Tag: বিএম ডিপো ট্র্যাজেডি

  • বিএম ডিপো থেকে আরো একটি মরদেহের মাথার খুলি ও পোড়া হাড়গোড় উদ্ধার

    বিএম ডিপো থেকে আরো একটি মরদেহের মাথার খুলি ও পোড়া হাড়গোড় উদ্ধার

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বিএম কনটেইনার ডিপোর বিধ্বস্ত শেডের ভেতর থেকে আরেকটি মরদেহের মাথার খুলি ও পোড়া হাড়গোড় উদ্ধার করেছে পুলিশ।

    আজ বুধবার দুপুরে হাড়গুলো উদ্ধার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ।

    এর আগে ঘটনার ঠিক একমাস পর গত সোমবারও বিধ্বস্ত শেডের ভেতর থেকে দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়।

    জানা যায়, আজ বুধবার সকালে বিএম ডিপোর বিধ্বস্ত সেড পরিস্কার করার সময় মরদেহের মাথার খুলি ও পোড়া হাড়গোড়গুলো পাওয়া যায়।

    উল্লেখ্য, গত ৪ জুন রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কাশেম জুট মিল গেট এলাকায় অবস্থিত বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে কুমিরা ও সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নেভাতে যান। আগুন নেভানোর সময় রাসায়নিক ভর্তি একটি কনটেইনার বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সীতাকুণ্ড ও কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের ১০ জন ফায়ার ফাইটারসহ ৫১ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ২৩০ জনেরও অধিক মানুষ।

  • বিএম ডিপোর ধ্বংসস্তূপ থেকে আরো একটি লাশের হাড়গোড় উদ্ধার

    বিএম ডিপোর ধ্বংসস্তূপ থেকে আরো একটি লাশের হাড়গোড় উদ্ধার

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের নয় দিন পর বিএম কন্টেইনার ডিপোর ধ্বংসস্তূপ থেকে একটি লাশের কিছু হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়েছে।

    সোমবার বিকাল তিনটার সময় দেহাবশেষ উদ্ধার করে গাউছিয়া কমিটির মানবিক টিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংগঠনের তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক মামুনুর রশিদ।

    তিনি জানান, সোমবার বিকালে পোড়া মালামালের স্তূপ থেকে কিছু হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা হাড়গুলোর মধ্যে একটি পায়ের ছোট অংশ। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন অংশের হাড় রয়েছে। তবে সেগুলো এক ব্যক্তির, নাকি বিভিন্ন ব্যক্তির, তা বোঝা যাচ্ছে না।”

    এব্যাপারে সীতাকুণ্ড মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, উদ্ধার করা হাড়গুলো ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হবে। সংগ্রহ করা নমুনাগুলো পড়ে সিআইডি ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

    উল্লেখ্য, সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর এলাকায় গত ৪জুন (শনিবার) বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের পর স্মরণকালের ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ এ পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হন প্রায় পাঁচশতাধিক মানুষ।

  • বিএম ডিপো বিস্ফোরণে আহতদের চিকিৎসায় অর্থ সহায়তা দিলেন আ জ ম নাছির

    বিএম ডিপো বিস্ফোরণে আহতদের চিকিৎসায় অর্থ সহায়তা দিলেন আ জ ম নাছির

    সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে আহতদের চিকিৎসা সেবায় ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে অর্থ সহায়তা দিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

    আজ সোমবার (১৩ জুন) সকালে তিনি আহতদের চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসানের হাতে অর্থ সহায়তার চেক তুলে দেন।
    এসময় তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট, চক্ষু বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ পরিদর্শন করেন।

    তিনি চিকিৎসাধীন রোগীদের সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের কাছে তাদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। পরবর্তীতে তিনি হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে এক মত বিনিময় সভায় অংশ নেন।

    এসময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান, চমেক অধ্যক্ষ ডা. সাহানা আকতার, চমেক বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট প্রধান অধ্যাপক রফিক উদ্দিন, অর্থোপেডিক্স বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. চন্দন কুমার দাশ, বিএমএ সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান, সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, সহসভাপতি ডা. রিজোয়ান রেহান, ডা. প্রনয় কুমার দত্ত, ডা. হাফিজ উদ্দিন, ডা. অংশু চৌধুরী, আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মঞ্জুর হোসাইন, কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

  • বিএম ডিপো ট্র্যাজেডি: আরও সময় চেয়েছে তদন্ত কমিটি

    বিএম ডিপো ট্র্যাজেডি: আরও সময় চেয়েছে তদন্ত কমিটি

    চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি আরও পাঁচদিন সময় চেয়ে আবেদন করেছে। রোববার দুপুরে তদন্ত কাজে আরও সময় চেয়ে বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিনের কাছে আবেদন করেন কমিটির প্রধান অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

    এর আগে ঘটনা তদন্তে নয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন বিভাগীয় কমিশনার। কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

    তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, এখনও তদন্তের বেশকিছু কাজ বাকি রয়েছে। তাই তদন্ত কাজে আরও পাঁচ কর্মদিবস সময় চেয়ে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আবেদন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি জাকির হোসেন খান, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার আবু নুর রাশেদ আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলার পরিচালক মুফিদুল আলম, সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়নের মেজর আবু হেনা মো. কাউসার জাহান, চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম ও চট্টগ্রামের বিস্ফোরক পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন। কমিটিতে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুমনী আক্তারকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

    চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান বলেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। সেই সময় এখনও শেষ হয়নি।

    এই কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (স্থানীয় সরকার) বদিউল আলম বলেন, এরইমধ্যে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছি। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথাও বলেছি। নির্ধারিত সময় শেষ হতে এখনও আরও সময় বাকি রয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে আরও বেশি সময় লাগতে পারে।