Tag: বিএসআরএম

  • মিরসরাইয়ে বিএসআরএম কারখানায় রেকার চাপায় দিনমজুরের মৃত্যু

    মিরসরাইয়ে বিএসআরএম কারখানায় রেকার চাপায় দিনমজুরের মৃত্যু

    মিরসরাই প্রতিনিধি::::চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিএসআরএম কারখানায় স্ক্রাপ আলোড় করার সময় রেকারের চাকার নিচে পৃষ্ঠ হয়ে এক দিনমজুরের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম সুজন চন্দ্র নাথ (৩০)।

    রোববার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার সোনাপাহাড় এলাকায় বিএসআরএম কারখানার অব্যন্তরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সুজন উপজেলার কাটাছরা ইউনিয়নের তেতৈয়া গ্রামের সুভাষ চন্দ্র নাথের ছেলে।

    বিশ্বস্থ সুত্রে জানাযায়, লোহার দরপতন ও স্ক্রাপ জাহাজ কাটা বন্ধ থাকায় গত দুই মাস বন্ধ ছিল বিএসআরএম কারখানায় স্ক্রাপ আনলোডিং এর কাজ। দীর্ঘ ২ মাস বন্ধ থাকার পর আজ রবিবার ১৪ জানুয়ারি পুনরায় শুরু হয় লরি থেকে স্ক্রাপ আনলোডিং এর কাজ। ২ মাসের বেকারত্ব শেষে অন্যান্য দিনমজুরের সাথে কাজে যোগ দেন এতিম সুজন। কাজের ফাঁকে লরি থেকে স্ক্রাপ রিসিভ করে মোভ করার সময় বিএসআরএম কারখানায় একটি নিজ্বস্ব রেকারের সামনের চাকার নিচে পৃষ্ঠ হন সুজন। এতে রেকারের চাকার চাপে অন্ডকোষ ফেটে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। নিহত সুজন হাইটেক ইঞ্জিনিয়ারিং নামে একটি শ্রমিক সাপ্লাইয়ার এজেন্টের মাধ্যমে বিএসআরএম কারখানায় অন্যান্যদের মতোই দিন মজুর হিসেবে কাজ করতেন। তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে বিএসআরএম এর স্ক্রাপ আনলোডিং এর মতো ঝুঁকি পূর্ণ কাজ করলেও নিহত সুজনদের মতো কয়েক হাজার দিনমজুর কেউ বিএসআরএম কারখানার নিয়োগপ্রাপ্ত শ্রমিক কিংবা দিনমজুর নয়। ফলে এখানে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনায় বহু শ্রমিক মারা গেলেও তাদের দায় এড়িয়ে যায় এই বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানটি।

    শ্রমিক মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, শ্রমিকটি বিএসআরএম কারখানার অভ্যন্তরে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। তবে কর্মক্ষেত্রে শ্রমিক মৃত্যুতে ক্ষতি পুরনের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন শ্রমিকরা বিএসআরএম কারখায় সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত নয় তাই তাদের জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নেই। তারা সাপ্লাইয়ারদের মাধ্যমে কারখানায় কাজ করে তবুও কেই ক্ষতিগ্রস্ত হলে যতটুক সম্ভব সহায়তা করা হয়।

    জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল্লাহ আল হারুন জানান, বিএসআরএম কারখানায় শ্রমিক নিহতের ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। নিহতের মৃতদেহ তার পরিবারের হেফাজতে রয়েছে।
    বাংলাদেশ শিল্প ও কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কুসুম আক্তার সোমা জানান, যে কোন কলকারখানায় শ্রমিক দুর্ঘটনা কিংবা নিহতসহ নিরাপত্তা জনিত যে কোন ঘটনার তথ্য আমাদেরকে অবহিত করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু মিরসরাইয়ের সোনাপাহাড় এলাকায় অবস্থিত বিএসআরএম কারখানায় যেকোন দূর্ঘটনার তথ্য অধিদপ্তরকে অবহিত করা হয়না। আজকের ঘটনা আমরা জানতে পেরেছি। খোঁজখবর নিয়ে যাচাই করে দেখা হবে নিরাপত্তার কোন ঘাটতির কারনে শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে কিনা।

    স্থানীয় ৩নং ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মাষ্টার জানান, বিএসআরএম কারখানায় তার ঠিকাদারি কাজ না থাকায় কারখানার অভ্যন্তরের বিষয়গুলো জানা নেই। শ্রমিক মৃত্যুর খবরটি তিনি জানেন না।

  • সীতাকুণ্ডে বিএসআরএম এ বিদেশ থেকে স্ক্র্যাপের সাথে এলো ২ মর্টার শেল

    সীতাকুণ্ডে বিএসআরএম এ বিদেশ থেকে স্ক্র্যাপের সাথে এলো ২ মর্টার শেল

    সীতাকুণ্ড প্রধিনিধি: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বার আউলিয়া এলাকায় অবস্থিত বিএসআরএম ফ্যাক্টরীতে দুইটি মর্টার শেল ডিস্ফোজাল টিম কর্তৃক নিস্ক্রয় করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে বুম ২টি নিস্ক্রিয় করেন পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আফতাফ হোসেন এর নেতৃত্বে সিএমপি চট্টগ্রাম এর বোম ডিস্ফোজাল টিম।

    জানা যায়, ২৫ ফেব্রুয়ারী বিদেশ থেকে আমদানীকৃত স্ক্র্যাপ লোহার সাথে ২টি আর্টিলারী মর্টার শেল আসে। ফ্যাক্টরীতে স্ক্র্যাপ লোহার সাথে মর্টার শেল দুইটি দেখতে পেয়ে বিষয়টি থানাকে অবহিত করা হলে মঙ্গলবার দুপুরে সীতাকুণ্ড থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) হারুনুর রশিদ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে। এরপর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের বোম ডিস্ফোজাল টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে বোম দুইটি নিস্ক্রিয় করেন।

    সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিএসআরএম কারখানায় স্ক্র্যাপের সাথে বিদেশ থেকে দুইটি মর্টার শেল আসে। বিষয়টি আমাদের জানালে আমরা সিএমপি’র বোম ডিস্ফোজাল টিম এসে তা নিস্ক্রিয় করে। এঘটনায় কোন ধরণের দুর্ঘটনা ঘটেনি।

  • মিরসরাইয়ে বিএসআরএম এর লরির ধাক্কায় ৩ যাত্রী আহত

    মিরসরাইয়ে বিএসআরএম এর লরির ধাক্কায় ৩ যাত্রী আহত

    মিরসরাই প্রতিনিধি:::মিরসরাইয়ে বিএসআরএম এর ব্যাপরোয়া লরির ধাক্কায় লেগুনার ড্রাইভার, নারী ও শিশুসহ ৩ জন আহত হয়েছে।

    মঙ্গলবার ( ১৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে দশটায় মিরসরাই সোনাপাহাড়স্থ বিএসআরএম কারখানা গেইট এলাকায় এই দূর্ঘটনা ঘটে।

    প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় উদ্ধারকারীরা জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে মিরসরাইয়ের বিএসআরএম কারখানার গেইট এলাকায় যাত্রীবাহী একটি লেগুনাকে বিএসআরএম এর লোহার প্লেটবাহি একটি লরী পেছন থেকে স্বঝোরে ধাক্কা দিলে লেগুনাটি সড়কের পাশে ছিটকে পড়ে। এতে লেগুনার ড্রাইভার রাজু , এক নারী ও এক শিশু সহ ৩জন মারাত্মক আহত হয়। আহতদের স্থানিয়রা উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করে। আহতদের মধ্যে ড্রাইভার রাজুর নাম পরিচয় পাওয়া গেলেও নারীও শিশুর পরিচয় পাওয়া যায়নি। অজ্ঞাত নারী ও শিশুর পা ভেঙে যাওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

    মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসারত আহত লেগুনা ড্রাইভার রাজু জানান, বারৈয়ারহাট থেকে মিরসরাই যাওয়ার পথে বিএসআরএম কারখানার ভেতর থেকে একটি লরি বের হয়ে কারখানার ২শ গজ দক্ষিন পাশে কিছু বুঝার আগেই পেছন থেকে স্বজোরে ধাক্কা মারে। এতে লেগুনার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে ছিটকে পড়ে এর পর আর কিছু মনে নেই।

    জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট মামুন জানান, বিএসআরএম কারখানার লরীর ধাক্কায় লেগুনা দূর্ঘটনার আমি প্রত‌্যক্ষদর্ষী। দূর্ঘটনার পর লরিটি পালিয়ে গিয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া দূর্ঘটনা কবলিত ক্ষতিগ্রস্ত লেগুনাটি উদ্ধার করে মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।

  • নাসিরাবাদে খাল ভরাট করায় বিএসআরএমকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

    নাসিরাবাদে খাল ভরাট করায় বিএসআরএমকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

    নগরীর নাসিরাবাদ শিল্প এলাকায় নির্মাণ কাজের মাটি ফেলে খাল ভরাট করে পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অপরাধে বিএসআরএম প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা রুজু পূর্বক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারী সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে মোবাইল কোর্টের এ অভিযান পরিচালিত হয়। চসিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী এতে নেতৃত্ব দেন।

    অভিযানকালে সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

     

  • ক্রেনের চাকায় পিষ্ট হয়ে বিএসআরএম শ্রমিকের মৃত্যু

    ক্রেনের চাকায় পিষ্ট হয়ে বিএসআরএম শ্রমিকের মৃত্যু

    মিরসরাই প্রতিনিধি:::মিরসরাইয়ের বিএসআরএম কারখানায় ক্রেনের চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে এক শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহত শ্রমিকের নাম আতিকুল ইসলাম শাহরিয়ার (১৮)। সে ইছাখালী ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ড হাফিজ গ্রামের আমিন শরিফের ছেলে।
    বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভোর ৪টায় মিরসরাইয়ের সোনাপাহাড় বিএসআরএম কারখানার অভ্যন্তরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

    সূত্রে জানাযায়, নিহত শাহরিয়ার সীজ দা ইয়ার্ড নামে একটি কন্ট্রাটরের মাধ্যমে বিএসআরএম কারখানার অভ্যন্তরে ক্রেনের সহযোগী হিসেবে কাজ করে। বৃহস্পতিবার ভোরে একটি ড্রাম ট্রাক থেকে স্ক্রাপ নামানোর সময় ক্রেনের চাকায় পিষ্ট হয়ে মারাত্মক আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে ডাক্তার জানায় তার মৃত্যু হয়েছে। শাহরিয়ারের চাচা জয়নাল জানান, ভাই আমিন শরিফের এক ছেলে এক মেয়ে । বার বছর সন্তান বিহীন থাকার পর শাহরিয়ারের জন্ম হয়। এক মাত্র ছেলে সন্তানকে হারিয়ে শাহরিয়ারের পিতা আমিন শরিফে পাগল প্রায়।

    জোরারগঞ্জ থানার এসআই ফারুক জানান, শ্রমিক নিহতের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি অসতর্কতায় ক্রেনের ধাক্কায় এক তার মৃত্যু হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আর্থিক ক্ষতিপূরণ সাপেক্ষে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

    এদিকে বিএসআরএম কারখানার মানব সম্পদ বিভাগের ব্যাবস্থানা পরিচালক দেলোয়ার হোসেন মোল্লা জানান নিহত বালক আমাদের কেউ না। অনেক দর্শনার্থী আমানের এখানে প্রবেশ করে। তবে পরবর্তীতে তার বক্তব্য পরিবর্তন করে বলেন সে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে আমাদের কাজ করতো। তবে তার বয়স আঠারো।

    উল্লেখ্য যে প্রতিনিয়ত বিএসআরএম কারখানায় শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। কিন্তু কোন শ্রমিক মারা গেলে ওই শ্রমিক তাদের নয় বলে দায় এড়িয়ে যান কতৃপক্ষ। কারন হিসেবে জানা যায় বিএসআরএম কারখানায় শত শত শ্রমিক কাজ করলেও তাদের নিয়োগ দেয় না বিএসআরএম। কন্ট্রাটরের মাধ্যমে কাজ করায়। আর কোন শ্রমিক মারা গেলে দায় এড়িয়ে যায়।

    ২৪ঘণ্টা/বিআর

  • বিএসআরএম’র শ্রমিক নিহতের ঘটনায় মামলা

    বিএসআরএম’র শ্রমিক নিহতের ঘটনায় মামলা

    আশরাফ উদ্দিন মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:মিরসরাইয়ে বিএসআরএম স্টিলের কারখানায় লোহার গলিত সিসায় পুড়ে নির্মমভাবে তিন শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়েছে রড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। বিএসআরএম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অবহেলাজনিত অপরাধে মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়েছে ওই মামলায়।

    রোববার (৭ জুন) মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন বিএসআরএম কারখানায় লোহার গলিত সিসায় পুড়ে মারা যাওয়া শ্রমিক আবুল কাশেমের শ্যালক বজলুর রহিম। এতে ওই কারখানার ফ্লোর ইনচার্জকে আসামি করা হয়েছে।

    শনিবার (৬ জুন) বিকেলে রড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলসের (বিএসআরএম) জোরারগঞ্জ কারখানায় লোহার গলিত সিসায় পুড়ে পাঁচজন শ্রমিক গুরুতর আহত হন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়ার পর পরই মারা যান আবুল কাশেম (৫২) নামে এক শ্রমিক।

    এরপর রোববার (৭ জুন) ভোর রাতে ঢাকা নেওয়ার পথে কুমিল্লা পদুয়া বাজার বিশ্বরোড পার হওয়ার পর দগ্ধ আরও দুই শ্রমিক মারা যান। তারা হলেন গিয়াস উদ্দিন (২৪) এবং নজরুল ইসলাম (২৮)।

    ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে এখনও মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন আরও দুই শ্রমিক— নুর হোসেন (৩০) ও মহিউদ্দিন (২০)।

    বিএসআরএম’র ডিএমডি তপন সেনগুপ্ত বলেন, ‘প্রতিটি শ্রমিকই আমাদের এসেট। দূর্ঘটনায় মৃত্যু অনাকাক্ষিত। একজনের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়েরের বিয়টিও আমরা শুনেছি। আমরা আইন অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর জন্য যা যা করতে হবে তা অবশ্যই করবো।

    তবে নিহত শ্রমিকরা বিএসআরএম এর নিয়োগপ্রাপ্ত শ্রমিক না হওয়ায় তাদের পরিবারগুলো ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার আশঙ্কায় মামলা করেছে বলে জানা গেছে। বিএসআরএম এর বেশিরভাগ শ্রমিক দৈনিক মজুরিতে কাজ করে এদের কোন প্রকার নিয়োগ পত্র বা পরিচয় পত্র প্রদান করেনা।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • গলিত সীসায় দগ্ধ হয়ে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু, পুড়ে গেছে আরো ২ শ্রমিকের দেহ

    গলিত সীসায় দগ্ধ হয়ে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু, পুড়ে গেছে আরো ২ শ্রমিকের দেহ

    আশরাফ উদ্দিন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:মিরসরাইয়ে বিএসআরএম ফ্যাক্টরিতে ভয়াবহ প্লেট বিষ্ফোরনে লোহার গলিত সীসায় দগ্ধ হয়ে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে, আশঙ্কা জনক আরো দুই শ্রমিককে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।

    বিষ্ফোরণের ঘটনাস্থলেই মারা যান এক শ্রমিক। অন্যদের আবস্থার অবণতি হলে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসফাতাল থেকে ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যান আরো দুই জন।

    শনিবার (৬ জুন) বিকাল তিনটার দিকে হঠাৎ বিষ্ফোরনে এই হতা হতের ঘটনা ঘটে। আহতদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য চমেকে নিয়েগেলে এক শ্রমিকের মৃত্যু নিশ্চিত করে হাসফাতাল।

    এছাড়া মধ্যরাতে মারাত্বক আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিট থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান আরো দুজন।

    নিহতরা হলো মিরসরাই উপজেলার ১৪ নং হাইতকান্দি ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের মোস্তফা মিয়ার ছেলে আবুল কাশেম (৫২), ফেনী জেলার ছনুয়া বাজার এলাকার কামাল উদ্দিনের ছেলে মহি উদ্দিন (৩৫), ফেনী জেলার দাগন ভূঁইয়া উপজেলার সেকান্দরপাড় গ্রামের নুর নবীর ছেলে নজরুল ইসলাম (৩৪) এছাড়া আহতরা হলেন মোঃ মহিউদ্দিন ও নুর হোসেন। তারা ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তাদের অবস্থা সংকটাপন্ন।

    প্রতিষ্ঠানের এ্যাসিষ্টেন্ট ম্যানেজার (পিআর) ওমর শোয়াইব জানান, বিএসআরএম প্লান্টে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় আহত ৪ জন শ্রমিককে চমেক থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পথে শনিবার মধ্যরাতে কুমিল্লা পর্যন্ত পৌছালে মোঃ নজরুল ইসলাম এবং মোঃ গিয়াস উদ্দিন মারা যায়। এর আগে মারা যায় আবুল কাশেম। আহত আরো ২ শ্রমিক বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন।

    অপ্রত্যাশিত এই পরিস্থিতি ও দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটন করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বিএসআরএম কতৃপক্ষ এটি পুরো বিএসআরএম পরিবারের জন্য দুঃখের দিন জানিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেছে এবং হতাহতদের প্রয়োজনীয় সহায়তার প্রতিশ্রুতি জানিয়েছে।

    এবিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল ছুটে যাই। তখন জানতে পারি কারখানার গরম তরল পদার্থে শ্রমিকরা দগ্ধ হয়েছে। কতৃপক্ষ আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছেন। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও তিনি জানান।

    বিভিন্ন শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এসব শ্রমিকরা নাম মাত্র দৈনিক পারিশ্রমিকে এই কারখানায় কাজ করে আসছে। দেলোয়ারদের মতো প্রায় ৩ হাজার শ্রমিক রয়েছে যারা নাম মাত্র পারিশ্রমিকে জীবনের ঝুকি নিয়ে এই কারখানায় কাজ করে। বছরের পর বছর কাজ করলেও বিএসআরএম তাদের স্থায়ি নিয়োগ দেয় না। যার কারনে এসব শ্রমিকরা কর্মক্ষেত্রে মারা গেলেও পবিারগুলো তেমন ক্ষতি পূরণ পায় না। উপস্থিত লোক দেখানো কিছু নগদ অর্থ দিয়ে মুখ বন্দ করে দেয় সকলের, ফলে পরবর্তীতে অসহায় হয়ে পড়ে এসব শ্রমিকের পরিবার গুলো।

    এবিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য বিএসআরএস কারখানার মানবসম্পদ বিষয়ক ব্যাবস্থাপক দেলোয়ার হোসেন মোল্লার ব্যাক্তিগত নাম্বারে বার বার যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
    ২৪ ঘণ্টা/এম আর