে বিয়ে করা স্ত্রী রহিমা আক্তারের কাছ থেকে সন্ধ্যা ৭ টায় বিদায় দিয়ে চলে যান চাকুরীতে

    ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রহিমা আকতার বলেন, রাত ৯টা সময় আমাকে ফোন করে জানতে চেয়েছে আমার শরীর কেমন আছে। মায়ের শরীর কেমন আছে। তারপর বলেছে ডিপোতে আগুন লেগেছে। এরপর থেকে মোবাইল বন্ধ। বুঝতে পারিনি এটা হবে তার সাথে শেষ কথা।

    গত শনিবার রাত সাড়ে টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কাসেম জুট মিলস এলাকায় বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনায় বহু আহত নিহত হলেও বিএম ডিপোর ক্রেন অপারেটর মনির হোসেন এখনও নিখোঁজ।

    ছেলে ফিরে আসবে মায়ের বুকে এই আশায় বুক বেঁধে আছেন মা। ছবি নিয়ে সারাক্ষণ ছটফট করছেন হোসনে আরা বেগম। স্বামী ফিরে আসবে এ আশা নিয়েও প্রহর গুনছেন ৭ মাস আগে বিয়ে হওয়া ও ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রহিমা আক্তার।

    তিনি বলেন, আপনারা আমার স্বামীর অন্তত লাশটা হলেও এনে দিন।

  • বিএম ডিপো থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে সিআইডি

    বিএম ডিপো থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে সিআইডি

    অগ্নিকাণ্ডের শিকার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপো পরিদর্শন করছে ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের (সিআইডি) ক্রাইম সিন ইউনিট। বুধবার (৮ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ডিপোতে আসে সিআইডির একটি টিম।

    টিমের নেতৃত্ব দেন সিআইডি চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার শাহ নেওয়াজ খালেদ। টিম কিছু সময় ধরে বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শন করে।

    পরিদর্শন শেষে পুলিশ সুপার শাহ নেওয়াজ খালেদ সাংবাদিকদের বলেন, ডিপো থেকে আলামত সংগ্রহ করেছি। এগুলো আমরা পরীক্ষাগারে পাঠাবো পরীক্ষার জন্য। পরীক্ষা করার পরে আমরা বুঝতে পারব। তবে এতে কত দিন সময় লাগবে, তা এখনই বলা যাবে না।

    ডিপোতে যে ধরনের ক্যামিকেলের কথা বলা হয়েছিল, সেই ধরনের কিছু পেয়েছেন কি না- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে সিআইডির এসপি বলেন, সবই পরীক্ষার বিষয়। পরীক্ষার আগে এখনই নিশ্চিত কিছু বলা যাবে না। এর বেশি কিছু বলতে চাচ্ছি না।

    তিনি বলেন, ডিপো এখন ধ্বংসস্তূপ। ভেতরে কী আছে, তা তো বলা যাবে না।

    চট্টগ্রাম বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৪৪ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ২৭ জনকে শনাক্ত করে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি ১৭ জনকে এখনো শনাক্ত করা যায়নি।

    শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আগুন লাগার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ভয়ংকর বিস্ফোরণ ঘটে। আশপাশে থাকা দমকলকর্মী, শ্রমিকসহ অনেকেই এতে হতাহত হন।

  • বিএম কনটেইনার ডিপো পরিদর্শনে সিআইডি

    বিএম কনটেইনার ডিপো পরিদর্শনে সিআইডি

    সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শন করছে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট।

    বুধবার (৮ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ডিপোতে আসেন সিআইডি চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার শাহ নেওয়াজ খালেদের নেতৃত্বে একটি টিম।

    এর আগে গত শনিবার রাতে সাড়ে ১০টার দিকে বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৪৪ জন।

  • বিএম ডিপোর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আটজনকে আসামী করে মামলা দায়ের পুলিশের

    বিএম ডিপোর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আটজনকে আসামী করে মামলা দায়ের পুলিশের

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর এলাকায় বিএম কন্টেইনার ডিপোর ঘটনায় আটজনকে আসামী করে মামলা দায়ের হয়েছে।

    মঙ্গলবার সীতাকুণ্ড মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফ সিদ্দিকী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। তবে এই আটজনের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনায় কর্তৃপক্ষের অবহেলাজনিত কারণ উল্লেখ করে পুলিশের পক্ষ থেকে আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

    গত শনিবার রাতে সোনাইছড়ি বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগার পর ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নয়জন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যসহ এখন পর্যন্ত ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন দুই শতাধিক মানুষ।

  • দগ্ধ ৬৩ জনের চোখে আঘাত, ৬ জনকে ঢাকায় পাঠাতে হবে

    দগ্ধ ৬৩ জনের চোখে আঘাত, ৬ জনকে ঢাকায় পাঠাতে হবে

    চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও আগুনের ঘটনায় চট্টগ্রাম মেডিকেলে কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৬৩ জন রোগী কোনো না কোনোভাবে চোখে আঘাত পেয়েছেন। তাদের মধ্যে ছয় জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে নেওয়া দরকার বলে জানিয়েছেন ন্যাশনাল আই কেয়ারের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক দীন মোহাম্মদ নুরুল হক।

    মঙ্গলবার (৭ জুন) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি। এর আগে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে থাকা রোগীদের দেখেন।

    দীন মোহাম্মদ নুরুল হক বলেন, আহত রোগীদের মধ্যে চমেকে ভর্তি ৬৩ জন রোগী চোখে কোনো না কোনোভাবে আঘাত পেয়েছেন। তবে সে আঘাতের মাত্রার পরিমাণে কম-বেশি আছে। কিছু কিছু আছে সিরিয়াস ইনজুরড। তাদের মধ্যে কারও শুধু চোখেই আঘাত। আবার কারও কারও শরীরের অন্য অঙ্গগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ছয় জনের চোখের অবস্থা খুবই খারাপ। তাদের মধ্যে একজনের চোখের কর্নিয়া ফেটে গেছে। তাকে প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিতে হতে পারে। আমরা চাই গুরুতর আহত ছয় রোগীকে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দিতে। এছাড়া আরও পাঁচ-ছয় জন রোগীর চোখের অবস্থা খারাপ। কিন্তু তাদের শরীরের অন্যান্য অঙ্গের অবস্থা খুবই খারাপ। ফলে এখনই তাদের ঢাকায় নেওয়া সম্ভব নয়।

    তিনি বলেন, ডিপোতে আহত রোগীদের চোখের চিকিৎসার জন্য এখানে এসেছি। সব রোগীকে আমি দেখেছি। সবারই কোনো না কোনোভাবে চোখে আঘাত রয়েছে।

    দেশের বিখ্যাত এ চক্ষু বিশেষজ্ঞ বলেন, এখানকার চিকিৎসকরা খুব ভালোভাবেই ম্যানেজ করেছেন। আগেও অনেক জটিল রোগীকে তারা সফলভাবে দেখভাল করেছেন। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে একটি বিশেষজ্ঞ টিম নিয়ে এখানে এসেছি।

    দীন মোহাম্মদ নুরুল হক বলেন, যেসব রোগীকে পাঠানো দরকার, সেভাবে পাঠান। আমরা ঢাকাতে তাদের রিসিভ করব। সব খরচ আমরা সরকারিভাবে বহন করব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সে নির্দেশনা দিয়েছেন।

    বিশেষজ্ঞ এ চক্ষু চিকিৎসক আরও বলেন, সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের চিকিৎসা সেবা মনিটর করার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছি। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খুব ভালোভাবে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন। এটা অকল্পনীয়।

  • তদন্তে গাফিলতি পেলে যে দলেরই হোক ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    তদন্তে গাফিলতি পেলে যে দলেরই হোক ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কেউ যদি জড়িত থাকে, সে যে দলেরই হোক না কেন তদন্ত সাপেক্ষে গাফিলতি পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

    মঙ্গলবার (৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর ফুলবাড়ীয়ায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সদর দপ্তরে সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ফায়ার ফাইটার মো. শাকিল তরফদারের জানাজা শেষে এ কথা বলেন তিনি।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামে আমাদের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত টিম কাজ করছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কার গাফিলতি, কোনো উদ্দেশ আছে কি না, কেউ পুড়িয়েছে কি না কিছুই বলা যাচ্ছে না। নিশ্চয়ই কিছু একটা ঘটেছে, না হলে এতগুলো প্রাণ যায় না। সেটা আমি বিশ্বাস করি।

    তিনি বলেন, তারা (ফায়ার ফাইটার) যে অকুতোভয় সেটা তারা সব সময় প্রমাণ দিয়েছেন। আপনারা জঙ্গি দমনেও দেখেছেন সিলেটে একজন জীবন দিয়েছেন। বনানীর এফ আর টাওয়ারেও আপনারা দেখেছেন। তারা জানে এখানে ঝুঁকি আছে, তারপরও তারা এক মুহূর্ত দেরি করেনি। তারা ছুটে গিয়েছেন যথাযথ চেষ্টা করেছেন, এতে তাদের ৯ জন শাহাদৎবরণ করেছেন। আরও তিন জনকে আমরা এখনও শনাক্ত করতে পারিনি এবং ডেড বডিও পাইনি।

    আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা ৪১টি মরদেহ পেয়েছি। এখনও ফায়ার সার্ভিসের দুটি গাড়ি আটকে আছে। আমরা এখনও কোনো কিছু ক্লিয়ার না। কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল সে বিষয়ে আমরা এখনও জানতে পারিনি। আমাদের শুধু নিহত নয়, আহত এখনও ১৫ জন রয়েছেন। তারা সিএমএইচসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আমরা তাদের জন্য দোয়া চেয়েছি।

    এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা কিন্তু ঘণ্টা বাজানো ফায়ার সার্ভিস থেকে আধুনিক ফায়ার সার্ভিসে নিয়ে এসেছি। আজ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত হয়। আগে ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভানোর পরে উপস্থিত হতো। এখন আর সেই ফায়ার সার্ভিস নেই— ডিফারেন্সটা এখানেই। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে একটি সক্ষম ফায়ার সার্ভিস হিসেবে পরিণত করতে পেরেছি। ক্রমাগতভাবে আমরা তাদের আরও সক্ষমতা বৃদ্ধি করব। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব যাতে অগ্নিনির্বাপণের ভূমিকা রাখতে পারে, সে বিষয়টিও আমরা দেখব।

    ঘটনার সঙ্গে যদি কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত থাকে তাহলে আপনারা নমনীয় হবেন কি না— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা কি কখনো দেখেছেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাউকে ছাড় দিয়েছেন। সংসদ সদস্যকেও ছাড় দেননি। আমাদের মেসেজ স্পষ্ট, যদি কারও সম্পৃক্ততা এবং কারও গাফিলতি পাওয়া যায় অবশ্যই তাদের শাস্তি পেতে হবে।

  • বিএম কনটেইনার ডিপো থেকে আরও দুটি মৃতদেহের ভস্মীভূত অংশবিশেষ উদ্ধার

    বিএম কনটেইনার ডিপো থেকে আরও দুটি মৃতদেহের ভস্মীভূত অংশবিশেষ উদ্ধার

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ির বিএম কনটেইনার ডিপো থেকে আরও দুটি মৃতদেহের ভস্মীভূত অংশবিশেষ উদ্ধার করা হয়েছে।

    আজ মঙ্গলবার (৭ জুন) দুপুর ১২ টা ৪০ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা দুটি লাশের ভস্মীভূত অংশ বিশেষ উদ্ধার করে।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস কুমিল্লার সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান।

    সরকারি হিসেব অনুযায়ী এখন পর্যন্ত সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোর অগ্নিকাণ্ডের ৪১ জন নিহত হওয়ার কথা জানা গেছে। নতুন করে উদ্ধার হওয়া এই দুটি মরদেহ সহ মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৩ টি। উদ্ধার হওয়া একটির পাশে ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের বুট আর পিপিইর আলামত পাওয়া গেছে অন্যটির আলামতের মধ্যে সিকিউরিটির পোশাকের পোড়া অংশ ছিল। তাই ধারণা করা হচ্ছে এই মরদেহগুলোর একটি ফায়ার সার্ভিসের সদস্যের অন্যটি ডিপোর সিকিউরিটির দায়িত্বে থাকা কারও’ হতে পারে।

  • বিএম ডিপোর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে : সেনাবাহিনী

    বিএম ডিপোর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে : সেনাবাহিনী

    চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। কিছু কনটেইনারে কাপড়ের জিনিসপত্র আছে। এই জিনিসে পানি দেওয়া হলে ধোঁয়া বের হচ্ছে। আপত দৃষ্টিতে ভয়ের কিছু নেই বলে আমি মনে করি।

    মঙ্গলবার (৭ জুন) বিএম কনটেইনার ডিপোর সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ১৮ ব্রিগেডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম হিমেল।

    তিনি বলেন, ঢাকা থেকে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষজ্ঞ টিম এসেছে। ডিপোর ভেতরে বিপদজনক কিছু আছে কি না তারা তা নিয়ে কাজ করছেন। সরেজমিন তারা পরিদর্শন করছেন। তাদের সঙ্গে স্পেশাল লোকজন আছেন। তারা বিষয়গুলো দেখছেন। তাদের কাছে ফাইনাল রিপোর্ট পাব। তাদের কাছ থেকে জানতে পারব কোনো বিপদ হওয়ার আশঙ্কা আছে কি না। আপাত দৃষ্টিতে আমরা বলতে পারি, ডিপোর আগুন পুরোপুরি কন্ট্রোলে চলে এসেছে। এখন কিছু ধোঁয়া বের হচ্ছে। ভয়ের কিছু নেই বলে আমি মনে করি।

    তিনি আরও বলেন, এখানে যাতে আর হতাহতের ঘটনা না ঘটে সে বিষয়টিকে আমরা প্রথম গুরুত্ব দিচ্ছি। যে কনটেইনার থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে সেগুলোর কাছে কম যাওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা আর কোনো হতাহত চাইনি।

    শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আগুন লাগার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ভয়ংকর বিস্ফোরণ ঘটে। আশপাশে থাকা দমকলকর্মী, শ্রমিক ও বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ এ বিস্ফোরণে হতাহত হন।

    এ ঘটনায় ৪১ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন ২০০ জনের বেশি। দমকল বিভাগ জানিয়েছে, আগুন নেভাতে গিয়ে তাদের ৯ জন সদস্য নিহত হয়েছেন।